এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ট্রেনের গল্প

    যদুবাবু লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ | ৩৫৬৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • লীলা মজুমদার লিখেছিলেন, গল্প হয় ভূতের, নয় চোরের, নয় বাঘের নয় প্রেমের ... তা আমার এ ইহজীবনে খাঁচার বাইরে বাঘ দেখার সৌভাগ্য হয়নি, আর শোনা সব বাঘের গল্পেই গরু আছে, কাজেই সেসব এখন মুলতুবি। তবে চোর আর ভূত দেখেছি গণ্ডা গন্ডা, আমাদের ওদিকে তো নাইটগার্ড বলে কিছু হয় না, সিঁধকাটা আর স্কন্ধকাটারাই দেখেশুনে রাখে। ওরাই ছাতে মাদুর পেতে ঘুমোয়, রাত্রে পাড়া টহল দেয়, ব্যানার্জীদের রকে বসে আড্ডা মারে, তিনপাত্তি খেলে - তবে হুট করে কাছে গেলেই তারা মিলিয়ে যায়, দু-একটা পোড়া বিড়ির টুকরো আর খালি ঠোঙা উড়ে বেড়ায় মৃদু বাতাসে ...
     
    তা এই রকের আড্ডায় যা দারুণ সমস্ত গল্প শুনেছি, বলবো একদিন, একটু রাত্তির করে বেশ জমিয়ে বসে, একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে। তবে উত্তর কলকাতার ভুত তো, ভয়-টয়ের কারবারে নেই, বরং বেশীর ভাগই বেশ লাজুক এবং নিতান্ত ছাপোষা। এই যেমন এক জেঠুমানুষ ছিলেন পাড়ায়, সাত্ত্বিক প্রকৃতির, মাঝে মাঝেই এসে গাঁটের ব্যাথার জন্য একদাগ আর্ণিকা আর আমাশার জন্যে অ্যালোজ নিয়ে যেতেন। বাবার কাছে শুনেছি জেঠ্যু সাধনোচিত ধামে পাকাপাকি চলে যাবার পরেও মাঝে মাঝে সকালে উদয় হতেন চেম্বারে, বাজারের লঙ্কা থেকে লাউ কেমন আগুন দাম বলে গজগজ করে দুই পুরিয়া ওষুধ নিয়ে চলে যেতেন ... অব্যেস তো, ডাই হার্ড!
     
    এই অব্দি পড়ে যদি ভেবেছেন যে ভর-সন্ধ্যায় ভূতের গল্প ফেঁদে বসেছি, ভুল করছেন। প্রেমের গল্প-ও নেই। যদিও আমার একান্ত ধারণা এই যে প্রেম অনেকটা ভূতের মতন ... আছে বলে বিশ্বাস হয়না, কিন্তু অন্ধকারে চেনা রাস্তায় তাও একা হাঁটতে ভয় হয় ...
     
    এটা আসলে ট্রেনের গল্প। আমার বাবা নেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথ, পেশায় রেল-কর্মচারী - বছরে দু-দুটো পাশ পেতেন আর আমরা পুজোর ছুটি, শীতের ছুটি দেদার ঘুরে বেড়াতাম এদিক-ওদিক। প্রায়ই প্ল্যান শুরু হতো পুষ্কর লেক দিয়ে, শেষ হতো পাশের পাড়ায় পুরীর বীচে। কখনো আবার হঠাৎ করে দেখতাম একগাদা কিচিরমিচির করা ফ্যামিলি নিয়ে চলেছি পাহাড়ে বা সমুদ্রে। ইস্কুল থেকে কলেজে উঠে তো আরো মজা, ফি বচ্ছর শিক্ষামূলক ভ্রমণ হয়, একজন অসহায় টিচার, আর একগাদা উচ্ছৃঙ্খল জনতা। আমাদের সেই ছোটো আর মাঝারি-বেলার সব গরমের ছুটি যদি একটা আঁতেল আর্ট ফিলিম হয়, তার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হবে শুধুই কু-ঝিক-ঝিক এবং ফাঁকে ফাঁকে 'চায়ে গ্রম চায়ে'। 
     

     
    হাওড়া থেকে ট্রেন ছাড়তো বেশ রাত্তিরে, আর বাড়ি থেকে স্টেশন যাওয়াই এক ঝকমারি কান্ড, ধরুন যাবেন বেনারস, মেরে কেটে ষোলো-সতেরো ঘন্টা - তার জন্য খাবার প্যাক হবে চার দফা, লুচি-আলুর দমের সঙ্গে মিষ্টি, মাঝে মাঝে উসখুস করলে চানাচুর, দু-একটা ফল-টল তো এমনিই চলে আসে। ঘুম থেকে যখন উঠতাম সকালে, আপার বার্থ থেকেই দেখতাম বাইরের মাঠের রঙ পালটে গেছে, সবুজ ফিকে হচ্ছে, আস্তে আস্তে ধূসর, মাঝে মাঝে সেই ভুষুন্ডির মাঠের ঠিক মধ্যিখানে একটা করে টেলিফোনের বা ইলেক্ট্রিসিটির টাওয়ার, বলা-নেই-কওয়া-নেই দু-একটা টানেল আসে হঠাৎ হঠাৎ করে... আর শহরতলি পেরোতে পেরোতে লেভেল ক্রসিং, ব্যস্ত মানুষ-গরুতে বিরক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর আপনি তাদের টা-টা করতে করতে চললেন হলিডে হোমে।
     
    বাবার কল্যাণে ফার্স্ট ক্লাসে উঠতে পেতাম, দরজা দেওয়া আলাদা কেবিন, বাথরুম থেকে ফিরে এসে দেখবেন না উটকো লোকে উঠে জায়গা নিয়ে গেঁড়ে বসে আছে, তবে জার্নিও নেহাৎই অ্যাডভেঞ্চারহীন, সে এসি টু-টায়ারে স্বামী ঘুটঘুটানন্দও উঠবেন না যোগসর্পের হাঁড়ি নিয়ে, সামনের বেঞ্চি থেকে জটায়ুও হঠাৎ বলে উঠবেন না, 'এখানে রোদের তেজ-ই আলাদা, সাধে কি আর লোকগুলো এতো পাওয়ারফুল?’। দূরপাল্লার ট্রেনে রেলের ক্যান্টিন থেকে খাবার আনানো হতো, সেসব অখাইদ্য খাবার কিন্তু ওই থালা গুলোর ওপর হেব্বি লোভ ছিলো, সুন্দর খাপ কাটা-কাটা।
     
    দামড়া বয়সে বন্ধুদের সাথে যাওয়ার সময় তো গোটা ট্রেন জার্নি-ই পেটের উপর কুজ্ঝটিকা ! একবার ঠিক হলো, হাওড়া-টু-দিল্লী প্রত্যেকটা স্টেশনে পুরি-তরকারি খেয়ে বেস্ট পুরি ঠিক হবে ভোটাভুটি করে, আরেকবার ঠিক হলো কোথাকার ঝালমুড়িতে কত ঝাল না জানলে জীবনটাই বৃথা। (এক দাদা আবার ঝালমুড়িতে ঝাল না পেয়ে আরেক আলুকাবলিওলা-র কাছে একটা কাঁচা লঙ্কা ধার চেয়েছিলো, বলেছিল ফেরার ট্রেনেও তো উনি-ই আবার উঠবেন, তখন না হয় একটা কাঁচা লঙ্কা ফেরত দিয়ে দেবে।) 
     
    সব গল্পেই একটা না একটা ভিলেন থাকলে জমে না, আমাদের ট্রেনের গল্পের ভয়ের মুখোস পরে থেকে থেকে হানা দিতো টিটিই-রা, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সবার হাতে টিকিট দেখে তবে ছাড়, একটু এদিক-ওদিক হলেই। বাঘে ছুঁলে যদি আঠারো, পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ। টিটিই ছুঁলে কত হয় তা যাঁরা টের পেয়েছেন সে হতভাগারাই জানেন, এই যেমন আমি!
     
    আমাদের কলেজের সেকেন্ড ইয়ার, গোয়া যাওয়া হবে, এক্কেবারে শিক্ষামূলক ট্যুর। যাওয়ার আগের দিন ভোররাত্রে জানা গেলো কোনো এক মহাপুরুষ গোটা কলেজের গ্রূপ টিকিট ঝেঁপে দিয়ে নীরব মোদী হয়ে গেছেন। এদিক আমাদের সমবেত পুচ্ছে হালকা করে হাম্পু ! কিন্তু সে নতুন জওয়ানির জোশ, একবার ছাড়া পেলে ধরা মুশকিল, ঠিক হলো ট্রেনে উঠে পড়া হবে, তারপর ম্যানেজ দেওয়া যাবে। সে যা জম্পেশ ট্রেন জার্নি হয়েছিলো, র‍্যামসে ব্রাদারকেও হার মানায়, দমবন্ধ সাস্পেন্সের মাঝে নতুন নতুন রিউমার, কেউ বলছে দুটো স্টেশন পরে রেল-পুলিশ দাঁড়িয়ে  হাতকড়া গুনছে, কিন্তু এতো বিশাল গ্যাং বলে হয়তো কোমরে দড়ি-ই নিয়তি, আশাবাদীরা খবর আনছে কোন সিনিয়রের বাবা নাকি কোন মিনিস্টারের খাস বন্ধুর পাশের ফ্ল্যাটেই পার্টি করে , গায়ে হাত দিলেই একটা ফোন, গোটা রেল কোম্পানি উঠে যাবে। (শেষমেশ কি করে পৌঁছেছিলাম, ঠিক জানিনা, আজ-ও!) 
     
    তবে এক মাঘে শীত যায় না, বিশেষ করে বাঙ্গালীর তো নয়-ই। দিল্লী থেকে ট্রেনিং শেষে ফেরার দিন, বন্ধুরা জোরকদমে প্যাক করছে, আমি জানি আমার টিকিট পরের দিন, আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের টিকি(ট)-ও আমার জিম্মায়, আজ রাত্রে বরং সাঁটিয়ে রাজিন্দর ধাবায় তন্দুরি খাওয়া যাক। পরের দিন পূর্বা এক্সপ্রেস ধরতে যখন স্টেশানে পৌঁছলাম, পানু জিগ্যেস করলো, "টাইমটা ঠিক দেখেছিস তো? সাড়ে চারটে?" আমি পকেট থেকে টিকিট বের করে দেখি হ্যাঁ টাইম-এ ভুল হয়নি, ট্রেনটা একদিন আগেই ছেড়ে চলে গেছে । ভাগ্যি দুজনের পকেটে মিলিয়ে অল্প টাকা ছিলো, টিটি এসে জেনারেল ক্লাসে তুলে দিলো। বাথরুমের পাশে, লোকে হিসি করছে আর মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে বিড়ি ফুঁকছে, আর দরজার বাইরে পা ঝুলিয়ে বাড়ি ফিরছি আমরা ...
     
    ব্যাপারটা রোম্যান্টিক ভাবছেন? আদৌ না ... এই ধরুন যাচ্ছেন মনের আনন্দে গান গাইতে গাইতে, আগের কামরার ফ্যামিলির ডিনার শেষ হলো। হঠাৎ বসে বসে দেখবেন একের পর এক মিসাইলের মতো এটোঁ পাতা আর প্লাস্টিক জানলা থেকে ধেয়ে আসছে আপনার দিকে, অনেক ডজ করে যাও বা সে পুষ্পবৃষ্টি এড়ালেন, শুরু হলো কুল্কুচি করা জলের বন্যা। পানু ছেলেবেলায় যোগাসন আর জিম্ন্যাস্টিক, দুয়েই চ্যাম্পিয়ন ছিলো - হঠাৎ এক অপোগন্ড কুচো আর তার বাপ-মা সভয়ে দেখলো, রাতের অন্ধকারে পূর্বার জানলার শিকের বাইরে দিয়ে একটা ভয়াবহ রোদে পোড়া, দাড়িয়াল মুন্ডু, সে বাংলা-মেশানো হিন্দিতে শাসাচ্ছে ; “ফির সে জানলা দিয়ে কচড়া ফেঁকলে তার গুষ্টি কি তুষ্টি!”
    আমার বিশ্বাস স্বচ্ছ ভারত অভিযানের প্রথম সেনানী সে-ই - আমার বন্ধু পানু ...
     
    আর ভয় ছিলো রেল-গার্ডদের, বিশেষ করে যদি বিড়ির নেশা থাকে, দরজার কাছে গিয়ে এক বন্ধু খাবে আর আরেকজন গার্ড দেবে দেখার জন্য কেউ আসছে কিনা ... কেউ কেউ আরেকটু কড়া বিপ্লবী, কাউকে কিছু না বলে ঢুকে পড়তো বাথরুমে। এইরকম-ই একজন ছিলো মাতাল, মনের আনন্দে সিগারেটে শেষ টান টা দিয়ে যেই বেরোবে, দ্যাখে বাইরে রেলের গার্ড হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে। মাতলু-ও চুঁচড়োর খুনখার আদমি, হাত তুলে বললো, "কই সিগারেট কিধার? সার্চ কিজিয়ে!" রেল গার্ড দেখলো বিপ্লবীর উত্তোলিত হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরা এক-প্যাকেট দেশলাই! 
     
    স্লিপার-ক্লাসে হরদম উঠতো নানারকমের খাবার-দাবার, আর উঠতো অনেক অনেক টিকিট-ছাড়া যাত্রী, এক কোণে টুক করে বসে পড়ে তাঁরা সমাধি লাভ করতেন - তারপর যাই জিগ্যেস করুন, "কোথায় যাবেন? সিট কোথায়? মামার বাড়ী পায়া হ্যায় ক্যায়া?" - সবের-ই উত্তর সেই এক, নির্বিকার নৈঃশব্দ ! সে এক তুমুল ক্যেওস - হঠাৎ সবাই দেখলো ট্রেনের সব কামরায় হইচই, খালি মাঝে একটি আশ্চর্য মরূদ্যান ! জানা গেলো সেই কামরায় যাতায়াত করছেন আমাদের আরেক দাদা, যার অনেক অতিমানবিক ক্ষমতার মধ্যে একটি হচ্ছে যোজনগন্ধী পায়ের মোজা ... যেখানে তিনি শ্রীচরণকমল দুখানি ন্যস্ত করতেন, কয়েক মাইলের মধ্যে মশা-মাছিরাও টুপটাপ মরে ঝরে পড়তো আকাশ থেকে। তারপর থেকে কতবার যে তিনি বিপদভঞ্জন হয়ে এসে দাঁড়িয়েছেন দুর্ভ্যেদ্য জঙ্গল থেকে দুরন্ত এক্সপ্রেস, শুনলে লোকনাথ বাবাও নতুন চাকরি খুঁজবেন।
     
    লিখতে লিখতেই অনেক ভাবলাম, নাঃ আমার শেষ দূরপাল্লার ট্রেনজার্নি সেই দিল্লী টু হাওড়া, বাথরুমে পাশে মেঝেতেই। এদিক-ওদিক খুচরোগুলো বাদ দিলে।  আর মনে পড়লো, আমার সেই বন্ধুর এক ছাত্রের কথা। তার বাবা-মাও আমাদের লাইনের, অঙ্ক কষে জীবন কাটিয়েছেন, ছেলেকেও সেইদিকেই ঠেলাঠেলি করতেন। আমাদের ট্রেন-কাহিনী যখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে, ছেলেটি সাহস পেয়ে বাবা-মা কে গিয়ে বললো, 'দেখেছো তো সারাজীবন গাঁতিয়ে অঙ্ক করলে কি দশা হয়? আমি বরং ফিজিক্সটাই মন দিয়ে পড়ি' ...

     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ | ৩৫৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 27.57.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৩২501929
  • সত্যি, ট্রেন জার্নির মজাই আলাদা :-) আমি আর আমার বৌ একবার গোয়া থেকে চেন্নাই ফিরেছিলাম ট্রেনে করে, সেটা আমার লাস্ট লং ডিসট্যান্স ট্রেন জার্নি । দুধসাগর ফলসের পাশ দিয়ে, ওয়েস্টার্ন ঘাটের ওপর দিয়ে।  
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৪১501930
  • কেন জানি আমার রামেশ্বরমের ট্রেনে চড়ার খুব ইচ্ছে। একবার কে যেন বলেছিল, সমুদ্রের উপর দিয়ে রেললাইন, হু হু করে ট্রেন চলছে, দুপাশ থেকে সমুদ্রের ঢেউ এসে ঝাপ্টা মারছে। সেইরকম ট্রেন হল রামেশ্বরমে। সেই থেকেই সেই ট্রেনে চড়ার ইচ্ছে। আবার ওখানে একটা বিরাট লম্বা বারান্দাও নাকি আছে কোন এক মন্দিরে। সেই বারান্দাও দেখতে হবে।
  • dc | 27.57.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৪১501931
  • ট্রেন থেকে তোলা ওয়েস্টার্ন ঘাটসের ছবি 
     
  • dc | 27.57.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৪৪501932
  • রামেশ্বরমের ট্রেনে চেপেছি, সমুদ্রের ওপর দিয়ে যে জায়গাটা সেটার নাম পম্বম ব্রিজ। সেও দুর্দান্ত এক্সপি। তবে কিনা রামেশ্বরম অসাধারন রকম নোংরা যায়গা, ওরকম নোংরা শহর সহজে দেখা যায় না। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৪৭501933
  • এখন স্বচ্ছ ভারত অভিযানের পাল্লায় পড়ে গেলে রামেশ্বরম পরিচ্ছন্ন ঝকঝকে হয়ে যাবে। তখন যাবো সেই ট্রেনে। আহ। সত্যি আছে তার মানে ওরকম ট্রেন। সমুদ্রের উপর দিয়ে যেতে যেতে ঝালমুড়ি খাবো। আহ, আহ আহ। থ্যাংকু ডিসি, থ্যাংকু।
  • Abhyu | 47.39.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৫৯501935
  • বেশ লাগল। আর হোমিওপ্যাথি শুনে আরো ভালো। এক সোসেন ছিল (যদিও ওর ভাগী আমায় হ্যাটা দিত) হোমিওপ্যাথির সমব্যথী আর দেখি তুই। বেশ বেশ। আর একটা জেঠ্যু আছে, টাইপো কারেক্ট করে দিস।
  • যদুবাবু | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:১১501936
  • @dc, &/: দুধসাগর ফলসের পাশ দিয়ে কয়েকবার গেছি, সত্যিই অনবদ্য। ওর কোনো তুলনা নেই। রামেশ্বরম খুব খুব ইচ্ছে, কপালে আছে কি না কে জানে। 
     আর ছবিগুলো চমৎকার ! হাতছানি দিচ্ছে যাকে বলে। থ্যাংকু ! 
     
    @অভ্যু দা: হোমিপ্যাথি ঈশ্বর বিশ্বাসের মত, মানে তর্কে বহুদূর। :D 
    টাইপোটা অবশ্যই ঠিক করে নেবো। যদিও ওটাই প্রুফ যে রোবোট লেখে নি। :) 
     
     
     
  • Abhyu | 47.39.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:২৪501937
  • আর ঐ ISIএর ট্রেনের রিজার্ভেশনের গল্প চিরন্তন। একবার আমরা পুরো বগি দখল করলাম। দরজার পাশে কাগজ সাঁটা হল রিজার্ভড ফর আই এস আই (GOVT)। বিশ্বাস করবি না, খুব কাজ দিয়েছিল - চেকার ঘুষ যা নেবার নিয়েছিল - কিন্তু বিহার আর ইউপি খুব পীসফুলি পেরিয়ে গিয়েছিল।
  • kk | 68.184.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:০০501940
  • চমৎকার লাগলো যদুবাবুর গপ্প আঁকা, ছবি লেখা।
  • যদুবাবু | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:২৮501941
  • @ অভ্যু দা, একা আয়েসাইতে রক্ষে নেই, আবার ব্র্যাকেটে (গভ:)। যেন দুলাল চন্দ্র ভড়ের পাশে সরকারি (R) চিহ্ন laugh কিন্তু এই বুদ্ধিটা যদি আমাদের শিখিয়ে দিতে।  
     
    @kk থ্যাংক ইউ :) 
  • Nirmalya Bachhar | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৩৭501944
  • অনেক দিন পরে লিখলি। এবারে জমিয়ে ভূতের গপ্পোগুলো লেখ দিকি! 
  • :|: | 174.25.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৪৬501947
  • খুব ভালো। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং "গণ্ডা গন্ডা"। 
  • Ranjan Roy | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৩:১১501949
  • যদুবাবু 
    একেবারে ডি লা গ্র‍্যান্ডি মেফিস্টোফিলিস!!!
    ভূতের গল্প? 
     
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:4c0d:87a5:27a8:***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৩৪501953
  • সুন্দর লেখা।
  • syandi | 45.25.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:২৯501954
  • জব্বর লেখা যদুবাবু। 
     
    অভ্যু, ISI লেখা কাগজ সাঁটিয়ে গোবলয়ের উপর দিয়া যাওয়া কিন্তু বিশাল সাহসের ব্য়াপার। ভারতবর্ষের আমজনতা ISI বলতে কিন্তু পাকিস্তানের ISI-কেই বোঝে।
  • Ranjan Roy | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:৩৯501955
  • হয়তো সেই ভয়েই
  • যদুবাবু | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:০৮501956
  • @সে, Syandi, রঞ্জন-দাঃ থ্যাঙ্ক ইউ, থ্যাঙ্কু। 

    রঞ্জন-দা, ভূতের গপ্পো কিন্তু সবথেকে ভালো লেখে একদম বাচ্চারা, আমার কুমুদির জন্য গল্পের জন্য  আঁকতে/পড়তে গিয়ে তাই মনে হয়েছে। কল্পনার উপরে রেস্ট্রিকশন থাকে না বলেই হয়তো। 

    @মাল্লোঃ এটা তো আসলে পুরোনো লেখা কিন্তু ছবিটা নতুন। ঐ লেখাগুলো সব ঝাড়পোঁছ করে ইলাস্ট্রেট করে করে দেবো যদ্দিন না নতুন কিছু লিখছি। আশা করছি শীতের ছুটিতে আর কিছু না হোক 'টিউশনি'র খান দুয়েক শেষ করতে পারবো। 

    @syandi: আগে ভাবতাম প্রশান্তবাবু জানলে নিশ্চয়ই অন্য একটা নাম রাখতেন। এই যেমন আগের ইউনিতে ঢুকে দেখি যে ওদের ইমিগ্রেশন অফিসের পূর্বতন নাম ছিলো ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কলারস, ইনিশিয়ালস ধরলে আইসিস। বেচারাদের টিশার্ট, কফির মগ, লোগো, ওয়েবসাইট - কী না কী যে পাল্টাতে হয়েছে তার হিসেবনিকেশ নেই। 
  • | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:৩৬501957
  • আহ চমৎকার। 
    ট্রেনজার্নি তো এই কালকেই ১৬ ঘন্টা জার্নি করলাম ডিব্রুগড় থেকে নিউ জলপাইগুড়ি। ২রা অক্টোবর পুণে থেকে হাওড়া এলাম। সেটা ৩০ ঘন্টার জার্নি ছিল। 
  • ভাষা ভাষা | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:৫০501961
  • ওঃ! দারুণ! হাওড়া-টু-দিল্লি প্রত্যেকটা স্টেশনে পুরি-তরকারি খেয়ে বেস্ট পুরি নির্বাচন ভাবনাটাই মারকাটারি আর সত্যি  সত্যি করতে পারলে তো হাসপাতালের বিছানায় হাফ-শুয়ে শুধু ভোটাভুটি নয় এমনকি আছে-বলে-বিশ্বাস-হয়-না একটা প্রেমের উপন্যাসও নেমে যেতে পারত!
  • যদুবাবু | ১১ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:৩০501974
  • @দ-দিঃ দারুণ ব্যাপার তো। লম্বা জার্নিতে জানলার পাশে বসে দুলতে দুলতে একটা নতুন বই পড়তে পারছো আর পাহাড়ের উপর দিয়ে সূর্যের টুকি দেওয়া দেখছো, ভেবে একটু হিংসেই হচ্ছে। 

    @ভাষা ভাষাঃ থ্যাঙ্কিউ! আর ঐ দাদাঠাকুর যেমন বলেছিলেন, সেই সব এক্সপেরিমেণ্টের জেরেই এখন পেট-riot হয়ে বিছানায় ছটফট করি, তবে এতে মোট্টে দমে যাবো না। :D 
  • Nirmalya Nag | ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:২৮502019
  • ট্রেন যাত্রা আর ফেরিওয়ালার খাবার একে অন্যের পরিপূরক। অনএক বছর আগে ফালাকাটা থেকে কাটিহার যাওয়ার পথে টক দইও খেয়েছি। সাউথ শিয়ালদা সেকশনের ফটাস জল তো এক্সক্লুসিভ। তবে মেচেদার স্টেশনে ওঠা তেলেভাজা - আহা!
  • Mousumi Banerjee | ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৩:০৭502047
  • দারুণ! দারুণ!!!
  • জয় | 82.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:১৯502155
  • অসাধারণ যদুবাবু 
    বিশেষতঃ “ফির সে জানলা দিয়ে কচড়া ফেঁকলে তার গুষ্টি কি তুষ্টি!”
    পড়ছি বারবার আর হাসছি বেদম!
  • যদুবাবু | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:১০502156
  • আমি খেয়াল-ই করিনি শেষ কয়েকটা কমেন্ট অ্যাদ্দিনে। কী কাণ্ড! 

    @জয়-দাঃ থ্যাঙ্ক ইউ ! এটা কিন্তু নির্জলা সত্যি। সেই বন্ধু এখন কর্নেলের প্রোফেসর, স্ট্যাটেই। এই শীতের ছুটিতেই তার বাড়ি ইথাকায় যাচ্ছি আমরা আড়াই জনে মিলে, তবে আড়াইয়ের আধ একটি কুকুরছানা তাই ট্রেনে চড়ে নয়, সোওজা লম্বা রোডট্রিপ। ট্রেন মিসের ভয় নেই। 

    @মৌসুমীঃ ধন্যবাদ। 

    @নির্মাল্য-বাবুঃ তিন-এ দুই পেলাম - ফটাশ জল খেয়েছি, তেলেভাজাও। কিন্তু দই তো খাওয়া হয়নি। মনে রাখলাম, একদিন না একদিন ... সত্যিই হাজারোঁ খোয়াঁইশে অ্যায়সি ... 

     
  • Abhyu | 47.39.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:০৭502160
  • "পানু জিগ্যেস করলো, "টাইমটা ঠিক দেখেছিস তো? সাড়ে চারটে?" আমি পকেট থেকে টিকিট বের করে দেখি হ্যাঁ টাইম-এ ভুল হয়নি, ট্রেনটা একদিন আগেই ছেড়ে চলে গেছে ।"

    প্রায় এই রকম অভিজ্ঞতা আমারো। রভিতেজা বলে একটা সাউথ ইন্ডিয়ান ছেলে আমাকে কাতর অনুনয় করেছিল টাকা ধার দিতে। বাড়ি যাবে। ও নিজে যে টিকিটটা কেটেছিল সেই ট্রেনটা ঠিক এক মাস আগে স্টেশন ছেড়ে গিয়েছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন