এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ভোটবাক্স  বিধানসভা-২০২১  ইলেকশন

  • খেলা শেষের পরে

    সুমন কল্যাণ মৌলিক
    ভোটবাক্স | বিধানসভা-২০২১ | ০২ মে ২০২১ | ৩৬৬৩ বার পঠিত
  • অবশেষে খেলা সমাপ্ত হল। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এই নজরকাড়া সাফল্য, বিজেপির শোচনীয় পরাজয় বা বামেদের অস্তিত্বহীহ হয়ে যাওয়ার কারণ বা আগামী দিনে রাজ্য তথা দেশের রাজনীতিতে তার তাৎপর্য ঠিক কি হতে চলেছে তা এত তাড়াতাড়ি বোঝা সম্ভব না হলেও প্রাথমিক ভাবে কতকগুলি বিষয় উঠে এসেছে যা নিয়ে এখনই আলোচনা সম্ভব। প্রথমত এই নির্বাচন এক চরম মেরুকরণের রাজনীতি দেখেছে, কিন্তু তা মূলগত ভাবে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি নয়। একটি মেরুতে ছিল হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তানের রাজনীতিকে কেন্দ্রে রেখে 'সুনার বাংলা' তৈরির প্রকল্প - যার উপাদান হিসাবে ছিল ডাবল ইঞ্জিনের সুবিধা, কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস, ধর্মীয় বিদ্বেষ ও এক অবাঙালি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। প্রচার যত এগিয়েছে ততই এই প্রচারের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে হিন্দি ভাষার দাপট। এই প্রচারের লক্ষ্য তাই হয়ে উঠেছে বাংলার সমন্বয়বাদী, সহনশীল ও উদারনৈতিক সংস্কৃতি। অ্যান্টিরোমিও স্কোয়াড, ব্রাহ্মণ্যবাদী চিন্তাধারার প্রসার, লাভ জেহাদ, ঘুসপেটিয়াদের উড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান সেই প্রকল্পের নমুনা মাত্র। এই প্রকল্পকে যাঁরা সমর্থন করেছেন তাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে ছিল এই ঘৃণা ও বিভেদকামী রাজনীতি থেকে বাংলাকে বাঁচানোর প্রকল্প। এই ভাবনার পক্ষে যাঁরা, তাঁরা নানান সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও (দুর্নীতি, গণতান্ত্রিক পরিসরের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকা, বিভিন্ন স্তরে দলীয় সন্ত্রাস) তৃণমূলকেই আরএসএস - বিজেপির ফ্যাসিবাদী রাজনীতিকে রুখে দেওয়ার একমাত্র বিকল্প হিসাবে মেনে নিয়েছেন। সংখ্যাতত্ত্বের হিসাব অনুযায়ী সম্ভবত তৃণমূল ৪৮% ভোট পেয়েছে। এটা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব বলে মনে হলেও তা সম্ভব হয়েছে কারণ হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে বিজেপির বিভেদকামী রাজনীতির বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ অবস্থান নিয়েছেন। আর মেরুকরণের এই আবহাওয়ায় তৃতীয় পক্ষের আর কোন অস্তিত্ব সম্ভব থাকে না। বামদলগুলির পরিণতি থেকে যা স্পষ্ট।

    এখন প্রশ্ন উঠতে পারে তৃণমূলের এই ঐতিহাসিক সাফল্যের কারণ কী? এক্ষেত্রে একাধিক বিষয় আছে। প্রথম বিষয়টি হল অবশ্যই মহিলা ভোট। মোদি যত বেশি মমতাকে ব্যাক্তিগত আক্রমণ করেছেন তত মহিলারা এককাট্টা হয়েছেন। এক্ষেত্রে একটা কথা মনে রাখতে হবে মমতা যে ধরনের রাজনীতির চ্যাম্পিয়ন সেখানে তাঁর অনুদান নির্ভর প্রকল্পগুলির মূল উপভোক্তা কিন্তু মহিলারা, আরো নির্দিষ্ট করে বললে গ্রাম ও শহরের গরিব মহিলারা। দ্বিতীয়ত মুসলিম ভোট। এই ভোটের সিংহভাগ আগে থেকেই তৃণমূলের দখলে ছিল। কিন্তু এই নির্বাচনে মুসলিমরা অন্য কোন ঝুঁকি নেন নি। তাঁরা মনে করেছেন বিজেপির বিষাক্ত রাজনীতিকে আটকাতে এবং নিজেদের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করতে তৃণমূলকেই ভোট দিতে হবে। এটা যে কতটা প্রভাব ফেলেছে তার প্রমাণ মুর্শিদাবাদ ও মালদহে কংগ্রেসের ছুটি হয়ে যাওয়া। এই স্রোতের সামনে ভাইজান আব্বাস সিদ্দিকীও নেহাৎই খড়কুটোর মত উড়ে গেছেন। তৃতীয়ত তৃণমূল সরকারের পপুলিস্ট কর্মসূচি। এ ব্যাপারে মধ্যবিত্ত নাগরিক সমাজ যতই উন্নাসিক হোক না কেন, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সমব্যাথী, সবুজ সাথী প্রকল্পগুলি গরিব মানুষের পছন্দের। যে কোন নির্বাচনে গরিব মানুষের ভোট নির্ণায়ক হয়। এবারও যাবতীয় দুর্নীতি সত্ত্বেও গরিব মানুষ মনে করেছেন তৃণমূল থাকলে তাঁর প্রাপ্তিযোগ হবে। কারণ বিজেপি দীর্ঘ দিন ধরেই বড়লোকদের পার্টি বলে পরিচিত। চতুর্থত এই নির্বাচনে নন-পার্টি আর এস এস-বিজেপি বিরোধী মঞ্চগুলোর এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য নো ভোট টু বিজেপি প্রচার, দিল্লির কৃষক নেতাদের এ রাজ্যে ধারাবাহিক বিজেপি বিরোধী প্রচার, একুশের ডাক এবং আরো নানান গনতান্ত্রিক উদ্যোগ। এই প্রচারগুলি বিজেপির রাজনীতির অন্তর্বস্তু, তার প্রকৃত অ্যাজেন্ডা, অন্য রাজ্যগুলিতে তার কুশাসনের ছবিকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছে। এছাড়া মোদি সরকারের নাগরিকত্ব সম্পর্কে এনআরসি ও সিএএ-এর বিরুদ্ধে এরাজ্যে যে গণ সংগঠনগুলি গড়ে উঠেছিল তারাও বিজেপিকে উন্মোচিত করতে সক্রিয় হয়েছিল। পঞ্চমত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল ২০১৯ সালের নির্বাচনে যে সমস্ত জায়গায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল তার একটা বড়ো অংশে মেরামতি করতে সমর্থ হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিম মেদিনীপুর ( ছত্রধর মাহাতো ফ্যাক্টর), দুই দিনাজপুর ও বাঁকুড়া এবং অবশ্যই হুগলি। নির্বাচনে দল তার থেকে লাভবান হয়েছে।

    এবারের নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়টাকে শুধু মাত্র একশোটার কম আসন পাওয়ার মধ্যে সীমায়িত নয়। এই নির্বাচনকে জয় করতে বিজেপি যা যা করেছে তা আসলে নিজেই একটা নাটক। আমরা দেখেছি নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ গত একমাস দিল্লি- কলকাতা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে নিজেদের পাড়ায় নেতায় পরিণত করেছেন। রাজ্যের গলি গলিতে বিজেপির তথাকথিত সর্বভারতীয় নেতারা চক্কর কেটেছেন। সঙ্গে ছিল পার্টিজান নির্বাচন কমিশন। তা সত্ত্বে এই ফলাফল। এর কারণ প্রথমত গোটা প্রচারটা রূপান্তরিত হয়েছিল এক অবাঙালি, বাঙালি জাতীয়তা বিরোধী, দিল্লির বদবাবুদের আগ্রাসন যা সাধারণ মানুষ প্রত্যাখান করেছে। দ্বিতীয়ত নন্দীগ্রাম ছাড়া আর কোথাও হিন্দু - মুসলিম মেরুকরণের সাফল্য আসেনি। বরং এনআরসি-সিএএ নিয়ে তাদের দ্বিচারিতামূলক অবস্থান মতুয়া ও রাজবংশী ভোটের উপর বিজেপির একাধিপত্য যা ২০১৯ সালে অর্জিত হয়েছিল তা অনেকাংশে নষ্ট করেছে। তৃতীয়ত তাদের প্রচারের অন্যতম উপাদান দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ মানুষের কাছে খেলো প্রতিপন্ন হয়েছে। তৃণমুলের যে মুখগুলো লাগামহীন দুর্নীতির কারণে বিগত সময়ে জনগনের কাছে ঘৃণার বস্তু হয়ে উঠেছিল বিজেপি তাদের সাদরে বরণ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে। এই নির্লজ্জ সুবিধাবাদ দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দলকে ভোটারদের কাছে হাস্যস্পদ করে তোলে। চতুর্থত সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির একের পর এক জনবিরোধী পদক্ষেপ যেমন পেট্রোল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, সুদের হার হ্রাস, কৃষি আইন, লেবার কোড, পাইকারি হারে রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পদ বিক্রি, ব্যাঙ্ক ও এল আইসি বেসরকারিকরণের কর্মসূচি বিজেপির জনপ্রিয়তা মধ্যবিত্তদের মধ্যে অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছে যার প্রভাব পোস্টাল ব্যালট গণনা ও শহরাঞ্চলে তৃণমূলের সাফল্যে প্রমাণিত। পঞ্চমত এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন মোটের উপর দাঁড়িয়ে আছে সিপিএমের তলার দিকের কর্মী সমর্থক, তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতার দল ও পুরানো আর এস এস কর্মীর দল।এই কম্বিনেশনটা এতটাই দুর্বল যে যতই মিডিয়া হাইপ ওঠানো হোক না কেন রাজ্যের বহু জায়গায় বিজেপির সাংগঠনিক অস্তিত্ব নেই। সেখানে তারা হয়ে উঠেছে এজেন্সি নির্ভর, ফলে সংগঠন মুখ থুবড়ে পড়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নব্য ও পুরানো বিজেপির বিরোধ।

    শেষ পর্বে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে সিপিএমের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত মোর্চার হাওয়া হয়ে যাওয়ার কথা। মনে পড়ে না আর কখনো এরকম হয়েছে কি না যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় একজনও বামপন্থী ও কংগ্রেস বিধায়ক থাকবেন না। এর এক ও একমাত্র কারণ সিপিএমের আত্মঘাতী নির্বোধ রাজনীতি। তত্ত্বগতভাবে গোড়ায় গলদ হল বিজেপি ও তৃণমূলকে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ বিবেচনা করা। এঁদের যদি সামান্য বোধশক্তি থাকতো তবে তারা বুঝতেন তৃণমূল একটি ব্যক্তিতান্ত্রিক, পরিবারকেন্দ্রিক, দুর্নীতিযুক্ত দল। এই ধরনের বহু দলের সঙ্গে (লালু প্রসাদের আর জে ডি,করুণানিধির ডিএমকে, মুলায়মের সমাজবাদী পার্টি, মায়াবতীর বিএসপি) সিপিএমের মত সংসদসর্বস্ব, কমিউনিস্ট নামধারী সোশাল ডেমোক্র্যাট দল নির্বাচনী জোট করেছে। কিন্ত বিজেপি একটা আলাদা দল যারা ঘোষিত ভাবে সংবিধানকে বদলে এক হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে চায়। তাই বিজেপি ও তৃণমূলকে এক বিবেচনা করে আসলে তারা বিজেপিকে মদত দিয়েছে। এই অন্ধ নীতির ফলে যারা বিজেপির ফ্যাসিবাদী চরিত্রকে উন্মোচিত করতে চেয়েছে তাদের তৃণমূলের চামচা বলে দেগে দিয়েছে। সেই জঘন্য কুৎসা থেকে নো ভোট টু বিজেপির কর্মী হোক বা লিবারেশন সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বা দিল্লির কৃষক নেতৃত্ব -- কেউ রক্ষা পান নি। এর ফলে ক্যাডারকুল বিশ্বাস করতে শুরু করেছে ২১ এ রাম, ২৬ এ বামের মত নির্বোধ প্রলাপকে। এই প্রেক্ষাপটে আইএস এফের সঙ্গে জোট প্রতীয়মান হয়েছে তৃণমূলকে দুর্বল করে বিজেপিকে শক্তিশালী করার নীল নকশা হিসাবে। মুসলমানরা একদিকে এই পরিকল্পনাকে সজোরে প্রত্যাখান করেছে, অন্যদিকে বামপন্থীদের মধ্যে বিজেপির বিপদ সম্পর্কে সচেতন একটা অংশ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। আর একটা কথা হল দীর্ঘ সময় ধরে দেখা যাচ্ছে জমির রাজনীতি ছেড়ে সিপিএমের একটা অংশ পুরোপুরি সোশাল মিডিয়া নির্ভর হয়ে উঠেছে। এই শেকড়হীন রাজনীতির ধারাবাহিক অনুশীলনের ফলে দলটা হয়ে উঠেছে আন্দোলনহীন। মনে রাখতে হবে ভারত বনধ, নবান্ন ঘেরাও আসলে কর্মসূচি পালন, আন্দোলনের মাধ্যমে জয় ছিনিয়ে আনা আসলে অন্য ব্যাপার যা সংগঠনের বিস্তার ঘটায়, কর্মী সমর্থকদের ভরসা জোগায়। কিন্তু নেতৃত্বের অযোগ্যতার কারণে তা কখনো হয়ে ওঠে নি। তাই সোশাল মিডিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হলেও রাজনীতির মাটিতে এই বামপন্থীদের হাতে রইলো সেই পেনসিল।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ভোটবাক্স | ০২ মে ২০২১ | ৩৬৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Aa | 2409:4060:2199:56f8:8dc0:11d6:a51a:***:*** | ০৩ মে ২০২১ ০১:২৪105375
  • সিপিআইএম যে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট এ ব্যাপারে প্রমাণ দিতে পারবেন? সমাজতন্ত্র এর টার্গেট কি পুরোপুরি ত্যাগ করেছে?

  • Ranjan Roy | ০৩ মে ২০২১ ০১:৫৭105376
  • পার্টি প্রোগ্রামের ছাপা অক্ষর ছাড়া সমাজতন্ত্রের দেখা কোথায় পাওয়া যাচ্ছে? সিপিএমের ইদানীং কালের একটা প্রোগ্রাম দেখান তো যেটা সমাজতন্ত্রের জন্য? আর হিটলারের দলটির নামও ছিল  জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল। মুলাায়মের   নীতীশ ও কুমারস্্বামী কেউই সমাজতন্ত্র ছাড়েেনি, কিন্ত কাজে?

  • পিনাকী | ০৩ মে ২০২১ ০২:৩১105377
  • সোশাল ডেমোক্র্যাট হওয়া খারাপ কিছু নয়। নিষ্ঠাসহ সোশাল ডেমোক্রেটিক রাজনীতি প্র্যাকটিস করলেও অসুবিধে হত না। কিন্তু এই বিজেমূলের মত উদ্ভট তত্ত্বের সাথে বা আব্বাসের মত ভুঁইফোঁড়ের সাথে জোট করার সাথে সোশাল ডেমোক্রেসিরও কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলো নির্ভেজাল অপরচুনিজম। স্পেডকে স্পেড বলা বেটার। 

  • guru | 103.2.***.*** | ০৩ মে ২০২১ ০৯:০৫105381
  • বাংলা ও বাঙালির একটি বিশাল জয় | কিন্তু আমাদের কোনোভাবেই ভুলে গেলে চলবেনা যে বিজেপি সংঘ ভীষণ শক্তিশালী এবং এদের একটা long-টার্ম  আদর্শ আছে হিন্দু হিন্দি হিন্দুস্থান যেটি এখন ভারতের আর কোনো রাজনৈতিক দলেরই নেই | এই দলটির আর্থিক , সামাজিক ও সংঘটনিক শক্তি প্রবল তাই তারা এখন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সম্পূর্ণ ভাবে প্রবল বিরোধী শক্তি | অপরদিকে বাঙালির তার নিজের ভাষা ও সমাজ সম্পর্কে কোনো রকম গৌরব ও আত্মমর্যাদা বোধ আর নেই বিগত কয়েক দশকের রাজনীতির পরে | বাংলায় এখন অবাঙালি ব্যবসায়ীরাই রাজত্ব করছে এবং তারাই প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি | যতদিন অবাঙালি ব্যবসায়ীরাই কলকাতাকে নিয়ন্ত্রণ করবে ততদিন বিজেপি নামক বিপদটি বাঙালির ঘরে চেপে বসে থাকবেই |

  • Aa | 2409:4060:114:9a47:634e:30fc:a8d0:***:*** | ০৩ মে ২০২১ ০৯:১০105382
  • রঞ্জন বাবু,


    তাহলে প্রকৃত কমিউনিস্ট / সমাজতন্ত্রী দল আপনি কাকে বলবেন?  Cpiml লিবারেশন কি প্রকৃত কমিউনিস্ট? এরা সবাই তো এখন গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই ক্ষমতা দখল করে সমাজতন্ত্র আনতে চায় বলে জানতাম।  এই ব্যাপারে কোনো লেখা/ আলোচনার লিংক দিতে পারেন ? 


    পিনাকী বাবু,


    (1) সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নিজের নামে সোশ্যাল ডেমোক্রেসি করতেই পারে। নামে কমিউনিস্ট হয়ে সোশ্যাল ডেমোক্রেসি প্র্যাক্টিস করলে সেটা সমর্থকদের ঠকানো হয়। (2) সিপিআই ml এবং রেড স্টার বামফ্রন্ট এ আসতে চেয়েছিল, সিপিআইএম এদেরকে পাত্তাই দেয় নি। আপনার সাথে একমত যেন তেন ক্ষমতা দখল ই উদ্দেশ্য হয়ে গেছিল। Elitism দলটার রন্ধ্রে রন্ধ্রে। মানুষ সবই বোঝে।

  • রঞ্জন | 2405:201:4011:c04e:5caa:2309:cd39:***:*** | ০৩ মে ২০২১ ০৯:১৮105383
  • এর চেয়ে বড় বিপদ গাঁয়ে গঞ্জে গরীব ও দলিতদের মধ্যে মুসলমান কে বাঙালির প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে বিজেপির/ আর এস এসের প্রচার। এঁরা ইতিহাস ও হিন্দু ধর্মের একটি বিকৃত আচারসর্বস্ব একপেশে রূপকে একমাত্র আগমার্কা হিসেবে প্রচার করছে। 


    এর পাল্টা ন্যারেটিভ না দাঁড় করাতে পারলে শুধু বাঙালি পুঁজি নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। আসলে বিপদ কোলকাতা য় নয় গ্রামবাংলায়।

  • জয়ন্ত ভট্টাচার্য | 117.2.***.*** | ০৩ মে ২০২১ ০৯:৩৪105386
  • আমার ধারণা -


    পশ্চিমবঙ্গের ইতিবাচক ফলাফলের তাৎক্ষণিকতা অতিক্রম করে আরেকটি গভীরতর সত্য আছে। তার আগে বলা দরকার, পশ্চিমবাংলার নেত্রী একা হাতে নিজের দল তৈরি করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন, দলকে ক্ষমতায় এনেছেন। একে ইংরেজিতে বললে লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট - সে নন্দীগ্রামে লড়াই করাই হোক বা গতবছর কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় রাস্তায় নেমে মোকাবিলাতে থাকাই হোক।


    আজ আপাত invincible দক্ষিণপন্থার বিপরীতে আরেকটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক ক্ষেত্র বাংলার নির্বাচনী ফলাফলের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হচ্ছে। সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এখানেও লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট প্রশ্নটি আসবে।


    কিন্তু বাস্তব হল, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে একটি অতিরাষ্ট্রিক চরম দক্ষিণপন্থী দলকে রুখে দিয়েছে, প্রতিহত করেছে নেতা নির্ভর, অনুদান নির্ভর, জনতোষিনী নীতি নির্ভর আরেকটি দল। মানুষের মূলগত ক্ষমতায়নে এরা কেউই বিশ্বাস করেনা, বিশেষ করে বিজেপি।


    বামপন্থীদের শ্রমজীবী ক্যান্টিনের শ্রম, নিষ্ঠা এবং ঘাম ঝরানো উদ্যোগও মানুষের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নয়। মানুষের ক্ষমতায়নের চিন্তা এরা এখন আর করেনা। একেবারেই না। কারণ এখন চিন্তার ভুবন থেকে এ ধারণাটাই মুছে গেছে। 


    আরেকটি গোড়ার পার্থক্য রয়েছে বামদল বা তৃণমূলের সাথে বিজেপির। প্যারি কমিউন পরবর্তী সময় থেকে যদি মোটামুটিভাবে ধরে নিই, তাহলে গত ১৫০ বছর ধরে সংগঠনের যে পদ্ধতিটি অনুসরণ করা হয়েছে তাহল পার্টি সংগঠন গণসংগঠন গড়ে তুলবে। কমিউনিস্ট পার্টি সহ কংগ্রেস, তৃণমূল সবাই এ পন্থায় চলে। বিজেপির সংগঠন গড়া এর ঠিক বিপরীতে। একটি লোকচক্ষুর আড়ালে দৃঢ় শৃঙ্খলাবদ্ধ, থাকবন্দী, আগ্রাসী সংগঠন। সে পার্টি সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করবে। পার্টি যেখানে পৌঁছতে পারবেনা সেখানে এরা পৌঁছে যাবে। ত্রিপুরা, আসাম, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যের সাফল্য এভাবেই এসেছে। 


    এ পার্থক্য আজকের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূলের মাথায় রাখা দরকার। শূণ্যহস্ত বামপন্থীদেরও।


    এসবের সম্মিলিত ফলশ্রুতি, তৃতীয় পরিসর বলে কিছু থাকছেনা। "নো ভোট টু বিজেপি" এ পর্যায়ে সেরকম একটি পরিসরের সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। যেমন কৃষকদের আন্দোলন এই সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে।


    আগামীদিন বলবে ভার্চ্যুয়াল জগতের বাইরে গিয়ে রক্ত-ঘামের মাটিতে এটা কতটা বাস্তবায়িত করতে পারছি আমরা।


    এর উপরে বিকল্পধারার রাজনীতি ও পরিসর অনেকটাই নির্ভর করছে।

  • রঞ্জন | 2405:201:4011:c04e:5caa:2309:cd39:***:*** | ০৩ মে ২০২১ ০৯:৪৫105389
  • Aa


    ঠিক জায়গায় ঘা দিয়েছেন। 


    আমার ব্যক্তিগত  মতে  এরা কেউই ফান্ডামেন্টালিস্ট মাপদণ্ডে কমিউনিস্ট নয়। মাওবাদীরা তো অন্য গ্রহের লোক। দেখুন, দরকার নতুন করে ভাবার। মার্কসবাদের মূল তত্ত্বকে মাথায় রেখে আজকের বদলে যাওয়া পুঁজিবাদের প্রকৃতির বিশ্লেষণ করার।


    আজকে লাতিন আমেরিকায় ও ইউরোপের যেখানে যতটুকু বামপন্থা টিকে আছে তা আসলে নাম করে বা  না করে সোশ্যাল ডেমোক্রাসিই। পুরনো স্তালিনিস্ট দলগুলো আজ মিলিয়ে গেছে।


    সিপিএম শালকিয়া প্লেনাম থেকেই ঘোষণা করে ক্লাসপার্টির জায়গায় মাসপার্টি হয়ে গেছে।


    পিনাকী র সঙ্গে একমত হয়ে বলি সোশ্যাল ডেমোক্রাসি খারাপ কিছু নয়। উত্তর ইউরোপের ওয়েলফেয়ার স্টেটের মত ভারতে যদি ধনীদের উপর চড়াহারৈ কর চাপিয়ে সরকার যদি সবার জন্য খাদ্য স্বাস্থ্য শিক্ষার ও রোজগারের দায়িত্ব নেয়, লিঙ্গসাম্য ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের রক্ষা য় দায়বদ্ধ হয় তাহলেও জীবন অনেক সুন্দর হবে।


    সমাজতন্ত্রের দীর্ঘকালীন প্রকল্প এর পরে।

  • guru | 103.2.***.*** | ০৩ মে ২০২১ ১২:১১105393
  • @জয়ন্ত

    আপনি ঠিকই বলেছেন যে আরএসএস কে রুখে দিতে না পারলে বাঙালির পক্ষে আর কোনো আশাই নেই | কিন্তু আরএসএস কে কি করে রুখে দেওয়া যাবে ? 

  • Aa | 2409:4060:114:9a47:6558:a0d2:2abd:***:*** | ০৩ মে ২০২১ ১২:৩৩105394
  • গুরু,


    বামপন্থী আন্দোলন (রুটি রুজির লড়াই) একমাত্র পথ। জয় শ্রী রাম narrative এর বিরুদ্ধে সবার কাজের দাবি, কাজের সুরক্ষার দাবি, কৃষকের এমএসপি ইত্যাদি। এই পাল্টা narrative না থাকলে বিজেপি ভোটে হারতে পারে কিন্তু ওদের narrative জিতবে। তাই কেজরিওয়াল ভোটে জিতে ও অসহায়। ক্ষমতা কেড়ে নিলেও উনি আন্দোলন করতে পারছেন না। কারণ populist রাজনীতির করেন, উনি ক্লাস পলিটিকস করবেন না। একই ভাবে সিপিআইএম ও সরকারি বামদল গুলো ক্লাস পলিটিকস না করতে করতে বিজেপিকে রোখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তৃনমূল ক্ষমতায় আসা একটা relief. এবার এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বামপন্থীদের ফ্যাসিস্ট দের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

  • সঞ্জয় বসু | 2a0b:f4c2:2::***:*** | ০৩ মে ২০২১ ১৩:১৫105395
  • "বামপন্থী আন্দোলন (রুটি রুজির লড়াই) একমাত্র পথ। "

    এই "একমাত্র পথ" ব্যাপারটাই ফালতু।

    ভারতের দু-তিনটি রাজ্যে বামপন্থী সরকার আছে, বা, কয়েকটি রাজ্যে বামপন্থী ইউনিয়ন আছে, বাদ বাকী জায়গায় রুটিরুজির লড়াই হচ্ছে না? পৃথিবীর অনেক দেশেই তথাকথিত বামপন্থা নেই, সেখানে রুটিরুজি মাইনে-বাড়ানো নিয়ে দাবীদাওয়া লড়াই হচ্ছে না?

    যে কোনো দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন বা লড়াই - সেটি বামপন্থী হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। যে কোনো পতাকার নীচে হতে পারে, কোনো পতাকা ছাড়াই হতে পারে। রুটিরুজি লড়াই, বেসিক দাবীদাওয়ার লড়াই এর কোনো লেবেল থাকা বাধ্যতামূলক নয় ।

  • guru | 103.2.***.*** | ০৩ মে ২০২১ ১৪:৩৪105399
  • @Aa 


      আমার প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য ধন্যবাদ | কিন্তু শুধু রুটিরুজির লড়াই দিয়ে আরএসএস কে আটকানো যাবে বলে মনে হয়না | সত্যি কথা বলতে কি দেশভাগের পর থেকেই দিল্লীশ্বররা আমাদেরআর্থিকভাবে বঞ্চনা করে এসেছে আরএসএস এখন আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকেও শেষ করতে চায় | বামপন্থী আন্দোলন এতোদিন এইসব নিয়ে কিছুই বলেনি |RSS এর সংঘটন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে শুধু রুটিরুজির লড়াইয়ের কথা বলে তাকে হারানো যাবে বলে আমার মনে হয়না  | ইন্দোনেশিয়ার communist পার্টি একসময় বিশ্বের প্রথম ৫টি বৃহৎ কমিউনিস্ট সংঘটন এর মধ্যে ছিল কিন্তু সুহার্তো একে খতম করতে পেরেছিলেন নরেন্দ্র মোদী যেইভাবে গুজরাতে ২ ০ ০২সালে করেছিলেন  এবং ওপার বাংলায় হাসিনা যেভাবে জামাত ও হেফাজত এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এইরকম দরকারবলে আমি মনে করি |RSS একটি সংঘটন যার মূল শক্তি হলো ঘৃণা যেই ঘৃণা শুধুমাত্র মুসলিম নয় সমস্ত অহিন্দিভাষী মানুষের প্রতি |eidhoroner ঘৃণার বিরুদ্ধে আরএসএস-বিরোধী এমন এক ঘৃণার ন্যারাটিভ দরকার যা আরএসএস এর অস্তিত্ব এর প্রতি সেইরকম ঘৃণা নিয়ে কাজ করবে | ta না হলে পশ্চিমবঙ্গে গুজরাটি মাড়োয়ারি আর সংস্কৃত বলতে তৈরী হন আর দশ বছরের মধ্যে |


    আপনি কি বলেন ?

  • দীপক সেন গুপ্ত | 2405:201:a803:8188:c4d5:19fa:c45f:***:*** | ০৩ মে ২০২১ ২০:৩৩105405
  • সুমন কল্যান ভৌমিকের রাজনৈতিক বিশ্লেষণের সঙ্গে সহমত।

  • Ranjan Roy | ০৩ মে ২০২১ ২১:২২105408
  • আগুনে আগুন নেভে না। জল ঢালতে হয়। প্রাচীন অরণ্যের প্রবাদ।


    ধর্মভিত্তিক পাকিস্তান রাষ্ট্রের জবাব ধর্মভিত্তিক হিন্দুরাষ্ট্র নয়। একইভাবে ওদের ঘৃণার ন্যারেটিভের মোকাবিলার জন্য ওদের নকল করা ভুল হবে। ডাংগুলি খেলতে ডাকছে, আপনি ক্রিকেট খেলুন।

  • Santosh Banerjee | ০৩ মে ২০২১ ২১:২২105409
  • প্রথম কথা : - (১ ) ভারত বর্ষে এখনো কোনো সত্যি কারের বাম পন্থী পার্টি ( কমিউনিস্ট পার্টি বলবো না , ওটা অনেক পরের ব্যাপার ) তৈরি হয় নি !!স্বাধীনতার আগে , সময় এবং পরে কিছু দিন ধরে কিছু বিপ্লবে নিবেদিত প্রান বিভিন্ন্য আন্দোলন করে বেশ কিছুটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো বাম মতাদর্শ কে , যা পরে নেতৃত্ত্বর ভুলে ,ভড়ং বাজি তার পর সংসদীয় চোরাবালির মধ্যে পরে রইলো , আর কেরালা , বেঙ্গল ,ত্রিপুরা এই গর্ব নিয়ে মৌতাত করলো !!এলো জ্যোতি বাবুর সিপিম ।...বলা যায় বৈপ্লবিক আন্দোলন কে রীতিমতো পেছন থেকে ছুরি মেরে  ৩৪ বছর রাজ্জ্য শাসন করলেন !!জনগণ ওনাদের হয় ভগবানের মতো ভালোবাসতো এবং দূর থেকে মাথা ঠেকাতো আর না হয় সাপের মতো ভয় করতো (( দ্বিতীয় টা বেশি করতো )কাছের মানুষ কোনো দিন ভাবতে পারতো না !!এক সময় দাবানল জ্বলেছিল কিন্তু বাম নেতারা স্বৈরাচারী হলো , দমন করলো ওদের যারা আগুন জ্বালাতে পারতো , পাল্টাতে পারতো !! জনগণ প্রস্তুত ছিল , নেতারা ছিল না , হেমাঙ্গ বিশ্বাস মহাশয়ের ভাষায় "" আমরা বিণ বাজিয়ে জনগণ নামক বাসুকি কে জাগাইলাম কিন্তু বাসুকি নামক জনগণ ফণা তুলতেই পালিয়ে গেলাম """ সুতরাং বর্তমান বাম পার্টি গুলোর ন্যাচারাল ডেথ হবে  , এটাই স্বাভাবিক !!(2) ওই ভদ্র মহিলা তো পাইয়ে দেবার রাজনীতি টা ভাল জানেন  , দিল্লির শাহেনশাহর সঙ্গে ওনার রাজনৈতিক পথ আর মতের অমিল টা কথাই শুনি ??শাহেনশাহ হিন্দু আনির ধুয়া তুলছেন আর ভদ্র মহিলা মুসলমানি ধুয়া !!খিস্তি খেউর যা দেন দুজনেই , তাতে তো মনে হয় না কোনো বৌদ্ধিক শক্তি আছে দুজনের !! তবে মন্দের ভালো হলো ফ্যাসী বাদী দের কিছু দিনের জন্য দমন করা গেলো , কিন্তু ব্যাঙ তাড়াতে সাপ কে ঢোকালাম এটা মনে রাখি যেন !!!!পশ্চিম বঙ্গ দিয়ে ভারত বর্ষ কে বিচার করা ভুল হবে !!আরএসএস এবং তার চেলা চামুন্ডা রা আরো বেশি ভীষণ হয়ে দেখা দেবে !!

  • সুকান্ত দে | 2409:4061:2185:2f39::7a5:***:*** | ০৪ মে ২০২১ ১৮:২৯105459
  • প্রথমদিকের অনেককটি যুক্তির সাথে একমত। শেষাংশের সাথে একমত হওয়ার আগে অনেকগুলি স্টাটিসটিক্স দরকার। যেমন -- ১) গ্রামাঞ্চলে হিন্দু মুসলিম ঘনত্ব বিচার করে ভোট কোথায় বেশি পড়েছে সেটা দেখা। ২) শহরাঞ্চলেও একইভাবে তথ্য পেতে হবে। তাতে বোঝা যাবে সম্প্রদায় ভিত্তিক মেরুকরণের তাস কতখানি সাফল্য পেয়েছে। ৩) বামপন্থীরা কংগ্রেসের সাথে জোট করায় একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায় যে তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য বিজেপির বিরুদ্ধাচরণ। দেখার বিষয় জোট সরকারের ভোটের কারনে বিজেপি বা তৃণমূল অল্প ভোটের ব্যবধানে কতগুলো আসনে জয়ী হয়েছে। এর থেকে বোঝা যাবে সেটি কার জন্য সহায়ক, বিজেপি না তৃণমূল। 


    তবে এটা ঠিক যে, একসময়ে অন্য পার্টি করতে না দেওয়া বামপন্থীদের সংগঠন বলতে কিছুই ছিল না। ভোটের আগে কিছু নতুন মুখ তাই খুব কিছু করে উঠতে পারেনি। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন