খুব ভালো লাগছে পড়তে
আরে পিঁপড়ে না খেলে সাঁতার শিখবে কি করে? আমরা বাচ্চাবেলায় রেবন্ত গোস্বামীর একটা বইতে পড়েছিলাম যে পিঁপড়ে খেলে জলদি সাঁতার শেখা যায়। তাই ভারি মন দিয়ে পিপড়ে খেতাম।
দারুণ হচ্ছে লেখাটা।
আমাদের মতো আধবুড়ীদের সকলের ছোটবেলা ঠিক এমনিধারা। ফেল্পেন থেকে আম সন্দেশ , হুবহু।
মনে পড়ে গেল Allwyn ফ্রিজ আমাদের বাড়িতেও ছিল। সে সময়ের স্টার ফ্রিজ। বলা হত তার বয়স আমার সমান। দীর্ঘদিন চলার পর গোদরেজ তার জায়গা দখল করল এই তো সেদিন।
ইশ, পুতুল বেচারীদের ভারী কষ্ট তো! হয় হাত-পা ছেঁড়া হবে, নয় মুখে পুরে চিবোনো হবে? :-(
বাদামী ছোপ মচমচে লুচিটাই আমিও ভালোবাসি। এই লেখা এক্কেবারে মনের মধ্যিখানে গিয়ে সেঁদোয়।
দাঁ পেপার হাউস? ইন্দ্র রায় রোড? আহা, আমার ১৮ বছর বয়সের ঠেক। এদিকের ফূটপাথে সিভাকো বলে দোকানটার বন্ধ দরজার সামনে রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্য্যন্ত আড্ডা। ইন্দ্র রায় রোডের কোণায় বোধহয় স্টেট ব্যাংক ছি? উলটো ফুটে তেরপল ছাওয়া চা-ঘুগনির দোকান। পাশের কিযস্ক থেকে চারমিনার কিনে ঝুলন্ত নারকোল দড়ির আগুন থেকে ধরানো।
হে বিধাতা! আমাকে আরেকটি বার অন্ততঃ এক সন্ধ্যের জন্যে ইন্দ্র রায় রোডে পৌঁছে দাও। সেখানে হাওয়াই চটি পড়া ধুলো পায়ে কয়েক ঘন্টা আড্ডা দেব নারানদা, তিলুদা, শংকর, আশীষ,টোনি আর বুলটুর সঙ্গে। ছোট মাটির খুরিতে গরম চায়ে চুমুক দেব, একটা চারমিনার তিনজনে ভাগাভাগি করে টানব।
হে ঈশ্বর! হে ইন্দ্র রায় রোডের ঈশ্বর! কথা শোনো।
দ'য়ের লেখা নিয়ে কোন কথা হবে না!
উঁহু স্টেট ব্যাঙ্ক আর দাঁ পেপার সম্পূর্ণ উলটো দুই প্রান্তে। দাঁ পেপার হল বিজলি সিনেমার উল্টোফুটে যেখানে ইন্দ্র রায় রোড শ্যামাপ্রসাদ মুখুজ্জে রোডে উঠছে। এব্র শ্যামার দিকে না ঘুরে উল্টোদিকে পুরো ইন্দ্র রায় রোড হেঁটে রমেশ মিত্র রোডের দিকে এলে রমেশ মিত্র আর ইন্দ্রভ্রায়েরবক্রসিঙে জগুবাজারের দিকে মুখ করে দাঁড়ালে ডানের ফুটে কোণায় স্টেট ব্যাঙ্ক।
অনিন্দিতা, হ্যাঁ প্রায়। আমাদের ফ্রিজ অবশ্য নানা কারণে টেকে নি বেশিদিন।
স্বাতী, ওইজন্যি বোধয় আনার আর শেখা হল না। আমাদের বাড়িতে অবশ্য বলত পিঁপড়ে খেলে সাঁতার শেখে।
কেকে, হুচি, বেশ বেশ।
এরকম লেখা পড়ার জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করা যায়। দএর লেখার একটা অদ্ভুত এবংজ অনুকরণীয় স্টাইল আছে।
অননুকরণীয় বলতে চাইলেন কি?
দ,
ঠিকই তো। এই দুই বিন্দু আমার আডডার জোনের প্রান্তবিন্দু। দিনের বেলা স্টেট ব্যাংক থেকে দূরে। সন্ধ্যের পর ব্যাঙ্ক বন্ধ হলে ওদিকে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পরি।
হ্যাঁ ওটা বাজে টাইপো হয়ে গেছে। অননুকরণীয় বলতে চেয়েছিলাম।
যাক বাবা! :-)
আবার লেখার স্টাইল বদলাতে হলে চাপ ছিল। :-)