এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৫ মে ২০২১ ১২:০৬106003
  • চারমিনার। পাঁচ পয়সায় দুটো, পানামা একটা। নাকতলার বন্ধুদের ধারণা চারমিনারে টিভি হয়। ওরা আমায় পানামা দিলে কাউন্টারে বদলে দুটো চারু। 


    নাকতলা মাঠের আলোআঁধারিতে একটি মেয়ে প্রপোজ করেছিল। আমার বয়স আঠেরো। সেই অহংকারে   বর্বরের মত ধোঁয়া ছেড়ে বলেছিলাম-- চারমিনারের   ধোঁঁয়াায় বুুক ভর্তি, তোমায়    কোথায় বসতে দেব?


    ভগবান সব দেখছিলেন।


    একবছরের মধ্যে দুই বুকে চাঁদের পাহাড় নিয়ে শয্যা শয্যাশায়ী হলাম। বাকিজীবন কেউ প্রপোজ করল না।


    মাঝেমাঝে স্বপ্নে হাতে আসে চারমিনার।  কিন্ত  হাওয়া আড়াল করে ধরানোর মুহুর্তে করুণ মুখে মা এসে সামনে দাঁড়ায়।

  • যদুবাবু | ১৬ মে ২০২১ ০১:১২106057
  • উফ ! রঞ্জন-দা ... কী লিখলেন ! সুনীলের অল্পবয়সের কবিতার কথা মনে পড়ে গেলো। 


    আরেকটু শুনি, আরেকটু শুনি। নাকতলার মাঠের গল্প, চারমিনার - পানামা - আলো-আঁধারির গল্প। :) 

  • a | 220.244.***.*** | ১৬ মে ২০২১ ১৮:৫৯106099
  • এহেহে যদুবাবু তো নেহাতই পোলাপান। ফ্লেকের জন্মই তো হল চোখের সামনে, আমরা টেস্ট করে করে জায়গা দিয়েছিলাম, চার্মস, রিজেন্ট আর স্পেশালের পাশে। 


    হলুদ প্যাকেটে চারমিনার আর কালো প্যাকেটে ক্যাপস্টানের আনফিল্টার, যার প্রচলিত নামে কিনতে গিয়ে দোকানদারের কাছে খিস্তি খেয়েছিল কে যেন একটা, এর সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে ফ্রান্স এর বিস্বজয় আর পোর্তুগালের ইউরো জয়ের লাইভ। 


    তবে এসবই কলকাতায়। গঙ্গা পেরিয়ে বিক্কলেজে মাইরি খেতাম শুধু বিড়ি। আড়াই টাকায় এক প্যাকেট ছোট শ্রমিক, নাতিদীর্ঘ টাইট বডি। বড় শ্রমিকও ছিল বইকি, আর ছিল লাল আর বেগুনি সুতোর, ব্যাক্তিগত দ্বিতীয় পছন্দ। 


    এইসব। টুকরো কথা। 

  • kk | 97.9.***.*** | ১৬ মে ২০২১ ২১:২৮106108
  • খুব ভালো লাগলো পড়তে যদুবাবু।

    "মনে হয় যেন আমাদের পোকায় কাটা জীবনের ছোট্ট-ছোট্ট ফাঁক-ফোঁকর গুলো কি সুন্দর ভরে যেতো সিগারেটের ধোঁয়ায় ... সেই ফাঁকগুলো বিশাল বড়ো মনে হয় ..." এই এক্সপ্রেশনটা অনবদ্য!



    এর পরে একটা সময় আসে যখন ঐ ফাঁকগুলো যে আছে, ছিলো, তা আর মনে পড়েনা। কত স্মৃতিই কীরকম ট্রিক প্লে করে! 

  • যদুবাবু | ১৬ মে ২০২১ ২৩:৪৫106112
  • @a - চার্মস আর রিজেন্ট খুব মনে আছে। কয়েকটা কোম্পানির বিজ্ঞাপন খুব-ই ভালো লাগতো (এই যেমন নিচের-টা, যৌবনের কবীর বেদি)। এখন অবশ্য মনে হয় না লাগলেই মঙ্গল ছিলো। একরকমের রোম্যান্টিসিজম যে তৈরী হয়েছিলো, আর সে যে এখনো কাটেনি, এ কথা তো অস্বীকার করে লাভ নেই। 
    আর পোলাপান তো রেফারেন্স ফ্রেমের উপর। নিজেকে তো নিজের হিজল দাগড়া ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। আবার আমার চোখে যারা পোলাপান, তারাও মনে-মনে পলিটবুড়ো। তবে খুব পোলা নই, ফ্রান্সের বিশ্বজয় তো ৯৮?  তার কয়েকদিন পরেই ঐ দোকানেই যদুবাবুও ভয়ে ভয়ে সিগারেট কিনেছেন। 

    'কে যেন একটা'-কে বলুন না একটু সেইসব গল্প করতে? :) 

    @kk - যা বলেছেন। হয়তো এ-ও একরকমের সার্ভাইভাল স্ট্রাটেজি। আমার এক গেঁজেল বন্ধু ্বলতো গাঁজা খেলে নাকি সে কিছুতেই মন খারাপ করতে পারে না, আর কেটে গেলেই অলি-গলি-মেলানকলি। আমি তাকে বিশ্বাস করে খেয়েটেয়ে দেখেছি, খেলেই ভয়ানক দুঃখ হয়, নিজেকে ট্রাজেডি নাটকের চরিত্র মনে হয়। কে জানে কার মগজে কেমন কল কোন বাতাসে নড়ে? 



     

  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ১৭ মে ২০২১ ০১:০২106114
  • যাক অ্যাদ্দিনে গুরুতে একজনকে অন্তত বুক চিতিয়ে বিড়ি ফোঁকার গপ্পো বলতে শুনলাম। আমাদের সময়ে এক বান্ডিলে ২৫টা বিড়ি, ২৫ পয়সা। আমরা বলতাম এক 'তাড়া' বিড়ি অনিলদা। সেই সময়ে চারমিনার ছিল ১০ পয়সা, প্যাকেট এক টাকা। সেই চারুতে জিভের লালা লাগলেই তাকে অবধারিতভাবে লাথি মারা হত। মারত পরে যে কাউন্টারটি টানবে সে। তাপ্পরে নেভি কাট, প্যাকেট ছিল ৬ টাকা ৩০ পয়সা। খুচরো বিক্রি ৬৫ পয়সা পিস। বুদ্ধি করে ৮টা ৫টাকায় কেনা হত। দোকানিকে বিজ্ঞের সুরে বোঝাতাম বাকি দুটো তো ৬৫ করেই বেচতে পারবেন। এখনও যেখানে বেড়াতে-টেড়াতে যাই কালেভদ্রে, সবার আগে পকেটে ওই তিনটে জিনিস থাকে। আর যে জায়গায় ধূমপান নিষেধ, সেখানে ধোঁয়া টানার মজাই আলাদা। নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে কি না!


    ও হ্যাঁ, ঋত্বিকের বিড়ির দোকানে ধার হয়েছিল ৮০ টাকা। সেই টাকা শোধ হয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে কবি নীরব।

  • Ranjan Roy | ১৭ মে ২০২১ ১২:২৯106137
  • সজনী, কথাটি কই গোপনে,


    চারু বিনা বিপ্লব হবে কেমনে?


    দিয়া চারুতে সুখটান,


    রাখি সর্বহারার মান,


    তাই মাঠে ঘাটে হয়না বিপ্লব 


    (আখর:আহা ক্ষেতখামারে হয়না বিপ্লব,  কারখানাতে হয়না বিপ্লব)


    হবে চায়ের দোকানে,


    চারু বিনা বিপ্লব হবে কেমনে?

  • সম্বিৎ | ১৭ মে ২০২১ ১২:৩৬106138
  • অতি সুখপাঠ্য। সুইটেস্ট সংস আর দোজ ...। আমি আজ পাঁচ বছর ক্লিন। কিন্তু এখনও মাঝরাতে চাঁদ ডাকে, আয়।

  • Ranjan Roy | ১৭ মে ২০২১ ১৮:৪৭106150
  • নাকতলা স্কুলের ব্যাকবেঞ্চে বসে ফুসুর ফুসুর করা আমাদের চার বন্ধুর নাম রাখা হোল সিগারেটের ব্র্যান্ডের নামে। সমীর চারমিনার মজুমদার,  অনিরুদ্ধ পাসিং শো বোস, দীপেন 'বাস' সাহা, আর রঞ্জন পানামা রায়। হ্যাঁ , তখন প্যাকেটের গায়ে দোতলা বাসের ছবিওলা একটা ব্র্যান্ড ছিল, বেশিদিন চলেনি।


     চল্লিশ বছর পরে কোলকাতায় গিয়ে দেখি 'পাসিং শো' নেই হয়ে গেছে। চারমিনার চলে গেল গত বছরে। নিয়মিত আড্ডা দিয়েছি। দীপেন বাস সাহা গেছে দু'মাস আগে কোভিডে, বিশ্বের প্রতি বুকভরা অভিমান নিয়ে। এখন টিকে আছি আমি- পানামা রায়। ্পাঁচ'বছর আগে প্রাক যৌবনে ফিরে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় মাসখানেক কিওস্ক থেকে পানামা কিনে পাটের দড়ির আগুন থেকে ধরিয়ে  টান মারছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারলাম অ্যাজমার অ্যাটাক ফিরে আসছে। তাই স্বপ্নে থাক সিগ্রেট বাস্তবে  তওবা! তওবা! 


    যদুবাবু,


    আপনার সাজেশানে বার খেলাম। এখন ধ্যানের চোখে দেখছি সন্ধ্যেবেলা নাকতলার মাঠ। তিন-চারদিনে টইয়ে নামিয়ে দেব।

  • যদুবাবু | ১৭ মে ২০২১ ১৮:৫৩106151
  • @এলেবেলেঃ " বুদ্ধি করে ৮টা ৫টাকায় কেনা হত।" - উফ, অসাধারণ হিসেব কিন্তু, হ্যাঁ? মাধ্যমিকের কেসিনাগের বইয়ের অঙ্কের মত। সে জেরক্সের দোকানে ক-পাতা এপিঠোওপিঠ জেরক্স করলে ক-টাকা খর্চা হবে আর বাকিটা টুকে নেবো ভাবার সময়ে এইসব অঙ্ক করতাম মনে মনে। 

    বুক চিতিয়ে লিখলাম বটে, তবে পরের অঙ্কবিষয়ক লেখার কিস্তিতে এই নিয়ে কিঞ্চিৎ পাপস্খালন করেই ফেলবো। এই বাজারে 'আমি জেনেশুনে বিষ করেছি পান' বললে লোকে চাঁদা তুলে পেটাবে। ওই ভয়েই লেখার মাঝে মাঝে বিধিসম্মত সতর্কীকরণ দিয়েছি। 

    @রঞ্জন-দা; আহা ! বিদ্যাসাগর বেঁচে থাকলে লিখতেন, "এ জন্মের মত আমার সে চারু-লতা নিৰ্ম্মূল হইয়া গিয়াছে।" 

    @সম্বিৎ - থ্যাঙ্ক ইউ ! আর না না একদম না, একাকী  খাবেন  যাবেন না, অসময়ে। :) 

  • যদুবাবু | ১৭ মে ২০২১ ১৯:০১106152
  • @ রঞ্জন-দা (১৮:৪৭) - মন খারাপ হয়ে গেলো। এই গল্পটার শুরু যাকে নিয়ে সেই প্রকান্ড মহীরুহ-ও তার ডালপালা, তার শেকড়, তার কোটরে বাস করা তক্ষক, তার বর্ষার জলে পাতা ইঁট – সব নিয়ে একদিন চলে গেছেন কোনো একটা দৃশ্যের ওপারে ... সেইখানে যেখানে আর কোনো চিঠি-ই পৌঁছয় না, তবে বন্ধুরা মিলে কাউন্টার শেয়ার করছেন কি না সে জানা নেই। 

    একটা অ্যাড দেখাতো মাঝে আম্রিকার টিভিতে, যে প্রত্যেকটা সিগারেট সাত মিনিট করে আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে, এবার ভেবে দেখুন সেই সাত মিনিটে কী করতেন? নিজের সন্তান/পোষ্য/পরিবার-কে এক্সট্রা সাত মিনিট ভালোবাসতেন? ঐটা দেখে আমার-ও কোথাও একটা ধাক্কা লাগে, তারপর একেবারেই ছেড়ে না দিলেও খুব-ই কমিয়ে দিয়েছি। 

    আপনি অবশ্যই লিখুন। আপনার লেখা পড়তে প্রচন্ড ভালো লাগে। 
     

  • Abhyu | 47.39.***.*** | ১৭ মে ২০২১ ২০:০৭106153
  • সবই বুঝলাম, কিন্তু প্রত্যেকটা সিগারেট সাত মিনিট আয়ু কমায় শুনে মনে পড়ল, আমাদের ব্যাচের একজন বলেছিল দিনে দুপ্যাকেট সিগারেট ফুঁকে আমার জেঠু আশি পার করল, সিগারেট না কিনলে ফেলারকে তো ইন্ট্রোডাকশনটা নতুন করে লিখতে হত :)
     

  • Abhyu | 47.39.***.*** | ১৭ মে ২০২১ ২০:১১106154
  • রঞ্জনদা এখুনি জানতে চাইবেন ফেলারের ইন্ট্রোডাকশনের গল্পটা কী - এই নিন :)



  • Ranjan Roy | ১৭ মে ২০২১ ২০:৫০106157
  • অভ্যু 


    ফেলারের ইন্ট্রোডাকশনের উদ্ধৃতিটুকু খুব ভাল লাগল। একটা অসীম অনন্ত সম্ভাবনাকে ম্যাথমেটিক্যাল লজিকে বাঁধার প্রচেষ্টার মধ্যে একটা বিউটি আছে। আদৌ পরশুরামের ভুত=০ এবং ঈশ্বর= স্কোয়াররুট অফ জিরো (নাকি উল্টোটা?) গোছের নয়।

  • যদুবাবু | ১৭ মে ২০২১ ২২:৫১106161
  • অভ্যুদার কমেন্ট পড়তে গিয়ে একটা যুম মিটিঙএর মাঝে খ্যাঁক খ্যাঁক করে হাসলাম, যে ভদ্রলোক বা মহিলা যুমের মিউট বাটন আবিষ্কার করেছেন তাকে একটা নোবেলশ্রী-ট্রি কিছু একটা দেওয়া দরকার। 


    @রঞ্জন-দা, এইটা সত্যিই একটা অদ্ভুত জিনিষ, তাই না? এই যেমন যদি জিগ্যেস করে যে গ্রহান্তরের জীবন আছে কি না তার প্রোবাবিলিটি কত? এই নিয়ে একটা গোটা ইক্যুয়েশান আছে, ড্রেক ইকুয়েশান যেটা এস্টিমেট করে কতগুলো active, communicative extraterrestrial civilizations আছে মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি-তে । ভারি মজার জিনিষ। মানে এই গোটা জিনিষ-টা সিরিয়াসলি ফর্মুলেট করেছেন একজন এবং রীতিমত অনেকে মাঝেসাঝে আলোচনা করে নাম্বারগুলো পাল্টায়-টাল্টায়। ফ্যাসিনেটিং না? 





     

  • Ranjan Roy | ১৭ মে ২০২১ ২৩:০৭106162
  • বসে বসে কল্পনা করার চেষ্টাটাও ভারি আনন্দের।

  • আলফা | 2409:4064:4e12:f210:d860:38d8:f3db:***:*** | ১৮ মে ২০২১ ২০:৩৯106177
  • পানামা....গুড টু দি লাস্ট পাফ. খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন আসতো   

  • r2h | 2405:201:8005:9947:e005:be5f:b0a5:***:*** | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৫০498344
  • এই লেখাটা প্রথম যখন পড়েছিলাম তখন কী যেন লেখার ছিল, লেখা হয়নি। আজ আবার বের করে পড়লাম।

    আমারও বাবার স্মৃতিতে সিগারেটের গন্ধ একটা আবশ্যক জিনিস। আর প্রাপ্তে তু ষোড়শ বর্ষে ইত্যাদি বাবা খুব বলতো, যদিও টিপিক্যাল ছোট শহরের মধ্যবিত্ত হিসেবে ব্যাপারটার বাস্তব সম্ভাবনা কম ছিল।
    প্রথম যখন বাসা ছেড়ে বড় শহরে, তখন মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে এটা সেটা আসতো। একবার বাক্স খুলে পেলাম বাবার শখের একটা পোর্সিলিনের আর একটা টেরাকোটার অ্যাশট্রে।

    "মনে হয় যেন আমাদের পোকায় কাটা জীবনের ছোট্ট-ছোট্ট ফাঁক-ফোঁকর গুলো কি সুন্দর ভরে যেতো সিগারেটের ধোঁয়ায় ... সেই ফাঁকগুলো বিশাল বড়ো মনে হয় " - সেই। পোকা তো এখনো কেটে চলেছে কিন্তু ফুসফুসে ছ্যাঁদা। আমার খালি তথাগত বুদ্ধের প্রতি অনুযোগ হয়। জরা ব্যাধির একটা ব্যবস্থা তো করতে পারলেন না, খামোখা ছোট ছোট বাসনার পেছনে হুড়কো।
  • :|: | 174.255.***.*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৪:৫৭498352
  • উপরের কমেন্টে শেষ লাইনটি কোট-আনকোট মার্কের ভিতরে যাওয়া উচিৎ ছিলো মনে হয় -- যদি না এই লেখকেরই অন্য লেখায় কথাটা প্রথম উল্লিখিত হয়ে থাকে।  
  • যদুবাবু | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৪৩498400
  • @r2h: সেই পোর্সেলিন আর টেরাকোটা আছে এখনো?

    আমার-ও একটা সুন্দর অ্যাশট্রে আছে, অবশ্য বাবার নয়, পার্ডুর এক প্রোফেসরের। রিটায়ার করে অফিস ছেড়ে যাচ্ছেন, সব স্ট্যাটের বইটই বিলিয়ে দেবেন বলে ঘোষণা করলেন। আমিও আশায় আশায় গেলাম কিন্তু ততোক্ষণে বেবাক ফাঁকা। ভদ্রলোক একটা অ্যাশট্রে বাড়িয়ে বললেন, 'এটাই বরং বেশী কাজে লাগবে, ন্যাও'। 

    আর সত্যিই মাইরি, "খামোখা ছোট ছোট বাসনার পেছনে হুড়কো"!! 

     
  • r2h | 2405:201:8005:9947:656b:46b6:5d7d:***:*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:২৫498402
  • টেরাকোটাটা আছে।
    অন্যটা ভেঙে গেছিল; তখনও জীবনে অতীতের ভাগ বেশ কম ছিল তাই তত যত্ন করিনি!
  • Tim | 2603:6010:a920:3c00:e5e2:6e0:4d78:***:*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৫৫498414
  • এই লেখাটা খুবই ভালো হয়েছে। বাবাকে এখন স্মোক আর করতে দেওয়া হয়না সেভাবে, দিনে একটা কোন কোনদিন। কিন্তু এই গন্ধটা আমরাও ছোটবেলায় প্রচুর পেয়েছি। রিজেন্ট চারমিনার এসবের প্যাকেট জমানো হত সেই সময়, সোনালী রাংতার তামাকের গন্ধ ভালো লাগত। একই বাড়িতে বিভিন্ন লোকের তামাকের আলাদা প্রেফারেন্স ছিলো, বিড়ি থেকে স্পেক্ট্রাম শুরু হত। একটা ধোঁয়াও খারাপ লাগত না, অথচ আমি লায়েক হয়ে কিছুই ধরিনি। আজকাল বছরে একটা কি দুটো সিগারেট খাওয়া হয়, খুব পুরনো জনাদুয়েক বন্ধু আছে, তাদের সঙ্গে দেখা হলে।
     
  • | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:০৫498415
  • লেখাটা ভাল লাগল খুব। এই লেখাটা পড়ে আমার পছন্দের এক লেখকের একটা লেখা মনে পড়ে গেল। যদুবাবুর জন্য দিয়ে গেলাম। সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন
     
  • &/ | 151.14.***.*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৩:৩৫498421
  • ড্রেক'স ইকোয়েশন না ওটা? ঐ গ্রহান্তরের বুদ্ধিমান জীবের সভ্যতা?
  • &/ | 151.14.***.*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৩:৩৯498422
  • ডক্টর ফ্রাংক ড্রেকের সমীকরণ। আমাদের ছোটোবেলা আনন্দমেলায় ওঁর ছবি দিতো খড়ের গাদার সামনে দাঁড়িয়ে, সূচ খুঁজছেন। ঃ-)
  • যদুবাবু | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০২498427
  • @টিমঃ সত্যি আলাদা প্রেফারেন্স থাকতো, আমি-ই যৌথ পরিবার এক হওয়ার সময় দেখেছি হরেক রকমের তামুকের নেশা। পিসেমশাইয়ের যেমন ছিলো লুজ লিফ আর কাগজ দিয়ে হাতে রোল করা শীর্ণ সিগারেট। ব্যাপারটা মজার লাগতো বলে আগে রোল করে করে দিতাম, পরে কাজ লাগবে ভাবিনি। 

    @দ-দিঃ লেখাটা পড়ে ফেললাম। অপূর্ব লাগলো, চমকেও উঠলাম, আয়নায় ভূত দেখার মত। এনার বাকি লেখাগুলোও পড়বো। থ্যাঙ্ক ইউ! 

    @অ্যাণ্ডরঃ আজ্ঞে। ইহাই উহা। ছোটোবেলায় সেই আনন্দমেলা পড়েছিলাম মনে হয়। খুব আবছা একটা স্মৃতি আছে, কাঁচের বোতলে সিল করা। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৫১498429
  • ভাবুন অবস্থা। এখনও পাওয়া গেল না হদিশ। কত বছর চলে গেল। এরপরে তো ---
  • Kausik Ghosh | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:০৪498432
  • মূল লেখা পড়লাম। শেষ হলে আবার একবার।
    চুয়ান্ন বছর ধরে আমি পথ হাঁঁটিতেছি পৃথিবীর পথে। তাই পেছনদিকে তাকিয়ে দেখলাম একবার, সেই প্রাইমারি স্কুলের কাল পর্যন্ত। এ লেখার ঘটনাগুলো মনে হয় সবার জীবনেই ফিরে ফিরে আসে।
    আশ্চর্য ভাবে আমার ছেলে যখন হোস্টেল থেকে ছুটিতে বাড়িতে এলো প্রথমবার, এবং তারপরে আরো অনেক বার, এই লেখার ঘটনাগুলো ছেলের সাথে ঘটতে দেখেছি, যেমন আমার সাথে ঘটেছে।
    লেখাটা তো ফাইভ স্টার, আর মন্তব‍্যগুলো... আহা, কি পড়িলাম, জন্মজন্মান্তরেও ভুলিব না। 
    তথাগতের বিরুদ্ধে অভিযোগের কপিরাইট ধার পেতে পারি কি ?
  • r2h | 2405:201:8005:9947:cc9d:1886:2845:***:*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:৩৮498434
    • Kausik Ghosh | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:০৪498432
    •  ...তথাগতের বিরুদ্ধে অভিযোগের কপিরাইট ধার পেতে পারি কি ?

    একদম, সানন্দে!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন