রামানন্দ সাগরের রামকে মনে আছে? সেই যে দাড়ি গোঁফ কামানো সুদর্শন অরুণ গোভিল? ইদানীং রাস্তাঘাটে অনেক গাড়ির পিছনে স্টিকার হিসাবে যে গেরুয়া রঙের ‘অ্যাংরি রাম’ দেখা যায় সেই চেহারাটা মনে করুন। তিনিও শ্মশ্রুগুম্ফহীন যুবক। কখনো অবাঙালি দোকানদারের কাছ থেকে অক্ষয় তৃতীয়ায় মিষ্টির প্যাকেটের সাথে রামসীতার ছবিওলা ক্যালেন্ডার পেয়েছেন? সেই রামও বলিউড, টলিউডের নিরানব্বই শতাংশ নায়কের মত ক্লীন শেভন। চোখ বুজে বলা যায়, অনিল কাপুর বা চিরঞ্জিত কোনদিন রামের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য ডাক পেতেন না। বস্তুত ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ভি মধুসূদন রাওয়ের হিন্দি ‘লব কুশ’ ছবিতে রামের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কামানো মুখের জিতেন্দ্র। ছোটবেলায় পড়া ‘ছবিতে রামায়ণ’-এর রামেরও গোঁফ দাড়ি কিচ্ছু নেই। এ ভারতে কত শত রামায়ণ আর সেসবে কত শত রাম। হিসাব রাখা দুঃসাধ্য। তবু অন্য চেহারার রাম খুঁজে পাওয়া শক্ত। কিম্বা শক্ত মনে হয়, কারণ ঐ যে কবি বলেছেন, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া একটি ধানের শিষের উপরে একটি শিশিরবিন্দুই আমাদের দেখা হয়ে ওঠে না সারাজীবন।
ভোটের মুখে গুরুর গুঁতোয় রামের খোঁজে বেরিয়েছি। ঝোলায়, থুড়ি মাথায়, রয়েছে রামের স্টিরিওটাইপ। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, আমার দৌড় রামরাজাতলা পর্যন্ত। যে যত কম জানে, তার দুনিয়া তত ছোট, আর সে ভাবে সে তত বেশি জানে। হুগলী জেলার ছেলে, হাওড়া জেলার রামরাজাতলা চিনব না তা-ও কি হয়? পকেটে হাত ঢুকিয়ে শিস দিতে দিতে দিব্যি পৌঁছে গেলাম। কিন্তু স্টেশনে নেমে টোটোয় চেপে রামমন্দিরে গিয়ে মোবাইল ফোনে খচখচ করে গোটা কতক ছবি তুলে চলে এলে গুরুর কাছে চিঁড়ে ভিজবে না। তাই সবজান্তা ভাব ত্যাগ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞেস করতেই হল এখানকার রামের ইতিহাস, ভূগোল কোথায় পাব? জানা গেল, জানতে হলে যেতে হবে অযোধ্যার কাছে। পিঠটান দেব ভাবছিলাম। মুখে মাস্ক থাকা সত্ত্বেও বাণী নিকেতন লাইব্রেরির সহৃদয় সমুদা কী করে যে মতলব বুঝে ফেললেন! সবই বোধহয় রামের ইচ্ছে। বললেন অযোধ্যা মানে অযোধ্যারাম চৌধুরী, যিনি এই পুজো চালু করেছিলেন। সমুদার কাছে কি টাইম মেশিন আছে? পলাশীর যুদ্ধের আশেপাশে যে মানুষ এই পুজো চালু করেছিলেন, তাঁর কাছে আমাকে পাঠাবেন কী করে? বললেন “চলে যান ভাইদার কাছে। উনি রামমন্দিরের একজন ট্রাস্টি। যা জানতে চান সব পেয়ে যাবেন ওঁর কাছে।” অযোধ্যারামের কাছে পৌঁছবার এ কী রকম রাস্তা তা তখন বুঝিনি, বুঝলাম রামরাজাতলার রামমন্দিরের অছি পরিষদের সদস্য তপন চৌধুরী ওরফে ভাইদার বাড়ির বৈঠকখানায় বসে। দেওয়ালে টাঙানো বংশলতিকা বলছে যাঁর কাছে এসেছি, তিনি অযোধ্যারাম চৌধুরীর বংশের অষ্টম পুরুষ। রামের খোঁজে এসেছি শুনে তপনবাবু বের করে দিলেন ‘অযোধ্যারামের রাম’ --- তাঁরই লেখা রামরাজাতলার রামপুজোর ইতিবৃত্ত। পুস্তিকাটি হাতে নিয়েই ভেঙে গেল আমার মনে শিকড় বাকড় গজিয়ে যাওয়া রামের প্রথম স্টিরিওটাইপ। মলাটের ছবিতে দেখি রামের পুরুষ্টু গোঁফ!
সাহেবরা বলেছে “Man made god in his own image” । তপনবাবুদেরও বিশ্বাস সুদূর অতীতের কোন শিল্পী রাজকীয় ভঙ্গিমা আনার জন্য রামের মুখে গোঁফ এঁকে দিয়েছিলেন। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। আসলে অন্যত্র রামের যে মূর্তি দেখতে পাওয়া যায় তা বনবাসী রামের, কিন্তু অযোধ্যারাম চৌধুরী চেয়েছিলেন রাজবেশী রামের পুজো করতে। কারণ স্বপ্নে তিনি রাম সীতাকে যুগলে রাজবেশেই দেখেছিলেন। প্রত্যেক বছর রামনবমীতে শুরু হয়ে শ্রাবণ মাসের শেষ রবিবার পর্যন্ত চলা এই পুজোতে অবশ্য কেবল রামসীতার পুজো হয় না। অযোধ্যারাম বংশপরম্পরায় শিবভক্ত ছিলেন, তাই রামসীতার পাশেই থাকেন শিব। শিবের সামনে পবনপুত্র হনুমান। এছাড়াও ব্রহ্মা, জাম্বুবান, বিশ্বামিত্র, বশিষ্ঠ, লক্ষ্মণ, ভরত, শত্রুঘ্ন আর বিভীষণ। রামচন্দ্রের রাজসভার নর্তকীদের মূর্তি মিলিয়ে মোট ছাব্বিশটা মূর্তি এই বেদীতে থাকে। আমার মত অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করীদের মনে আরেকটা স্টিরিওটাইপ আছে। আমাদের ঘোরতর ধারণা বাঙালি হিন্দুরা মাতৃপূজাই করে বরাবর, রামের পুজো নেহাত উত্তর ভারতীয় হাঙ্গামা। এই পুজোর আড়াইশো বছরের ইতিহাস অবশ্য সেরকম সাক্ষ্য দেয় না। তবে হ্যাঁ, মাতৃপূজা বাদ দিয়ে রামরাজাতলায় রামের পুজো করবার জো নেই। অযোধ্যারাম যখন এই পুজো চালু করেন, তখন এতদঞ্চলে ধুমধাম করে বারোয়ারি সরস্বতীপুজো হত। রামের পুজো নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে বিবাদ হয়, সে বিবাদ মেটাতে অযোধ্যারাম অভিনব উপায় অবলম্বন করেন। বেদীতে রামচন্দ্রের মূর্তির উপরে স্থাপন করলেন দেবী সরস্বতীকে। প্রতি বছর রামের মূর্তি তৈরির কাঠামোর বাঁশ পুজো চালু হল সরস্বতীপুজোর দিন। সে বাঁশ স্থানীয় লোকেদের বাড়িতেই কাটতে হবে।
তপনবাবু বলছিলেন “আড়াইশো বছরে আর কখনো যে এই পুজো নিয়ে কোন বিবাদ হয়নি এমন নয়, কিন্তু রামের আশীর্বাদে সব মিটে যায় শেষ অব্দি। কিছু কিছু ব্যাপার যেমন আড়াইশো বছর ধরে আমরা একইরকম রেখেছি (যেমন প্রথম পুরোহিত হলধর ন্যায়রত্নের বংশেরই কাউকে দিয়ে পুজো করানো), তেমনি সময়ের সাথে সাথে প্রয়োজনীয় বদলও হয়েছে। পুজোর জায়গা তো বদলেছে অনেক আগেই। এখন যেখানে মন্দির, সেখানে তো অযোধ্যারাম শুরু করেননি। তারপর পূর্ণাঙ্গ মন্দিরও গড়তে হয়েছে সময়ের প্রয়োজনে। বছরে চার মাসে পুজো হয়, বাকি আট মাস ঠাকুরের আসনের জায়গাটুকু বাজারের মধ্যে বজায় রাখতে আমরা হিমশিম। তাই এই মন্দির।”
আমার এক মাস্টারমশাই বলতেন একশোটা শকুন মরলে একটা সাংবাদিক জন্মায়। তা মাস্টারমশাইয়ের কথার মান রাখতে জিজ্ঞেস করে ফেললাম “আচ্ছা, এই পুজোতে অন্য ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণ কেমন?” তপনবাবু চওড়া হেসে বললেন “আসুন না এবার পুজোর সময়, নিজের চোখেই দেখতে পাবেন। এই পুজো, এই মেলা এখানকার এক নম্বর উৎসব তো। হিন্দু, মুসলমান সকলের উৎসব। সে কি আজ থেকে? ছোটবেলা থেকেই তো তাই দেখে আসছি।”
তপনবাবুদের বংশের ইতিহাসেও অবশ্য মুসলমান শাসকদের নাম জড়িয়ে আছে। অযোধ্যারাম চৌধুরী নবাব আলিবর্দি খাঁর উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী ছিলেন। হাওড়ার সাঁকরাইলে এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন তাঁর পূর্বপুরুষ চন্দ্রশেখর সান্যাল। কিন্তু মোগল সম্রাটের দেওয়া ‘চতুর্ধারীন’ উপাধি থেকে এই বংশের পদবি হয়ে যায় চৌধুরী। সেই বংশের বাড়ির পুজো আজ বারোয়ারি পুজো। রামরাজাতলার রাম সর্বগ। তাঁর নামে মোবাইল ফোনের দোকান চলে, আবার উৎকৃষ্ট ছাগমাংসের দোকানও চলে।
স্টিরিওটাইপের দফা রফা হওয়ার আরো কিছু বাকি ছিল। সেটুকু সম্পূর্ণ হল এ তল্লাটের পুরনো বাসিন্দা অধ্যাপক মকবুল ইসলামের সাথে কথা বলে। তিনি জানালেন “বাংলার বৈষ্ণব সংস্কৃতিতে যখন রাধাকৃষ্ণের পুজো খুব বেশি প্রচার পায়নি, সেইসময় রামই আরাধ্য ছিলেন। সেই সময়কার রামের মন্দির এখানে আছে, মুর্শিদাবাদে আছে, আরো নানা জায়গায় আছে। ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের পরিবারও রামের ভক্ত ছিল, তাঁর বাবা রঘুপতির পুজো করতেন। প্রাক-চৈতন্য যুগের বৈষ্ণব ধর্ম ছিল রামকেন্দ্রিক। এই ধারা আসাম এবং মণিপুরেও খুব শক্তিশালী ছিল, যে কারণে একাধিক রামের মন্দির আছে।” রামরাজাতলার পুজোকে মকবুলবাবু ভারতের এই বিস্তীর্ণ এলাকার রাম সংস্কৃতির অঙ্গ বলেই মনে করেন।
“আমাদের এখানকার রাম ঠাকুরের ভাসান নবদ্বীপের রাসের সাথে তুলনীয়। এটা গোটা বাংলার উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক ঘটনাবলীর অন্যতম। এখানে রামের সাথেই ভাসান হয় পার্শ্ববর্তী পুজো ব্যাতাই চণ্ডী আর সৌম্য চণ্ডীর, যাঁরা শক্তির প্রতীক। সুতরাং রাম রয়েছেন বিষ্ণু তত্ত্ব আর শক্তি তত্ত্বের মধ্যমণি হয়ে। অতএব রাম ঠাকুর আপামর বাংলার মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন।”
ডিজে বক্স থেকে বা রাজনৈতিক দলের লোকেদের মুখে “জয় শ্রীরাম” ধ্বনির আক্রমণাত্মক উচ্চারণ মকবুলবাবুর প্রত্যয়ে কোন ছাপ ফেলতে পারেনি। তিনি ওসব এক ফুঁ-তে উড়িয়ে দিয়ে বললেন “রাজনৈতিক স্বার্থে কথাটার একটা রাজনৈতিক অর্থ তৈরি করা হয়েছে, যার ফলে ঐ ধ্বনি শুনলে মানুষের রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হয়। কিন্তু আমরা রাম ঠাকুরকে চিনি ছোটবেলা থেকে। তখন এসব রাজনৈতিক দলের এখানে কোন প্রভাবই ছিল না। আমরা তো তখন থেকেই রাম ঠাকুরকে ভালবাসি। সুতরাং এসব স্লোগানে আমাদের কিছু এসে যায় না।”
মকবুলবাবুর পরিষ্কার কথা, “জয় সিয়ারাম” বলছেন না “জয় শ্রীরাম” বলছেন তাতে কিছু এসে যায় না, রাম রামই থাকেন। কোন উদ্দেশ্যে বলছেন সেটাই আসল। “রামের মত একজন মহান, আদর্শ পুরুষের নামের রাজনীতিকরণের ফলে যা হয়েছে তা হল অনেকে রামকে প্রত্যাখ্যান করছেন। এটা কিন্তু ক্ষতিকর। কারণ রামকে প্রত্যাখ্যান করা মানে মূলত বিষ্ণুতত্ত্বকে প্রত্যাখ্যান করা। অর্থাৎ রাজনৈতিক ‘জয় শ্রীরাম’ রামের থেকে মানুষকে মুখ ফেরাতে বাধ্য করছে। এটা ভারতীয় সংস্কৃতির ক্ষতি। এটা করে কোন পার্টির জয়জয়কার হতে পারে হয়ত, কিন্তু রাধাকৃষ্ণ, রামসীতা যে আমাদের সকলের সংস্কৃতি --- সেই বোধটাই হারিয়ে যেতে বসেছে।”
অবশ্য অযোধ্যারামের প্রতিষ্ঠিত রামরাজার প্রতি অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের আকর্ষণ তাতে কমবার নয় বলেই মকবুলবাবুর ধারণা। দিন বদলেছে অনেক, আচ্ছে বা বুরে যা-ই বলুন, কিন্তু যে কোন সম্প্রদায়ের লোক রামরাজাতলার রামচরণ শেঠ রোড দিয়ে যাওয়ার সময় একবার রাম ঠাকুরকে দেখতে চাইবেই।
আপনিও ইচ্ছা করল দেখে আসতে পারেন, তবে রামের গোঁফ নেই কেন? মন্দিরে মোটে চারটে ঠাকুর কেন? প্রতীকের লেখার সাথে মিলছে না কেন? এসব প্রশ্ন করে গুরুতে পোস্ট করবেন না যেন। ২০১৯-এ তৈরি মার্বেলে মোড়া মন্দিরে যে বিগ্রহ দেখতে পাবেন সে বিগ্রহ রাজস্থান থেকে করিয়ে আনা। ফি বছর রামনবমী থেকে যে রামরাজার পুজো হয়, তাঁকে দেখতে হলে তখন যেতে হবে।
ঐ যে বললাম, এ রাম কোন স্টিরিওটাইপ মানেন না।
রামরাজাতলা নামটিও কি রাজা রামের এই পুজোর ইতিহাসের সংগে জড়িত?
হ্যাঁ একদমই। সেখান থেকেই নামটা হয়েছে
খুব ভালো লাগল, বাংলার রাম সংস্কৃতিকে আলোকে আনার জন্য প্রবন্দ্ধকারকে ধন্যবাদ।
জয় শ্রীরাম
জয় শ্রীরাম
জয় শ্রীরাম
জয় শ্রীরাম
জয় শ্রীরাম
জয় শ্রীরাম
প্রাসঙ্গিক?? টুকে দিলাম!!!
"অষ্টাদশ শতাব্দীতে সামন্তরাজগণ ও জমিদারগণের আমলে বাঙলায় নির্মিত হয়েছিল বাঙলার নিজস্ব স্থাপত্য রীতিতে (চালা, রত্ন, শিখর, দালান ইত্যাদি) বহু মন্দির।এই সকল মন্দিরের বৈশিষ্ট্য ছিল মন্দিরগুলির গায়ে পোড়ামাটির অলঙ্করণ। পোড়ামাটি অলঙ্করণের বিষয়বস্তু ছিল রামায়ণ, মহাভারত ও পৌরাণিক কাহিনী ......."। রামায়ণের কাহিনীর মধ্য চিত্রিত হয়েছে হরধনু-ভঙ্গ, রামসীতার বনগমন, সূর্পনখার নাসিকাচ্ছেদন, মারীচবধ, রাবণ-্জটায়ুর যুদ্ধ, জটায়ুবধ, অশোকবনে সীতা প্রভৃতি ......"
[আঠারো শতকের বাঙলা ও বাঙালীঃ অতুল সুর]
এটাও থাক। কৃত্তিবাসের সময়ে বা তার আগে হিন্দুরাজার সভায় বাঙ্গালা ভাষা বিশেষ অনাদৃত ছিল। (সংস্কৃত থেকে) ভাষানুবাদকে খুব একটা সম্মানের সাথে দেখা হত না। দীনেশ চন্দ্র সেনের নিজের ভাষায়:
"আমরা যতগুলি প্রাচীন ভাগবত ও মহাভারতের অনুবাদ পাইয়াছি, তাহার অধিকাংশই মুসলমান সম্রাট কি নবাবগণের আজ্ঞায় বিরচিত হইয়াছিল"।
[বঙ্গ সাহিত্য পরিচয়ঃ দীনেশ চন্দ্র সেন; প্রথম খন্ড]
এই অনুসন্ধান জারি থাক।
ভাল লাগল। একটা প্রশ্ন মনে এল। এই জায়গার নাম রামরাজাতলা হওয়ার আগে কী ছিল?
বৈদিক দেবতাদের কারোরই কি শুধু গোঁফ আছে? (দেবসেনাপতি কার্তিক ছাড়া) তাঁরা হয় ক্লিন শেভন নয় গুম্ফশশ্রু সমন্বিত।