রায়দিবসে মানুষের এই রায় নিঃসন্দেহে বাংলা ও বাঙালির সম্মান রক্ষার রায়। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত। অন্য দল ছাড়ুন, বঙ্গ-বিজেপির বাঙালি নেতৃত্বকে ক্ষমতাহীন করে যেভাবে চাকর-বাকরতুল্য আচরণ করা হয়েছে, বাঙালি হিসেবে অত্যন্ত লজ্জার। নিজের দলের বাঙালি নেতৃত্বকে যারা পদে পদে অপমান করে, তারা ক্ষমতায় এসে তামাম বাঙালির সঙ্গে কী ভয়ানক আচরণ করবে, শঙ্কা তৈরি করেছিল বাঙালির মনে।
অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, অজয় মোহন বিস্ট আকা যোগী আদিত্যনাথ এবং নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী, সভার পর সভায় খাঁটি উত্তরভারতীয় এইসব প্রোফাইলের সঙ্গে হিন্দি-বাচন, নদীমাতৃক বাঙালির স্রেফ হজম হয়নি। ফলত ফাঁকা সভার পর ফাঁকা সভা ইঙ্গিত দিয়েছিল প্রত্যাখ্যানের। কিন্তু অন্য প্রদেশে একই কায়দায় ভোট-করা কুশলী অমিতবাবু ভেবেছিলেন সভা ফাঁকা হোক, তিনি সাল্টে নেবেন সব। কারণ ভোটের থেকেও নোটে তাঁর বিশ্বাস বেশি। ভোট একটু কম পেলেও নোট দিয়ে তিনি ম্যানেজ করে নেবেন। দৃশ্যমান এই ঔদ্ধত্য বাঙালি কেন, কোনও আত্মসম্মানযুক্ত জাতিই মেনে নেবে না। বাংলায় দুর্গাপূজা করতে দেওয়া হয় না, সভায়-সভায় বলে যাওয়া অমিত শাহ’র এই চরম মিথ্যাও মেনে নেয়নি বাঙালি। বাংলা কবিতার অক্ষম ও বিকৃত উচ্চারণের মতোই বিজেপি বাঙালিকে না-বুঝেই মুখস্থ করতে চেয়েছিল, ফলাফল যা-হওয়ার তাই হয়েছে। তাছাড়া উত্তরভারতের ভোটে বিজেপি যা-করতে অভ্যস্ত, দাঙ্গা বাঁধিয়ে হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণ, তা বাংলায় সফলভাবে করতে পারেনি। লকডাউন-ধ্বস্ত রুটি-রুজির হাল শ্রমজীবী মানুষকে ধর্ম-টর্ম নিয়ে ভাবার সুযোগ দেয়নি।
এই নেতির সঙ্গে যোগ হবে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত ক্যারিশমা ও প্রান্তিক মানুষের জন্য জনমুখী ভাবনা। সরকারি প্রকল্পের ওপর প্রান্তিক মানুষের নির্ভরতা গড়ে উঠেছে বলেই অন্যদলের উগ্র-আগমনী গানে সন্দেহ হয়েছে তাঁর, যদি মুফতে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা সব বন্ধ হয়ে যায়! অজানা-অচেনা ‘অ-বাঙালি’ শাসকের প্রতিশ্রুতি তাঁর কাছে তাই অসার ঠেকেছে। উন্নয়ন-টুন্নয়ন ইত্যাদি দিয়ে ভোটে জেতা কঠিন, এই জয় উন্নয়নের জয় বলে বিজেতারা দাবি করলেও আসলে তা নয়। রাস্তাঘাট-জল-আলো ইত্যাদি মানুষের হক, যে-দলই ক্ষমতায় আসুক তাকে এই কাজ করতে হবে। প্রশ্ন এখানে গণতন্ত্র, ক্ষমতায়ন ও সুবিচারের। গণতন্ত্র ও সুবিচারের প্রশ্নে তৃণমূলের দশ সাল কত নম্বর পাবে জানি না, কিন্তু ক্ষমতায়নের প্রশ্নে কিছু রান তার স্কোরবোর্ডে উঠবেই, বিশেষত নারীর। কৃষিজমির পাট্টা প্রদানে মহিলাদের গুরুত্ব দেওয়া থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মূল কাণ্ডারী হিসেবে গৃহবধূকে মনোনীত করা, এই ক্ষমতায়ন নারীকে তাঁর মর্যাদা ও গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে।
কন্যাশ্রীরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে সম্ভবত এই প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেন, কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ভোটের বাক্সে। সরকারি কর্মচারীসহ অজস্র শিক্ষিকার জন্য দু’বছরের সবেতন ‘চাইল্ড কেয়ার লিভ’ মধ্যবিত্ত নারীমানসেও প্রভাব ফেলেছে। কবীর সুমন সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার বাড়ির সামনে বাজারে যে-মাসি ক্যানিং থেকে রোজ এসে শাকসব্জী নিয়ে বসেন, তাঁর সারাদিনে জলবিয়োগের কোনও জায়গা ছিল না, সরকার বাজারে একটি ‘পথের সাথী’ নামক স্নানাগার করে দিয়েছেন যেখানে স্নান-পায়খানা-পেচ্ছাপ ছাড়াও খানিক বিশ্রামও করা যায়। ‘পথের সাথী’ এখন বড় রাস্তার ধারে দৃশ্যমান। সংস্কৃতি মানে কেবল গান-বাজনা-গল্প-কবিতা লেখা নয়, এই ‘পথের সাথী’ নির্মাণ বা নির্মাণের ভাবনাও একটা সংস্কৃতি। ওই মাসি সারাদিন কীভাবে টয়লেটবিহীন হয়ে কীভাবে থাকেন, কী আশ্চর্য, কেউই ভাবেননি আগে! বাংলার বিপুল এই নারীসমাজ দু’হাত ভরে নিজেদের মেয়ে মমতাকে জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা ও আশীর্বাদ। বিপরীতে আরেসেস-বিজেপির নারীবিদ্বেষ তাদের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগানের বিরুদ্ধে হালকা-চালে-বলা ‘মেয়ে পরের ধন, তাকে বাপের বাড়িতে বেশিদিন রাখতে নেই’ জাতীয় জবাব, মেয়ে-মানসে কী বিপরীত প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে, তার কোনও ধারণাই উত্তরভারতীয় সংস্কৃতির ধারক কোনও নেতার নেই! খবরের কাগজের পাতায়, সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে বা টিভির পর্দায় দেখা উত্তরপ্রদেশের উন্নাও বা হাথরসের নৃশংস ঘটনার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক মুখ্যমন্ত্রী অজয় মোহন বিস্ট যখন নারী-সুরক্ষার কথা বলেন বা অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড গঠনের চেতাবনী দেন, তখন আতঙ্কে গুড়গুড় করে পেট! এমনকী গেরুয়া বসন বা মুণ্ডিতমস্তক, কোনও ছদ্মোবেশই আশ্বস্ত করতে পারে না, প্রশমন করতে পারে না ভয়। প্রতিশ্রুতি প্রদানকারীদের ভাবনা ও ভাবমূর্তিই এমন, কেজি টু পিজি বিনা পয়সায় নারী শিক্ষা বা পরিবহণের ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিলেও, বিশ্বাসই হয় না সেই অঙ্গীকার!
সিএএ-এনপিআর-এনার্সি’র ভূতও তাড়া করেছে বাঙালিকে। বাপ-পিতামোর ভিটেমাটি চাঁটি করবে বিদেশী বর্গীর দল, এই আস্পর্ধার মুখে মূত্রবিসর্জন করেছে সুন্দরবন থেকে শীতলকুচি, সব বাঙালি। মুসলমান বাঙালির ভীতি ছিল, তাকে সেকেন্ড ক্লাস নাগরিক বানাবে এই থার্ড ক্লাস বর্গীর দল, ফলত ভোট গোছা করে দিয়ে এসো তাকে যে লড়তে পারে এই বেদরদি-বর্গীর বিরুদ্ধে। এমনই তোড় সেই ভোট-স্রোতের, মামু কংগ্রেস পর্যন্ত শূন্য এ বুকে ...
শেষে এটুকুই বলার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় আড়াই দশক বিরোধী নেত্রী হিসেবে যোগ্যতা প্রমাণ করে, সিপিএমকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। তার সিকিভাগ ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রাম না-দেখিয়েই বিজেপি বঙ্গবিজয় করে নেবে, এমন দুঃসাহস ও উদ্ভট স্বপ্ন তাদের কে দেখিয়েছিল, কে জানে! বিভাজনের রাজনীতির যদিও লড়াই করতে হয় না, সে সহজ ও শর্টকাট খোঁজে, বিজেপিও মীরজাফর ও জগৎ শেঠদের জুটিয়ে সেই চেষ্টায় ছিল, ভেবেছিল এইভাবেই লুটে নেবে পলাশীর প্রান্তর ও বাংলার ভাগ্য। ভেবেছিল মানি আর সরকারি এজেন্সির মাসল দেখিয়ে তুড়ি মেরে লাগাম নেবে বাংলার সম্পদের! আপাতত সে গুড়ে পাণ্ডুয়ার বালি!
কিন্তু ধর্মীয় বিভাজনের চাষ আরেসেস শুরু করে দিতে পেরেছে বৃহত্তর বাংলায়, এই নির্বাচনী লড়াইয়ের পর এখন কাজ একটাই - ডি-টক্সিফিকেশন, আর হ্যাঁ সঙ্গে বিষদাঁতটাও উপড়ে ফেলতে হবে। কাজ কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। বাংলা ও বাঙালিকে বাঁচাতে, আমাদের উত্তরপুরুষকে সুরক্ষিত রাখতে এই কাজটুকু আমাদের করতেই হবে। জয় বাংলা।
"সিএএ-এনপিআর-এনার্সি’র ভূতও তাড়া করেছে বাঙালিকে। বাপ-পিতামোর ভিটেমাটি চাঁটি করবে বিদেশী বর্গীর দল, এই আস্পর্ধার মুখে মূত্রবিসর্জন করেছে সুন্দরবন থেকে শীতলকুচি, সব বাঙালি। মুসলমান বাঙালির ভীতি ছিল, তাকে সেকেন্ড ক্লাস নাগরিক বানাবে এই থার্ড ক্লাস বর্গীর দল, ফলত ভোট গোছা করে দিয়ে এসো তাকে যে লড়তে পারে এই বেদরদি-বর্গীর বিরুদ্ধে। এমনই তোড় সেই ভোট-স্রোতের, মামু কংগ্রেস পর্যন্ত শূন্য এ বুকে ..."
মমতার বিজয় নেপথ্যে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মনে হয়েছে। আঁটোসাঁটো লেখায় সবদিক সুন্দর ভাবে এসেছে।
সংযুক্ত মোর্চার পরাজয়েরও প্রচ্ছন্ন কারণ এই সব পয়েন্ট। তবু তাদের পরাজয়ে নির্দিষ্ট কি কি ফ্যাক্টর কাজ করেছে, খুব সংক্ষেপে হলেও উল্লেখ করলে সোনায় সোহাগা হতো।
এছাড়া খোদ নন্দীগ্রামে দিদির পরাজয়ের কারণ কী, তা জানার আগ্রহ রইলো। কেউ কী তা বলবেন?
১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের "জয় বাংলা" শ্লোগান এবার ভিন্ন মর্যাদা পেল।
পুনশ্চঃ ঝন্টু বামেরা সংযুক্ত মোর্চায় ঐতিহাসিক ভুল করতে করতে নিজেরাই না ইতিহাস হয়ে যায়! খেলা শেষে এই বিশ্লেষণটিও যুক্তিযুক্ত মনে হলো।
@বিপ্লব রহমান
বিজেপি এই নির্বাচনে পরিষ্কার মেরুকরণ করতে চেয়েছিলো হিন্দু -মুসলমান নিয়ে | সেখানে মমতা মেরুকরণ করেছেন বহিরাগত -ভূমিপুত্র বাঙালি এই ব্যাপারটায় | মমতার এই কৌশল নতুন কিছু নয় ১৯৭০-৭১ সালের পাকিস্তান নির্বাচনে শেইখ মুজিবুর রহমান এই পদ্ধতি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন | আসলে বাংলার মানুষ এখনো নিজের ভাষাভিত্তিক ও সংস্কৃতিক পরিচয় কে তার ধর্মভিত্তিক পরিচয়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় |
সংযুক্ত মোর্চার পরাজয়েরও মূল কারণ এটাই | তাদের নিজস্ব ভোট ব্যাঙ্ক বহিরাগত -ভূমিপুত্র এই মেরুকরণ এর ফলে সম্পূর্ণভাবে মমতা আর বিজেপি এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে | তাই তাদের নিজস্য আর কোনো ভোট ব্যাঙ্ক রইলোনা |
নন্দীগ্রামের ব্যাপারটি বেশ বিতর্কিত | বিকেল ৫টা পর্যন্ত বলা হলো মমতা জিতেছেন সেখানে হটাৎ সন্ধে ৬টায় বলা হলো তিনি ১৫০০ ভোট হেরে গেছেন | ব্যাপারটি বেশ বিতর্কিত |
পরিশেষে আপনাকে একটি প্রশ্ন করছি | বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরের পূর্তি উপলক্ষে হঠাৎ করে ভারতের তরফ থেকে covid ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ করাটা কি হাসিনা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ভারতের প্রতি ক্ষোভ বৃদ্ধি করবে ? মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের মানুষ কতটা কষ্ট ও দুর্ভোগের শিকার হলেন ও এখন শেখ হাসিনা কি তার ভারতপন্থী নীতির পরিবর্তন করবেন ?
আপনার উত্তরের প্রতিখ্যায় রইলাম |
Guru,
আপনার আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে--
১
অবশ্য আমার মনে হয়েছে, বিজেপিকে ঠেকাতে মমতার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে, "বাংলা বাঁচাও" জাতীয়তাবাদী শ্লোগান। ১৯৭০-৭১ এ শেখ মুজিব একই বাংগালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে উস্কে দিতে পেরেছিলেন "জয় বাংলা" শ্লোগানে। "ভূমিপুত্র" বললে এপারে ঠিক পুরোটা বলা হয় না, যেখানে মুক্তিযুদ্ধে আবার বাংগালিরা ছাড়াও আদিবাসীরাও অংশগ্রহণ করেছিল মুক্তিরই চেতনায়।
২
টিকা নীতির ব্যর্থতাতেই আওয়ামী লীগ সরকারের ভারতপন্থী নীতি বদলে যাবে বলে মনে করি না। অন্য আরেক সুতোতেও একই কথা বলেছি।
শুধুমাত্র ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সাথে চুক্তি করে একটি উৎসের ওপর নির্ভর করায় " "কোভিশিল্ড" ডোজ শর্টেজে এরই মধ্যে বন্ধ করতে হয়েছে প্রথম দফায় টিকাদান। বাকী মজুদ দিয়ে চলছে দ্বিতীয় দফায় টিকাদান। তবে তরিঘরি করে রাশিয়ার "স্পুৎনিক ভি" টিকা দেশেই উৎপাদনের চুক্তি করেছে সরকার। চীনা টিকা আমদানির চুক্তিও হয়েছে। শিগগিরই দেশে পৌঁছাবে "সিনোভ্যাক" এর পাঁচ লাখ ডোজ উপহারের টিকা।
কাজেই কিছুটা ছেদ পড়লেও এ পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি আবারও নব উদ্যোমে শিগগিরই শুরু হবে আশা করা যায়।
এদিক থেকে সরকারকে অনেক কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তাছাড়া গণ টিকাদান কর্মসূচিতে ৪০ বছরের কমবয়সীদের ডোজ দেওয়া শুরু হতে না হতে টিকার চালানের অনিশ্চয়তায় ২ মে থেকে বন্ধ রয়েছে নিবন্ধন। তবে এরই মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ লাখ মানুষ।
আর এতেই সরকারের "ভারতপন্থী নীতি" বদলে যাবে বলে মনে হয় না, কারণ সম্ভবতঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রতিম দেশ ভারত, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যার সূচনা।
এদিকে ভারতে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে টিকা রপ্তানি বন্ধ করায় চুক্তি অনুযায়ী সেরামকে বাংলাদেশের টাকা ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছেন সরকারের মন্ত্রীরা।
আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