Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২০ বার পঠিত
( ৩ )
আমহার্স্ট স্ট্রীট চোরবাগান লেনে সন্ধে নেমে এসেছে। প্রাচীন বাড়ির দোতলার পাথুরে বারান্দার পাথুরে কার্নিশ। বারান্দার সামনেই একটা সপ্তপর্ণী গাছ। অন্ধকারে একা একা দাঁড়িয়ে আছে। রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের আলো পড়েছে গাছের পাতায়। আমহার্স্ট স্ট্রীটে গাড়ির জ্যাম লেগে গেল হঠাৎ। সম্বুদ্ধ সিংহরায় দোতলার ঘরে বসে জানলা দিয়ে রাস্তার জ্যামের দিকে তাকিয়ে ছিলেন আনমনা হয়ে। তার মনে ক্ষণে ক্ষণে ভেসে উঠছে উড়ন্ত শ্বেত বলাকার মতো বাতাসে ভেসে আসা এক পেসার । বলটা অফস্টাম্পের একফুট বাইরে থেকে হাওয়ায় ডানদিকে বাঁক খেয়ে আচমকা নীচু হয়ে জাত গোখরোর মতো ছোবল মারল ব্যাটসম্যানের বুটের ডগায় মিডল স্টাম্পের সামনে। তিনি কালকের মতো আবার বিড়বিড় করলেন — ‘সেই লাহোর টেস্টে ইমরানের মতো নাইনটিন সেভেনটি এইটে। কিন্তু ইমরানের হাতে তো ছিল লাল বল।আর এ তো বোলিং করল সাদা এস জি বলে ....’ সম্বুদ্ধবাবুর বিষয় সম্পত্তির অভাব নেই। তার নিজস্ব একটা ব্যবসাও আছে। পাথরের ব্যবসা।পাথরের ব্যবসা মানে, টাইলস, মোজাইক এইসব আর কি। আর জি কর রোডের কাছে খালপারে অফিস এবং গোডাউন। তিনি কালে ভদ্রে সেখানে হাজির হন। তার কারবার দেখাশোনা করেন তার একান্ত বিশ্বস্ত ম্যানেজার কাম অ্যাকাউন্ট্যান্ট কাম বাজার সরকার কাম সর্বকর্মে সাহায্যকারি পরিমল কাঞ্জিলাল। পরিমলবাবুর বয়স হল প্রায় ষাট বছর। সেই ইমরান খানের আমল থেকে তিনি এই সিংহরায় পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আছেন । সম্বুদ্ধবাবু সারাক্ষণ ক্রিকেটে ডুবে থাকেন। তার নিশ্বাসে প্রশ্বাসে ক্রিকেটের নানা আকার প্রকার জড়িয়ে থাকে সর্বদা। পরিমলবাবু ঢের ঢের ক্রিকেট ভক্ত দেখেছেন । তিনি নিজেও একজন ক্রিকেট অনুরাগী। কিন্তু সম্বুদ্ধর মতো পাগল তিনি একটিও দেখেননি। সম্বুদ্ধবাবুর তিন ছেলেমেয়ে আছে । তারা কলকাতাতেই থাকে। বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। তার স্ত্রীর ক্রিকেট নিয়ে কোন উৎসাহ নেই। এটা খায় না মাথায় মাখে সেটাই তিনি জানেন না। এছাড়া এ বাড়িতে তার এক বোন থাকে । নানা কারণে বহুকাল আগে বিবাহবিচ্ছিন্না। পঁয়তাল্লিশ বছর বয়স তার বোন মীনাক্ষির।তার এক মেয়ে আছে। সে শৈশবেই মায়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে এসে উঠেছিল। তার বয়স এখন উনিশ। বেথুন কলেজে কম্পিউটার সায়েন্সে অনার্স পড়ে।সেকেন্ড ইয়ার চলছে। যে কোন কাজে দাদার সিদ্ধান্তই তার সিদ্ধান্ত ।
সকাল সাড়ে নটা বাজে। পরিমল কাঞ্জিলাল চালতাবাগানে খুঁজে খুঁজে ফর্টিওয়ান সি বাই ওয়ান ঠিকানাটা বার করলেন। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ঠিকানাটা সংগ্রহ করতে হয়েছে। ছোট দোতলা বাড়ি। এ এলাকার সব বাড়িই অনেক পুরনো। তাছাড়া সংস্কারে অনেকদিন হাত পড়েনি বলে অারো পুরনো লাগছে। পরিমলবাবু কলিংবেলের সুইচে চাপ দিলেন কিন্তু ভিতরে বোধহয় কোন ঘন্টা বাজল না। এটা নিশ্চয়ই বর্তমানে অকেজো হয়ে আছে । তিনি দরজায় কড়া ধরে নাড়া দিলেন। ভিতর থেকে মহিলা কন্ঠে আওয়াজ এল — ‘কে .. এ ..’ পরিমলবাবু বললেন ‘ এই ... আমি ... মানে দয়া করে একটু শুনবেন ? ‘ দরজা খুলে সায়ন্তী দেখল ঘিয়ে রঙের প্যান্ট, আকাশি রঙের বুশশার্ট পরা এক ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছে। — ‘ কাকে চান ? ‘ — ‘ মৈনাক... মানে, এটা কি মৈনাক ঘোষালের বাড়ি ? ওই যে ক্রিকেট খেলে .... ‘ — ‘ হ্যাঁ .... আপনি কোথা থেকে আসছেন ? ম্যাচ আছে নাকি ? কবে ? ‘ সায়ন্তী চটপট কথা সেরে ফেলতে চায়। — ‘ না ... ঠিক ম্যাচ নেই .... তবে ম্যাচ মেকিং বলতে পারেন ... অামি অবিশ্যি ঠিক জানি না ....’ পরিমলবাবু অমায়িক ভঙ্গীতে বলেন। — ‘ মানে ? ‘ সায়ন্তী দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকে। — ‘ হ্যাঁ ... একটু সময় পেলে বলা যেত । আমি চোরবাগানের সম্বুদ্ধ সিংহরায়ের কাছ থেকে আসছি।মানে , একটু কথা ছিল...’ এ এলাকায় সম্বুদ্ধবাবু একজন পরিচিত এবং সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব। প্রতিপত্তিশালীও বটে। সায়ন্তীর চোখে বিস্ময় ও সম্ভ্রমের চিহ্ন ফুটে ওঠে। তাড়াতাড়ি বলে, ‘ আসুন আসুন ভেতরে আসুন..... ‘
পরিমলবাবু ঘরে গিয়ে বসলেন।সায়ন্তী বলল, ‘ বসুন বাবাকে ডেকে দিচ্ছি।’ পরেশ ঘোষাল লুঙ্গির ওপর একটা শার্ট গলিয়ে ঘরে এলেন। সায়ন্তী কৌতূহলভরে উৎকর্ণ হয়ে ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে রইল।
— ‘ নমস্কার ‘ পরিমলবাবু পরেশ ঘোষালকে দেখে উঠে দাঁড়ালেন।পরেশবাবুও একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে প্রতি নমস্কার করলেন। — ‘ আজ্ঞে .... আমি সম্বুদ্ধ সিংহরায়ের কাছ থেকে আসছি .... ওই যে চোরবাগানের পার্কটার পাশের গলিতে .... ওনার ক্রিকেট ক্লাব টাইট্যানিক ....’ — ‘ হ্যাঁ হ্যাঁ .... বুঝতে পেরেছি । চিনি চিনি ..... ‘ পরেশবাবু শশব্যস্ত হয়ে ওঠেন।’ তা ... ওই ম্যাচ ট্যাচ আছে তাই তো .... তবে একটা কথা কি জানেন, আমার ছেলে নিজের ক্লাব ছাড়া খেলতে চায় না। সে যাক, ও একটু বেরিয়েছে। ওদের টিমের একজনের মাকে নিয়ে হাসপাতালে গেছে .... ফিরতে দেরি হবে মনে হয়।’ পরেশবাবু জানান । ‘ব্যাপারটা যদি আমাকে বলা যায় ..... ‘ — ‘ হ্যাঁ হ্যাঁ স্বচ্ছন্দে। মৈনাকবাবুকে বলবেন কাল সন্ধের দিকে যদি একবার সম্বুদ্ধবাবুর সঙ্গে দেখা করতে পারে। এটা একটা অনুরোধ, আর কিছু না। এতে মনে হয় ওর লাভই হবে। দেখবেন যদি রাজি করাতে পারেন। আমার সঙ্গে তো দেখা হল না ..... অবশ্য আমি পরেও আসতে পারি .... ‘ — ‘ না না সে কি কথা .... নিশ্চই যাবে.... আমি বলব’খন ... কিচ্ছু ভাববেন না’ পরেশবাবু ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। তার চোখ কোন এক শুভযোগের সম্ভাবনায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সেটা ক্রিকেট থেকে হলেই বা ক্ষতি কি।
পরিমলবাবু পুনরায় নমস্কার বিনিময় করে ওখান থেকে বিদায় নেন চা পানের প্রস্তাব সবিনয়ে মুলতুবি রেখে । দরজার বাইরে এসে একবার ঘুরে দাঁড়ালেন। — ‘ ওই মেয়েটি বুঝি আপনার মেয়ে ?’ পরিমলবাবু হাসিমুখে জিজ্ঞাসা করেন। — ‘ আজ্ঞে হ্যাঁ । কেন বলুন তো ‘ — ‘ না... এমনি জিজ্ঞেস করলাম। খুবই সুলক্ষণযুক্তা মনে হল ..... আচ্ছা আসি এখন ।’ পরেশবাবু তার গমনপথের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন কিছুক্ষণ।
পরদিন সন্ধের দিকে কৌতূহলবশত: মৈনাক চোর বাগানের সিংহরায়দের বাড়িতে গিয়ে হাজির হল। দরজা খুলে দিয়ে একজন তাকে বাইরের ঘরে বসাল। ফ্যানটা চালিয়ে দিয়ে সে ভিতরে ঢুকে গেল। দোতলা থেকে বাড়ির লোকেদের কথাবার্তা বলার আওয়াজ আসছে।একতলাটা কেমন নি:ঝুম । মৈনাক প্রায় দশ মিনিট বসে রইল। সম্বুদ্ধবাবু সম্ভবত কোন ফোন কলে আটকে আছেন। সন্ধেবেলায় নিরালা গলি। যদিও পাশেই রামমোহন সরণি যান চলাচলে সশব্দ। মৈনাক একটা সোফায় বসে দরজা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল। পরের ফ্রেন্ডলি আছে তালতলা মাঠে। তালতলা স্পোর্টিং-এর সঙ্গে। শক্ত দল। দীপশিখাদি আবার নেট ফেলবে পরশুদিন দেশবন্ধু পার্কে। পরের খেলায় সে কি আবার ওরকম বোলিং নামাতে পারবে। এক্ষুণি কিছু টাকা রোজগার করা শুরু করা দরকার।দিদির বিয়ে যে কি করে হবে সে চিন্তা ঘুরে ফিরে আসে মাথায়। ভাইটারও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এই অবস্থায় যদি বাবার কিছু হয়ে যায় তাহলে সে কি করবে, কিভাবে জীবন চালাবে ভেবে পায় না। দীপশিখাদি একদিন অনেক কষ্টের কথা বলছিল— ‘ কষ্ট কি শুধু তোর একার ? আমার মা যখন আমাকে ছেড়ে চলে গেল সেই ছোট্টবেলায় সেইসব দিনে একটা শিশুর যন্ত্রণা, অসহায়তা, বুকের ভিতর চেপে রাখা কান্না তুই চিন্তাও করতে পারবি না। আমারও কি বাবাকে নিয়ে কম চিন্তা ? শুধু টাকা থাকলেই কি হয়.... আমার জীবনে এই ইন্দো এরিয়ান ছাড়া আর কিই বা আছে ! তোর মতো একটা প্লেয়ার পেয়ে গেলাম .... আ’য়্যাম রিয়েলি ফরচুনেট এনাফ..... তুই কিন্তু আমাকে বিট্রে করিস না। ইন্দো এরিয়ান মরে গেলে আমিও আর বাঁচব না ..... ‘ তারপর একটা গভীর গোপন কথা বলে ফেলল — ‘ আমার জীবনে তো এখনও তেমন কেউ এল না যাকে আঁকড়ে বাঁচতে পারি ....’ দীপশিখা যখন বলে অনর্গল বলে যায়। যতই বলুক, মৈনাকের তার দীপশিখাদির বেদনাগুলো ঠি ক বাস্তবসম্মত মনে হয় না। কেমন যেন বেদনাবিলাস না কি বলে সেরকম মনে হয়। কোন বাস্তব ভিত্তি নেই যেন। কেমন যেন হাওয়ার মতো ভাসা ভাসা , এক মায়ের ব্যাপারটা বাদ দিয়ে। কিন্তু তার নিজের সামনে যে ঘোলাটে আঁধার। তার ওপর একটা চোট লেগে গেলেই তো সোনায় সোহাগা । কি বিপুল অনিশ্চয়তা ...... । মৈনাক রাস্তার দিকে তাকিয়ে বসে থাকে।
একটা মেয়ের গলার আওয়াজে চিন্তাটা ভেঙে গেল। ‘ শুনছেন ..... মামা আপনাকে ওপরে যেতে বলছেন ‘ মৈনাক মুখ ঘোরালো । তার বুকের রক্ত ইনসুয়িং ইয়র্কারের মতো তার হৃদপিন্ডে ছোবল মারল। নিঝুম নিরালা ঘরে সিঁড়ির ল্যান্ডিং-এ একটা হলুদ হাউসকোট পরে একটা স্বপ্নের মতো দাঁড়িয়ে আছে ঋতাভরী।
এর তিন মাস পরের কথা। বিবেকানন্দ রোড ধরে গিরিশ পার্কের দিকে হাঁটছিল মৈনাক আর ঋতাভরী। যতদিন না বিয়ে হচ্ছে ততদিন নিজের ভাগ্নীর সঙ্গে মৈনাকের মেলামেশার অনুমোদন দিয়েছেন সম্বুদ্ধ সিংহরায় ( কারণ বিয়ের প্রস্তাবটা ছিল তারই ) কিন্তু বেশিদূরে যাওয়া যাবে না। ঘোরাফেরা এই এলাকার চৌহদ্দির মধ্যে হওয়া চাই। সুখের ব্যাপার মৈনাকের বাবা পরেশ ঘোষালেরও এতে অমত নেই। আর সম্বুদ্ধবাবু তার ম্যানেজারের কাছ থেকে জেনেছেন যে পরেশবাবুর মেয়েটি নাকি খুব ‘সুলক্ষণযুক্তা’ । সে ব্যাপারেও তিনি খুব শীঘ্র আসবেন পরেশবাবুর সঙ্গে কথাবার্তা বলতে । তার ছোট ছেলের বিয়েটা দিয়ে দিতে পারলে দায়মুক্ত হতে পারেন। তারপর শুধু টাইট্যানিক ছাড়া আর কোন কিছু নিয়ে ভাববেন না।
ঋতাভরী বলল, ‘ তুমি তো কোনদিন দীপশিখাদির ক্লাব ছাড়বে না। তাহলে অ্যাজ আ ক্রিকেটার তোমার ফিউচারটা কি হবে ?’ — ‘ দেখ .... স্যার তো বললেন যদি খেলা ধরে রাখতে পারি রনজি খেলা কোন ব্যাপার নয়।পারফর্ম করতে পারলে আমি একদিন ইন্ডিয়াও খেলতে পারি।ক্লাবটা কোন ব্যাপার নয়।’ ঋতাভরীর চোখে খুশি উপচে পড়ে। বলে, ‘ মামা আমাকে তালতলা মাঠে নিয়ে গিয়েছিল তোমার খেলা দেখাতে। আমি ক্রিকেটের কিছু না বুঝেও তোমার বোলিং দেখে তোমার প্রেমে পড়ে গেলাম।’ — ‘ তাই ? ‘ — ‘ হ্যাঁ মশাই তা...ই । আচ্ছা একটা জিনিস আমায় বুঝিয়ে দেবে ? আউট সুইং আর ইনসুয়িং -এর ডিফরেন্সটা কি ? ‘ মৈনাক হেসে বলে , ‘ ও: ... এ তো একদম সোজা ব্যাপার। ধর তুমি বল আর আমি ব্যাট। আমি যদি তোমায় চুমু খাই তাহলে হল আউটসুয়িং আর তুমি যদি আমায় চুমু খাও তাহলে সেটা ইনসুয়িং ‘ — ‘ ধ্যাৎ .... কি সব উল্টোপাল্টা বকছ ! আমি কি বোকা নাকি ? দেখাচ্ছি মজা ..... ‘
ঘোর বসন্ত লেগেছে হাওয়ায় হাওয়ায় । ( সমাপ্ত )পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
মতামত দিন
বিষয়বস্তু*:
aranya | 2600:1001:b02a:6ce9:610d:4f82:7b62:***:*** | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৩৩737432
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ :
পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন
গুরুচন্ডা৯ বার্তা
গুরুতে নতুন?
এত নামধাম দেখে গুলিয়ে যাচ্ছে? আসলে আপনি এতদিন ইংরিজিতে সামাজিক মাধ্যম দেখে এসেছেন। এবার টুক করে বাংলায়ও সড়গড় হয়ে নিন। কটা তো মাত্র নাম।
গুরুর বিভাগ সমূহ, যা মাথার উপরে অথবা বাঁদিকের ভোজনতালিকায় পাবেনঃ
হরিদাসের বুলবুলভাজা : গুরুর সম্পাদিত বিভাগ। টাটকা তাজা হাতেগরম প্রবন্ধ, লেখালিখি, সম্ভব ও অসম্ভব সকল বিষয় এবং বস্তু নিয়ে। এর ভিতরে আছে অনেক কিছু। তার মধ্যে কয়েকটি বিভাগ নিচে।
শনিবারের বারবেলা : চিত্ররূপ ও অক্ষরে বাঙ্ময় কিছু ধারাবাহিক, যাদের টানে আপনাকে চলে আসতে হবে গুরুর পাতায়, ঠিক শনিবারের বারবেলায়।
রবিবারের পড়াবই : পড়া বই নিয়ে কাটাছেঁড়া সমালোচনা, পাঠপ্রতিক্রিয়া, খবরাখবর, বই নিয়ে হইচই,বই আমরা পড়াবই।
বুধবারের সিরিয়াস৯ : নির্দিষ্ট বিষয় ধরে সাপ্তাহিক বিভাগ। ততটা সিরিয়াসও নয় বলে শেষে রয়ে গেছে ৯।
কূটকচা৯ : গুরু কিন্তু গম্ভীর নয়, তাই গুরুগম্ভীর বিষয়াশয় নিয়ে ইয়ার্কি ফুক্কুড়ি ভরা লেখাপত্তর নিয়েই যতরাজ্যের কূটকচা৯। কবে কখন বেরোয় তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।
হরিদাস পাল : চলতি কথায় যাদের বলে ব্লগার, আমরা বলি হরিদাস পাল। অসম্পাদিত ব্লগের লেখালিখি।
খেরোর খাতা : গুরুর সমস্ত ব্যবহারকারী, হরিদাস পাল দের নিজের দেয়াল। আঁকিবুঁকি, লেখালিখির জায়গা।
টইপত্তর : বিষয়ভিত্তিক আলোচনা। বাংলায় যাকে বলে মেসেজবোর্ড।
ভাটিয়া৯ : নিখাদ ভাট। নিষ্পাপ ও নিখাদ গলা ছাড়ার জায়গা। কথার পিঠে কথা চালাচালির জায়গা। সুতো খুঁজে পাওয়ার দায়িত্ব, যিনি যাচ্ছেন তাঁর। কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।
লগিন করে থাকলে ডানদিকের ভোজনতালিকায় যা পাবেনঃ
আমার গুরুঃ আপনার নিজস্ব গুরুর পাতা। কোথায় কী ঘটছে, কে কী লিখছে, তার মোটামুটি বিবরণ পেয়ে যাবেন এখানেই।
খাতা বা খেরোর খাতাঃ আপনার নিজস্ব খেরোর খাতা। আঁকিবুকি ও লেখালিখির জায়গা।
এটা-সেটাঃ এদিক সেদিক যা মন্তব্য করেছেন, সেসব গুরুতে হারিয়ে যায়না। সব পাবেন এই পাতায়।
গ্রাহকরাঃ আপনার গ্রাহক তালিকা। আপনি লিখলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকরা পাবেন নোটিফিকেশন।
নোটিঃ আপনার নোটিফিকেশন পাবার জায়গা। আপনাকে কেউ উল্লেখ করুক, আপনি যাদের গ্রাহক, তাঁরা কিছু লিখুন, বা উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটুক, জলদি পেয়ে যাবেন নোটিফিকেশন।
বুকমার্কঃ আপনার জমিয়ে রাখা লেখা। যা আপনি ফিরে এসে বারবার পড়বেন।
প্রিয় লেখকঃ আপনি যাদের গ্রাহক হয়েছেন, তাদের তালিকা।