এই অন্য ডাইমেনশনে যারা চলে গেছে তাদের গল্পগুলো ধরে রাখা খুব জরুরি।
হাঁ করে গিলছি। নিজের ছোটবেলা মনে পড়ছে। আঠেরো বছর বয়সে আমার একটা ঠেক ছিল ইন্দ্র রায় রোড, স্টেট ব্যাংকের সামনের ফুটে চায়ের দোকান, সিভাকো নামের একটা দোকানের সামনের ফুটপাথ, রাত এগারোটা পর্য্যন্ত আড্ডা। গতবছর সেই জায়গাটা পায়ে হেঁটে ঘুরলাম।
পড়ছি ...
দময়ন্তীদির লেখায় আমি খুব ইউনিক একটা জিনিষ পাই। লেখাগুলো সবই অসম্ভব ডিটেল। মনে হয় খুব কারুকার্য্য করা একটা কাঠের ফলক, যেটা শুধু চোখ দিয়ে দেখলেই হয়না। হাত দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে তবে পুরো নক্শাটা বুঝতে হয়। লেখকের প্রত্যেকটা অনুভূতির খাঁজ, ভাঁজ, এখানে একটু টোল, ওখানে গোল হয়ে ঘুরে আসা, সব ছুঁয়ে বুঝতে পারা যায়। কিন্তু আবার সেই একই সাথে পুরোটার মধ্যে একটা অদ্ভুত নির্মোহ ব্যপার থাকে। নিরপেক্ষ দর্শকের জায়গা থেকে দেখার মত একটা অনায়াস ডিট্যাচমেন্ট। ফ্যালাসি হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমার এইরকমই লাগে। এটা একটা অদ্ভুত ভালোলাগা দেয়।
বেশির ভাগ লেখকই লেখার ইমোশনের সাথে খুব মিশে যান।
আমরা যারা ৭০-৮০র দশকে ছোট ছিলাম তাদের ফেলেআসা দিনগুলোর ছবি কী ভীষণ মিলে যাচ্ছে।
একটা ছোট্ট সংশোধন। সাখাওয়াত মেমোরিয়ালোর পোষাক ছিল নীল স্কার্ট সাদা ব্লাউজ । সবুজ নয়। আমার শৈশব আর কৈশোর তো । তাই একটু বেশী আবেগ।