এই সাইটটি বার পঠিত
অবশেষে এসে পড়েছে গুরুর নিজস্ব ঠেক ও ঠিকানা - ১৫ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার! ফোন/ হোয়াটসঅ্যাপঃ +৯১৯৩৩০৩০৮০৪৩
- হরিদাস পাল আলোচনা রাজনীতি
-
দূরে কোথায় ১০
হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
আলোচনা | রাজনীতি | ০৩ এপ্রিল ২০২২ | ১৯০০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন) - পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩ | পর্ব ৪ | পর্ব ৫ | পর্ব ৬ | পর্ব ৭ | পর্ব ৮ | পর্ব ৯ | পর্ব ১০ | পর্ব ১১ | পর্ব ১২ | পর্ব ১৩ | পর্ব ১৪ | পর্ব ১৫ | পর্ব ১৬ | পর্ব ১৭ | পর্ব ১৮ | পর্ব ১৯ | পর্ব ২০ | পর্ব ২১ | পর্ব ২২ | পর্ব ২৩ | পর্ব ২৪ | পর্ব ২৫ | পর্ব ২৬ | পর্ব ২৭ | পর্ব ২৮ | পর্ব ২৯ | পর্ব ৩০ | পর্ব ৩১ | পর্ব ৩২ | পর্ব ৩৩ | পর্ব ৩৪ | পর্ব ৩৫ | পর্ব ৩৬ | পর্ব ৩৭ | পর্ব ৩৮ | পর্ব ৩৯ | পর্ব ৪০ | পর্ব ৪১ | পর্ব ৪২ | পর্ব ৪৩ছটা একুশে
কাঁটাকলের অর্থনীতি বিভাগে আমার সহপাঠী কিরীটী থাকতো বারাসতে । ছোট জাগুলিয়া গ্রামে তাদের গ্রামের বাড়িতে কেটেছে আমার অনেক স্মরণীয় দিন ও সন্ধ্যে। এই সময়ে বনগাঁ লোকাল নামক একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জনহিতকর চলন্ত পরিষেবার সঙ্গে আমার পরিচয় ঘনীভূত হয়। ছোট জাগুলিয়ার নিকটবর্তী স্টেশন বামনগাছি। মনে আছে কলকাতা এবং বামনগাছির সম্পর্ক নির্ধারিত হতো ট্রেনের সময়সূচী দিয়ে – বাবা আজ সাতটা তেরোয় কলকাতা গেছে, ছটা একুশে ফিরবে। টাইম টেবিলটা বুঝতে সময় লেগেছিল – সাতটা তেরোয় ট্রেনটা বামনগাছি ছাড়ে কিন্তু ছটা একুশের ট্রেন বামনগাছি পৌঁছয় না। সে সময়ে শিয়ালদা থেকে ট্রেনটা ছাড়ে!
যুদ্ধ চলছে কিইভকে ঘিরে। খবর মেলে বার্তালাপ, বৈঠক হবে ইস্তানবুলে : বহু ধনের মালিক রোমান আব্রামোভিচ চেলসি ফুটবল ক্লাব, পোলারিস ইয়ট থেকে সন্ন্যাস নিয়ে শান্তির সন্ধানে চির বিষণ্ণ মুখে আপন জেট বিমানে তেল আভিভ থেকে লভিভ গেছেন। সেখানে আলোচনা হবে, এই যুদ্ধের সমাধান খোঁজা হবে। ইতিমধ্যে কে বা কারা এই শান্তির পারাবতের পানীয়ে বিষ মিশিয়েছেন। শ্রী আব্রামোভিচ অসুস্থ হয়ে পড়লেন।
রাশিয়ানরা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় কিইভ থেকে যাচ্ছেন পূব দিকে – তাঁরা বলছেন পূর্বাঞ্চলের শিল্প প্রধান ডনবাস লুহান্সক ডনেতস্ক প্রদেশ আর কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে ডেরা বাঁধবেন। মস্কো থেকে পরবর্তী নির্দেশের প্রতীক্ষায় ততদিন সৈনিকরা তাঁবুতে বসে গল্প গুজব করবেন।
কিইভের নাগরিকরা যখন টেলিভিশনে এইরূপ স্বস্তি বচন শুনে ভাবছেন এবার হয়তো যুদ্ধ বন্ধ হবে, এমন সময় রাশিয়ান মিসাইল উড়ে এসে টেলিভিশন সহ তাঁদের বারান্দা গুঁড়িয়ে দিলো। আপন প্রাণ বাঁচাবার উদ্দেশ্যে তাঁরা সত্বর ফোকজালনা প্লশকায় কিইভ পাসাঝিরস্কি স্টেশনের দিকে ধাবিত হলেন, এক জামা কাপড়ে।
তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ প্রায় ছশো কিলোমিটার দূরবর্তী আপাত নিরাপদ জনস্থান লভিভ ( হাবসবুরগ লেমবেরগ বা পোলিশ লুবভ )। একবার লভিভ পৌঁছুতে পারলে আরও সত্তর কিলোমিটার দূরে পোলিশ সীমান্ত। সেখানে খাদ্য বস্ত্র হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন অনেক মানুষ। পোল্যান্ড প্রতি মিনিটে একজন করে শরণার্থীকে গ্রহণ করছে, বাসস্থানের ব্যবস্থা সহ।
ইউক্রেনের আয়তন বিশাল – একটা জার্মানি আর ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য সেখানে বসিয়ে দিলেও খানিকটা জায়গা থেকে যায়। কৃষ্ণসাগরের কূলবর্তী মারিউপোল থেকে পশ্চিমে পোলিশ সীমান্ত প্রায় দেড় হাজার কিলো মিটার দূরে।
সাধারণ সময়ে কিইভ থেকে লভিভের ট্রেন ছাড়ে প্রতি দু ঘণ্টা অন্তর, সময় লাগে কম করে পাঁচ বেশি হলে ন ঘণ্টা। ট্রেন চমৎকার, প্রথম শ্রেণিতে ভাড়া লাগে বড়জোর তিন হাজার টাকা, বিজনেস ক্লাস স্টাইলের চেয়ার, পানশালা অবধি আছে। থার্ড কেলাসে দেড় হাজার টাকায় সেই একই গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। কিন্তু এখন সময়টা অন্য রকম : স্টেশনের ইলেকট্রনিক বোর্ডে যে সব ট্রেনের খুঁটিনাটি দেওয়া আছে তাদের মধ্যে কোন গাড়ি কব ছুটেগি কেউ জানেন না। সেই প্রকাণ্ড আলোকিত বোর্ডের নিচে সমবেত হয়েছেন মানুষ যদি কোন ট্রেন পাওয়া যায়, যদি সেখানে স্থান মেলে।
কিইভ থেকে লভিভ যেতে পারেন সকল নাগরিক, কিন্তু সেটা ওই লভিভ পর্যন্ত। সেখান থেকে সীমান্তের দিকে হাঁটবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কেবলমাত্র শিশু, নারী, আঠারো বছরের কম বয়েসি ছেলে মেয়ে এবং ষাট বছরের বেশি বয়স্ক মানুষদের।আঠারো থেকে ষাট বছরের সকল নাগরিক দেশ রক্ষার্থে থেকে যাবেন ইউক্রেনে।
লভিভের ট্রেনে তিলধারণের স্থান নেই। একশো জনের বগিতে তিনশ জন। ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ৫৭ থেকে ৩৭ কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হয়েছে - সাবধানের মার নেই। লভিভ পৌঁছে পরিবারকে বিদায় জানিয়ে ফেরেন পিতা পিতৃব্য জ্যেষ্ঠতাত খুল্লতাত। তাঁরা যাবেন সেই ভগ্ন নগরীতে, কিইভ খারকিভ বা অন্য কোথাও। যতক্ষণে সেখানে পৌঁছুবেন, তাঁদের ঘরবাড়ি, চেনা রাস্তা চেনা মুখ চেনা পাড়া হয়তো হারিয়ে গেছে বোমার বিশাল ক্রেটারে। লভিভের প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে শিশুরা নারীরা বিদায় জানায় তাঁদের - চলন্ত ট্রেনের জানলায় মুখের সারি বিলীন হয়ে যায়। আবার কোনদিন কোথাও দেখা হবে এই আশায় বুক বেঁধে তাঁরা বিদায় জানান আপনজনদের। বাবা কেন সঙ্গে আসে নি, বাবার সঙ্গে আবার কবে দেখা হবে এমন সব কঠিন প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হয় মায়েদের। তাঁদের আপাত চিন্তা শিশুদের খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের। আবার কোনদিন দেখা হবে কোথাও এই আশায় বুক বেঁধে তাঁরা হাঁটেন পোল্যান্ডের। শক্ত সমর্থ বলিষ্ঠ মানুষদের আলাদা করে দেওয়া হয় দুর্বলের দল থেকে।
ইউক্রেনের ট্রেন লাইনের বিস্তৃতি পূব থেকে পশ্চিমে, তাই দক্ষিণে রোমানিয়া বা দক্ষিণ পশ্চিমে স্লোভাক / হাঙ্গেরিয়ান সীমান্তে পৌঁছুতে বাসের ভরসা নিতে হয়।
লভিভ থেকে পোল্যান্ডের করচভা সীমান্ত পঞ্চাশ কিলোমিটারেরও কম। এ পথে কোন নদী বা কোন সেতু পার হতে হয় না। তবু খানিকটা অকারণেই অনেকদিন আগে পড়া জেমস মিচেনারের “ দি ব্রিজেস অ্যাট আন্দাউ “ বইটির কথা মনে পড়ছে। ১৯৫৬ সালে হাঙ্গেরিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদী আন্দোলন হয় এ বই তার একটি অসামান্য দলিল। আমার ইংরিজির দৌড় সীমিত – পড়েছিলাম “ সেতুর ওপারে মুক্তি “ নামক অনুবাদে। আজকের হাঙ্গেরি ও অস্ট্রিয়ার সীমান্ত এলাকায় আন্দাউ একটি ছোট গ্রাম। সেখানে একটি সেতু পার হয়ে সোভিয়েত অত্যাচার থেকে পলাতক অন্তত সাত হাজার হাঙ্গেরিয়ান অস্ট্রিয়াতে আশ্রয় নেন। ইউক্রেন থেকে স্বাধীনতার সন্ধানে পোল্যান্ডে পলায়ন সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।
অক্সফোর্ডের পাশে আপটন গ্রাম থেকে ফিওনা আজকে তাঁর পেল্লায় গাড়ি ভর্তি রাজ্যের দান সামগ্রী দিয়ে গেলেন। কোথাও কোন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন আমাদের বাড়িতে দান সংগ্রহ করা হচ্ছে। বসে দু দণ্ড গল্প করে গেলেন। ব্রিটিশ আর্মিতে বিশ বছর কাজ করেছেন। চল্লিশের বেশি দেশে এমনকি বাসরা, কাবুল কসভোতেও!
চতুর্দিকে জামা কাপড়ের প্যাকেট খোলা বা ছড়ানো। ফিওনা জানতে চাইলেন আমার কোন অসুবিধে হচ্ছে কি না। আমি বললাম মোটেও না! নিতান্ত গুছনো গেরস্থালীতে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। কেন যে দুনিয়ার সকল মাতা ও গৃহিণী বাড়ি গুছিয়ে সময় নষ্ট এবং আমাদের উদব্যস্ত করেন!
অসুবিধে? আমার আর কিসের অসুবিধে?
চোখ বন্ধ করে ভাবি এই রাতের অন্ধকারে ট্রেন ভর্তি বাবা মায়েরা শিশুদের নিয়ে মুক্তির সন্ধানে দীর্ঘ যাত্রায় চলেছেন। লভিভ পৌঁছুলে বাবা ফিরে যাবেন পূব দিকের কোন শহরে গ্রামে যেখানে তাঁদের সুখের সংসার চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে আছে।
ছোট মেয়ে হয়তো বলবে, বাবা কখন আসবে গো? ছটা একুশে?
এপ্রিল ২, ২০২২
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩ | পর্ব ৪ | পর্ব ৫ | পর্ব ৬ | পর্ব ৭ | পর্ব ৮ | পর্ব ৯ | পর্ব ১০ | পর্ব ১১ | পর্ব ১২ | পর্ব ১৩ | পর্ব ১৪ | পর্ব ১৫ | পর্ব ১৬ | পর্ব ১৭ | পর্ব ১৮ | পর্ব ১৯ | পর্ব ২০ | পর্ব ২১ | পর্ব ২২ | পর্ব ২৩ | পর্ব ২৪ | পর্ব ২৫ | পর্ব ২৬ | পর্ব ২৭ | পর্ব ২৮ | পর্ব ২৯ | পর্ব ৩০ | পর্ব ৩১ | পর্ব ৩২ | পর্ব ৩৩ | পর্ব ৩৪ | পর্ব ৩৫ | পর্ব ৩৬ | পর্ব ৩৭ | পর্ব ৩৮ | পর্ব ৩৯ | পর্ব ৪০ | পর্ব ৪১ | পর্ব ৪২ | পর্ব ৪৩ - আরও পড়ুনবৈঠকি আড্ডায় ২২ - হীরেন সিংহরায়আরও পড়ুনবৈঠকি আড্ডায় ২০ - হীরেন সিংহরায়আরও পড়ুনবৈঠকি আড্ডায় ১৯ - হীরেন সিংহরায়আরও পড়ুনবৈঠকি আড্ডায় ১৮ - হীরেন সিংহরায়আরও পড়ুনবৈঠকি আড্ডায় ১৭ - হীরেন সিংহরায়আরও পড়ুনবৈঠকি আড্ডায় ১৬ - হীরেন সিংহরায়আরও পড়ুনবৈঠকি আড্ডায় ১৫ - হীরেন সিংহরায়আরও পড়ুননেক - মোহাম্মদ কাজী মামুনআরও পড়ুনরবি রেখা - PRABIRJIT SARKARআরও পড়ুনঠিকানা - Arnab Duttaআরও পড়ুনহাঙ্গেরি এক - হীরেন সিংহরায়আরও পড়ুনআমেরিকার নির্বাচন! - কিংবদন্তিআরও পড়ুনআমেদাবাদ - পাপাঙ্গুল
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b143:3000:429:590e:7319:***:*** | ০৩ এপ্রিল ২০২২ ০৩:৪১505946- এই খবরটা কি সত্যি? বলেছে ইউরোপ নাকি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বাড়াচ্ছে, আর ভারত কিনবে বললে চোখ রাঙাচ্ছে?
- S | 2405:8100:8000:5ca1::22c:***:*** | ০৩ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৩০505947
- অনেকগুলো আলাদা খবরকে একটু মার্জ করে ভালো সামারী নামিয়েছে।
ইউকের ফরেন সেক্রেটারির সামনেই জয়শংকর বলেছে "I was just reading a report today that said in the month of March Europe has bought 15 percent more Russian oil and gas ..."
রাশিয়া (বোধয় ফরেন মিনিস্টার লেভরভ) রিসেন্টলি বলেছে যে "Russia wants India to take 15 million barrels contracted for this year just to begin with."
শোনা যাচ্ছে রাশিয়া মার্কেট প্রাইসের থেকে ব্যারল প্রতি প্রায় ৩৫ ডলার কম দামে ইন্ডিয়াকে তেল বিক্রি করছে।
- dc | 122.164.***.*** | ০৩ এপ্রিল ২০২২ ০৭:২২505948
- "কিইভের নাগরিকরা যখন টেলিভিশনে এইরূপ স্বস্তি বচন শুনে ভাবছেন এবার হয়তো যুদ্ধ বন্ধ হবে, এমন সময় রাশিয়ান মিসাইল উড়ে এসে টেলিভিশন সহ তাঁদের বারান্দা গুঁড়িয়ে দিলো। আপন প্রাণ বাঁচাবার উদ্দেশ্যে তাঁরা সত্বর ফোকজালনা প্লশকায় কিইভ পাসাঝিরস্কি স্টেশনের দিকে ধাবিত হলেন, এক জামা কাপড়ে।"বেশ কয়েকবার নানা জায়গায় খবরে পড়ছি যে বারবার এরকম হচ্ছে। রাশিয়ানরা বলছে যে সিভিলিয়ানদের জন্য সেফ প্যাসেজ বা এক্সিট করিডোর করে দেবে, কিন্তু তারপর সেখানেই বম্বিং করছে।
-
Debanjan Banerjee | ০৩ এপ্রিল ২০২২ ১৯:১৬505975
- হীরেনবাবু রাশিয়ার বর্তমান যুদ্ধের সঙ্গে আমি ৯০ এর দশকের শেষের দিকের চেচেনিয়া যুদ্ধের অনেক মিল পাচ্ছি l পুতিন সাহেব প্রথমে চেচনিয়া কে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং নিজের একটি পুতুল রমজান কাদিরোভকে তিনি তারপর চেচনিয়ার গদিতে বসিয়ে দিলেন l ২২ বছর পরে সেই চেচেনরা এখন মারিউপোল দখলে তার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার l আমি তো রিপোর্টে দেখলাম মারিউপোলের সবচেয়ে বড় আজভ বাহিনীর ঘাঁটি azovstahler uopor শেষ হামলাতে পুতিন পুরো দায়িত্ত্ব এই চেচেন যোদ্ধাদের হাতে দিয়ে দিয়েছেন l চেচনিয়ার এই অভিজ্ঞতা পুতিন সাহেব প্রথমে কাজে লাগান জর্জিয়াতে ও পরে সিরিয়াতে এবং সর্বশেষে ইউক্রেইন্ l উক্রাইনের যুদ্ধ জিতলে হয়তো রাশিয়া এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে বাল্টিক দেশে , রোমানিয়া মোলদোভা বা পোল্যান্ডে আজ থেকে কয়েক বছর পরেই l উক্রাইনের যুদ্ধ নিয়ে এই আমার বিশ্লেষণ l আপনি কি বলেন ? আপনার চেচনিয়া নিয়ে কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে শেয়ার করলে খুব খুশি হবো l
- guru | 115.187.***.*** | ০৪ এপ্রিল ২০২২ ১১:৫৮505988
- @ডিসি যুদ্ধ এখন খুবই ক্রিটিকাল সময়ে কিন্তু শেষপর্যন্ত জিতবে রাশিয়া | হয়তো ২-৩ মাস লাগবে আরো | এখন এইরকম নিউস অনেক পাবেন | রাশিয়া আসলে ইউক্রেইন্ এর মুল শিল্পাঞ্চল যে ডোনবাস সেটি নিতে চেয়েছিলো তারসঙ্গে মারিউপোল | কিয়েভের উপর আক্রমণ পুরোপুরি একটা ট্যাক্টিক্স যার ফলে জেলেনস্কি বাধ্য হয় কিয়েভের দিকে মুখ ঘোরাতে এবং সেই সুযোগে ডোনবাস এর মধ্যে উক্রাইনের সম্পূর্ণ সৈন্যবাহিনীকে ঘিরে ফেলা সম্ভব |এই লেখাটি পড়ে দেখুন | এই লেখক ভারতের একজন প্রাক্তন কূটনীতিক ও তুখোড় ভূরাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ |
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
-
গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন
কোনোরকম কর্পোরেট ফান্ডিং ছাড়া সম্পূর্ণরূপে জনতার শ্রম ও অর্থে পরিচালিত এই নন-প্রফিট এবং স্বাধীন উদ্যোগটিকে বাঁচিয়ে রাখতে গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন।
- ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
এই সাইটটি
বার পঠিত
- বুলবুলভাজা : সর্বশেষ লেখাগুলি
পরীক্ষার বন্ধু : শুভাশিস পাল(লিখছেন... Madhabi Bijuli, কৌশিক চট্টোপাধ্যায় , guru)
পুজোর ভিড়ে ছনেন্দ্রনাথ : রমিত চট্টোপাধ্যায়(লিখছেন... ., সুবর্ণরেখা, Sukdeb Chatterjee)
হাঙ্গেরি এক : হীরেন সিংহরায়(লিখছেন... মোহাম্মদ কাজী মামুন, হীরেন সিংহরায়, রমিত চট্টোপাধ্যায়)
কাদামাটির হাফলাইফ - ইট পাথরের জীবন : ইমানুল হক(লিখছেন... কৌতুহলী, Eman Bhasha, কৌতূহলী)
বিপ্লবের আগুন - পর্ব ত্রিশ : কিশোর ঘোষাল(লিখছেন... )
- হরিদাস পালেরা : যাঁরা সম্প্রতি লিখেছেন
নেক : মোহাম্মদ কাজী মামুন(লিখছেন... )
আলোক পাঠ - পর্ব দুই : হীরেন সিংহরায়(লিখছেন... শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় , Debanjan Banerjee )
তোমার বাস কোথা যে...- ২৫ : Nirmalya Nag(লিখছেন... )
অর্থনীতির নোবেল, ২০২৪ : Anirban M(লিখছেন... Debanjan Banerjee , যদুবাবু, Debasis Bhattacharya)
ছত্তিশগড়ের গেঁয়ো ব্যাংকঃ স্মৃতির কোলাজ (৩) : Ranjan Roy(লিখছেন... Pad Gaon, Ranjan Roy, হীরেন সিংহরায়)
- টইপত্তর : সর্বশেষ লেখাগুলি
একটি দুর্ঘটনা ও কিছু কথা : দীপ(লিখছেন... )
এবার ঝাড়গ্রামে চিকিৎসকের আত্মহত্যা : দীপ(লিখছেন... )
কবি ও সন্ন্যাসীর দৃষ্টিতে শক্তিতত্ত্ব : দীপ(লিখছেন... )
আমেরিকান নির্বাচন ২০২৪ : X(লিখছেন... X, X, পাপাঙ্গুল)
বেসরকারি পরিষেবার মহিমা! : দীপ(লিখছেন... )
- কি, কেন, ইত্যাদি
- বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
- আমাদের কথা
- আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
- বুলবুলভাজা
- এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
- হরিদাস পালেরা
- এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
- টইপত্তর
- নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
- ভাটিয়া৯
- যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
- টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ : পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত