এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • রাজধানী লোকাল - ২০

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১১ মার্চ ২০২৩ | ১২৬৩ বার পঠিত
  •  
     

    মূল ছবিঃ নিখিল মানান
     
    ।। কুড়ি ।।

    লেখক শংকর রান্নাঘর এবং সেখানে উৎপাদিত নানাবিধ জিনিসপত্র নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন। তাঁর লেখায় পড়েছি আদিতে সাহেবরা নাকি মাত্র চারটে স্বাদ বুঝত – মিষ্টি, নোনতা, টক আর তেতো। আর আমাদের দেশ আরও দু-রকম স্বাদ দুনিয়াকে জানান দিল – ঝাল আর কষায়। না না, কষায় মানে মোটেই গোলবাড়ির কষা মাংস নয়, এটা হল ডুমুর, মোচা, থোড় – এই সবের স্বাদ। পরে সাহেবরা যে ঝাল ঝাল কারি খেতে উঠে পড়ে লাগল সেটা আলাদা কথা। খেতে বসার চেয়ার যে এ দেশে এক কালে কেদারা ছিল তা তো জানেন। টেবল কী ছিল শুনুন – তার নাম ছিল কাষ্ঠকোষ। এ ছাড়াও ছিল ডিম্বকা, কণ্টকপত্র আর কোষশায়িকা অর্থাৎ যথাক্রমে স্পুন, ফর্ক এবং নাইফ। সবই শংকরের রচনায় পাওয়া।

    এ দেশের রান্নাঘরে বাসনপত্র ছাড়াও এক কালে পিণ্ডিকা অর্থাৎ পিঁড়েও থাকত, আজও অনেক বাড়িতে পাওয়া যাবে। রান্নাঘরে আর কী কী থাকে তাই নিয়ে মন্তব্য করে অভিজ্ঞ পাঠক-পাঠিকার বিরক্তি উৎপাদন করতে চাই না। তবে বীরভূম জেলায় আমাদের গ্রামের বাড়িতে দেখেছি বাসনপত্র ধোয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হত পুকুরে। বাড়ি বাড়ি পাইপে করে জল সরবরাহ করা অবশ্য শুরু হয় আমেরিকার ফিলাডেলফিয়া শহরে, ১৮০৪ সালে। তারপর একে একে পৃথিবীর অন্যান্য শহরগুলোতেও তা চালু হয়। ভারতে তো এখন সরকারি পরিকল্পনা নিয়ে গ্রামের বাড়িতেও পাইপের জল দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

    তা যেমন হয়েছে, রান্নাঘরে নানাবিধ বিদ্যুৎ-চালিত যন্ত্র আস্তে আস্তে জায়গা পেয়েছে – মিক্সি, ওয়াটার পিওরিফায়ার, হিটার (একটু পুরনো দিনের কথা তো, তাই আধুনিক গ্যাজেটগুলো বাদ দিলাম)। দিল্লিতে গিয়ে দেখেছিলাম এই সবের পাশাপাশি আরও এক খান যন্ত্র। সেটা হল গিজার। চানঘরে গানের জন্য উষ্ণ প্রস্রবণ দরকার হতেই পারে, কিন্তু রান্নাঘরে ! গৃহকর্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করে আসল কারণটা জানা গেল। আসলে গোমুখ্যু হলে যা হয় আর কি। সহজ ব্যাপারটাই মাথায় ঢোকে না। আরে বাবা, শীতকালে কি কেবল স্নানের জলই সুশীতল হয়, পাকশালার পানি হয় না ? তাই বাসন ধোয়ার জন্য গরম জলের বন্দোবস্ত। কলকাতা থেকে দিল্লি এসে নতুন কিছু যা যা দেখেছিলাম, এটা ছিল তার মধ্যে একটা।

    ইদানীং নতুন আর একটা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে আমার মধ্যে। এটা শুরু হয়েছে বাড়ি থেকে ফেরার কিছু দিন পর থেকে। সেটা হল আমার কিচ্ছু ভাল্লাগছে না।

    দুর্গা পুজো আসছে। অফিস থেকে একটা কাজে চন্দৌসি পাঠিয়েছিল, দিল্লি থেকে ২০০ কিমি দূরে, উত্তর প্রদেশে, সেখানে বিশাল গণেশ পুজো দেখে এলাম। একটা শারদ সংখ্যা আনন্দমেলা কিনেছি গোলমার্কেটের দোকান থেকে। কিন্তু কিছুতেই কিছুতে মন বসাতে পারছি না - না অফিসের কাজে, না অন্য কিছুতে। খুব নিঃসঙ্গ লাগছে (যদিও তার কোনও কারণ নেই), চিঠিপত্র লেখাও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছি। স্কুলের বান্ধবীদের, কয়েকজন আত্মীয়র বিয়ের খবর পেলাম, কার্ডও এসেছিল কয়েকটা, কলকাতায় থাকলে প্রচুর মজা হত। জমিয়ে খাওয়াদাওয়াও হত। আর দিল্লি এমনি হাড় হাভাতে জায়গা যে একটু গরম গরম আলুর চপ বা বেগুনী দিয়ে মুড়ি খাব সেটুকু আশাও করা যাবে না।

    ঘুম হচ্ছে না ভাল। আবার বাড়ি চলে যেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে আমায় কেউ এই দিল্লি মহানগরীতে আটকে রেখেছে, আমি যেন কোনও গুহায় বন্দী হয়ে আছি। বন্দী মানুষদের মত দেওয়ালে দাগ কেটে দিনক্ষণ বুঝতে হত না ঠিকই, তবু হিসেব করে দেখলাম বছর ফুরোতে আরও ৬৯ দিন বাকি। শিক্ষানবিশি শেষ হওয়ার পরীক্ষা হবে অফিসে – নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরে, আশা করি তারপরই মুক্তি পাব, ফিরে যাব কলকাতায়। ঠিক করলাম, যদি কোনও দিন আত্মজীবনী লিখি, দিল্লি নিয়ে অবশ্যই একটা পরিচ্ছেদ থাকবে।

    এক বন্ধু চিঠিতে জানাল সে জন্মদিনে বাড়ি যেতে পারেনি, যদিও কলকাতা থেকে মাত্র ১০০ কিমির মধ্যেই তার চাকরি স্থল। হঠাৎই মনে হল এমন তো বহু মানুষ আছে যাদের যাওয়ার মত কোনও বাড়িই নেই, আপনার জনও তেমন কেউ নেই যাকে চিঠি লিখে বা ফোন করে বলতে পারে - আমার কিচ্ছু ভাল লাগছে না রে।

    মায়ের চিঠিতে জানলাম আমার ‘ছোট দিদা’ (বাবার ছোট পিসীমা) সাবিত্রীবালা গুঁই মারা গেছেন। অনেক দিন বিছানায় পড়ে থেকে চলে গেলেন। আমি নিজের দিদা বা ঠাকুমার কাছে ছোটবেলায় গল্প শুনিনি, এনার কাছেই শুনেছি যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম। আর শুনেছিলাম একটা অদ্ভুত ছড়া। কার লেখা জানি না। উত্তর বীরভূমের স্থানীয় ভাষার সেই ছোট ছড়ায় বলা ছিল কী কী পেলে এক জন মানুষ সুখী হতে পারে। না, যুধিষ্ঠিরের সেই বিখ্যাত অপ্রবাসী, অঋণী, মধ্যাহ্নে শাকান্ন খাওয়ার কথা তাতে ছিল বলে মনে হচ্ছে না। আসলে প্রথম দিকটা ভুলে গেছি, কেবল মনে আছে শেষের দুটো লাইন – ‘কুল কাঠের আঙার হয় / তবে তো আমার সুখ হয়’। কোনও একজন মানুষ, যিনি প্রবলভাবে আশা করেন তাঁর শেষ শয্যা হবে কুল কাঠের যা নাকি তীব্র ভাবে জ্বলে। এই নঃশ্বর দেহ দ্রুত পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়াতেই কি সুখ ?

    ছোট দিদার মত অনেকেই প্রচুর শারীরিক কষ্ট পেয়ে তারপর দুনিয়ার মায়া কাটাতে পারে। অনেকে অবশ্য এক মুহূর্ত সুযোগ না দিয়ে চলে যান, সে বড় সুখের মৃত্যু। তবে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করে অ-সুখের মধ্যে দিয়ে যান অনেক বেশি মানুষ। আমরা ছাড়তে জানি না, মুঠো আলগা করতে শিখি না। নিজের সময় শেষ হয়েছে জেনে-বুঝেও পরের প্রজন্মকে তার জায়গা ছেড়ে দিতে অনেক সময়েই অস্বীকার করি। মহাভারতের কবি ব্যাসদেব মাতা সত্যবতীকে বলেছিলেন, ‘’অতিক্রান্ত সুখাঃ কালাঃ পর্যুপস্থিতদারুণাঃ / শ্বঃ শ্বঃ পাপীয়দিবসাঃ পৃথিবী গতযৌবনা।‘’ তোমার আনন্দের সময় শেষ হয়ে গেছে মা, তোমার পৃথিবীর যৌবন অতিক্রান্ত। এর পর যা ঘটবে তা তোমার ভাল লাগবে না। অতঃপর সত্যবতী দুই পুত্রবধূ অম্বিকা আর অম্বালিকাকে নিয়ে হস্তিনাপুরের রাজপ্রাসাদ ছেড়ে বানপ্রস্থে চলে যান।

    তা তিনি না হয় কৌরবদের হস্তিনাপুর থেকে - মানে অনেকে যাকে আজকের মিরাট বলে মনে করেন – সেখান থেকে চলে গেলেন, কিন্ত আমি আছি পান্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থে, অর্থাৎ আপনি যাকে দিল্লি বলেন। দূরত্ব শ-খানেক কিলোমিটার হবে। বানপ্রস্থে যাওয়ার মত বয়সও হয়নি, আমার পৃথিবী এখনও পূর্ণ যুবক। তাই মনের মধ্যে অনেক দুঃখ যখন বাস কন্ডাকটারের ব্যাগের খুচরো পয়সার মত কিলবিল করছে, কে যেন ভেতর থেকে গেয়ে উঠল, ‘’তুমি সুখ যদি নাহি পাও, / যাও, সুখের সন্ধানে যাও।‘’ চলে গেলাম সন্ধান করতে, একা নই অবশ্য, তথাগতও সাথে ছিল। সোজা গিয়ে এক গাদা গোলগাপ্পা দিয়ে ডিনার সেরে ফেললাম, আর মাইরি বলছি, বিস্তর সুখ পেলাম। দিব্যি গালার এই ‘মাইরি’ শব্দটা কিন্তু মোটেই জল অচল নয়। ইঞ্জিরি ভাষায় ‘বাই মেরি’ থেকে এসেছে। যাই হোক, গোলগাপ্পা খেয়ে মনে নবীন আশার সঞ্চার হল, প্রাণে ফের পুলক জাগল, আর শরীরে বেশ বল পেলাম। মনে হল গোলগাপ্পার ওপরে একটা কবিতা লেখা উচিত। সুতরাং আমার কলম দিয়ে বেরিয়ে এল -
    ‘’দিল্লির গোলগপ্পা
    (যেন) সরি মিঞার টপ্পা,
    খেলেই খুশি দিল
    কেমন দিলাম মিল…’’
    এই অবধি লিখে তথাকে শোনালাম, সে ব্যাটা যে এত বেরসিক তা প্রায় ৩০০ দিন এক সাথে বাস করেও বুঝতে পারিনি দেখে নিজের ওপরেই রাগ হল। একটা মামুলী ‘’বাহ বেশ হয়েছে’’ – এটুকুও তো বলতে পারত। তা তো নয়ই, উলটে বলে, ‘’নিধুবাবুর টপ্পার কথা শুনেছি। সরি মিঞাকে জানি না, সরি ! তাছাড়া কথাটা গোলগপ্পা নয়, গাপ্পা।’’ এত রাগ হল যে রবীন্দ্রনাথের হাস্যকৌতুকে যে এই মহান গায়কের কথা আছে সেটা আর উল্লেখ করলাম না। আর ‘গাপ্পা’কে ‘গপ্পা’ করার মত পোয়েটিক লাইসেন্সটুকুও পাওয়া যাবে না! এমন চমৎকার গোলগপ্পার, থুড়ি গাপ্পার, মুখটা আর একটু হলেই তেতো হয়ে যাচ্ছিল।

    গোলগাপ্পা একটু মিষ্টি মিষ্টি হয়, পুদিনা পাতা ব্যবহার হয়, ভরা গ্রীষ্মে বরফের চাঁই ডোবানো থাকে জলের ড্রামে। সে বরফ যে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সেটা অবশ্য তখন জানতাম না। সত্যি বলতে কি বরফের যে এরকম ভাগ আছে তাই জানা ছিল না। অন্যদিকে আমাদের কলকাতার ফুচকার স্বাদ টক-ঝাল, তেঁতুল দেওয়া থাকে ভাল পরিমাণে। দেওয়া থাকে ছোলা সেদ্ধ। ওদিকে মুম্বাইতে বলে পানিপুরি, তাতে দেয় ভেজানো মটর। ওড়িশায় নাকি বলে গুপচুপ। মূল ব্যাপারটা একই, কেবল স্বাদ আর গন্ধ একটু পালটে পালটে যায়।

    চেনা গন্ধ যে কত পালটে যায় সেটা বুঝতে অবশ্য আরও কয়েক দিন বাকি ছিল। আর সে জন্য যেতে হয়েছিল অরিন্দমদার আট তলার ফ্ল্যাটে। না, লিফট ছিল না। হেঁটে হেটে হাঁফিয়ে গিয়ে অত উঁচুতে উঠে ফ্ল্যাটের দরজা খোলার পর আমার আর অরিন্দমদার দুজনেরই মনে হয়েছিল দুনিয়ায় আর একটিমাত্র কাজ বাকি আছে। সেটা হল পাশের বারান্দা থেকে সো-ও-জা নিচে লাফিয়ে পড়া। (ক্রমশঃ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১১ মার্চ ২০২৩ | ১২৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১১ মার্চ ২০২৩ ২১:২০517289
  • চলছে দিল্লি লোক্যাল,
    চমৎকার ভোক্যাল,
    নাগবাবুর কলম
     যেন দাদের ঘায়ে মলম*। 
     
    গোলগাপ্পার স্বাদ 
    সেও পড়ে নাই বাদ। 
    তবু  মানে না মন, 
    কইলকাতা পরম ধন। 
     
     
    * যাদের কখনও দাদ হয়েছে তারাই বুঝবেন যে দাদে জালিম লোশন অথবা বি-টেক্স মলম-- কী আরাম! কী আরাম !
  • Nirmalya Nag | ১৫ মার্চ ২০২৩ ২২:০২517437
  • @ Ranjan Roy - অনেক ধন্যবাদ। জালিম লোশনের নামটা শোনা, তবে বিটেক্স সম্পর্কে জানি - ভাল জিনিস। তুলনাটা চমৎকার লাগল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন