

স্মিতা একটা কাঠের বেঞ্চে বসে লম্বা শ্বাস নিল, খুব কাছেই কোনো ফুল ফুটেছে সম্ভবত, হাওয়ায় ভেসে ভেসে সেই সব ফুলের গন্ধ একবার স্মিতার কাছে আসছে, আবার চলে যাচ্ছে – দোলনায় চড়ার মত ঘটছে ব্যাপারটা এবং এই দোলনের সময়কাল নিয়ে ওর স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ; নাকে গন্ধ এলেই বুঝতে পারছে কখন তা মিলিয়ে যাবে, আবার সঙ্গে সঙ্গেই আন্দাজ করে নিচ্ছে ফিরে আসার সময়। কিন্তু বুঝতে পারছিল না ওর অবস্থান – প্রথমে মনে হয়েছিল কোনো পার্ক, তারপর খেয়াল করল – ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, মাথায় পরী, আর খোদ মহারাণীর মূর্তির সামনে ও একটা বেঞ্চে বসে, পায়ের কাছে বনময়ূর; স্মিতার হাঁটুর কাছাকাছি বনময়ূরের বাদামী কান – মাথা ঘোরালেই হাঁটুতে সুড়সুড়ি লাগছিল। ঘাড় নুইয়ে পা চুলকোতে গিয়ে স্মিতা খেয়াল করেছিল, চৌখুপি মার্বেলের মেঝে, আর তার ওপর বনময়ূরের থাবা অসম্ভবরকম কেঠো আর নির্লোম; খুব অবাক হয়ে সামনের থাবা ছুঁতে গিয়েছিল স্মিতা – দেখল, বনময়ূর নয়, পিচবোর্ডের তৈরি কুকুরের একটা কাট আউট শুধু। রিফ্লেক্সে মাথা তুলেছিল সে – দেখেছিল, ঘুলঘুলি দিয়ে আলো আসছে – শঙ্কুর শেপ নিয়ে নিচ্ছে ক্রমশ; সে আলো মুখে পড়তেই স্মিতার বয়স ছ’বছর হয়ে গিয়ে ফ্রিজ করে গেল, ও জেম্মার পাশে শুয়ে ঘুমোতে লাগল অঘোরে, একসময় জেম্মা উঠে পড়ল, বাথরুমে গেল, তারপর সদর খুলে বাগানে। স্মিতা শুয়ে শুয়ে জলের আওয়াজ পেল স্পষ্ট, খিল নামানোর আওয়াজ আর শিউলির গন্ধ পেল তারপর। জেম্মার সঙ্গে ফুল তুলবে ভেবে উঠে পড়বে ভাবতেই বুঝল, ওর শরীর এখন অনেক ভারি, লম্বা হাত-পা গোটা বিছানা জুড়ে, যেন জেম্মার শোওয়ার জন্য কোনো জায়গাই ছিল না কোনোদিন; তখন মনে হল, ও পঙ্কজের সঙ্গে ওদেশের বাড়িতে, তারপরেই ভাবল, ও হাসপাতালে, বুল্টি জন্মাবে আজ। তখনই ধনঞ্জয় আর পায়েলের গলা শুনল স্মিতা, একটা অটো গেল পাশের রাস্তা দিয়ে এই ভোরে, কুকুর ডেকে উঠল, তারপর কাক; বিছানায় উঠে বসে মনে হল – এখনও সুটকেশ প্যাক করা হয়নি – আজ রাতে ফ্লাইট।
চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়েছিল চন্দ্রযান। তন্ময় আজকাল চুপচাপ হয়ে গেছে – তর্ক করে না, শুধু মিম পাঠায় মাঝে মাঝে; একদিন হঠাৎ বলেছিল, “বৌদির কোন খবর রাখ?” সনৎ চুপ; বহুদিন মিঠুদের বাড়ির দিকে যায়নি – বস্তুত অফিস থেকে ফিরে সারাক্ষণ ইসরোর সাইটেই পড়ে থাকছিল আর চন্দ্রযান নিয়ে ইংরিজি, বাংলা কাগজ, ম্যাগাজিনের যাবতীয় লেখা কেটে কেটে স্ক্র্যাপবুকে জমাচ্ছিল। সনতের ঘাড় পর্যন্ত চুল নেমেছে ইদানিং – যেন একটা বড় পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছে সে; ঘরবন্দি হয়ে এতই পড়াশোনা করছে, যে চুল কাটার সময় অবধি হচ্ছে না। পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোলে শিওর প্রাইজ সঙ্গে সঙ্গে – সনৎ সটান মিঠুর বাড়ি গিয়ে ওকে ল্যান্ডিং-এর খবর দেবে হাঁটু মুড়ে, ফিরতে বলবে ওর কাছে আর মিঠু তৎক্ষণাৎ একটা ট্যাক্সি ধরে রওনা হবে, ট্যাক্সির ভাড়া মিটিয়েই সুটকেশ নিয়ে দোতলার ঘরে। তারপর, দরজা বন্ধ করলেই শুধু পুরোনো পালঙ্ক, আর ওরা দু’জন – পর্দাটানা জানলা, আধো অন্ধকার ঘরে হাইড্রোজেন মেঘেরা নেমে আসছে, কতদিন পরে মিঠুর অভ্যন্তরে ঢুকছে সনৎ; কোলবালিশে মিহি ধুলোর গন্ধ – নাকে এলে নেশা ধরে যাচ্ছে আরও; ইমিডিয়েট পাজামা নামাল সে; তারপর আবার ইসরোর সাইট, স্ক্র্যাপবুক আর নিজের আঁকা যতেক ডায়াগ্রামের ওপর ঘাড় গুঁজে রইল।
পাড়া জুড়ে আজও আলোর নদী। শিখাজেঠিদের বারান্দায় আলোর মালা দুলছে। হলুদ-কালো ট্যাক্সি এক হাঁটু আলোয় দাঁড়িয়ে আছে স্মিতার জন্য – তার রিয়ার উইন্ডস্ক্রিনে টুনি বাল্ব রিফ্লেক্ট করছে – লাল-নীল-সবুজ আলোর বিন্দু জ্বলছে, নিভছে। স্মিতার দুটো সুটকেস উঠে গিয়েছিল ট্যাক্সিতে। ডিকি বন্ধ করে ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট করেছিল; স্মিতা তখনও কথা বলছিল পায়েল আর ধনঞ্জয়ের সঙ্গে, বিবিধ নির্দেশ দিচ্ছিল – যেন পরিপাটি থাকে বাড়ি, বাগান, পুকুরপাড়, ক্ষিতীশ যেন কার্বলিক ছড়ায় নিয়মিত, জঙ্গল সাফ করে। বলছিল, প্রণবের সঙ্গে কথা বলেছে, পায়েলদের বিরক্ত করবে না কোনো প্রোমোটার। “দিদি, আবার কবে আসবে?” পায়েল চোখ মুছছিল – “জামাইবাবু আর বুল্টিকে নিয়ে এসো দিদি।” স্মিতা চুপ করে রইল। বাগান থেকে শিউলির গন্ধ আসছে, ঝিঁ ঝিঁ ডাকছে ননস্টপ। দুটো পটকা ফাটল দূরে। পাঁচিলের ওপর পিঁপড়ের সারি – একলা পিঁপড়েটা আজ এই দঙ্গলে ভিড়েছে খুব সম্ভব। ছোটোবেলায় পিঁপড়ের লাইন দেখলেই জেম্মা বলত, আজ রাতে বৃষ্টি হবে। স্মিতা মুখ তুলল, দেখল – একফালি চাঁদ আর তারায় তারায় ভরে আছে আকাশ; “দিদি, এরপর জ্যামে পড়ে যাবেন”, ধনঞ্জয় তাড়া দিয়েছিল। স্মিতা বাড়ির দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ – যেন চোখে চোখে কথা হল ওর আর বাড়ির; যেন কথা হয়ে গেল, এ’বাড়ি-পুকুর-পিঁপড়ে ওকে আবার ডাকবে নাম ধরে – শাওয়ারে, ফুটপাথে, ট্র্যাশ ফেলার সময়। ট্যাক্সিতে উঠে পড়ল স্মিতা, যাই বলতে গিয়ে শুধরে নিল, বলল, “আসি তবে?”
সনতের ঘাড় মাথা পিঠ টনটন করছিল; চোখ লাল, মাথা ধরে আছে। কাল থেকে ডেস্কটপে ইসরোর সাইট আর টিভির স্ক্রিনে নজর রেখে যাচ্ছে অবিরাম। মন্টুর মা সকালে লুচি আর মোহনভোগ করেছিল, তারপর রান্না করে খাবার বেড়ে রেখে গেছে দুপুরে। এই মধ্যরাতে সেই বাড়া ভাত, আর মাছের ঝোল থেকে আঁশটে গন্ধ সনতের ঘরদোরে ছড়িয়ে পড়ছিল। পিঁপড়ে ধরেছিল বাসি লুচি, মোহনভোগে। গালে হাত বোলাল সনৎ – খোঁচা খোঁচা দাড়ি; ল্যান্ডিং হয়ে যাক, কালই সেলুন যাবে, চুল কাটবে, ফিটফাট হয়েই মিঠুর বাড়ি। ঘড়ি দেখল – আর আধঘন্টা। জাস্ট আধঘন্টা পরে ল্যান্ডিং – চেয়ার টেনে টিভির সামনে বসল সনৎ। সেই সময় গতি কমাচ্ছিল বিক্রম – সতেরোশ’ মিটার পার সেকন্ড থেকে একশ’ ছেচল্লিশ মিটার পার সেকন্ড – চাঁদের খুব কাছে এসে পড়েছে ল্যান্ডার – আর মাত্র সাড়ে সাত কিলোমিটার। বিক্রমের ঠিক মাথার উপরে থেকে ছবি তুলে পাঠাচ্ছিল অরবিটার। সনৎ হাততালি দিয়ে উঠছিল। আরও গতি কমাল বিক্রম; তারপর লোকাল নেভিগেশন শুরু করে দিল। পাড়ার ভেতরে পটকা ফাটছিল টানা। এখন চাঁদের মাটি থেকে আর মাত্র দু’কিলোমিটার ওপরে বিক্রম। সনৎ একবার উঠে দাঁড়াচ্ছিল, পরক্ষণেই বসে পড়ছিল, দাঁত দিয়ে নখ কাটছিল, আঙুলের চামড়া টেনে টেনে তুলছিল। টিভিতে ইসরোর কন্ট্রোল রুম দেখাচ্ছে – ঢাউস স্ক্রিনে সংখ্যারা বদলে যাচ্ছে হুড়হুড় করে।
স্মিতার ফ্লাইট শেষ রাতে। চেক-ইন হয়ে গিয়েছিল। আনমনে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে; বই ওল্টাল, হ্যান্ডিক্রাফটের দোকানে দু’-একটা জিনিস হাতে তুলেও রেখে দিল। পুজো উপলক্ষ্যে এয়ারপোর্টের সাজ খুব – ছবি নিল মোবাইলে। একবার ফোন করল বাবলুদাকে, তারপর পায়েলকে; এবার শীত শীত করছে – হাতব্যাগ থেকে চাদর বের করে গায়ে জড়াল। সারাদিনের ব্যস্ততায় খবরের কাগজ পড়া হয়নি – কাগজ আর জল কিনে ডিপারচার টাইমের স্ক্রিন ঘেঁষে চেয়ারে বসল সে। ওর পাশে টিভির সামনে ভিড় দানা বাঁধছিল – একটু পরে বিক্রম চাঁদে নামবে। স্মিতা ভাঁজ করা কাগজ খুলল। প্রথম পাতায় বিক্রম আর চাঁদ নিয়ে প্রতিবেদন, বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকার, প্রধানমন্ত্রী আর শিভনের হাসিমুখের বড় ছবি। চোখ বুলিয়ে যাচ্ছিল স্মিতা, পাতা উল্টাচ্ছিল, আবার প্রথম পাতায় ফিরছিল। ভিতরের পাতায় একটি ফিচার দেখল মৃত যাদুকরকে নিয়ে; খবরটা জানা – টিভিতে দেখেছিল। ফিচারে জাস্ট চোখ বুলিয়ে পাতা উল্টোতে যাবে, তখনই সাহেবগলি শব্দে চোখ আটকে গেল – শুধুমাত্র একটা লাইনেই ছিল শব্দটা। স্মিতা পড়েছিল, ‘আমাদের প্রতিনিধি, মৃত বি পালিতের সাহেবগলির বাড়িতে গেলে, মৃতর পরিজন সংবাদমাধ্যমকে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেন।’ ফিচারের শুরুতেই দুর্ঘটনার তারিখের উল্লেখ ছিল, স্মিতা আবার দেখল সেই তারিখ, সময়, পঙ্কজের মেসেজের দিনক্ষণ মনে এল অটোম্যাটিক – যে মেসেজে পঙ্কজ আকুল হয়ে ওকে ফিরে আসার কথা বলেছিল। যাদুকরের ঠিকানা, দুর্ঘটনার তারিখ, পঙ্কজের মেসেজের সময় – একটা আবছা নকশা তৈরি করছিল – যেন পাজল বোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে স্মিতা, ওর হাতে জিগস পাজল পিস – মাত্র কয়েক টুকরো – বাকি সব টুকরোর হদিশ ও এতদিনেও পেল না – পঙ্কজ যেন কোনো অগম স্থানে তাদের লুকিয়ে রেখেছে। স্মিতার বড় ক্লান্ত লাগল এবারে – বেলা ফুরিয়ে আসছে, এই লুকোচুরি খেলা এবারে শেষ হোক; জেতার আশা সে আর করছিল না, বরং এই মুহূর্তে মনে হচ্ছিল, খেলা বন্ধ করে ওদের দু’জনেরই বাড়ি ফিরে যাওয়া দরকার। বাড়ি ফিরবে, হাত পায়ের কাদামাটি ধুয়ে ফেলবে, ভাত খেতে বসবে একসঙ্গে। ভাতের ওপর ডাল ঢালবে, লেবু চিপে গরাস মুখে দেবে দু’জনে, তারপর খুব ঘুমোবে। চশমা খুলে চোখ মুছে নিতে গিয়ে টিভি স্ক্রিনে তাকিয়েছিল স্মিতা – কিছু একটা গোলমাল হয়েছে বিক্রমের ল্যান্ডিং-এ। লোকজনের তুমুল আক্ষেপ শুনতে পাচ্ছিল সে।
টিভি অফ করে বাড়ির সব আলো নিভিয়ে দিয়েছিল সনৎ। সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছিল অন্ধকারে; কেউ যেন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার অন করে ওর মাথার ভিতর খালি করে দিচ্ছিল – ও কিছু দেখছিল না, শুনছিল না, শুধু এক গোঁ গোঁ আওয়াজ মাথার মধ্যে – যেন সবাই একসঙ্গে দুয়ো দিচ্ছে – হেরো, হেরো, হেরো হেরো তুই; হলুদ বাড়ির পুকুরের আশপাশ যেদিন ক্ষিতীশ পরিষ্কার করেছিল, কার্বলিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দিয়েছিল, সেদিনই ওর পরিণাম যেন নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছিল – সনতের মনে হল হঠাৎ। ও পুকুরের দিকের দরজা খুলল। টুং টাং মেসেজ আসছিল মোবাইলে – সনৎ তাকিয়েও দেখল না। সটান দরজা খুলে বেরিয়ে এল। ভাঙা পাঁচিল টপকে হলুদ বাড়ির পুকুরের ঘাটে সিঁড়ি বেয়ে জলে পা ভিজিয়ে দাঁড়াল। আধ-খাওয়া লজেন্সের মত চাঁদ ঝুলে রয়েছে – তাকে সনতের একটা ভিলেন মনে হল। ওর পায়ের আঙুলে ঠোক্কর দিয়ে গেল কিছু, ঝোপঝাড়ে সরসর শব্দ হল একটা। সনৎ শিউরে উঠল। রাতের পুকুর থেকে আঁশটে গন্ধ উঠছে। মাঝপুকুরে সম্ভবত ঘাই দিল মাছ। আর তখনই শেষরাতের আকাশের নিচে, পায়ের কাছে সাক্ষাৎ মৃত্যু নিয়ে দাঁড়িয়ে সনতের খুব খিদে পেল। সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয়নি – মন্টুর মা পাবদা মাছ রেঁধেছিল – দুপুরের ভাত এখনও ঢাকা দেওয়া – পড়ে রয়েছে। ফিরে গিয়ে আর একবার টিভি খুলবে? যদি বিক্রম সফট ল্যান্ডিং করে থাকে? যদি কমিউনিকেশন রি-এস্টাবলিশড হয়? হয়তো এতক্ষণে কে শিভান আঙুল তুলে বলছেন – কমিউনিকেশন রি-এসটাবলিশড। কমিউনিকেশন রি-এসটাবলিশড, কমিউনিকেশন রি-এসটাবলিশড – বিড়বিড় করল সনৎ, তারপর ঘাটের সিঁড়ি ভাঙতে শুরু করল। তখন অন্ধকার আকাশের নিচে পুকুরের ওপর একটা দরজা খুলে গিয়েও আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। হেঁটমুণ্ড এক শহর, সে শহরের নিজস্ব আকাশ আর চাঁদ, মুহূর্তের জন্য দেখা গিয়েছিল পাল্লার ফাঁক দিয়ে। সনৎ সে কথা জানল না। তার পিঠ পুকুরের দিকে ফেরানো ছিল। সে বাড়ির দিকে হাঁটছিল।
বোর্ডিং অ্যানাউন্সড হলে, বিনবিন করে যাত্রীরা ডিপার্চার গেটের সামনে জমা হচ্ছিল, ঘুমচোখে লাইনে দাঁড়িয়ে হাই তুলছিল, চাপা গলায় কথা বলছিল মোবাইল আঁকড়ে; এয়ারপোর্টে রাতের আলোয় সবাই একরকম – শুকনো আর ধূসর খুব; পা টেনে টেনে যেন মানুষের ছায়ারা ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের সমস্ত গোপন কথা এই শহরে গচ্ছিত রেখে উড়ে যাবে অন্য কোথাও। শিকল পরা শহর তার ডানা ঝাপটায়; সেইসব গল্প লুকিয়ে রেখে দেয় দুই ডানার আড়ালে। আর কেউ তা খুঁজে পায় না কোনোদিন।
(শেষ)
২০১৯ এর বর্ষা এবং শরৎকালীন তিনটি বাস্তব ঘটনা এই আখ্যানের বীজ; যদিও সমস্ত চরিত্র কাল্পনিক। লেখা প্রকাশ, ছয় ঋতুর ছবি এবং সর্বতোভাবে কারিগরি সহায়তার জন্য গুরুচণ্ডা৯, ঈপ্সিতা, সুনন্দ, সায়ন কে অশেষ ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা। সকল পাঠককে নমস্কার।
সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য | 43.25.***.*** | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫:১৫504148
Abhyu | 47.39.***.*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:৩৯504164