এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  সমাজ

  • পবিত্র ভূমি ৯

    হীরেন সিংহরায়
    ধারাবাহিক | সমাজ | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | ২৩১৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • কানানের অধিবাসীদের নির্মূল করে ইসরায়েল সৃষ্টি করতে সৈন্য বাহিনী সহ জশুয়ার কানান প্রবেশ

    ঈশ্বরের আদেশ ও প্রতিশ্রুত দেশ

    মিশরের দাসত্ব হতে মুক্ত করে মোসেস ইহুদিদের প্রথমে নিয়ে এলেন সিনাই পর্বতের পাদদেশে। সেখানে পেলেন ঈশ্বরের দশ আদেশ। মরুভূমিতে চল্লিশ বছর যাবত হাঁটলেন প্রতিশ্রুত দেশের সন্ধানে যেখানে বইছে দুধ ও মধুর ধারা। এই ভ্রাম্যমাণ জনতা একদিন ক্লান্ত হয়ে পড়েন – কতদূর, আর কতদূর, বলো, মোসেস? মোসেস বললেন আস্থা রাখো, স্মরণ করিয়ে দিলেন কুলপিতা আব্রাহামের প্রতি ঈশ্বরের আদেশ:

    “আব্রাম, তোমার দেশ (উর, আজকের ইরাক) পরিজন, পিতার আশ্রয় ছেড়ে তুমি সেই দেশে যাবে যা আমি তোমাকে দেখাবো।” (জেনেসিস ১২:১)
    “আব্রাম তুমি হবে এক মহান জাতির, রাজন্যবর্গের পিতা আর তোমার সন্ততিকে দেবো এক দেশ, কানান, মিশরের ওয়াদি হতে মহা নদী ইউফ্রেতিস অবধি যেখানে এখন কেনাইট কানানিট কেনিযাইট হিতাইত পেরিজিত জেবুসিত গিরগাশিট, আমোরিটের বাস।” (জেনেসিস ১৫:১৮-২১)

    এই শ্রান্ত জনতাকে এবার ঈশ্বর স্বয়ং অভয় দিলেন
    ‘তোমরা আমারই লোক, আমি তোমাদের ঈশ্বর, জেনো, তোমাদের প্রভু। আমিই তোমাদের মিশরের দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়েছি। আমি তোমাদের নিয়ে যাব সেই দেশে যার শপথ করেছি। কেন না আমি তোমাদের প্রভু।” (একসোডাস ৬:৭-৮)

    কোথা সে দেশ, যেখানে তাঁদের বাসভূমির ল্যান্ড রেজিস্ট্রি করা আছে, ই এম আই দেওয়ার প্রশ্ন নেই?
    “সে দেশের সীমান্ত নির্দেশিত লোহিত সাগর হতে ভূমধ্যসাগর, মরুভূমি থেকে ইউফ্রেতিস নদী অবধি। তোমাদের হাতে তুলে দেবো সেই সব মানুষকে যারা এখন সেথায় বাস করে, তোমরা তাদের বিতাড়িত করবে সেখান থেকে। তোমাদের জমিতে কখনো তাদের বাস করতে দেবে না।” (একসোডাস ২৩:৩১-৩৩)

    ঈশ্বরের বাক্যে বলীয়ান হয়ে মোসেস তাঁর অনুগামীদের নিয়ে চললেন সেই দেশের দিকে কিন্তু ঈশ্বরেরই শাপে কানানে তিনি নিজে প্রবেশ করতে পারবেন না।

    মরুভূমিতে একদিন দেখা দিয়েছিল ভয়ঙ্কর জলকষ্ট। ম্যাঘ দাও, পানি দাও বলে মোসেস ঈশ্বরের কাছে জানালেন আকুল আর্তি। ঈশ্বর বললেন এই নাও ছড়ি। এটি হাতে নিয়ে তোমার ভাই আরন এবং দলের সকল মানুষকে পাশে নিয়ে দাঁড়াও এই পাথরের সামনে, প্রার্থনা জানাও। তবেই পাথর থেকে জল বেরিয়ে আসবে, তোমাদের প্রাণ বাঁচবে। মোসেস ভাবলেন জল যদি এই পাথরের ভেতরেই আছে, তাহলে তার সঙ্গে কথা বার্তা না বাড়িয়ে ছড়ি দিয়ে দু ঘা দিয়েই দেখা যাক কি হয়। তিনি দু বার আঘাত করলেন পাথরে, ঝর্নার মতো শুষ্ক ধরিত্রীর ওপরে উৎসারিত হলো জলের ধারা।

    সকলে মোসেসকে ধন্য ধন্য করলেন। কিন্তু ঈশ্বর ক্রুদ্ধ হলেন। জলদানের জন্য পাথরের সঙ্গে আলাপ আলোচনা না করে মোসেস সরাসরি তাকে আঘাত করে জল আদায় করলেন এবং তাঁর আপনজনদের কাছে পুরো ক্রেডিটটা নিজেই নিলেন। এহেন ধৃষ্টতার শাস্তি ঈশ্বর তৎক্ষণাৎ নির্দিষ্ট করলেন- প্রতিশ্রুত ভূমিতে মোসেসের প্রবেশ নিষিদ্ধ হলো। তিনি ইহুদিদের নেতৃত্ব দেবেন কানানের সীমান্ত অবধি। পাহাড়ের ওপরে দাঁড়িয়ে অঙ্গুলি নির্দেশে বলবেন, ওই দেখা যায় সেই প্রতিশ্রুত ভূমি, ইসরায়েল, তোমরা অগ্রসর হও।

    এত বলি তিনি সেই পাহাড়ে আপন প্রাণ বিসর্জন করলেন।
    (ডিউতেরোনমি – দ্বিতীয় আইন বা পুনরুক্ত আইন - ৩২: ৫১-৫২)



    প্রতিশ্রুত ভূমি কানান

    লোহিত সাগরের জলরাশিকে চিরে মোসেস যাঁদের মরুভূমিতে আনলেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মাত্র কানানের দোরগোড়ায় পৌঁছেছিলেন। মোসেসের মৃত্যুর পরে ইসরায়েলিদের নেতৃত্ব দিলেন তাঁদেরই একজন, জশুয়া (ডিউতেরোনমি – দ্বিতীয় আইন বা পুনরুক্ত আইন – ৩১:১-৮)।

    এবার ইসরায়েলিদের কানান প্রবেশ, নতুন অধিনায়কের নাম জশুয়া।

    দলবল নিয়ে জশুয়া সে দেশে ঢুকে তো পড়লেন - ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কোন কাগজের প্রয়োজন নেই, সে সব জমি খামার ইহুদিদের। কিন্তু তাঁরা দেখলেন সেখানে কোন বাড়ি জমি খালি পড়ে নেই, সেথায় বহু মানুষের বসবাস। কেউ তাঁদের আসুন, বসুন ঈশ্বরের অভিলাষ পূর্ণ করুন বলে সদর দরোজা খুলে দিলেন না। কার ঈশ্বর কাকে কোন কথা দিয়েছেন তার তোয়াক্কা না করে সিদন, টায়ার* থেকে গাজা অবধি সাড়ে ছশো মাইল ব্যাপী সমুদ্রতীর বরাবর বহু মানুষ বাসা বেঁধেছেন হাজার বছর আগেই। তাঁরা ব্যবসা বাণিজ্যে অত্যন্ত তুখোড়, তাঁদের নৌকো, জাহাজ পাড়ি দেয় বন্দরে বন্দরে বাইবেল তাঁদের বলেছে সমুদ্র মানুষ। ফিলিস্তিনরা (যা থেকে প্যালেসটাইন শব্দটা এসেছে) সেই বাণিজ্যে সফল, উন্নত জাতি। গাজা ফিলিস্তিনদের বৃহত্তম বন্দর। দক্ষিণ পশ্চিমের মরুভূমি থেকে হঠাৎ হাজির হয়েছেন একদল মানুষ – এটা নাকি তাঁদের প্রতিশ্রুত দেশ। এখানে তাঁরা ডেরা বসাবেন। এ কোন আবদার? বললেই চলে যাবেন তাঁদের বাপ পিতেমোর ভিটে ছেড়ে?

    কানানের মানুষ আপন বাসভূমি ছেড়ে যাবেন কেন? কোথায় যাবেন?

    মোসেস তাঁর জীবৎ কালেই বলে গিয়েছিলেন, কানান প্রবেশ ও অধিকার সহজ হবে না, সেখানে সংগ্রাম আসন্ন! সেই সংগ্রামে তোমাদের তরবারির ডগা দিয়ে নিহত করো কানানের অধিবাসীদের। কেড়ে নাও সে জমি যা তোমাদের জন্য ঈশ্বর নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, আমাদের পিতা আব্রাহামকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি তোমাদের সঙ্গে আছেন, থাকবেন। মা ভৈ!

    এই মাত্তর কয়েক বছর আগে সিনাই পাহাড় থেকে নেমে, একটা পাথরের সেলেট দু হাতে উঁচু করে ধরে সৎ জীবন যাপনের জন্য ঈশ্বর প্রদত্ত দশটি আদেশ জানিয়ে দিয়েছিলেন মোসেস – সেখানে ঈশ্বরের চতুর্থ আদেশ: প্রাণনাশ করিবে না।
    এই আদেশ সবার জন্য যে প্রযোজ্য নয় এমন কোন ফুটনোট হয়তো সেই সেলেটের কোণায় লেখা ছিল, আমরা দেখিনি।

    উত্তর থেকে দক্ষিণ, টানা লম্বা এই দেশ কানান, যার একদিকে সমুদ্র অন্যদিকে পর্বত মালা। এই দেশে বাস করেন অনেক জন জাতি, তাঁদের শহর, দুর্গ ছিল দেওয়াল দিয়ে ঘেরা। কানানের মানুষ আপন দেশ জমি বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করলেন (জেরিকো ছাড়া, যাকে আজ পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো শহর মানা হয়ে থাকে, এগার হাজার বছর তার বয়েস)। ঈশ্বরের আদেশে প্রবুদ্ধ ইসরায়েলি বাহিনী “তাদের তরবারির ডগায় মেরে ফেলে নির্বিচারে পুরুষ, মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ, গোরু ছাগল গাধা” (জশুয়া ৬:২১)।

    জেরিকোতে আচান নামের এক সৈন্য শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের ভয় দেখিয়ে একটা ব্যাবিলনিয়ান শাল, দু শো শেকেল আর এক টুকরো সোনা আত্মসাৎ করেছিলো। ক্ষিপ্ত হয়ে ঈশ্বর বললেন লুটপাটের সামগ্রী কারো ব্যক্তিগত ভোগে যাবে না, সবটা জমা পড়বে ঈশ্বরের কোষাগারে (All the silver and gold and articles of bronze and iron are sacred to the Lord and must go into his Treasury – Book of Joshua 6:19)। ভগবানের ট্রেজারিতে কিভাবে মানি ট্রানসফার হতো তা জানা যায় না।
    আচানের শাস্তি হলো- সপরিবারে পাথরের ঢিলের ঘায়ে তাদের মৃত্যু।

    তাঁদের সংগ্রামে ঈশ্বর সর্বদা পাশে থেকেছেন। সময় কখনো বিরূপ হলে, ইসরায়েলি সৈন্যদের বিপর্যয় ঘটলে, ঈশ্বর স্বয়ং অভয় দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েলের মানুষ ঈশ্বরের সঙ্গে বাঁধা চুক্তির (কভেনানট) সম্মান রক্ষা করবে, ততদিন ঈশ্বর সতত তাঁদের সঙ্গে থাকবেন। বিস্তীর্ণ এই অঞ্চলে কানানের বিভিন্ন জাতির বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রাম চলে নানান রণক্ষেত্রে। সব সময় ইসরায়েলিরা সফল হন নি। আবার যখন রুখে দাঁড়িয়েছেন, যেমন হেবরনের যুদ্ধে, সেখানে সকল মানুষকে সবংশে নির্বংশ করেছেন। তবু যখন সংশয় জেগেছে, জর্ডান নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলি প্রশ্ন করেছেন দেবদূতকে- এই যুদ্ধে ঈশ্বর কার পক্ষে, ইসরায়েল না কানান? তিনি অভয় দিয়েছেন সৎ পথে থাকো, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি (জশুয়া ৫: ১৩-১৫)।

    ঈশ্বর যাঁদের সহায় তাদের মারে কে? ফিলিস্তিন এবং অন্য জাতির ভগবান নিশ্চয় ছিলেন, কিন্তু তিনি বা তাঁরা সামাল দিতে পারলেন না। একদিন কানানদের আদি পুরুষের বাসভূমি থেকে তাঁদের উৎখাত করে সেই ঈশ্বর প্রতিশ্রুত ভূমিতে আপন আস্তানা গাড়লেন ইসরায়েলিরা। তারপর একদিন গৌরব গাথা গাওয়া হবে, ডেভিড জয় করবেন জেরুসালেম। সেখানে গড়ে উঠবে সলোমনের মন্দির যার অবশেষ, পশ্চিম প্রাচীর, আজ ইহুদিদের পবিত্রতম তীর্থ ক্ষেত্র।

    একটা প্রশ্ন মনে থেকেই যায় – কানানের মানুষ গেলেন কোথায়? সকলেই কি মৃত্যুমুখে পতিত হলেন? তাঁদের কিছু কি পরিযায়ী হয়ে হেঁটে বা নৌকো ধরে ইউরোপের দেশে দেশে অ্যাসাইলাম খুঁজলেন? আজকের মতন?

    হিব্রু বাইবেলে ঈশ্বরের কিছু উক্তি

    • আমি গাজায় লাগাবো আগুন আর সেই আগুনে চুরমার হবে গাজার প্রতিরোধ (আমোস ১:৭)
    • গাজা হবে জনশূন্য, আশকেলন এক ধ্বংসস্তূপ (অ্যাকটস ৮:২৬)
    • ঘিরে ফেলবে গাজা, সেখানে রাখবে না বাঁচার কোন সামগ্রী, গোরু ছাগল বা গাধা (জশুয়া ১৫:৪৭)
    • আশকেলন এই সব লক্ষ করবে, ভয় পাবে। গাজা এক যন্ত্রণায় জর্জরিত হবে (আমোস ১:১৫)
    • ঈশ্বরের দৈববাণী হলো – দামাস্কাস শহরের অস্তিত্ব ঘুচে যাবে, পরিনত হবে এক ধ্বংসস্তূপে, তার রাজত্ব হবে শেষ। সিরিয়ার বাকি অংশ ভোগ করবে ইসরায়েলের সন্তান (জেনেসিস ১০:১৭)
    • যাও, আঘাত করো আমালেকদের, তাদের যা কিছু সম্পদ আছে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করো। ছেড়ো না তাদের, হত্যা করো পুরুষ নারী, শিশু এমনকি দুগ্ধপোষ্য শিশু, গোরু বলদ ভেড়া, উট, গাধা (সামুয়েল ১৫:৩) **
    • গাজা আজ শূন্যস্থান, এশকেলন চূর্ণ (জাজেস ১৬:২৩)
    • দেবদূত ফিলিপকে বললেন, ওঠো, জাগো, জেরুসালেম থেকে দক্ষিণের পথ ধরে যাও গাজা, যা এখন মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে (সামুএল ৬:১৭)
    • এবার ঈশ্বর বললেন দেখো, ফিলিস্তিনদের শায়েস্তা করতে বাড়িয়েছি হাত। আমি ধ্বংস করব বাকি সমুদ্রতটবর্তী অঞ্চল (ক্রনিকল ২১:১৬)
    • ঈশ্বর বললেন আমি আশদোদের মানুষকে দূর করে দেবো আর তাকেও যার হাতে আজ আশকেলনের রাজদণ্ড আছে। একরন, ফিলিস্তিনরা হবে ধ্বংস (ডানিয়েল ৪:১৫)
    • গাজার রাজা বাঁচবে না, আশকেলন হবে জনশূন্য (জেফানিয়া ২:৪)

    সূত্র : কিং জেমস বাইবেল (হিব্রু বাইবেল/ ওল্ড টেসটামেনট)

    সংযোজন

    কানান দখলের যুদ্ধ শুরু হয় খ্রিস্ট পূর্ব ১৪০০ সালে। কানান বিজয় সম্পূর্ণ হতে দুশ বছর।

    হিব্রু বাইবেলে পাঁচটি ফিলিস্তিন শহরের নাম বারবার উল্লিখিত হয়েছে, একত্রে এঁরা গড়ে তুলেছিলেন এক ধরনের সমবায় সঙ্ঘ - তাদের মধ্যে সমুদ্র তটবর্তী গাজা, আশদোদ, আশকেলনে মানুষ বাস করেছেন নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কয়েক হাজার বছর যাবত, এদের নাম আজও অপরিবর্তিত। অন্য দুটি শহর এক্রন (আজকের তেল মিকনে, এক সময়ের আরব গ্রাম, আকির, বর্তমানে জনশূন্য) এবং গাথ (আজ একটি ধ্বংসস্তূপ) মিলে এই পাঁচটি শহরকে বলা হয়েছে গাজা পটি (স্ট্রিপ)।

    * টায়ার বন্দর, আজকের লেবাননের তৃতীয় বৃহৎ শহর। হিব্রু বাইবেল রচনার কয়েক হা জার বছর আগে থেকেই সেখানে মানুষের বাস (জীবনানন্দের কবিতায় আমরা এই টায়ার পেয়েছি)। গ্রিক ইতিহাস অনুযায়ী টায়ারের অধিবাসী কাদমুস গ্রিসে বর্ণমালা (আলফাবেট) প্রচলন করেন। কাদমুসের কন্যার নাম ইউরোপা – যা থেকে এক মহাদেশের নামকরণ হয়েছে। টায়ারের আরেক রাজকন্যা এলিসা আজকের টিউনিসিয়া জয় করে কার্থেজ স্থাপনা করেন (মৎপ্রণীত আমার আফ্রিকা দ্রষ্টব্য!)। টায়ার এখনও এক প্রাণবন্ত শহর।

    বাইবেলে লেবাননের উল্লেখ আছে অন্তত সত্তর দফা।
    সিদন, বর্তমানে সাইদা, ফিনিশিয়ানরা (যারা টাকার প্রচলন করেছিলেন প্রথম) এই বন্দর শহরের স্থাপনা করেন, সাড়ে পাঁচ হাজার বছর যাবত মনুষ্য অধ্যুষিত।
    সম্ভবত জেরিকোর পরেই সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম শহর। জিহোভার অভিশাপ সত্ত্বেও দামাস্কাস এখনও দাঁড়িয়ে আছে।

    ** ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে তাঁর এক ভাষণে গাজা অভিযানে ইসরায়েলি সৈন্য বাহিনীকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য জশুয়ার বই থেকে আমালেক জাতিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার এই আহ্বানকে স্মরণ করেছেন।

    পরিশেষে

    হিব্রু বাইবেলের ভাষ্য অনুযায়ী মিশরের দাসত্ব মুক্তি থেকে ইসরায়েলে অধিবাসী জনজাতিকে উচ্ছেদ করে ইহুদিদের পাকাপাকি বসবাসের একটি সংক্ষিপ্ত সময় রেখা বা টাইম লাইন টানবার চেষ্টা করেছি মাত্র।
    গাজা তথা ইসরায়েলের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে তার কোন মিল খোঁজা সম্পূর্ণ অর্থহীন প্রচেষ্টা বলে মনে করি।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | ২৩১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • dc | 2401:4900:1f2a:42b:e1b1:e72c:8236:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২১:২০525579
  • বিটিডাব্লু, ঈশ্বর কিন্তু প্রথমে পনেরোটা আদেশ দিয়েছিলেন, মোজেস তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে একটা পাথরের স্লেট ভেঙে ফেলেছিলেন। বিশ্বাস না হলে নিজের চোখে দেখে নিনঃ 
     
  • এটাও | 117.194.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৫৩525583
  • থাক।
  • guru | 103.17.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২২:২৮525585
  • হিরেনদা,

    যথারীতি অসাধারণ হয়েছে লেখাটি। তবে এখানে ইহুদীদের ঈশ্বর কে?  নিচের এই ভিডিওটিতে প্রাচীন ইসরায়েলের অন্ততঃ দুজন ঈশ্বরের কথা বলা হচ্ছে। এখানে ইহুদীদের কোন ঈশ্বরের কথা বলা হচ্ছে ??


    El and Yahweh: The Two Gods of Israel
  • dc | 2401:4900:1f2a:42b:e1b1:e72c:8236:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৫০525589
  • দ্বিতীয় ভিডিওটা আগে দেখিনি, পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ laugh
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:5ce8:8705:8fd9:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:১৪525591
  • বাইবেলের ইংরেজি অনুবাদে দেখেছি ঈশ্বর সম্পর্কে বহুবচন প্রয়োগ হচ্ছে। যেমন ঈশ্বরেরা নিজেদের প্রতিমূর্তিতে মানুষ সৃষ্টি করলেন। এই বহুবচন কেন কে জানে। এলোহিম আর ইয়াওয়ে দুজন ঈশ্বর বলে?
  • হীরেন সিংহরায় | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:৫৫525592
  • ডি সি

    আমার লেখা ‘ইহুদি রসিকতা’ সিরিয়ালে এবং বইতে দি জু’স আর কামিং সিরিজের কথা উল্লেখ করেছি। যা an irreverent look at Judaism - পারলে বার্লিনের গল্পগুলো দেখে নেবেন ! এটি অর্থোডক্সদের কাছে এতোই আপত্তিকর যে ইসরায়েলে সাবাথের দিন দেখানো হয় ! বছর ছয়েক আগে ইসরায়েল সফরে মলদোভার ছেলে নিকো আমাকে এই সিরিজটির সঙ্গে পরিচয় করায়। কেন জানি না ইংল্যান্ড জার্মানি বা ফ্রান্সে অন্তত এটি অপরিচিত। আমারও কিছু মন্তব্য আছে – দশ আদেশের সময়ে মোসেসের অবদান – প্রথম ট্যাবলেট, কাট অ্যান্ড পেস্ট (প্রথমটা ভেঙ্গে ফেলে ঈশ্বর বললেন অন্য পাথরে লিখে দিচ্ছি) ডাবল সাইডেড কপি (পরেরটা দু দিকে লেখা)!
  • হীরেন সিংহরায় | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:৫৯525593
  • পলিটিশিয়ান

    আমার সকল উল্লেখ রাজা জেমসের অনুবাদ – পেন্টেতেউখ বা তানাখ থেকে। এখানে সরাসরি কথা বলেন ইহুদিদের ঈশ্বর জিহোভা। রবীন্দ্রনাথ কোথাও বলেছেন, ইনি ক্রুদ্ধ দেবতা !

    আপনি একেশ্বরবাদের মূলে চলে গেছেন! সিনাইয়ের পরেও দুটি দেবতার উপস্থিতি জানা যায়, যাকে ফ্রয়েড এলোহিসটিক ও ইয়াভিসটিক বলেছেন। হিব্রু বাইবেলের মৌখিক গল্প শুরু খ্রিস্ট পূর্ব একাদশ শতাব্দীতে, ব্যাবিলনের বনবাসে সেটিকে সাজানো গোছানো হয়। সম্ভবত দ্বিতীয় শতাব্দীতে, (আনো দমিনি) যেটা সম্পাদিত হয় সেটাই আজকের ফুল ফর্ম। আমার যতটুকু জানা তাতে মোসেস কোনমতেই একেশ্বরবাদের পয়লা প্রণেতা নন। টাইম লাইন ধরলে ইতিহাসে হয়তো জরথুস্ত্র অথবা অষ্টাদশ বংশের ফারাও আখেনাতন যিনি ফারাওদের দেব পূজো বন্ধ করে এক সূর্যের কিরণের বন্দনা করেন। সিনাইয়ের ট্যাবলেট যে হাম্মুরাবি থেকে অনেকখানি টোকা এ নিয়ে বিতর্ক থাকা উচিত নয়। দুঃখের বিষয় সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম আইন প্রণেতাকে মানুষ আবিষ্কার করেছে মাত্র একশো বছর আগে আজ অবশ্য লন্ডনের লিঙ্কনস ইনে তাকে মোসেস, মনু পয়গমবের পাশা পাশি সম্মানিত করা হয়।

    আলোচনায় আপনার অবদানের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
  • একেশ্বরবাদ | 173.49.***.*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:০১525601
  • ইয়াহওয়েহ বা জিহোভা মনে হচ্ছে টাইমলাইনে জরথুস্ত্রর আগেই। আখেনাতনই সম্ভবত একেশ্বরবাদের ধারণা শুরু করলেন সম্ভবত খৃষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতকে। 
    একটা কথা ভাবছিলাম কিছুদিন ধরেই, সম্ভবতঃ কিশোরবাবুর ধর্মাধর্মের সূত্রে - এই একেশ্বরবাদের দরকার পড়ল কেন পুতুলপুজোর ডেমক্রেসি ছেড়ে? যা মনে হচ্ছে, বিশেষ করে আখেনাতনের জন্যে, ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ একটা প্রধান কারণ। গ্লোবাল ট্রেডও একটা বড় কারণ - অনেকরকম ঠাকুর দেখতে দেখতে অনেক সংস্কৃতি জানতে জানতে লোকেদের মনে হয়েছে এদের মধ্যে নিশ্চয় কেন্দ্রীয় মিল আছে।  
  • একেশ্বরবাদ | 173.49.***.*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:০৪525602
  • হীরেনবাবুকে এই সুবাদে জানিয়ে রাখি, কেবল আপনার জন্যেই জীবনভোর জমিয়ে রাখা বহু প্রশ্নের উত্তর মিলেছে। 
  • Ranjan Roy | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৩১525606
  • আমারও একই বক্তব্য।
    অপেক্ষায় আছি, কবে হীরেনদা জানুয়ারিতে কোলকাতায় আসবেন আর ওনার সঙ্গে কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে আড্ডা দিতে পারব।
    অনেক কথা অনেক প্রশ্ন জমে আছে যে!
  • dc | 2401:4900:1cd0:4b61:fd5d:3bf7:2596:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০৩525607
  • হীরেনবাবু, জিউস আর কামিং এর কথা একেবারেই জানতাম না। য়ুটুবে দেখছি অনেকগুলো এপিসোড আছে, ওগুলো দেখে ফেলবো, সবকটা ধর্ম নিয়েই এরকম খিল্লি করে সিরিজ বানাতে পারলে ভালো হতো :-) 
  • শিবাংশু | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:১২525623
  • @হীরেনস্যার, 
    সেমেটিকভাষী আব্রাহামিক ঐতিহ্যের সমস্যা হলো বিভিন্ন কালপর্বে যাঁরা এই জাতিগুলির নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁরা সবাই 'লড়কে লেঙ্গে ' টাইপ লোক। মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করতে তাঁদের কোনও আপশোস হয় না। সেই ট্র্যাডিশন এখনও চলে আসছে। বেদের কথা ছেড়ে দিচ্ছি, আমাদের উপনিষদ চর্চার শুরুও  নেই নেই করে হাজার তিনেক বছর  হয়ে গেলো। নৈতিকতার নির্দেশ ( যা আব্রাহামিক ধর্মের ভিত্তি ) যতোটা আইনগত, ততোটা হৃদয়গত নয়। অন্যদিকে বুদ্ধ (যাঁকে উপনিষদের কাল ওভারল্যাপ করেছিলো ) সমানে নৈতিক শক্তির জয়গান গেয়ে গেছেন।  যার উৎস ছিলো একান্ত ভাবে হৃদয়গত। কয়েকশো বছর পর পিয়দস্সি অশোক বুদ্ধের বাণী হিসেবে যা প্রচার করেছিলেন  তারও মূল ভিত্তি ছিলো অহিংসা ও যুদ্ধবিরোধিতা। 'আইন' করে নয়, 'হৃদয় পরিবর্তন'ই ছিলো তাঁর রণকৌশল। আমাদের সঙ্গে মেলেনা সেমেটিক দুনিয়ার ইতিহাস ও দর্শন। যিশু এসে এই প্রবৃত্তিগুলি বদলাতে চেয়েছিলেন। এই জন্য তাঁর 'গুরু' হিসেবে  বুদ্ধকে নিয়ে এতো  টানাটানি।মানবতা বোধের দিক থেকে  বিচার করলে ভারতসভ্যতার উৎকর্ষ প্রশ্নাতীত। বিপুল বিষয়। আর কিছু লিখছি না এখানে। 
     
    একদেবতাবাদ আর একেশ্বরবাদ এক বস্তু নয়। একেশ্বরবাদের মূলে আছে নিরাকার সর্বশক্তিমানের অস্তিত্ত্ব। সে সব পরবর্তীকালের ব্যাপার।   
  • হীরেন সিংহরায় | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:১৭525628
  • শিবাংশু

    হক কথা। মোসেসের আইনগত নির্দেশনৈতিকতার সঙ্গেও মেলেনা হৃদয়গত দূর অস্ত। পাহাড় থেকে নেমে তিনি দেখলেন কিছু মানুষ গোল্ডেন কাফের পুজো করছে। তৎক্ষণাৎ আদেশ দিলেন তাদের সকলকে কতল করতে, তিন হাজার মানুষ নিহত হলেন। খানিকটা আগেই তিনি জানিয়েছেন ঈশ্বরের দশ আদেশ – সেখানে বলা আছে হত্যা করিবে না: কানানে ঢুকে জশুয়ার বাহিনী রক্তগঙ্গা বইয়ে দিলেন – স্বয়ং ঈশ্বর তাতে সহায়। তিনি বারবার বলছেন মারো কাটো নির্বিচারে আরও বার্তা দিলেন, তিনি নিজেই গাজাতে আগুন লাগাবেন। আরেক আদেশে বলা আছে অপরের ধনে লোভ করিবে না,, অপহরণ করিবে না। কানান বিজয়ে এর কোনটাই লাগু হয় নি এঁরা হত্যা লুণ্ঠন দ্বারা জমিদারি আত্মসাৎ করলেন, ঈশ্বরের অনুমোদিত পন্থায়। আমি মাত্র কয়েকটি ঐশ্বরিক বাণীর উল্লেখ করেছি এটিকে উপস্থাপিত করতে। আপনার আগের চিঠিতে লিখেছিলেন বর্ণাশ্রমী ধর্মে করুণা ভিত্তিক নয় সেটা ভীষণ ভাবে সত্য।
    তাই বুদ্ধের বাণী আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে অশোক সত্যিকারের অহিংসার পথ দেখান।

    অবশ্যই মূর্তি বিহীন একেশ্বরবাদ এবং একদেবতার পূজা এক নয় – যেমন জরথুস্ত্র।
  • একেশ্বরবাদ | 173.49.***.*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২৪525640
  • পাগান ভগবান থেকে একেশ্বরবাদ একটি বিবর্তন। উপনিষদের ব্রহ্ম তার সবচেয়ে ইভলভড রূপ। এরকমই বোধ হচ্ছে।
    বুদ্ধের ধারণা - যা কিনা ​​​​​​​ভগবানোত্তর - একটি বৈপ্লবিক ​​​​​​​চিন্তা। ​​​​​​​কেবল ​​​​​​​একটা খটকা ​​​​​​​রয়ে ​​​​​​​যায় - ঐ ভাবনা ​​​​​​​পশ্চিমে প্রসারিত ​​​​​​​হয় ​​​​​​​নি ​​​​​​​কেন (টুকে বা না-টুকে)। ​​​​​​​হয়তবা রাজনৈতিক  ​​​গভর্নেন্সের ​​​​​​​জন্য ​​​​​​​সুবিধাজনক নয় ​​​​​​​বলে! 
  • পলিটিশিয়ান | 2607:fb91:3d5:8208:ad2:dc57:6912:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৫৩525644
  • প্যাগান ভগবান থেকে একেশ্বরবাদ বিবর্তন বুঝলাম। কিন্তু তার সাথে কোন ভ্যালু জাজমেন্ট আছে কিনা বুঝলাম না।
     
    বুদ্ধের ধারণা পশ্চিমে না ছড়ানোর একটা কারণ অবশ্যই বৌদ্ধ প্রচারকেরা পশ্চিমে যখন গেলেন তখন ভারতে বৌদ্ধধর্মের গোল্ডেন ডেস শেষ হয়ে গেছে। এখন বৌদ্ধ ধর্ম পশ্চিমে আছে, কিন্তু এলিট ক্লাসের ফ্যাড হিসেবে। যেমন ইসকন আছে। সেদিক দিয়ে দেখলে ইসলামের প্রভাব পশ্চিমে বেশী।
  • একেশ্বরবাদ | 173.49.***.*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৩০525646
  • পশ্চিমে এখনকার বুদ্ধধর্ম এসেছে মনে হচ্ছে ৬০-৭০ এর দশকে। অবশ্যই প্রাচীনকালে ​​​​​​​নয়। ​​​​​​​তবে ​​​​​​​ডেভিড ​​​​​​​হিউম ​​​​​​​অষ্টাদশ ​​​​​​​শতকে যেভাবে ​​​​​​​জুডো - ক্রিশ্চিয়নিটির ​​​​​​​বেনেভোলেন্ট ​​​​​​​গডের ​​​​​​​ধারণার ​​​​​​​বাইরে ​​​​​​​গিয়ে ​​​​​​​'অভিজ্ঞতা'কে মূল্য দিতে শুরু করেন তাতে ​​​​​​​কেউ ​​​​​​​কেউ ​​​​​​​অনুমান ​​​​​​​করেন ​​​​​​​উনি ​​​​​​​বুদ্ধিষ্ট ​​​​​​​ধারণার ​​​​​​​সাথে ​​​​​​​পরিচিত ​​​​​​​হয়েছিলেন। 
     
    উপনিষদের ব্রহ্মের ধারণা ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে সবচেয়ে অ্যাবস্ট্রাক্ট ও কঠিন।  যতদূর জানতাম বুদ্ধবাদী চিন্তার কাউন্টার হিসেবেই পরমব্রহ্ম আসেন উপনিষদে। আর বুদ্ধের ভাবনা যে সেরিব্রাল ও কঠিন তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ তো বৌদ্ধধর্মের মধ্যে দেবতার আগমন। 
     
    ইসলামের আল্লাকে অন্য আব্রাহামিক ধর্মের ভগবানের থেকে আলাদা বলে এখনও জানিনি। চেষ্টা চলতেই থাকে। 
     
    কোন ​​​​​​​রকম ​​​​​​​ভ্যালু জাজমেন্ট ​​​​​​​দেবার ​​​​​​​ঘোর বিরোধী। ​​​​​​​অবচেতনের ​​​​​​​বায়াস ​​​​​​​লেখায় ​​​​​​​ফুটে ​​​​​​​উঠলে দুঃখিত। চেষ্টা ​​​​​​​করব ​​​​​​​কাটাবার। 
  • প্রশ্ন  | 173.49.***.*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ২২:২৯525651
  • হীরেনবাবুর টইকে বহুদূর বিপথে নিয়ে যাওয়া গেছে। আসলে আলোচনা এত উত্তেজক হয়ে গেল যে উপায় ছিল না। 
     
    সে যাই হোক, একটা প্রশ্ন ছিল উনার জন্যে - মিশরের আগে ইসরায়েলিদের ইতিহাস কিছু জানা যায়? আসলে কানানের প্রতি তাদের এই আকাঙ্খার কারণ খুঁজছিলাম। এ কি কেবলই দুধ-মধুর ধারণার জন্যে? 
    আপনি ঐ ভূখন্ডকে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সাথে মিশিয়ে লিখছেন - তাই ভাবছিলাম ইসরায়েলিদের কি আর কোন অতীত যোগ সেখানে আছে কি না! 
  • হীরেন সিংহরায় | 2a00:23c7:672e:2001:a81e:5125:13fb:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:২২525657
  • ইহুদি রসিকতায় মিশর রহস্য নিয়ে কিছু লিখেছি। লিংক খুঁজে জানাব এই পাতায় । জোসেফ কাজের সন্ধানে মিশর গেলেন - সেখান থেকে বন্দী দশা ও মুক্তি। ফ্রয়েডের বিশ্লেষন একেবারে আলাদা - তিনি মোসেসকে মিশরীয় বলেছেন । 
  • হীরেন সিংহরায় | 2a00:23c7:672e:2001:a81e:5125:13fb:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:২৪525658
  • সরি কানানের প্রতি আকর্ষণ নয় এটা আদেশ! আবরাহামকে ঈশ্বর বললেন তোমার আর সন্ততির জন্য জায়গা জমি দেখে রেখেছি সেখানে যাও। আমার এই পর্বের প্রথমেই সেটা উল্লেখ করেছি।
  • প্রশ্ন  | 173.49.***.*** | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ০০:২৩525660
  • হীরেনবাবু, 
    ধন্যবাদ। যা খুঁজছিলাম দশম পর্বে পেলাম। এই সুযোগে রিভিসান হয়ে গেল। smiley
  • Amit | 118.2.***.*** | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ০১:১৮525662
  • প্রশ্ন যে প্রশ্নটা করলেন আমাকেও সেটা একটু ভাবাচ্ছে হীরেনদা। বই এর হিসেবে ঈশ্বরের আদেশ ঠিক আছে। কিন্তু ঈশ্বর এত জায়গা থাকতে আব্রাহাম কে বা ইহুদিদের কানান বা গাজা এই জায়গায় কেন যেতে বললেন ?
     
    ইন রিয়ালিটি সেখানকার সাথে ইহুদিদের বা আব্রাহামের আগের কোনো এফিলিয়েশন ছিল? বা মোজেস যদি ইজিপ্টিয়ান রুটস্ ও হন, তাঁর পক্ষেও সমুদ্র পেরিয়ে এই জায়গা গুলোর প্রতিই প্রেফারেন্স কেন? শুধু রিলিজিয়াস কারণ ছাড়াও স্ট্র্যাটেজিক বা কমার্শিয়াল ড্রাইভস কিছু থাকবে? অথবা সেখানে তখন স্ট্রং কিংডম কিছু ছিল না? নতুন ভাবে শুরু করা যেত?
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ০২:২৪525664
  • অমিত

    সকলই প্রভুর ইচ্ছা। কেন যে তিনি গোরু ছাগল চড়িয়ে খাওয়া অশীতিপর এক মানুষকে বললেন ইরাকের এই উর শহর থেকে বেরিয়ে পড়ো, উত্তর পশ্চিমে হাঁটো সেখানে আমি তোমাদের বসবাসের ব্যবস্থা করে রেখেছি। কিন্তু আমরা জানি আব্রাহাম সেখানে গিয়ে বিশেষ সুবিধে করতে পারেন নি অতএব পরিবারের মিশর যাত্রা, মোসেসের নেতৃত্বে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়া। মোসেস যদি মিশরীয় তিনি ওমুখো হলেন কেন? কারণ আখেনাতনের পরে মিশরে আবার নানা দেব দেবীর পূজো চালু হয়েছে সেখানে এই এক ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখা শক্ত (ফ্রয়েড) আপনার অন্য প্রশ্ন খুবই সঙ্গত – কমার্শিয়াল কারণ কি ছিল তার পেছনে? ফিলিস্তিনরা সমুদ্র বাণিজ্যে সফল (হিব্রু বাইবেলে তাদের sea people বলা হয়েছে) – তবে কি সেই জন্যে? শেষ অবধি জশুয়ার তরবারির বলে এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদে কানানের মানুষদের নিধন করে সেই প্রতিশ্রুত ভূমিতে আস্তানা গাড়লেন।

    ইহুদিরা অবশ্য বলেন ঈশ্বর আর কিছু পেলেন না, এই রুক্ষু দেশটা আমাদের দিলেন? সুইজারল্যান্ড দিতে পারলেন না?
  • অরিন | 2404:4404:173a:a700:d88d:6c14:fc2:***:*** | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:৪৬525665
  • @একেশ্বরবাদ: "বে ডেভিড ​​​​​​​হিউম ​​​​​​​অষ্টাদশ ​​​​​​​শতকে যেভাবে ​​​​​​​জুডো - ক্রিশ্চিয়নিটির ​​​​​​​বেনেভোলেন্ট ​​​​​​​গডের ​​​​​​​ধারণার ​​​​​​​বাইরে ​​​​​​​গিয়ে ​​​​​​​'অভিজ্ঞতা'কে মূল্য দিতে শুরু করেন তাতে ​​​​​​​কেউ ​​​​​​​কেউ ​​​​​​​অনুমান ​​​​​​​করেন ​​​​​​​উনি ​​​​​​​বুদ্ধিষ্ট ​​​​​​​ধারণার ​​​​​​​সাথে ​​​​​​​পরিচিত ​​​​​​​হয়েছিলেন।"
     
    এই বিষয়টি নিয়ে Alison Gopnik এর  The Atlantic এ লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন,
     
    হিউম ইপোলিতো দেসিদেরি এবং শার্ল দোলুর সূত্রে (অষ্টাদশ শতকে) বৌদ্ধ চিন্তাভাবনার সঙ্গে সম্যক পরিচিত ছিলেন। একটা কথা মনে রাখা যেতে পারে যে বৌদ্ধধর্মের ইউরোপ প্রসার আলেকজান্দারের আমল থেকে।
     
    "পশ্চিমে এখনকার বুদ্ধধর্ম এসেছে মনে হচ্ছে ৬০-৭০ এর দশকে। অবশ্যই প্রাচীনকালে ​​​​​​​নয়।"
    না। 
    আমেরিকাতে  বৌদ্ধধর্ম নিয়ে আসেন চীনারা ১৮২০ নাগাদ, প্রথম বৌদ্ধ মন্দির ১৮৫৩ তে সান ফ্রানসিসকোয়, ১৯০০ সাল নাগাদ প্রায় ৪০০ মন্দির ছিল শুধু west coast এ। 
    ১৮৮০ তে এডউইন আর্নোল্ডের "light of Asia" আমেরিকানদের মধ্যে সাংঘাতিক রকমের জনপ্রিয়তা পায়।
    ১৯০৭ সালে দাইসাতসু সুজুকি ইলিনয়তে তাঁর মহাযান বৌদ্ধধর্মের ওপর বইটি লেখেন।
    ১৯৩৪ এ Dwight Goddard, আমেরিকান বৌদ্ধধর্মের একজন প্রধান পুরুষ, এক বছরের জন্য জাপানে একটি জেনডোতে যান।
    ১৯৬০-৭০ সাল অনেক পরে। 
  • Kishore Ghosal | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:১৬525674
  • হীরেনস্যারের অনবদ্য আলোচনা এবং তৎসহ সকলের আলোচনায় ঋদ্ধ হলাম। সে বিষয়ে নতুন কিছু যোগ করার নেই। তবে আমার মনে হয়, সেটা একটু খুলে বলি-   
     
    নদীবহুল শ্যামল অধিকাংশ উর্বর জমির  ভারতবর্ষ, প্রাগার্য ভারতীয় অর্থাৎ অনার্যদের সেভাবে মারকুটে যুদ্ধবাজ বানিয়ে তুলতে পারেনি। বিশাল এই দেশটা শস্য, খনিজ (সোনা-রূপা), নানান মণি-রত্ন সম্পদে সমৃদ্ধ ছিল,  অতএব  প্রতিবেশীদের মেরে ধরে রক্তগঙ্গা বইয়ে সম্পদ সংগ্রহ করতে হয়নি - তবে প্রতিবেশী মানুষদের দাস হিসেবে চাষবাস করিয়েছে, সোনারূপোর কাজ করিয়েছে, কাঠের কাজ করিয়েছে ইত্যাদি। 
     
    সিন্ধু সভ্যতার মতো এত বড় এবং বিস্তৃত এবং সুদীর্ঘকালীন বাণিজ্যকেন্দ্রিক শহর ও জনপদগুলিতে পারষ্পরিক যুদ্ধের তেমন কোন প্রমাণ প্রত্নতাত্ত্বিক পণ্ডিতেরা আজও পাননি। 
     
    আমার ধারণা ভারতে যুদ্ধবাজি প্রথম নিয়ে এল আর্যরা। তারা যে শুধু অনার্য মানুষদের রাক্ষস, অসুর, দানব, পিশাচ বলে যুদ্ধ করে তাদের এলাকা ও সম্পদ জয় করতে লাগল তা নয় - নিজেদের নানান গোষ্ঠীর মধ্যেও নিত্যিই ঝামেলা পাকাত - সে কথার উল্লেখ  ঋগ্বেদে  রয়েছে -  মহাভারতে তো আছেই!  অন্য দলের গবাদি পশু লুঠ করে, তাকে "গবিষ্ঠি" বলে রীতিমতো গর্ব করত। 
     
    তার কারণ আর্যদের পিতৃভূমি ছিল শীতপ্রধান রুক্ষদেশ,  তারা টুকটাক কিছু যব -গম চাষ করত আর তাদের মূল পেশা ছিল গরু ভেড়া ছাগল, আর কিছু কিছু ঘোড়া চড়ানো। ভারতে ঢুকেই  অনার্যদের সম্পদের এত প্রাচুর্য দেখে লোভ এবং ঈর্ষায় ঝলসে উঠল আর্যদের চোখ - এবং শুরু হয়ে গেল ভারত জুড়ে নিরন্তর খেয়োখেয়ি। আর্যদের সেই যুদ্ধবাজ অহংকারী ও মদ্যপ গোষ্ঠীপতিদের বলা হত ইন্দ্র। 
     
    আর্যদের এই যুদ্ধ-সংস্কৃতি অচিরেই শিখে নিলেন অনার্য গোষ্ঠীপতিরাও - তাঁরাও ওস্তাদ হয়ে উঠলেন যুদ্ধ-রাজনীতিতে, একের পর এক অনার্য গোষ্ঠীপতিকে (হিরণ্যকশিপু, হিরণ্যাক্ষ, রাবণ প্রমুখ অজস্র রাক্ষস ও দানব) পরাস্ত করলেন এমনকি খণ্ডন করলেন আর্য গোষ্ঠীপতি ইন্দ্রদের ক্ষমতা ও গর্ব। কালক্রমে তাঁরাই হয়ে উঠলেন আমাদের প্রধান দেবতা - বিষ্ণু, মহাদেব, চণ্ডী...
     
    অতএব আর্য নামক হোমোস্যাপিয়েনদের বিশেষ গোষ্ঠীটি শুরু থেকেই যুদ্ধ-রাজনীতিতে দক্ষ। যে কোন কারণে যুদ্ধ লাগাতে  না পারলে, আজও বিশ্বের সব গোষ্ঠীপতিদের "ভাত হজম" হয় না।  
     
     
  • ইতিহাসের ছাত্র  | 115.187.***.*** | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:২৭525678
  • হিরেনবাবু ,
     
                   আচ্ছা রাষ্ট্রের দমননীতি আর মানুষের স্মৃতি কে জেতে শেষ পর্যন্ত ? ইতিহাস কি বলে এ ব্যাপারে ?
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:১০525680
  • কিশোর

    অসাধারণ সমীক্ষা আপনার।  ঠিক বলেছেন , সম্পূর্ণ সহমত । আমাদের দেশের অনার্য ঘোড়ায় চড়ে বিদেশি শত্রুর মাথা কাটে নি,  তার প্রয়োজন ছিল না । ধরিত্রী মাতা তাঁদের অনেক দিয়েছিলেন, পরের ধনে লোভ করতে হয় নি । বর্ণাশ্রম অবশ্যই তাঁদের এক জরুরি  ম্যানেজমেন্ট টুল, সমাজে অনেক বিভেদ তবে সেটা ঘরের ভেতরে ।  আর্য থেকে ইংরেজ সকলেই ছোটো দেশ বা দ্বীপ থেকে এসেছিলেন ধনের সন্ধানে তাঁরা শেখালেন যুদ্ধের টেকনিক – একবার আফ্রিকার কথা ভাবুন , নানা জাতি উপজাতি বাস করেছে মারপিট করেছে অবশ্যই কিন্তু টাঙ্গানিয়াকা থেকে জিম্বাবোয়েতে খনি খুঁজতে যায় নি মানুষের প্রতি মানুষের নির্মমতার আর্ট তাদের শেখালো সভ্য ইউরোপীয়রা কঙ্গোর কথা মনে করুন।

    সিনাই পাহাড়ের মন্ত্র শুনে এক  জাতি কানানের পানে ধাওয়া করে বাসস্থানের সন্ধানে,  ঈশ্বরের বাণী শুনে ( দিওয়ার সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন যেমন রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ  হলেন ‘মা কা আশীর্বাদ ‘ লেকর )।
     
  • Kishore Ghosal | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৩১525683
  • খুব সত্যি কথা। 
     
    বিশ্ব ইতিহাসের দারুণ সভ্য  ও  অবশ্যই শক্তিশালী  যে কোন সাম্রাজ্যের থেকে সিন্ধু সভ্যতার "বাণিজ্য-সাম্রাজ্য" বহুবছর বেশি সগৌরবে টিকে ছিল। সেকথা আমি ধর্মাধর্মে  table  বানিয়ে দেখিয়েছিলাম।  ওই শক্তিশালী সাম্রাজ্যগুলিও সীমানা  বাড়ানোর অথবা সীমানা রক্ষার জন্যে সর্বদা যুদ্ধ করে গেছে। রোমান সৈন্যদের কথাই ধরুন - সারাজীবন যুদ্ধ করে করে হয়রান হয়ে গেছে। 
     
    সেখানে আমাদের সিন্ধু সভ্যতার "অসভ্য" অনার্য গোষ্ঠীগুলি একত্রে প্রায় ১৭৫০ বছর টিকে ছিল - তাদের ভাগ্য খারাপ - বার বার ভয়াবহ ভূমিকম্প - ভূস্খলনের জন্যে তাদের সবকিছু ছেড়ে চলে আসতে হয়েছিল। 
     
    নিচেয় রইল সেই অধ্যায়ের সূত্রটি- 
     
     
  • প্রশ্ন | 173.49.***.*** | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:১৩525686
  • অরিনকে ধন্যবাদ।  থেরাভাদা বুদ্ধিজমের ​​​​​​​কথাটাই ​​​​​​​খালি ​​​​​​​মনে ​​​​​​​ছিল। ​​​​​​​আটলান্টিকের ​​​​​​​লেখাটা ​​​​​​​দেখেছি ​​​​​​​বটে। ​​​​​​​
     
    Sea people রা তো একটু মারকুটে টাইপ ছিল মনে হচ্ছে, যদিও তাদের কম্প্লেক্স সংস্কৃতি। আরব তো বালুকাময়, সিনাই পাহাড়ও মনে হয় ঠিক চাষবাসের যোগ্য নয়। কানান অঞ্চল, যেখানে আব্রাহাম এলেন, হীরেনবাবু সেখানকার জমি কেমন দেখলেন? জেরিকোর ছবি দেখছিলাম - সে তো বালিময়। 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ২০:১৪525690
  • তাই তো ইহুদিরা বলেন ঈশ্বর আর কিছু পেলেন না, এই রুক্ষু দেশটা আমাদের দিলেন? সুইজারল্যান্ড দিতে পারলেন না?
     
    জেরিকো দেখেছি পাথুরে এবং ধুলোয় ভরা,  যেমন দামাস্কাস। তবে নতুন সেচ বিদ্যে দিয়ে ইসরায়েল অনেক ফসল ফলাচ্ছে,  বিশেষ করে ড্রিপ পদ্ধতি। সেটা তারা নানান দেশে রপ্তানি করে। আমি প্রথম তার নমুনা দেখি এমিরতসে রাস্তার মাঝের ব্যারিকেডে কেবল সবুজ !  সি পিপল তাই সমুদ্রে নৌকা ভাসালেন তবে হাইফা ছাড়িয়ে যত লেবানন মুখি হবেন ধরিত্রী অতটা রুক্ষ মনে হবে না। বাইবেলে তাই অগুন্তিবার লেবাননের চর্চা ! 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন