এখন বড় দুঃসময়। দূষণমুক্ত পরিবেশ, পর্যাপ্ত খাদ্য, পরিশ্রুত পানীয় এখন অধিকাংশ মানুষের ভাগ্যে নেই। ভাগ্যচক্রে আমি অতোটা দুর্ভাগা নই। তবে নিত্য নানান তিক্ত, খবর, পোষ্ট দেখে মন ভারাক্রান্ত হয়। অথচ কিছু করার নেই। কারণ SMW বা Social Media Warrior এর ভূমিকা ছেড়ে জমিতে 'কিছু' করার জন্য যে সব চারিত্রিক গুণাবলীর প্রয়োজন - সাহস, ক্ষমতা, উদ্যম, নিষ্ঠা, বিশ্বাস, সমর্পণ - সেসব কিছুই আমার চরিত্রে নেই। আমার সম্বল ভয়, সংশয়, আত্মকেন্দ্রিকতা। ফলে বাড়তে থাকে হতাশা, চাপ।
চাপ কমাতে বই পড়ি। ভারী নয় - হালকা। টিভি দেখিনা বারো বছর। নেটে দেখি ডকু, ভ্রমণ ভিডিও। কিছুক্ষণ আত্মমগ্ন হয়ে থাকতে কিছু লিখি। বৃষ্টিভেজা পথকুকুরের মাথা ঝাঁকিয়ে জল ঝাড়ার মতো আমার লেখাও মনে জমা চাপ ঝাড়তে। তাতে ঋদ্ধ পাঠকের কাঙ্খিত সারবস্তু নেই। এসব নিছক আমোদিত কালক্ষেপ। Pleasurable Pastime. সুনীল বলেছিলেন, মাতৃভাষার চর্চায় মগজের পুষ্টি হয়। অসংলগ্ন ভাবনা গুছিয়ে ধরার প্রয়াস আমার কাছে cognitive exercise. তাই এসব লিখি। * * * * * * * * * * আটাত্তরের কাছাকাছি। নিউ এম্পায়ারে লবঙ্গলতিকার প্যাঁচের মতো তিনথাক গ্ৰীলের লাইনে ভ্যাপসা গরমে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে কাটতে হোতো ৭৫ পয়সার টিকিট। তারপর সিঁড়ি ভেঙ্গে পাঁচতলায় উঠে দূর থেকে কাঠের সীটে বসে সিনেমা দেখার মজা ছিল অনবদ্য। ওটা আদতে ছিল থিয়েটার হল - পি সি সরকার সিনিয়র ওখানে দেখিয়েছেন ম্যাজিক। তাই গদী আঁটা দামি টিকিটের আসন ছিল নীচে, মঞ্চের কাছে। সিনেমা হলে রূপান্তরিত হতে পাঁচতলার গ্যালারী হয়ে গেলো গরীব দর্শকের ৭৫ পয়সার স্বর্গ। ১৯৭৬ থেকে ৯০ - সেই স্বর্ণালী ১৪ বছরে ওখানে অনেক সিনেমা দেখেছি। এই প্রসঙ্গে আসছে একটা সিনেমার কথা - The Spaghetti Western Classic - The Good, The Bad and The Ugly.
তখনকার হলিউডি ওয়েস্টার্ন সিনেমার পটভূমি ছিল পশ্চিম আমেরিকার টেক্সাস, আ্যারিজোনা, নেভাডা, উটা, কলোরেডো, নিউ মেক্সিকো, মন্টানা রাজ্যের দিগন্তবিস্তারি পাহাড়ি মরু অঞ্চল। ডাকাবুকো ডাকাত, ভাড়াটে খুনি, বাউন্টি হান্টার, জেল পালানো পলাতক - অর্থাৎ আইনকে কাঁচকলা দেখানো Outlaw বা দুর্বৃত্তরাই হোতো ঐ ধরনের সিনেমার প্রোটাগনিস্ট। রুক্ষ, শৈলকঠিন মুখ। পেটানো চেহারা। গায়ে বাঁটুল বা অরণ্যদেবের মতো সাত জন্মে না খোলা চামড়ার জ্যাকেট। মাইলের পর মাইল মরুপথে ঘোড়া ছুটছে ধূলো উড়িয়ে। যেন অতিপ্রাকৃত দৃশ্যপট।
ধূ-ধূ প্রান্তরের মাঝে দ্বীপের মতো গুটিকয় ঘরের কোনো জনপদ। সেখানে এসে হাজির হয় আগন্তুক। সরাইখানার দরজায় ঝোলা ঘন্টি। ঢং আওয়াজ তুলে ঢুকলো ঘর্মাক্ত কলেবরে। তারপর ম্যাজিক - কাউন্টারে সরাই সেবিকা ভরা বসন্তের স্বর্ণকেশী। কাউন্টারে ঝুঁকে - she shows more than what she supposed to sell. মরুভূমিতে দৃশ্যমান মোলায়েম মরুদ্যান। মেদুর কটাক্ষে হেলায় তাকায় তারা আগন্তুক পানে। সেই কটাক্ষাঘাতে দূর্ধর্ষ দস্যুর দৃষ্টি হয়ে আসে মিয়োনো পাঁপড়ের মতো নরম।
খেলা জমে ওঠার সম্ভাবনায় ৭৫ পয়সার টিকিটের ৫০ শতাংশ ওতেই উশুল। আইন শৃঙ্খলার বালাই নেই। পুলিশের টিকি দেখা যায় না। তাই আত্মরক্ষার্থে সবাই রাখে বন্দুক। দস্যুদের হাতে তা গ্যাস ওভেনে খটাস খটাস করে লম্বা পিজো-ইলেকট্রিক লাইটার জ্বালানোর মতো চলে অবলীলায়। পলক ফেলার আগেই ছোটে কয়েক রাউন্ড গুলি। সোয়াটার (flyswatter) ব্যাটের চপেটাঘাতে ফটাস ফটাস করে নিমেষে মরা মশার মতো হেথা হোথা ছিটকে পড়ে জলজ্যান্ত মানুষ।
সেসব দৃশ্য বিস্মৃত জমানার। ফ্যাঁও ফ্যাঁও করে ম্যারিকান বুলিতে কী যে তারা বলতো তখন সিকিভাগও বুঝতাম না। এখন কষ্টেসৃষ্টে কিঞ্চিৎ বুঝি। তবু তখন কথা না বুঝেও দেখতাম। মজা লাগতো বেশ। হিরো, ভিলেন, সবার মাথায় ঝুলবারান্দার মতো কাউবয় হ্যাট। তার নীচে মরুভূমির উজ্জ্বল রোদে সরু চোখের দৃষ্টি। তাতে মেশা সাপের শীতলতা বা ঈগলের ক্রুরতা। নিভে যাওয়া চুরুট ভাবলেশহীন মুখে ওষ্ঠের কোনে অনর্থক চর্বিত হয়ে চলেছে। গলায় বাঁধা ব্যান্ডানা। কোমরে চামড়ার খাপে ঝিমোচ্ছে বিরাট নলের রিভলবার। দেখতে মোটেও শৌখিন নয় - তবে বহু ব্যবহারে চকচকে। হঠাৎ দেখে মনে হতে পারে বিহারী কুটিরশিল্প - মুঙ্গেরী 'কাট্টা' গোছের।
কিন্তু না - হলিউড ওয়েস্টার্ন সিনেমায় দেখানো সে সব যন্ত্র এক একটি রত্ন বিশেষ। যেমন কোল্ট 1873 সিঙ্গল এ্যাকশন আর্মি স্পেশাল, .45 লং ব্যারেল কোল্ট, রেমিংটন 1858 নিউ আর্মি, কোল্ট প্যাটারসন, স্মিথ এ্যান্ড ওয়েসন শোফিল্ড ইত্যাদি। অর্ধশতাব্দীর অধিক প্রাচীন সেই সব মডেলের নির্ভরযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। ঠিকমতো চালালে অব্যর্থ যমদূত। মানুষ তো ছার বেজায়গায় লাগলে ঘোড়াও জমি নিতে পারে। মজবুত কব্জি, হিমশীতল কলিজা না হলে কিলো খানেক ওজনের সেসব মারণাস্ত্র হঠাৎ খাপ থেকে তুলে চোখের পলকে চালানো সোজা কথা নয়। যেমন জন ওয়েন ঘোড়ার বসে একহাতে টুসকিতে ঘোরাতেন হেভি শটগান। দক্ষিণী রজনী অমন কায়দায় সিগারেট নিয়ে ঠোঁটে-আঙ্গুলে কেরামতি দেখাতেন। তাতেই উল্লসিত দেশী পাবলিক দিতো সিটি। অধূনা অনেকে দু আঙ্গুলে স্মার্টফোন ঘোরায়, তেমনই কায়দার ডিজিটাল ভার্সন বোধহয়।
পুলিশ পিতার দৌলতে বছর আঠারো বয়সে একদা তাঁর স্মিথ এ্যান্ড ওয়েসন পুলিশ স্পেশাল সার্ভিস রিভলবারটি দেখার সুযোগ হয়েছিল। হয়তো সেটা ছিল .38 ক্যালিবারের মডেল 10 বা 15. কিন্তু কিলোখানেক ওজনের সেই লং ব্যারেল ধূসর যন্ত্রটির গাম্ভীর্যময় ধাতব শীতলতা ছিল বেশ সমীহ উদ্রেককারী। বলেছিলাম, একবার চালিয়ে দেখবো? বাবা বুলেট বার করে বললেন, চালা। তখন একটু ব্যায়াম ট্যায়াম করতাম, তাও একহাতে তুলে চালাতে কব্জি ও আঙুলে বেশ জোর লাগলো।
বাবা বললেন, এটা এভাবে চালায় না, রিকয়েলের ঝটকায় কব্জিতে সটকা লাগতে পারে। এটা চালাতে হয় দুহাতে ধরে, এভাবে। এটা মেয়েদের হ্যান্ডব্যাগে রাখার উপযোগী পুঁচকে পিস্তল নয় যা স্বল্প দুরত্বে আত্মরক্ষায় চালাতে হতে পারে। এটা আরক্ষাকর্মীদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আক্রমণের উদ্দেশ্যে নির্মিত। তাই তাক করে চালাতে পারলে ৫০ ফুট দুরেও কোনো পলাতক দুর্বৃত্ত ধরাশায়ী হতে পারে।
এখন নেট ঘেঁটে দেখলাম এর গুলি বেরোয় প্রায় ১০০০ ফুট/সেকেন্ড গতিতে। অর্থাৎ ৫০ ফুট দুরত্ব অতিক্রম করতে সময় নেবে ০.০৫ সেকেন্ড। মানুষের চোখের পলক ফেলার সময় ০.১০ সেকেন্ড। অর্থাৎ চোখের পাতা পড়ার অর্ধেক সময়ে ৫০ ফুট দুরে পলাতক ঘায়েল হবে। শুধু বুলেট গায়ে লাগা চাই। অভ্যাসের অভাবে পুলিশের গুলি এদেশে প্রায়শই লাগে ফুটপাতে হাঁটা বালকের গায়ে। ডাকাত পালায় পাঁচিল টপকে।
তবে .38 পুলিশ স্পেশালের গুলি ৩০০ ফুট দুরত্বেও কারুর গায়ে লাগলে বেশ জখমের সম্ভাবনা। রাইফেলের গুলি পেড়ে ফেলতে পারে ১৬০০ ফুট দুরে কাউকে। টেলিস্কোপিক সাইট লাগানো হাই ক্যাপাসিটি স্নাইপার বা এ্যান্টি মেটেরিয়াল ব্যালাস্টিক রাইফেল তো ২কিমি দুরে কাউকে শুইয়ে দিতে পারে চিরনিদ্রায়। এখনো অবধি সর্বাধিক দূরত্বে ঘায়েল করার রেকর্ড ২.৪৭ কিমি। তার গুলি বেরোয় ৬৫০০ ফুট/সেকেন্ড গতিতে। দু কিমি দুরে কাউকে শোয়াতে সে বুলেট সময় নেবে মাত্র ১ সেকেন্ড। দুগ্গা দুগ্গা! প্রসঙ্গত বলি, এযাবৎ যাত্রীবাহী বিমানের সর্বাধিক গতির রেকর্ড আছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের অধুনালুপ্ত সুপারসোনিক কনকর্ড বিমানের - ঘন্টায় ২১৮০ কিমি. এযাবৎ তৈরি সর্বোচ্চ ক্ষমতার স্নাইপার রাইফেলের বুলেটের গতিবেগ সে জায়গায় ঘন্টায় ৭১৫০ কিমি - কনকর্ড বিমানের ৩.৩ গুণ।
একদা ওয়েস্টার্ন ছবিতে দাপিয়ে বেরিয়েছেন ক্লিন্ট ইস্টউড, জন ওয়েন, হেনরী ফন্ডা, ওমর শরীফ, বার্ট ল্যাঙ্কাস্টার, চার্লস ব্রনসন, টেরেন্স হিল, বাড স্পেন্সার, জেমস কোবার্ন, এলি ওয়ালচ্, লী ভ্যান ক্লীফ, বার্ট রেনল্ডস, রোনাল্ড রেগন (আমেরিকার চল্লিশতম রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে জীবনের শুরুয়াতি পর্বে) এবং কিয়দংশে গ্ৰেগরী পেক্, হামফ্রে বোগার্ট, ট্যালি স্যাভালস্, স্টিভ ম্যাকুইন, ইয়ুল ব্রেইনারের মতো অন্য গোত্রের অভিনেতারা। সে তুলনায় সেই সব ছবির অভিনেত্রীকুল - আমান্ডা ব্লেক, র্যাকোয়েল ওয়েল্চ, কেটি জুরাডো, রোন্ডা ফ্লেমিং, ডোনা রীড, ক্লেয়ার ট্রেভর - আপামর দর্শকদের স্মৃতিতে সেভাবে জায়গা করে নিতে পারেন নি। স্প্যাঘেটি ওয়েস্টার্ন সিনেমা বলতে বোঝাতো সেইসব ওয়েস্টার্ন ছবি যার মূল কলাকুশলীরা - প্রযোজক, পরিচালক, সম্পাদক, সঙ্গীতকার, ক্যামেরাম্যান হতেন ইতালিয়ান। যদিও বিশ্বের বাজারে বাণিজ্য করতে সেসব ছবির নায়ক নায়িকা হতেন মূলত হলিউডি। হলিউডে প্রতিষ্ঠিত ইতালিয়ান অভিনেতাও ছিলেন - টেরেন্স হিল, বাড স্পেন্সার, (Django খ্যাত) ফ্রাংকো নিরো ইত্যাদি। সে সব ছবি নির্মিত ও বিশ্ব বাজারে বিতরিত হোতো বিখ্যাত সব হলিউড প্রোডাকশন হাউস দ্বারা যেমন ওয়ার্নার ব্রাদার্স, এমজিএম, ইউনিভার্সাল পিকচার্স, কলম্বিয়া পিকচার্স, ইউনাইটেড আর্টিস্টস্ ইত্যাদি। এসব ছবি ইংরেজিতে হলেও ইতালিয়ান, স্প্যানিশ, জার্মান ভাষায় ডাবিং বা সাবটাইটেল দিয়ে তৈরী হোতো তার মাল্টিলিঙ্গুয়াল ভার্সন।
The Good, The Bad and The Ugly নির্মিত হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। পরিচালনায় ডিপ ক্লোজআপ ও লং ডিউরেশন শটের সাহায্যে সিচুয়েশন তৈরীতে সিদ্ধহস্ত বিখ্যাত ইতালিয়ান পরিচালক - সের্গিও লিওন। পদবীটা চেনা চেনা লাগছে? সানি লিওনের দৌলতে সেটা স্বাভাবিক তবে সের্গেইয়ের সাথে সানির কোনো যোগসূত্র নেই।
সানি কানাডা প্রবাসী এক শিখ মেয়ে - করণজীৎ কৌর ভোরা। সানি তার ডাক নাম। ছোট থেকে খেলাধুলায় উৎসাহী, টমবয় স্বভাবের সানি রাস্তায় ছেলেদের সাথে হকি খেলতো। এগারো বছরে পেলো প্রথম চুম্বনের স্বাদ। ষোলো বছরে এক বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের সৌজন্যে খেলাচ্ছলে হারালো কুমারীত্ব। একুশে পা দিয়ে ২০০১ সালের মার্চের পেন্টহাউস পত্রিকার প্রচ্ছদে নূন্যতম আচ্ছাদনে অপরিণত সম্পদে হাজির হয়েই পেলো 'পেন্টহাউস পেট' খেতাব।
যেমন প্লেবয় ম্যাগাজিনে আবির্ভূতা মডেলরা পায় 'প্লেবয় প্লেমেট' তকমা। ২০০৭ সালে সানি বাণিজ্যিক প্রয়োজনে কৃত্রিম উপায়ে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ হোলো। যেমন অধূনা হোয়াটসএ্যাপ ফরোয়ার্ডেড পোষ্ট পড়ে (বা না পড়েই) সমৃদ্ধ হয় নেটিজেন। ২০১২তে পূজা ভাটের 'জিসম-2' দিয়ে বলিউডে হোলো সানির সাহসী আত্মপ্রকাশ। ভূতপূর্ব জীবিকা পরিত্যাগ করে প্রাচুর্যময় প্রতিস্থাপিত উপস্থিতিতে বলিউডে নিজেকে নবরূপে উদ্ভাসিত করায় সানির নিষ্ঠা ও শৈলী প্রশংসনীয়। সানির স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবারের সংস্কারহীনতা মধ্যবিত্ত মানসিকতায় অনুধাবনের অতীত।
সানির লিওন পদবীটি দেন পেন্টহাউস পত্রিকার তদানীন্তন মালিক বব গুচ্চিয়ন। হয়তো তাঁর পদবীর শেষাংশের সাথে সমধ্বনীয় সাযুজ্যে - গুচ্চিয়ন - লিওন। এই আর কী। ইতালিয়ান পরিচালক সের্গেই লিওনের সাথে সানি লিওনের কেবল এটুকুই যোগসূত্র - এক পদবীতে।
ফিরে আসি সের্গেইতে । তিনি বানিয়েছিলেন দুটি ট্রিলজি। প্রথমটি 'ডলার ট্রিলজি'। পরে 'ওয়ান্স আপন এ টাইম ট্রিলজি'। ডলার ট্রিলজির প্রথমটি ছিল A Fistful of Dollar (১৯৬৪)। দ্বিতীয়টি For a Few Dollars More (১৯৬৫) এবং শেষে ঐ TGTBATU (১৯৬৬). আগের দুটি ছবি তখন কেবল ইতালিতে মুক্তি পেয়েছে। দুটিতেই মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন ছ ফুট চার ইঞ্চির সুপুরুষ ম্যাচো ম্যান - ক্লিন্ট ইস্টউড। প্রথম ছবিটি আমেরিকায় মুক্তি পাবে ১৯৬৭তে।
তবে তার আগেই সের্গিও বানাতে চাইলেন ট্রিলজির শেষ ছবি - TGTBATU. ছবির বাজেট মাত্র ১২ লক্ষ ডলার - বাস্তবিকই fistful - মুষ্টিমেয়। কিন্তু ততদিনে ক্লিন্ট বুঝে গেছেন নিজের বাজারদর। তাই চেয়ে বসলেন আড়াই লক্ষ ডলার - ছবির বাজেটের ২০% (আজকের দিনে ভারতীয় মূদ্রায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা) এবং আমেরিকায় প্রদর্শনের লভ্যাংশের ১০%. কিঞ্চিৎ অসন্তুষ্ট হলেন সের্গেই। কিন্তু চাই তার ক্লিন্টকেই - কারণ The Good চরিত্র যা ভেবেছেন, তাতে তিনি নিশ্চিত - ক্লিন্ট মাত করবে বক্স অফিস। তাই রাজী হয়ে গেলেন। পরিচালকের মুন্সীয়ানা, চমৎকার ওয়াইড স্ক্রিন ক্যামেরার কাজ, সঙ্গীত পরিচালক এন্নিও মরিকনের অপূর্ব আবহ সঙ্গীত - পর্দায় ক্লিন্ট ও লী ভ্যান ক্লীফের চুম্বকীয় উপস্থিতি - সব মিলিয়ে এক ডেডলি প্যাকেজ।
ক্লিন্টের এই ডলার ট্রিলজির সাফল্যই তাকে ১৯৭১ এ প্রতিষ্ঠিত করে আইকনিক 'ডার্টি হ্যারি' চরিত্রে। যার রেশ চলে ১৯৮৮ অবধি বিভিন্ন নামে মোট পাঁচটি ছবির সিরিজে। চতুর্থটির পরিচালকও ক্লিন্ট। ছবিতে তিনি সানফ্রানসিস্কো পুলিশ বিভাগের নির্ভীক এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট - হ্যারি ক্যালাহান। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের রিয়েল লাইফ এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট দয়া নায়কের ওপরে তৈরি হয়েছিল 'অব তক ছপ্পন' সিনেমা। তাতে ইন্সপেক্টর সাধু আগাসের চরিত্রে ফাটিয়ে দিয়েছেন নানা। পরে ডলার ট্রিলজির প্রযোজকের বিনিয়োগও ফিরে এসেছে বহুগুণ হয়ে। সের্গেই বিখ্যাত হলেন Godfather of Spaghetti Western Movies হিসেবে।
১৮৬২ সালে আমেরিকান সিভিল ওয়ারের পটভূমিকায় তৈরি কাহিনী TGTBATU ছবির শেষে আছে একটি গোলাকার সমাধিক্ষেত্রের দৃশ্য - টানটান ক্ল্যাইম্যাক্সে ত্রিমূর্তীর মধ্যে সংঘটিত হবে ক্ল্যাসিক 'মেক্সিকান স্ট্যান্ডঅফ' দৃশ্য। তাতে আহবান জানায় ক্লিন্ট (Good)। ডাকুদের মধ্যে অলিখিত নিয়মে পুরুষোচিত অহংকারে তাতে সাড়া দিতেই হয় লী ভ্যান ক্লীফ (Bad) এবং নিরুপায় হয়ে এলি ওয়ালচ্কেও (Ugly). ক্ল্যাসিক ব্রিটিশ ডুয়েল হোতো দুজনের মধ্যে যাতে দুজন বা একজনের মরার সম্ভাবনা অবধারিত। মেক্সিকান স্ট্যান্ডঅফে সাধারণত তিনজন বন্দুকধারী নিজেদের মধ্যে হিসাব বরাবর করতে ১২০ ডিগ্ৰি কোনে দাঁড়িয়ে একে অপরকে মাপতে থাকে। যে আগে বন্দুক তুলবে সেই জ্বালবে স্ফুলিঙ্গ।
ছবিতে Sad Hill Cemetery নামে পরিচিত ঐ সমাধিক্ষেত্রটি সেই ১৯৬৬ সালেই স্পেনের বুর্জোস প্রদেশে স্প্যানিশ সৈন্যদের দিয়ে পয়সার বিনিময়ে তৈরি হয়েছিল শুধুমাত্র ঐ একটি দৃশ্যের জন্য। দৃশ্যটি আমি বেশ কয়েকবার দেখেছি। এমন দীর্ঘায়িত নাটকীয় সাসপেন্স সৃষ্টিতে সের্গিও ছিলেন বিখ্যাত। সিনেমাটির দৈর্ঘ্যও তাই চার ঘন্টা। (দৃশ্যটার লিংক রইলো শেষে)।
শুটিংয়ের পর ঝোপঝাড় কেটে বানানো নকল সমাধিক্ষেত্রটি পরিত্যক্ত হয়। ক্রমশ প্রকৃতি আবার অধিকার করে নেয় তাকে। তবে পৃথিবীব্যাপী TGTBATU ফ্যানদের স্বেচ্ছা দানে স্পেনের The Sad Hill Cultural Association ২০১৭ সালে - মানে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর পর - বিস্মৃত, জঙ্গলাকীর্ণ সেই শ্যূটিং স্পটটি আবার খুঁজে বার করে। সাফ সাফাই করে সেটাকে রূপান্তরিত করে একটি নস্টালজিক পর্যটনস্থলে। পাঁচ দশক পরেও একটি পাতি এ্যাকশন সিনেমার প্রতি ফ্যানেদের এমন হৃদয়ের টান বেশ আশ্চর্যজনক।
১৯৭০ সালে শোলে ছবির কাহিনীকার সেলিম-জাভেদ যে তিনটি ছবি থেকে সবিশেষ প্রভাবিত হয়েছিলেন তার একটি ছিল সের্গেই লিওন পরিচালিত 'Once upon a time in the West' - মূখ্য ভূমিকায় হেনরি ফন্ডা ও চার্লস ব্রনসন। সে ছবির কাহিনী নির্মাণে সের্গেইয়ের সাথে যুক্ত ছিলেন আর এক দিকপাল ইতালিয়ান পরিচালক - বার্নার্দো বেত্রোলুচি। বাকি দুটি ছবি কুরোশোয়ার 'Seven Samurai' ও জন স্ট্রাজেসের 'The Magnificent Seven'. রাজ কুমার সন্তোষীর 'China Gate' ছবিতেও The Magnificent Seven এর সুস্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
শোলের শ্যূটিংয়ের জন্যও ব্যাঙ্গালোর থেকে মাইশোরের পথে ৫০ কিমি দুরে রামনগরে হাইওয়ে থেকে ভেতরে ছবির প্রয়োজনে তৈরী হয়েছিল এক গ্ৰাম। প্রায় আড়াই বছর ধরে শ্যূটিং চলাকালে সেই অস্থায়ী গ্ৰামের নাম হয়ে গিয়েছিল 'সিপ্পি নগর'। স্থানীয় কিছু লোক কাজ পায়। তাদের দেখা গিয়েছিল সিনেমার পর্দায় গ্ৰামবাসী হিসেবে। ওখানেই জলের ট্যাঙ্কের ওপরে চড়ে ধর্মেন্দ্র করেছিলেন সেই বিখ্যাত সুইসাইড নাটক।
কাছেই রামদেবরা টিলায় হয়েছিল গব্বরের ডেরা। সেখানে আমজাদ রাগে গরগর করতে করতে হুঙ্কার ছেড়েছিল - আরে, এ সাম্বা, কিতনা ইনাম রখ্খে হ্যায় রে সরকার হম পর? খাড়া গ্ৰানাইট পাথরের টঙে পা ঝুলিয়ে বসে সাম্বা বলেছিল - পুরা পচাশ হাজার, সরকার। এসব সংলাপ এখন কিম্বদন্তীপ্রায়। এখন সেই শোলে গাঁওয়ের কোনো অস্তিত্ব নেই সেখানে। সে জায়গা এখন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের কাছে অন্য কারণে গুরুত্বপূর্ণ। "রামদেবরা বেট্টা ভালচার স্যাংচুয়ারী" এখন বিলুপ্তপ্রায় ভারতীয় শকুনের সংরক্ষণের জন্য একমাত্র ঘোষিত ESZ (Notified Eco Sensitive Zone).
অবশ্য ভারতের নানা জায়গা এখন ঘাস, ফুল, পদ্ম শোভিত এবং গদা, তরোয়াল, ত্রিশূল আন্দোলিত অন্য জাতীয় শকুনের মুক্তাঞ্চল - কেবল তাদের ডানা নেই বলে চট করে চেনা যায় না। তবে খুবলে নিলে টের পাওয়া যায়।
তো যা বলছিলাম। সেই সমাধিক্ষেত্রের শেষ দৃশ্যে ক্লিন্ট ইস্টউড এলি ওয়ালচ্কে একটা বিলিয়ন ডলার ডায়লগ ঝাড়ে - “You see, in this world, there’s two kinds of people, my friend. Those with loaded guns and those who dig. You dig.” কিন্তু what to dig? সিনেমায় তা একটি বিশেষ কবরের নীচে লুক্কায়িত গুপ্তধন। বাস্তবে ক্ষমতাসীনদের শোষণে তাদের জন্য সম্পদ আহরণে নিম্নবর্গীয় মানুষের আমৃত্যু খুঁড়ে যাওয়া নিজেদের কবর। অথবা নির্মাণ করা নিজেদের জেল। যেমন আসামের দিনমজুর সরােজিনী হাজং। তিনি নিজেই নিজের জন্য বানাচ্ছেন জেল। সরােজিনীর মত অনেক দিনমজুর আসামে ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মানে পেটের দায়ে ঘাম ঝড়াচ্ছেন, যাঁদের নাম আসামে চুড়ান্ত NRC তালিকা থেকে বাদ গেছে। তৈরী হলে ওখানেই স্থান হবে সরোজিনীদের।
১৯৭৩ সালে আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত হয় Grammy Hall of Fame. এখানে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য প্রতি বছর কিছু বাছাই করা উচ্চমানের বা ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে এমন সঙ্গীত, বাদ্য, কন্ঠস্বর বা বক্তৃতা সংরক্ষণের জন্য মনোনীত হয়। তবে তা হতে হবে অন্ততপক্ষে ২৫ বছরের প্রাচীন - অর্থাৎ অবশ্যই থাকতে হবে তার enduring appeal. অনেক নমিনেশনের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচিত হয় অল্প কিছু।
এভাবেই এখানে সংরক্ষিত হয়েছে টমাস আলভা এডিসনের ১৮৭৮ সালের রেকর্ডিং, ১৯৬৩ সালে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের "I have a Dream" বক্তৃতা। বব ডিলান, বীটলস, এলভিস প্রেসলি, পল রবসন, বব মার্লে, ফ্রাংক সিনাত্রা, ইহুদি মেনুহিন, জন ডেনভার, এলটন জন, জন লেনন, সাইমন ও গারফাঙ্কেলের 'সাউন্ড অফ সাইলেন্স', বার্বারা স্ট্রেসান্ড্ ও এমন নানা দিকপাল গায়ক, বাদ্যকার, বাগ্মীর রেকর্ডিং। এখানে আছে ১৯৫৬ সালে হিচকক্ পরিচালিত - মুখ্য ভূমিকায় জেমস স্টূয়ার্ট ও ডোরিস ডে অভিনীত - The Man Who Knew Too Much সিনেমায় শেষ দৃশ্যে ডোরিসের স্বকণ্ঠে গাওয়া বিশ্ববিখ্যাত গান - Que Sera Sera - Whatever will be, will be গানটি, যার মর্মার্থ - বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই প্রযোজ্য - যা হবার, তাই হবে। (অহেতুক ভেবে কী হবে)।
কিন্তু Grammy Hall of Fame এর অবতারণার কী হেতু? একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে এই গরুর রচনায় - সানি লিওন থেকে গ্ৰ্যামী হল অফ ফেম - কোনো প্রসঙ্গই সম্পূর্ণ সম্পর্কবিযুক্ত নয়। প্রতিটি প্রসঙ্গের দড়িই কোনো না কোনোভাবে একটি মুখ্য গরুর গলায় বাঁধা - শেষবেষ ঘুরে ফিরে - 'সেই ঘাস গরু খায়' - করে প্রসঙ্গ আবার ফিরে আসবেই সেই গরুতে। এখানে সেই গরুটি TGTBATU. এ ছবিতে সের্গেইয়ের প্রতিটি ছবির সঙ্গীত পরিচালক এন্নিও মরিকনের একটি অনবদ্য থিম টিউন ছিল, যেটি পরে আইকনিক হয়ে যায়। সেটা আমি বহুবার শুনেছি - হয়তো অনেকেই শুনেছে। (তবু ড্যানিশ ফিলহারমনিক অর্কেস্ট্রা কর্তৃক সেটার রিক্রিয়েশনের ভিডিও লিংক রইলো শেষে। অবাক হয়ে গেছি দেখে - একটি সিনেমার টিউন তৈরিতে এতো হ্যান্ডস লাগে!)
এন্নিও ছিলেন উঁচু দরের কম্পোজার। দীর্ঘ সঙ্গীতজীবনে তিনি ৭০টি পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমায় ও টিভিতে প্রায় চারশোটি স্কোর ও একশোটি ক্ল্যাসিক সিম্ফনি কম্পোজ করেছেন। নিজে ছিলেন দক্ষ ট্রাম্পেট বাদক। TGTBATU সিনেমার সেই টিউনটি তাঁর পরিচালনায় পরিবেশন করে প্রাগ সিটি ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রার শিল্পীবৃন্দ। এন্নিও পান ইতালির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান - OMRI (Order of the Merit of the Italian Republic) - যা আমাদের দেশের ভারতরত্ন সদৃশ।
সঙ্গীতে নিবেদিতপ্রাণ মানুষটি ৬.৭.২০২০- পতনজনিত আঘাতে মারা যান ৯১ বছর বয়সে। তাঁর সুরকৃত TGTBATU সিনেমার সেই বিখ্যাত থিম টিউনটি গ্ৰ্যামী হল অফ ফেমের (GHF) অন্তর্ভুক্ত হয় ২০০৯ সালে। এবার হয়তো পাওয়া গেল GHF এর সাথে TGTBATU নিয়ে এই বাঁজা রচনার যোগসূত্র।
এই বাঁজা রচনায় আমি খাল বিল থেকে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় আমার হালহীন মনপানসি ইচ্ছামতো ভাসিয়ে এমন ঘন্ট পাকিয়েছি যে মনযোগী পাঠকও হয়তো এযাবৎ পড়ে খেই হারিয়ে ভুলে যেতে পারে এ লেখার শিরোনামের তিলমাত্র তাৎপর্য তো এখনো অবধি বোঝা গেল না? চিন্তা নেই। এবার আসবে।
সেদিন আবার শুনছিলাম ভি শান্তারাম প্রযোজিত ও পরিচালিত 'জল বিন মছলি নৃত্য বিন বিজলী' সিনেমায় মুকেশের কণ্ঠে আমার প্রিয় একটি গান - 'তারো মে সজকে'। বহুবার শুনেও সাধ না মেটা অনেক গানের একটি। ১৯৫৩ সালে সোহরাব মোদী প্রযোজিত, পরিচালিত 'ঝাঁসি কি রাণী' ছিল ভারতে নির্মিত প্রথম টেকনিকালার ছবি। ১৯৭১ সালে 'জবিম-নৃবিবি' সিনেমার প্রতিটি গান স্টিরিওফোনিক সাউন্ডে রেকর্ড করে শান্তারামও করূছিলেন আর এক রেকর্ড। রিমিক্সিং করেছিলেন মঙ্গেশ দেশাই, শান্তারামের রাজকমল কলামন্দির স্টুডিওতে।
মজরুহ সুলতানপুরীর সরল সুন্দর কথা। লক্ষীকান্ত প্যারেলালের অনবদ্য সুর। সেই গানের শুরুতে (prelude) এবং মাঝে (interlude) TGTBATU সিনেমার সেই আইকনিক থিম টিউনটির সিগনেচার শিসটি এই গানে হুবহু ব্যবহৃত হয়েছে। তাই এই লেখার শিরোনাম 'লক্ষীবাবুর নকলি সোনার টিকলি'। চৌরঙ্গী, এলগিন, মুন্সীবাজার রোডে গেলে দেখা যাবে পর পর কয়েকটি 'লক্ষী বাবুকা আসলি সোনা চাঁদিকা দোকান'। সবকটিই প্রথম, একমাত্র এবং আসল। এই গানে ঐ শিস লক্ষ্মীদা জুটি প্যারসে নিজেদের বলে চালিয়ে দিয়েছেন নাকি ভদ্রতার খাতিরে এন্নিওর প্রতি অন্তত রোলিং ক্রেডিটে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন, জানা নেই।
প্রতিমার মতো সুন্দর কপালে একটি ঝলমলে টিকলি ঝুললে ভালোই লাগে দেখতে। তবে তা না থাকলেও অসুন্দর লাগে না। 'তারো মে সাজকে' গানটিও তেমন। ঐ টিউনটি গানে অবশ্যই যোগ করেছে এক মনোহর মাত্রা। তবে তা না থাকলেও গানটি ভারতীয় আমেজের সুন্দর সুরের জন্য মোটেও খারাপ লাগতো না। মুকেশের গায়কীর গিটকিরি তো কান-মন জুড়ানো।
লক্ষীকান্ত-প্যারেলাল জুটি সুরকৃত গানে ঐ টুকলি করা টিউনের টুকরোটাই এই গরুর রচনার প্রেরণা। তাই শিরোনামে জ্ঞাপন করেছি কৃতজ্ঞতা। তবে শেষ অবধি না পড়লে তা বোঝা সম্ভব নয়। এই টুকলির কথা জেনেছি তিন দশক আগে।
দুঃসময়ে ছোট্ট স্ফূলিঙ্গ জোগায় অবান্তর রচনা লেখার প্রয়াসে আত্মমগ্নতায় ডুবে থাকার দাওয়াই। লেখার মশলা সংগ্ৰহকালে জানতে পারা যায় নানা আনন্দময় তথ্য। পলায়নবাদীরা এভাবেও এড়িয়ে থাকতে পারে বিষাক্ত বর্তমানের অভিঘাত।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
স্পাঘেতি ওয়েস্টারনের ইতিহাসটা যোগ করে দিলে হয়তো ভাল হয়। কেন টাকো নয় বা টাকিলা নয়?
dc | 2402:e280:2141:1e8:8010:2eb2:d40a:***:*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৫530930
খুব ভালো লাগলো পড়তে। সমরেশবাবু নানান গল্প, অ্যানেকডোট ইত্যাদি এক জায়গায় যেভাবে মিশিয়েছেন, এটা আমার খুব পছন্দ।
গুড ব্যাড আর আগলি, সাধারনত গত একশো বছরের সেরা সিনেমাগুলোর মধ্যে ধরা হয়। আমাকেও যদি আমার দেখা সেরা পাঁচটার লিস্ট কেউ বানাতে দেয় তো সেই লিস্টে এই সিনেমাটা রাখবো। এই সিনেমা নিয়ে প্রচুর গল্প আছে, তার মধ্যে দুটো এরকমঃ
একটা আইকনিক সিন আছে, যেখানে টুকো বন্দুকের দোকানে গিয়ে বন্দুক কিনছেন। নানারকম বন্দুক খুলে, এটা জুড়ে, ওটা ক্লিক করে শেষে পছন্দমতো একটা রিভলভার বানালেন। এই সিনটা কিন্তু স্ক্রিপ্টে ছিল না, পুরোটাই এলি ওয়ালাখ এর ইম্প্রোভাইজেশান।
আর, এটা স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন সিরিজ এর তৃতীয় সিনেমা। সার্জিও লিওনি আগের দুটো সিনেমার মতো এটাতেও ইস্টউডকেই কাস্ট করতে চেয়েছিলেন, তাই প্রচুর সাধ্যসাধনা করে শেষ অবধি ইস্টউডকে রাজি করান। কিন্তু শুটিং এর সময়ে দুজনের সম্পর্কের এমন অবনতি হয় যে ইস্টউড ঠিক করেন লিওনির আর কোন সিনেমায় অভিনয় করবেন না। যার ফলে ওয়ান্স আপন এ টাইম এ ইস্টউড আর ফিরে আসেননি, চার্লস ব্রনসন অভিনয় করেছিলেন।
আর এই সিনেমার মিউজিক এর কথা আর কি বলবো। এনিও মরিকোনের স্কোর, যেকোন ওয়েস্টার্ন তো বটেই, যেকোন সিনেমার সেরা স্কোর বলা যেতে পারে। এই সিনেমাটার সিগনেচার সাউন্ড ছিল উকেলেলে আর শিষ দেওয়ার আওয়াজ, যার উল্লেখ সমরেশবাবু লক্ষীকান্ত প্যারেলালের গানটায় করেছেন। এই সাউন্ডটা আরও অনেক হিন্দি সিনেমায় টুকেছে, যার মধ্যে একটা মনে পড়ছে, খোটে সিক্কে। তবে শোলেতে যে সাউন্ডটা টুকেছিল, দোলনার সিনে, সেটা ওয়ান্স আপন এ টাইম থেকে :-)
খুব ভালো লাগল সমরেশবাবুর লেখাটা। নানা প্রসঙ্গ মিলিয়ে বেশ সুখপাঠ্য। সের্জিও লিওনের সিনেমা গুলো ভীষণ পছন্দের। লিস্ট করতে দিলে গুড, ব্যাড, আগলি আমিও একদম শুরুর দিকেই রাখব সন্দেহ নেই। লেখাটা পড়ে আবার দেখতে ইচ্ছে করছে।
dc | 2402:e280:2141:1e8:8010:2eb2:d40a:***:*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩৩530932
You see, in this world, there’s two kinds of people, my friend. Those with loaded guns and those who dig. You dig.
এটা কলেজে পড়তে মোটামুটি আমার স্লোগানই ছিল বলতে গেলে। কতোজনকে যে বলেছি, দেয়ার আর টু কাইন্ডস অফ পিপল ইন দিস ওয়ার্ল্ড! এটা, আর আরেকটা ডায়লগ খুব প্রিয় ছিল, It's no joke. It's a rope, Tuco. স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন জঁরা আমার ভয়ানক প্রিয় ছিল।
dc | 2402:e280:2141:1e8:8010:2eb2:d40a:***:*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩৭530933
একস্ট্যাসি অফ গোল্ড। সেরার সেরা কম্পোজিং (মেটালিকার একটা খুব ভালো কভারও আছে)ঃ
হীরেনদা, লেখায় উল্লেখ করেছি - স্প্যাঘেটি ওয়েস্টার্ন সিনেমা বলতে বোঝাতো সেইসব ওয়েস্টার্ন ছবি যার মূল কলাকুশলীরা যেমন, প্রযোজক, পরিচালক, সম্পাদক, সঙ্গীতকার, ক্যামেরাম্যান ইত্যাদি হতেন ইতালিয়ান। যদিও বিশ্বের বাজারে বাণিজ্য করতে সেসব ছবির নায়ক নায়িকা হতেন মূলত হলিউডি এবং তা নির্মিত ও বিশ্ব বাজারে বিতরিত হোতো মূলতঃ বিখ্যাত সব হলিউড প্রোডাকশন হাউস দ্বারা।
উইকি বলছে - "According to veteran spaghetti Western actor Aldo Sambrell, the phrase "spaghetti Western" was coined by Spanish journalist Alfonso Sánchez in reference to the Italian food spaghetti. Spaghetti Westerns are also known as Italian Westerns or Macaroni Westerns (primarily in Japan). In Italy, the genre is typically referred to as western all'italiana (Italian-style Western). Italo-Western is also used, especially in Germany.
অর্থাৎ পিৎজা, পাস্তার মতো ইটালিয়ান খাবারের নামেই ঐ জাতীয় সিনেমা স্প্যাঘেটি (বা স্পাঘেতি) ওয়েস্টার্ন শ্রেণীসূচক।
ঐ সিনেমায় Sad Hill Cemetery দৃশ্য স্পেনে তোলা হলেও ইতালি, স্পেন, আমেরিকা, মেক্সিকো, পশ্চিম জার্মানির নানা জায়গায় এর শুটিং হয়েছে। তবে Vast - Wild - Arid - Rugged মরুপ্রায় দৃশ্যের ক্ষেত্রে - লেখায় যেমন উল্লেখ করেছি - পশ্চিম আমেরিকার টেক্সাস, আ্যারিজোনা, নেভাডা, উটা, কলোরেডো, নিউ মেক্সিকো, মন্টানা রাজ্যের দিগন্তবিস্তারি পাহাড়ি মরু অঞ্চল ছিল আদর্শ। তাই হয়তো বলতো Western genre.
ইতালিয়ন ভাষা ফোনেটিক - তাই লেখা উচিত ছিল সের্গিও লিওনে (যেমন গডফাদার সিনেমায় করলিওনে পরিবার)। dc আবার লিখেছেন সার্জিও লিওনি। প্রপার নাউনের সঠিক উচ্চারণ লেখার ব্যাপারে আমি নিতান্তই গোলা। আমার লেখায় বিষয় (যদি কিছু থাকে) এবং ভাবাবেগ অধিক প্রভাব ফেলে - তাই মনযোগী পাঠক ভাষা, তথ্যগত ত্রুটি সংশোধনের জন্য উল্লেখ করলে জানতে পারি।
dc | 2a02:26f7:d6c0:680d:0:8847:7e41:***:*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:০১530937
But what is a “Spaghetti” Western? What distinguishes a “Spaghetti” Western from a regular Western? “Spaghetti” Westerns are a subgenre of Westerns whose name references the circumstances and location of their filming. Generally, a Spaghetti Western is a low-budget film produced by Italian directors (hence the “spaghetti” connection) and filmed in Europe, primarily in Almería and the Tabernas Desert.Unconstrained by Hollywood’s film regulations (and, in particular, the Hays code which restricted film content at the time), Spaghetti Westerns are far more cynical and violent compared to their contemporary Hollywood cousins. Where a Hollywood Western typically idealizes the Old West, its pioneers, and rugged American individualism, the Spaghetti Western tears off this ideological veil, bringing the corruption, violence, and desperation of the time to the fore (though not always on purpose).
অথবা
The term was used by foreign critics because most of these Westerns were produced and directed by Italians.
প্রথম দুটি ছবি স্পেনের আলমেরিয়াতে তোলা হয়। আমেরিকায় নয়
Hays code ব্যাপারটা অজানা ছিল। আপনার দৌলতে জানলাম। ধন্যবাদ।
এ বিষয়ে আর একটু দেখে মনে হচ্ছে:
১. আমেরিকান প্রোডাকশন হাউস প্রযোজিত ওয়েস্টার্ন মুভির শুটিং হোতো (আমার লেখায় উল্লেখিত) পশ্চিম আমেরিকার ঐ সব জায়গায়।
২. স্প্যাঘেটি ওয়েস্টার্ন ছবির শুটিং মূলতঃ হোতো স্পেন ও ইতালিতে। এটা আপনি সঠিক বলেছেন। এতে আমেরিকার Wild West এর রুক্ষ, মরুপ্রায় পরিবেশও ছবিতে দেখানো যেতো অথচ ইউরোপ থেকে ফিল্ম টিম আমেরিকায় নিয়ে গিয়ে শুট করার খরচ হোতো না।
৩. তবে Hays Code এর জন্য ইতালিয়ান টিমের আমেরিকায় শুটিং করায় বাধা ছিলনা। তাই TGTBATU ছবির কিছু অংশ আমেরিকাতেও শুটিং হয়েছে। শুধু খেয়াল রাখতে হতো ছবিতে যেন হেস কোড বর্ণিত "Dont's" এবং "Be Careful" এলিমেন্ট না থাকে। তবে তাও বলবৎ ছিল ১৯৬৮ সাল অবধি। কেন?
৪. কেননা - হেস কোড বা ফিল্ম প্রোডাকশন কোড চালু হয়েছিল ১৯৩৪ সালে কিন্তু পুরোপুরি বাতিল হয়ে যায় ১৯৬৮ সালে। আমি লিখেছিলাম ডলার ট্রিলজির প্রথম দুটি ছবি ১৯৬৪ এবং ১৯৬৫ তে ইতালিতে মুক্তি পেলেও প্রথম ছবিটি আমেরিকায় মুক্তি পায় ১৯৬৭তে, তা হয়তো ঐ হেস কোড জনিত কারণে।
৫. উইকি বলছে ১৯৫০ থেকে টিভি আসার কারণে এবং due to increasing competition from foreign films which were not bound by the Hays Code, হলিউড বেশ প্রতিযোগিতার চাপে পড়ে যায়। অতঃপর Joseph Burstyn, Inc. v. Wilson lawsuit was resolved by the Supreme Court in 1952, which unanimously held that motion pictures were entitled to First Amendment protection. This verdict greatly reduced the power of the Hays code.
আমার ধারণার সংক্ষিপ্তসার:
● স্প্যাঘেটি ওয়েস্টার্ন জঁরার নাম হয়েছে ইতালিয়ান প্রযোজনা, পরিচালনায় আমেরিকার ওয়েস্টার্ন পটভূমিতে কাহিনী ভিত্তিক ছবির জন্য।
● লো বাজেট স্প্যাঘেটি ওয়েস্টার্ন ছবি মূলতঃ স্পেন, ইতালিতে শুটিং হয়েছে খরচ কম রাখতে।
dc | 2402:e280:2141:1e8:b424:bea2:ac1b:***:*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৪০530945
স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন এর আরেকটা সিগনেচার ব্যপার আছে, সেটাও বেশ খানিকটা সার্জিও লিওনির অবদান। সেটা হলো, তার আগের ক্লাসিক হলিউড ওয়েস্টার্ন এ হিরোরা সবাই ধোপদুরস্ত জামাকাপড় পড়তেন, তাঁরা হতেন ওয়েল গ্রুমড আর ওয়েল ম্যানার্ড। আর তখন একেবারে সাদা কালো হিরো আর ভিলেন হতো। জন ওয়েন, গ্যারি কুপার, জেমস স্টুয়ার্ট, হেন্রি ফন্ডা ইত্যাদিরা এইসব ওয়েস্টার্ন এ অভিনয় করেছেন। কিন্তু স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন এর হিরো আর ভিলেনরা কেউ সাদা কালো না, তারা মরালি অ্যাম্বিভ্যালেন্ট, নিজের আখের গোছানোয় তারা বেশী মন দেয়। তাদের পোশাকও অপরিচ্ছন্ন, তাপ্পি মারা, তাদের মুখে একগাল দাড়ি। লিওনির ট্রিলজি হিট করার পর এটাই হলিউডের মূল ধারা হয়ে গেছিল।
dc | 2402:e280:2141:1e8:b424:bea2:ac1b:***:*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৪৯530946
এই ছোট্ট ইন্টারভিউটা দেখতে পারেন। কুয়েন্টিন টারান্টিনোর মতে সেরা মুভি হলো গুড ব্যাড অ্যান্ড আগলি
এই লেখাটি হীরেনদা, dc, রমিত, অমিতাভ ভালো লেগেছে বলে জানিয়েছেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
আসলে মনে হচ্ছে লেখাটির মূল প্রসঙ্গটির (স্প্যাঘেটি ওয়েস্টার্ন মুভি) সাথে তাদের কিছু নস্টালজিক কনেকশন হয়ে গেছে। তাই ঢেউ উঠেছে মনে। কত দুরে দুরে ছড়িয়ে আছে সবাই। তবু ডিজিটাল টেকনোলজির দৌলতে একটি লেখার ওপর এক জায়গায় সুস্থ, সুষ্ঠু, ভদ্র পাঠ মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য থেকে অজানা তথ্য, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি জানা যায়। এটি টেকনোলজির বরদান।
যেমন আমি হীরেনদার থেকে জানলাম হেস কোড। dc বললেন, শোলেতে যে সাউন্ডটা টুকেছিল, দোলনার সিনে, সেটা ওয়ান্স আপন এ টাইম থেকে। এটা জানতাম না। dc আর একটা সুন্দর কথা বলেছেন - আমেরিকান ওয়েস্টার্ন মুভিতে হিরো / ভিলেনের চরিত্রবৈশিষ্ট্য ছিল সাদা / কালো। তা হয়তো শুরুর দিকে ঐ হেস কোড জনিত কারণে - কোনোভাবেই অপরাধ / অপরাধীকে গ্লোরিফাই করা যাবেনা। স্প্যাঘেটি ওয়েস্টার্ন মুভির সে দায় নেই, তাই তার হিরো / ভিলেন সবার চরিত্রেই নানা ধূসরের শেড। এটাই বাস্তবসম্মত মনে হয়। মানুষের চরিত্র কী Absolute Good or Bad হয়?
এমন সব চিন্তা ভাবনার অনুরণন অনুভব করে ভালো লাগে। এসবই ভার্চুয়াল মিথস্ক্রিয়ার প্রাপ্তি। এটাই কাম্য। কিন্তু তা যখন তাচ্ছিল্যসূচক, বিদ্রুপাত্মক দিশায় চলে যায়, তখন ছানা কেটে যায়। ভালো লাগে না।
dc | 2402:e280:2141:1e8:4913:e9cc:8a2a:***:*** | ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:০১530956
সমরেশবাবু, আমার ক্ষেত্রে তো নস্টালজিক কানেকশান হবেই, কারন ছোটবেলায় ওয়েস্টার্ন আমার খুব প্রিয় জঁরা ছিল। সবরকম ওয়েস্টার্ন খুঁজে খুঁজে দেখেছি, সেসব মুভির ক্রিটিক পড়েছি, কিভাবে বানানো হয়েছিল, রিলিজ হয়েছিল, সে সব পড়েছি। সার্জিও লিওনির প্রতিটা সিনেমা যে কতোবার দেখেছি মনে নেই। ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন আমেরিকা নিয়ে তো একটা বইই লিখে ফেলতে পারবো। সেইজন্যই আপনার টইটা পড়ে অনেক কিছু মনে পড়লো, আর আপনার এক্লেকটিক লেখার স্টাইলটাও ভালো লাগলো। আমার ছোটবেলার আরও দুটো ভীষন প্রিয় সিনেমা ছিল জ্যাংগো আর বুচ ক্যাসিডি অ্যান্ড দ্য সানড্যান্স কিড। ফ্র্যাংকো নেরো আর রবার্ট রেডফোর্ড আমার খুব প্রিয় দুই অভিনেতা ছিলেন। এই সিনেমাদুটো নিয়েও সময় পেলে লিখতে পারেন, পড়তে ভাল্লাগবে।
(জ্যাঙ্গো মানে পুরনোটা, টারানটিনোর জ্যাঙ্গো ভালো লাগলেও, ওটা অন্য জঁরা)
dc | 2402:e280:2141:1e8:4913:e9cc:8a2a:***:*** | ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:২৫530958
এই প্রসংগে আরেকটা সিনেমার কথা মনে পড়লো, কেলিস হিরোস, আরও এইজন্য যে আপনি টেলি সাভালাস এর কথা লিখেছেন। এই সিনেমাটা ওয়ার মুভির ছদ্মবেশে আসলে ওয়েস্টার্ন। অভিনয়ে ছিলেন ক্লিন্ট ইস্টউড, ডন পিকলস, ডোনাল্ড সাদার্নল্যান্ড, আর টেলি সাভালাস। ওয়েস্টার্ন আর ওয়ার মুভি, এই দুটো জঁরাই আমার অত্যন্ত প্রিয়। আর ডোনাল্ড সাদার্নল্যান্ড কথা উঠলে কি আর দ্য ইগল হ্যাস ল্যান্ডেড এর কথা না বলে থাকা যায়? :-)
এই দেখুন - এই ECLECTIC শব্দটাও আগে কখনো শুনিনি। এখন আপনার থেকে জানলুম। এভাবেই যতদিন বাঁচি ততদিন কিছু না কিছু শিখি - সাধ্যমতো।
নেটে দেখলুম শব্দটির অর্থ deriving ideas, style, or taste from a broad and diverse range of sources. আমার অধিকাংশ Cotton Candy গোছের লেখার ক্ষেত্রে এটা অব্যর্থভাবে প্রযোজ্য। সেসব শুরু হয় ছোট্ট কোনো স্ফূলিঙ্গ থেকে - ভাবনার হাতল ঘোরাতে ঘোরাতে আকার পায় বুড়ির খোঁপা।
তবে আমার শব্দফেনার ক্ষেত্রে style and taste টা আমারই থেকে যায়। তার আর উত্তরণ হোলো না। হয়ও না বোধ হয়। চাই বলেও মনে হয়না। তাই এক্ষেত্রে নেটে পাওয়া আর একটি অর্থ - "composed of elements drawn from various sources" - একদম খাপে খাপ। অক্সফোর্ড অভিধান বলছে- unspecialized - heterogeneous - unrelated - এক্ষেত্রেও প্রথম ও দ্বিতীয় qualifier টা অব্যর্থ কিন্তু তৃতীয়টা নয়। আমার শব্দফেনায় বাবলের বিভিন্ন আকার, রামধনুর রঙের মধ্যেও ক্ষীণ যোগসূত্র থাকে। না হলে তা উন্মাদের প্রলাপ হয়ে দাঁড়ায়।
dc | 2402:e280:2141:1e8:4913:e9cc:8a2a:***:*** | ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১:১৩530964
আসলে এক্লেকটিক কথাটা নানান ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। তবে এক্ষেত্রে আপনি একদম ঠিক, এখানে এক্লেকটিক মানে আনরিলেটেড নয়, বরং তাদের মধ্যে একটা যোগসূত্র আছে। এই যোগসূত্রর জন্য স্ট্রিম অফ কনশাসনেসও বলা যায়।
নিউ এম্পায়ারে ৭৫ পয়সার গ্যালারিতে বসে দেখা আমার প্রথম ছবি The Exorcist. তারপর যে কত...আর ভীষণ প্রিয় ছিল, আমাদের ভাষায় বলতাম "Texus" ফিল্ম। হিরোদের যে নামগুলো বললেন সকলেই অসম্ভব প্রিয়। আরেকটা সিনেমাও খুব মনে পড়ছে Dzango...মনে আছে? হিরোর নামটা মনে আছে?
এখানে পরিস্কার বোঝা গেল ক্লীন্ট বলছেন - যেমন dc লিখেছেন:
সার্জিও লিওনি
এলি ওয়ালাখ
সুতরাং বুঝলুম আমি যা লিখেছিলুম সের্গেই লিওন এবং এলি ওয়ালচ - সেটা ছিল ভুল। সের্গেই আবার রাশিয়ান টাইপ শোনায়। সুতরাং ওটা সর্বৈব ভুল।
তবে এভাবেই নানা সূত্রে কিছু ভুল ঠিক হয়।
শুধু - চোখ - কান - মন খোলা রাখতে হয়
ধন্যবাদ
dc | 2402:e280:2141:1e8:c44b:90a5:b1f4:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:২৬530989
ফর আ ফিউ ডলারস মোর প্রথম দেখেছিলাম গ্লোবে। ব্যাংক ডাকাতির পর দস্যুদল যখন পুরো স্ক্রিন কাঁপিয়ে ধূসর প্রান্তরের ধুলো উড়িয়ে এক দিক থেকে আরেকদিক ঘোড়া চালিয়ে যাচ্ছিল, আর তার সাথে মরিকোনের অসাধারন স্কোর, গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল।
তোমার লেখাটার সব থেকে বড়ো লাভ - এই শনি-রবিবার ক্লিপিংসগুলো দেখে প্রায় ৪৫ বছর আগেকার বয়েসে ফিরে যাবো। অনেক ধন্যবাদ সমরেশ, এমন একটা লেখা উপহার দেওয়ার জন্যে।
সেল্ফ জাস্টিফিকেশনের প্রবণতার উৎস আমার ডিসপ্যাশনেট সেল্ফ এ্যাসেসমেন্ট। গুরুতে যা সব পড়াশোনা, দেখাদেখির উল্লেখ দেখি তার প্রেক্ষিতে মনে হয় আমার বাহ্যিক পড়াশোনা খুব কম। সেই অভাববোধ থেকেই হয়তো অজান্তে অমন মনোভাব প্রকাশ হয়ে পড়ে। আসলে ব্যক্তিগত কিছু পছন্দ ছাড়া কোনো বিষয়েই প্রত্যয়ের সাথে বলা আসে না। তাই আমার লেখায় - মনেহয়, হয়তো, বোধহয় - এসবের প্রভূত আধিক্য দেখা যায়।
আর বিনয়? সে তো মহাজনের ভূষণ। যেমন অমিয়ভূষণ মজুমদারের আত্মপরিচিতির এই অংশটি - "আমি পড়ুয়া ছিলাম, ভালো ছাত্র ছিলাম না। প্রত্যেক ক্লাসে প্রাইজ পেয়ে ওঠা অনায়াস ছিলো, তবে সব বিষয় মিলিয়ে প্রথম দ্বিতীয় হওয়া ঘটে উঠতো না। কয়েকটা লেটার মার্কস নিয়ে first division-এ পাশ করা আদৌ চিন্তার বিষয় ছিলো না, কিন্তু তার বেশি কিছু করা ঘটে উঠতো না। বাবার কাছে বসে পড়তাম। পরীক্ষার পক্ষে কোনটা important তা তিনি জানতেন না। যে-কোনো বিষয় আগাগোড়া পড়া আমাদের প্রথা ছিলো। যা শিখতুম তার অধিকাংশই পরীক্ষায় লাগতো না। এইভাবে কোচবিহার জেন্কিন্স স্কুল থেকে ম্যাট্রিক আর ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই.এ পাস করলাম"।
সমস্ত বিষয় আগাগোড়া পড়ে, কয়েকটি বিষয়ে লেটার পেয়ে, প্রত্যেক ক্লাসে প্রাইজ পেয়ে উঠে, অনায়াসেই ফার্স্ট ডিভিসনে পাশ করাটা - ভালো ছাত্রের উদাহরণ নয় - এটাও কি "এত বিনয় কেন?" - এর উদাহরণ হতে পারে না?
তাহলে নামী বা মিশন স্কুলে না পড়ে, গজা স্কুলে পড়ে, মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজি/বাংলায় ৩৭/৪২% পেয়ে দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে, জয়েন্টে চান্স না পেয়ে ডিপ্লোমা পড়ে, পরে ডিগ্ৰি করে - এভাবে প্রথাগত পড়াশোনার ঘাটে লাট খেতে খেতে এগোনো কারুর লেখায় কীভাবে আত্মপ্রত্যয় ফুটে বেরোবে? আফটার অল ভালো স্কুলে ঠিকমতো ভিত তৈরীর ভূমিকা তো অস্বীকার করা যায় না। তাই হয়তো লেখায় কিছু ক্ষেত্রে কিন্তু কিন্তু ভাব ফুটে বেরোয়।
তবে গুরুর কিছু গুণী লেখকের মতো বিশেষ কোনো এ্যাকাডেমিক বিষয়, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম, ভূ রাজনীতি এসব নিয়ে আমি লিখি না। আমার লেখা নিছক কিছু অভিজ্ঞতা, স্মৃতি, ভাবনার আখ্যান। তাই আপনার মন্তব্য মনে রাখার চেষ্টা করবো।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ :
পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন
গুরুচন্ডা৯ বার্তা
গুরুতে নতুন?
এত নামধাম দেখে গুলিয়ে যাচ্ছে? আসলে আপনি এতদিন ইংরিজিতে সামাজিক মাধ্যম দেখে এসেছেন। এবার টুক করে বাংলায়ও সড়গড় হয়ে নিন। কটা তো মাত্র নাম।
গুরুর বিভাগ সমূহ, যা মাথার উপরে অথবা বাঁদিকের ভোজনতালিকায় পাবেনঃ
হরিদাসের বুলবুলভাজা : গুরুর সম্পাদিত বিভাগ। টাটকা তাজা হাতেগরম প্রবন্ধ, লেখালিখি, সম্ভব ও অসম্ভব সকল বিষয় এবং বস্তু নিয়ে। এর ভিতরে আছে অনেক কিছু। তার মধ্যে কয়েকটি বিভাগ নিচে।
শনিবারের বারবেলা : চিত্ররূপ ও অক্ষরে বাঙ্ময় কিছু ধারাবাহিক, যাদের টানে আপনাকে চলে আসতে হবে গুরুর পাতায়, ঠিক শনিবারের বারবেলায়।
রবিবারের পড়াবই : পড়া বই নিয়ে কাটাছেঁড়া সমালোচনা, পাঠপ্রতিক্রিয়া, খবরাখবর, বই নিয়ে হইচই,বই আমরা পড়াবই।
বুধবারের সিরিয়াস৯ : নির্দিষ্ট বিষয় ধরে সাপ্তাহিক বিভাগ। ততটা সিরিয়াসও নয় বলে শেষে রয়ে গেছে ৯।
কূটকচা৯ : গুরু কিন্তু গম্ভীর নয়, তাই গুরুগম্ভীর বিষয়াশয় নিয়ে ইয়ার্কি ফুক্কুড়ি ভরা লেখাপত্তর নিয়েই যতরাজ্যের কূটকচা৯। কবে কখন বেরোয় তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।
হরিদাস পাল : চলতি কথায় যাদের বলে ব্লগার, আমরা বলি হরিদাস পাল। অসম্পাদিত ব্লগের লেখালিখি।
খেরোর খাতা : গুরুর সমস্ত ব্যবহারকারী, হরিদাস পাল দের নিজের দেয়াল। আঁকিবুঁকি, লেখালিখির জায়গা।
টইপত্তর : বিষয়ভিত্তিক আলোচনা। বাংলায় যাকে বলে মেসেজবোর্ড।
ভাটিয়া৯ : নিখাদ ভাট। নিষ্পাপ ও নিখাদ গলা ছাড়ার জায়গা। কথার পিঠে কথা চালাচালির জায়গা। সুতো খুঁজে পাওয়ার দায়িত্ব, যিনি যাচ্ছেন তাঁর। কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।
লগিন করে থাকলে ডানদিকের ভোজনতালিকায় যা পাবেনঃ
আমার গুরুঃ আপনার নিজস্ব গুরুর পাতা। কোথায় কী ঘটছে, কে কী লিখছে, তার মোটামুটি বিবরণ পেয়ে যাবেন এখানেই।
খাতা বা খেরোর খাতাঃ আপনার নিজস্ব খেরোর খাতা। আঁকিবুকি ও লেখালিখির জায়গা।
এটা-সেটাঃ এদিক সেদিক যা মন্তব্য করেছেন, সেসব গুরুতে হারিয়ে যায়না। সব পাবেন এই পাতায়।
গ্রাহকরাঃ আপনার গ্রাহক তালিকা। আপনি লিখলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকরা পাবেন নোটিফিকেশন।
নোটিঃ আপনার নোটিফিকেশন পাবার জায়গা। আপনাকে কেউ উল্লেখ করুক, আপনি যাদের গ্রাহক, তাঁরা কিছু লিখুন, বা উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটুক, জলদি পেয়ে যাবেন নোটিফিকেশন।
বুকমার্কঃ আপনার জমিয়ে রাখা লেখা। যা আপনি ফিরে এসে বারবার পড়বেন।
প্রিয় লেখকঃ আপনি যাদের গ্রাহক হয়েছেন, তাদের তালিকা।