এই লেখাটির কিছু অংশ মনে দাগ কাটলো
১. প্রিন্সেস - কখন আমরা বলতে পারি আর কোন কাজ বাকি নেই? উই হ্যাভ এমারজড? আমার তো মনে হয় আমরা সবাই সব সময় উন্নয়নের চেষ্টাই চালিয়ে যাই।
২. হীরেনবাবু - উন্নয়নের কতকগুলো স্তর থাকে তো, কেউ দশ পা এগিয়ে গেছে, কেউ সবে শুরু করেছে।
৩. প্রিন্সেস - "লেট আস অল কিপ অন এমারজিং!"
৪. হীরেনবাবুর ভাবনা - রাজ পরিবারের মানুষদের বুদ্ধিমত্তা সম্বন্ধে কখনো উচ্চ ধারণা ছিল না। প্রিন্সেস অ্যান সেটি বদলে দিলেন।
এই প্রসঙ্গে মনে পড়লো:
৮২ সালের শীতকালে দেওঘরে গেছি একমাসের সার্ভে ক্যাম্পে। এক গপ্পোবাজ স্যারের সাথে ফিল্ড ওয়ার্কের পর সন্ধ্যায় ক্যাম্পে ফিরে গল্প হচ্ছে। কোনো প্রসঙ্গে বলেছিলাম - অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থা - এগুলি মানুষের কিছু Basic Needs. এগুলি মোটামুটিভাবে যদি সরকার দান, খয়রাত করে ভিখারী না তৈরী করে, সম্মানজনক উপায়ে সংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে দেশবাসীর সরকারের প্রতি ক্ষোভ, বিদ্বেষ, অনাস্থা কম হয়। বাকিসব Aspirational Desire. যে যার যোগ্যতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হাসিল করবে। তার জন্য যতটা সম্ভব Level Playing field এর ইকোসিস্টেম থাকতে হবে। যদিও dividing line between need & desire may be invisible.
স্যার বললেন, তুমি কিছু Define করে নিজেই সেটা Defy করলে। মানুষের স্বভাবের ক্ষেত্রে এটাই বাস্তব সত্য - মাথায় ছাদ, পেটে ভাত না থাকলে যা কিছু Desire বলে মনে হয়, সেসব পেলে ঐ Desire গুলিও ক্রমশ Need বলে গণ্য হয়।
তাই প্রিন্সেস যখন বলেন "লেট আস অল কিপ অন এমারজিং!" - সেটা কেবল Supply side perspective নয় - Demand side perspective থেকেও সত্য, কারণ মানুষের aspirations keep changing.
তাই রিলায়েন্সের কর্পোরেট ফিলোসফি - Growth is life. যারা বলে যাচ্ছে Unsustainable Growth is CANCER - তাদের কথা শোনার কেউ নেই।