এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  পরিবেশ

  • বিপন্ন বিশ্বজলবায়ুঃ মুক্তির উপায় কি? পর্ব ২ 

    সূর্যদীপ্ত নাগ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | পরিবেশ | ২৭ মে ২০২৩ | ১০৩২ বার পঠিত
  • আপনি এসি বন্ধ করলে বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধ হবে?
     
     
    আমাদের এই অঞ্চলের মানুষজন ক্লাইমেট ক্রাইসিস নিয়ে যখনই কথা বলেন তখনই আমার এরকম একটা ধারণা হয় যে জিনিসটা যে কতটা সিরিয়াস সেটা বোধহয় তারা বোঝেন না। তারা ভাবেন একটু বেশি করে গাছ-গাছালি লাগালে বা সামান্য লাইফ স্টাইল মডিফিকেশন করলে বোধহয় সহজেই গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে রোধ করে ফেলা যাবে। আমার এরকম ধারণা থাকার কারণ কি বোঝানোর জন্য একটা উদাহরণ দিচ্ছি। কয়েক সপ্তাহ আগে যখন এখানে হিটওয়েভ চলছিল তখন স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে বাড়িতে এসি কেনার ধূম পড়ে গিয়েছিল। এমন সময় কোথা থেকে কিছু মাথামোটা ও ক্ষতিকারক পাবলিক উদয় হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চেঁচামেচি লাগিয়ে দিল যে, এসি যারা ব্যবহার করে তারা প্রায় শ্রেণীশত্রু তুল্য। উষ্ণায়ন বাড়ছে নাকি এসির জন্যই। তাই হে জনগণ, গরমে আপনার গায়ে ফোস্কা পড়ুক বা হিটস্ট্রোক হোক, এসি ব্যবহার মোটেও করবেননা!
     
    হ্যাঁ, এয়ারকন্ডিশনিং মেশিনের ব্যবহারের ফলে যে বিদ্যুতের ব্যবহার এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায় সে বিষয়ে সন্দেহ নেই কিছু। এবং সেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যেহেতু গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমন হয় সেজন্য গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ক্ষেত্রে এর অবদানের কথা অস্বীকার মোটেও করতে বলছি না। কিন্তু হিটওয়েভ যখন চলছে তখন মানুষকে তো সারভাইভ করতে হবে! একটা সময় এসি জিনিসটা শুধুমাত্র উচ্চবিত্তদের বাড়িতেই দেখা যেত। কিন্তু, এখন গরম বাড়ার সাথে সাথে মধ্যবিত্ত মানুষও বাধ্য হচ্ছেন ঘরে এসি বসাতে। এমনকি যা পরিস্থিতি আসছে তাতে ভবিষ্যতে প্রচণ্ড গরমে একেবারে হতদরিদ্র মানুষেরও সাময়িকভাবে আশ্রয় নেবার জন্য কিছু কিছু এয়ারকন্ডিশনড জায়গার ব্যবস্থা করতে হলেও আশ্চর্য হব না। তো, এই সময়ে লোকজনকে এসি ব্যবহারের এবং এসি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে উস্কোনো একটি অত্যন্ত বড় অসভ্যতা ছাড়া আর কিছু নয়।
     
    তাহলে যারা এই উষ্ণায়নের ব্যাপারে কনসার্নড তাদের এরকম ক্ষেত্রে কি করা উচিত ছিল? উচিত ছিল সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা যাতে তারা কার্বনমুক্ত বিদ্যুতের উপর ইনভেস্টমেন্ট বাড়ায়। পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে উৎপন্ন বিদ্যুতের প্রায় ৯০%ই আসে কয়লা পুড়িয়ে - বিদ্যুৎ উৎপাদনে যতরকম পদ্ধতি আছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি দূষণ ঘটায় যেটা! লোকজনকে নিজেদের যাবতীয় স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে এয়ারকন্ডিশনিং মেশিন ব্যবহার বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে উষ্ণায়ন কতটুকু আটকানো যেতে পারে? প্রচন্ড গরমের মধ্যে এসব জ্ঞানের কথা কটা লোকে শুনবে আদৌ? আর যদি শোনেও বা, গ্লোবাল ওয়ার্মিং রোধে এসি বন্ধ করে, পাখা বন্ধ করে, ফ্রিজ বন্ধ করে একজন মানুষ কদিন টিকে থাকতে পারবে সেটাও ভেবে দেখেছেন কি?
     
    [ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিদ্যুতের খরচ কমানোর কথা যদি ওঠেই তাহলে আর্থিক সঙ্গতি থাকলে বাড়িতে কিছু সোলার প্যানেল বসিয়ে নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন বরং। আমি নিজেও একটু ভাবনা চিন্তা করছি এ ব্যাপারে - সেই কারণেই খবর নিচ্ছিলাম। দৈনিক ১৫ই ইউনিটের মত বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এরকম সোলার প্যানেল বসাতে খরচা পড়ে যাবে মোটামুটি দেড় লাখের মতো। তবে হিসেব মতো টাকাটা আন্দাজ বছর পাঁচেকেই উঠে আসার কথা। তাছাড়া সোলার প্যানেল এর ওয়ারেন্টি পিরিয়ড ২৫ বছরের। সুতরাং, প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে খরচ একটু বেশি পড়লেও দীর্ঘস্থায়ী লাভ অবশ্যই আছে। তবে আপনার বাড়িতে প্যানেল বসানোর মতো জায়গা কতটা আছে সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তাছাড়া, সোলার প্যানেলের দাম সময়ের সাথে সাথে আরো একটু কমার কথা। এখন থেকে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে রাখলে যখন বসাবেন তখন খুব একটা চাপ পড়বে না।]
     
    এছাড়াও একটা ব্যাপার আছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রসঙ্গ উঠলেই লোকজনের মাথায় যেন কেবল ইলেকট্রিসিটি এবং যানবাহনের কারণে ঘটা পরিবেশ দূষণ ছাড়া আর কিছুই আসে না! কিন্তু কোন ক্ষেত্রে গ্রিনহাউস গ্যাসের উৎপাদন কতটা হয় সেটা শতকরা ভাগ দেখলেই সমস্যাটার গুরুত্ব বোঝা যায়। গ্রীন হাউজ গ্যাস সব থেকে বেশি তৈরি হয় কোথায় জানেন? বিভিন্ন ধরনের বিল্ডিং মেটারিয়াল - এই যেমন ধরুন সিমেন্ট, স্টিল, ইঁট, প্লাস্টিক, কাঁচ ইত্যাদি তৈরির জন্য। প্রতিবছর বায়ুমন্ডলে যোগ হওয়া অতিরিক্ত ৫১ বিলিয়ন কার্বন ডাই অক্সাইডের (বা তার ইকুইভ্যালেন্ট অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের) প্রায় ৩১ শতাংশ আসে এর থেকে। 
     
    বিদ্যুতের স্থান এর পরে। তার কন্ট্রিবিউশনের পরিমাণ ২৭ শতাংশ। তারপরে আসে খাদ্য বা অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রয়োজনে ফার্ম করা প্রাণী এবং উদ্ভিদের কারণে যোগ হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাস। এর অবদান শতকরা ১৯ ভাগ। তারপর যানবাহন - ১৬%। এবং অবশেষে আসে হিটিং এবং কুলিংয়ের জন্য যোগ হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ - ৭% (মানে, গোটা পৃথিবীর সব এসি বন্ধ করে দিলেও খুব একটা লাভ হবে না)। আর হ্যাঁ, প্রসঙ্গত বলে রাখি যে এই তথ্যগুলির সবকটারই সূত্র বিল গেটসের 'হাউ টু অ্যাভয়েড আ ক্লাইমেট ডিজাস্টার' বইটা।
     
    আশা করি এতক্ষণে অন্তত এই জিনিসটা পাঠকদের বোঝাতে পেরেছি যে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেশি বেশি গাছ লাগিয়েই জলবায়ু পরিবর্তনের এই সংকটকে আটকানো যাবে না। দরকার পড়বে রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের বেশ কিছু পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপগুলি যাতে সরকার নেবার ব্যপারে উদ্যোগী হয় তার জন্য প্রয়োজন মানুষের সচেতনতার। লেখাটার উদ্দেশ্য সেটাই - অর্থাৎ লেখকের সীমিত সাধ্যের মধ্যে কিছু মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি। এই পদক্ষেপগুলি কি হতে পারে সেই বিষয়ে পরের পর্বগুলিতে আলোচনা করব। তবে হ্যাঁ, সাথে এটাও বলে দিই যে গাছ লাগানোর গুরুত্বকে কিন্তু কোনমতেই অস্বীকার করছি না। কিন্তু, প্রশ্ন হল, শুধুমাত্র গাছ লাগালেই কি হবে? আমার এক বন্ধু আছে অংশুমান ঠাকুর বলে যে গোটা ফরাক্কা এলাকাতে তার কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে গাছ লাগিয়ে বেড়ায়। ওর মুখে শুনেছি যারা গরু-ছাগল চড়ায় তাদের নাকি একটা অদ্ভুত আক্রোশ আছে এইসব গাছপালার ব্যাপারে। ওরা সম্ভবত মনে করে যে গাছপালা থাকলে এসব গবাদি পশু চরানোর জন্য প্যাসচার কমে যাবে। তাই গাছ লাগালেই নাকি ওরা সেই গাছ সুযোগ বুঝে উপড়ে ফেলে, বা গরু ছাগলকে দিয়ে খাইয়ে দেয়। এদের কার্যকলাপ দেখলে একটি হিন্দি প্রবাদবাক্য স্মরণে আসে - 'লাথো কে ভুত বাতো সে নেহি মানতে', কিন্তু প্রশ্ন হল এই লাথিটাই বা মারবে কে? পাল পাল দুষ্কৃতী প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক মদতে গাছ কেটে কেটে সুন্দরবনের জঙ্গল পাতলা করে ফেলেছে, ভিআইপি রোডের ধারে যেসব বিশাল বিশাল অতিপ্রাচীন গাছ ছিল তাদের গোড়ায় এসিড ঢেলে মেরে দেওয়া হয়েছে.... সরকারের তরফ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এসবের বিরুদ্ধে?
     
    তাহলে মোদ্দা কথাটা কি? ক্লাইমেট ক্রাইসিস এতটাই বড় একটা সমস্যা যে সাধারণ মানুষের এক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে করার মত কাজ খুব বেশি কিছু নেই। কিন্তু অর্থপূর্ণ কনট্রিবিউশন যাদের পক্ষে করা সম্ভব তারা হলো সরকার এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তাই সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে যতটা সম্ভব নিজেদের সচেতনতা বাড়ানো, এবং সরকার ও প্রশাসনের উপর প্রয়োজনীয় চাপ তৈরি করা। শুধুমাত্র 'গাছ লাগাও প্রাণ বাঁচাও' টাইপের স্লোগান দিয়ে এবং কার্যক্ষেত্রে কিছুই না করে এই মুহূর্তে বিশ্ব উষ্ণায়নকে আটকানো যাবে না।
     
    [বোরিং বিষয় নিয়ে পড়তে যাদের অসুবিধা হয় তাদের জন্য পডকাস্টের লিংক।] 
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৭ মে ২০২৩ | ১০৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সূর্যদীপ্ত নাগ | ২৮ মে ২০২৩ ১০:২৪520077
  • [বোরিং বিষয় নিয়ে পড়তে যাদের অসুবিধা হয় তাদের জন্য পডকাস্টের লিংক।] 
     
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৯ মে ২০২৩ ০০:৪১520094
  • বিশ্ব উষ্ণায়ন ইনএভিটেবল। আটকানো আর পসিবল বলে মনে করছি না। পরবর্তী জেনারেশন এর কি যে সিচুয়েশন হবে তা ভাবলেও গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। কিছু কিছু বিজ্ঞানী এরোসল পার্টিকেল ব্যবহার করে সূর্যের তাপ রিফ্লেক্ট করার কথা বলছেন বটে, কিন্তু এটা ভীষন রিস্কি এবং এর প্রভাব যে কি হতে পারে তা আঁচ করা মুশকিল। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন