নিজের লেখা প্রসঙ্গে নিজেই মতামত দেওয়া (তা-ও আবার ‘প্রথম মতামত’ হিসেবে) নেহাতই রুচিবিরুদ্ধ। এ কোনও মতামত নয়, এ কৈফিয়ত।
আমি এক প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষ। Indica2000 নামে এক সফ্টওয়ারে geetanjali2k বলে এক font-এ লিখে থাকি। এই সফ্টওয়ারে সম্ভবতঃ ভূ-ভারতে এখন আর কেউ লেখে না। তো গুরুচণ্ডা৯-র ‘যেমন খুশি’-তে ভেবেছিলাম পড়া যাবে। গুরুচণ্ডা৯-র ‘দেখে নিন’-এ পরিষ্কার পড়াও যাচ্ছিল। আমি সেই উৎসাহে জমা দিয়ে দিলাম। তার ফল তো দেখাই গেল (২৫ মার্চ, ২০২১ – খেরোর খাতা)। ছিল বাংলা, হয়ে গেল হিব্রু (তাও সত্যি সত্যি হিব্রু হলে, কেউ চাইলে পড়তে পারত)। আসলে আমার ল্যাপটপে software-টা download করা আছে বলে যে গুরুচণ্ডা৯-তে প্রকাশিত লেখাটা পড়া যাচ্ছে, নাহলে যে যেত না তা আমি বুঝতে পারিনি। এরকম একটা অপ্রস্তুত, থতমত পরিস্থিতিতে পড়ে এবং অন্যদেরও তাতে ডুবিয়ে আমি অত্যন্ত দুঃখিত ও লজ্জিত।
এই লেখাটা আমি লিখি ২০১৪ সালের অক্টোবরে। একবার ভেবেছিলাম রমানাথ রায়কে লেখাটা পাঠালে কেমন হয়? তবে ওই ভাবাই সার। অবশ্য কীভাবে পাঠাব তা-ও জানা ছিল না। তবে সবচেয়ে বড় কারণ বোধহয় আমার অতলান্ত আলস্য। আমার আরও অনেক লেখার মতো এটাও পড়েই ছিল। তবে মানুষটা চলে যেতে মনে হল, সব আলস্য ঝেড়ে উঠে দাঁড়ালেও তো আর তাঁকে পড়ানো যাবে না! দেখি গুরুচণ্ডা৯-তে পাঠিয়ে, যদি কেউ পড়ে! তবে বিপর্যয় এত তীব্র হবে, কেউ পড়ার সুযোগই পাবে না অতটা ভাবি নি।
প্রথমবার যে শিরোনামে পাঠিয়েছিলাম এবার সেটা বদলে দিলাম। সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ঘরানার অনুষঙ্গে, গোদারীয় ঢঙে গল্পের নামটার বদল করা হল।
আরেকবার পাঠিয়ে দেখছি। দেখা যাক এবার কী ঘটে!
লেখাটা খাসা হয়েছে। আরও খাসা হয়েছে কারন আমার নিজের জীবনেরও দুয়েকটা কথা মনে পড়ে গেল :-)