এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সনাতনীদের জ্ঞাতার্থে এবং পালনার্থে রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণাদি হিন্দুশাস্ত্রে বর্ণিত কিছু অত্যাশ্চর্ষ সরস কাহিনির সংক্ষিপ্ত সংকলন 

    Ashoke Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৫০ বার পঠিত
  • পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
    মাংস আহারের বিষয়ে যুধিষ্ঠিরকে ভীষ্মের উপদেশঃ

    যুধিষ্ঠির ভীষ্মকে কহিলেন, পিতামহ, আপনি বহুবার বলিয়াছেন যে অহিংসা পরম ধর্ম। আপনার কাছে ইহাও শুনিয়াছি যে পিতৃগণ আমিষ ভোজনে অধিকতর তৃপ্তিলাভ করিয়া থাকেন সেইহেতু শ্রাদ্ধকার্যে বহুবিধ মাংস দেওয়া হইয়া থাকে। হিংসা না করিলে মাংস কি প্রকারে পাওয়া যাইবে? ভীষ্ম বলিলেন, যাহারা সৌন্দর্য স্বাস্থ্য আয়ু বুদ্ধি বল ও স্মরণশক্তি কামনা করেন তাহারা হিংসা ত্যাগ করিয়া থাকেন। স্বয়ম্ভুব মনু বলিয়াছেন, যিনি মাংস আহার ও পশুহত্যা করেন না তিনি সর্বজীবের মিত্র ও বিশ্বাসের পাত্র। নারদ বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি অপরের মাংস ভোজন করিয়া আপনার মাংস বৃদ্ধি করিতে চাহে সে কষ্ট ভোগ করিয়া থাকে।

    মাংসাশী ব্যক্তি মাংস আহার ত্যাগ করিলে যে পূণ্যফল পাইয়া থাকে, বেদাধ্যয়ন ও সকল যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিলেও সেরূপ ফল পাইতে পারে না। মাংস ভোজনে আসক্তি জন্মাইলে তাহা পরিত্যাগ করা কষ্টসাধ্য। মাংস আহার ত্যাগ করিলে সকল প্রাণী অভয় লাভ করিয়া থাকে। মাংসভোজী না থাকিলে কেহ পশুহত্যা করিবে না, মনুষ্য মাংস ভোজন করিবার নিমিত্ত পশুঘাতক হইয়াছে। মনু কহিয়াছেন, যজ্ঞাদি কর্মে এবং শ্রাদ্ধে পিতৃগণের উদ্দেশ্যে যে মন্ত্রপূত সংস্কৃত মাংস নিবেদিত হইয়া থাকে তাহা পবিত্র, তাহা ভিন্ন অন্য মাংস অপবিত্র এবং অভক্ষ্য।

    যুধিষ্ঠির পুনরায় কহিলেন, মাংসাশী ব্যক্তি পিঠা শাক প্রভৃতি সুস্বাদু খাদ্য অপেক্ষা মাংস ভোজনে অধিক তৃপ্তিলাভ করিয়া থাকে। আমার অভিমত মাংসের তুল্য সুস্বাদু এবং সরস খাদ্য কিছুই নাই। অতএব, আপনি মাংস আহার ও মাংস বর্জনের দোষগুণ বর্ণনা করুন। ভীষ্ম বলিলেন, তোমার বাক্য সত্য, মাংস অপেক্ষা অধিক সুস্বাদু কোনো ভক্ষ্যদ্রব্য নাই। ক্ষীণদেহী দুর্বল ইন্দ্রিয়সেবী ও শ্রান্ত লোকের জন্য মাংসই শ্রেষ্ঠ খাদ্য, তাহাতে দ্রুত বলবৃদ্ধি ও পুষ্টিলাভ হইয়া থাকে। তথাপি যে ব্যক্তি অপরের মাংস ভোজন করিয়া আপনার মাংস বৃদ্ধি করিতে চাহে তাহার অপেক্ষা ক্ষুদ্রমতি ও নৃশংস কেহই নাই। বেদে বর্ণিত আছে যে, পশুগণ যজ্ঞের নিমিত্ত সৃষ্ট হইয়াছে, অতএব যজ্ঞ ভিন্ন অন্য কারণে পশুহত্যা রাক্ষসের কর্ম। প্রাচীনকালে মহামুনি অগস্ত্য অরণ্যের পশুগণকে দেবতাদের উদ্দেশে উৎসর্গ করিয়াছিলেন, সেইহেতু ক্ষত্রিয়ের পক্ষে যজ্ঞের নিমিত্ত মৃগয়া ধর্মসম্মত।

    বিশ্বামিত্র ও চণ্ডালের কাহিনিঃ

    যুধিষ্টির ভীষ্মকে কহিলেন, পিতামহ, ধর্ম লোপ পাইলে মনুষ্য পরস্পরকে বঞ্চনা করিয়া থাকে, অনাবৃষ্টির ফলে খাদ্যাভাব হইয়া থাকে, সমস্ত ধন দস্যুর হস্তগত হইয়া থাকে, সেই আপৎকালে কিরূপে জীবনযাত্রা নির্বাহ করা সমিচীন? ভীষ্ম যুধিষ্টিরকে কহিলেন, আমি এক প্রাচীন কাহিনি বলিতেছি শ্রবণ করো -
    ত্রেতা এবং দ্বাপর যুগের সন্ধিক্ষণে বারো বৎসর কাল ঘোর অনাবৃষ্টি হইয়াছিল। কৃষিকার্য অসম্ভব হইল, তস্কর এবং রাজাদের উৎপীড়নে গ্রাম নগরাদি জনশূন্য হইয়া গেলো, গবাদি পশু খাদ্যাভাবে বিনষ্ট হইল, মনুষ্য ক্ষুধার্ত হইয়া পরস্পরের মাংস ভোজনে প্রবৃত্ত হইল। এইরূপ আপৎকালে মহর্ষি বিশ্বামিত্র স্ত্রীপুত্রকে এক জনপদে রাখিয়া ক্ষুধার্ত হইয়া খাদ্যের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে পর্যটন করিতে করিতে একদিন তিনি চণ্ডালদের বসতিতে উপনীত হইয়া বিক্ষিপ্তভাবে সারমেয়চর্ম, শুকর ও গর্দভের অস্থি এবং মৃত মনুষ্যের মলিন বস্ত্র দেখিতে পাইলেন। কোনোখানে কুক্কুট ও গর্দভের রব শোনা যাইতেছে, কোনোখানে চণ্ডালরা একে অপরের সহিত কলহরত। বিশ্বামিত্র খাদ্যের সন্ধান করিলেন, কিন্তু কোথাও মাংস অন্ন কিংবা ফলমূল দেখিতে না পাইয়া তিনি দুর্বলতাবশতঃ অবসন্ন হইয়া ভূমিতে পতিত হইলেন।

    অকস্মাৎ তাহার দৃষ্টিগোচর হইল, এক চণ্ডালের গৃহে সারমেয়র মাংস রক্ষিত আছে। বিশ্বামিত্র ভাবিলেন, প্রাণরক্ষার নিমিত্ত চুরি করিলে অধর্ম হইবে না। রাত্রিকালে চণ্ডালরা নিদ্রিত হইলে বিশ্বামিত্র সেই চণ্ডালের গৃহে প্রবেশ করিলে চণ্ডাল জাগরিত হইয়া কহিল, কে তুমি মাংস চুরি করিতেছ? তোমাকে আমি হত্যা করিবো।

    বিশ্বামিত্র উদ্বিগ্ন হইয়া বলিলেন, আমি বিশ্বামিত্র, ক্ষুধায় মৃতপ্রায় হইয়া তোমার গৃহে কুকুরের মাংস চুরি করিতে আসিয়াছি। আমার বেদজ্ঞান লুপ্ত হইয়াছে, আমি খাদ্যাখাদ্য বিচারে অক্ষম, অধর্ম জানিয়াও আমি চুরি করিতেছি। অগ্নি যেরূপ সর্বভূক, আমিও এখন সেইরূপ সর্বভূক।

    চণ্ডাল সসম্ভ্রমে শয্যাত্যাগ করিয়া কৃতাঞ্জলি হইয়া বলিল, মহর্ষি, এমন কর্ম করিবেন না যাহাতে আপনার ধর্মহানি হয়। পণ্ডিতদের মতে সারমেয় শিয়ালেরও অধম, আবার তাহার পশ্চাদ্দেশের মাংস অন্য অঙ্গের মাংসাপেক্ষা অপবিত্র। আপনি ধার্মিকগণের অগ্রগণ্য, প্রাণরক্ষার নিমিত্ত অন্য উপায় অবলম্বন করুন।

    বিশ্বামিত্র বলিলেন, আমার অন্য কোনো উপায় নেই। প্রাণরক্ষার নিমিত্ত যে কোনও উপায় সঠিক, ক্ষুধা নিবৃত্ত করিয়া সবল হইয়া ধর্মাচরণ করিলেই পাপস্খালন হইবে। বেদরূপ অগ্নি আমার শক্তি, তাহারই প্রভাবে আমি অভক্ষ্য মাংসভোজনে ক্ষুধাশান্তি করিবো। চণ্ডাল বলিল, সারমেয়র মাংস ভোজনে আয়ুবৃদ্ধি হয় না, প্রাণ তৃপ্ত হয় না, অতএব আপনি অন্য খাদ্য সংগ্রহের উপায় করুন অথবা ক্ষুধা দমন করিয়া ধর্মরক্ষা করুন।

    বিশ্বামিত্র কহিলেন, অসহনীয় ক্ষুধায় আমার নিকট হরিণের মাংস আর সারমেয়র মাংস সমান। আমার প্রাণসংশয় হইয়াছে, অসৎ কার্য করিলেও আমি চণ্ডাল হইবো না। চণ্ডাল বলিল, ব্রাহ্মণ কুকর্ম করিলে ব্রাহ্মণত্ব নষ্ট হয় বলিয়া আমি আপনাকে নিবারণ করিতেছি। নীচ চণ্ডালের গৃহ হইতে সারমেয়র মাংস চুরি করিলে আপনার চরিত্র দূষিত হইবে, আপনাকে অনুতাপ করিতে হইবে।

    বিশ্বামিত্র চণ্ডালের কোনও আপত্তি গ্রাহ্য না করিয়া মাংস লইয়া বনে প্রত্যাবর্তন করিলেন। অন্তর, দেবগণকে নিবেদনপূর্বক সপরিবারে মাংস ভোজন করিবেন এইরূপ ভাবিয়া বিশ্বামিত্র যথাবিধি অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করিয়া আনীত সারমেয়মাংস রন্ধন করিয়া দেবগণ ও পিতৃগণকে আহ্বান করিলে দেবরাজ ইন্দ্র প্রচুর বারিবর্ষণ করিয়া ঔষধি ও প্রজাগণকে সঞ্জীবিত করিলেন। ইহাতে বিশ্বামিত্রের পাপ নষ্ট হইলো এবং তিনি পরমগতি লাভ করিলেন।

    ভীষ্ম বর্ণিত শাস্ত্রানুসারে বিবাহভেদ, কন্যার অধিকার, বর্ণসংকর ও পুত্রভেদঃ

    যুধিষ্ঠির ভীষ্মকে জিজ্ঞাসা করিলেন, পিতামহ, কিরূপ পাত্রে কন্যাদান করা কর্তব্য? ভীষ্ম বললেন, স্বভাব চরিত্র বিদ্যা কুল ও কর্ম দেখিয়া গুণবান পাত্রে কন্যাদান করা সমিচীন। এমন বিবাহের নাম ব্রাহ্মবিবাহ, ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়ের পক্ষে এইরূপ বিবাহই প্রশস্ত। বর ও কন্যার পরস্পরের প্রতি প্রণয়জনিত বিবাহকে গান্ধর্ব বিবাহ বলা হয়। ধন দ্বারা কন্যা ক্রয় করিয়া যে বিবাহ হয় তাহার নাম আসুর বিবাহ। আত্মীয়বর্গকে হত্যা করিয়া ক্রন্দনরতা কন্যার সহিত বিবাহের নাম রাক্ষস বিবাহ। শেষোক্ত দুই বিবাহ নিন্দনীয়। ব্রাহ্মণাদি প্রত্যেক বর্ণের পুরুষ তাহার সবর্ণের বা নিম্নবর্ণের কন্যাকে বিবাহ করিতে পারে। ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়ের পক্ষে সমবর্ণা পত্নীই শ্রেষ্ঠ। ত্রিশ বৎসরের পাত্র দশ বৎসরের কন্যাকে এবং একুশ বৎসরের পাত্র সাত বৎসরের কন্যাকে বিবাহ করিবে। ঋতুমতী হইলে কন্যা তিন বৎসর অপেক্ষা করিবার পর স্বয়ং পতি বরণ করিবে। কেবলমাত্র বাগদান করিলে বা পণ গ্রহণ করিলে বিবাহ সম্পন্ন হয় না, মন্ত্রপাঠ ও হোম করিয়া কন্যা সম্প্রদান করিলেই বিবাহ সম্পন্ন হয়। সপ্তপদী গমনের পর পাণিগ্রহণ মন্ত্র সম্পূর্ণ হয়।

    যুধিষ্ঠির পুনরায় ভীষ্মকে জিজ্ঞাসা করিলেন, কন্যা থাকিলে অপুত্রক ব্যক্তির ধন অন্য কেহ পাইতে পারে কি? ভীষ্ম কহিলেন, কন্যা পুত্রের সমান, তাহার পৈতৃক ধনে অন্য কেহ অধিকারী হইবে না। পুত্র থাকিলেও মাতার যৌতুক ধনে কেবলমাত্র কন্যার অধিকার। অপুত্রক ব্যক্তির দৌহিত্রও পুত্রের সমান অধিকারী।

    যুধিষ্ঠির কহিলেন, আপনি বর্ণসংকরের উৎপত্তি ও কর্মের বিষয়ে বলুন। ভীষ্ম কহিলেন, পিতা ব্রাহ্মণ আর মাতা ব্রাহ্মণকন্যা হইলে পুত্র ব্রাহ্মণ, মাতা ক্ষত্রিয়কন্যা হইলে পুত্র মূর্ধাভিষিক্ত, মাতা বৈশ্যকন্যা হইলে পুত্র অম্বষ্ঠ এবং মাতা শূদ্রকন্যা হইলে পুত্র পারশব নামে পরিচিত হয়। পিতা ক্ষত্রিয় আর মাতা ক্ষত্রিয়কন্যা হইলে পুত্র ক্ষত্রিয়, মাতা বৈশ্যকন্যা হইলে পুত্র মাহিষ্য এবং মাতা শূদ্রকন্যা হইলে পুত্র উগ্র নামে পরিচিত হয়। পিতা বৈশ্য আর মাতা বৈশ্যকন্যা হইলে পুত্র বৈশ্য এবং মাতা শূদ্রকন্যা হইলে পুত্রকে করণ নামে পরিচিত হয়। শূদ্র ও শূদ্রার পুত্র শূদ্রই হয়।

    নিম্নবর্ণের পিতা ও উচ্চবর্ণের মাতার সন্তান নিন্দনীয় হয়। ক্ষত্রিয় ও ব্রাহ্মণীর পুত্র সূত, তাহাদের কর্ম রাজাদের স্তুতিপাঠ। বৈশ্য ও ব্রাহ্মণীর পুত্র বৈদেহক বা মৌল্য, তাহাদের কর্ম অন্তঃপুর রক্ষণ, তাহাদের উপনয়নাদি সংস্কার নাই। শূদ্র ও ব্রাহ্মণীর পুত্র চণ্ডাল, তাহারা কুলের কলঙ্ক, গ্রামের বহির্দেশে বাস করে এবং ঘাতকের কর্ম করে। বৈশ্য ও ক্ষত্রিয়ার পুত্র বাক্যজীবী বন্দী বা মাগধ। শূদ্র ও ক্ষত্রিয়ার পুত্র মৎসজীবী নিষাদ। শূদ্র ও বৈশ্যার পুত্র সূত্রধর। শাস্ত্রে কেবলমাত্র চতুর্বর্ণের ধর্ম নির্দিষ্ট আছে, বর্ণসংকর জাতির ধর্মের কোনো বিধান নাই, তাহারা সংখ্যায়ও অত্যধিক।

    পরিশেষে ভীষ্ম কহিলেন, ঔরসজাত পুত্র আত্মস্বরূপ। পতির অনুমতিতে অন্যের দ্বারা উৎপন্ন সন্তানের নাম নিরুক্তজ, বিনা অনুমতিতে সন্তান হইলে তাহার নাম প্রসূতিজ। বিনামূল্যে প্রাপ্ত অপরের পুত্র দত্তকপুত্র, মূল্য দ্বারা প্রাপ্ত পুত্রকে কৃতকপুত্র বলে। গর্ভবতী কন্যার বিবাহের পর যে পুত্রের জন্ম হয় তাহার নাম অধ্যোঢ়। কুমারী কন্যার পুত্র কানীন বলিয়া পরিচিত হয়।
    ________
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ripon | 148.113.***.*** | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৩৭736835
  • ইন্টারেষ্টিং 
  • Ranjan Roy | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:১৩736843
  • চমৎকার হয়েছে, 
    তবে তথ্যসূত্র বলুনঃ মহাভারতের শান্তিপর্ব নাকি অনুশাসন পর্ব? কোন এডিশন?
    রাজশেখর বসুর সারানুবাদ?  নাকি কালীপ্রসন্নের অনুবাদ? 
    এগুলোতে সবসময় তথ্যসূত্র দিলে ভালো হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন