মিঠুর পরের ক্লাস ঘন্টা দুয়েক পরে -সেকন্ড ইয়ারের প্র্যাকটিকাল; শেষ হতে সন্ধ্যা হবে। দুপুরে খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে স্যান্ডউইচ এনেছিল- আলুসেদ্ধ, শশা টশা দিয়ে ছন্দাই বানিয়ে দিয়েছিল সকালে- কলেজে ঢুকেই টিফিন বাক্স খুলে বার কয়েক গন্ধ শুঁকেছে মিঠু- লংকা মেশানো আলুসেদ্ধর গন্ধ, পুরোনো টোস্টারে স্যাঁকা পাঁউরুটির হাল্কা বাসে মুখ ভরে জল এসেছে, তারপর ফার্স্ট পিরিয়ডের পরেই এক ফাঁকে খেয়ে নিয়েছে। এখন খিদে নাছোড়বান্দা- জল খেয়ে খেয়ে পেট ভরাতে পারছিল না মিঠু। স্টাফরুমে কৌটো খুলে বসেছে বাকিরা- ভাত, রুটি, আলুর তরকারি, বাটার চিকেনের গন্ধে ভরে আছে ঘর।
-"কী, আজ খাবেন না? উপোস টুপোস নাকি?" ফচকে দিব্যেন্দু ওর পাশে ভাত নিয়ে বসল। মিঠু আড়চোখে দেখল, ভাত, আলুভাজা, ঢ্যাঁড়স, টমেটোর শুকনো তরকারি, নধর কাঁচালংকা। বোতল থেকে জল গলায় ঢেলে মাথা নেড়ে হাসল- যার মানে হ্যাঁও নয়, নাও হয়- তারপর খাতা দেখায় নিবিষ্ট হল। দিব্যেন্দু কথা না বাড়িয়ে এক গাল ভাত মুখে কাঁচা লংকায় কামড় দিল।
মুখভরা জল গিলতে গিলতে মিঠুর আতংক হচ্ছিল- প্র্যাকটিকাল শেষ হ'তে কম করে ছটা বেজে যাবে তারপর আরো একঘন্টা পর বাড়ি- মানে আরো ছ ঘন্টা। ডক্টর দাসের কথা মত টিফিনে ভাত না এনে স্যান্ডউইচ আনছে - এতে পেট ভরে না অবভিয়াসলি। ঘন ঘন খিদে পায় বলে ব্যাগে, কলেজের লকারে বিস্কুটের প্যাকেট রেখে দেয়। আজ ব্যাগ হাতড়ালো, ড্রয়ার ঘাঁটলো- গত সপ্তাহে সব ফুরিয়ে গেছে। তাড়াহুড়ো করে স্যান্ডউইচ না খেলেই হত। ওর ফার্স্ট পিরিয়ডে ফিরে যেতে ইচ্ছে করছিল- যেন পিছিয়ে সেই সময়টায় যেতে পারলে, মিঠু এবারে বাক্স খুলবে, গন্ধ শুঁকবে, তারপর বাক্স বন্ধ করে রেখে দেবে। কী করে এতক্ষণ না খেয়ে থাকবে- ওর শরীরের মধ্যে একটা শূন্যতার জন্ম হচ্ছিল ক্রমশ। দপদপ করছিল কপালের রগ। জাস্ট একটুখানি আলুভাজা, কাঁচা লংকা , এক মুঠো ভাত - চাইবে দিব্যেন্দুর কাছে? মিথ্যে বললেই হবে। বললেই হবে-টিফিন আনি নি।
দিব্যেন্দুর খাওয়ার ভঙ্গি মিঠুকে মরিয়া করে তুলছিল ক্রমশ। মিথ্যে বলার ইচ্ছে প্রবল হয়ে উঠতেই বাথরুমে গিয়ে ঘাড়ে মাথায় জল দিল মিঠু তারপর স্টাফ রুমে এসে পার্স নিল। দিব্যেন্দুকে বলল, "একটু বেরোচ্ছি, বুঝলেন। মা র ওষুধ কিনতে হবে, ভুলেই গিয়েছিলাম"
- এখন আবার বেরোবেন? ফেরার সময় কিনে নেবেন না হয়…
-এত ভীড় হয় সন্ধ্যার দিকে- এখনই ঘুরে আসি।
কলেজের উল্টোদিকের ফুটপাথে ফুচকা, আইসক্রীম, রোল, চাউমিন- ছেলেমেয়েরা ভীড় করে আছে। মিঠু সানগ্লাস পরে ছাতা মাথায় বেরিয়ে এল। ভীড়ের পাশ কাটিয়ে পাশের গলিতে ঢুকে আবার বড় রাস্তায় এল- এখানে একটা চাইনিজ রেস্তোরাঁ, রাতের দিকে বেশ ভীড় হয়; ছাত্রছাত্রীরা এখানে আসবে না- মিঠু কাচদরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই সয়া সস, পেঁয়াজ, চিলি সসের গন্ধ ওকে ঘিরে ধরল। ও দেখল, আধো অন্ধকারে মেরুন বন্ধগলা কোটের ওয়েটার, লাল দেওয়াল ঘেঁষে সিঁড়ি উঠে গিয়েছে দোতলায় , সামনের কাউন্টারে বেঁটে বাঁশের টব, লাফিং বুদ্ধ, গদিমোড়া চেয়ার টেবিলে ইতস্তত দুচারজন, একজস্ট ফ্যান চলার আওয়াজ আসছিল একটানা; মিঠু হাঁসফাঁস করে দোতলার ছোটো টেবিলে বসে মেনুকার্ডের পাতা ওল্টাল।
খাবার আসতে দেরি হচ্ছিল। প্র্যাকটিকাল ক্লাসের সময় হয়ে আসছে। মিঠুর তীব্র খিদে ক্রমশ মরে আসছিল। কিছু আগের মিথ্যে বলা, ভাত চাইবার বাসনা নিজেরই অলীক লাগছিল- সে যেন খিদের তাড়নায় অন্য কোনো মিঠু হয়ে গেছিল। নিজের মধ্যে বাস করা অন্য এক মিঠুকে প্রথমে নিদারুণ অপছন্দ হল তার। ফলত সে দ্বিতীয় মিঠুকে অস্বীকার করল সটান। তারপর নজর দিল টেবিলে- ছোটো শিশিতে আচার, ভিনিগারে ভেজানো লংকা, গোল পেঁয়াজ। মিঠু একটা পেঁয়াজ মুখে দিয়ে মোবাইল অন করল- বলাইকে রিক্শা নিয়ে সাতটা নাগাদ বাসস্টপে থাকতে বলবে।
ফোন করা ছাড়া আর কোনো কাজে মিঠুর মোবাইল ব্যবহারের দরকার হয় না- ওর কোনো স্মার্ট ফোন নেই। প্রয়োজনে কথা বলে নিয়ে আবার অফ করে রাখে ফোন। আজ বলাইয়ের ফোন বেজে যাচ্ছিল। মিঠু অধৈর্য হয়ে উঠছিল, কপালের রগে আঙুল রাখছিল ঘন ঘন; তারপর কিচেনের সুইং ডোর খুলে গেল- ট্রের ওপরে সাদা চীনামাটির বাসন থেকে উত্থিত বাষ্প চোখে পড়ল, ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেনের বাস এলো নাকে- শান্ত হয়ে গেল মিঠু। ক্ষুদে ক্ষুদে মসৃণ ভাতের দানা, তেল জবজব করছে, কুচি কুচি সবুজ কমলা লাল হলুদ, বাটিতে চিলি চিকেন- গরগরে রাঁধা। একটু আগে যে দ্বিতীয় মিঠুকে সে অস্বীকার করেছিল, তাকে সে ফিরিয়ে আনল প্লেটের সামনে; ফোন অফ করে খাওয়া শুরু করল। দ্রুত খাচ্ছিল মিঠু, বাটি থেকে চিকেনের শেষ পিস প্লেটে তুলে মনে হল -বড় দ্রুত ফুরিয়ে গেল খাওয়ার সময়টুকু। এই আলো আঁধারি, চিনে খাবারের গন্ধ, লাল রেক্সিনের পুরু গদি- ছাত্রদের কোলাহল নেই, মা'র চিৎকার নেই, সনতের এখানে আসার সম্ভাবনাও নেই - তার আরো খানিকটা সময় থেকে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল। হাত তুলে একটা ভ্যানিলা আইস্ক্রীম আর থামস আপ চাইল মিঠু।
প্র্যাকটিকাল ক্লাসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কোমর ধরে গিয়েছিল মিঠুর - তার ওপর ঝুঁকে স্লাইড চেক করা। ঢেকুর উঠল বার কয়েক। ফেরার সময় বাসের জন্য দাঁড়াতেও হল অনেকক্ষণ- সি এ এ নিয়ে মিছিল বেরিয়েছে আজ শহরে।
রাত আটটায় রিকসা স্ট্যান্ড শুনশান। গলিতে ঢোকার মুখে এখনও একটা ব্যারিকেড- দু তিনজন পুলিশ টহল দিচ্ছিল। রাস্তার ওপরে বিয়েবাড়ির সামনে বাঁশের গেটে কমলা হলুদ কাপড় লাগাচ্ছে ডেকরেটারের লোক। প্যান্ডেলের কাপড় থেকে গন্ধ আসছিল- সানাই, রজনীগন্ধা, নিমন্ত্রিতের পারফিউম মিলিয়ে মগজে গেঁথে থাকা টিপিকাল বিয়েবাড়ির গন্ধ- আচমকা কান্না এল মিঠুর। উল্টো রুটের দু তিনটে ফাঁকা অটো হুস হুস করে বেরিয়ে গেল এই সময়। চতুর্থকে থামিয়ে একসট্রা টাকা দেব বলে চড়ে বসল সে -গা গোলাচ্ছে। তখন পাড়ার পার্কে লাউডস্পীকার লাগিয়ে ছবি আঁকার প্রতিযোগিতার পুরস্কার ঘোষণা চলছিল। দুমদাম পটকা ফাটল কোথাও- ইন্ডিয়ার খেলা আছে বোধ হয় । শশীবাবুর সংসারে আলো জ্বলছে প্রতি ঘরে, পটল, বিউটি অটোর পিছনে দৌড়োচ্ছে। গেট খুলে সিঁড়ি টপকে টপকে বারান্দায় উঠছে মিঠু। তারপর বেল বাজাচ্ছে।
দরজা খুলেই গলা চড়াল ছন্দা।
-ফোন অফ করে রাখিস কেন? কতবার চেষ্টা করলাম। তারপর মালবীর নম্বর খুঁজে বের করে ফোন করলাম। বলল, তোর প্র্যাকটিকাল ক্লাস চলছে। বলে নি কিছু তোকে ?
- কী বলবে? কী হয়েছে কী? সনৎ এসেছিল?
- সারাক্ষণ বসে বসে সনতের কথা ভাবিস? আশ্চর্য!! না সে আসে নি। পুলিশ এসেছিল। তোর মামুকে জেরা করল।
-মামুকে! কেন?
- মাণিকের মোবাইলে নাকি মামুর অনেকগুলো কল গেছে ক'দিনে!
-মামু কোথায়?
-বেরিয়েছে। হাঁটতে গেছে। তোকে কতবার ফোন করলাম- সুইচড অফ সুইচড অফ বলল সমানে।
-বললে তো একবার। সরো বাথরুমে যাব-
-চা বসাই। মুড়ি খাবি ?
দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে হড়হড় করে বমি করল মিঠু। সয়া সস আর ভিনিগারের গন্ধের মধ্যে হতভম্ব দাঁড়িয়ে রইল ছন্দা তারপর গ্যাস জ্বেলে তিন কাপ চায়ের জল বসাল। ভাত বসাতে আরো ঘন্টাখানেক।
- এত চিন্তার কী হল তোদের? মাণিককে তো রোজই ফোন করতাম। কী সবজি টবজি লাগবে - ফোন করে বলে দিতাম -
-পুলিশ কী বলল শুনে?
- কিছু না! হুঁ হুঁ করে লিখে নিল। তোর মা ফালতু টেনশন করল। কলেজে ফোন টোন করে একশা-
-তাতে কিছু হয় নি। আমার ফোন অফ ছিল-
-চকলেট খাবি মিঠু?
-আবার তুমি..
-চুপ, মা কে বলিস না
-কেন কথা শোনো না মামু?
-শুনি তো । সব কথা শুনি। দু একটা কথা শুধু- তুইও তো.. কী রে ? আজ কী খেয়েছিলি? চাইনিজ? বাথরুমে গন্ধ পেলাম- ফিনাইল ঢেলে দিয়েছি; তোর মা রাগারাগি করছিল- ফিনাইলের কত দাম এই সব-
-মা'র কথায় কিছু মনে কোরো না- সবেতেই-
- দূর। ঠিকই তো বলে। আমার কতদিন কোনই রোজগার নেই, বসে খাই। কথা তো ঠিকই-
-এই সব বলেছে তোমাকে!
- বললে কী! তোদের ছেড়ে আমি কোথায় যাব মিঠু? তুই, তোর মা- কোথায় যাব? তুই একবার ডাক্তার দেখিয়ে নে তো। কিছু হজম হয় না।
- সে হবে।
-আচ্ছা মিঠু, একটা কথা বলব ভাবি। তোর কলেজে লোক নেয় না?
-মানে?
-আমার কোনো কাজ হয় না? এই ধর ক্ল্যারিকাল কাজ- টুকটাক হিসেব রাখা-এর বেশি আর কী পারব?
- কেন এরকম বলছ মামু?
- না রে - এই একরকম করে চলছে এখন, তারপর যদি অসুখ বিসুখ করে-
-খামোকা অসুখ বিসুখ কেন করবে?
- বয়স হচ্ছে না? এরপর অসুখ হবেই-তখন চিকিৎসার খরচ-
-ভেবো না। একদম ভেবো না। আমি তো আছি। আসলে, আমার বিয়েতে এত খরচ করল মা, অথচ.. আজকাল মেজাজ গরম করে, উল্টোপাল্টা বলে ঐ জন্য-
চোখের জল আড়াল করতে মুখ ঘুরিয়ে কুন্তী আর গুলগুলেকে খুঁজল মিঠু তারপর মাথা নামাল। দেখল, টেবিলের পায়ার কাছে এখনও সেদিনের ভাঙা কাচের টুকরো -টিউব লাইটের আলোয় চিকচিক করছে। খন্ডিত হওয়ার পরেও ভাঙা টুকরো কতদূর চালিত হতে পারে- মিঠু বিস্মিত হচ্ছিল।
ক্লাবঘরের লাগোয়া মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে বিপ্লব হাঁফাচ্ছিল। যদিও শীতের সময়, বাজার হাতে হাঁটতে গেলে হাল্কা ঘাম হয়, ব্যাগ দুটো ভারি লাগতে থাকে। মাঠের পাশে বেঞ্চে বসে একটু জিরিয়ে নিলে বাড়ি অবধি আবার হাঁটা যায়। বাড়িতে এখন ছন্দা আর টুম্পা- মিঠু কলেজে।
আসলে শীত পড়তেই ছন্দার ঘর মুছতে, বাসন মাজতে সমস্যা হচ্ছিল- কোমর ঝুঁকিয়ে, নিচু হয়ে বসে কাজ করতে পারে না, আঙুলের গাঁটে গাঁটে ব্যথা হয়ে ফুলে যাচ্ছিল, রাতে শোয়ার সময় হট ওয়াটার ব্যাগ নিতে হচ্ছিল রোজ। এ'বাড়িতে ডাক্তার দেখানোর ব্যাপারে মিঠু আর ছন্দা দুজনেই সমান- ও সেরে যাবে থেকে শুরু হয়ে আর কদিন দেখি তারপর আমার শরীর আমি বুঝব তে পৌঁছে যায় দুজনেই।
মিঠুর বাবারও এই বাতিক ছিল। ও কিছু নয়, গ্যাসের জন্য চিনচিন, অম্বলের ওষুধ খেলেই সেরে যায় করতে করতে মধ্যরাতে বাথরুমে ম্যাসিভ অ্যাটাক হয়ে পড়েছিল। পাড়ার লোকজন দরজা ভেঙে হাসপাতালে নেয়। ব্রট ডেড- এমার্জেন্সির ডাক্তার বলেছিলেন।
টুম্পাকে আনলো বিপ্লবই- টুকটাক কাজকর্মে ছন্দাকে সাহায্য করবে।
ছন্দা যথারীতি গলা তুলেছিল-
- টাকা খুব বেশি হয়েছে না?
- এটুকু তো প্রয়োজনেই খরচ। আর টুম্পারও কাজ দরকার।মাণিকের মেয়ে। বেশি কাজ তো নয়। সকালে বিকেলে হেল্প করে চলে যাবে। ও নিজেই কাজ চাইছিল। পাড়ার সবাইকেই বলে রেখেছে। কমপেনসেশনের টাকাটা পেয়ে গেলে একটা ব্যবসা শুরু করবে। ততদিন...
চুপ করে গিয়েছিল ছন্দা ।
ইদানিং বাড়ির সামনে বাজার বসছে আবার। বিপ্লব তবু বড় রাস্তার মোড় থেকেই বাজার করে রোজ। রাতের দিকে টুকটাক দরকার হলে মিঠু কলেজ ফেরত নিয়ে আসে আগের মতই। মাণিকের জায়গায় এখন শম্ভূ বসে সবজি নিয়ে। মাণিকের মতই কুপির আলোয় মুড়ি খায়। চল্লিশ টাকা কিলো দরে বেগুন বেচে। এক গাল মুড়ি মুখে রেখে বলে -'নিয়ে যান দিদি, পোকা নেই।'
মাঠের দিক থেকে লাল ডিউস বল গড়িয়ে এল বিপ্লবের পায়ের কাছে। বিপ্লব ক্রিকেট খেলেছে ক্যাম্বিস বলে। এখন নেট পড়ে, প্লেয়ারদের হেলমেট, গ্লাভস, গার্ড আর ডিউস বল। এত কাছ থেকে সত্যিকারের ক্রিকেটের বল কখনো দেখেই নি বিপ্লব- শুকনো হলুদ ঘাসের ওপর লাল বল- মাঝবরাবর দু লাইন সাদা ফোঁড় সেলাই করা। মাণিকের পিঠ থেকে পেটের দিকে এ'রকম দাগ ছিল একটা। অপারেশনের দাগ। বিপ্লব বল কুড়িয়ে ছুঁড়ে দিল মাঠের ভেতর। চাদর জড়িয়ে নিল। বাজারের থলি তুলে হাঁটা শুরু করল।