এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  ছেঁড়াকাঁথা

  •  ছেঁয়াবাজীর ছলনা  - ৯

    লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ছেঁড়াকাঁথা | ১০ এপ্রিল ২০২২ | ২০৫৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • ‘চুমু চুমু আদর আদর
    আদর আদর চুমু চুমু
    সাবধানে যাবে সাবধানে আসবে।‘
    বাবা অফিসের সাজপোশাক পরে তৈরী হয়ে গেলেই খাটে উঠে দাঁড়িয়ে বাবার গলা জড়িয়ে দুই গালে চুমু খেয়ে দুই হাত দিয়ে গালে আলতো করে  ঘষে দিয়ে এই কথাগুলো বলা ছিল আমার রোজের কাজ। কে শিখিয়েছিল কি জানি।  হয়ত জিজি কিংবা মীনামা, কারণ কোনওরকম আবেগের বহিঃপ্রকাশের ব্যপারে আমার মা অতিরিক্ত  সংযত  আজীবন। বাবা তো ঘামত খুব, একেবারে গলগল করে জলের মত নেমে আসত ঘামের ধারা গাল কপাল বেয়ে অনর্গল। চুমু খেতে গিয়ে মুখ ভিজে যেত আমার, আদর করতে গিয়ে হাতও। ফ্রকের সামনেটা তুলে মুছে নিতাম। আগে যখন পৌণে ন’টায় ভারতী সিনেমার উল্টোদিকে বাসের জন্য গিয়ে দাঁড়াতে হত  তখনও বাবা তৈরী হয় নি। হয়ত স্নান করে এসেছে নয়ত টোস্ট আর নরম তুলতুলে স্ক্র্যাম্বলড এগ  দিয়ে প্রাতরাশ করছে, আমি ইস্কুল ড্রেস পরে গিয়ে দাঁড়াতাম।  জুতো পরা হয়ে গেছে তাই খাটে উঠতে পারব না, বাবা দাঁড়িয়ে থাকলে কুঁজো হয়ে দাঁড়াত আর আমি বুড়ো আঙুলে ভর দিয়ে ডিঙি মেরে গলা জড়িয়ে ধরতাম।

    এখন অত সকালে আমাকে তৈরী করে উঠতে পারে না মা। হয় সাড়ে দশটায় রমেশ মিত্র রোডে স্টেট ব্যাঙ্কের সামনে মন্টুদাদা গিয়ে বাসে তুলে দিয়ে আসে, নয়ত বাবা গাড়ি করে নিয়ে অফিস যাবার পথে নামিয়ে দিয়ে যায়। ভাইকেও মা কোলে নিয়ে আসে চুমু চুমু করার জন্য, ভাই কোনোদিন করে কোনোদিন আবার বাবার কোলে চড়ার চেষ্টা করতে থাকে।  ঠিক জানে বাবা এখন বাইরে যাবে, যদি কোনোভাবে সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া যায়। নিয়ে না গেলেই আকাশ ফাটিয়ে কাঁদে। পরে ভাগাড়পাড়া ইস্কুলে  ভর্তি হয়ে কতদিন  টিফিন টাইমে  ঠোঁট মুখ কেমন  খালি খালি লাগত। কী যেন করি নি, কী যেন করতে হবে।  ভাগাড়পাড়া   মর্নিং  ইস্কুল, টিফিন হত ন’টার সময়। ভাইয়েরও অমন কিছু মনে হত কিনা সে আজও জানা হয় নি। অফিসে যেত বাবা প্যান্ট শার্ট কোট আর টাই পরে, গরমের দিনে কোট হাতে নিয়ে বেরোত আর ব্রিফকেস। অফিস ছাড়া আর সব জায়গায় ধবধবে  সাদা পায়জামা আর পাঞ্জাবী,  ভাই বলত ‘পাঞ্জামি পনব আমি পাঞ্জামি পনব’। সেই খ্রীস্টমাস ঈভের পরে মা আমাদের নিয়ে কোন্নগরে চলে আসার পরে ভাই আর কোনোদিন পাঞ্জাবী পরে নি।  

    আমাদের মুড়ির টিন গাড়িটা প্রায় আট নয়মাস চলেছে। প্রায়ই মা আর জিজি মিলে পরিকল্পনা করত যে আমরা ওটায় চেপে ডায়মন্ডহারবারে যাবো। সমস্যা হল বাবা কিছুতেই গাড়ি চালাতে শিখে নিচ্ছে না, নাকি চারপাশের  বাসট্রাম ট্যাক্সি রিকশার চলাফেরা দেখে খালি মাথা গরম হয়। সুখলালকাকা গাড়ি চালালে বাবা সামনে বসবে। পিছনে দুজন কোনমতে চাপাচাপি করে বসতে পারে। আমাদের দুজনকেই কোলে নিয়ে জিজি আর মা পিছনে বসতে পারবে কিনা সেই নিয়ে দুজনে নানা জল্পনা করে। সামনের সীট ভাঁজ করে পিছনের সীটে ঢোকাও বড়দের জন্য একটু মুশকিল। এর মধ্যেই এক রবিবারে শ্যামবাজারে ছোটদির মামাবাড়িতে নেমন্তন্ন, ছোটদির ছোটমামার বউভাত। বড়মাইমার এই ভাই আমাদের ইন্দ্র রায় রোডের বাড়িতেও এসেছে কয়েকবার, আমি খোকামামা বলে ডাকি।  সব্বারই নেমন্তন্ন ছিল, সেদিনই গাড়িতে বসার ব্যবস্থা ঠিকঠাক বুঝে নেওয়া যাবে কথা হল। কিন্তু বৌভাতের দিন মায়ের শরীর খারাপ হল নাকি ভাইয়ের ঠিক মনে নেই। মা গেল না বলে জিজিও গেল না। শুধু বাবা চলল আমাকে নিয়ে। জিজি ফিতে দিয়ে মাথায় একটা ফুলমত করে দিয়েছিল।

    বিয়েবাড়ির কথা আর কিচ্ছু মনে নেই শুধু ফেরার সময় একটা মাঝারিসরু নির্জন গলিতে গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়া। সুখলালকাকা অনেকক্ষণ চেষ্টা করল,  বাবা ওই খালি রাস্তায় এদিক ওদিক পায়চারী করতে লাগল আর রেগে উঠতে লাগল। একবার আমার মাথার ফুলটা ধরে ‘এইসব কী বেঁধেছিস’ বলে ঝাঁকিয়েও দিল। কতরাত্তিরে যেন ইন্দ্র রায় রোডে ফিরলাম।  রান্নাঘর খাবার ঘরে  খাবার টেবলের পাশে দাঁড়িয়ে জল খেতে খেতে  মা’কে গল্প বলছিলাম আমি। মা বারবার জিগ্যেস করছিল বড়মাইমাদের কথা। টেবলের উপরে কয়েকটা গ্লাসে জল  রাখা ছিল – ঝন ঝনননন ঝনাৎ ঠং ঠঙাশ উফফ ---  ডানপায়ে হাঁটুর একটু নীচে এসে একটা কাঁসার গ্লাস গেঁথে গেছে। অসহ্য যন্ত্রণায় আমার গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোয় না চোখের জলে চারদিক আবছা। জিজি  দৌড়ে আসে। মা ততক্ষণে সাবধানে গ্লাসটা ছাড়িয়ে নিয়েছে পা থেকে, লাল লাল রক্ত গড়িয়ে পড়ছে পা বেয়ে বেয়ে। তারপরে তো ডেটল রে জল রে  অ্যাক্রামাইসিন মলম রে তুলো রে সাদা কাপড়ে  পা জড়িয়ে বাঁধা রে।  ওঘর থেকে  মাকে ডেকে জল চেয়েছিল বাবা,  কয়বার কে জানে, মা জিজি কেউ শুনতে পায় নি। বাবা এঘরে এসে টেবল থেকে গ্লাসগুলো তুলে পরপর ছুঁড়ে ফেলেছে।

    তিন পিসীকেই দেখতাম বাবাকে খুব ভয় পেত,  আমি এই একবারই বাবার অমন দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য খুনে রাগ দেখেছি। ইতোমধ্যে মন্টুদাদা আমাদের বাড়ি থেকে কোন মিষ্টির দোকানে কাজ নিয়ে চলে গেছে আর মন্টুদাদার বোন মঞ্জুদিদি এসে আমাদের বাড়িতে কাজে লেগেছে। যাবার পরেও  মন্টুদাদা দুই একবার এসেছিল। একবার এসে মা’কে পান্তুয়া আর রসগোল্লা বানানো শিখিয়ে গেল। মা পান্তুয়া বানাত ক্ষীর আর ছানা মিশিয়ে, মন্টুদাদার পান্তুয়ায় শুধু ছানা। সেটা খেয়ে জিজি আর বাবা এককথায়  ‘পগেয়ামার্কা’ বলে বাতিল করে দিল। এরপরে আর ওইভাবে পান্তুয়া বানায় নি মা কোনোদিন।  রসগোল্লাটা কিছুতেই ঠিকঠাক হল না, সব গোল্লাগুলো ফাটা ফাটা হয়ে ভেঙে ভেঙে গেল। সেগুলো শেষে দুধ ঘন করে জ্বাল দিয়ে তাতে মিশিয়ে ভাঙাগোল্লার পায়েস বানান হল। মঞ্জুদিদির মাথায় ইয়ামোটা লম্বা বিনুনী, কপালের অর্ধেক ঢাকা চুলে। মুখখানা হাসি হাসি সুন্দর। ভাইকে কোলে নিয়ে দোলাত সময় বিনুনীটা সাপের মত লকলকিয়ে দুলত এদিক ওদিক।  মঞ্জুদিদিকে মন্টুদাদার মত যখন তখন দোকানে পাঠানো হত না, দিনে বড়জোর একবার কি দুবার। গুল দেওয়া থেকে শুরু করে রাতের বিছানা পাতা অবধি বাকী  সমস্ত কাজই মা আর মঞ্জুদিদি করত।

    মাসের প্রথমে জিজি কিম্বা মা গিয়ে জগুবাজারের ভেতরে এক মস্ত মুদীখানার দোকানে ফর্দ দিয়ে আসত। তার পরের দিন সকালে একজন মুটিয়া মাথায় একটা মস্তবড় গামছা গোল করে পাকিয়ে বিড়ে বানিয়ে তার উপরে একটা মস্ত ঝুড়িতে অনেক ঠোঙা, শিশি বোতল মাটির ভাঁড় সাজিয়ে নিয়ে আসত। ফর্দ মিলিয়ে নামিয়ে দিয়ে যেত। ওই পাতলা বাঁশের বড় বড় ফাঁকওলা ঝুড়ির ভেতরে চট লাগানো, জায়গায় জায়গায় চট ছিঁড়ে মস্ত ফাঁক হয়ে রয়েছে।  পলিথিনের ঠোঙা বাজারে আসতে তখনও বারো চোদ্দ বছর বাকী, চাল ডাল আটা ময়দা নুন চিনি সবই নানা সাইজের কাগজের ঠোঙায়। মাসের চালের জন্য চটের ব্যাগ ছিল, অল্প আতপ চাল কি গোবিন্দভোগ আসত কাগজের ঠোঙায়। ঝোলাগুড় মাটির ভাঁড়ে, সরষের তেল, ঘি  কাচের শিশিতে। এই মুটিয়ারা নিশ্চয়ই  বাঁটুলের থেকেও শক্তিশালী ;  বাঁটুল মানে ওই যে শুকতারার একদম প্রথমে থাকে না, সেইজনা। নাহলে ওই অত্তবড় ঝুড়ি তাতে অত্ত অত্ত জিনিষ কী করে সেই জগুবাজার থেকে স্রেফ মাথায় চাপিয়ে নিয়ে আসে? ধুপ করে পড়ে যায় না! কোন কোনবার ঝুড়ি এত ভারী থাকে যে নামানোর সময়েও কাউকে একটু ধরতে হয়। 

    ঝুড়ি নামিয়ে বিড়ে খুলে গামছা দিয়ে হাত মুখ ঘাড় ভাল করে মুছে তবে ফর্দ বের করে। কেউ কেউ জল খেতে চায়। মা তখন ফ্রীজ থেকে ঠান্ডা জল আর দুটো বাতাসা কিম্বা আতাসন্দেশ দেয়। ঠান্ডা জল পেয়ে অনেকেই অবাক হয়, খুশীও। মঞ্জুদিদি সকালে বাজারে যায়  তরকারি আর মাছ আনতে, আরো সকালে দুধ আনা হয়ে গেছে। কোনো কোনোদিন বিকেলের দিকে মা যায় জগুবাজারের দিকে, তখন বলরাম মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে লাল রসগোল্লা আর অন্য মিষ্টি আনে। মাঝে মাঝে ভাইকে কোলে নিয়ে, আমার হাত ধরে মা  চলে যায় গড়িয়াহাট। মা কিছুতেই ট্রামে বাসে উঠতে চায় না হেঁটে হেঁটেই চলে যায় রাসবিহারি মোড় অবধি। তারপর কখনো ফাঁকা ট্রাম দেখে উঠে বসে। গড়িয়া হাট বেশ মজার জায়গা। বড় বড় ঝকমকে দোকানের বাইরে আবার রাস্তায়ও কতসব জিনিষ নিয়ে বসে থাকে। মা অবশ্য বেশী কিছু কেনে না,  পায়জামা শায়ার দড়ি দশ মিটার, কাপড় শুকোতে দেবার ক্লিপ এক  ডজন এইরকম টুকিটাকি জিনিষপত্র।  রমেশ মিত্র মোড়ের দোকানগুলোর থেকে গড়িয়াহাটের দোকানগুলো একটু বেশী ঝকঝকে মনে হত। কিন্তু গড়িয়াহাটে কোন বইয়ের দোকান নেই।

    রমেশ মিত্র মোড়ে ফলের দোকানগুলো রেখে বড়রাস্তার উপর দিয়ে জগুবাজারের দিকে মুখ করে কয়েক পা হাঁটলেই  ডানদিকে নাথ ব্রাদার্স। জিজির সাথে এই দোকানটায় যেতে খুব মজা। একটা না একটা নতুন গল্পের বই কিনে দেবে  ঠিক।  ‘এক যে ছিল বাঘ’, ‘বাঘ শেয়ালের মেলা’, ‘ নতুন ছেলে নটবর’ , ‘সব ভুতুড়ে’, মায়াকানন’ এই দোকান থেকেই কেনা। সবচেয়ে ভাল ছিল ‘অদ্ভুত যত ভুতের গল্প’ – সেসব কি গল্প ওফ!। ওইরকম  একটা বইতে পাকা ফলার গল্পটা  ছিল। সেই যে  এক গরীব ব্রাহ্মণের  খুব ইচ্ছে সে পাকা ফলার খাবে, তা শহরে গিয়ে রাজামশাইয়ের পাকা বাড়ির দেওয়ালের এককোণা কামড় দিয়ে খেতে গিয়েছিল বেচারি। সেই গল্পটা পড়ে ভারী কান্না কান্না পায়, আহারে লুচি খাওয়া নিয়ে এত হেনস্থা বেচারির। সে গল্পটা আমি নিজের মত করে বানিয়ে বানিয়ে বোবোকে বলি। বোবো তো এক্কেবারে অবাক হয়ে যায় শুনে। কয়েকবার কয়েক রকম বলার পরে ‘এ কি এরকম পালটে পালটে দিচ্ছ কেন?’ বলে  বোবো আপত্তি করতে থাকে।  যেটা সবচেয়ে পছন্দের বানানো আমার সেইটা ফেরার সময় ইস্কুল বাসে সুমিতা আর সুলগ্নাকে বলি। ওরাও একদম অবাক হয়ে যায়, খুশীও।  সেই থেকে ওরা দুজনে মিলে আমার জন্য একটা ভাল জানলার ধার রেখে দিত প্রত্যেকদিন আর আমি ওদের গল্প বলতাম।  কেমন মজা না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১০ এপ্রিল ২০২২ | ২০৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলিটিশিয়ান | 2600:6c52:6000:138d:c86e:cd1f:ebc4:***:*** | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০৪:৩৮506204
  • পড়তে পড়তে কেমন সব স্বপ্নের মত জড়িয়ে গেল। ছেলেবেলা সবটা মিষ্টি নয়। কিন্তু চমৎকার।
  • Emanul Haque | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০৭:৪৯506208
  • ছুঁয়ে থাকা সময়কে ছুঁই
  • Prativa Sarker | ১২ এপ্রিল ২০২২ ০৮:১২506225
  • সত্যি খুব মজা! 
    কিন্তু লেখাটায় অনেকগুলো পরত চোখে পড়ল। সবগুলো ততো মজার নয়। কতো ঘরে এখনও গ্লাস ছুঁড়ে মারার ট্র‍্যাডিশন ঠিক চলছে। জল গড়িয়ে খেতে নেই যেন! 
     
  • | ১৩ এপ্রিল ২০২২ ০৯:৩০506271
  • ধন্যবাদ সবাইকে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন