এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  শনিবারবেলা

  • নুড়িতলার বাঁকে - পর্ব ৭

    কেকে
    ধারাবাহিক | ১৭ জুলাই ২০২১ | ২২১০ বার পঠিত
  • আমি তিনটে চিরকুট পেয়েছিলাম। অনেক সময় একমাত্র না খুঁজলেই কিছু পাওয়া যায়। এগুলো সেই ধরণের জিনিষ। চিরকুটে কখনো চিঠি লেখা থাকে, কখনো ঠিকানা, কখনো গুপ্তধনের সংকেত থাকে। তাই না? আমার গুলোও তাই। চিঠি, ঠিকানা, সংকেত লেখা আছে .... কিম্বা কী আছে আমি তা জানিনা। এগুলো ক্রিপ্টোগ্রাম, কিম্বা রিবাস ধাঁধাও হতে পারে। আমি ক্রিপ্টোরিব বলে ডাকতে পারি ওদের। কিম্বা অন্য কোনো নাম হওয়া উচিত? যা ভালো বোঝো তুমি। বা যা খারাপ বোঝো। এই যে, আমার চিরকুট তিনটে। আমার। চিরকুট। তিনটে।

    ক্রিপ্টোরীব - ১
    সময় যাচ্ছে। আপশোসে ভরে যাচ্ছে জীবন। আপশোস না, আফসানি। মনের ভেতর উথাল আর পাথাল- রোজ বসে বসে বুক চাপড়ায়। মহরমের দিন যেমন হাসান হুসেন বলে কাঁদে ভক্ত মানুষের দল। এত বছর পরেও। কাউকে দেখতে পাইনা আমি কোথাও। তবু ধারালো ছুরি দিয়ে রোজ কুরেকুরে মন কেটে নিয়ে যায় কারা। তারা আমার একান্ত নিজের। তারাই আমি। কোনো দয়ামায়া নেই ওদের। কত পথ হাতড়াবে তুমি? কত দিক থেকে কত রকম ভাবে মিনতি করবে ওদের কাছে? নিজের মত নিষ্ঠুর আর কেউ হয়না। নিরন্তর অত্যাচার। সময়ের মত অমোঘ।
    অনুভুতিরা ঘুমিয়ে থাকে। জলের সাপের মত। জেগে থাকার অনেক তলায় মনোজ গাছের গায়ে, প্রবাল প্রাচীরের গায়ে, এবড়োখেবড়ো গুহার পাথরের গায়ে পেঁচিয়ে জড়িয়ে জলের সাপেরা ঘুমোচ্ছে। তুমি জানোনা কখন কীভাবে কার গায়ে পা পড়ে যাবে। অনুভুতির সাপ সব গিরগিটির মত মনের উঁচুনিচুর সাথে রং মিলিয়ে লুকিয়ে থাকে। অদ্ভুত ক্যামোফ্লাজ। আমি জলের গভীরে ঘুরে ঘুরে বেড়াই। গন্তব্যহীন। এক মুহুর্তে হিলহিলে সাপগুলো জেগে উঠে পায়ে জড়িয়ে যায়। আগে আমি অন্য দুনিয়ায় থাকতাম। জলের ওপরে, আর সবার মত। সেখানের অনুভুতিদের সাথে আমার চেনা ছিলো। আমি তাদের নাম ধরে ডেকে কথা বলতাম। খবর নিতাম, গল্প করতাম। এদের আমি চিনতে পারিনা। নাম জানিনা অর্ধেকের। এরা পাকেপাকে আমাকে জড়িয়ে ফেলে। মুখে মাথায় ঠান্ডা শরীরের জানান সোচ্চার করে দেয়। কিন্তু আমি নাম জানতে পারিনা ওদের। এই পৃথিবীর ভাষায় শব্দ এত কম কেন?
    আমার গলার ঠিক তলায়, বুকের মাঝখানে অত্যোষ্ণ বাষ্পের মত টগবগ করছে। প্রচন্ড কেওস মাত্রাছাড়া গতিতে কাঁপছে নিয়ত। সব ভেঙেচুরে, বাঁধ গুঁড়োগুঁড়ো করে দিয়ে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু ভাষা নেই। আমার ভাষা নেই। শব্দ এত কম কেন? আমি নোনাজল দিয়ে ধুয়ে ধুয়ে ওদের বার করতে চেষ্টা করি। নোনাজলের কমতি নেই কোনো সমুদ্রে। কিন্তু হয়না, কোনোকিছু যথেষ্ট হয়না ওর জন্য। আমি কাগজের মধ্যে আঁকতে থাকি। তাতে শব্দ লাগেনা। খোঁচাখোঁচা তীরের মত ত্রিভুজ, একের পর এক স্পাইরাল, আঁকতে আঁকতে কাগজ ছিঁড়ে যায়। আমি ফুসফুস ফাটিয়ে চিৎকার করি। সে চিৎকারের কোনো আওয়াজ নেই। আমি আঁকার পেন দিয়ে বালিশকে খুন করতে চাই। খুন করতে চাই! আমি! যার কাছে হিংস্রতা আগুনের ছ্যাঁকার মত কষ্টকর!
    ডুডল হাসে। একপেশে ব্যঙ্গের হাসি। ডুডল, Doodle, আমার ছায়া। শ্যাডো সেল্ফ। "ছিঁড়ে ফেল বালিশটাকে। শক্ত লোহার নাল বসানো জুতো পায়ে দিয়ে ঐ লোকগুলোর পা কুচলে কুচলে দিতে হয়। ওদের কাছে পাইনা সেটাই আফশোষ! তাহলে এই ফর্কটা আমূল গেঁথে দিসনা কেন নিজের গলায়? ঘ্যাঁচ করে বসিয়ে দে। দে!"
    ডুডল ব্যঙ্গের হাসি হাসে -- "তোর কম্মো নয়!"
    ঐ লোকগুলো আমাদের অনেক ট্রমা উপহার দিয়েছিলো। ছোটবেলায় নোংরা হিংস্র হাত দিয়ে। বড়বেলায় ধারালো তীব্র নিষ্ঠুরতা দিয়ে। সবসময় হাতও লাগেনা। কথা দিয়েও অনেক মার মারা যায়। বা না-কথা দিয়ে। স্রোতের টানে এখন কে ভেসে গেছে কোথায়। কচুরিপানার মত। ডুডল আর আমি অনেক ক্ষত নিয়ে, অনেক ছেঁড়া নিয়ে, অনেক অন্ধকার নিয়ে এখানে বসে আছি দুজনে। এপিডি, জিএডি, ক্রনিক ডিপ্রেশন, কতসব নাম এই খাবলাখুবলিদের। ভালো লাগেনা। এদের আমার ভালো লাগেনা।

    ক্রিপ্টোরীব - ২
    কখনো কখনো আমার চিন্তাদের দেখতে পাই আমি। রোজ না। ওদের মেজাজ-মর্জি হলে তবেই। ব্যপারটা কোনো নিয়ম মেনে চলেনা। মেজাজ-মর্জি নিয়ম মেনে চলার ধার কখনোই ধারে নাকি? যখন দেখতে পাই তখন অদ্ভুত এক জগতে ঢুকে পড়তে হয়। আমি দেখি একজন চিন্তা ঠিক ধূপের ধোঁয়ার মত বইছে। অমনি নীলচে-গাঢ় সাদা রং। একটা পাতার আকৃতি নেয় যেন। পাতার কিনারার রেখা ছোটছোট অক্ষর দিয়ে আঁকা। কোন ভাষা তা পড়তে পারিনা আমি। কোনো চিন্তা সাইফার হুইলের মত । সমকেন্দ্রিক অনেকগুলো চাকতি। তামাটে চকচকে ধাতব রং। একেকটা চাকতিতে একেক রকম চিহ্ন আঁকা। কোনোটা সময়ের দিকে ঘোরে, কোনোটা তার উল্টোদিকে। চিহ্নরা এক সারিতে আসে, পরের মুহূর্তেই সরে যায়। আমি জানি কোনো একটা বিশেষ সাংকেতিক অবস্থান আছে। চিহ্নগুলো এক জায়গায় এলেই একটা পোর্টাল খুলে যাবে। কোথাকার দরজা আমি জানিনা, কোন সময়ের, কোন ডাইমেনশনের, আমি জানিনা। শুধু এটুকু জানি যে খুলবে। আমার অস্তিত্বের থেকে অনেক বেশি নিশ্চিত ভাবে জানি।
    কোনো কোনো চিন্তার রূপ নেই কোনো। তাদেরও দেখা যায়। কিন্তু কেমন দেখতে তা আমি শব্দ দিয়ে বোঝাতে পারবোনা। যার রূপ নেই, তাকে বোঝাতে হলে যেসব শব্দ দরকার তা তো আমি শিখিনি? এরাও সচল। এরা কপাল থেকে গলায় নামে, সেখান থেকে বুকে। চলার রাস্তায় সব্কিছুর ওপরে কিসের যেন প্রলেপ দিয়ে যায় এরা। সেই প্রলেপের রং আছে, ফিকে-গাঢ় প্যাস্টেল রং। জলরঙের বদলে যদি কখনো দুধরং হতো তো ঐ রকম হতো। এদের গন্ধ আছে। খুব মৃদু সুগন্ধ। নীলচে, জোনাকির আলোর মত গন্ধ। বুকের ভেতরে অনেক কিছু গলিয়ে দেয় ওরা। শক্ত হয়ে বসে থাকা গিঁট, মরচে পড়া বিশাল লোহার দরজা সব কেমন তুলতুলে হয়ে তারপর গলে যায়। ছোটবেলায় পড়া রূপকথার গল্পের মত একটা নরম অনুভুতি কম্বলের মত মুড়ে দেয় আমাকে। সেইসব সময়ে।
    কখনো কখনো ভয়কেও দেখতে পাই আমি। রোজ-কোয়ার্টজের রঙের পোশাক পরা। সোনালি চুল। ভারি নরম মিষ্টি মুখ তার। চোখ নামিয়ে লাজুক হাসি হাসে। হাসলে গালে টোল পড়ে। ও বলেছে ওর নাম 'গভীরতম ভয়'। সত্যি যে বলেছে তা আমি জানি। বলে না দিলে আমি ওর নাম দিতাম 'বেল', Belle. দেখা দিয়ে সবকিছু বোঝা যায়না। আমি দেখতে শিখিনি কোনোকিছুই। তাই অমনিই দেখি। ঠিককে ভুল, ভুলকে ঠিক। দেখার ওপরে অনেক পরত আন্দাজ চাপিয়ে নিই। ভুলের রাস্তার গভীরে আমি যাবো না তো কে যাবে?
    এইসব দেখার জন্য আমি কখনো সাইকাডেলিক নিইনি। না সিলোসাইবিন, না এলএসডি, মেসকালিন, এসকালিন, কিচ্ছু না। ভুল দেখার জন্য কোনো ড্রাগ লাগেনা আমার। কিম্বা হয়তো এইই ঠিক দেখা। কে বলতে পারে?

    ক্রিপ্টোরীব - ৩
    কেউ আমাকে এখানে ঠেলে ফেলে দিয়েছে। এখানে একশো ফুট উঁচু লোহার পাঁচিল। একটা ততখানিই উঁচু ফটক। তার তালা বন্ধ করে চাবি নিয়ে চলে গেছে। কে জানিনা। আমি বন্ধ হয়ে গেছি। নিজের মনের ভেতরে। এখান থেকে কি বেরোনো যায়? আমি কখনো কখনো পারি। তখন আমি ভূত হয়ে যাই। আমি দেখতে পাই মানুষগুলো হাসছে, চলছে, জিনিস কিনছে, কথা বলছে। আমি দেখতে পাই কিন্তু ভূতকে দেখতে পায়না কেউ। ভূতের গলার আওয়াজ থাকেনা। কেউ তাই কিছু শুনতেও পাবেনা। আমি তাদের ছুঁতে যাই, আমার হাত ওদের শরীরের মধ্যে দিয়ে গলে যায়। আমি কখনো কখনো দেখি তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে "আহা, লোকটা বেশ তো ছিলো। কেন এমন হলো বলো তো?"
    চোখের পাতা কয়েকবার ফেললেই আবার ভূত অবস্থা থেকে শরীরে ফিরে আসা যায়। কিন্তু তখন সেই পাঁচিল আর ফটকের ওপারে থাকতে পারবেনা তুমি। আমি 'রিয়ালিটি' থেকে হারিয়ে গেছি। রোজ কত মানুষ হারিয়ে যায়। সব্সময় বোঝাও যায়না। হারিয়ে যাওয়া খুব সুক্ষ্ম ব্যাপার। বেশির ভাগ মানুষই যখন বুঝতে পারে তখন দেখে অনেক দেরি হয়ে গেছে। কীসেরই বা দেরি? সময় যে কাকে বলে তাইই তো ঠিক মত বোঝা যায়না। তার আবার দেরি আর তাড়াতাড়ি!
    অবশ্য এরকম আরও আছে। আটকে পড়া মানুষ। আমি কিছু স্পেশ্যাল নই! আমার জানতে ইচ্ছে করে তাদের সবাই কি জানে যে তারা বন্দি আছে? শুনেছি অনেক সময় টেরই পাওয়া যায়না। অনেক রকম বিভ্রম আছে। মায়া। তাই দিয়ে মানুষকে ভুলিয়ে রাখে। মানুষ সারাক্ষণ দৌড়োয়। কিছু না কিছুর খোঁজে। দৌড়োতে দৌড়োতে হাঁফিয়ে যায়। কিন্তু সেও টের পাওয়া যায়না। যদি কোনোদিন কিছুভাবে তুমি দাঁড়িয়ে পড়তে পারো তখন ইন্দ্রজাল কেটে যাবে। তোমার পায়ের তলা থেকে হ্যামস্টার হুইল সরে যাবে। তুমি পড়তে থাকবে। পড়তে থাকবে। অতলের মধ্যে। সেই অতলের চারপাশে একশো ফুট উঁচু লোহার পাঁচিল। মস্ত ফটক একটা। বললাম তো। তো তুমি কী ভাবতে? খরগোশের গর্ত শুধু গল্পে থাকে? হাঃ!

    এগুলোই আর কী।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১৭ জুলাই ২০২১ | ২২১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৭ জুলাই ২০২১ ১৫:২৫495860
  • "নিজের মত নিষ্ঠুর আর কেউ হয়না। নিরন্তর অত্যাচার। সময়ের মত অমোঘ।"


    ঠিক। একদম ঠিক। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন