নন্দীগ্রাম ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির কাছেই বাগপাড়া। মূলতঃ দরিদ্র, নিম্ন বর্ণের মানুষের বাস। পাড়ায় পা রাখতেই দেখা গেল এক দল তরুণকে। তখন দুপুর। কিন্তু কেউ কেউ কিঞ্চিৎ মদ্যপান করে ফেলেছেন। জে জিতবে, দিদি না দাদা, জিজ্ঞেস করতেই উত্তর এলঃ 'জয় শ্রী রাম! এবার সব জয় শ্রী রাম!' আমি বললাম, সে-কি, নন্দীগ্রাম তো দিদির মাটি; সেখানে দিদি হেরে যাবে? আরও কয়েকজন চলে এসেছেন ইতিমধ্যে। দুয়েকজন বয়স্ক পুরুষ, কয়েক জন মহিলা। বললেন, দিদির তো আমাদের দেখল না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কিন্তু দিদি তো দাদাকেই দায়িত্ব দিয়েছিল! জটলার উত্তর না, দাদা নয়, তাঁদের স্থানীয় এলাকার দায়িত্ব ছিল শেখ সুফিয়ান এর। আমি বললাম, কিন্তু সুফিয়ান কি দাদাকে অগ্রাহ্য করে কাজ করতে পারতেন? উত্তর এল, সুফিয়ান সব কিছু ওই মোল্লাদের দিয়ে দিয়েছে। 'এবার দিদি জিতলে মুসলমানরা আমাদের শেষ করে দেবে।'
স্থানীয় মুসলিমদের ভোট, বলাবাহুল্য, মূলত দিদির দিকে। 'যেভাবে আমাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিদ্বেষমুলক প্রচার চলছে, এটা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই', বললেন রেয়াপাড়ার এক বাসিন্দা।
ভুমি আন্দোলনের নন্দীগ্রামে এখনও ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির পতাকা দেখা মেলে ইতিউতি। কালো পতাকা। কিন্তু জমি, বা কৃষকের ইস্যু আর এই নির্বাচনের অংশ নয়। আলোচনাতেই নেই।
আলোচনায় সব থেকে বেশি নিশ্চয়ই দাদা বনাম দিদির লড়াই। কে বেশি থেকেছে নন্দীগ্রামের পাশে, কে বেশি করেছে। তরুণ যুবকদের দল, যাদের বয়স মোটামুটি আঠারো থেকে ত্রিশ-বত্রিশ, অনেকেই দাদার দিকে। আন্দোলনের দিনকাল তাঁদের বিশেষ মনে নেই। তাঁরা নন্দীগ্রাম বলতে শুভেন্দুই বুঝেছেন। স্থানীয় কিছু তৃণমূল সমর্থকদের আবার অভিযোগ, এই তরুণদের 'রসে বসে' রাখা হচ্ছে।
যাঁরা মধ্যবয়স্ক, তাঁদের অনেকেই ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অধিকারীর ওপর। মমতার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে। কেউ ক্ষুব্ধ মূলত তৃণমূলের ওপর, পঞ্চায়েত নেতাদের দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের কারণে। কেউ ক্ষুব্ধ শুভেন্দুরই ওপর, তাঁর 'দাদাগিরি'র কারণে।
কিন্তু এই সব কিছু ছাপিয়ে, নন্দীগ্রামে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ। যে নন্দীগ্রামে শঙ্খধ্বনি ও আজানের স্বর মিলেমিশে গেছিল ২০০৭ এর আন্দোলনের সময়, সেখানে ধর্মের কথা শোনা যাচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়।
এসইউসিআই-এর প্রবীণ নেতা ভবানী দাস। জমি আন্দোলনেরও নেতা ছিলেন। শুভেন্দুকে চেনেন বেশ কাছ থেকে, মূলত জমি আন্দোলনের সূত্রেই। মমতার আমলে গড়ে ওঠা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের পাশেই তাঁদের পার্টি অফিস। সেখানে বসে কথার ফাঁকে ফাঁকে বললেন, 'এখানে ধর্মীয় মেরুকরণ গত কয়েক বছর ধরেই বেশ তীব্র হয়েছে। শুভেন্দু বাবু নন্দীগ্রামকে তাঁর হাতের তালুর মত চেনেন। প্রত্যেক বুথে কোন কর্মী কোন দিকে আছেন সেটা তাঁর জানা। কিন্তু মমতা ব্যানার্জী যাঁদের ভরসায় এখানে নির্বাচন লড়ছেন, তাঁদের ভাবমুর্তিও বিশেষ ভালো নয়। খুব কঠিন লড়াই-এর মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী।'
মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছেন শেখ সুফিয়ান। জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা। কিন্তু তাঁর বৈভব তাঁকে মানুষের কাছে অপ্রিয় করেছে। বিশাল চার তলা বাড়িটিকে স্থানীয়রা 'জাহাজ বাড়ি' বলেন। পড়শিরা অপছন্দই করে বেশি। বছর দুয়েক আগে, মুখ্যমন্ত্রী একবার ওই বাড়িতে ঢুকতে গিয়েও বেরিয়ে আসেন। তীব্র তিরস্কার করেন সুফিয়ানকে অমন প্রাসাদোপম বাড়ি বানানোর জন্য। তিনি যে কোনদিন ওই বাড়িতে ঢুকবেন না, জানিয়ে দেন। এবারও এখনও ঢোকেননি। তাঁর নির্বাচনের দায়িত্ব নিয়ে নন্দীগ্রামে আসা দোলা সেন, পুর্নেন্দু বসুরা অবশ্য ঢূকছেন। শুভেন্দুর পর নন্দীগ্রামে তৃণমূলের মুখ সুফিয়ান আর আবু তাহেরই। সুফিয়ান-তাহের এ বনিবনা নেই। তাহের ছিলেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ, তাই বোধ হয় তাহের তৃণমূলেই থেকে গেলেও মূল দায়িত্ব গেল সুফিয়ান-এর হাতে।
ভবানী বাবু বললেন, গত কয়েক বছরের স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতি হামলার ঘটনা, যেখানে আক্রান্ত ছিলেন হিন্দু আর দুষ্কৃতি মুসলিম, এবং প্রকাশ্যে গরু কাটার মত ইস্যু, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও হিন্দু মেরুকরণ বাড়তে সাহায্য করেছে।
'বিজেপি বেশ ভাল ভোট পেতই, তার সাথে শুভেন্দুবাবুর নিজস্ব ভোট যোগ হবে', তিনি বললেন।
শুভেন্দুবাবুর যে নিজস্ব ভোট ব্যাঙ্ক আছে, তা তৃণমূল সমর্থকরাও স্বীকার করেন। নন্দীগ্রাম থানার উলটো দিকে এক তরুণ চায়ের দোকানি বললেন, 'শুভেন্দুর নিজস্ব যে ভোট আছে, সেটা মোদী বা মমতা কেউই সরাতে পারবে না। আমার মত লোকেরা দিদির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবে না, কিন্তু শুভেন্দুর প্রতি আমাদেরও দুর্বলতা আছে।' তাঁর বাবা মমতার অন্ধ অনুগামী এবং তিনি শুভেন্দুর ওপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ।
'মমতাকে বহিরাগত বলে কোন সাহসে? মমতা ছাড়া দল হত এখানে? কি করতে পারত মমতার নাম ছাড়া?' বেশ রেগেমেগে বললেন অধিকারীপাড়ার বিকাশ জানা।
শুভেন্দুর মূল তাস, যা বোঝা গেল দুইটি। এক, নন্দীগ্রামে মমতা বহিরাগত। দুই, সাম্প্রদায়িক বিভাজন। এই এলাকায় গত বছর দশেক ধরে আরএসএস-এর নানা সংগঠন তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে। ফলে একটা 'মুসলিম আগ্রাসন' সংক্রান্ত টেনশন এমনিতেই আছে। শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক সব সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বক্তৃতা সেই আগুনকে আরও উস্কে দিয়েছে।
নন্দীগ্রামের জনবিন্যাসের অঙ্কে চোখ বোলালে দেখা যাচ্ছে ওখানে ৩০/৩৪ শতাংশ মুসলিম ভোট আছে বলে যে আলোচনা চলছে তা একটু বাড়াবাড়ি। নন্দীগ্রাম বিধানসভা গঠিত নন্দীগ্রাম ১ ও ২ ব্লক মিলিয়ে। ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী এই দুই ব্লক মিলিয়ে মোট ৩৩১,০৫৪ জনসংখ্যার ২৪৪,৬৬৭ জন, অর্থাৎ ৭৩.৯৬% হিন্দু, এর মধ্যে ৫৪,৫০৩ (১৬.৪৬%) জন তপসিলি জাতি ভুক্ত। আর মুসলিম জনসংখ্যা ৮৫,৬৯৬, বা ২৫.৮৮%।
স্থানীয় মুসলিমদের সাথে কথা বলে বোঝা গেল, তাঁদের ভোট মূলত দিদির দিকে।
ঘোরাঘুরি করে আরেকটি ব্যাপার যেটা বোঝা গেল, বামেরা এই লড়াইতে কার্যত নেই। বাকি থাকা সংগঠনের জোরে মিটিং মিছিলে কিছু ভিড় হয়ত দেখাতে পারবে, যুব নেতা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে প্রার্থী করাতে কিছুটা চাঙ্গাও। কিন্তু দেয়ালে তাঁদের জন্য ফাঁকা জায়গা প্রায় কিছু বাকি নেই। পথেঘাটেও লাল পতাকা গোনাগুন্তি। মানুষের আলোচনাতেও তাঁরা নেই বললেই চলে। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট প্রার্থী নিজের জামানত বাঁচাতে পারলে নিশ্চয়ই গর্ব করার মত পারফর্মেন্স দেখাবেন। কিন্তু শতকরা ১০ শতাংশ ভোট ও তাঁরা পাবেন কিনা সন্দেহ থাকছে।
আর যদি পান, যদি বেশি পান, ১৩-১৪-১৫-১৬ শতাংশ, তো বিপদ অধিকারী মহাশয়েরই। বিজেপি বেশ আশায় ছিল যে আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফকে সিটটি ছেড়ে দেবে বামেরা। তাহলে মুসলিম ভোট ভাগ হবে। কিন্তু সিপিএম দিয়েছে হিন্দু প্রার্থী। তাই স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের আশঙ্কা, ওই জোট যা ভোট পাবে, তার সিংহভাগ হিন্দু ভোটই হবে। আরেকটি চিন্তা আছে তাঁদের মাথায়, শুভেন্দুর তৃণমূলের হাত থেকে বাঁচতে যে বাম সমর্থকেরা বিজেপিতে ভোট দিয়েছিলেন ২০১৯ লোক সভায়, ও পরে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে, তাঁদের একটা অংশ আবার শুভেন্দুকে বিজেপিতে দেখে বাম দলে তাঁদের ভোট ফিরিয়ে নেবেন না তো?
সেই সম্ভাবনা আটকাতেই বিজেপি জোর দিচ্ছে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণে। কারণ শুধু তৃণমূলের বিরুদ্ধে জমতে থাকা ক্ষোভ এবার আর বিরোধী ভোটকে বিজেপির পক্ষে এককাট্টা করতে সমর্থ না-ও হতে পারে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। তাই প্রচারে আসবেন যোগী আদিত্যনাথ ও সম্ভাব্য আরও কিছু হিন্দুত্ববাদী নেতা। সংঘ পরিবারও বিশেষ সংগঠকদের পাঠাচ্ছে সমাজের তৃণমূল স্তরে হাওয়া তোলার জন্য।
জমি আন্দোলনের আবেগ যে একেবারেই নেই তা নয়। তা আছে মুলত চল্লিশোর্ধদের মধ্যে। সে আবেগের এক টুকরো বহিঃপ্রকাশ ঘটল যখন কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে উঠলেন মেধা পাটকর। জমায়েত যে খুব বিশাল ছিল তা নয়, মুখ্যতঃ তার কারণ সিপিএম বা তৃণমূল কেউ-ই সংগঠিত ভাবে জমায়েত করার চেষ্টা করেনি। যাঁরা ছিলেন মঞ্চের সামনে বা আশে পাশে, দিল্লি বা পঞ্জাবের কৃষক নেতাদের বক্তব্যের সময় তাঁদের খুব একটা মনঃসংযোগ ছিল বলেও মনে হয়নি। সম্ভবত ভাসা ও বিষয়ের জন্য। কিন্তু যেই মেধা মক্তব্য রাখতে উঠলেন, আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সবাই এগিয়ে এলেন মঞ্চের সামনে, দাঁড়িয়ে পড়লেন। অনেকেই ব্যস্ত বক্তব্যের ভিডিও করতে। মেধার অর্ধেক বলা স্লোগান বা সম্প্রীতির গানের পংক্তি নিজেরাই সম্পূর্ণ করলেন। হাততালি দিলেন মেধা আন্দোলনের সময়কার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির স্মৃতি তুলে ধরায়। তাঁর জ্বালাময়ী বক্তৃতা, যাতে তিনি সরাসরি শুভেন্দুকে হারানোর ডাক দিলেন, বেশ উজ্জীবিত করে দিল জমায়েতকে। বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর 'খেলা হবে, খেলা হবে' বলতে বলতে ফিরতি পথে রওনা দিলেন বেশ কিছু শ্রোতা।
মেধা পাটকরকে মনে রেখেছে নন্দীগ্রাম। মানে, জমি আন্দোলনকেও মনে রেখেছে।
মনে হল, মেধা যদি আর গোটা দুয়েক সভা করেন, শুভেন্দুর বিপদ ব্যাপক বাড়বে।
শুনলাম, জমি আন্দোলনের আরেক পরিচিত মুখ, প্রাক্তন মাওবাদী নেতা মধুসূদন মণ্ডল ওরফে নারায়ণ ওরফে 'নারাণ-দা' ও প্রচার করছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁর সাথে কথা বলার সুযোগ হয়নি আমার। কিন্তু তিনি যদি সত্যিই প্রচারে নামেন, শিশির-পুত্রের বিপদ খানিক বাড়বে বই কমবে না।
সম্ভবত শুভেন্দুও জানেন জমি আন্দোলন সংক্রান্ত এইসব সেন্টিমেন্টের কথা। তাই জমি আন্দোলন ইস্যুতে মমতা কে বিঁধতে তাঁর অস্ত্র, ওই গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের শাস্তি না হওয়া। প্রসঙ্গত, ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রচার চলছে এ নিয়েও।
শেষ পর্যন্ত জমি আন্দোলনের স্মৃতি, সরকারের নানান গরীবমুখী প্রকল্প ও মুসলিমদের মধ্যে থাকা আতঙ্ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বৈতরণী পার করায়, না শুভেন্দু অধিকারী তাঁর গত ১২ বছর ধরে নন্দীগ্রামের মাটির সাথে সংযোগ রাখা, তৃণমূলে থেকে যাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ফসল তোলেন তা দেখার বাকি। তবে, নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার যে অভিযোগ মমতা সম্প্রতি তুলেছেন, নন্দীগ্রামবাসী তাতে খুব একটা খুশি হননি এটা বলা যায়।
এসব কিছুর বাইরে অন্য যে ইস্যুটা নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে তা হল মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি মহিলাদের দূর্বলতা। 'দিদি মেয়েদের দেখেছে, আমরাও দিদিকেই দেখব', সাফ জানালেন মমতা সামন্ত। নন্দীগ্রাম ১ নং অঞ্চলের বাসিন্দা। এরকমই উত্তর পেলাম আরও কিছু অঞ্চলে অজস্র মহিলার থেকে। তাঁরা কন্যাশ্রী, রুপশ্রী প্রকল্প থেকে শুরু করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, নানা প্রকল্পের মাধ্যমে মমতার আমলে মহিলাদের ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গ তুললেন।
মনে হল, ধর্ম-দল বদল-রাজনৈতিক যোগ বিয়োগের বাইরে কোনও ইস্যু যদি মুখ্যমন্ত্রীকে এই নির্বাচন যেতায় তা হবে এই আপাত অনালোচ্য ইস্যুটিই।
মাটি সম্পৃক্ত ভালো বিশ্লেষণ। বর্তমান আবহাওয়ায় ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে লড়াইয়ে মুসলিমদের নেতৃত্বে না-রাখাই বাঞ্ছনীয়। আমাদের সাত দশকের তথাকথিত সেকুলার-প্রগতিশীল ইমারত অনেকটাই ধরে নেওয়া ছিল। সামান্য ধাক্কাতেই যা টলমলে।
একরামূল শেখ মশায়ের সঙ্গে অনেকটাই একমত।
বেশ ভালো বিশ্লেসন . প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সংখ্যার উপস্থিতি . ঝরঝরে সুন্দর একটি বাংলা প্রতিবেদন . চালিয়ে যা .