এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বৈঠকি আড্ডায় ২ 

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৯৫৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  •   

    দারু পানি 

    জীবনে একটা বিশ্বাস রক্ষা করা আমাদের সকলের কর্তব্য। আমি বিশ্বাস করি এখুনি এক পাত্তর পান করবো।


    দেওয়ালে লিখিত সুসমাচার *

     
    • বাড়ি যেতে হবে, উঠলাম রালফ ।
    • মাথিয়াস, গাড়িটা রেখে যাও।  ট্যাক্সি ডেকে দিচ্ছি।
    • তিন মিনিটের ড্রাইভ,  এখন  মাঝ রাত।  পুলিশ ঘুমুচ্ছে।  
    • মাথিয়াস তিন ঘণ্টা বসেছো আমার পাবে । ঝুঁকি নিও না, তোমার পরশে গাড়ির রাতভোর তদারকের ভার আমার।  ট্যাক্সি ডাকছি , নইলে হেঁটে যাও।
    • রালফ , যেতে  দাও , পরশু সন্ধ্যেয় দেখা হবে।  
    •  
    করডুলা,  বিওরন,  সিলভিয়া এমনি কজনকে নিয়ে  শুক্র শনিবার আমাদের এক  আড্ডা বসতো মাইন্তসের পুরনো শহরের ( ( আলট স্টাড)  ক্লিঙ্গেলবয়টেল পাবে।   সেখানেই মাথিয়াসের সঙ্গে পরিচয় । সে আমাদের  এক গেলাসের ইয়ার নয় , তবে দুটো কথা হতো,  ছোটো জার্মান পাবে যেমনটা হয়ে থাকে । বিশদ পরিচয়  জানার অপেক্ষা কেউ রাখে না , অনায়াসে সম্পূর্ণ অচেনা মানুষ তুমি ( দু ) বলে সম্বোধন করে,  দিব্যি গপ্প শুরু হয়ে যায় । পাবে এলে একে অপরের খোঁজ কবর নেয়।

    দু তিন মাস  অন্তর  মাথিয়াসের বান্ধবী বদল হতে দেখতাম -  আমাদের সকলের কৌতূহল ছিল পরের মাসে তার বগলে কোন  বালিকার আবির্ভাব হবে এবং পাবের কেতা অনুযায়ী মাথিয়াস তাকে সকলের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেবে,  প্রায় সকলের দিকে উদ্দেশ্য করে বলবে , বন্ধুগণ এই আমার বান্ধবী , সুজানে।

    মাইন্তসের পুরনো শহর আকারে ক্ষুদ্র কিন্তু পাবের সংখ্যা অগুনতি। ফ্রাঙ্কফুর্টে শুক্রবার  চারটেয় ব্যাঙ্কের ছুটি-  বোকেনহাইমার লান্দস্ত্রাসে থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশন দশ মিনিট। তারপর এস বান ধরে সিধে মাইন্তস , পঁচিশ মিনিট ;  গ্রোসে ব্লাইখে ধরে আলট স্টাড পাঁচ মিনিটের হাঁটা। করডুলার উচ্চশিক্ষা চলছে, মাইন্তসের হস্টেলে থাকে । বিওরন সিলভিয়া হান্স শহরের  বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত ।

    কলকাতা ছাড়ার আগে  জিনের সঙ্গে হুইস্কির তফাৎ চিনেছি , চিত্তরঞ্জন এভিনিউর নিউ সেন্ট্রাল হোটেলে  এশিয়া ৭২ বা গুরু বিয়ারের বোতলকে জলের গ্লাসের ভেতরে উলটো করে ধরে সাদা গ্লিসারিন নামিয়ে তাকে হালকা করে নিয়ে পান করতে শিখেছি। সবই আমাদের কাছে মদ , চোখে দেখিনি , শুনেছি শ ওয়ালেস কোম্পানি গোলকুণ্ডা নামে সে রকম কোন পানীয় প্রস্তুত করতো ।  তখন কি জানি তিরিশ বছর বাদে তার চাষ করবো ।

    ষ্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ফ্রাঙ্কফুর্টের পিছনের গলিতে অধিষ্ঠিত ওঙ্কেল মাক্স ( মাক্স চাচা , এখনও টিকে আছে)   নামক প্রতিষ্ঠানটি আমার পানের প্রথম পাঠশালা , শিক্ষা গুরু আমার বস এবং বন্ধু অরটউইন।আহা , সে কি দিন ছিল , ভারতীয় আট টাকায় আধ লিটার বিয়ার পাওয়া যেতো । ক্রিস্টিনে নাম্নী এক মধ্যবয়স্কা  দীর্ঘকায়া ব্লনড মহিলা পরিসেবিকা সেই পাত্র বা ক্রুগটি খালি হবার সুযোগ দিতো না – তুরন্ত আরেক পাত্তর হাজির। মিট , আলফ্রেড , শ্রীধর আমরা সকলেই  সরকারি পরিবহনের মাসিক সওয়ারি সে টিকিটের দাম আমাদের তৎকালীন টাকায় দুশ ।কেবল অরটউইন থাকতো একটু দূরের গ্রামে , অর্ধেক পথ ট্রেনে  বাদ হোমবুরগ পর্যন্ত ; সেখানে পার্ক করা গাড়িতে উঠে দশ কিমি দূরে নয় আনসপাখে  তার  আস্তানা । সে প্রথম আমাদের বোঝায় গাড়ি চালানোর অধিকার কেবলমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্সের (  জার্মানিতে ওই কাগজটি সদা সর্বদা সঙ্গে রাখতে হয় ) ওপরে নির্ভর করে না, চালকের আসনে বসার সময়ে তোমার  রক্তের প্রতি লিটারে কতটা অ্যালকোহল মিশে আছে তার সঙ্গেও – এক গ্রামের আট শতাংশ তখন  ছিল সেই সীমা । আমার অতীব দুর্ভাগ্য বশত জার্মানি আসার চার বছর আগে সরকার সেটিকে প্রায় অর্ধেক করে দেন (১.৫% থেকে ০.৮%) ।  রক্তের ওপরে কোন পানীয়ের প্রভাব কতটা , ঠিক কখন আমরা একটা আলোকে দুটো দেখতে আরম্ভ করি তা নিয়ে বিদগ্ধ মহলে বিতর্ক আছে । তবে আমাদের মতো অর্বাচীনদের বোঝানোর জন্যে অরটউইন বলেছিল   সোজা অঙ্ক – জার্মান বিয়ারের অ্যালকহলিক কন্টেন্ট চার বা পাঁচ শতাংশ । এই ওঙ্কেল মাক্সের দেড় গ্লাস বিয়ার তোমার লিমিট।  তারপর  তুমি তিনটে ক্রিস্টিনে দেখছ , না চারটে আলো দেখছ সে হিসেব অবান্তর (ঊনজিন ) । তুমি  গাড়ি চালাও না , আজ সন্ধ্যেয় প্রভূত মদ্যপান করে  ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের ট্রামে অচৈতন্য হয়ে পড়ে থাকলে বড়জোর কনডাকটর (শাফনার ) তোমার পশ্চাৎ দেশে লাথি মেরে নামিয়ে দেবে ।  পরের দিন আবার ভালো মানুষটির মতন অফিসে হাজিরা দিয়ে আমাকে ধন্য করবে।   এদিকে আমার রক্তে ০.৯% পাওয়া গেলে  লাইসেন্সটি চলে যাবে  পুলিশের জিম্মায়।

    আমরা জানতাম মাথিয়াস এই পুরনো শহরের অন্যদিকে থাকে,  হেঁটে গেলে দশ মিনিটে বাড়ি পৌঁছুবে , গাড়িতে তিন ।  আজ সে কারো কথা না শুনে প্রিয় পরশে গাড়িতে ওঠবার আগে সকলকে বিদায় জানিয়ে ( চাও তসুজামেন) প্রস্থান করল।

    পাইকপাড়ায় এক সময়ে পুলিশকে রাতে টহল দিতে দেখেছি , মাঝে মধ্যে ল্যাম্প পোস্টে দু ঘা দিয়ে জানাতো  সে আছে ।  বোধহয় সত্তরের রক্তক্ষয়ী দিনগুলিতে নর্দার্ন এভিনিউয়ের ঘুমন্ত মানুষ নয়, পুলিশ  তার আপন প্রাণের সুরক্ষার তাগিদে চিড়িয়া মোড় থানার  ছাউনি থেকে বেরুনো বন্ধ করে। রাতের পাহারা শেষ  , ল্যাম্পপোস্টে লাঠির আওয়াজও । বেওয়ারিশ কুকুরগুলো তার জায়গা নিলো।

    জার্মানিতে পদাতিক পুলিশ  দেখি নি -যদি কখনো দুজন দৃশ্যমান হতেন জানতাম  তাঁদের সবুজ গাড়ি একশ মিটারের মধ্যে কোথাও লুকোনো আছে । তাঁরা হাঁটেন না।  পোলিতসাইরুহে কথাটা প্রথম শুনি  ফ্রাঙ্কফুর্টে  – সন্ধ্যে আটটার পরে পুলিশ নিদ্রিত, আগুন না লাগলে জাগবে না (অসলোয় সে সময়ে রাত নটার পরেও পারকিং টিকিট বিলি করে সুসভ্য নওয়েজিয়ান পুলিস )। পাঠক , জার্মান শহুরে পুলিশের তৎপরতা সম্বন্ধে কোন প্রশংসা একান্ত  অতিরঞ্জন মাত্র।  ফ্রাঙ্কফুর্ট পৌঁছে স্বল্পকালের মধ্যে সেটি অনুধাবন  করি।

    পাসপোর্ট হারালে পুলিশের কাছে রিপোর্ট লেখানোর নিয়ম আছে ।  সেই বিপদে পড়ে এক শনিবার সকাল আটটা  নাগাদ ফ্রাঙ্কফুর্ট ওয়েস্ট এন্ডের তেরো নম্বর থানায় গিয়ে বেল বাজাচ্ছি । দোতলার বারান্দা থেকে একজন উঁকি দিলেন ।
     
    • কি চাই?”

    দুঃখের সঙ্গে জানালাম , পাসপোর্ট হারিয়েছি ,  আমার দেশের আইন অনুযায়ী সেটা পুলিশের কাছে লেখাতে হয় । ভ্রূক্ষেপ  না করে বললেন ঠিক আছে যান ।
     
    • ভি জো ? যাব মানে ? রিপোর্ট করছি সেটা খাতায় লিখবেন না ?
     
    •  আপনি বললেন, আমি শুনে নিয়েছি ।

     বলেই বারান্দা থেকে অদৃশ্য হলেন। অগত্যা ফিরে এলাম।  সোমবার  ভারতীয় কনসুলেটের মিস্টার ভাটিয়া  আমার লম্বি কাহানি শুনে একটুও  বিচলিত হলেন না।
     
    • পাসপোর্ট হারানোর খবর পুলিশকে জানানো আপনার কাজ , সেটা আপনি করেছেন।  এবার এখানে এই ফর্মে লিখে দিন আপনি কবে ঠিক কোন সময়ে কোন রাস্তায় দাঁড়িয়ে রিপোর্ট দাখিল করেছেন ।

    নতুন পাসপোর্ট পেতে অসুবিধে হয় নি - এই সুবাদে ফ্রাঙ্কফুর্ট পুলিশের ফাঁকিবাজি  এবং ভারতীয় দূতাবাসের ফ্লেক্সিবিলিটির সঙ্গে পরিচয় হলো।

    পরের শনিবার হাজিরা দিতেই  পাবের ভিরট ( ইন কিপার ) রালফ বললে খারাপ খবর - মাথিয়াসের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত হয়েছে গত শুক্রবার ।
     
    • সে কি ? কেন? অ্যাক্সিডেন্ট  ?
     
    • অ্যাক্সিডেনট নয়, রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে মাথিয়াসের কোন সাক্ষাতকার হয় নি । তার গাড়ি  কেউ থামায় নি । পুলিশ তার ফ্ল্যাটে গিয়ে লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেছে ।
     
    • ফ্ল্যাটে ? কেন? পুলিশ কি করে জানল মাথিয়াস মাল খেয়ে গাড়ি চালিয়েছে ? তাদের খবর  দিলো কে?


    রালফ আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,   আপনার  ড্রাইভিং লাইসেন্স তো  এদেশের ? তাহলে নির্ঘাত জানেন  থিওরেটিকাল ট্রেনিঙের সময়ে পথের নিয়ম কানুন শেখানোর সঙ্গে শিক্ষকরা  আরও একটি সতর্কতা বাণী দিয়ে থাকেন- মনে রাখবেন জার্মানিতে বহু নারী পুরুষ অনিদ্রায় ভোগেন এবং জানলার পাশে বসে দুনিয়ার খবরদারি করে থাকেন । তেমনি একজন সে রাতে পুলিশকে ফোন করে জানিয়েছেন  অমুক নম্বর প্লেট ওলা পরশে গাড়ি থেকে একজন টলোমলো  পায়ে নেমে উলটো দিকের এত নম্বর বাড়িতে ঢুকেছেন।  

    মাইন্তসের পুলিশ এমনিতে অকর্মণ্য - কারনেভালের সময়ে ছোটো ছেলে মেয়ে হারানোর খবর পেলে উদ্বিগ্ন হয় না, উলটে বাবা মাকে বকে দিয়ে বলে ‘ আপনারা কি করছিলেন ? গ্লু ওয়াইন খাচ্ছিলেন ? নিজেরাই খুঁজে দেখুন গে ‘। তাদের রোয়াব  এখন আলাদা-  অপরাধের খবর এবং আসামির পেহচান দুটোই মজুত।  প্রোমোশন আটকায় কে ?  

    মাথিয়াস একা থাকে , সে ততক্ষণে শোবার ব্যবস্থা করছে । এমন সময় ঘণ্টি বাজলো । পুলিশ বললে , আপনি সন্ধ্যেবেলা মদ্যপান করে গাড়ি চালিয়েছেন।  টেস্ট করবো!  বলা বাহুল্য টেস্টে মাথিয়াস ডাহা ফেল – রিডিং ৩.০ ! মাথিয়াস বলেছে আমি এই অবস্থায় গাড়ি চালাই নি, বাড়ি এসে কনিয়াক নিয়েছি ।  এমন মুরগি কি সহজে ছাড়বে পুলিশ ? অঙ্ক কষে মাথিয়াসকে বুঝিয়ে দিয়েছে খুব কড়া ডোজে কনিয়াক পান করলেও রক্তের সঙ্গে সেটা মিশে যেতে সময় লাগে!

    সেদিন আপনারা সকলে শুনেছেন আমি  মাথিয়াসকে  বললাম  ,  গাড়িটা রেখে যাও , রাখলে না । এখন বোঝো , ছ মাস গাড়ির পারকিং গুণে যাবে,  গাড়ি চালানো  বারণ ।

    পথে ঘাটে নয় , নিজের বাড়িতে বসে ড্রিংক ড্রাইভিং টেস্টে ফেল করেছে মাথিয়াস!

    বিস্মিত হবেন না । শিব ঠাকুরের না হোক কান্ট হেগেল মার্কসের  আপন দেশে  পার্ক করা গাড়িতে বসেও ড্রাইভিং লাইসেন্স হারানো সম্ভব । পরবর্তী ভ্রমণের সময়ে মনে রাখবেন।  


     
    মাইনতস - গোলাপি সোমবার ( রোজেন মোনটাগ) এ বছরে পড়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি  শেষ দিন বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ( রিও ৯-১৭ ফেব্রুয়ারি ) 
     
     
     
    আমাদের অতি প্রিয় বন্ধু পেটার  গাইসলার ছিল ষ্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ক্যাশিয়ার। সবুজ রঙের   ওপরে ফুল তোলা টিনের বাক্সয় থাকতো তার খুচরোর সঞ্চয় ( তার গল্প বারান্তরে ) ।  দিনের কাজ কারবার চুকলে কাগুজে নোটের সংখ্যা মিলিয়ে সেটা ভল্টে তুলতে তার খুব একটা সমস্যা হতো না কিন্তু ওই এক দুই পাঁচ দশ ফেনিগের হিসেব মেলাতে তার ঘাম ছুটে যেতো। ওঙ্কেল মাক্সে বৈকালিক হাজিরা দিতে তার বিলম্বের সেটাই একমাত্র কারণ ছিল -কাসে হাট নিখট গেস্টিমট ! হিসেব মিলছিল না । এ বিষয়ে তার অভিমত – কেন যে অন্তত এক আর দুই ফেনিগের কয়েন বাতিল করা হয় না! কার কাজে লাগে? এ বিষয়ে সেকালে জার্মানির আরও অনেকে একমত ছিলেন শোনা যায় বাদ সাধেন কিপটেমির জন্য সুবিখ্যাত  স্টুটগারট তথা শোয়াবেন প্রদেশের মানুষজন- তাঁরা বলেছিলেন এক বা দুই ফেনিগের কয়েন বাজার থেকে তুলে নিলে আমাদের ছেলেমেয়েরা সঞ্চয় করতে শিখবে কি করে ? পেটার আজ কোথায় জানি না তবে মহামান্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন  এক এবং দুই সেন্টের কয়েন চালু রেখেছেন।  

    পেটারের বাড়ি ডার্মস্টাডে **। সে স্থানীয় ফুটবল টিম ডারমস্টাড ৯৮ এর ভক্ত,  নিজের মাঠের কোন খেলা বাদ দেয় না।

    প্রসঙ্গত,  অনেক জার্মান ফুটবল দলের নামের সঙ্গে লাগোয়া একটা সংখ্যা দেখা যায় – সেটি  সেই ক্লাব প্রতিষ্ঠা বছরের অন্তিম দুটি নম্বর-  যেমন সে ক্লাব ১৮৯৮ সালে স্থাপিত, তার নাম  ডার্মস্টাড ৯৮ :  মাইন্তস ১৯০৫ , শালকে ( হাওড়া / শালকিয়ার মানুষ সগর্বে আত্মীয়তা অনুভব করতে পারেন ) ১৯০৪  প্রতিষ্ঠিত , তাই টিমের নাম যথাক্রমে  মাইন্তস ০৫ , শালকে ০৪ ।  একমাত্র ব্যতিক্রম টি এস ভি মিউনিক ১৮৬০। ক্লাব পরিচিতির এই স্টাইল ইউরোপের অন্যত্র দেখা যায় না।

    সে  শনিবার পেটারের দল ভীষণ ভাবে হেরে গেছে  হেরথা বার্লিনের বিরুদ্ধে ।  মাঠ থেকেই বিয়ার পান চলছিল।  ৪-২ গোলে হেরে যাবার শোক ভুলতে পেটার ঢোকে বোলেনফালটোরের এক পাবে।  সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ বাড়ি ফিরবে বলে তার গাড়িতে উঠে বসেছে কিন্তু চালানোর মতো সুস্থতা তার নেই । স্টিয়ারিঙের ওপরে মাথা রেখে ( পেটারের জবানিতে ) সে ঘুমিয়ে পড়েছিল । হঠাৎ জানলায় কীসের শব্দ – পুলিশ।

    আদেশ হলো – নেমে আসুন – আউসস্টাইগেন!

    আপনার গাড়ি থামালে জার্মান পুলিশের পরপর দুটো প্রশ্ন একেবারে ছকে বাঁধা – নেমে আসুন , ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখান ।   শুভদিন , শুভ সন্ধ্যা বা আপনার সর্বনাশ আসন্ন এমন সম্ভাষণ করে পুলিশকে সময় নষ্ট করতে দেখি নি । মনে যাই থাকনা কেন, তুলনায় ব্রিটিশ পুলিশ অনেক ভদ্র । ঠিক জানেন  আপনি কোন গোলমালটা  বাধিয়েছেন কিন্তু পরম করুণাময় সুরে বলেন, ‘হোয়াট সিমস টু বি দি প্রবলেম,  সার ‘।

    পুলিশ পেটারের  নিশ্বাস প্রশ্বাসের পরীক্ষা নিতে চায় । কোনমতে কেফার গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে পেটার  - পুলিশের বাড়িয়ে দেওয়া নলে ফুঁ দেবার আগেই সে পরীক্ষার ফল অনুমান করেছে। মেশিনের কাঁটা দেখে নিয়ে পুলিশ বললে ,  এর পাঠ সীমানার অনেক ঊর্ধ্বে । আরেকটা পরীক্ষা আছে । আমরা সাধারণত  চক দিয়ে একটা সোজা লাইন টেনে সেই বরাবর হাঁটতে বলে থাকি , তাতে কি সম্মত আছেন ?’

    পেটার সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারে না , আবার হাঁটা !

    পুলিশ বললে, আপনার  লাইসেন্স ও গাড়ির চাবি আমাদের হাতে জমা দিয়ে আপনি একটা ট্যাক্সি বা ট্রেনে বাড়ি যান । এ গাড়ি আপাতত বাজেয়াপ্ত হলো , বোলেনটোরথানায় গিয়ে জরিমানা দিয়ে সেটা ছাড়াতে পারেন তবে নিজে ড্রাইভ করে নয়। এক মাসের জন্য আপনার লাইসেন্স জব্দ আর ফ্লেন্সবুরগের লাইসেন্স রেজিস্ট্রির খাতায় দুটো নম্বর কাটা যাবে। ।

    পেটার বললে , কেন , আমি তো গাড়ি চালাচ্ছিলাম না !
     
    • মাত্রাহীন পান করে ড্রাইভারের সিটে বসে আপনি ঝিমুলে বা ঘুমিয়ে পড়লে আমাদের কিছুই বলার ছিল না।  কিন্তু  আপনার  গাড়ির চাবি  ইগনিশনে লাগিয়ে রেখেছেন তার অর্থ এই যে মত্ত অবস্থায় আপনার চালানোর ইচ্ছে ছিল ( আবজিখট তসু ফারেন )।  তাতে জনজীবন যেন বিপন্ন না হয় সেই কারণে  আপনার গাড়ির চাবি ও লাইসেন্স দুটোই আমরা নিচ্ছি”  ।

    সোমবার আমাদের সে কাহিনি শুনিয়ে পেটার বললে স্কুল ছাড়ার পর সেই দিন প্রথম  সে ট্রেনের মাসিক টিকিট কেটেছে।  

    পাদটীকা

    দুই জার্মানির মিলন ( ১৯৯০ )  নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক ঘটনা। তবে একটি বিশেষ কারণে পুবের  জার্মানরা  অসম্ভব উল্লসিত হয়েছিলেন – কমিউনিস্ট পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতন পূর্ব জার্মানিতেও  এক বিন্দু অ্যালকোহল পান করে   গাড়ি চালানো মানা ছিল।  সহিষ্ণুতার সীমা ( টলারেনতস গ্রেনজে) শূন্য কমা শূন্য – নুল কমা নিখটস ! পশ্চিম জার্মানিতে দেড় গ্লাস বিয়ার পান করে গাড়ি চালানো যায় জেনে পূর্ব বার্লিন , ইয়েনা,  লাইপতসিগ ভাইমারে  হুল্লোড় পড়ে যায় – শ্রমিক কৃষকের স্বর্গরাজ্য থেকে অবক্ষয়ী ধনতান্ত্রিক জগতে ট্রান্সফার পাবার এই তো আসল ফায়দা ! পুবের  সরকার অবশ্য   সেই আইনে  হঠাৎ ঢিল দিয়ে বিয়ারের বিক্রি ও পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা  বাড়াতে চান নি , সইয়ে সইয়ে সে স্বাধীনতা দিয়েছেন কয়েক বছর বাদে। তারপর আরেক কাণ্ড - ২০০৩ সালে পশ্চিম জার্মানির   জনতা একদিন ঘুম থেকে উঠে জানলেন সম্মিলিত জার্মানিতে  মদ্যপানের সহিষ্ণুতার সীমা ০.৮% থেকে নামিয়ে ০.৫% করা হয়েছে  - পুবের  মানুষ শূন্য থেকে ০,৫% উঠে গেলেন পশ্চিম নেমে এলো ০.৮% থেকে ০,৫% । মদ্যপানের অনাবিল আনন্দের ওপরে এই হস্তক্ষেপের কারণে ওয়েসিরা  (ওয়েস্ট ডয়চেন-  পশ্চিম জার্মান ) দুষলেন ওসিকে ( অস্ট ডয়চেন - পূব জার্মান ) । এখন অর্ধেক লিটার পান করলেই চড়তে হবে চরণ বাবুর অথবা ওলাফ বাবুর গাড়ি ।

    বিসমার্ক বলেছিলেন  মদ্যপ ,  শিশু ও নির্বোধদের ঈশ্বর আপন হাতে রক্ষা করেন ।  

    তিনি  ঘোড়ার গাড়ির আমলের মানুষ। দ্রুত গতির  মার্সিডিজ , বি এম ডব্লিউ মোটর গাড়ি বিসমার্ক দেখেন নি,  নইলে মদ্যপ চালককে রক্ষা করার কাজটা  ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিতেন বলে মনে হয় না।
     

     
    পাদটীকা 

    ** একটু অনাবশ্যক হলেও বলি হেসেন – ডারমস্টাডের এক রাজকন্যা আলেকসান্দ্রার  (রানি ভিক্টোরিয়ার নাতনি ) বিবাহ হয় রাশিয়ান জার নিকোলাসের সঙ্গে , যিনি ১৬ জুলাই ১৯১৮ সালে ইয়েকাতেরিনবুরগে সবংশে নিহত হন। আলেকসান্দ্রা তিনশ বছরের রোমানভ রাজবংশের শেষ জারিনা । ডারমস্টাডের আরেক রাজকুমারী বাটেনবেরগের প্রিন্সেস  আলিস ব্রিটেনের প্রিন্স ফিলিপের মা। বাটেনবেরগ নামটা চেনা মনে হতে পারে – সাক্সা কোবুরগ গথার  রাজকুমার আলবার্টের সঙ্গে বিবাহসূত্রে রানি ভিক্টোরিয়ার রাজবংশ হাউস অফ বাটেনবেরগ নামে পরিচিত হয় । প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সেই জার্মান নাম  জনগণের রোষের কারণ হয়ে উঠলে, রাজপরিবার  বাপ পিতেমোর নাম বদলে দিলেন- নামে কি আসে যায় , শেক্সপিয়ার বলেন নি ? ব্রিটিশ রাজবংশের  নতুন নাম হল হাউস অফ উইনডসর ! বাটেনবেরগ অবশ্য থেকে গেছে নামের ভেতরে – মাউনটব্যাটেন ( বেরগ = মাউনট , বাটেন =ব্যাটেন )!   

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৯৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • syandi | 45.25.***.*** | ২৫ মার্চ ২০২৪ ২১:২৭529797
  • হীরেনবাবু, 
    ছবিটা দেখে সব মনে পড়ে গেল। স্পারকাসে ব্যাংক থেকে শিলারপ্লায-এর দিকে সোজা না গিয়ে বামদিকে মোড় নিলে বোধ হয় এই জায়গাটা। সঠিক নাও হতে পারে। ছবি দেখে আন্দাজ করা কঠিন কাজ।
  • হীরেন সিংহরায় | ২৭ মার্চ ২০২৪ ০২:১৮529850
  • এদের মাঠ একেবারে বনের ধারে ( শহরের দক্ষিণ পুবে)। আমি আইনতরাখতের সমর্থক । একবারই গিয়েছি ডারমসটাড হাউপটবানহোফ থেকে ট্রামে চড়ে প্রায় এক ডজন স্টপ ! শিলার প্লাতস মনে পডে না। আসলে ৯৮ মাঝে মাঝে বুনদেসলিগায় পৌঁছয় টেকে না । মনে করুন অফেনবাখার কিকারসের কথা - ফিরতেই পারলো না এত বছরে। 
  • syandi | 45.25.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২৪ ০২:৫৭529851
  • হীরেনবাবু ,                                                                                                                                                                না না আমি ডামস্টাডের কথা বলছি না, মাইনত্সের কথা বলতে চেয়েছি। শিলার প্লাৎস মাইনত্স হাউপটবানহফ থেকে হাঁটা পথে মিনিট পাঁচেক। আপনার লেখায় আল্ট স্টাডের উল্লেখ থাকায় মনে পড়ল যে এখানে একটা আইরিশ পাব আছে যেখানে Krustenbraten পাওয়া যায়। অনেকবার গেছি ওখানে। এছাড়া আরেকটা মজার কথা হল আল্ট স্টাডের ঠিক আগের বাসস্টপ ছিল Pfaffengasse। আমার এক জার্মান সহকর্মী আমার জার্মান উচ্চারণের পরীক্ষা নিয়েছিল Pfaffengasse উচ্চারণ করতে বলে। 
  • হীরেন সিংহরায় | ২৭ মার্চ ২০২৪ ১০:৫১529863
  • আহা , মাইন্তস ! আমার বড়ো প্রিয় শহর,  অনেক স্মৃতি . সেখানেই এক পাবে বসে করডুলা প্রথম ইহুদি রসিকতার সঙ্গে পরিচয় করায়।২৫শে জুন ১৯৮৩ ওয়ার্ল্ড কাপ জেতার খবর সেখানকার পাবে বসে জেনেছিলাম।   ঊনটার হাউস আর কারনেভাল অঙ্গাঙ্গী জড়িত , আর জুন মাসে ইওহানিস ফেসট  পাব ! আমাদের রাইন প্রবাসের কারণে মাইন্তস এখন  আমাদের সদর শহর । এবার বোধ হয় শহর নিয়েও লেখার সময় এসেছে - স্মৃতি ভ্রংশ হবার আগে।
     
     আর আইরিশ পাব ? দুনিয়াতে এমন শহর দেখেছেন যেখানে নেই? এসটোনিয়ার টালিনে আইরিশ পাবে নিউ কাসল বনাম স্টিভেনেজের ফুটবল দেখেছি টিভিতে । তবে গিনেস বা মারফি?  সে আমার নয়- এক আইরিশ আমাকে বলেছিলেন , সন , ইউ ইট গিনেস , ইউ ডোন্ট ড্রিংক ইট। ঠিক, Pfaffengasse যেমন মিউনিকের Pfaffenhofen ! ব্যাঙ্কের ডাচ কলিগ বলেছিল যেদিন Grachten উচ্চারণ করতে পারবে সেদিন জানবো ! 
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৩:৪০529869
  • "নতুন পাসপোর্ট পেতে অসুবিধে হয় নি - এই সুবাদে ফ্রাঙ্কফুর্ট পুলিশের ফাঁকিবাজি  এবং ভারতীয় দূতাবাসের ফ্লেক্সিবিলিটির সঙ্গে পরিচয় হলো।"
     
    আমি‌ও জানলুম - বিদেশে‌র ব‍্যাপার‌ মানে এতদিন যেমন টনাট্টন স‍্যাপার ভাবতুম - জার্মানির ক্ষেত্রে কিছু ক্ষেত্রে আসলে তা নয়। সেখানে ভারতীয় দূতাবাস‌ও তাই "যখন তুমি রোমে - হয়ে যাও রোমান, থুড়ি জার্মান"  থিয়োরী‌তে চলে। তা ভালো।
     
    তবে বাড়ি বয়ে গিয়ে লাইসেন্স বাতিল করার মতো পুলিশের হাইপার দায়িত্ব‌বোধের সাথে পরিচয় হ‌ওয়া - এদেশে অকল্পনীয় ব‍্যাপার‌। 
     
    এদেশে রাস্তায় RTO চেকিং হলে উল্টো‌দিক থাকা আসা ট্রাক ড্রাইভার সমনৌকার ভ্রাতৃত্ব‌বোধে জানি‌য়ে দেয়। এদিকে‌র ট্রাক, কাগজে গড়বড় থাকলে বা ওভারলোডিং কেস হলে সাইড করে দাঁড়িয়ে যায়। জনবিশ্বাস  দাঁড়ানো গাড়িকে RTO নাকি MV আইনে ফাইন করতে পারে না। এর সত্য‌তা জানা নেই।
  • হীরেন সিংহরায় | ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪:৪৩529905
  • সমরেশ 
     
    রাস্তায় পুলিশ চেকিং চললে উলটো দিক থেকে আসা গাড়ি বা ট্রাককে  ফ্ল্যাশ করতে প্রথম দেখি স্পেনের কস্তা ব্রাভায় ।  ইওরেত দে মার থেকে পাল যাচ্ছি , অন্যদিকের গাড়ি গুলো বার বার হেড লাইট ফ্ল্যাশ করে গেলো । এমন গাড়ল যে তার মানেও বুঝি নি । তবে লক্ষ্য করলাম অন্যন্য গাড়ির গতি ধিমি- খানিকটা এগিয়ে রাস্তা নেমেছে ঢালুতে , সেখানে সার দিয়ে স্প্যানিশ পুলিশ স্পিড চেক করছে ! পরে একদিন লুকসেমবুরগের গ্রামের ভেতরেও একজন বাতি জ্বালিয়ে সাবধান করলো -তখন বিদ্যে বেড়েছে, দেখি গ্রামের মাথায় এক পুলিশ হাতে স্পিড মাপার যন্তর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । ব্রিটেনে শহর/ গ্রামের ভেতরে এখন ২০ মাইল লিমিট , ইউরোপে ৩০ কিমি। দণ্ড আমাদের হিসেবের আট হাজার থেকে শুরু। 
     
    তবে বাড়িতে অথবা দাঁড় করানো গাড়িতে বসে লাইসেন্স হারানো একটা বিরাট অ্যাচিভমেনট - আমি ওই দুটোই জানি 
     
    অ্যাভারেজ স্পিড চেক বোলএ একটা খ্যাঞ্চাকল আছে- শোনা যায় সে কারণে ট্রাক মাঝে মধ্যে জিরিয়ে নেয়। 
  • Amit | 163.116.***.*** | ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৫:২৮529906
  •  উলটো দিক থেকে আসা গাড়ি বা ট্রাক কে ফ্ল্যাশ করা কিন্তু দারুন কাজের জিনিস। কতবার যে টিকিট খাওয়া থেকে বেচেছি এর জন্যে তার ইয়ত্তা নেই। আমিও এই পরোপকার টা করি রাস্তায় উল্টোদিকে পুলিশ দেখলেই। প্রো-আক্টিভ সমাজসেবা। 
    :) :) :) 
     
    আর শুধু ফাইন ​​​​​​​দিলেও কষ্ট ​​​​​​​করে ​​​​​​​কোনোমতে ম্যানেজ ​​​​​​​করা ​​​​​​​যেত হয়তো। ​​​​​​​কিন্তু আজকাল ​​​​​​​প্রত্যেক ভায়োলেশন ​​​​​​​এ পয়েন্টস ​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​মিনিমাম ​​​​​​​তিন ​​​​​​​বছর ​​​​​​​এক্টিভ ​​​​​​​থাকে। ​​​​​​​মানে ​​​​​​​তিন ​​​​​​​বছরের ​​​​​​​মধ্যে ​​​​​​​তিন ​​​​​​​বার ​​​​​​​একটু ​​​​​​​বেশি ডোজের ​​​​​​​স্পিড ​​​​​​​টিকিট ​​​​​​​খেলেই ১২ পয়েন্ট গন আর ​​​​​​​লাইসেন্স ​​​​​​​ক্যানসেল। ​​​​​​​আর খ্রীষ্টমাস ​​​​​​​বা ​​​​​​​ইস্টারে ​​​​​​​বা ​​​​​​​স্কুল ছুটির ​​​​​​​সময় ​​​​​​​ডাবল ডিমেরিট কাটা। ​​​​​​​
     
    আজকে ​​​​​​​রাত ​​​​​​​থেকেই ​​​​​​​চালু ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​​যাচ্ছে। নেক্সট কটা দিন পুরো চাপের। 
     
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন