মঙ্গলসূত্র, মুসলিম, মাটন, মাচ্ছি, মোষ, মুজরা- এসবের মাঝে যে দুটো ম-এর কাহিনী চাপা পড়ে গেছে সেটা হল মহিলা ভোটার আর মাইগ্রেন্ট লেবারার। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দুই দফায় যে বিষয়টা নজর কেড়েছিল সেটা ছিল ভোট শতাংশ কমে যাওয়া। নির্বাচনের শেষের দিকে যেটা নজর কেড়েছে সেটা হল পুরুষদের চেয়ে নারীদের বেশিমাত্রায় অংশগ্রহণ।
নারীদের মধ্যে অতিরিক্ত ভোটদানের হার বিশেষভাবে দেখা গেছে বিহার, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় এবং ঝাড়খণ্ডে। সবচেয়ে লক্ষণীয় হল বিহার। বিহারে প্রথম দফায় নারীদের ভোট শতাংশ পুরুষের চেয়ে কম ছিল। দ্বিতীয় দফা থেকে বাড়তে শুরু করে। বিহারে যেটা কমেছে সেটা হল পুরুষদের ভোটদানের হার- এটা ৫৫.১% থেকে ৫৩.৩% এ নেমে এসেছে। মহিলাদের ভোটদানের হার ৫৯.৪% যা ২০১৯এর প্রায় সমান।
তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ দফায় মহিলাদের ভোটদানের হার পুরুষদের তুলনায় মোটামুটি দশ শতাংশ বেশি, অর্থাৎ পুরুষদের অনুপাতে প্রায় আঠেরো-কুড়ি শতাংশ বেশি। শেষ দফায় অবশ্য পুরুষ আর নারীদের অংশগ্রহণ প্রায় সমান সমান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথম এবং শেষ দফায় নির্বাচন হয়েছিল পুরোপুরি দক্ষিণ বিহারে। দ্বিতীয় দফায় গঙ্গার দুই পাড়েই নির্বাচন হয়। তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ প্রায় পুরোটাই গঙ্গার উত্তরে। এর থেকে একটা ট্রেন্ড খুব স্পষ্ট দেখা যায়- গঙ্গার দক্ষিণ দিকের মহিলাদের অংশগ্রহণ পুরুষের সমান বা সামান্য কম, কিন্তু উত্তর দিকে অনেক বেশি। একই ধারা ২০২০র বিধানসভা নির্বাচনেও ছিল। এর সাথে কি ফলাফলের কোনো সম্পর্ক আছে? খুবই চোখে পড়ার মতো ভাবে আছে। দক্ষিণ বিহারের ১৫ খানা আসনের ৭ খানা জিতেছে ইন্ডিয়া জোট, অন্যদিকে উত্তর বিহারে ২৫ খানার মধ্যে মাত্র দুখানা জিতেছে ইন্ডিয়া জোট- দুটোই মুসলিম-বহুল আসন। ইন্ডিয়া জোটের ৯টি আসনের মধ্যে সাতটিই দক্ষিণ বিহারে। এই সাতটির মধ্যে চারটি রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি), দুটিতে জিতেছে সিপিআই-এমএল-লিবারেশন, আর ১টি কংগ্রেস। উত্তর বিহারের দুটিতেই কংগ্রেস, আরজেডি শূন্য। সিপিআই-এমএল-লিবারেশন এখানে লড়েনি, অন্য বামদলগুলি শূন্য। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ইন্ডিয়া-এনডিএর হারজিতে উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন খুবই স্পষ্ট, আবার নারী-পুরুষ বিভাজনও খুব স্পষ্ট। যেসব আসনে মেয়েরা পুরুষদের সমান সমান বা কম ভোট দিয়েছে সেখানে ইন্ডিয়ার প্রাধান্য। যেখানে যেখানে মেয়েরা পুরুষদের চেয়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে সেই আসনগুলোতে এনডিএ-এর ক্লিন সুইপ। এখানে উত্তর-দক্ষিণের আর্থ-সামাজিক বিভাজন নাকি নারী-পুরুষের ভিন্নমত কোনটা বেশি ভূমিকা পালন করেছে সেটা বুঝতে অবশ্য আরও অনেক ডাটা সংগ্রহ করতে হবে। উপর উপর বলা যায়- ইন্ডিয়া যে বিহারে এক থেকে নয়ে পৌঁছেছে তার পিছনে দক্ষিণ বিহারের- বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের ভূমিকা বিশাল, আর নীতিশ কুমারের জনকল্যাণমুখী স্কিমগুলো যে নারীদের স্বীকৃতি পেয়েছে সেটা অস্বীকার করা যায় না।
উত্তর প্রদেশে পঞ্চম দফা থেকে মহিলাদের প্রাধান্য চোখে পড়ছে- অর্থাৎ একদম পূর্বদিকের অঞ্চলগুলোতে। লক্ষণীয় যে উত্তর প্রদেশে যত পশ্চিম থেকে পুবের জেলাগুলোয় আমরা আসব, তত কম জনপ্রতি আয় আমরা দেখতে পাবো- অর্থাৎ পুবদিকের জেলাগুলি দরিদ্রতর। পশ্চিমবঙ্গে কয়েকটি জেলায়- মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, কোচবিহার- এগুলিতে এবারের নির্বাচনে মহিলাদের যোগদান বেশি পুরুষের তুলনায়। ব্যবধানটা বিহারের মতো না হলেও লক্ষণীয়। ঝাড়খণ্ডে মহিলা অংশগ্রহণ অনেকটাই বেশি- মূলতঃ গ্রামীণ আসনগুলোয়। মহিলাদের অতিরিক্ত অংশগ্রহণের সঙ্গে দারিদ্রের একটা সম্পর্ক আছে। মহিলাদের অতিরিক্ত অংশগ্রহণের ফলাফল কী- সেটা বোঝার আগে তার কারণটা জানা জরুরি। কারণ একাধিক-
এক, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিযায়ী শ্রমিক সবচেয়ে বেশি জোগান হয় এই অঞ্চলগুলি থেকেই- বিহার, ইউপি, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গের অনেকাংশ। বিশেষ করে বিহার থেকে সবচেয়ে বেশি। এদের বেশিরভাগের পক্ষেই দিল্লি, বোম্বে ছেড়ে দেশের বাড়িতে এসে ভোট দেয়া সম্ভব নয়। আর এদের মধ্যে পুরুষরাই সংখ্যায় বেশি।
দুই, আরেকটা কারণ হল ওয়েলফেয়ার স্কিমের প্রধান লাভার্থী অনেক জায়গাতেই মহিলারা। সেটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে তাঁরা বেশি বেশি করে ভোট দেবেন। নীতীশ আর মমতার ওয়েলফেয়ার স্কিম মহিলাদের পছন্দ হয়েছে, তাই তাঁরা বড় সংখ্যায় ভোট দিতে এসেছে- এটা সম্ভব। এটা নীতীশ আর মমতার জন্য সুখবর ছিল, যেটা ভোটের ফলাফলেও দেখা গেছে।
তিন, ঝাড়খণ্ডে কল্পনা সোরেনের রাজনীতিতে আগমন বিশাল একটা আবেগের জায়গা তৈরি করেছে ঝাড়খণ্ডের মহিলাদের মধ্যে, বিশেষ করে ট্রাইবাল অঞ্চলে, সেটার অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে। হেমন্ত সোরেনের গ্রেপ্তারের পর তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন রাজনীতিতে এসেছেন। কোডার্মা লোকসভার অন্তর্ভুক্ত গাণ্ডেয় বিধানসভায় তিনি উপনির্বাচন লড়েছেন। গাণ্ডেয় তিনি জিতেছেন, এখানে মহিলাদের ভোটদানের হার অনেক বেশি। তাঁকে দেখতে প্রচুর মহিলার ভিড় হয়েছে সভাগুলিতে- ঝাড়খণ্ডের প্রায় সমস্ত ট্রাইবাল অঞ্চল জুড়ে। কোডার্মা অবশ্য ইন্ডিয়া জোট জিততে পারেনি, তবে ঝাড়খণ্ডের ট্রাইবাল-সংরক্ষিত পাঁচটি আসনের পাঁচটিতেই ইন্ডিয়া জয়ী হয়েছে, যার ফলে বিজেপির আসনসংখ্যা ১১ থেকে ৮এ নেমেছে- যেটা ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে বেশ সুখবর।
চার, কংগ্রেসের নারীকেন্দ্রিক গ্যারান্টির প্রতিশ্রুতিগুলোও কারণ হতে পারে নারীদের যোগদানের। তবে, এটা সম্ভবত বড় কারণ নয়। বিহার আর পশ্চিমবঙ্গে আগের কয়েকটা নির্বাচনেও মহিলাদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল, আর বিহারে খুব স্পষ্ট দেখা গেছে যেখানে পুরুষের অংশগ্রহণ বেশি সেখানেই ইন্ডিয়া জোটের সাফল্য এসেছে।
এখানে মনে রাখতে হবে, ২০২০র বিহারের বিধানসভা নির্বাচন যেখানে মহিলাদের অংশগ্রহণ ২০২৪এর মতোই বেশি ছিল, সেখানে নীতীশ খুব সুবিধা করতে পারেননি। এনডিএ কোনোভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ওনার নিজের দল চল্লিশ শতাংশ আসনও জিততে পারেনি। ১১৫টা আসনে লড়ে ৪৩টি জেতে জেডিইউ। সেই নির্বাচনে জনমত পেয়েছিল বিজেপি আর আরজেডি। সেখানেও একই রকম উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন ছিল। তবে অনেক সমীক্ষাই মনে করে ২০২০তে নীতীশের মুখরক্ষা হয়েছিল নারী ভোটারদের দৌলতেই, নাহলে বেরোজগারির সমস্যা নিয়ে ভালোমতোই শাসকবিরোধী হাওয়া ছিল।
হিন্দি-বলয়ে বিজেপি ধাক্কা খেয়েছে বেশ কয়েকটা রাজ্যে- উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা- কিছুটা হলেও বিহার, ঝাড়খণ্ড। ভালো ফল দিয়েছে মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়, দিল্লি, হিমাচল, উত্তরাখন্ড। মধ্য প্রদেশে বিজেপি একশো শতাংশ আসন পাবার একটা কারণ মনে করা হয় লাডলি বেহনা যোজনাকে। মধ্য প্রদেশে অবশ্য মহিলাদের ভোটদানের হার পুরুষদের মতোই ছিল। ২০২৩এ আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপি প্রায় সত্তর শতাংশ আসন পেয়ে মধ্য প্রদেশ জেতে- সেখানেও একই কারণ মনে করা হয়। এছাড়া কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অন্তর্ঘাতেরও ভূমিকা মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা লোকসভা - দুই নির্বাচনেই ছিল। কংগ্রেস নারীকেন্দ্রিক জনকল্যাণমূলক স্কিম এনেছে কর্ণাটকেও- সেখানে ফল খুব আশাব্যঞ্জক নয়। কংগ্রেস ১ থেকে ৯টি আসনে পৌঁছেছে- তবে প্রত্যাশা অনেক ছিল। তেলেঙ্গানাতেও কংগ্রেস নারীকেন্দ্রিক জনকল্যাণমূলক স্কিম এনেছে- কিন্তু এখানেও কংগ্রেস আর বিজেপি সমান সমান- প্রত্যাশার চেয়ে কংগ্রেসের ফল একটু খারাপ। তাহলে কি এই স্কিমগুলোর নির্বাচনী প্রভাব দরিদ্রতর রাজ্যগুলোয় বেশি? খুব ছোট রাজ্যগুলোকে বাদ দিলে ভারতের সবচেয়ে বেশি গড় আয় যে দুটি রাজ্যের তারা হল- কর্ণাটক আর তেলেঙ্গানা। অর্থাৎ সমৃদ্ধতর রাজ্যগুলোয় ওয়েলফেয়ার স্কিমের নির্বাচনী প্রভাব কম দেখা গেছে- অন্ততঃ এই নির্বাচনে। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ, বিহার, বাংলায় নারীকেন্দ্রিক স্কিমের ফলাফল বেশ সদর্থক। কর্ণাটকে কংগ্রেসের ভালো ফল হয়েছে দরিদ্রতর কল্যাণ কর্ণাটক অঞ্চলে- যেখানে পাঁচখানা লোকসভার সবকটি কংগ্রেস জিতেছে।
সাধারণ ভারতবাসী অনেকটাই অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে- বিশেষ করে ২০১৮ সালের পর থেকে। মাথাপিছু জিডিপি বৃদ্ধির হার যথেষ্ট কম। বেরোজগারী নিয়ে সরকারি তথ্য প্রকাশ হওয়া বন্ধ হয়েছে, আর বেসরকারি সূত্রের তথ্য আশাব্যঞ্জক নয়। ক্ষুধা-সূচকের অবনতি হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে ওয়েলফেয়ার স্কিমগুলির প্রয়োজনীয়তা স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে, আর বেড়েছে নির্বাচন জেতার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা। এই সুবাদে মহিলাদের ভোটদানের হারও বেড়েছে, সম্ভবতঃ মহিলাদের নির্ণায়ক ভূমিকাও বেড়েছে। অন্যদিকে কমেছে পুরুষদের অংশগ্রহণ। পরিযায়ী শ্রমিকরা তাদের মতামত জানানোর সুযোগই পাচ্ছে না ভোটবাক্সে। এরা এই সুযোগ থেকে কতখানি বঞ্চিত সেটা অনুমান করা যায় কিছু সংখ্যা থেকে। বিহারে তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ দফায় পুরুষের ভোটদানের হার যেখানে ৫২ থেকে ৫৪ শতাংশ মতো, নারীদের ক্ষেত্রে সেটা ৬২%-৬৫%। তৃতীয় দফার সংখ্যাই দেখা যাক- ৫৩.৬% বনাম ৬৫.২% অর্থাৎ ১১.৬% এর ব্যবধান। পুরুষরাও যদি নারীদের মতো ভোট দিত তাহলে প্রতি ১০০০ জন পুরুষের মধ্যে থেকে ৬৫২ জন ভোটার হত, কিন্তু হয়েছে ৫৩৬ জন- অর্থাৎ ১১৬ জনের ব্যবধান। ৬৫২র মধ্যে ১১৬- অর্থাৎ ১৮ শতাংশ। এর থেকে বোঝা যায় কী বিশাল সংখ্যক মানুষ ভোটবাক্সে নিজেদের মতামত জানানোর সুযোগ পায় না। এর পাশাপাশি নারী পরিযায়ী শ্রমিকেরাও আছে। যারা ভোট দিতে পারল না, তাদের মতামত অনেকটাই আলাদা হতে পারে যারা ভোট দেয়ার সুযোগ পেল তাদের থেকে। যারা পরিযায়ী শ্রমিক নয় অর্থাৎ গ্রাম থেকে বেরোয়নি তাদের মধ্যে দুরকম শ্রেণী আছে- একটা প্রিভিলেজড ক্লাস- যাদের জমিজমা ও অন্যান্য রিসোর্স আছে বলে বেরোনোর দরকার কম, আর আছে তাদের ঠিক উল্টোটা- যাদের হাতে রিসোর্স এতই কম যে গ্রাম থেকে বেরোনোর সুযোগই পায়নি- গ্রামের সমৃদ্ধতর শ্রেণীর শোষণের মধ্যেই তারা বেঁচে আছে। অর্থাৎ পরিযায়ী শ্রমিকদের ডেমোগ্রাফিক্স অনেকটাই আলাদা, যারা গ্রামে থাকে তাদের তুলনায়। সাধারণভাবে বঞ্চিত শ্রেণীর মধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিক বেশি।
যারা ভোট দেয়ার সময়-সুযোগ পায়না- তাদের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিক ছাড়াও আরেক শ্রেণীর শ্রমিক আছে। তারা পরিযায়ী নয়, নিজের গ্রামে বা শহরে বা কাছাকাছি গ্রামেই কাজ করে, কিন্তু ছুটি নেয়ার সুযোগ নেই। একদিনের রোজগার চলে যাওয়া মানেও কিছুটা ক্ষতি। ভোটের দিন ছুটি পাওয়ার যে নিয়ম তা মূলতঃ সংগঠিত কর্মক্ষেত্রেই, অসংগঠিত সেক্টরে অনেকেরই সেই বিলাসিতা নেই। অর্থাৎ যারা বেশি বঞ্চিত তারাই নিজেদের মতামত দেয়ার সুযোগ থেকে বেশি করে বঞ্চিত হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশ আর বিহারে দুই যাদব নেতা - অখিলেশ এবং তেজস্বী অনেকটা একই রণকৌশল লাগিয়েছিলেন- এক, যাদবদের বাইরে অন্যান্য ওবিসি জাতিগুলিকে আগের তুলনায় বেশি টিকিট দেয়া অর্থাৎ মুসলিম-যাদব সমীকরণের বাইরে বেরোনো। আর দুই, বেশি বেশি করে বেকারত্ব ও যুবসমাজকে নিয়ে আলোচনা করা। দুজনের সভাতেই ভালো ভিড় হয়েছে- বিশেষ করে তরুণদের। কিন্তু দুজনের ফলাফল দুরকম হয়েছে। দুটো রাজ্যেই এনডিএ সরকার। তাহলে কি, পার্থক্যটা দুই রাজ্যের ওয়েলফেয়ার স্কিমে?
সব মিলিয়ে বলা যায়, যারা ভোট দিতে পারল না- তারা অনেকেই একটা বঞ্চিত শ্রেণীর প্রতিনিধি এবং সংখ্যাতেও অনেকটাই- একেকটা লোকসভার হারজিতকে প্রভাব করার মতোই তাদের সংখ্যা- এটা মাথায় রেখে বলা যায় বঞ্চিত মানুষের মতামত হয়তো পূর্ণাঙ্গভাবে প্রতিফলিত হল না এই নির্বাচনে।