সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। হাজার হাজার বছর আগের তো বটেই! অবশ্য হাজার হাজার-ই কিনা হলফ করে বলা মুশকিল, তবে ঘটেছিল যে অনেক দিন আগে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। মোটের ওপর ঘটনাটা পুরনো, তবে পুরাণের গল্প নয়, সে তুলনায় বেশ আধুনিকই! ওই ইতিহাসের খাঁজ-খোঁজে ফসিল হতে থাকার এক বিরামহীন তোড়জোড়ে হঠাৎ-আবিষ্কার আর কী!এক দেশে ছিল দুই ফেরিওয়ালা। দু’জনই পুরনো জিনিসের বিনিময়ে নতুন জিনিস বিক্রি করত। তুল্যমূল্যে — অবশ্যই ফেরিওয়ালার বিচারে, পুরনো জিনিস সংখ্যায় ও দামে কম মনে হলে ক্রেতাকে কিছু নগদও দিতে হতো বৈকি। কিছুদিন আগে অবধিও খুবই দেখা যেত পুরনো জামাকাপড়ের বদলে স্টেইনলেস স্টিল-এর বাসন-কোসন-এর এক অদ্ভুত বার্টার ... ...
না। না। আমি জানি সবারই দু’টো করে নাম হয়! আমার খুব ইচ্ছে আমারও দু'টো নাম থাকুক। দু’টো করে নাম? হ্যাঁ। ডাকনাম আর ভালোনাম। ... ...
আমার স্ত্রীর নাম সত্যবতী। আমার নাম শান্তনু। থুড়ি পরাশর। কোনও পূর্বাভাস ছাড়া হঠাৎ-ই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল। গাইডের ভাষায় অবশ্য বৃষ্টি পড়ে এখানে বারো মাস, তেমনটাই নাকি সাধারণ পূর্বাভাস। ... ...
ডোনা আমাদের পাড়ায় একেবারেই বেমানান। ওরকম নামের মেয়ে আমাদের পাড়ায় হয় না। আমাদের পাড়ার মেয়েদের নাম হবে লক্ষ্মী অথচ শরীরে কোনও লক্ষ্মীশ্রী থাকবে না। থাকবে কী করে? পেট পুরে কোনোদিন খেতেই পায় না। কিংবা নাম হবে সরস্বতী। যার পেটে এক আনাও বিদ্যে নেই। ... ...
ডলি আর আমার প্রেম মহাকাব্যিক। সেই সময়টায় ডলি আর আমাকে যখন তখন যত্রতত্র যেভাবে দেখা যাচ্ছিল, তাতে এ ঘটনা ঘটারই কথা! ওরকম একে অপরের দিকে নিষ্পলক, তা-ও যেখানে সেখানে। ঠিক ভাবে বলতে গেলে কোথায় নয়? নন্দন চত্ত্বরে, সিটি সেন্টারে, শুধু অরিজিনালেই নয়, এমনকী টু-তেও। ... ...
অনেক অনেক দিনের টালবাহনার পর তিথির মা একদিন আমায় সত্যিই ডেকে পাঠালেন। সে একটা সময় ছিল, যখন আমি প্রায় রোজই ভাবতাম — আজ না হলে কাল বা বড়জোর পরশু কাকিমা আমায় ডাকবেনই ডাকবেন। তারপর ঘটনার গতিপ্রকৃতি এমন দিকে মোড় নিতে থাকল যে একসময় একরকম বাধ্য হয়েই সে আশা ত্যাগ করলাম। তারপর একসময় প্রায় ভুলেই যেতে বসেছিলাম। না, তিথিকে নয়। তিথির মা’কে। মানে তিথির মায়ের ডাকের কথা। ... ...
বুল্টির সাথে আমার প্রেম তখন যাকে বলে রীতিমতো জমে উঠেছে। একে বারে জমে ক্ষীর। নদী নিজের খাত এমন নির্দিষ্ট করে ফেলেছে যে অন্য কোনও দিকে বয়ে যাওয়ার আর কোনো উপায়ই নেই! তা বলে কি এঁকেবেঁকে যাওয়া নেই? উচ্চ-নীচ নেই? জলের কম-বেশি; ত্বরিৎ-তিরতির, স্রোতের এদিক-সেদিক নেই? নিশ্চয়ই আছে। তবে অভিমুখ ততদিনে একেবারে নিশ্চিত। যাকে বলে ষোলো আনার ওপর আঠেরো আনা। একশো শতাংশের ওপর একশো সাড়ে বারো শতাংশ নিশ্চিত। ... ...
1 ²²ßîìHIò²ßþ éëóÙ Áëáë²ßþ õr´á زÉÜ âëó²ßȱ ²ßóä ²ßþíìزáóزë гóá Õ²òó²Ô²óϳ¸ Çó²ßȱ²ßëó²ßþ гóá t²í²ßþ! ܳڳí ìÜóг²ßþ Éëز ÇáÜ ìÜì³Úý³©» ²ßȱó²ßþ õÞ²óäóϳ õâ Dzßþ ÁÜø õ²ßȱëÜÆ ì³Ú³ó²ßȱ ²ßóâþ âëÆâþë²ßþ Áë²ßþ ... ...
নাঃ! এবারও হল না! অশোকদা যখন একের পর এক, কে কোন চরিত্রে বলে যাচ্ছে আর ওরটা পার করে আরও খানিক এগিয়ে গেছে, তখন অনেকদিন বাদে পার্থর সহদেবদার মুখটা মনে পড়ে গেল। সহদেবদা ওদের বাড়িতে দুধ দিত। শুধু ওদের বাড়ি কেন, বস্তুত ওদের পাড়ার বেশির ভাগ বাড়িতেই ভোরবেলা মানে সহদেবদা। বড়দের ভাষায় সহদেব গোয়ালার একচেটিয়া মৌরসিপাট্টা। ... ...