এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সাগর থেকে ফেরা এবং এঞ্জেলোপউলুস, আন্তনিওনি, ভিসকন্তি ...

    Subhadeep Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ অক্টোবর ২০২৪ | ৫০৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • সম্প্রতি ঘুরে এলাম মন্দারমনি-তাজপুর থেকে। যে সমস্ত বন্ধুদের সঙ্গে বহুকাল ধরে দেশ-বিদেশের নানান চলচ্চিত্র দেখেছি এবং চলচ্চিত্র নিয়ে আজও একটু-আধটু লেখালেখি করার সুবাদেই হয়তবা সেইসব বন্ধুরা এরকম কোথাও গেলেই মজা করে জিগ্যেস করে কি রে জ্যাম্পানোর দেখা পেলি কিংবা রুবিনির সঙ্গে দেখা হল? সত্যিই তো, কে যেন বলেছিল, কখনো শিল্পের থেকে মহার্ঘ্য হয়ে ওঠে জীবন, আবার কখনো জীবনকে ছাপিয়ে ওঠে শিল্প! একটা স্তরে শিল্প ও জীবনের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক থাকতে হয়। এটা যেরকম শিল্পীর ক্ষেত্রে সত্য, একইভাবে শিল্প-ভোক্তার ক্ষেত্রেও সত্য। আমার বন্ধুদের এইসব মজার প্রশ্ন থেকেই মনে হচ্ছিল, সমুদ্র চিরকাল কবিদেরই একান্ত আপনজন।  উপন্যাসিকদেরও বটে। সমুদ্রের কবিতা বললেই সবাই নাম করবেন জীবনানন্দ দাসের বা প্রেমেন্দ্র মিত্রের কিংবা কোলরিজের বা ইয়েটসের! উপন্যাসিক বললেই হেমিংওয়ের বা টমাস মানের। ভাবার চেষ্টা করছিলাম, চলচ্চিত্রে, বিশেষ মুহূর্তে বিশেষ শৈল্পিক ব্যঞ্জনা নিয়ে সমুদ্র এসেছে, আমার দেখা এরকম ছবি কোনগুলি?
     
    মোক্ষমভাবে আমার বন্ধুদের ইঙ্গিত করা ছবিগুলোর কথাই প্রথমে মনে আসে। অর্থাৎ ফেদেরিকো ফেলিনির ‘লা-স্ত্রাদা’ (অ্যান্থনি কুইন অভিনীত জ্যাম্পানো) এবং ফেলিনিরই ‘লা দোলচে ভিতা’ (মার্সেলো মাস্ত্রোইয়ানি অভিনীত রুবিনি)। কিছুকাল আগে এই গুরুচন্ডালি-তেই ফেদেরিকো ফেলিনির ছবি নিয়ে আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে ‘লা-স্ত্রাদা’-র ও ‘লা দোলচে ভিতা’-র সাগর-পারের বিখ্যাত অন্তিম দৃশ্য-দুটি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম (https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=29845&fbclid=IwY2xjawGCpfVleHRuA2FlbQIxMQABHYvb-EZhKB-nNO4G2upDHl9c_LFBPYnzNmxhWAJLnfE7BHK7znyiRpMxlA_aem_Zz1FBJIoc0nlvRl8c5ra3w)। কিন্তু সমুদ্রের ব্যাপারে যিনি একমেবাদ্বিতীয়ম, সেই থিও এঞ্জেলোপউলুসের চলচ্চিত্র বোধহয় থাকবে ফেলিনিরই সঙ্গে-সঙ্গে। এঞ্জেলোপউলুসের কোনটি ছেড়ে কোন ছবিটির কথা বলব! 'দা বি কিপার', 'ল্যান্ডস্কেপ ইন দা মিস্ট', 'দা সাস্পেনডেড সেপ্ট অফ দা স্টর্ক', 'ইউলিসিস গেজ', 'ইটার্নিটি এন্ড এ ডে', 'দা উইপিং মেডো' , সবেতেই সমুদ্রের অবিরত হাতছানি। আমাদের প্রথম এঞ্জেলোপউলুস দর্শন 'ইউলিসিস গেজ' ছবিটি দিয়ে। স্মৃতি যদি খুব ছলনা না করে তাহলে যতদূর মনে পড়ছে ২০০৪ বা ৫ সালে এঞ্জেলোপউলুসের রেট্রোস্পেক্টিভ হয়েছিল 'কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব'-এ। 'ইউলিসিস গেজ' দেখার পূর্বে আমরা এঞ্জেলোপউলুসের নামই জানতাম না। আর আজ এতকাল পরে মনে হয়, 'কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব'-এর শ্রেষ্ঠ অবদান থিও এঞ্জেলোপউলুসের ছবির সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। রবীন্দ্রসদন-এ সকাল ১১:১৫-র শো ছিল সম্ভবত। বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম 'ইউলিসিস গেজ' দেখে! এঞ্জেলোপউলুস নির্মিত দৃশ্য-পরম্পরার তুলনীয় কিছু চলচ্চিত্রের ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এখনো মনে পড়ে 'ইউলিসিস গেজ'-এর সেই দৃশ্যটির কথা যেখানে লেনিনের একটি সাদা শায়িত মূর্তিকে দানিয়ুব নদীর উপর দিয়ে সমুদ্রের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, দুই পার জুড়ে ছুটে চলেছেন অসংখ্য মানুষ! লেনিনের হাতের একটি আঙ্গুল সামনের দিকে তাক করা। কিংবা ছবির শুরুর সেই প্রাচীন সাদাকালো ফুটেজ যা কিনা গ্রীসের প্রথম চলমান ছবি, যেটি মিলিয়ে (ডিসল্ভ) গিয়ে ভেসে ওঠে ভূমধ্যসাগর ("মেডিটেরিনিয়ান,....ঠিক যেন তানপুরার ঝংকার" - (চারুলতা))! নেপথ্যে জাহাজের ভোঁ। থিও এঞ্জেলোপউলুসের ছবি মানেই এলেনি কারাইন্দ্রোর মিউজিক! ইউলিসিস গেজের সেই প্রারম্ভিক মিউজিক, ওঃ, সিদ্ধি ওখানেই লাভ হয়ে গিয়েছিল! কতবার যে ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে শুধু ঐ মিউজিকটি ও তার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে শুরুর দৃশ্যগুলি দেখেছি , তার কোনো হিসেব নেই। এঞ্জেলোপউলুস- কারাইন্দ্রো, এ আর হবে না। তুলনীয় শুধু একটি জুটির কথাই মনে আসে, ক্রিসতফ কিসলোস্কি ও বিগনিউ প্রিসনার! কারাইন্দ্রো বা প্রিসনারের স্বতন্ত্র কম্পোজিশন নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু এঞ্জেলোপউলুস ও  কিসলোস্কির ছবিতে আবহসঙ্গীত প্রদান করেই এঁনারা কালজয়ী হয়ে গিয়েছেন। বলা হয়ে থাকে চলচ্চিত্র যতটা কাব্যের কাছাকাছি, তার চাইতে বেশি সংগীতের কাছাকাছি। বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের দেশের এমনকি অন্যধারার ছবিও (বাণিজ্যিক বাদই দিলাম), আবহসঙ্গীতের ব্যাপারে এযাবৎ যথেষ্ট খারাপ নিদর্শন রেখেছে (বলা-বাহুল্য, এব্যাপারে সত্যজিৎ রায় ব্যতিক্রম)। দৃশ্য ও আবহসঙ্গীতের অর্ধনারীশ্বর সম্পর্ক কাকে বলে এবং ব্যাপারটা কি অতি-জাগতিক অভিঘাত তৈরি করতে পারে যারা এঞ্জেলোপউলুসের ছবি না দেখেছেন তাঁরা বুঝতেই পারবেন না। ‘ইউলিসিস গেজ’ ছবিতে কলির সঙ্গে ছবির নায়কের সঙ্গমের যে দৃশ্যটি আছে, কারাইন্দ্রোর আবহসঙ্গীত তাতে এমন এক মাত্রা যুক্ত করেছে যার কোনো তুলনা নেই।


    'ইউলিসিস গেজ' ছবির উল্লেখিত সঙ্গমের দৃশ্য
     
    যাত্রা ও নিঃসীমতা, তাঁর যাবতীয় ছবির পুনঃপৌনিক বিষয় হয়ে উঠে খোদ জীবনকেই এক অন্তহীন যাত্রা হিসেবে প্রতিভাত করেছে। সমুদ্র-সৈকতে সেই জন্য তাঁর ছবির চরিত্ররা বারবার এসে থমকে দাঁড়ায়! এমনকি মৃত্যুতেও এই যাত্রা শেষ হয় না, কারণ একজনের স্মৃতি আরেকজনের সত্তায় অঙ্গীভূত হয়ে মৃত মানুষটি বেঁচে থাকেন। তাই 'ইটার্নিটি এন্ড এ ডে' ছবির শেষে ঢেউয়ের শব্দকে ছাপিয়ে ভূমধ্যসাগরের পারে আনা যেন শুনতে পায় মৃত্যুর পরেও আলেকজান্দ্রোস তাকে ডাকছে! গোটা ছবিটি আসলে আলেকজান্দ্রোসের আত্মকথা, শুধু এই শেষ দৃশ্যটি ছাড়া। থিও এঞ্জেলোপউলুসের ছবি আসলে শেষ হয় না, যে একবার তাঁর ছবি দেখবে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন সেই ছবির অনুরণন সারা জীবন ধরে তার মধ্যে চলতেই থাকবে।

    গুইলিয়ানার (মনিকা ভিত্তি অভিনীত) দ্বিধাদীর্ণ হৃদয়ের জটিলতাকে মাইকেলেঞ্জেলো আন্তনিওনি তাঁর 'দি রেড ডেসার্ট' ছবিতে স্থাপন করেছিলেন বন্দরের প্রেক্ষাপটে। বন্দরের কুয়াশা, জাহাজের ভোঁ গুইলিয়ানার কুহকী মনের প্রতীকী ব্যঞ্জনা বহন করছে। এঞ্জেলোপউলুসের ক্যামেরা চরিত্রগুলির মনস্কামের সঙ্গী হয়ে আকাশ ও সাগরের মিলন-রেখার দিকে চেয়ে থাকে, কিন্তু আন্তনিওনির গুইলিয়ানা বন্দরের মেয়ে। মাল যেখানে খালাস হয়, সেখান থেকেই দিগন্তে পারি দেয় মানুষ - গুইলিয়ানার জানালার ফ্রেমে যে জাহাজটি ধীরে ধীরে প্রবেশ করে সে কি উদ্দেশ্যে এসেছে? গুইলিয়ানা জানে না, তাই আন্তনিওনিও জানেন না।
     

    'ডেথ ইন ভেনিস' – মাহলারের ৫ নম্বর সিম্ফনি
     
    টমাস মানের উপন্যাস 'ডেথ ইন ভেনিস' পড়ে মুগ্ধ হন নি এরকম মানুষ বিরল। আমরা মানের উপন্যাসটি পড়ার অনেক আগে দেখেছিলাম লুচিনো ভিসকন্তির ছবি 'ডেথ ইন ভেনিস'। সংগীতকার গুস্তাভ ভন অ্যাশেনবাখ (উপন্যাসে তিনি লেখক), তাদজিও নামে একটি বালকের সৌন্দর্যে যারপরনাই মুগ্ধ হন। ছবি শুরু হয় একটি লং শটে। দেখা যায়, অ্যাড্রিয়াটিক সাগরে দূর থেকে একটি জাহাজে অ্যাশেনবাখ আসছেন। নেপথ্যে অসামান্য যে সিম্ফনিটি বাজছে তার রচয়িতা প্রখ্যাত গুস্তাভ মাহলার স্বয়ং এই ছবির সংগীতকার! সৌন্দর্য কি শৈল্পিকভাবে তৈরি হয়, নাকি প্রাকৃতিক ভাবে? যদি প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হয়, তাহলে তা শিল্পের চাইতে উচ্চতর! এইটিই যেন মান ও ভিসকন্তি, উভয়েরই উপজীব্য। তাদজিওর মধ্যে অ্যাশেনবাখের কল্পনা কি খুঁজে পায় গ্রীক ভাস্কর্যের সুষমা, নাকি তাদজিওর সৌন্দর্য প্রকৃতির দান? এ কি প্ল্যাটনিক প্রেম নাকি সমকামী প্রেম? এ প্রশ্ন অমীমাংসিতই থেকে গেছে। অসাধারণ অন্তিম দৃশ্যে সাগরের পারে অসুস্থ অ্যাশেনবাখ তাদজিওর সৌন্দর্য অবলোকন করতে করতে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। উন্নত শিল্প-চর্চার মধ্যে নিহিত থাকে যে মহান বিনষ্টির বোধ শিল্পীকে এমন ভাবেই যেন তার স্বীকৃতি দিতে হয়। অদ্ভুত বিষাদে মাখা ছবির অন্তিম ভাগ। এক ভাগ স্থলের নশ্বর মানুষের যাবতীয় স্পষ্ট ও রহস্যময় মানসিক অবস্থার নীরব সাক্ষী যেন তিন ভাগ জল।

    সমুদ্রে তাই যখনই যাই, নোনা হওয়ায়, আচম্বিতে ভেসে আসে এইসব চিত্রমালার অনিবার্য স্মৃতি।
     

    আমার তোলা মন্দারমনি-তাজপুরের কিছু ছবি
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • partha raha | 223.185.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৪৬538720
  • বেশ ভাল লাগলো. সমুদ্র as a theme, আর nostalgia ও। 
  • Rusha Ghosh Dutta | 223.223.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:৫৯538726
  • দারুণ। অনবদ্য এক লেখা।
  • রাহুল | 223.223.***.*** | ২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:১৭538741
  • দুর্দান্ত লাগলো। খুব উপভোগ করলাম।
  • Subhadeep Ghosh | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:২৩538774
  • @partha raha - এই চেষ্টাটাই করেছি, তোর বেশ ভালো লেগেছে দেখে বুঝতে পারছি, চেষ্টা একদম বিফলে যায় নি। আর উল্লেখিত ছবিগুলি তো বাস্তবিকই আমরা পাশাপাশি বসে দেখেছি  এই শতাব্দির প্রথম দশকে।
  • Subhadeep Ghosh | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:২৪538775
  • @Rusha Ghosh Dutta - অনেক ধন্যবাদ তোমার মতামতের জন্য।
    @রাহুল - অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন