বিকেল শেষ হওয়ার আধঘন্টা আগে স্মিতা অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে আসছে। ওর পিছন পিছন হাসপাতালের ইউনিফর্ম পরা দুটি ছেলে স্ট্রেচার ধরে জেম্মাকে নামিয়ে আনছিল যত্ন করে। সদর হাট করে খুলে পায়েল ছুটে বেরিয়ে এসেছিল- দু’হাত কপালে ঠেকালো তারপর স্ট্রেচারের এক কোণ ধরল -"দিদা, ও দিদা- কত রোগা হয়ে গেছ-"
অক্সিজেন সিলিন্ডার , ফাউলার বেড, এয়ার ম্যাট্রেসের ব্যবস্থা করেছে স্মিতা। হাসপাতালের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আপাতত কিছুদিন ওষুধ, ইনজেকশন চলবে; এ'পাড়ার ডাক্তারবাবুর রেগুলার চেক আপ - স্মিতা কথা বলে রেখেছিল।
বাড়িতে ঢোকার সময় জেম্মা চোখ বুজেই ছিল। অ্যাম্বুলেন্সে স্মিতা আগাগোড়া পাশে- জেম্মার খালি হাত, কোঁচকানো চামড়া, নীল , সবুজ শিরা , কব্জির কাছে লিউকোপ্লাস্ট; হাসপাতাল থেকে বাড়ি -অনেকখানি পথ, খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে শহরে- অ্যাম্বুলেন্স গাড্ডায় পড়তেই থরথর করে কাঁপছিল জেম্মা; এবার নিজের বিছানায় শুয়ে চোখ খুলে বলল- "নতুন নার্সিংহোম?"
পায়েল জেম্মার শুকনো ঠোঁট মুছিয়ে দিচ্ছিল, জল খাওয়ালো তারপর। অ্যাম্বুলেন্সের টাকা মিটিয়ে দিচ্ছিল স্মিতা, পায়েলকে বলছিল এই চেয়ারটা সরাতে, ঐ টেবিলটা ঠেলতে- জেম্মার ঘরে আরেকটু জায়গা হোক। কাল পরশু থেকেই আত্মীয়স্বজন দেখতে আসবে- তাঁদের জন্য মিষ্টি টিষ্টি এনে ফ্রিজে রাখতে বলছিল। তারপর পূবদিকের জানলাটা খুলে দিয়ে বলল- "নিজের ঘর চিনতে পারছ না জেম্মা? দেখো এদিকে- ঐ যে বকুল গাছ,ঐ যে পুকুর- দ্যাখো দত্তদের ছাদ- দেখতে পাচ্ছ?"
"সব কেমন ঘোলা ঘোলা", জড়িয়ে জড়িয়ে বলছিল জেম্মা।
বাস্তবিকই অন্ধকার হয়ে আসছিল, স্মিতা ইতস্তত করে জানলা বন্ধ করল- মশা ঢুকে যাবে নয়তো। পায়েল আলো জ্বালাচ্ছিল, তারপর জেম্মার পুজোর আসনের সামনে ধুপকাঠি নাড়াল, শাঁখ বাজিয়ে ছোটো ছোটো লাল কাপড় দিয়ে কালীর ছবি, লক্ষ্মীর পট ঢেকে দিতে লাগল। সরস্বতীর পায়ের পাতা, হাঁসের মাথা আর পাখার খানিকটা বেরিয়েছিল।
পায়েল বলল- "দিদি, থান কাপড় কিনে এনো এরপর। ধুতে ধুতে সব খেপে যাচ্ছে। আগেরবার ওকে বলেছিলাম, নতুন বাজার থেকে কিনে এনেছিল, কোয়ালিটি ভালো না- "
- পরশু কিনে আনব। কাল হবে না। তুই ক্ষিতীশকে খবর দিস তো পায়েল, পুকুরের পাশে আবার জঙ্গলমত হয়েছে। পরিষ্কার করে কার্বলিক অ্যাসিড ছড়াতে হবে।
-দিদাকে টিভি খুলে দেব, যদি গান শোনে?
