এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • বামেদের প্রাসঙ্গিক হতে গেলে অন্যরকম অনুশীলন দরকার

    সুমন সেনগুপ্ত
    খবর | খবর্নয় | ০৪ এপ্রিল ২০২২ | ২৯২৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)

  • বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে এমন একজন মানুষকে প্রার্থী করা হয়েছে, যিনি এক বছর আগে অবধি নাগরিকপঞ্জির সমর্থক ছিলেন, এক বছর আগেও যিনি মনে করতেন মুসলমান মানেই বাংলাদেশি, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। এক বছর আগে যখন ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’, এই প্রচারকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস তার নিজের ‘খেলা’ সাজাচ্ছে, সেই সময়েও ‘মেয়েদের বিদায় দিতে হয়’, এই জাতীয় কথা তিনি বলেছেন সামাজিক মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, তিনি কলকাতার একজন নামী বাচিক শিল্পীকে ‘তৃণমূলের যৌনদাসী’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এহেন একজন মানুষের নাম বাবুল সুপ্রিয়, যিনি কিছুদিন আগেই দলবদল করে বিজেপির গেরুয়া উত্তরীয় ছেড়ে সবুজ হয়েছেন। তা, সবুজ তিনি হতেই পারেন, তাতে আমরা আপত্তি করার কে? কিন্তু আপত্তি করছে তো সাধারণ মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, যে মানুষটির নাম কিছুদিন আগেও আসানসোলের দাঙ্গার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাঁকে প্রার্থী করার মধ্যে দিয়ে আসলে একুশের গণরায়কে তৃণমূল অস্বীকার করতে চাইছে।

    কেন তৃণমূল ‘এই বাবুলকে একটি ভোট নয়’ স্লোগানকে ভয় পাচ্ছে?

    আজ অবধি বহু বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক কাজের বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছে, মিটিং হয়েছে। কিন্তু যে মিছিল বা জমায়েতে ওদের অসুবিধা হতে পারে সেই মিছিল কিছুতেই সরকার হতে দেবে না। বহু সংখ্যক মিছিলও যদি হয় মৌলালি থেকে বা কলেজ স্কোয়ার অঞ্চল থেকে, তাতে সরকারের খুব বেশি গায়ে লাগে না। কারণ এই মিছিলগুলোর প্রভাব খুবই যৎসামান্য। কিন্তু যে মিছিল বা মিটিংয়ের মধ্যে দিয়ে মানুষজনের কাছে ন্যূনতম কোনও বার্তা পৌঁছতে পারে, সেই মিছিলের অনুমতি কি সরকার দিতে পারে? এই মিছিলের আগে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে অন্যান্য অনেকভাবে সংশ্লিষ্ট প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে, বালিগঞ্জের সংখ্যালঘু মানুষজনদের মধ্যে। হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি ও বাংলায় প্রচার করা হয়েছে। তার মধ্যে দিয়েই একটা বার্তা রাজ্যের শাসকদলের কাছে পৌঁছেছে যে বাবুল সুপ্রিয়র জন্য এই আসনটি খুব বেশি স্বচ্ছন্দের হবে না। তিনি হাসতে হাসতে নাও জিততে পারেন। আর যেহেতু এই মিছিলটির যাত্রাপথটি বেশিরভাগ সংখ্যালঘু অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে হবে, তাই এই মিছিলকে গোড়াতেই বন্ধ করতে হবে। আসলে রাজনৈতিক কাজ যত নিবিড়ভাবে করা যাবে, তত তা শাসকদলের জন্য বিপদজনক। বামপন্থী মানুষজন আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে যেভাবে কাজ করতেন, সেইটাই একমাত্র পদ্ধতি রাজনৈতিক কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবার। আর কোনও বিকল্প পথ নেই। অন্য যে কোনও মিছিলে শাসকের কিছু যায় আসে না, মিডিয়ার এক কোনায় খবর হওয়া না হওয়ার মধ্যে খুব বেশি তফাত হয় না। কিন্তু এই ধরনের প্রচার শাসকের ঘুম কেড়ে নেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

    ‘বাবুলকে ভোট নয়’ মিছিল কেন আটকানো হল?

    গতকাল যখন পার্ক সার্কাসের একটি খাবারের দোকানের সামনে জমায়েত হচ্ছিলেন বেশ কিছু এনআরসি বিরোধী কর্মীরা, তখন পুলিশ এসে বলে ওই স্থানে জমায়েত করা যাবে না। কারণ, ওই জমায়েতের নাকি কোনও অনুমতি নেই। অথচ নির্বাচন কমিশনের থেকে প্রাপ্ত অনুমতিপত্র দেখানো হলেও তাঁরা বলেন, অনুমতিতে বলা নেই যে ঐ স্থানে জমায়েত হয়ে মিছিল শুরু করা যাবে। আর কথা বাড়ালে গ্রেপ্তার করা হবে। কোনও কথা বাড়ানোর সুযোগই দেওয়া হল না, সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হলো প্রসেনজিত বসু, মনজর জমিল, ইমতিয়াজ আলি মোল্লা, অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ দশজনকে। ঘটনাচক্রে আমরা কয়েকজন তখন একটু দূরে দাঁড়িয়ে। পুলিশ এসে আমাদের বলল, এইখানে জমায়েত করা যাবে না। আমরা উল্টে বললাম, দু’জন মানুষ কলকাতার বুকে দাঁড়িয়ে কথা বলাও অপরাধ নাকি? এটা কি উত্তরপ্রদেশ? যে কথা বলারও অধিকার নেই, সরকারের বিরুদ্ধাচারণ করবারও অধিকার নেই? পুলিশ বলল, অত কিছু জানি না, এখান থেকে চলে যান, না হলে আপনাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। আমরা এগিয়ে গেলাম সামনের কোয়েস্ট মলের দিকে, ওখানে তখন উপস্থিত আরও পুলিশ। তাঁদের প্রশ্ন করা হল, এখান থেকে কি মিছিল করা যাবে? তাঁরা বললেন না, এখান থেকেও কোনও মিছিল করা যাবে না। আপনাদের মিছিল করতে হলে, ওই আগের জায়গা থেকেই করতে হবে। আমরা বললাম, ওখানে তো জমায়েতই করতে দিচ্ছেন না আপনারা। সেসব জানি না, এই কথা বলতে বলতে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং সিপিআইএমএলের রাজ্য কমিটি সদস্য অমিত দাশগুপ্তকে গ্রেপ্তার করা হল। আসলে পুলিশের কাছে নির্দেশ ছিল, কোনওভাবেই যেন এই মিছিল করতে না দেওয়া হয়। তাঁরা মিছিলের মূল উদ্যোক্তাদের গ্রেপ্তার করে মিছিলটিকে সংগঠিত করার প্রক্রিয়াই বানচাল করে দিলেন।

    সামাজিক মাধ্যমে কী চলছিল তখন?

    যে সময়ে এই ঘটনা ঘটছে, সেই সময়ে প্রসেনজিত বসু-সহ কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনা খুব দ্রুত প্রচার করে দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে পড়েছে বামেদের এক শ্রেণির বাহিনী। তাঁরা মজা করা শুরু করলেন, এই তো যাঁরা ‘বিজেপিকে ভোট নয়’ বলে ২০২১-এর নির্বাচনের আগে প্রচার করেছিলেন, আজ ‘বাবুলকে ভোট নয়’ এই প্রচার করেছিলেন, তাঁরাই আজ আক্রান্ত। আসলে বিতর্ক লেফট অফ সেন্টার থেকে রাইট অফ সেন্টারের দিকে সরে যাচ্ছে। একটি দক্ষিণপন্থী দলকে আটকাতে গিয়ে আর একটি দক্ষিণপন্থী দলকে আনা হয়েছে, যাঁরা স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ করছে, যাঁরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির কোনও ধার ধারছে না। সুতরাং রাজ্যবাসীকে এর মাশুল দিতে হবে। স্পষ্টতই ওঁরা মনে করছেন এ রাজ্যের মানুষ শুধুমাত্র মাশুলই দিয়ে যাবেন, লড়াই বা প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন না। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াইও যে চলছে সেটা তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন না। এছাড়াও, তৃণমূলের মতো একটি দক্ষিণপন্থী দলকে সর্বতোভাবে শক্তিশালী করে অপ্রতিরোধ্য করে তোলা হয়েছে বলেই তাঁদের যত সমস্যা। অর্থাৎ তৃণমূলের আধিপত্যে ধাক্কা লাগলেই এনারা খুশি, সে ধাক্কা যেই দিক না কেন! এখানে বামেদের নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই কিন্তু! বামেদের কি হল না হল সেই নিয়ে মাথাব্যথা থাকলে ২০১৯ নিয়ে তো আগে কথা হতে হয়। সে নিয়ে কিন্তু কোন কথা হয় না! কথা হয় না ঐ একটিই কারণে ২০১৯-এ তৃণমূলের আধিপত্যে ধাক্কা লেগেছিল! সে ধাক্কা যে বামেরা নয়, বিজেপি দিয়েছিল এবং বামেদের বিপুল ভোট নিয়ে বিজেপি সেটা করেছিল তা নিয়ে এনাদের কিছু যায় আসে না। তাঁরা এখনও মনে করেন, নিজেরা না পারলেও বিজেপি যদি তৃণমূলের আধিপত্যে ধাক্কা দেয়, তো সেটাই লাভ। কিন্তু ২০১৯ সালে তো ‘বিজেপিকে ভোট নয়’ এই প্রচার ছিল না, সেই বছরেই বামেদের ভোট সবচেয়ে কমে এসে সাত শতাংশে দাঁড়ায়, তাহলে তার জন্য কে বা কারা দায়ী? এই নিয়ে কেন কোনও আলোচনা হয় না?

    এখন কী করণীয় তবে?

    পুরোনো সব বিতর্ক সরিয়ে রেখে, এই মুহূর্তে বিরোধী পরিসরটা বামেদের দখল নেওয়া আজ সময়ের দাবী। তৃণমূলকে আক্রমণ করতে হবে আলাদাভাবে, বিজেপিকে আলাদাভাবে। যে যতই বলুক, তৃণমূল এবং বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ নয়। সুতরাং তৃণমূলের স্বৈরাচারের বিরোধ করাটা যেমন জরুরি কাজ, বিজেপির কাজের বিরোধিতাও আলাদা করেই করতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে সমস্যাগুলো আলাদা করে, নিবিড়ভাবে লেগে পড়ে থেকে, সামাজিক মাধ্যমের বিতর্কের বাইরে বেরিয়ে ছোটো ছোটো স্তরে সামাজিক এবং রাজনৈতিক কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ছোটো করে কাজ করতে করতেই মানুষের বিশ্বাস অর্জন করাটা জরুরি। যে বামেরা ২০১৯ সালে নিজের নাক কেটে তৃণমূলের যাত্রাভঙ্গের কাজ করতে চেয়েছিল, সেই বামেদের যদি আবারও মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে হয়, তাহলে এই নিবিড় অনুশীলন করা দরকার। কিন্তু বামেরা কি এই কাজ করতে আগ্রহী? সেইটাই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।




    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ০৪ এপ্রিল ২০২২ | ২৯২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সঞ্জয় বর্দ্ধন | 45.25.***.*** | ০৪ এপ্রিল ২০২২ ২১:৫৬505995
  • তৃণমূল অপাংক্তেয় ও  সমাজে ঘৃণিত অন্ধ ভক্তগুলোকে , সামাজিক প্রতিষ্ঠা দেবার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে । 
    যে বামেরা এখনো সিঙ্গুর- নন্দীগ্রামকে justify করে চলেছে তাদের পক্ষে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠা কঠিন।
  • কাঞ্চন কর্মকার | 115.187.***.*** | ০৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫০505998
  • বামেদের প্রয়োজনীয়তা আছে এটা ভোটের ফলাফল দেখে বিশ্বাস হয় না।
  • চুঃ চুঃ চুঃ | 42.***.*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৪৩506002
  • ভোটের ফলাফল দেখে যারা সব কিছুর প্রয়োজনীয়তা বিচার টিচার করেন, তাঁদের খুরে পেন্নাম ৷
  • শ্রীরাম | 2a03:e600:100::***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ০১:২০506004
  • ভোটের ফলাফল দেখে বামেদের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি আছে মনে হল।
  • ঈশান চক্রবর্তী | 2405:201:9002:c05f:69a0:160b:2b4d:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ০৮:১৪506010
  • দেখুন। সমালোচনা টা ঠিকই করেছেন। এই এক সমালোচনা পার্টি নিজের প্রতিও করেছিলো। এবং সেই মতো কাজ ও করছে। তৃণমূল বা বিজেপি উভয়েই দক্ষিনপন্থী শক্তি তা সন্দেহাতিত। তবে গ্রেটার লেসার বলে লাভ নেই। একটা যদি বিষফল হয়, অন্যটি এলার্জেন। তবে হ্যা, কাজ চলছে বামেদের। বিগত নির্বাচন গুলোয় ভোটের বৃদ্ধি দেখলেই বুঝবেন কিছুটা হলেও পৌঁছানো গেছে মানুষের কাছে। তবে তা যথেষ্ট নয়, অবশ্যই। আসুন সবাই মিলেই চেষ্টা করা যাক। স্বৈরাচার ও ফ্যাদিবাদ দমন হবে নিশ্চয়।
  • কল্যাণ সেনগুপ্ত | 117.226.***.*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১১:৫২506017
  • বামেদের(বামফ্রন্ট নয় সামগ্রিক বামশক্তির) প্রধান বিরোধীশক্তি হয়ে ওঠা অবশ্যই সময়ের দাবী। কিন্তু সেজন্য সর্বাগ্রে সিপিএমকৃত এযাবৎ সমস্ত খুন, রক্তপাত, অত্যাচারের হিংসাত্মক নীতি ও কার্যকলাপের জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে, নইলে মানুষের আস্থা ফিরবে না।
    সে পথে কি তাঁরা হাঁটবেন, মনেতো হয়না।
  • Amit | 121.2.***.*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১২:০১506018
  • সিপিএম ছাড়া কি আর বাম শক্তি নেই ? বাকিরা কি করছে এদ্দিন ? কবে সিপিএম ক্ষমা চাইবে তার দিকে বাকিদের এরকম তীর্থের কাকের মতো নাচার তাকিয়ে থাকতে হলে সেরকম তথাকথিত শক্তিতে মানুষের আস্থা না থাকাই ভালো। 
  • নাম নেই। | 115.96.***.*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৪৯506022
  • আগে তো তত্ত্ব তারপর তো অনুশীলন।  আজকের বাস্তবের ওপর ভিত্তি করে তত্ত্ব আসুক অনুশীলন ঠিকই গড়ে উঠবে।
  • অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় | 45.64.***.*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৩৩506026
  • এই নিবন্ধের উপস্থাপকের কাছে আমার একটিই সরাসরি প্রশ্ন, বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের আর্থ সামাজিক দুরবস্থা, তৃণমূল দলের প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষ আসকারায় দুর্বৃত্তবাহিনীর  অবাধ খুন-খারাপি-তোলাবাজি, গ্রামাঞ্চলে যে কোনো রকম বিরোধী স্বরের দমনে গাঁজা কেস ও অন্যান্য আইনের যথেচ্ছ অপপ্রয়োগ, পেটোয়া গুন্ডা বাহিনী ব্যবহারে গুলি-বন্দুকের জোরে ধারাবাহিক ভোট লুঠ,হিন্দু দাঙ্গাবাজ বিজেপি ও আর এস এস এর বিষাক্ত নানান গোপন ও প্রকাশ্য কার্যকলাপ (রামনবমীর সশস্ত্র মিছিল) রোধে কোনো সদর্থক প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নেওয়া, শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রতক্ষ্যভাবে দুর্নীতির প্রশ্রয় ও অবাধ স্বজন পোষন, বাবুল সুপ্রিয়র মতো গতকালের বিজেপি মন্ত্রী ও আসানসোলের দাঙ্গার প্রতক্ষ্য মদতদাতাকে শুধু পার্টিতে স্থান দেওয়াই নয়, তাকে বিধানসভায় দলের প্রার্থী করা--- এতদ সত্বেও রাজনৈতিকভাবে কেন বিজেপি ও তৃণমূল একই মূদ্রার দুপিঠ, এই সিদ্ধান্ত আজও আপনার কাছে বেঠিক, যখন এই দুষ্কর্মগুলির অধিকাংশই আর একটু খোলাখুলিভাবে দিল্লির বিজেপি সরকার নিয়তই করে চলেছে। 
  • কল্লোল | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ০৬:৩২506137
  • বহুকাল আগে এই গুরুতেই লিখেছিলাম "অন্য কোথা অন্য কোনখানে"। ৬ বছর হয়ে গেলো। লেখাটার লিং রইলো। কেউ যদিপড়তে ইচ্ছে করেন। 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন