সে এক সময় ছিল ততদিনে ইংরেজি খানিকটা বুঝি। ক্রিকেটের সরাসরি ধারা বিবরণী শুনি শর্ট ওয়েভে ২৫ মিটার ব্যান্ডে। ইংল্যান্ডে খেলা শুরু আমাদের বিকেল সাড়ে তিনটেয় , শেষ হতে রাত সাড়ে এগারোটা : বি বি সি, অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন , পাকিস্তান রেডিও । জন আরলট , ব্রায়ান জনস্টন , অ্যালান ম্যাকগিলিভ্রে, ওমর কুরেশি ! আর আমাদের আনন্দ শীতলভাদ, বেরি সর্বাধিকারী ,আনন্দ রাও, ভি এম চক্রপাণি , নরোত্তম ও দেবরাজ পুরী। বিশ্ব ক্রিকেটের খবর রাখার উপায় বি বি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস – পনেরো মিনিটের স্পোর্টস রাউনডআপ - আমাদের বিকেল পাঁচটা পঁয়তাল্লিশে। ইংল্যান্ডে তখন দুপুর - সব খেলার লাঞ্চ স্কোর জানা যেতো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ নেই – ১৯৬২ সালের সফরের স্কোর পরের দিন সকালের খবরে ঘোষিত হতো – কলকাতা ক তে বাঙলা খবরে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান প্লেয়ারদের নাম শোনা যেত বিচিত্র উচ্চারণে , ১৯৭১ সালেও সেই একই ব্যাপার।
লাইভ টেলিকাস্ট আসার আগে দেশ ছেড়েছি ।
তারপর একদিন মে ২০০৭ লন্ডনের লয়েডস ও অন্যান্য ইনস্যুরেন্স বাজারের সঙ্গে আমার পরিচয় অনেকদিনের । ব্যাঙ্কিং ও বিমার একটা যোগসূত্র আছে – এ দুটি আসলে ঝুঁকি সামলানোর ব্যবসা । লন্ডন সিটির মিনোরিস এলাকা হলো ইনস্যুরেন্স কোম্পানির প্রাণকেন্দ্র - সকলের সেখানে অফিস থাকা আবশ্যিক । কান টানলে মাথা আসে আর বাণিজ্য করতে গেলে খদ্দেরের আপ্যায়ন! সেখান থেকে একদিন লাঞ্চের আমন্ত্রণ এলো – বিশেষ অতিথি সার গারফিল্ড সোবারস।
এও কি সম্ভব এই এক জীবনে ? প্রবাদের মুখোমুখি ?
শুনে ডেভিড বললে আমি যেতে পারি?
ডেভিড কেম্পটন দীর্ঘদিন কাজ করেছে আমার দপ্তরে। লীডস, ইয়র্কশায়ারের ছেলে। ক্রিকেট পাগল বললে কম বলা হয়, ক্রিকেট তার রক্তে । স্কুল পালিয়ে হেডিংলি মাঠে খেলা দেখেছে , কখনো বিনে পয়সায় ! তার দিদিমা তখন ইয়র্কশায়ার কাউনটি ক্রিকেট ক্লাবের টিকিট কাউনটারে বসেন ।বর্তমান ইংল্যান্ড ক্রিকেটার হ্যারি ব্রুকসের বাবা ও কাকার সঙ্গে স্কুল ক্রিকেট খেলেছে ডেভিড । তাকে সঙ্গে নিয়ে গেলাম।
আমাদের হোতা সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন, মানে আমাদের নাম গুলো বললেন। অবাক হয়ে চেয়ে আছি – ইনি গারফিল্ড সোবারস! ইডেনের মাঠে দেখা সেই মানুষটি বয়েস এখন একাত্তর , দেখে কে বলবে ? দীর্ঘ ঋজু চেহারা , হাসিমুখ। কত কথা বলতে ইচ্ছে করছে - ইডেনে আপনার এগারোটা চার দেখেছি, ৯৮ রানে সাত উইকেট ! কেবল আমি কেন , ডেভিড কেম্পটনও উদগ্রীব – সে হেডিংলিতে ১৯৬৩ সালে সোবার্স ১০২ এবং ১৯৬৬ সালে চব্বিশটি বাউনডারি সহ ১৭৪ রান ও আট উইকেট নিতে দেখেছে । কিন্তু এ সব বলা যায় না, তিনি বড়জোর মৃদু হাস্য করবেন , মনোলগ হবে মাত্র।
গোল টেবিলে আমরা ন জন বসেছি তাঁকে ঘিরে। পরের আড়াই ঘণ্টা যা চলল তাকে ইংরেজিতে বলে ব্যানটার বাঙলায় আড্ডা! তাঁর কথাই বেশি শুনতে চাই , তিনি আমাদের গল্পদাদু ! আমাদের কাজ হলো তাঁকে খেইটা ধরিয়ে দেওয়া !
সবাই জানি নটিংহামশায়ারের হয়ে গ্ল্যামোরগানের বিরুদ্ধে শনিবার , ৩১শে আগস্ট ১৯৬৮ সালে ম্যালকম ন্যাশের এক ওভারে ছটি ছয় মারা তাঁর অন্যতম প্রিয় সাবজেকট । কীথ জানতে চাইল সেই ওভারে তাঁর শ্রেষ্ঠ স্মৃতি কি ?
ওভারের পঞ্চম বলটি উড়ন্ত অবস্থায় বাউনডারি পার না হয়ে ডিপ মিড অফে রজার ডেভিসের হস্তগত হয়েছে দেখে সোবার্স প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা শুরু করেছেন । রজার ডেভিস ভারসাম্য হারিয়ে বাউনডারি লাইনের অন্য দিকে পড়ে গেছেন সেটি তিনি লক্ষ্য করেন নি। আম্পায়ার ওভার বাউনডারির নির্দেশ দিয়ে সোবার্সকে তাঁর ধ্বংসকর্ম অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানান । রেকর্ডের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছেন – ষষ্ঠ বলটি বাউনডারি পার করার জন্য তিনি তখন বদ্ধ পরিকর - ন্যাশ ততক্ষণে প্রায় বিধ্বস্ত । বলটি ছিল লোপ্পা ( ইনভাইটিং )। সে বল মাঠ ছাড়িয়ে পাশের কিং এডওয়ার্ডস রোডে পার্ক করা একটি অস্টিন মিনি গাড়িকে আঘাত করে । সতেরো বছরের রিচারড লুইস নামের এক বালক বলটি কুড়িয়ে পায় এবং পরের দিন সোবারসের হাতে তুলে দেয় । খুশি হয়ে সোবার্স তখন আরেকটি বলে সই করে ছেলেটিকে দেন – পরের চল্লিশ বছর রিচারড সে বল সযত্নে রক্ষা করে চলেছেন। ছক্কা প্রহারিত বলটি নটিংহাম ক্রিকেট ক্লাবে ছিল- সম্প্রতি সে বল ও সোবার্সের ব্যাট নিলামে বিক্রি হয়েছে ।
কিং এডওয়ার্ডস রোডে পার্ক করা মিনি অস্টিন
৩১শে আগস্ট ১৯৬৮
তাঁর মতে ম্যালকম ন্যাশ তাঁর সেই প্রচণ্ড পিটুনিতে দুঃখ পেয়েছিলেন কিন্তু তিনি এমন কিছু খারাপ বোলারও ছিলেন না । সান্ত্বনা দিতে গিয়ে তিনি ম্যালকমকে বলেন, মনে রেখো যখনই এক ওভারে ছটা ছয়ের প্রসঙ্গ উঠবে , আমার আর তোমার নাম একই সুরে উচ্চারিত হবে । ম্যালকম এখন ক্যালিফোর্নিয়াতে থাকেন , তাঁদের বন্ধুত্ব অটুট। প্রতি বছর নিয়ম করে আগস্ট মাসে সোবারসের সঙ্গে এক রাউনড গলফ খেলেন ! অষ্টিন মিনি গাড়ির সেই মালিক নাকি বলের চোট কখনো সারান নি , গাড়ি বিক্রিও করেন নি । গ্যারাজে রেখে দিয়েছেন । লোককে সগর্বে গাড়িটি দেখিয়ে বলেন এই ক্ষত সোবার্সের ছ নম্বর ছয়ের আঘাতজনিত !
স্কোর শীট
জেফ্রি বয়কটের সঙ্গে তাঁর অম্ল মধুর সম্পর্কের কাহিনি মোটামুটি জানা । সোবারসের ক্যাভালিয়ার স্টাইলের ব্যাটিঙের সামনে বয়কট নিতান্ত বোরিং ! নটিংহামশায়ারের সঙ্গে ইয়র্কশায়ারের খেলা । প্রথম ইনিংসে বয়কট প্লাম্ব এল বি ডব্লিউ। সোবারসকে বললেন “ তুমি দেখি বার বার আমাকে এল বি ডব্লিউ আউট করো , আমি কোন ভুলটা করি “ ? সোবারস বললেন “ টেকনিক, জেফ্রি টেকনিক । তুমি ফ্রন্ট ফুট বাড়িয়ে রাখো - তুমি জানো আমি ইনসুইঙ্গার ছাড়ি সময়মত পা সরাতে পারো না, তাই ।“ দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বল , আউট সুইঙ্গার , অপ্রস্তুত বয়কট খোঁচা দিলেন। । উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ। জেফ্রি যখন তাঁর পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন , সোবারস বললেন, “ তোমাকে আমি অবশ্য অন্য বলটার কথা বলি নি !”
নীল নামের একজন ব্যাংকার ছিলেন টেবিলে। বললেন “ আচ্ছা ঐ এক বনাম এগারো জনের গল্পটা কি ? “ উচ্চারণেই স্পষ্ট তিনি অস্ট্রেলিয়ান। সোবারস জানতে চাইলেন, বাড়ি কোথায় ? মেলবোর্ন জেনে সোবার্স বললেন “ তাহলে এটা আপনার পছন্দ হবে না ! “ সোবার্স তখন সাউথ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেন – দীর্ঘদিন বাদে সে দল শেফিল্ড শিল্ড জিতেছে ১৯৬৪ সালে । শেষ ম্যাচে সোবার্স করেছেন ১২৪ এবং নিয়েছেন নটি উইকেট । বিল লরি ভিক্টোরিয়ার ক্যাপ্টেন । প্রতিপক্ষের শিল্ড জয়ের সম্মানে অনুষ্ঠিত এক সান্ধ্যভোজে বিল বলেন “ সাউথ অস্ট্রেলিয়া জিতেছে বটে তবে ( সোবারস কে দেখিয়ে) তারা আসলে ওয়ান ম্যান টিম” ।লরিকে থামিয়ে ভিক্টোরিয়ার এক খেলোয়াড়ের স্ত্রী রোজমেরি উঠে দাঁড়িয়ে বলেন , “ আপনার মতে একজন মিস্টার সোবারস এগারজন ভিক্টোরিয়ান খেলোয়াড়ের সমান ?“ সোবারস বললেন, ‘ বিল বেচারা আমার প্রশংসা করতে গিয়ে নিজেই বিপদে পড়েছিল ‘!
আমার একটা জিজ্ঞাস্য ছিল : “গল্প শুনেছি ক্লাইভ লয়েড ব্রিজটাউন মাঠের সাইট স্ক্রিনের পাশে একটা গাছে চড়ে আপনার দু দুটো সেঞ্চুরি দেখেছেন “। সোবারস হেসে ফেললেন , “ টিকিটের পয়সা বাঁচাতে চাইছিল সেটা বুঝি কিন্তু বাকিটা বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই। আপনি সুপার ক্যাটের ( ক্লাইভ লয়েডের মুখ চলতি নাম ) চেহারা দেখেছেন ? ঐ সাড়ে ছ ফুট লম্বা বিশাল মানুষ ( বিগ ম্যান ) একটা গাছে চড়তে পারে ? যদিও সে চড়ে , গাছ ভেঙ্গে পড়বে না? তাও দুবার ? ”
ফিল্ডিং ? নিজের নয় , বললেন আরেকজনের কথা ।
অস্ট্রেলিয়ার রান ২৩২ , আর এক রান করলেই তারা জিতে যায়। ওয়েসলি হলের বল; ওয়ালি গ্রাউট সেটি পাঠিয়েছেন বাউনডারির ঠিকানায় । সেই বল তুলে নিয়ে ফিল্ডার সোজা স্টাম্প ভাঙলেন- ‘ ফ্রম দেয়ার হি
কুড সি ওনলি ওয়ান স্টাম্প। অ্যান্ড হি হিট ইট । দ্যাট ওয়াজ জো, জো সলোমন , দি গ্রেটেস্ট এভার “।
ম্যাচ ড্র : ইতিহাসের প্রথম টাই টেস্ট ।
(ব্রিসবেন , ১৪ ডিসেম্বর ১৯৬০ )
ট্রুম্যানের প্রসঙ্গ উঠলো । দুজনের বন্ধুত্ব দীর্ঘ দিনের । ট্রুম্যান লিখেছেন সোবার্স সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অল রাউনডার । ঠোঁটকাটা ট্রুম্যান কাউকে খাতির করে কখনো কথা বলেন না। সোবার্স তাঁর সঙ্গে একবার ট্যাক্সিতে উঠেছেন – একই ট্রেনে যাবেন দুজনে – সোবারস নটিংহাম, ট্রুম্যান লীডস । ট্রুম্যান চালককে আদেশ করলেন, ওয়াটারলু চলো। ড্রাইভার জানতে চাইল , “ওয়াটারলু ট্রেন স্টেশন ‘ ? ট্রুম্যান খেঁকিয়ে বললেন, “ তোমাকে লড়াইয়ের মাঠে যেতে বলছি বলে মনে হচ্ছে না কি?”
কেম্পটন বললে “ মেলবোর্নে আপনার বাউনসারে আউট হয়ে ফেরার সময়ে ডেনিস লিলি বলেন নি বল করার সময় আপনাকে দেখে নেবেন?”
সোবারস হাসলেন “ উলটো । আমি লিলিকে দেখে নিয়েছিলাম “ ( বিখ্যাত ইনিংস -২৫৪ , তাঁর বয়েস তখন ৩৫)
অস্ট্রেলিয়ান নীল আবার সরব – “ ইয়ান চ্যাপেল লিখেছেন তাঁকে আপনি তিনটে উপদেশ দিয়েছিলেন – এক, মিডল না নিয়ে লেগ স্টামপ গার্ড নিতে এবং দুই , ক্রিজের একটু বাইরে স্টানস নিতে। সে দুটোই চ্যাপেলের খুব কাজে লেগেছে সারা জীবন কিন্তু আপনার তৃতীয় উপদেশটা তিনি মনে করতে পারেন নি “ সোবারস বললেন, “ ভুলে যাবারই কথা , বিয়ারের এফেক্ট । আমার তৃতীয় উপদেশ ছিল- বিয়ারের নেশা নেমে গেলে প্রথম দুটো উপদেশ মনে রেখো “।
কতো নষ্টামি দুষ্টুমির কাহিনি। টেস্ট ম্যাচ চলছে । ব্রিজটাউনে রাত তিনটের সময় পাব বন্ধ হয়ে গেলে একজন বললে নতুন একটা জয়েন্ট খুলেছে , সারা রাত খোলা থাকে। ছটার সময় শুতে গেছেন। নটায় মাঠে হাজির !
সঙ্গে ডেভিড কেম্পটন
একান্তে কথা বলার সুযোগ নেই । তবু কফি পানের জন্য টেবিল ছেড়ে যখন আমরা লাঞ্চ রুমের কিনারায় ঘোরা ঘুরি করছি সোবার্স কি ভাগ্যে জিজ্ঞেস করলেন বাড়ি কোথায় । ভারত এবং কলকাতা শুনে বললেন এ দেশকে তিনি মনে রাখেন- তাঁর প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ ১৯৫২ সালে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে, প্রথম যার বলের মুখোমুখি হন তিনি পলি উমরিগর- তাঁর বয়েস ১৬ । ইডেনে অগ্নিকাণ্ডের কথা আবছা মনে আছে ( অঞ্জু মহেন্দ্রুর নাম উল্লেখ করার দুর্মতি আমার হয় নি ) । আমার কাছে তাঁর সবচেয়ে স্মরণীয় ইনিংসটি জানাবার এই সুযোগ -
১৯৬৬ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট , পঞ্চম দিন । দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং বিপর্যয় - ৯৫/৫ , মাত্র নয় রানে এগিয়ে ,পরাজয় আসন্ন ! সোবার্স সারাদিন ব্যাট করে সেই ম্যাচ বাঁচালেন –ডেভিড হলফোরডের (১০৫) সঙ্গে ২৭৪ রানের অপরাজিত জুটি ( সোবার্স ১৬৩ নট আউট) । সোবার্স হেসে বললেন , ‘ মোস্ট প্লিজিং ! ইউ নো ডেভ ইজ মাই কাজিন ? হি ওয়াজ প্লেয়িং ওনলি ইন হিজ সেকেন্ড টেস্ট ! ‘
তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি ঘরটাকে আলোকিত করে রেখেছিল – তিনি যে সারা পৃথিবীর ক্রিকেট মাঠে আলো জ্বালাতেই এসেছেন।
পু: মঙ্গলবার, তিরিশে মার্চ , ১৯৫৪ । সাবিনা পার্ক, কিংস্টন, জামাইকা । সকাল নটা ।
প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলবেন সোবারস।
পরপর পাঁচ টেস্ট ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটের আরেক প্রবাদ পুরুষ এভারটন উইকস জিজ্ঞেস করলেন , ‘আর ইউ নার্ভাস, সন ‘ ? সতেরো বছরের গারফিল্ড সোবারস মাঠের দিকে চেয়ে বললেন, ‘ইয়েস, সার। বাট ওনলি হোয়েন আই সিট হিয়ার ইন দি প্যাভিলিয়ন। নট হোয়েন আই অ্যাম আউট দেয়ার ‘।
(স্মৃতিচারণা – এভারটন উইকস)
গারফিল্ড সেন্ট অবার্ন সোবারস
জন্ম ২৮ জুলাই ১৯৩৬ ওয়ালকট এভিনিউ , বে ল্যান্ড, ব্রিজটাউন, বারবাডোজ ( পঞ্চম সন্তান,পাঁচ বছরে পিতৃহীন)
প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ বনাম ভারতীয় দল ৩১শে জানুয়ারি , ১৯৫২ ব্রিজটাউন ( সাত রান, সাতটি উইকেট )
প্রথম টেস্ট ম্যাচ বনাম ইংল্যান্ড ৩০ মার্চ ১৯৫৪, সাবিনা পার্ক, কিংস্টন, জামাইকা
ব্যাটিং ক্রম : ৯ নম্বর – ১৪ নট আউট , ২৬
টেস্ট ম্যাচের প্রথম ওভারে প্রথম উইকেট : ট্রেভর বেইলি
মোট ৭৫ রানে ৪ উইকেট ( বেইলি, ওয়ারডল, লক, লেকার)
প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি বনাম পাকিস্তান ৩৬৫ অপরাজিত, সাবিনা পার্ক, কিংস্টন, জামাইকা ২৬ ফেব্রুয়ারী , ১৯৫৮
শেষ টেস্ট সেঞ্চুরি বনাম ইংল্যান্ড ১৫০ নট আউট লর্ডস, ইংল্যান্ড ২৩শে আগস্ট , ১৯৭৩
টেস্ট ম্যাচ ৯৩
ব্যাটিংরান ৮০৩২
সেঞ্চুরি/অর্ধ শতক ২৬/৩০
গড় ৫৭.৭৮ (সর্ব কালের টেবিলে একাদশ )
বোলিং উইকেট ২৩৫
ইকনমি রেট ২ .২ প্রতি ওভার
ফিল্ডিংক্যাচ ১০৯
রানি এলিজাবেথ ব্রিজটাউন এসে ক্রিকেটের প্রতি সোবার্সের আজীবন সেবার সম্মান জানিয়ে বললেন রাইজ সার গারফিল্ড ! ফেব্রুয়ারী ১৯৭৫