- খুলে দে। তবে আজ অনেক ধকল গেছে, এই শরীরে অ্যাম্বুলেন্সের ঝাঁকুনি- ঘুমিয়ে পড়বে এক্ষুণি। ভাত বসিয়ে দে বরং। ধনঞ্জয় ওষুধ নিয়ে ফিরলে খাইয়ে দেব।
-এসে যাবে । দোকান থেকে ফোন করেছিল, যখন অ্যাম্বুলেন্স ঢুকল।
জেম্মার হাতের কালশিটেয় মলম লাগাচ্ছিল স্মিতা- আলতো করে আঙুল ঘুরিয়ে আনছিল- ওর প্রতিটি স্পর্শের সঙ্গে শৈশবের সুখস্মৃতি জড়িয়েছিল, আঙুলের সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে স্মৃতির দল একটা বিন্দুতে এসে থামছিল , ছড়িয়ে পড়ছিল আবার । জেম্মার চোখ বোজা, সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছে; একটু আগে যে জলটুকু খাইয়ে গেছে পায়েল, মুখ মোছানোর পরেও তার এক ফোঁটা লেগে আছে ঠোঁটে।
পায়েল রান্নাঘরে গিয়ে ভাত বসিয়েছিল। তারপর আটা মাখবে। দরজায় বেল বাজল এই সময়।
-কে রে পায়েল? তুই দাঁড়া। আমি খুলছি।
- ও এসেছে দিদি। তোমাকে উঠতে হবে না। এই তো, আমি দেখছি।
স্মিতার হাতে ওষুধের প্যাকেট, প্রেসক্রিপশন দিয়ে রান্নাঘরে ঢুকল ধনঞ্জয়। পায়েল চায়ের জল চাপাল- স্বামী স্ত্রীর কথা হবে এখন। স্মিতা টিভির রিমোট নিল; খবর শেষ হয়ে নাচ গান হচ্ছিল জোরদার- ভলিউম কমালো স্মিতা। ওর মোবাইলে মেসেজ ঢুকছিল দুপুর থেকে - ছোড়দা, বিপ্পু, ফুলদি, মন্টি- জেম্মা কেমন আছে , জানতে চাইছিল সবাই। পঙ্কজ সকালে মেসেজ করেছিল-" আজ ছাড়া পাবে জেম্মা?" স্মিতা হাসপাতালে রওনা হচ্ছিল সে' সময়- এখন মেসেজ পাঠিয়ে স্মাইলি দিল।
আজ সারাদিন ঝগড়া করেছে সনৎ। সকালে বাসে একপ্রস্থ, তারপর অফিসে তন্ময়ের সঙ্গে- অ্যাজ ইউজুয়াল। এই শহরে সবাই তেতে আছে সনতের মত- যেন প্রতিটি লোক জুয়াড়ি , যেন প্রতিটি লোক একটা হেরো ঘোড়ার ওপর নিজের জীবন বাজি ধরেছে,আর সেহেতু প্রতিটি সেকন্ডে নিজের নাড়ি ধরে হার্টবীট মাপছে, তারপর তেড়েফুঁড়ে শ্বাস নিচ্ছে যেন এই শেষবার। সবার ঘোলাটে চোখ, ছুঁচোলো ঠোঁট, নিঃশ্বাস নেয় ঘন ঘন- সনৎএর নিজেকে কানেকটেড মনে হয়। আজ সকালের বাসে লোকটা এনারসি, সি এ এ নিয়ে খুব চোপা করছিল, সনৎ কিছু বলে নি- জানলার বাইরে তাকিয়ে রাস্তা দেখছিল আপাতনিস্পৃহ, অথচ কান ছিল সজাগ- যেন লোকটার রেসের ঘোড়াকে চিনে নিতে চাইছে। মালটা হঠাৎ টপিক চেঞ্জ করে বিক্রম আর প্রজ্ঞান তুলতে ওর মাথা গরম হয়ে গেল। যেন লোকটা নিয়ম ভেঙে দুটো ঘোড়ার ওপর বাজি ফেলেছে - যার মধ্যে একটা সনতের -যার ওপর বাজি ধরার আর কারোর এক্তিয়ার নেই। নিজের ঘোড়ার পিঠ থেকে লোকটার হাত সরাতে মরিয়া হ'ল সনৎ-“মহাকাশের তুই কী বুঝিস?”
সনৎ চোখ মুখ লাল করে চিৎকার করছিল। লোকটাও। বাসে দুটো সাইড তৈরি হয়ে গিয়েছিল সঙ্গে সঙ্গে- যেন ডারবি ম্যাচ শুরু হ'ল এইমাত্র, গ্যালারিতে মেক্সিকান ওয়েভ উঠেছে, তারই মধ্যে এক পক্ষের লোক ক্রমাগত শিফ্ট করছে অন্য পক্ষে; ফলত তালেগোলে পিন্ড পাকানো কিছু অবয়ব তালি বাজাচ্ছে, সিটি মারছে; সনৎ অনর্গল বকে যাচ্ছিল- চাঁদের সত্তর ডিগ্রী অক্ষাংশের কথা বলছিল, ক্রেটারদের কথা বলল- মানজিনাস সি, সিমপেলিয়াস এন; সফ্ট ল্যান্ডিংএর কথা বলতে বলতে ওর কপালের বাঁ দিকে শির ফুলে গেছিল, থুতু ছিটকোচ্ছিল-" ক্কী ক্কী জ্জানিস শ্শালা তোরা?" শিয়ালদা আসতে না আসতে একটা ভীড়ের ঢেউএর সঙ্গে চেঁচাতে চেঁচাতেই নেমে গিয়েছিল।
তন্ময়ের সঙ্গে ঝগড়া অফিসের কাজকর্মের মধ্যেই পড়ে গেছে আজকাল। ফুটপাথে চা খেতে খেতে একচোট হল ; তন্ময় আজ মিঠুর কথা তুলেছিল; বলেছিল- "বৌদি চলে গেছে গেছে বেশ করেছে। তুমি এক জিনিস মাইরি। কিছু না জেনে না বুঝে গাঁটের মত চেঁচাও। সায়েন্সের কিছু জানো তুমি?" তন্ময় যেই বলল বৌদি, সনতের মুন্ডুর মধ্যে সিটি মেরে ঢুকে পড়ল কনে চন্দন পরা হাইড্রোজেনের মেঘের দল, তন্ময়ের কলার ধরতে গিয়েও হাত ঢুকিয়ে ফেলল পকেটে।
সন্ধ্যায় একটা লতানো চারা কিনল সনৎ, নার্সারি থেকে বলেছিল -জুইঁ। শীত শেষ হয়ে আসছে- এই সময় শহরে জুইঁচারার লভ্যতা সম্বন্ধে সন্দিহান হলেও কিনেই নিল শেষ মেশ। ছোটো মাটিমাখা টবে লকলকে সবুজ চারা লম্বা কাঠিতে লতিয়ে আছে। একটা সাদা ফুল ফুটেছে, দু তিনটে কুঁড়ি- ফুলশয্যার বালিশের বাস পাচ্ছিল সনৎ। তারপর ডানকাঁধে ব্যাগ, বাঁ হাতে কালো প্ল্যাস্টিকে জুইঁচারা নিয়ে বাসে ওঠার চেষ্টা করল ফ্লাইওভারের সামনে থেকে- চারটে বাস ছেড়ে অগত্যা শেয়ারের ট্যাক্সি নিল; জুইঁচারাকে অক্ষত রাখতে গুঁতোগুঁতির পাশ কাটাল সন্তর্পণে। বেলগাছিয়ার পরে ট্যাক্সি এগোচ্ছিল না- বক্তৃতা হচ্ছিল মোড়ের মাথায়, বিশাল মিছিল আসছিল পতাকা টতাকা নিয়ে। সনৎ নেমে পড়ল- তারপর জুইঁচারা নিয়ে পা টেনে টেনে হাঁটতে লাগল। সাহেবগলির মুখে গিয়ে দাঁড়াবে। মিঠু এই সময় ফেরে।
জেম্মাকে খাওয়াতে বসেছে স্মিতা। পায়েল আর ধনঞ্জয় সিরিয়াল দেখছিল। টুকটাক ফোন আসছিল ল্যান্ডলাইনে- জেম্মার খবর নিতে মূলত- স্বামী স্ত্রীতে সামলে নিচ্ছিল ।
জেম্মাকে সোজা করে বসিয়ে বাটিতে ভাত মেখে চামচ করে খাওয়াচ্ছিল স্মিতা। তৃপ্তি করেই খাচ্ছে জেম্মা-ছোটো ছোটো ঢেকুর তুলছে , আবার হাঁ করছে। নিজের ঘর, বিছানা, খাবার ভাল লাগছে জেম্মার- বুঝতে পারছিল স্মিতা। আর হাসপাতালে না রেখে বাড়ি নিয়ে আসার ডিসিশন ঠিকই হয়েছে। আজ ছোড়দাও বলছিল-" যে কদিন আছে, নিজের ঘরে তোর সেবাযত্ন পাক - এই তো চেয়েছে বড়মামী সারাজীবন। তোর বৌদিকে নিয়ে রবিবার আসব। মামী কি হরলিক্স খায় রে? না আপেল আনব?"
গলিতে রিক্সা যাচ্ছে, রুটের অটো। বড় রাস্তার দিকে কোথাও মীটিং হচ্ছে- আবছা আওয়াজ আসছিল, গলিতে কুকুরের ডাক, একটা মেয়ে চলে গেল মোবাইলে কথা বলতে বলতে; স্মিতার গত পঁচিশ বছরের জীবন ক্রমশ আবছা হয়ে যাচ্ছিল- আবছা আর অলীক। স্মিতা মাথা নামিয়ে দেখছিল, জেম্মার ঘরের লাল মেঝের দখল নিচ্ছে ভূগোল খাতার নদী, উপনদী, শাখানদীর মত ধূসর ফাটল সব; একটা কালো পিঁপড়ে জেম্মার খাটের পায়া বেয়ে এসে স্মিতার বুড়ো আঙুল ছুঁয়ে শাখানদীতে পড়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।
সকালে জেম্মার মশারির খুঁট খুলছিল স্মিতা, ডায়াপার বদলালো। জানলার পাল্লা খুলতে গ্রিলের ছায়া পড়ল প্রাচীন লাল মেঝেতে, সূর্যের আলোর পথ বেয়ে সূক্ষাতিসূক্ষ্ম ধুলোর কণা ঢুকতে লাগল ঘরে-
-দিদি, সরো। আমি করে দিচ্ছি।
- ঐ দিকের জানলাটা টাইট করে বেঁধে রেখেছিস কেন রে? খুলতে পারলাম না কিছুতেই
- পাশের বাড়ির ঐ যে লোকটা- লম্বা মত- বৌ ছেড়ে চলে গেছে বললাম না সেদিন?
স্মিতার মাথার মধ্যে ঠকঠক আওয়াজ শুরু করল শব্দগুলো- কান গরম হল ওর, একটু কাশল। জল খেলো, তারপর গলা ঝেড়ে বলল- "হ্যাঁ, তো? কী হয়েছে তাতে?"
-ঐ লোকটা ছাদে একটা ইয়াব্বড় দূরবীন লাগিয়েছে
-দূরবীন?
-একটা লম্বা চোঙার মত ; ও বলল- দূরবীন। ওখানে চোখ লাগালে আমাদের ঘরের ভিতর অবধি দেখা যাবে না নাকী-
-কে বলল? ধনঞ্জয়?
-হ্যাঁ, ও বলল। দিদি , লোকটা কিন্তু হেব্বি বদ। জানো ?
- সে কী করে জানব? তোরই বা অত খবরে কী দরকার?
-মন্টুর মা আছে না? ঐ বাড়িতে কাজ করে তো - আমাকে বলেছে। ঐ লোকটা আগে এখানে থাকত না দিদি- অন্য ফ্যামিলি ছিল- ভাড়াটে বোধ হয়।
- জানি। শিখাজেঠিমার ছেলে। মামাবাড়িতে মানুষ-
-তুমি চেনো?
-পাশের বাড়ি, চিনব না? অ্যাক্সিডেন্টে মারা গিয়েছিল শিখা জেঠিমা। স্টোভ ফেটেছিল। আমরা তখন স্কুলে পড়ি। সোনুকে ওর মামারা নিয়ে যায়- আর দেখি নি তারপর।
জানলার পাল্লার সঙ্গে গ্রিলে বাঁধা দড়ির গিঁট খুলতে যতটা সময় নেয়, তার মধ্যে শিখা জেঠির মৃতদেহ দেখতে পাচ্ছিল স্মিতা। পুড়ে যাওয়া শরীর সাদা কাপড়ে ঢাকা ছিল, কপাল ভরা সিঁদুর। বারান্দায় দাঁড়িয়ে স্মিতারা দেখেছিল। সোনু হাঁ করে দাঁড়িয়ে, পাশে কেউ ওর হাত ধরে ছিল-
সেই ছেলেটা বদ লোক? সময় কত বদলে দেয় সব- আশ্চর্য লাগছিল স্মিতার, যেন এই প্রথম মনে হল কথাটা।
-পায়েল, ধনঞ্জয় বাজারে বেরিয়ে গেছে?
-- না দিদি ডাকব?
-ওকে একটা নাম, ঠিকানা দিয়েছিলাম, খোঁজ নিয়েছে?
-সাহেব গলি তো? খোঁজ করছে বলল। ওদিকে পুজোর পরে সেই যে বোমা ফেটেছিল না? তারপর অচেনা লোক ঘুরঘুর করছে দেখলেই পুলিশ হুড়ো দিচ্ছিল - ও তো তাই বলল। দু' তিনদিন গিয়ে ফিরে এসেছে।
- আমাকে বললেই তো পারত-
- হাসপাতালে এত ছোটাছুটি চলছিল, আর বলে নি। ও আবার যাবে বলেছে- ক’টা দিন যাক।
ল্যাম্পপোস্টে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়েছিল সনৎ -আ থিওরি অ্যাবাউট এভরিথিংএ হকিং যেমন দাঁড়িয়েছিল জেনের জন্য- হুবহু সেই ভঙ্গি -যেন মিঠু এসে দাঁড়ালে পকেটে হাত দিয়ে একটু ঝুঁকে ওকে দেখে নেবে সনৎ তারপর হাত ধরে গ্র্যান্ড বলে ঢুকবে। সেখানে একটা বেগুনি নীল আলোর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকবে দুজনে- মুখ টিপে হাসবে মিঠু- ব্যাকড্রপে ঘুরপাক খাবে ক্যারোসেল। সনৎ বলবে- হোয়েন স্টারস আর বর্ন, হোয়েন দে ডাই, দে এমিট ইউভি রেডিয়েশন। সো ইফ উই কুড সী দ্য নাইট স্কাই ইন আল্ট্রাভায়োলেট লাইট, দেন অলমোস্ট অল দ্য স্টারস উইল ডিজ্যাপীয়ার। অ্যান্ড অল দ্য হোয়াট উই সী আর দীজ স্পেক্টাকুলার বার্থস অ্যান্ড ডেথ ...
তখন বাজি পোড়ানো হবে এই গলির মোড়ে। বাস , অটো, মানুষজন থমকে গিয়ে আকাশে তাকাবে- হুউশ করে আকাশে আলোর বিন্দু উঠবে একটা, তার থেকে সহস্রবিন্দু- আকাশ ফুঁড়ে আগুনের গাছ গজাবে; আর সনৎ তখন মিঠুর সামনে হাঁটুমুড়ে বসবে-" সফ্ট ল্যান্ডিং হয়ে গেলে ফিরে আসবে তো মিঠু? ফিরে এসো। তারপর আমাদের দুটো ছেলে হোক - বিক্রম আর প্রজ্ঞান? প্লীজ মিঠু। প্লীজ। কী রাজি? এই, এই মিঠু, রাজি তুমি?"