দিল্লি রোডের ও পারে একটা দরকারে যেতে হবে। সাইকেলে চেপে রওনা দিয়েছি বসন্ত পঞ্চমীর ফুরফুরে হাওয়ায়। কোভিডের ছোবলে নিভৃতবাস, তারপর মায়ের মৃত্যু --- সব মিলিয়ে পথে বেরনো হয়নি বেশ কিছুদিন। বেরিয়ে টের পেলাম দুর্গম গিরি কান্তার মরু পাড়ি দিয়েছি। নির্বাচন এসে পড়েছে, সঙ্গে এসেছে উন্নয়নের জোয়ার। অতএব আমাদের এঁদো মফসসল স্টেশনের সঙ্গে জাতীয় সড়ককে জুড়েছে যে মূল রাস্তাটা, সেই কিলোমিটার পাঁচেকের সমস্তটা খুঁড়ে এবং বুজিয়ে পাইপ বসানোর কাজ চলছে। তা দেখেই নিভৃতবাসে গিয়েছিলাম, ফিরে এসে দেখছি শেষ হওয়ার বদলে কাজের গভীরতা ও বিস্তার বেড়ে গেছে বহু গুণ। অজানা গলিগুলোর সঙ্গে পথিকের মধুচন্দ্রিমা মিটে গেছে, পড়ে আছে বিরক্তি, কারণ সব জানা হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় বিধায়ক দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না বলে অন্য দলে পাড়ি দিয়েছেন। কে জানে, হয়ত পিচ, বালি, রোলারদেরও দম বন্ধ হয়ে আসছে বলে সত্বর কাজ শেষ করতে পারছে না। এসব নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করে লাভ নেই। তাই আধ কিলোমিটার সাইকেলে যাত্রা করার পরই যখন নিজেকে মনোহর আইচের মত প্রবীণ মনে হল, তখন নেমে পড়লাম। চোখে পড়ল রাস্তার উল্টোদিকেই ‘প্রচেষ্টা’।
গুরুচণ্ডালির গুরু বলেছেন, নির্বাচনের জল-হাওয়া-মাটি নিয়ে লিখতে হবে। সেইসব শুঁকতেই যাচ্ছিলাম, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই দম শেষ। বাঁশাই অটো স্ট্যান্ডে ‘প্রচেষ্টা’-র দিকে চোখ পড়তেই মনে হল, নির্বাচন নিয়ে কেবল আমার মত চশমা আঁটা খোঁচা দাড়ির আঁতেলেরই আশা-আশঙ্কা আছে এমন তো নয়, ঐ স্কুলের ছাত্রছাত্রী, যারা একেবারেই আমার মত নয়, তাদেরও কিছু চাওয়ার থাকতে পারে। ২০১১-র জনগণনা বলেছে পশ্চিমবঙ্গে নানারকম প্রতিবন্ধকতা থাকা মানুষের সংখ্যা ২০,১৭,৪০৬। এরা জনসংখ্যার মোটে ২.২১%, নির্ঘাত সে কারণেই এদের কথা মনে পড়ে না সচরাচর। ‘বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন’ --- এই আধুনিক তকমা শেষমেশ ওদের ক্ষতিই করেছে কিনা কে জানে! স্কুলটা বাড়ির এত কাছে, একেবারে মেন রোডের উপর। তবু তো কোনদিন চেয়ে দেখিনি! আজও স্কুলের সামনের অটো স্ট্যান্ডে পাঞ্জাবি পাজামা আর শাড়ির রঙিন লাইনের দিকে চোখ না গেলে নীরব স্কুলটা বোধহয় আড়ালেই থেকে যেত। অতএব ঢুকে পড়লাম গ্রিলের দরজা পেরিয়ে।
দীর্ঘদিনের ‘প্রচেষ্টা’। ১৯৯৭ সালে, কে জানে কেন, জনা কয়েক জোয়ানের মাথায় ঢুকেছিল এলাকার নানারকমের প্রতিবন্ধকতা থাকা ছেলেমেয়েদের জন্য কিছু একটা করা দরকার। যৌবন চলে গেলেও একটা কিছু করার দুরারোগ্য ব্যাধি সারেনি সুবীর ঘোষ, যূথিকা চক্রবর্তী, শিপ্রা সিংহদের। পাঁচজন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে শুরু হওয়া স্কুলের ছাত্রসংখ্যা এখন ৫৯। মূলত মানসিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করা হয় এই স্কুলে। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের কেউ সেরিব্রাল পলসিতে ভুগছে, কারোর আছে ডাউনস সিনড্রোম। কারোর আবার একাধিক অসুবিধা। অসুবিধা মানে? এখানে প্রথমবার আসার সময়ে কেউ নিজে হাতে খেতে পারত না, কেউ নিজে জামাকাপড় পরতে পারত না। কেউ কেউ পেচ্ছাপ পায়খানা পেলে সামলাতে পর্যন্ত পারত না। সুবীরবাবুরা আসলে এদের স্বাবলম্বী হতে শেখান। কোন কোন অসুবিধা কোনদিনই কাটবে না, তা বলে স্কুলের সরস্বতীপুজোর আয়োজন করতে অন্যদের সাহায্যের দরকার হয় না এই ছাত্রছাত্রীদের।
“কী করে চলে এই স্কুল? সরকারি সাহায্য কতটা পান?” হাঁদার মত এই প্রশ্নটা করতেই হল।
“মিড ডে মিলের ব্যবস্থা সরকার করেছেন। স্কুলটা চলে আসলে কিছু সহানুভূতিশীল মানুষের টাকায়,” সুবীরবাবু বললেন।
জনগণনার ওয়েবসাইটে দেখেছি, রাজ্যের যে জেলাগুলোতে “people with disability” এক লক্ষের বেশি, আমাদের হুগলি জেলা তার অন্যতম। কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আশেপাশেও ৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী এরকম ছেলেমেয়ের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সুবীরবাবুর মতে শতাধিক। বহু ছেলেমেয়ের বাবা-মা ওঁদের সাথে যোগাযোগ করেন। তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হয়। সুবীরবাবুর ভাষায় “টানাটানির সংসার। ছোট স্কুল। ২০০৩-এ অনেক কষ্টে এই বিল্ডিংটা হয়েছিল, এতদিনে দোতলায় কয়েকটা নতুন ঘর করতে পেরেছি। কোথায় বসাব এতজনকে?”
কেমন টানাটানি? প্রতি মাসে শুভানুধ্যায়ীরা টাকা দিলে বিদ্যুতের বিল মেটানো হয়, সুবীরবাবুদের মাইনে হয়। কত মাইনে? বিস্তর চাপাচাপির পর জানা গেল কষ্টেসৃষ্টে চার অঙ্কেও পৌঁছয় না। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গানে যাকে মোষ তাড়ানো উল্টো স্বভাব বলে, তেমন স্বভাবের জনা ছয়েকের জন্যই এই স্কুল টিকে আছে। তাঁরাই সকাল এগারোটা থেকে বেলা তিনটে অব্দি জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ, মানে ক্লাস নেওয়া থেকে বাথরুম পরিষ্কার --- সবই করে যাচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, গত বছর লকডাউন শুরু হওয়ার পর মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত টানা ৪৫ দিন চেয়ে চিন্তে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন গরীব ছাত্রছাত্রীদের পরিবার এবং সাধারণ মানুষকে। মাস্টারমশাই, দিদিমণিদের সাথে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ত্রাণ বিলি করেছে এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও।
এমন মানুষদেরও জিজ্ঞেস করতে হয় “কী হলে সুবিধা হয় ছেলেমেয়েদের? বা আপনাদের? কী আশা করেন সরকারের কাছ থেকে? সামনে তো নির্বাচন।”
ওঁদের দাবি স্কুলবাড়িটার মতই আকারে ছোট। কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ছেলেমেয়েদের মাসে ৭৫০/- টাকা ভাতা দিয়ে থাকেন। রাজ্য সরকার দেন ১০০০/- টাকা। এদের ভাতা বাড়ানো হোক, এই মাত্র। এ ধরনের বাচ্চারা অধিকাংশই আসে অতি দরিদ্র পরিবার থেকে। কারণ এরা যে অসুবিধাগুলো নিয়ে জন্মেছে, সেগুলোর প্রধান কারণ পুষ্টির অভাব, টিকাকরণের অভাব। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন এইসব পরিবারের মহিলারা অনেকেই ঠিকমত খাওয়া দাওয়া পান না, যথেষ্ট যত্ন পান না। কেউ কেউ সারাদিন না খেয়ে কায়িক পরিশ্রম করেন। অনেকের বিয়ের বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। ফল ভোগ করে ছেলেমেয়েরা।
‘প্রচেষ্টা’-র ৮০% ছাত্রছাত্রীই এসেছে দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা পরিবার থেকে, অধিকাংশই তফসিলি জাতিভুক্ত পরিবারের সন্তান। সুবীরবাবু বললেন, পারিবারিক দারিদ্র্যের কারণে এই ছেলেমেয়েগুলো পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। অন্যরা রোজগার করে, এরা পারে না। তাই সকলের খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর, পুজোয় সকলের জামাকাপড় হয়ে যাওয়ার পর এদের হল কিনা সেকথা আর পরিবারের অন্য সদস্যরা ভাবে না। বাবা-মা মারা গেলে নিতান্ত অসহায় অবস্থায় দিন কাটে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত আছে আধার কার্ড। যেটুকু ভাতা পাওয়া সম্ভব, অনেকেই আধারের গেরোয় সেটুকুও পাচ্ছে না বলে সুবীরবাবুর অনুযোগ। “অনেকেরই আধার কার্ড নেই। সেরিব্রাল পলসি যাদের, তারা ঠিকমত রেটিনা স্ক্যান করাতে পারে না, হাতের ছাপ ঠিক করে দিতে পারে না। ফলে তাদের আধার কার্ড তৈরি করা যাচ্ছে না, তাই ভাতাও পাচ্ছে না। যিনিই সরকারে আসুন, এই ব্যাপারটা দয়া করে একটু দেখুন। আইনটার সরলীকরণের আবেদন জানাচ্ছি।”
অন্য যে অভিযোগটা পাওয়া গেল, তা এ দেশে নতুন না হলেও গুরুতর। মানসিক প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন ছেলেমেয়েদের যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে পুলিশ প্রথমত অভিযোগ নিতে গড়িমসি করে, দ্বিতীয়ত অনেক সময় আদৌ নেওয়াই হয় না। পুলিশ চায় আপোষ মীমাংসা করে নেওয়া হোক, ক্ষতিপূরণ দিয়ে মিটিয়ে ফেলা হোক। সুতরাং পুলিশি চিন্তা ভাবনারও বদল চাইছেন ওঁরা। চাইছেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। কারণ অভিযোগকারী বাচ্চাকে নিয়ে তার পরিবারের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত আদালতে যাতায়াত প্রায় অসম্ভব। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে ব্যাপারটা ক্রমশ যন্ত্রণাদায়ক বিলাসিতা হয়ে দাঁড়ায়।
স্কুল চত্বরে বসে কথাবার্তা বলতে বলতেই আমার দিকে পুজোর প্রসাদ এগিয়ে দিল এক ছাত্রী। কুল খেতে খেতে ভাবছিলাম এসব দাবি শুনে গুরু কী বলবেন আর নির্বাচনে লড়বেন যাঁরা, তাঁদের রাম শ্যাম যদু মধু স্লোগান পেরিয়ে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের দাবি কানে পৌঁছবার সম্ভাবনা ২.২১% -এর চেয়েও কম কিনা। বেশ বৈরাগ্য আসছিল, ভাবছিলাম গুরুকে বলব ভীষণ ব্যস্ত আছি। তাই আপাতত কিছু লিখে উঠতে পারছি না। এমন সময় সুবীরবাবু একটি মেয়েকে আমার সামনে দাঁড় করালেন। উচ্চতা এবং মুখের গড়ন বলে তার বয়স বছর পঁচিশ, অথচ লাজুক হাসির বয়স কিছুতেই দশের বেশি নয়।
“তুমি তো জানো, আমাদের এখানকার স্টুডেন্টরা খেলাধুলোয় খুব ভাল। নিয়মিত দেশের হয়ে স্পেশাল অলিম্পিকে যায়।” আমি মোটেই জানতাম না, কিন্তু সবজান্তা ভাব বজায় না রাখলে ভদ্রলোক ভাবমূর্তি চিড় খেয়ে যাবে। তাই বিজ্ঞের মত মাথা নাড়লাম। উনি বলে চললেন “এ হচ্ছে মুনমুন। দত্ত। ২০০৯-এর ওয়ার্ল্ড উইন্টার গেমসে ভারতের যে দল ফ্লোর হকিতে রুপো জিতেছিল, ও সেই দলের সদস্য ছিল।”
অতঃপর অজ্ঞানতা প্রকাশ করাই ভাল বোধ হল। তখন জানা গেল, ‘প্রচেষ্টা’-র ছাত্রছাত্রীদের কীর্তি মুনমুনকে দিয়েই শুরু এবং শেষ নয়। আবু ধাবিতে অনুষ্ঠিত ২০১৯ ওয়ার্ল্ড সামার গেমসে এই স্কুলের ছাত্রী হাসি দুলে সাইক্লিং-এ দুটো রুপো জিতেছিল। ভারতের রুপো জয়ী ভলিবল দলেও এই স্কুলের একজন ছাত্র ছিল। ২০০৭ সাল থেকেই এখানকার ছেলেমেয়েরা স্পেশাল অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করছে। ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেটবল, সাইক্লিং, সাঁতার, ফ্লোর হকি, ফ্লোর বল --- এতগুলো ইভেন্টে এরা জেলা থেকে আন্তর্জাতিক স্তর পর্যন্ত মেডেল জিতেছে।
নাম হাসি হলেও মেয়েটি নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকত, কারোর সাথে মেলামেশা করত না, কথা বলতে ভয় পেত। এই স্কুলে আসা এবং ক্রমাগত প্রস্তুতি ক্যাম্পে যাতায়াত করতে করতে তার জড়তা কাটে এবং শেষ পর্যন্ত বাড়িঘর ছেড়ে বহু দূরের আবু ধাবিতে গিয়ে সে মেডেল জেতে। গল্প হলেও সত্যি। এমন সব গল্প আমার মত ভদ্রলোকের অজান্তে এখানে ওখানে তৈরি হচ্ছে। তুচ্ছ মানুষ, নির্বাচনের মরসুমে তুচ্ছতর যারা, তাদের এসব কীর্তি গুরুর মনে ধরবে কিনা কে জানে! মফসসলের দুর্গম রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পাওয়া এই গল্প না বলে আমার যে উপায় ছিল না।
প্রতীক, আর কিছু লিখছিনা আপনাকে ।
আরো লিখুন এমন লেখা।
ROP অর্থাৎ জন্মসূত্রে যাদের দৃষ্টি সমস্যা, তাদের জন্য কি কোনো ব্যবস্থা পঠন পাঠন হয়। নিতান্ত আর্থিক সমস্যা জর্জরিত আমার রিষড়া র বাসস্থানে একটি ৫ বছরের শিশু mental ও visually impaired , সহযোগিতা আবশ্যিক ।
বিনিময়ে আমি স্বেচ্চায় পাঠ দান করাতে পারি।
১৭ বৎসর ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েও।
শিক্ষকতার বত্রিশ বৎসরের অভিঞ্জতা আছে।
সন্দীপ দত্ত ( M.Sc. P.hD,)
গিয়ে শেষ পর্যন্ত কিছু করতে পারব কিনা জানিনা। তবুও একবার যেতে চাই। পথ-নির্দেশ পাওয়া যাবে?
খুবই ভালো প্রচেষ্টা। এগিয়ে চলক।শুভেচ্ছা। অজানা তথ্য তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
শেখরবাবু, হাওড়া মেন লাইনের যে কোন লোকাল ট্রেনে চেপে কোন্নগর স্টেশনে নেমে বাঁ দিক দিয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে এলে স্টেশন চত্বরের বাইরেই অটো স্ট্যান্ড। সেখান থেকে বাঁশাইয়ের অটোতে চাপলেই সোজা 'প্রচেষ্টা'র সামনে নামা যায়। এছাড়া রিকশা এবং টোটোও পাওয়া যায়।
সন্দীপবাবু, আমি যেমন লিখেছি, ওঁরা অনেক শিশুকেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জায়গা দিয়ে উঠতে পারেন না। তবে আপনি সরাসরি যোগ করে দেখতে পারেন এই মুহূর্তে জায়গা আছে কিনা। আমাকে ফেসবুকে ইনবক্স করলে ওখানকার টিচার ইন চার্জের ফোন নম্বর আপনাকে দিতে পারি। পথনির্দেশ দিয়েছি। আপনি ওখানে গিয়ে দেখাও করতে পারেন। ফেসবুকে আমার প্রোফাইল Pratik Pratik নামে আছে
চমৎকার। প্রতিভা ঠিক ই প্রতিবন্ধকতা কে কাটিয়ে উঠবে।