এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বৈঠকি আড্ডায় আবার ৩৫ 

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৪ বার পঠিত
  • বার্লিন রসিকতা  তিন



    এখনো আমার একটা বাকসো আছে বার্লিনে
    তাই আবার আমাকে যেতে হবে সেইখানে
    আমার স্মৃতি ভরা আছে সেই ছোট বাকসোয়  
    তাই আমাকে আবার  ফিরতে হবে বার্লিনে u

    মারলেনে দিতরিখ , ১৯৫৪

    ড্রেসনার ব্যাঙ্কের সৌজন্যে ভাষার ট্রেনিং শেষে ফিরেছি ফ্রাঙ্কফুর্টের ছোট স্টুডিও ফ্ল্যাটে।   আলাপ হল অন্যান্য দেশ থেকে আসা  শিক্ষার্থীদের সঙ্গে , ইংল্যান্ডের রেডিঙ শহরের ফিওয়ান ও’ডায়ার , গ্লাসগোর জন হেরোন , ইস্তানবুলের এমরে এমনই কতজন। আমরা সবাই এই দুর্বোধ্য ভাষাটি নিয়ে হিমসিম খাচ্ছি , একমাত্র মাক্স ছাড়া , সে অস্ট্রিয়ান । বাকিদের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা অবশ্যই ইংরেজি । কোন ইংরেজি  টি ভি চ্যানেল নেই, এয়ারপোর্টে দু চারটে ইংরেজি খবরের কাগজ পাওয়া যায় অত্যন্ত চড়া দামে;  ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে  ইংরেজি বই প্রায় অমিল। এমন সময়ে  ফিওনা একদিন আমার হাতে একটি বই ধরিয়ে দিল;  বললে জার্মানি আসছি জেনে বাবা ( তিনি বারকলেজ ব্যাঙ্কে কাজ করতেন , পরে আলাপ হয়েছিল) এটি পড়তে বলেছেন । সে নিজেও এ বই শেষ করে উঠতে পারে নি তখনো! আমাকে দিয়ে বলল, যদিও  এটি জার্মান চরিত্রের আয়না  কিন্তু এ বইটির সঙ্গে ফ্রাঙ্কফুর্টের কোন সম্বন্ধ নেই ।  

    নাম গুডবাই টু বার্লিন, লেখক ক্রিস্টোফার ঈশারউড । বার্লিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ আলাপ হল পরের বছর , ড্রেসনার ব্যাঙ্কের কল্যাণে। আমি কোন এক দূর দেশের মানুষ , ক্রমশ ভাষার জড়তা কাটিয়ে, দেশটাকে চিনবার চেষ্টা করে গেছি , কিছুটা কাজে কিছু অকাজে খানিক সময় কাটিয়েছি বার্লিনে । প্রায় পাঁচ দশক কাটল; আজও হয়তো আচ্ছন্ন হয়ে আছি  সেই শহর এবং তার ইতিহাসের  একটা বিচিত্র সময়ের মোহে। নির্দ্বিধায় বলতে পারি টাইম মেশিনে চড়ার সুযোগ পেলে আমি যেতাম  ১৯২০ থেকে ১৯৩২ সালের বার্লিনে । রোদিকা আমার এই স্বপ্ন যাত্রার মূলে কুঠারাঘাত  করে অবশ্য বলেছে ১৯৩৩ সালের ২৯শে জানুয়ারি সেখান থেকে পালানোর টিকেট সেই টাইম মেশিনে পাওয়া যেতো না !

    কুড়ির দশকের বার্লিন ছিল এক  আশ্চর্য সময়: সাহিত্য শিল্পে,  অবক্ষয়ে উন্মাদনায়,  সৃষ্টিতে অট্টহাসিতে , বাঁধনছেঁড়া মুক্তির শেষ স্বর্গ।  বহু বছরের  কঠোর প্রাশিয়ান রাজতন্ত্র , সমাজ ব্যবস্থা  ভেঙ্গে চুরে যাচ্ছে , নতুন দিনের নিয়ম কানুন লেখা হয় নি তখনো । মাটির পুতুল বানানো , ভেঙ্গে আবার গড়ার দিন । মূলত ঈশারউডের গল্পের ওপরে আধারিত লিজা মিনেলি অভিনীত ক্যাবারে  ছবিটি সেই সময়ের বার্লিনের একটি অনন্য চিত্রণ।

    ১৯৩২ সালের পরে সেই স্বর্ণযুগের অবসান হলো বটে কিন্তু রয়ে গেল বার্লিনারের মুখের দুর্বিনীত ভাষা যাকে বলি বারলিনার ভিতস ।
     
    বার্লিন একমাত্র বৃহৎ মেট্রোপোলিস যা  পাসপোর্টের হিসেবে জার্মান কিন্তু একটু খুঁটিয়ে দেখলে  তার মুখের ভাষায় , আচার আচরণে ফ্লেমিশ ফরাসি স্লাভিক চেহারা চোখে পড়ে ;  চল্লিশ বছরের কমিউনিস্ট কালে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে  আরেকটি মাত্রা ।

    এ ভাষায় সন্ধি নেই ।  তবে সমাস,  কারক,  বিভক্তি সহ শুদ্ধ জার্মান (  লাউট রাইনেস ডয়েচ) থেকে বার্লিনের ভাষা অনেক দূরে হাঁটে । হালে একটি স্ট্যান্ড আপ কমেডি শোতে সেই হানোভারের বাচনকে  অক্সফোর্ড জার্মান বলে ব্যঙ্গ করতে দেখলাম । মুশকিল এই  স্বতঃস্ফূর্ত বার্লিন কৌতুক  মূলত ভাষা ও উচ্চারণ ভিত্তিক।  তার যথার্থ অনুবাদ আমার সাধ্যের অতীত।

    তবু তারই কিছু , আমার অক্ষম প্রয়াসে ..



    মারলেনে দিতরিখ - ইখ হাবে আইনেন কফার ইন বেরলিন 
     
     
    মাতা পুত্র সংবাদ

     
    • মা, দশটা পয়সা দেবে ? গলিতে একজন গরিব লোক দাঁড়িয়ে আছে।  
    • এই নাও বাবা।   তা সে লোকটা গলিতে দাঁড়িয়ে করছেটা  কি ?
    • আইসক্রিম বেচছে ।

    ****
    • এবারহারড , বাবা স্নানটা সেরে নাও তাহলে কাল তোমাকে ভানজে নিয়ে যাবো।  সাঁতার কাটবে
    • কাল যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আমার স্নানটা কোন কাজে লাগবে ?
    •  

    চিড়িয়াখানায়

    মা                    তুমি পোলার বেয়ার দেখতে যাবে না।  তোমার ঠাণ্ডা লেগেছে ।

    এবারহারড        কেন আমাকে ইংরেজি শিখতে হবে ?

    মা                     এবারহারড, পৃথিবীর  অর্ধেক মানুষ ইংরেজি জানে।

    এবারহারড        সেটা যথেষ্ট নয় ?

    ****

    মা                    এবারহারড, আজ স্কুলে কি শিখলে?

    এবারহারড        বিশেষ কিছু না । তবে বলেছে কাল আবার সেখানে যেতে হবে।

    *****
    মা                    এবারহারড, হাই তোলার সময়ে হাত দিয়ে মুখটা ঢেকে রাখবে ।

    এবারহারড        কেন? আমার তো সবগুলো দাঁত আছে ?

    *****

    গরমের দিনে পার্কের ফোয়ারাতে দুটি শিশু জামা কাপড় খুলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে

    ছেলেটি                        তুই কি প্রটেস্টান্ট ?
    মেয়েটি                         না, ক্যাথলিক।  তবে তফাতটা যে এতো বড়ো তা  জানতাম না ।

    ****

    দোকান বাজারে


     
    কা ডে ভে ( Kaufhaus des Westens) - বার্লিন শোনেবের্গ

    কা ডে ভে – বার্লিনের বৃহত্তম ডিপার্টমেনটাল স্টোর , সেখানে সবই পাওয়া যায় ।
     
    • আপনার কি  বাঁদর দেখান ?
    • হ্যাঁ, তবে  এখন একটু ব্যস্ত আছি ।

    ****

    প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পরে বার্লিনের জনসংখ্যা বেড়েছে দ্রুত ।

    ভিড় ভর্তি ট্রাম, কোনমতে দাঁড়ানোর জায়গা আছে । এক ভদ্রমহিলা উঠলেন,  কেউ জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে না । এক যুবক অসম্ভব মনোযোগ দিয়ে খবরের কাগজ পড়ছে । ভদ্রমহিলা তাঁর হাতের ছাতা সেই যুবকের কাঁধে ঠেকিয়ে বললেন
     
    • আমি কি আপনাকে আমার দাঁড়ানোর জায়গাটা দিতে পারি ?

    ***
     
     
     

     
    বার্লিন ১৯১০
     
     
    মাতালকে পাদ্রি
     
    • জানো না অ্যালকোহল মানুষের শত্রু ?
    • জানি।কিন্তু  বাইবেল বলেছে  যে শত্রুকে ভালোবাসো?  

    **
    মাতালকে বাড়ির পাহারাদার
     
    • এতক্ষণ ধরে এখানে কেন ? দাঁড়াতেও তো পারো না।  কি খুঁজছ ? কিছু হারিয়েছ ?
    • হ্যাঁ , আমার ব্যাল্যান্স ।

    ***
     
     

     
    বার্লিন ক্যাবারের পথ নাটিকা - কাটাকমবে ১৯৩২ 
     
    নাৎসি আমল

    ইনকাম ট্যাক্স অফিসে ইহুদি দোকানদার
     
    • যত পারেন ট্যাক্স আদায় করে নিন । থার্ড রাইখ এলে কিছুই পাবেন না ।
    • ইহুদি , ঠিক শুনছি ? তোমার মুখে নাৎসি বুলি  ? থার্ড রাইখ ? কেন, তখন কি হবে ?
    • আপনার অফিসের বাইরে লেখা থাকবে  “ইহুদির প্রবেশ নিষেধ “।

    ****

    আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলাতে নিয়ে যাচ্ছে ফাঁসুড়ে এবং এবং পাশে হাঁটছেন পাদ্রি । তুমুল বৃষ্টি । পাদ্রি ফাঁসির আসামিকে
     
    • আপনার ভাগ্য ভালো। আমাকে আবার এই সারাটা পথ বৃষ্টিতে ভিজে ফিরতে হবে ।

    ****
    টেলিফোন
     
    • আপনি কি ব্রাউন ?
    • না, আমার নাম শ্মিড।  
    • দুঃখিত, ভুল ডায়াল করেছি।  
    • আপনি একা নন।

    ***
    হিমলারের স্লোগান

    ফুয়েরার  আদেশ দেন আমরা শিরোধার্য করি ।

    বারলিনার ভার্শন

    ফুয়েরার  আদেশ দেন , আমরা শিরটি হারাই ।

    ***

    হিটলার এবং পোপের সমঝোতা ( কনকরডাট  )  চুক্তি হয়ে গেছে ।

    বার্লিনার  বললে -তার মানে কি জানো ? ক্যাথলিক গিরজেয় সকালে প্রার্থনা,  সন্ধ্যেয় প্রার্থনা , রবিবার দুপুরে কৌটোয়  নাৎসিদের জন্য চাঁদা তোলা শুরু ।

    ***
    -আমি কি খুব তাড়াতাড়ি কথা বলছি ? আপনি আমার সঙ্গে আছেন ?  না , আমি আপনার সঙ্গে থাকব?

    ****

    দরজি সুটের মাপ নিচ্ছে ।
     
    • ডান হাতটা নামিয়ে রেখেছেন কেন? একটু উঁচু করলে মাপ নেওয়ার সুবিধে হয় ।
    • আমি কোন রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে অনিচ্ছুক।

    ***

    হিটলার বলেছিলেন হাজার বছরের নাৎসি শাসন হাজার বছর স্থায়ী হবে । জার্মান আত্মসমর্পণের পরে বার্লিনার বললে
     
    • দ্যাখ , কি তাড়াতাড়ি এক হাজার বছর কেটে গেল !

    ****
    • বইটা কি এখানেই শেষ , হঠাৎ ?
     
    • হ্যাঁ ।
     
    • কারণ ?
     
    • কাগজ পাওয়া যাচ্ছে না ।

    *****

    অন্যান্য

     সিনেমা হলে এক ঢ্যাঙ্গা  লোকের পেছনে বসা মহিলা
     
    • আপনার ভাগ্য ভালো আপনি নিজের পেছনে বসেন নি

    ******

    **
    লোকে লোকারণ্য , তুমুল উত্তেজনা । সেই ভিড়ে সদ্য সামিল হওয়া এক জন প্রশ্ন করলেন
     
    • এখানে  কি হয়েছে ? কি ঘটেছে ? এত ভিড় কেন ?
    • আমি জানি না । যে জানত সে লোকটা ঘণ্টা খানেক আগেই কোথাও চলে গেছে।
    ***

    কমলা লেবু, কমলা লেবু ! এত নরম যে আপনার দাঁত গেলাসেই রাখতে পারেন।

    ***
    পোস্ট ম্যানকে নববর্ষের শুভেচ্ছা

     
    • আসুন, আমার স্বাস্থ্যের মঙ্গল কামনায়  এক গ্লাস পান করুন ।
    • মাত্র এক গেলাস ?
    • আপনার আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো মনে হচ্ছে না।

     

    ****
    ডাক্তারখানায়

     
    • কে ব্যান্ডেজ চাইছিলেন ?
    • তিনি চলে গেলেন, তাঁর  কাটা জায়গাটা শুকিয়ে গেছে ।

    ****
     
    • বাবা, কারপাথিয়া কোথায় ?
    • মাকে জিজ্ঞেস করো । সব সময় ঝাড়ু দিচ্ছে।  

    ****
    • টেক্সাস গেছেন  কখনো ?
    • না।
    • তাহলে হুগো ব্রসেলমানকে চিনবেন । সেও কখনো টেক্সাস যায় নি।

    *****
    • আমার দিকে ঠায় তাকিয়ে আছেন কেন ?
     
    • আমি? আপনার দিকে ? নয় কোলনে আপনার মতন চেহারা আমাদের মিউজিয়ামে রাখা আছে।


    **
    • এই যে , রোজেনেক কি ভাবে যাবো ?
    • একটু ভদ্রভাবে জিজ্ঞেস করতে পারেন না ?
    • আপনার জবাবের দরকার নেই । খুঁজে যাব ।


    **
     
     

     
    সম্রাট    কিছু মনে করবেন না। 
    বিশপ     আপনিও 
     
     
     
    দুটি ছেলে মারামারি করছে

    শিক্ষক             কে আরম্ভ করেছে ?
    ছাত্র                পাউলে । ঐ পালটা চড় মেরেছে ।

    ****
     
    • মেট্রো কি ফ্রিদরিখস্ত্রাসের ওপর দিয়ে যায় ?
    • না, মাটির নিচ দিয়ে ।

    ***

    চেলো কাঁধে একজন ভিড় ভর্তি বাসে ওঠার চেষ্টা করছে । দোতলার জানলা থেকে এক মহিলা  
     
    • বাবা মা যদি বেহালা শেখাত,  আজ বাসে উঠতে পারতেন।

    ***
     
    • ভুল করে প্রায় আপনার চশমার ওপরে বসে পড়েছিলাম।  
    • ক্ষতি নেই , আমার চশমা অনেক কিছু দেখেছে ।

    *** 
    তিতিবিরক্ত হয়ে হাইন্তস জানলা থেকে লাফ দেবার উপক্রম করছে । বউ বললে
     
    • লাফ দেবার সময়ে জঞ্জালের থলেটা সঙ্গে নেবে ?

    ****
    • আমায় বিয়ে করবে ?
     
    • না, কিন্তু তোমার পছন্দের তারিফ করব।

    *****
    • এবার ছুটিতে কোথায় যাচ্ছ ?
    • সেটা কি আমার হাতে ? বউ ঠিক করে কোনদিকে যাবো, বস ঠিক করে কবে যাবো , আমার ব্যাঙ্ক ঠিক করে কতদূরে যাবো ।
    •  
    ****
    শাশুড়ির আগমন ।
     
    • কতদিন থাকবেন ?
    • যতদিন না তোমাদের অসহ্য মনে হয়।
    • এতো তাড়াতাড়ি  চলে যাবেন ?


    ****
    এক মহিলা অপরকে
     
    • গাবি, গতকাল হাইন্তস আমার সামনে হাঁটু গেড়েছিল।  
    • কতবার বলেছি তোর করিডোরের মেঝেটা ভারি পিছল ।

    ****
    গাড়ির মেকানিক
     
    • যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে আপনার সমস্যাটা বড়ো ।
    • কেন? নতুন ব্যাটারি লাগাচ্ছি  তো।  
    • না, মানে ঐ নতুন ব্যাটারির জন্য একটা নতুন গাড়ি দরকার।

    ***

    পুলিশ             স্পিড লিমিটের সাইনটা চোখে পড়ে নি আপনার ?  
    ড্রাইভার           এই  স্পিডে তার ওপরে লক্ষ রাখা যায় নাকি ?  

    *****
    ক্রাচ নিয়ে হাঁটছে হাইন্তস

    পেটার               কি করে ?
    হাইন্তস             গাড়ির অ্যাকসিডেন্ট।  
    পেটার               ব্যথা খুব বেশি ? ক্রাচ ছাড়া হাঁটতে পারো না ?
    হাইন্তস             ডাক্তার বলেছে পারি । উকিল বারণ করছে।

    ****
    অ্যাকাউনটস ডিপার্টমেন্টে নতুন নিযুক্তি

    -দেওয়ালে হাত কড়া ঝোলানো আছে কেন ?
    -এই সিটে বসে আপনার আগের জনের কি ঘটেছিল মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ।

    ****
    নতুন বস          আপনি নির্ঘাত প্রডিজি ছিলেন।
    হাইন্তস             কেন তা মনে করেন ?
    বস                 যতটুকু জানেন সেটা ছ বছর বয়েসেই শিখে ফেলেছেন । তারপর আর
                         কিছুই শেখেন নি।  

    ****
    • আপনার অফিসের  সবাই খুব সময়মত  আসে দেখি ।
    • আমার একটা সহজ ট্রিক  আছে যে ।
    • সেটা কি বলবেন ?
    • আমার তিরিশ জন কর্মচারী, কুড়িটা পারকিং স্লট।  
    •  
    *****
    • ক্যাশিয়ার কোথায় ?
     
    • রেসের মাঠে ।
     
    • সে কি ? কাজের সময়ে রেসের মাঠে ?
     
    • সে বলেছে অফিসের হিসেবের খাতা মেলানোর একমাত্র উপায় রেস খেলা।


    ****
    • কাল পঞ্চাশ মিটার পাইপ পেতে ফেলেছি।  
     
    • ভেবো না , আমরা ঠিক খুঁজে বের করব।  

    ****
    ইতিহাসের ক্লাস
     
    • ১৪৮৩ সালে কি হয়েছিল?
    • মারটিন লুথারের জন্ম ।
    • বেশ । ১৪৯২ সালে কি হয়েছিল?
    • মারটিন  লুথারের ৯ বছর বয়েস।

    ****
    • প্রাচীন কালের রোমানদের সম্বন্ধে কি জানো ?
     
    • তাদের কেউ বেঁচে নেই।

    ****
    থিয়েটার কাউনটার
     
    • দুটো টিকিট দেবেন?
    • ত্রিস্তান উনড ইসোলডের জন্যে ?
    • না, আমার ও  বউয়ের জন্যে।

    *****
    গাড়ি থামিয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসা
     
    • আমার হাতের থলিটায়  ভালো করে ফুঁ দেবেন?
    • আমি কোন ড্রিংক করি নি । ফুঁ দেবো কেন ?
    • আমার থলের ভেতরে আলুভাজাটা বেজায় গরম বলে।

    ****
    ট্যাক্সি আরোহী
     
    • আমাকে শিগগির টেমপেলহোফ এয়ারপোর্ট নিয়ে চলুন  দশটা দশের নিউ ইয়র্ক যাবার প্লেন ধরতে হবে 
    •  
    নিজের ঘড়ি দেখে ট্যাক্সি ড্রাইভার
    • সে প্লেন আজ আর ধরতে পারবেন না।
           *   পারবো । আমি সে প্লেনের  পাইলট।

    ****
    পাড়ার মুদি
     
    • হাইনরিখ , আমার খাতায় আপনার ছটা বিয়ার বাকি আছে ।
    • কেটে দিন। ও বিয়ার আমি আর খাব না।


    ****

    পাবে
     
    • হাইন্তস, দ্যাখ ঐ লোকটা তোর ছাতা নিয়ে চলে যাচ্ছে।  
    • চুপ, কিছু বলিস নি। নিজেরটা চিনতে পেরেছে।

    ***
     
    • বউকে নিয়ে পারা যায় না , পাড়ার সব পাবে সর্বদা ঘোরাঘুরি করছে ।
    • কেন, খুব বেশি বিয়ার খায় বুঝি ?
    • না, আমাকে খোঁজে।
    •  
    • ***
    রেস্তোরাঁয়
     
    • আমাদের কি এবার খাবার  দামটা মেটাতে  হবে না ?
    • অবশ্যই  না।  কিন্তু ঐ মুটকো ওয়েটারটা নজর রাখাছে যে ।

    *****
    • এবারে প্লেটে খাবারের পরিমাণটা আগের থেকে কম মনে হচ্ছে ।
    • আপনার চোখের ভুল , অপটিকাল ইলিউশন । আমাদের রেস্তোরাঁর সাইজটা বাড়ানো হয়েছে।


    *****
    • বেঁচে আছো ? কে যেন বললে মারা গেছো ।
    • সে জানলে কি করে ? আমাকে গোর দিতে তো আসে নি।


    ****

    সাইকেল থেকে একজন পড়ে গেছে ।  পথ চলতি এক ভদ্রমহিলা  সহানুভূতি জানিয়ে বললেন  
     
    • আপনি কি পড়ে গেছেন?
    • না, আমি এইভাবেই সাইকেলে উঠি।
     
     
     

     
     বারলিনের বাজার । 
     
    পূর্ব বার্লিন

     
    • রাশিয়ানদের আমরা এতো ভালোবাসি কেন?
    • তারা আমাদের হিটলার ও  নাৎসি অত্যাচার থেকে মুক্ত করেছে বলে।  
    • আমরা আমেরিকানদের ঘৃণা করি কেন?
    • তারা রাশিয়ানদের কবল থেকে আমাদের মুক্ত করে নি বলে।  

    *****
    • রাশিয়ানরা দশ লক্ষ জুতো পাঠিয়েছে।  
     
    • তাহলে দোকানে জুতো পাওয়া যাবে ?
     
    • না, এ জুতো বিক্রির  নয়, দশ লক্ষ জুতোর সোল লাগাতে হবে ।  

    ****
    • কমরেড আগামী বছর দুধের উৎপাদন দশ পার সেন্ট বাড়াতে পারেন ?
    • পারি।  
    • কুড়ি পার সেন্ট ?
    • তাও পারি,  তবে দুধটা খুব পাতলা হয়ে যাবে ।

    *****
    • ১২ নম্বর সাইজের জুতো আছে ?
    • না।
    • ৮ নম্বর , আমার ছেলের সাইজ ?
    • না, তাও নেই।  
    • তাহলে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে  পিতা পুত্রকে  খালি পায়ে লড়তে হবে ।

    ****
    - জার্মানির ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ফিল্ড মার্শাল কে ?
    - উলব্রিখট । তিনি কুড়ি লক্ষ মানুষকে ভাগিয়ে দিয়েছেন,  , এক কোটি
               সত্তর লক্ষকে বন্দি করেছেন।

    *****
    • মতামত বিনিময় কাকে বলে ?
    • যখন আমি একটা  মত নিয়ে পার্টি অফিসে যাই এবং অন্য মত মাথার ভেতরে ভরে ফিরে আসি ।

    ****

    আলেকসান্দার প্লাতস । ঘড়ির দোকানের সামনে বিশাল লাইন

    পথচারী এক     এতো লম্বা লাইন কিসের ?
    পথচারী  দুই      রাশিয়া থেকে একটা ঘড়ির কনসাইনমেনট এসেছে।  
    পথচারী এক     তাহলে দাঁড়িয়ে পড়ি । আমার ঘড়িটাও এর মধ্যে থাকতে পারে।
     
    ****
    • একজন বিদেশি আমার ঘড়ি চুরি করেছে
    • কোন বিদেশি ? কোনো  আমেরিকান?  
    • না।
    • ফরাসি ?
    • না, মনে হয় কোন ফিনিশ।  
    • এখানে ফিনল্যান্ডের কোন লোক নেই ,আপনি কি মনে করেন কোন রাশিয়ান ?
    • সে কথাটা আপনি বললেন।


    ****
    • রাশিয়ানরা আমাদের ভাই না বন্ধু ?
    • ভাই , তাকে বেছে নেওয়া যায় না। বন্ধু আমরা নিজেরা খুঁজে নিতে পারতাম।

    ****
    এ বছরে আবার রাজনৈতিক কৌতুক প্রতিযোগিতা

    প্রথম পুরস্কার – সাইবেরিয়াতে দশ বছরের ছুটি

    *****

    শিক্ষক             পৃথিবীর প্রথম মানুষ কে ?
    ফ্রিতস             আমাদের প্রিয় স্টালিন।  
    শিক্ষক             না, না, সেটা ঠিক নয় । প্রথম মানুষ ছিলেম আদাম।  
    ফ্রিতস             হ্যাঁ, আপনি যদি পুঁজিবাদীদেরও যদি যোগ করেন

    ****
        • আগে কোনটা ? ডিম না হাঁস
        • আগে দুটোই পাওয়া যেতো ।

    ****
     
    • আমার সবচেয়ে ভালো সময় কেটেছে পার্টির ট্রেনিং সন্ধ্যা গুলিতে।
    • বাজে কথা তুই কখনো পার্টিতে ছিলিস না , ট্রেনিঙে কোনদিন যাস নি।
    • আমার বউ যেতো ।

    ****
    সমবায়িকায় জুতো বিক্রেতা
     
    • এ জুতো জোড়া কিনতে পারেন,।এর গ্যারান্টি আছে ।
    • কিসের?চামড়ার গ্যারান্টি  ?
    • না, এটা যে জুতো,  তার ।
    •  
    ****
    • পূর্ব বার্লিনে ব্যাঙ্ক ডাকাতি হয় না কেন ?
     
    • পালানোর  গাড়ি পেতে   ১৫ বছর অপেক্ষা করতে হয় বলে।  

    ****
    • আপনার কারখানায় কতজন কাজ করেন
    • পনেরো ,  কুড়ি  পারসেনট ।


    *****
    মেকানিক শপ  

    -স্ক্রু আছে ?
    -না।  
    -স্ক্রু ড্রাইভার ?
    -না।
    -তাহলে করেন কি ?
    -সারাদিন খোলা রাখি ।
    -কিছু যখন নেই সারাদিন খোলা রাখেন কেন?
    -তালা নেই।  

    ***

    ইন্টারফ্লুগ ফ্লাইট বার্লিন- মস্কো

    পাইলট             আপনাদের বেল্ট টাইট করে বাঁধুন

    একজন রাশিয়ান লাফিয়ে উঠলেন
     
      • অ্যানটি সোভিয়েত প্রোপাগান্ডা বন্ধ করুন, এক্ষুনি

    ****
    • নতুন গাড়ি পেতে কদিন লাগে
    • চার দিন , একদিন রেজিস্ট্রি , তিন দিন তিন বছরের  পার্টি কনফারেন্স।  

    ****
    প্রশ্ন       আদম ও ইভ কোন দেশের লোক?
    উত্তর    রাশিয়ান।  
    প্রশ্ন       কি করে  জানলেন ?
    উত্তর    তাদের জামা কাপড় ছিল না, থাকার ঘর ছিল না কিন্তু ভাবতো তারা
    স্বর্গরাজ্যে বাস করছে।

    ***

     
    • সবেতেই হ্যাঁ বলেন কেন ? আপনার নিজস্ব মতামত নেই?
    • আছে কিন্তু আমি সব সময় তার  বিরুদ্ধে লড়াই করি।  


    ****

    মহিলা             তোমার কাঁধে ওটা কি বাবা  ? বন্দুক ?
    যুবক                না, ওটা স্পোর্ট ট্রেনিঙের আইটেম।
    মহিলা              আচ্ছা , তাহলে তুমি নিশ্চয় জানবে  আফগানিস্তানে অলিম্পিক কবে শেষ হচ্ছে? আমার ছেলেটা সেখানে গেছে।

    ***
     
    • যে যার খুশি  অফিসেআসে। একত্রে কাজ শুরু করার ডিসিপ্লিন কি করে চালু করা যায় ?
    • সবশেষে যে আসবে সে যদি  একটা ঘণ্টা বাজায় ।


    পুঃ

    ভানজে ( Wannsee ) – দক্ষিণ পশ্চিম বার্লিনের বিশাল লেক

    ক্রিস্টোফার ঈশারউড – ব্রিটেনের চেশায়ারের অভিজাত পরিবারে জন্ম, রেপটন স্কুল, করপাস ক্রিস্টি ,
    কেমব্রিজ , কবি উইলিয়াম অডেন, স্টিভেন  স্পেনডারের সমসাময়িক , বন্ধু – ১৯২৯ থেকে ১৯৩২ বার্লিন বাস, যখন সে  শহর নিত্যি দিন উথাল পাথাল । ব্রিটিশ ক্যাবারে আর্টিস্ট জিন রসের সঙ্গে আলাপ; জিন রস হলেন গুডবাই টু বার্লিনের স্যালি বোলস এবং লিজা মিনেলি !

    কা ডে ভে ( Kaufhaus des Westens) - বার্লিন শোনেবের্গ , এর দরোজা খোলে ১৯০৭ সালে ,
    কাইজার ভিলহেলমের আমলে । দুটো বিশ্বযুদ্ধ পেরিয়ে তার গরিমা আজও অক্ষুণ্ণ, হ্যারডসের পরেই ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিপার্টমেণ্ট স্টোর ।

    কনকরডাট (Concordat ) ১৯৩৩ সালে ভ্যাটিকান ও নাৎসি জার্মানির চুক্তি যার বলে হিটলার
    ক্যাথলিক চার্চের স্বাধীনতা গ্যারান্টি করেন ( যদিও অজস্র উল্লঙ্ঘন হয়েছে। অপর  দিকে ভ্যাটিকান নাৎসি রেজিমের বিষয়ে মোটামুটি নীরব থাকেন।

    উলব্রিখট                      ওয়াল্টার উলব্রিখট , ভাইমার রিপাবলিকের সময়ে জার্মানিতে ইউরোপের বৃহত্তম কমিউনিস্ট পার্টি গড়ার অন্যতম কারিগর,  ১৯৫০ থেকে ১৯৭৩ কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানির কর্ণধার ।

    ত্রিস্তান উনড  ইসোলডে  মধ্যযুগের সেলটিক রোমান্টিক গাথা , পরে রিচারড ভাগনারের তিন অঙ্কের মিউজিকাল, যাকে পশ্চিম ইউরোপের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্লাসিকাল কম্পোজিশন বলে মানা হয় । ১৯৬৪  সালে  তাঁর “আত্মপ্রকাশের “ বছরে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সোনালি দুঃখ নামে যে নভেলেট লেখেন ,  সেটি ত্রিস্তান ইসলডের ব্যালাডের ওপরে আধারিত।

    কৌতূহলী পাঠকের জন্য

    Christopher Isherwood                               Goodbye to Berlin
                                                                       Mr Norris Changes Trains

    Laß dir nucht verblüffen                            Luise Lemke

    Der Berliner Witz                                       Roswitha Schieb

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন