লালকেল্লা, ভারতের প্রতীকী শক্তিস্থলে অসংখ্য ট্রাক্টর এবং অগণিত কৃষক। মাথায় পাগড়ি পরা একটা হিলহিলে শরীর অনেক চেষ্টার পর উঠে গেল আকাশের কাছে, টাঙিয়ে দিল কৃষক ইউনিয়নের পতাকা।
যেদিকে চোখ যায় অন্নদাতার ভিড়, ট্র্যাক্টরের ঢের। ছ'সাত ঘন্টার রাস্তায় পুলিশের খণ্ড যুদ্ধ, টিয়ার গ্যাস,লাঠি চার্জ ইত্যাদির পর পুরো দিল্লির সমস্ত সীমান্ত থেকে কৃষকেরা এসে জুটেছেন এইখানে।
মনে পড়ছে সিপাহি বিদ্রোহের কথা। বিদ্রোহীরা দখল নিয়েছিলেন লালকেল্লার। ঘোষণা করেছিলেন বাহাদুর শা জাফরকে ভারতের ভাগ্যবিধাতা বলে। কয়েক মাস কেল্লা ছিল তাদের অধীন। তারপর এই ১৬৩ বছরের মধ্যে আর এমন দৃশ্যের সাক্ষী হয়নি চোখ। আবার এতদিন পর, প্রজাতন্ত্র দিবসের বাহাত্তরতম পূর্তির দিনে সাধারণ প্রজার অধিকারে, অন্নদাতার অধিকারে এ দেশের প্রতীকী শক্তিস্থল!
এ হল প্রজাতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা!
তারা যা প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন তা প্রমাণ হয়ে গেলে মানুষের ঢল আবার সীমান্তমুখী হবে এমনই আশা কৃষক নেতাদের। কিন্তু দিল্লির সীমানা থেকে এবার একেবারে দিল্লির হৃদয়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে ক্রান্তিলগ্ন তাকে ভ্রষ্ট হতে দেবে তো অন্নদাতারা?
"কালা আংরেজ" ( চন্দ্রশেখর আজাদের বর্তমান শাসককে দেওয়া আখ্যা) কৃষকের এই পতাকা উত্তোলন সহ্য করবে কেন! যদিও একেবারে মধ্যখানে অটুট জাতীয় পতাকার উড়ান, আর হাজার হাজার হাতে উড়ছে অগুন্তি জাতীয় পতাকা, তবুও পুলিশ লালকেল্লার ঝান্ডা নামাতে আবার তৎপর হল। কিন্তু পতাকাদণ্ডে চড়া কি অতো সহজ ! আদর্শ আর মরণপণ প্রতিজ্ঞা যা পারে, বেতনভুক তা অতো সহজে পারে না। সে চেষ্টায় তাই জলাঞ্জলি দেওয়া হল অল্প সময়েই, আবার সাহায্য এসে পৌঁছবে এ-ই আশায়।
রাষ্ট্র যেন মনে রাখে, তার কঠিন ঔদাসীন্যে অনেক রক্তঘাম ঝরেছে। গত দুমাসের পথবাস, প্রবল ঠান্ডা, গৃ্হসুখের বদলে লঙ্গরের রুটি আর ভূমিশয্যা, দেড়শ সাথীর পথকুক্কুরের মতো শোচনীয় মৃত্যু, কে ভুলবে? তাই সূর্য যখন জবাকুসুম, তখন থেকেই দিল্লির সব সীমান্তে তৈরি হবার ধুম। স্নান করে পাগড়ি চড়ানো বা গলায় উত্তরীয় চড়িয়ে জাতীয় পতাকা, সংগঠনের ফ্ল্যাগ উড়িয়ে প্রস্তুত সবাই। শুধু ট্র্যাক্টর নয়, বাইকের পর বাইক, গাড়ি, পায়ে হাঁটবেন বলে তৈরি অজস্র মানুষ। সকাল ৮ টা নাগাদ ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলো। টিকরি বর্ডারে সাজোয়ানদের হাতে হাতে উড়ে গেল পুলিশের ব্যারিকেড, সব ফাঁকফোকর দিয়ে পিলপিল করে বেরিয়ে এলেন হাস্যমুখ কৃষকরা। বিশালদেহীর একহাতে এক বিরাট কাঠের লাঙল, আর এক হাতে জাতীয় পতাকা। কারো দুহাতেই জাতীয় পতাকা। চাকা ঘুরতে লাগলো। ওয়াহে গুরু, জয় কিসান, জয় জওয়ান শ্লোগানের পাশে পাশে শোনা যেতে লাগলো দিল্লি চলো ধ্বনি। ব্যারিকেডের ওপরেই মহা সমারোহে জাতীয় পতাকা পুঁতে দেওয়া চলল। যে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি রামমন্দিরে ৫ লক্ষের বেশি টাকা চাঁদা দেয়, বহুমূল্য গাড়িতে করে বডিগার্ড পরিবৃত সেই মহামহিমের বিজয় চকে আবির্ভাবের আগে, রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের সাজানো কৃত্রিম উদযাপনের আগেই শুরু হয়ে গেল অন্নদাতাদের ট্র্যাক্টর মিছিল, লং মার্চ !
নানগ্লোই এবং মুকারবা চকে রায়ট কন্ট্রোল ফোর্সের লাঠি, টিয়ার গ্যাস ধেয়ে এসেছে প্রতিবাদীদের দিকে। পুলিশের ব্যারিকেডের পেছনে ডাঁই করা পাথরের ছবি গোটা পৃথিবী দেখেছে। তবু সরকারপোষিত মিডিয়া এক বৃদ্ধ নিহাং শিখের পুলিশকে তেড়ে যাবার ছবি দেখিয়ে প্রমাণ করতে চাইছে কৃষকরা হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল। ওরা জানে না সাদা ঘোড়ায় নীল পোশাকের খালি পা নিহাং শিখ গুরু দি লাডলি ফৌজ - গুরুর ভালবাসার শক্তি। তাই দুর্যোগে মানুষ এবং বিশ্বাসকে রক্ষা করার তাগিদে বৃদ্ধ একা ছুটে যান বিরাট সশস্ত্র বাহিনীর দিকে। একে হিংসা বলে না ভালবাসার দায় বলে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তা ঠিক করুক।
আপাতত গোটা ভারতের চোখ এবং মন লাল কেল্লার প্রাকারে। নানগ্লোইতে নিরস্ত্র অন্নদাতার ওপর এখনো বিকট শব্দে আছড়ে পড়ছে টিয়ার গ্যাসের শেল। ভাঙচুর চলছে ট্র্যাক্টরের ওপর। অসমর্থিত সূত্রে শোনা যাচ্ছে লাল কেল্লার ভেতরে গুলিও চলেছে। বর্ডারে কি ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ?
কিন্তু সিংঘু সীমান্তে আরো হাজার হাজার ট্র্যাক্টর, কৃষকদের নিয়ে এসেই যাচ্ছে বিরামহীন।
কী হবে, কে জানে!
৪-১৫
সব ঠিক হ্যায়! লালকেল্লা দখল হয়েছে।
না, সব ঠিক নেই। সব ঠিক নেই কারণ, দিল্লি আইটিও-র কাছে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে। পুলিশের মারে মৃত্যু, এমন বলা কি বারণ? জেল হবে?
ইয়ে আজাদি...
।।ইয়হে আজাদী ......ঝুটা হায় !!!অনেক দিন আগে শোনা স্লোগান ।..আজ আরো সত্যি হলো !!যারা এই স্লোগান কে "বিপথগামী "বলে চিহ্নিত করেছিলো , যারা ""য়ে আজাদী সাচ্চা হায় "ভেবে এর পর মেরুদণ্ড টাকে বন্ধক রেখে গণতন্ত্র চর্চা করতে শুরু করলো , বা এখনো করছে ।..তাদের বলি ।..ইতিহাস কথা বলে ।..ইতিহাস ধোকা দেয় না ।..এতো শুরু ।।.দাবানল ছড়ালো বলে।.. !!!
একটা অদ্ভুত অন্ধকার সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা ভারতীয়রা চলছি। সমস্ত ভারতীয় আজ বোধহয় বাইনারি মেথডের ওপর বিশ্বাস করতে আরম্ভ করেছে। কৃষি বিলের বিরোধিতা করলে তুমি বেইমান আর বিরোধিতা না করলে তুমি ভারতীয়। আজ কৃষকদের এই মহা মিছিল লালকেল্লার উপর তাদের কিছু পতাকা টাঙানোর দেখে নতুন করে বাঁচতে ইচ্ছা করছে। বলতে ইচ্ছা করছে এস ভাঙ্গনের জয়গান গাই।
আপনাদের পাঞ্জাবের বন্ধুদের থেকে একটু ভাল করে খোঁজ নিন। তাদের কাছ থেকে পাচ্ছি .....
This is most dangerous conspiracy and machination the Government has done , to sabotage the Farmers’ protests.
A faction of farmers, who are not part of 'Sanyukt Kisan Morcha' of 40 Farmer Unions, announce yesterday evening that they won’t follow the Tractor Parade Route decided between the Government and Sanyukt Kisan Morcha . And that they will do their separate parade.
Deep Sidhu appears yesterday night at a stage and gives a provocative speech promoting separatism to sabotage farmer protests.
Sanyukt Kisan Morcha had decided to start their parade at 11 am today. But that faction of farmers (not part of Sanyukt Kisan Morcha) actually start their protests at 8 am today . And police puts DTC buses and other vehicles in their way- so that the ‘Public Property’ can be damaged conveniently and captured on Camera.
Whole media is showing this faction of farmers- which is not part of 40 Farmer Unions, negotiating with Government.
And this faction of farmers lead by Deep Sidhu, get access to Red Fort Building !!! On Republic Day !!!!! Shouldnt the Home Minister resign? Can you imagine, this can happen without the involvement of Agencies?
And then a religious flag is tied on a pole in Red Fort!!! To prove that all the farmers are Khalistan Supporters !!! A narrative Government is trying so hard to push from the very beginning.
And then farmers of Sanyukt Kisan Morcha , of all 40 Kisan Unions, start their Tractor Parade- On the route agreed between them and Government. A very peaceful Tractor Parade is going. I was watching Live on the Channel of Sanyukt Kisan Morcha. People of Delhi were showering flowers on them.
Not a single National Channel Covered these leaders- not any one of these leaders who were present in all rounds of negotiation with Ministers. Instead they are asking again n again, where are the leaders now?
And then internet is blocked so that the live from the Sanyukt Kisan Morcha’s channel is stopped !!! And farmers in the protests are cut off from the rest of country!!!
Never thought Govt will stoop this low. They are more naïve than I imagined. They are in a real big trouble now !!!
God save our country !!!
আরো পাচ্ছি
Yes and Deep Sidhu was in BJP and right hand of sunny Deol in the election . Kissan leaders Deep Sidhu nu staze ton door rakhdyan sun
It's very sad and unfortunate . Esse cheej da dar se jo ho gai
কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করছি।
লালকেল্লায় তোলা পতাকাটি আদৌ কৃষক আন্দোলনের পতাকা নয় , ওটি শিখদের ধার্মিক পতাকা -- নিশান-এ-সাহিব! হলুদ পৃষ্ঠভূমিতে গাঢ় নীল দিয়ে কৃপাণ ও বর্শার প্রতীক আঁকা পতাকাটি সমস্ত গুরুদ্বারায় ওড়ে। কোলকাতাতেও। কৃষকদের বড় অংশের পতাকা ও পাগড়ির রঙ সবুজ।
আমার ব্যক্তিগত অভিমত এর ফলে আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশনে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রস্তাবিত সংসদ অভিযান শুধু কঠিন নয় , প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে।
সংযুক্ত কিসান আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, এমনকি যোগেন্দ্র যাদব, এই ঘটনার সঙ্গে মূল আন্দোলনের সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। এঁরা এসবের মধ্যে আন্দোলনের ক্ষতি করার কিছু বাইরের তত্ত্বের হাত দেখছেন। আমার ধারণা এতে খালিস্তানি তত্ত্বের অনুপ্রবেশ গোছের সরকারি প্রচার জনমানসে বিশ্বাসনীয় হয়ে উঠবে। আমার আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হলে যারপরনাই খুশি হব।
From Om Thanvi - ex editor of Jansatta:
This is most dangerous conspiracy and machination the Government has done , to sabotage the Farmers’ protests.
A faction of farmers, who are not part of 'Sanyukt Kisan Morcha' of 40 Farmer Unions, announce yesterday evening that they won’t follow the Tractor Parade Route decided between the Government and Sanyukt Kisan Morcha . And that they will do their separate parade.
Deep Sidhu appears yesterday night at a stage and gives a provocative speech promoting separatism to sabotage farmer protests.
Sanyukt Kisan Morcha had decided to start their parade at 11 am today. But that faction of farmers (not part of Sanyukt Kisan Morcha) actually start their protests at 8 am today . And police puts DTC buses and other vehicles in their way- so that the ‘Public Property’ can be damaged conveniently and captured on Camera.
Whole media is showing this faction of farmers- which is not part of 40 Farmer Unions, negotiating with Government.
And this faction of farmers led by Deep Sidhu, get access to Red Fort Building ! On Republic Day !!!!! Shouldnt the Home Minister resign? Can you imagine, this can happen without the involvement of Agencies?
And then a religious flag is tied on a pole in Red Fort. To prove that all the farmers are Khalistan Supporters !!! A narrative that the Government is trying so hard to push from the very beginning.
And then farmers of Sanyukt Kisan Morcha , of all 40 Kisan Unions, start their Tractor Parade- On the route agreed between them and Government. A very peaceful Tractor Parade is going. I was watching Live on the Channel of Sanyukt Kisan Morcha. People of Delhi were showering flowers on them.
Not a single National Channel Covered these leaders- not any one of these leaders who were present in all rounds of negotiation with Ministers. Instead they are asking again n again, where are the leaders now?
And then internet is blocked so that the live from the Sanyukt Kisan Morcha’s channel is stopped !!! And farmers in the protests are cut off from the rest of country!!!
Never thought Govt will stoop this low. They are more naïve than I imagined. They are in a real big trouble now !!!
God save our country !!!
ওয়েল রঞ্জনদা যোগেন্দ্র যাদভজে বিশেষ পাত্তা না দেয়াই ভাল। বেশ শেডি কার্য্যকলাপ। আন্দোলন হলেই নিজেকে তার নেতা প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে যায়। এবারে আগেও আগেও কিসানদের মুখপাত্র হবার চেষ্টা করেছে এবং ওঁরা দেন নি।
আর বিশ্বের কোন গণ আন্দোলন একেবারে নিয়ম্মাফিক পথে হয়েছে বলে শুনি নি।
আর চাড্ডিরা মুগল সম্রাট শাহজাহানের বানানো লালকেল্লার স্যাঙটিটি নিয়ে বক্কা দিচ্ছে দেখেই কুল্কুলিয়ে হাসি পাচ্ছে। এই পতাকাই গালওয়ানেও উড়ানো হয়েছিল তখন এরাই ধেইধেই করে নেচেছিল।
এটা কি সমস্ত ভারতের কৃষকদের মিছিল? নাকি পাঞ্জাব/হরিয়ানা প্রদেশের কৃষকদের মিছিল? এতদিন ধরে প্রতিবাদ হতে চলল তবু অন্য রাজ্যের কৃষকরা নেই কেন? তারা কি দিল্লি থেকে দূরে থাকেন বলে? তাহলে তারা তাদের কাছাকাছি সরকারি দপ্তরে গিয়ে প্রতিবাদ করছেন না কেন? কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি নীতির ফলে যদি রিলায়েন্স/আদানি-দের মতন বিগ কর্পোরেট লাভবান হয় এবং মিডলম্যানদের আধিপত্য কমে যায়, তাহলে দেশ জুড়ে মিডলম্যানদের প্রতিবাদ হবার কথা - সেটাই বা হচ্ছে না কেন? অন্য রাজ্যগুলোতে কি রাজ্য সরকার কৃষিপণ্য বিক্রির ব্যাপারে চাষীকে গ্যারান্টি দেয় তাই তারা এই প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে না? পশ্চিমবঙ্গের চাষীদের ওপর কি নতুন কৃষি বিল কোনো খারাপ প্রভাব ফেলে না?
অমিতবাবু,
আমি গুরগাঁওয়ে বসে যা জেনেছি তা আপনার সংগে 100% মিলছে। আন্দোলনের নেতৃত্ব দুটো আলাদা মঞ্চে বিভক্ত। বড়টি সংযুক্ত কিসান মোর্চা। ছোটটি নিজেদের বিপ্লবী জোশ দেখাতে গিয়ে সরকারের হাতে খেলেছে।
এই প্রথম কিসান আন্দোলন ব্যাকফুটে। এখান থেকে সম্মানজনক সমাধানের মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে বাঁচানো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
হয়ত এবার 18 মাস আইন স্থগিত রাখার ফর্মূলা মেনে নিতে হবে।
আমি ভুল প্রমাণিত হলে সবচেয়ে খুশি হব।
@অম্লান বদন
আপনার প্রশ্নগুলো খুব প্রাসঙ্গিক। একটু বেলায় লিখছি।
কি এমন অন্যায় হল ঐখানে পতাকা উড়িয়ে ? আলাদা পোলেই তো উড়িয়েছে । এত্দিন ধরে যারা ignore করছিল এখন negative publicity করছে । তাতে কি ?
এটা রেড হেরিং অপারেশান কিনা জানিনা, তবে কৃষকদের ইউনিউয়ন কিন্তু ট্রাক্টর মিছিল স্থগিত করছেন। কিছু একটা চাল দেওয়া হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। আমার মনে হয় লাল কেল্লা ইত্যাদি নিয়ে কবিতা না লিখে কৃষকরা নিজেরা কি বলছেন সেটা শোনা উচিত। ওনাদেরই ঠিক করতে দেওয়া উচিত ওরা কোন পথে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।
Farmer leaders, who have been spearheading the protest at Delhi’s border points to demand a repeal of the farm laws, dissociated themselves from the protests. The Samyukta Kisan Morcha, an umbrella body of 41 farmer unions, formally called off the tractor parade and appealed to farmers to return to their respective protest sites. The Morcha also alleged that some “antisocial elements” had infiltrated their otherwise peaceful movement. In a statement, it also condemned and regretted the "undesirable" and "unacceptable" events as the parade turned violent after several groups of farmers deviated from the pre-decided route for the march.
অম্লান বদনের কোন প্রশ্ন গুলোর কোন যুক্তি ই নেই। বোকা বোকা কথা। এবং বিজেপি র সমর্থনে বলা। এবং সিপিএম সমর্থক এর জবানী তে বলার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে সিপিএম সমর্থক দের তৃণমূল এর প্রতি ক্রোধ কে বিজেপির কাজে লাগানো যায়। ডাইগ্রেসন টাই ইন্টেন্ট। প্রতিটি ই রাজ্নৈতিক বক্তব্য। রঞ্জন দা নেকুপুসু টা কেন করছেন উনি বলতে পারবেন। একটু কম করলে আন্দোলনের উপকার হয়।
ক - এটা কি সমস্ত ভারতের কৃষকদের মিছিল? ---- নাকি পাঞ্জাব/হরিয়ানা প্রদেশের কৃষকদের মিছিল? এতদিন ধরে প্রতিবাদ হতে চলল তবু অন্য রাজ্যের কৃষকরা নেই কেন? তারা কি দিল্লি থেকে দূরে থাকেন বলে? তাহলে তারা তাদের কাছাকাছি সরকারি দপ্তরে গিয়ে প্রতিবাদ করছেন না কেন?
-- এমন একটা নেকুপুসু ভাব , যেন সারা ভারতের কৃষকেরা এই মিছিলটিতে দিল্লী তে শামিল হলে বিজেপি সরকার ভীষণ মাথা পেতে নিত। পাঞ্জাব হরিয়ানা তে এম এস পি সিস্টেম চলে। দিল্লীর কাছে প্রতিবাদ হচ্ছে। উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান এর কৃষক রাও আছে। মহা রাষ্ট্রে, কেরালা তে প্রতিবাদ হচ্ছে। পশ্চিম বঙ্গে তৃণমূল সমর্থনে প্রতিবাদ হয়েছে, সিপিএম সমর্থনে রাজ্য সরকারের ২০১৪ আইনের বিরুদ্ধে এবং এই কৃষি বিল গুলো নিয়ে প্রচুর মিছিল হচ্ছে। সিপিএম এর কৃষক সভা, এক মাসের উপর ধরে জাঠা করছে, বাংলা মেডিয়াতে তার রিফ্লেকশন কম, কারণ রাজনৈতিক। গত এক মাসের গণশক্তি পড় যেতে পারে। অন্ধ্র , কর্ণাটকে সংঘবদ্ধ আন্দোলন হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ছোটো চাষী রা আলাদা করে বিবৃতি দিয়ে মিছিল করেচ্চে কেন তারা এই আন্দোলনে থাকচ্চে। নাসিক থেকে বম্বেতে মিছিল হয়েছে, কেরালা / মহা থেকে লোক দিল্লী তেও এসেছে। এই প্রশ্নটা আরো ই ন্যাকা ন্যাকা কারণ তামিল নাডু থেকে জখন কৃষক রা খালি গায়ে অবস্থান করেছিল বছর তিনেক আগে, তখনো তাদের কথা কেউ শোনে নি। বড় আন্দোলনের নেচার টাই হল, সবাই এক সঙ্গে থাকবে না, একেক সময় একেক জন একেক এলাকায় অর্গানাইজড হবে। কেউ কোন সেন্ট্রাল কম্যান্ড মেনে চলছেনা।
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি নীতির ফলে যদি রিলায়েন্স/আদানি-দের মতন বিগ কর্পোরেট লাভবান হয় এবং মিডলম্যানদের আধিপত্য কমে যায়, তাহলে দেশ জুড়ে মিডলম্যানদের প্রতিবাদ হবার কথা - সেটাই বা হচ্ছে না কেন? অন্য রাজ্যগুলোতে কি রাজ্য সরকার কৃষিপণ্য বিক্রির ব্যাপারে চাষীকে গ্যারান্টি দেয় তাই তারা এই প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে না? পশ্চিমবঙ্গের চাষীদের ওপর কি নতুন কৃষি বিল কোনো খারাপ প্রভাব ফেলে না?
-- পাঞ্জাবে, হরিয়ানা তে এই অন্দোলনে নানা ধরণের "আড়তি" / "আড়ত daar" রা আছে, খাপের লোকেরাও আছে। তারা কৃষপণ্যের ব্যাবসাও করে, চাষ ও করে। এম এস পি r দ্বারা লাভবান , তাই সেটা চলে যাক চায় না। কর্পোরেট প্রোকিওরঅমেন্ট এও এরা আছে, ব্যাপকতর হলে ও থাকবে এবং পিডিএস দুর্বলতর হলেও এরা সারা দেশেই প্রোকোরমেন্টের কাজ করে যাবে। বিগ রিটেলে er যে মূল দাবী, "সরাসরি" ফারম প্রোডিউসার এর কাছে তারা জিনিস কেনে, সেটা সম্পূর্ণ ভাওতা।
বায়ার্স মার্কেট ঈশ্বরের ন্যায় বিরাজমান, এবং এই জন্যেই যেখানে যে কৃষক পারছেন, নিজেদের ন্যুনতম দাম পাবার অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হচ্ছেন।
পশ্চিম বঙ্গে সিপিএম এবং কংগ্রেস এর মদতে যে সব প্রতিবাদ হচ্ছে, সেটা একাধারে ২০১৪ র রাজ্য আইন , আর এখন কার কৃষি আইন তিনটে আর বিদ্যুত আইনের বিরোধিতা করছে।
চালাকি কম করলে ভালো হয়।
পশ্চিমবঙ্গে প্রোকিওরমেন্ট ওয়ার্কফ্লো টা মোটের উপরে এরকম। প্রতি পদে সরকারী অনীহা এবং আর্বিট্রারিনেস প্রকাশিত , সাদ্ধারণ ভাবে সারা দেশের প্রোকইয়োর মেন্ট এ এই সমস্যা আছে, এক কেরালা তে সারা দেশের থেকে বেশি গ্রেন প্রাইস ঘোষণা করা হয় এবং দেওয়া হয়।
লাল এলিপ্স দিয়ে মার্ক করা যায়গা গুলি সরকারি আর্বিট্রারিনেস বোঝানোর জন্য দেওয়া হয়েছে। বাকি সমস্ত প্রক্রিয়াটি তেই উৎপাদক, এবং উৎঅপাদকের কাছে কাজ করা কৃষি শ্রমিক নানা ধরণের অসুবিধে তে রয়েছে। শ্রমের তো ছেড়েই দিন, উৎপাদনের মূল্য পাওয়াই কঠিন। বলা বাহুল্য সরকার নিয়ন্ত্রিত বা এপিএমসি নিয়ন্ত্রিত সরকারী প্রোকিয়োরমেন্ট যতটুকু নিশ্চয়তা দেয়, সেটা ছাড়তে ছোটো বড় কৃষক রাজি হবেন না, অতএব যে সব অতি চালাক এই বিভাজন আনছেন, তাঁদের অন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।
আর্বিট্রারিনেস এর আরো জায়গা আছে, এখন যেমন পশ্চিমবঙ্গে অনেক জায়গায়, ২০১৯ এ যারা নাম লিখিয়েছিলেন, তাঁদের ফসল কেনা চলছে, সুতোরাং সিজনাল প্রাইস ঘোষণা ও পারচেজের নীতি ও ইম্প্লিমেন্টেশন আসমান জমিন। এবং এই সমস্যা অন্যত্র নেই, এরকম কোন ডেটা আমার চোখে অন্তত পড়ে নি। এপি এম্সি যেখানে আছে, সেখানে আড়তদার ও প্রোডিউসার er কমন স্বার্থ হল, সিজনাল চাপ টা বজায় রাখা, তাই সেখানে কম সমস্যা থাকতেই পারে। ঘটা করে অ্যাপ মান্ডি র মারকেন্টাইল এফিসিয়েন্সি বাড়ানোর চেষ্টা বিজেপি ই প্রথম দিকে করেছে। এখন তার ২০১৯ e জেতার ওভারকন্ফিডেন্সের চোটে এই সব আইন আনা।
এমন একটা সরল গোলগাল ভাব সকলের যেন বড় আন্দোলনের মধ্যে নানা ধরণের দৃষ্টিভংগী থেকে সমবেত হওয়া লোকজন এই প্রথম ভারতে ও পৃথিবীতে দেখা গেল।
প্রতিভা দি, বিভিন্ন ভাটের উত্তর দিতে গিয়ে একটু লম্বা পোস্ট হয়ে গেছে আপনার মূল প্রবন্ধ টির থেকে দৃষ্টি সরানোর কোন উদ্দেশ্য ছিল না। জানানোর জন্য ফোন ও করেছিলাম। বাচালতা হয়ে থাকলে মাফ করবেন।
হরিয়ানায় মানেসরে মারুতি কারখানার আন্দোলন মনে পড়ে? বেকায়দায় পরা মালিকপক্ষ একটা সুযোগ খুঁজছিল কীভাবে একটি জেনুইন মজবুত ট্রেড ইউনিয়ন আন্দো্লনকে 'ল এন্ড অর্ডার' সমস্যায় বদলে দিয়ে ইউনিয়ন ও আন্দোলনের কোমর ভেঙ্গে দেওয়া যায়।
একটি উগ্র বা কিছু এজেন্ট প্রোভোকেচারকে উস্কে দিয়ে ফ্যাক্টরিতে তান্ডব চালানো হল। একজন মাঝারি মাপের অফিসার মারা গেলেন। ব্যস, পুলিশ দশগুণ হিংসা ছড়ালো। নেতাদের এবং বহু মজদুরদের গ্রেফতার ও কোয়ার্টার খালি করার ব্যবস্থা হল। অনেকে বাধ্য হল পালিয়ে যেতে। আজ অবস্থা আগের থেকে ভালো নয়, কিন্তু সেই ইউনিয়ন?
এখানেও সেই বহু পরিচিত ছক।
চল্লিশটি ইউনিয়নের সংযুক্ত পরিচালনায় সরকার পিছু হঠছিল। সারা ভারতে কাগজ, মিডিয়া আলোচনা করছিল -- ভারতে বর্তমান কৃষি সংকট ও আইনগুলো নিয়ে। সমস্ত রাজনৈতিক দল বাধ্য হয়েছিল কৃষি আইনের প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে। এতদিন কেউ বিশেষ মাথা ঘামায়নি।
আন্দোলনের লক্ষ্য বা শ্লোগান আদৌ লালকেল্লায় পতাকা তোলা কেন, ওখানে যাওয়াও ছিলনা। কথা ছিল সরকারের ট্যাংক মিসাইল রকেটের প্যারালাল কৃষকরা ট্র্যাক্টর প্যারেড করে শক্তি প্রদর্শন করবে। এবং আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট অধিবেশনের সময় ওখানে ধর্না দেবে। এটার রণনীতি স্পষ্ট ।
তারপর কে বা কাহারা এটাকে ডাইভার্ট করল ক্রমশঃ প্রকাশ পাচ্ছে।
দ্বিতীয়তঃ মোটাভাই সুযোগ পেয়ে গেছেন। ২০০ ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। আজকে যারা এনডিটিভি দেখতে চান, দেখে নেবেন কীভাবে লালকেল্লার ভেতরে লাইট এন্ড সাউন্ডের সরঞ্জাম , ক্যাশ কাউন্টার, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, গাড়ি একের পর এক ভাঙচুর হয়েছে। একজন কৃষক নিহত হয়েছেন, লাঠি খেয়ে বা গুলিতে নয়।
প্রশ্ন হচ্ছে সাধারণ মানুষের পারসেপশনের। কোন লড়াই শুধু অগ্রণী সচেতন বাহিনীর জোরে জেতা যায়না। দরকার মাঝে যারা আছেন তাদের কোন শিবির নিজেদের দিকে টানতে পারছে তার উপর। এই মুহুর্তে হিন্দি বলয়ে কালকের ঘটনায় মধ্যবিত্তরা উল্লসিত হবার মত কিছু দেখতে পারছেন না।
এবার নেতারা ১ তারিখ সংসদ অভিযানে যেতে পারবেন? নাকি গ্রেফতারি এড়ানো ও জামিন যোগাড়ে ব্যস্ত হবেন? আর পুলিশ দিল্লিতে সংসদের ধারে কাছে যেতে পারমিশন দেবে? নেতাদের অথরিটি এবং কৃষকদের উপর নিয়ন্ত্রণ আজ প্রশ্নের মুখে।
করোনা ও দাঙ্গার অজুহাতে শাহীনবাগের শিবির তুলতে বাধ্য করা হয়েছিল। এবার চাষিদের ৬০ দিনের অমন কষ্ট সহ্য করে দৃঢ় আন্দোলন কি কনফিউশনে শেষ হবে?
আমি আর একটা মারুতি আন্দোলনের পরিণতির ভয় পাচ্ছি।
না না বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত, এ-ই আলোচনা থেকে আমিও খুব লাভবান হচ্ছি। লেখাটা খুবই তাৎক্ষণিক, মন্তব্যগুলো ভেবেচিন্তে করা। আমার কাছে এগুলোর মূল্য অনেক বেশি।
ফোন করেছিলেন? আমার ফোনগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। খুব দুঃখিত।
@রঞ্জন রায়
যা আশঙ্কা করেছিলেন কৃষকদের ১লা ফেব্রুয়ারী সংসদ অভিযান পরিত্যক্ত।
অমিতবাবু,
এটা সবে শুরু।
রাকেশ টিকেইত থেকে বেশ ক'জন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা। লালকেল্লার ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব, ভাঙচুরকে প্রায় পার্লামেন্ট অ্যাটাকের পর্যায় দেখিয়ে সবার বিরুদ্ধে এন এস এ লাগানো হবে। কোন বিচার হবে না। চল্লিশ ইউনিয়নের সংহতি ভাঙতে শুরু করেছে। জনতার সমর্থন সেই বালাকোটের মত ঘুরছে।
ঠান্ডা মাথায় খেলা ফাঁদে নেতারা পা দিলেন। আগের দিনই ইন্টেলিজেন্স খবর ছড়িয়েছিল যে বাইরের থেকে লোক এসে রিপাবলিক ডে'তে ভাঙচুর করবে। এখন এটাকেই সেই ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখানো হবে।
আসলে শেষ সময়ে পুলিশের হটাৎ অনুমতিটাই ট্র্যাপ। কখনই ২৫০০০ ট্র্যাক্টর এবং সঙ্গের কয়েকলক্ষ লোককে কন্ট্রোল করা যায়না। উইথ আল গুড ইন্টেনশন নেতারা পুরনো ফাঁদে পা দিলেন। এখন সরকার আগের কন্সেশনটুকুও দেবেনা। বলবে আপনাদের নেতৃত্ব কৃষকেরা মানেনা সেটা প্রমাণিত। ক্যান আপনাদের সঙ্গে এগ্রিমেন্ট করব?
মনটা খারাপ হয়ে গেল।
@অম্লানবদন,
টই দেখুন। জবাব দিয়েছি।
"প্রশ্ন হচ্ছে সাধারণ মানুষের পারসেপশনের। কোন লড়াই শুধু অগ্রণী সচেতন বাহিনীর জোরে জেতা যায়না। দরকার মাঝে যারা আছেন তাদের কোন শিবির নিজেদের দিকে টানতে পারছে তার উপর। এই মুহুর্তে হিন্দি বলয়ে কালকের ঘটনায় মধ্যবিত্তরা উল্লসিত হবার মত কিছু দেখতে পারছেন না।"
টেকো বুড়ো, এমন্কি যদি ধরে নি, আপনি বিশাল সার্ভে করে কথাগুলি বলছেন, আপনার সংগে আমার কোন ঝগড়া নেই। কিন্তু মধ্যবিত্ত কবে কৃষকের সংগে থেকেছে? রেয়ার। না থাকলে কি আসে যায়? দের কে যে গালাগাল খেতে হচ্ছে সেটা কতটা যুক্তি যুক্ত। প্রথমে আপনার ভুল তথ্য গুলি ধরি।
- মানেসর এর শ্রমিক দের ঘটনা টার সংগে এটার কোন মিল নেই। সেখানে একটা কারখানার ঘটনা, এখানে গোটা সেক্টর টা আফেকটেড। অমিল এতো বেশি যে এই কথাটা আপনার মাথায় এলো কি করে মাইরি সেটাই চিন্তার। ঘটনার আগে মানেসর শুধু না, শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে, এমনকি শান্তিপূর্ণ শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে হিন্দি বলয়ের মধ্যবিত্ত খুব গদগদ ছিলেন কোন এভিডেন্স আছে? লোকে মাইরি ওয়ার্কিং ক্লাস শব্দটায় আপত্তি থাকায়, কমন ম্যান শব্দটা তৈরী করে ফেললো ইংরেজি মেডিয়াতে, আর আপনি সমবেদনা খুঁজছেন। কৃষক শ্রমিক রা নিজেদের লড়াই নিজেরাই লড়ছে ও লড়বে। এবং যে স্থইর্য্য পরিচয় তারা দিয়ে চলেছে বছরে পর বছর সেটা না দিলেই বেশি ভালো হত।
-- "একজন কৃষক নিহত হয়েছেন, লাঠি খেয়ে বা গুলিতে নয়।" ট্রাকটর চালাছিল কেউ একটা জোরে , এটা তার অ্যাকসিডেন্ট। অকারণ স্পেকুলেট করবেন না।
-- রাজ্নৈতিক দলের পাল্টি খেতে সময় লাগে না। এটা কোন কথাই না, তারা এতদিনে অবস্থান স্পষ্ট করেছে বলে ভবিষ্যতে পাল্টি খাবে না। তৃণমূল রেগুলার পাল্টি খায় এই বিষয়ে। ২০১৪ র আইন পড়ে দেখুন। বড় আন্দোলনে এটা হবেই, বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে লোকে আসবে। বিজেপি ই বলে এম এস পি r কোন ক্ষতি হবে না, পিডিএস এর কোন ক্ষতি হবে না, বলে এসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট e বদল আনে, মধ্যপ্রদেশে ইনফ্রাস্ট্রাকচারে বদল আনে। আপনি রাজ্যস্তরে এই আইন কাজে লাগার সুবিধে করে দেবার জন্য কি কি কাজ আগে থেকে হয়ে চলেছে, তার উপরে কতদূর ফ্যাক্ট চেকিং করেছেন? কৃষক দের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিয়ন আর কিছু বামপন্থী ইউজুয়াল সাসপেক্ট ন্যাশনাল এজেন্ডায় থাকতে পেরেছে এটা কম আচিভমেন্ট কিসু না, কিস্যু করতে পারবে না কেস দিয়ে, এর কোমর ভাঙা পরিযায়ী শ্রমিক আর আর্বান মুসলমান না, যাদের কোন বড় বা ন্যাশনাল অরগানাইজেশন ই নেই। এই এত খালস পতাকা নিয়ে উত্তেজনা, শাহীন বাগে তেরংগা ছাড়া কিছু ছিল না, তাতে কেস দেওয়া আটকেছে?
-- "এবার নেতারা ১ তারিখ সংসদ অভিযানে যেতে পারবেন? নাকি গ্রেফতারি এড়ানো ও জামিন যোগাড়ে ব্যস্ত হবেন? আর পুলিশ দিল্লিতে সংসদের ধারে কাছে যেতে পারমিশন দেবে? নেতাদের অথরিটি এবং কৃষকদের উপর নিয়ন্ত্রণ আজ প্রশ্নের মুখে।"
আপনার ধারণা পার্লামেন্ট অভিযানের পারমিসন পাওয়া যেত খ্ব সহজে? জীবনে পেত না, এখন হয়তো বাঞ্চাল হয়ে যাবে। ম্যাক্স প্রতিনিধি পেত। ৬০ দিন ধরে লোক গুলো বর্ডারে ঠান্ডায় রাত জেগে বসে। ভাটের কমিটি ছাড়া দেশের আইনি প্রতিষ্ঠান তাদের কি দিয়েছে? সরকার একটা অফার করেছে দেড় বছর রদ করার, সেটা কে সিনসিয়ার মনে না করার যথেষ্ট কারণ আছে, কারণ সেটা ২৬ এ জানুয়ারির অল্প কদিন আগে দেওয়া।
যৌথ নেতৃত্তএ আন্দোলন চলছে। বড় আন্দোলন, এসব হবে। হ্যাঁ সাধারণ কৃষক যার জমি র লড়াই e নেমেছেন, তাঁরা খানিকTaa ভয় পাবেন, ঐ জন্যেই কমিটি ডিফেনসিভ আপনার মত, কিন্তু ঘটনা হল, দুটি জিনিস হাস্যকরঃ
- জে হিন্দু ন্যাশনালিস্ট গণ কথায় কথায় শৌর্য্য দেখায়, শিখ শৌর্য্যের ইতিহাসকে , মধ্যযুগীয় হিন্দু শৌর্য্যের ইতিহাসের মুসলমান বিরোধী ভূমিকার এক্সটেনসন হিসেবে দেখে, তারা এত শান্তিকামী কবে হল? আপনি মনে করেন, পোলিটিকাল লিডারশিপ ট্রাকটর শহরে ঢুকতে না দিতে বললে মিছিলের রুটের পারমিসন পাওয়া যেত? পুলিশ বস দের জিগ্যাসা না করে কাজ করে না।
- যে পুলিশ এর আগে ব্যারিকেড করেছে, কাঁদানে গ্যাস ওয়াটারক্যানন সব ই ছুঁড়েছে, স্টেট কানেকটর রোড যেখানে পেরেছে বন্ধ করেছে, শহরে ঢুকতে দেবেনা বলে , লোক গুলো ৬০ দিন বসে না থাকলে, ঠান্ডায়, ওরা ২৬ জানুয়ারি রিঙ্গ রোড পারমিসন দিতো? তাছারা এমন অনেক এনক্লোজার আছে, যেখানে রিং রোড এ ঢুকতে গেলে শহরের ভেতর দিয়ে কিছুটা যেতে হবে, সেখানেও অনেক জায়গায় ব্যারিকেড ছিল।আসল ঘটনাটা হল, কতজন লোক মিছিলে আসবে, কারো কোন ধারণা ছিল না।
-- কার কার বিরুদ্ধে কি কি কেস হবে সে ব্যাপারে স্পেকুলেট করে কি করবেন, এটুকু জানুন, কোনো অবস্থাতেই এটা আটকানো যেত না, হয় দিল্লীতে নয় নিজের রাজ্যে নেতারা কেস খেত। পাঞ্জাবে র পুলিশ কো অপারেট না করলে হরিয়ানা আর দিল্লী পুলিশ কে দিয়ে দেওয়াত। পাঞ্জাবের পুলিশ আবার আকালি নেতাদের মুর্খের মত কেস দিতেও পারে। কিন্তু আন্দোলন এটাতে সম্পূর্ণ বন্ধ করা গেলে খুব ই আশ্চর্য্য হব। বড় নতুন প্লাটফর্ম , ভাঙাভাঙি হবে, নতুন প্লাটফর্ম ও হতে পারে।
-- দিল্লী শহরে ঢুকতে দেওয়া টা ট্র্যাপ ইত্যাদি রেট্রোস্পেকটিভলি বলাই যায়, কিন্তু আমি লিখে দিতে পারি, একটাও ঘটনা না ঘটলেও নেতাদের আইসোলেট করা, ইউনিয়নে r মধ্যে মতবির্ধ কে ওসকানো, কেস দেওয়া কিছুই আটকাতো না।
-- এমন ভাবে বলা হচ্ছে যেন কৃষক রা সত্যিকারের ভালোমাউষ গরীব হলে তাদের কথা খুব মেনে নেওয়া হত।
আরেকটা কথা, কিসান ইউনিয়ন এর সংগে চুক্তি র প্রশ্ন নেই, কিছু ডকুমেন্ট আদান প্রদান হতে পারে, আন্দোলন, দাবী সংক্রান্ত, কারণ রিপ্রেজেন্টেশন টা খুব শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থাকার সময়েও, বরাবরি সরকার কনটেস্ট করেছে। আন্দোলন থেকে আজ যারা উইথ্ড্র করেছে, তারা স্টেটমেন্ট দিতে পারবে, যে আইন রিপিল না হলেও, আইন ইম্প্লিএমেন্ট হলেও তারা চুপ করে বসে থাকবে, যদি দিতে পারে, তাহলে তারাই সমস্যা, বাকিরা না।
চৌতালার নাতি রিসাইন ও করেছে।
এত লোক মরে গেলো ঠান্ডায়, আত্মহত্যা করে, তাতে কথা নেই, ভুল ভাল এখন নেকুপনা। বেসিক ঘটনা হল, একটা বড় অংশের কৃষক চাইছেনা বর্ডারে বসে থাকতে। শহরের ভিতরে থাকতে চায়। তাতে মনে করছে মানুষ কে বেশি বলতে পারবে। যে শহরের লোকেরা ফুল দিয়ে এদের কে ডাকলো, শহরে ঢোকার সময়ে, তারা একদিনে অ্যান্টাগোনাইজ করে যাবে ব্যাপক অংশে? কতটা সার্ভে করেছেন আপনি?
আন্দোলন হয়েছে। তাতে ছোটখাটো সমস্যা আসবে, এসেছে। লাখ লাখ লোকের মিছিল যে সব জায়গায় সামলানো যাবে না সেটা আন্দলনের নেতারা ও জানতো। সমস্যা সেখানে না, সমস্যার হলো এখন নেতাদের আস্তে আস্তে পিছিয়ে যাওয়া। তারা নিশ্চই ভাবেনি যে সরকার অনায়াসে তাদের ট্রাক্টর নিয়ে মিছিল করে ফুটেজ খেতে দেবে। স্যাবতেজ করবে বা চেষ্টা করবে সেটা না জানা থাকলে ওই নেতৃত্বের কোনো মূল্য নেই। যারা এদ্দিন ধরে এতগুলো লোককে একত্র করে রাখতে পারল তারা এত বোকা ভাবার কোনো কারণ নেই। তারা জানতো এটা হবে, এতে পাত্তা না দিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা তাঁদের ছকে রাখা আছে নিশ্চই। তবে এতে করে এই সরকারের দমননীতি বেশ ভালোভাবে স্পষ্ট হলো। দীপ সিন্ধু র উপরে কোনো fir না করা তাও তো নজরে পড়ছে। খালিস্তানী চিন্তার লোক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নাকের ডগায় বসে, তাদের ভোটপ্রার্থী র হয়ে কাজ করে গেছে, আর সরকার তাকে তল্লাই দিয়ে গেছে এটাও বহু মানুষের নজর এড়িয়ে যায় নি।
আমি আপনার একজন নতুন পাঠক । আমায় উদ্বুদ্ধ করলেন আপনার লেখনীর মাধ্যমে।
উত্তরগুলো -
এটা কি সমস্ত ভারতের কৃষকদের মিছিল?
-- না
নাকি পাঞ্জাব/হরিয়ানা প্রদেশের কৃষকদের মিছিল?
-- হ্যাঁ, প্রধানত পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা
এতদিন ধরে প্রতিবাদ হতে চলল তবু অন্য রাজ্যের কৃষকরা নেই কেন?
-- তার কারণ এই বিলের প্রভাব সব রাজ্যের চাষীদের ওপর সমান নয়। যেমন, ২০১৯-২০২০ সালে পাঞ্জাবে ১১৮ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছে ও তর মধ্যে প্রায় ১০৮ লাখ টন কিনে নিয়েছে এফসিআই (মিনিমাম সাপোর্ট দামে), ওই একই বছরে পশ্চিমবঙ্গে ১৫৬ লাখ টন চাল উৎপন্ন হয়েছে তার মধ্যে এফসিআই কিনেছে মাত্র ১৬ লাখ টন। সুতরাং, মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস উঠে গেলে, পাঞ্জাবের চাষীদের ওপর তার প্রভাব সাংঘাতিক, পশ্চিমবঙ্গের চাষীদের ওপর তত নয়। এফসিআই যে খাদ্যশস্য কেনে এবং মজুত করে তার প্রায় ৯৭% কেনে পাঁচটি রাজ্য থেকে। ঐ ৫ রাজ্যের মধ্যে আছে তেলেঙ্গনা, তেলেঙ্গনায় টন প্রতি চাল উৎপাদন খরচ পাঞ্জাবের থেকে বেশি, এফসিআই কে মিনিমাম প্রাইসে চাল বিক্রি করে চাষীদের লস হয়, তাই তেলেঙ্গনার চাষীরা এফসিআই এর ওপর নির্ভর করে না, একেবারে অবিক্রিত স্টক থাকলে তখন এফসিআই-কে বেচে, মিনিমাম প্রাইস তুলে দিলে তেলেঙ্গনার চাষীদের ওপর প্রভাব পাঞ্জাব বা হরিয়ানার থেকে কম।
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি নীতির ফলে যদি রিলায়েন্স/আদানি-দের মতন বিগ কর্পোরেট লাভবান হয় এবং মিডলম্যানদের আধিপত্য কমে যায়, তাহলে দেশ জুড়ে মিডলম্যানদের প্রতিবাদ হবার কথা - সেটাই বা হচ্ছে না কেন?
-- মিডলম্যানেরা এখন দুটি কাজ করেন - খাদ্য শস্য মজুত ও বিপণন। বড় গ্রোসারি চেইন এলেও তাদেরকেও মিডলম্যানদের দিয়েই শস্য সংগ্রহ করতে হবে। একমাত্র সরকারের (এফসিআই) এই পরিকাঠামো আছে রেল পরিবহন, এফসিআই গুদাম ও রেশনিং বিপণন ব্যবস্থা মিলিয়ে। অন্য কোনো পরিকাঠামো নেই, বানানো সহজ নয়। মিডলম্যানদের জীবিকা চলে যাওয়ার বাস্তব সম্ভাবনা কম। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচার মাধ্যম একটানা ভুল প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে যে নতুন বিলের ফলে চাষীরা সরাসরি বিগ কর্পকে বেচবে।
অন্য রাজ্যগুলোতে কি রাজ্য সরকার কৃষিপণ্য বিক্রির ব্যাপারে চাষীকে গ্যারান্টি দেয় তাই তারা এই প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে না?
-- গভর্নমেন্ট সাবসিডি দুভাবে দেয় - শস্য উৎপাদনের সময়, আর উৎপাদনের পরে। খাদ্যশস্য তৈরি করতে যা যা উপাদান লাগে, যেমন জল, রাসায়নিক সার, শস্যদানা, বিদ্যুৎ... এগুলো ভর্তুকি দিয়ে কম দামে দেওয়া, আর, উৎপাদিত শস্য বিক্রি না হলে সেগুলি কিনে ফেলা। দুই ক্ষেত্রেই ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সরকার ভর্তুকি দেন - কম বেশি আছে। যেমন, তেলেঙ্গনায় জলের খুব আকাল, ওখানকার রাজ্য সরকার বাঁধ বানিয়ে জল আটকে সেই জল প্রায় বিনামূল্যে চাষীদের দেয়
কৃষি বিল নিয়ে গভীর সমস্যা এর পিছ্নে কি আছে তাই নিয়ে - সরকার কি পিডিএস (পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম), এফসিআই, রেশন সিস্টেম, ফার্মিং এ ভর্তুকি - এই পুরো সিস্টেমটা তুলে দিতে চাইছে ?