মেঘনার মন ভালো নেই। ও ওর বন্ধু তিতিরের সঙ্গে ঝগড়া করে বড়ো বিষণ্ণ হয়ে পড়েছে। তারপর ও বোনের ছোট্টো পুতুল ভেঙে ফেলেছে বলে বোন মারলো ওকে আর তাই মা বোনকে বকলো। তাই মেঘনার মন ভালো নেই। ওর মনে হচ্ছে দুটো কাছের মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। এসব ভাবতে ভাবতে মেঘনা দেখল একটা চড়ুইপাখি নারী মূর্তি ধারণ করছে! ও ভাবতে পারছেনা একটা পুঁচকে পাখি দেবীমূর্তিতে পরিণত হয়েছে। রাঙা গা সর্বাঙ্গে গয়না ত্রিনয়ন হাঁটু পেরিয়ে চুল। তিনি বললেন - কি মেঘনা, মন ভালো নেই? তুমি বরং তোমার বন্ধু ও বোনের সঙ্গে খেলো তাহলে তারা তোমার সঙ্গে আবার বন্ধুত্ব করবে। তুমি যদি আমার উপর ভরসা রাখো তাহলে চলো তোমাকে একটা জায়গায় নিয়ে যাই। মেঘনা জানত মা দুর্গা খুব ভালো তাই সে মা দুর্গার সঙ্গে কৈলাশে গেল। সেখানে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতীর সঙ্গে আলাপ করে ভারি আনন্দ হলো। মেঘনা তারপর কিছুদিন সেখানেই থাকল। একদিন দুপুরে গণেশের সঙ্গে যেই লাড্ডু চুরি করতে গেছে অমনি মাথার উপর একটা হাঁড়ি পড়ল। অমনি ঘুম ভেঙে গেল ও বুঝল মনখারাপ করতে করতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিল। ও দেখল মাথায় বারান্দার গ্রিলের সংঘর্ষ হয়েছিল। তাই সে উঠে এসে বোনকে সরি বলে একটা নতুন পুতুল কিনে দেবে বলে প্রমিস করল। এরপর মেঘনা তিতিরকে ফোন করে বলল-তিতির, সরি আমি আর কখনো তোর সঙ্গে ঝগড়া করবোনা। আমরা আবার বন্ধু হলাম।