
আবার লকডাউন। আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ই মে সকাল ছ’টা থেকে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে, ৩০শে মে অবধি। ইমার্জেন্সি আর এসেনসিয়াল সার্ভিস ব্যতীত সরকারি/ বেসরকারি দপ্তর, স্কুল-কলেজ, শপিং মল, পার্ক ইত্যাদি ইত্যাদি সব বন্ধ। সাধারণের জন্য গণপরিবহন বন্ধ। হাসপাতাল, ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার ইত্যাদি জায়গায় যাওয়া-আসা বা চিকিৎসা সংক্রান্ত দরকারে ছাড়া প্রাইভেট গাড়ি, অটো, ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ। বাজারহাট- মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে শুধু নির্দিষ্ট সময় মেনে। রাত ন’টা থেকে ভোর পাঁচটা অবধি নাইট কারফিউ থাকবে। খুব গোছানো স্পষ্ট চিন্তা। এই প্রশ্নগুলো বিভিন্ন ফোরামে নাগরিক পরিসরে উঠুক।
রাজা রাণী দুই ই উলঙ্গ, ভাবতে খারাপ লাগে। এই তো আমার দেশ, যেখানে মুখ খুললেই শেষ। এই তো মোদের দেশ যেখানে লড়তে লড়তে শেষ।
amit | 203.***.*** | ১৬ মে ২০২১ ০৭:০০106063প্রধান সেবক তো আম খাওয়া ছাড়া অন্য প্রশ্ন করার অবকাশ ই দ্যান না। শুধু মাঙ্কি দের বাত শোনাতেই ব্যস্ত।
অরিন | 118.149.***.*** | ১৬ মে ২০২১ ০৮:০৮106065আপনি যেটা লিখেছেন সেইটাই একেবারে ঠিক। লকডাউন সরকারকে ঘর গুছাতে সময় দেয়। এই সময় হু হু করে কনট্যাকট ট্রেসিং এর ব্যাকলগ কমানো, ভ্যাকসিন দেওয়া, বাবল তৈরী করা, এই সব না করে উঠতে পারলে কোন লাভ নেই। আর এখন মোটামুটি বোঝা যাচ্ছে indiscriminate লক ডাউন করলে হিতে বিপরীত।
dc | 122.174.***.*** | ১৬ মে ২০২১ ০৮:৫৫106066আমাদের দেশে লকডাউনের মানে হয়ে দাড়িয়েছে সবার সব কাজ বন্ধ করে বাড়িতে বসে থাকো। লকডাউনের দরকার যে মেডিকাল ইনফ্রা বানানোর জন্য, সেকথা আর কেউ বলেনা।
শেখর সেনগুপ্ত | 45.25.***.*** | ১৬ মে ২০২১ ০৯:২১106067আজ থেকে আবার লকডাউন শুরু হলো। গত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে লকডাউন নিয়ে যে প্রশ্নগুলো নাগরিকদের মধ্যে উঠে আসছে সেগুলো স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরার জন্য স্বাতীকে ধন্যবাদ।
লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য যদি হয় সরকারকে ঘর গোছাতে সময় দেয়া, তবে নাগরিকদেরও জানার অধিকার আছে যে যে এই ঘর গোছানের সময়ে স্বাস্থ্যপরিষেবা ক্ষেত্রে সরকারের স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাগুলো কী কী। গণপরিবহন বন্ধ রেখে কীভাবে টিকাকরণ, কোভিড নির্ণয়ের পরীক্ষা, ইত্যাদি চলবে, কীভাবেই বা প্রত্যন্ত এলাকা থেকে সংকটাপন্ন রুগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে তার কোনও দিশা লকডাউন সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনামায় নেই। ভোটের আগে যদি "দুয়ারে সরকার" যেতে পারে তবে লকডাউনের সময় অন্তত স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে সেরকম কিছু হবে না কেন? তাছাড়া, সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষজন যারা দিন আনে দিন খায় তাদের কাছে বিনামূল্যে রেশন কীভাবে পৌঁছাবে, চাল, গম ছাড়াও দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার টাকা-পয়সাও তাদের কীভাবে জুটবে তারও কোনও দিশা নেই। ব্যাংক ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবাগুলো চালু থাকবে, কিন্তু সেসব ক্ষেত্রের কর্মীরা কী করে কাজের জায়গায় পৌঁছাবেন তাও অজানা থেকে গেল।
এরকম হুট করে লকডাউন ঘোষণা না করে বরং জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের কর্মীদের প্রস্তাব মতো টেস্ট ও টিকাকরণ বাড়ানো, সংক্রমিত এলাকাগুলোকে মাইক্রোকনটেন্টমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করার পদক্ষেপ নিলে বেশি ফলপ্রসূ হতো বলে মনে হয়।
Anindita Roy Saha | ১৬ মে ২০২১ ১০:৪১106068এতো প্রশ্ন করেন কেন আপনারা? সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা মিষ্টি খান আর দুপুর বারোটা থেকে তিনটের মধ্যে শাড়ী গয়না কিনতে যান।
প্রতিভা | 115.96.***.*** | ১৬ মে ২০২১ ১০:৫৯106069চাই তো অনেককিছুই। চাওয়া উচিতও। তবে আপাতত আর কিছু চাইছি না। লক ডাউনের ঘোষণার পর শুধু দু/তিনটে দিন সময় দেওয়া হোক। ঈদে যারা বাড়ি গেছিল, তারা তো স্বস্থানে ফিরুক। অন্যদের অসুবিধেও একটু কমুক। কাল পরিবহনে রেকর্ড ভিড় ছিল। করোনা ছড়াবে না !
এই ভয়টাই ছিল। লকডাউনের এই স্বল্প নোটিসে জেলায় জেলায় বাড়ি ফেরার জন্য বাসে গাড়িতে তুমুল ভিড় হবে, কতজন যে ফিরতে গিয়ে সংক্রমিত হবেন, তারপর তা ছড়িয়ে পড়বে জেলায় জেলায়, গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে!
কোলকাতা থেকে এভাবে ফিরলেই আইসোলেশন, আর বড় হারে টেস্টিং কি কোনভাবেই সম্ভব নয়! টেস্টিং কেন বাড়ানো হচ্ছেনা? গ্রামের দিকের সেন্টারগুলোতে শুনছি অনেক কম টেস্ট কিট।
এখন তো স্বাস্থ্যকর্মী, আশা দের ঘরে ঘরে ঘুরে জ্বরের সার্ভে খুব বেশি করে দরকার!
পাই: "এই ভয়টাই ছিল। লকডাউনের এই স্বল্প নোটিসে জেলায় জেলায় বাড়ি ফেরার জন্য বাসে গাড়িতে তুমুল ভিড় হবে, কতজন যে ফিরতে গিয়ে সংক্রমিত হবেন, তারপর তা ছড়িয়ে পড়বে জেলায় জেলায়, গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে! "
একেবারে সত্যি কথা |
যে কোন মহামারীতে এইটা হবে | মানুষ হয় পালাতে চান, না হলে লুকোতে চান। লক-ডাউন হলে তো কথাই নেই | যখন ইনফেকশন রেট কম থাকে, শুরুর দিকে এই ধরণের লকডাউনে এক রকম কাজ হয় | কিন্তু এখন, বিশেষ করে যখন জানা আছে যে, কিছু না হলেও ৪৫-৫০% (হয়ত আরো বেশী) Asymptomatic/Presymptomatic মানুষ বদ্ধ (3C: close contact, closed spaces, congestion) আবহাওয়ায় একে অপরকে সংক্রমিত করতে থাকেন, এবং এপিডেমিকটি ওভারডিসপার্সড, এই অবস্থায় অমনিবাস লকডাউন মানুষের পক্ষে বা দেশের পক্ষে খুব উপকারী নাও হতে পারে। ফোনে যে ভদ্রলোক কথা বলছেন তাঁকে দেখুন, মুখে মাসক নেই কিন্তু | এই ধরণের বাস ঘিঞ্জি হওয়াই স্বাভাবিক।
