এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • দূরে কোথায় ২৩ 

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ২১ মে ২০২২ | ২১৬৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আজকের রুটি

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ফ্রাঙ্কফুর্ট অফিসের ঠিক পিছনেই কেবলমাত্র পদচারিদের জন্য নির্দিষ্ট যে এলাকা তার নাম ফ্রেসগাসে। জার্মান  ক্রিয়া পদ ফ্রেসেন- তার  সরল অর্থ চুটিয়ে  বা কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া। গাসে মানে সরু পথ। কাজেই বলতে পারেন পেট পুজোর গলি।  এমন দারুণ  জায়গায় অফিস খুলেছেন বলে আমাদের কর্তাদের সাধুবাদ জানিয়েছি। পালা পরব অনুযায়ী  বিভিন্ন সময়ে ফ্রেসগাসে নানা রূপ ধারণ করে। আগস্ট মাসে বসে যায় রাইন গাউয়ের হাট – রুইডেসহাইম থেকে কোবলেন্তস অবধি বহু দ্রাক্ষা ক্ষেতের মালিক তাঁদের অস্থায়ী কুঁড়ে ঘর বানান। নতুন বছরের ওয়াইন পেশ করেন। বসার জায়গা টানা লম্বা কাঠের টেবিল।  যতই গভীর দুখে দুখি হোন না কেন, দুজনে মুখোমুখি বসিবার কোন চান্স নেই। ‘বসতে পারি’  (ডারফ ইখ) বলেই কে বা কারা আপনার এপাশে ওপাশে আসন গ্রহণ করেন। আপনার অনুমতির ধার ধারেন না। ভাষাতে কুলোলে অচিরেই  ওয়াইনের সঙ্গে সঙ্গে ফুটবল সিনেমা মেয়রের পুকুর চুরি ইত্যাদি উপাখ্যান চলে আসে।  আগস্ট সেপ্টেম্বর মাসে আকাশের  আলো বিদেয় নিতে বিলম্ব করে। এমনি আড্ডার কিছু স্মৃতি থেকে গেছে।

    দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হয়েছে সবে তেত্রিশ বছর আগে। পঞ্চাশ পেরুনো সকল জার্মানের  যুদ্ধের স্মৃতি আছে।অবশ্য   যতই কৌতূহল থাক না কেন বাক্যালাপের কালে এই প্রসঙ্গটা এড়িয়ে চলার প্রথাটি রপ্ত করে ফেলেছি। কখনো জানতে চাই নি আচ্ছা আপনি কি হিটলারকে দেখেছেন বা ৯ নভেম্বর ১৯৩৮ সালের সন্ধ্যে বেলা ঠিক কি করছিলেন। কেউ যদি আগ বাড়িয়ে সে গল্প করতে চান অবশ্যই সাগ্রহে শুনেছি এবং নিজের ইতিহাস জ্ঞান বাড়ানোর চেষ্টার কসুর করি নি।

    এমনি আগস্টের এক বিকেলে অফিস থেকে বেরিয়ে  অরটউইন আর পেটারের সঙ্গে একটি বেঞ্চে আস্তানা গেড়েছি। ওয়াইনের গেলাসটি হাতে ধরার অধিকার  অর্জন করতে গেলে উঠে সেই সব ছোট্ট কুঁড়েতে যেতে হয়।  কেউ সেটি বাড়িয়ে বলবে না সেবা করুন প্রভু।  সামান্য মূল্যের বিনিময়ে দ্রাক্ষা ক্ষেতের নাম লেখা গেলাস কেনা যায়।  সন্ধ্যার  পরের যামে অবশ্য গল্প গুজবের ভেতরে কি ভাবে সে  গেলাস মুখের সামনে চলে আসে, দামটা কে দেয় বোঝা যায় না। কার গেলাস কে ঢালে ওয়াইন।

    সেদিন আমাদের ঠিক উলটো দিকে  পক্বকেশ কয়েকজন জার্মান। মারবুরগ থেকে একসঙ্গে এসেছেন,  ছোট খামারের চাষি। তাঁদের কাছে ফ্রাঙ্কফুর্ট আসা একটা বিরাট ব্যাপার, যেন বিশ্ব লোকের ছোঁয়া মেলে।

    বিদেশি দেখে নিজেরাই দু চার কথা শুরু করলেন। খাওয়া দাওয়া নিয়ে গল্প শুরু।  কিভাবে যেন রুটির প্রসঙ্গ উঠল।  স্লাইসড রুটিকে মানুষের উত্তম আবিষ্কার এ কথা কখনো মানি নি। বললাম জার্মান রুটি বিশেষ করে  ব্রোটশেন (গোলাকৃতি রুটি) আমার ভীষণ প্রিয় আর বিয়ার। খানিকটা ঘনাদার স্টাইলে একজন,  গ্যারহার্ড, বললেন  রুটি? রুটি খেয়েছি রোভনোতে। আহা,  সে কত রকমের রুটি আর সেখানে কি বিশাল গমের চাষ।  আমরা এখানে আর কি করি, সত্যিকারের যব গমের চাষ দেখতে হলে যাবেন রোভনো।

    সেটা কোথায়? জানতে চাইলাম

    গ্যারহার্ড বললেন, ইউক্রেনে। এখনকার  নাম  রিভনে।

    তা আপনি কি সেখানকার লোক?

    না, আমরা কজন সেখানে বছর তিনেক বাস করেছি!

    বাইশে জুন ১৯৪১  জার্মানির রাশিয়া  অভিযান শুরু হয়েছিল- অপারেশন বারবারোসা। সোভিয়েত প্রতিরোধকে খড় কুটোর মত উড়িয়ে দিয়ে ভেরমাখট অতি দ্রুত ইউক্রেন দখল করে। পরবর্তী প্ল্যান – অধিকৃত দেশে জার্মান কলোনি গড়ে তোলা। পোল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া,  বেসারাবিয়া থেকে ফোলকসডয়েচেন বা জার্মান ভাষী মানুষের পুনর্বাসন হবে ইউক্রেনে। জার্মান সৈন্য এগিয়ে গিয়ে একের পর এক সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজ্যগুলিকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করবেন।  তল্পি তল্পা বেঁধে পিছু পিছু যাবেন  আরও  জার্মান জনতা।

    দুশো বছর আগে জার্মান বংশোদ্ভূত জারিনা একাতারিনা – ক্যাথারিন দি গ্রেট- জার্মানদের আমন্ত্রণ করেছিলেন রাশিয়ায় বসবাস করতে, উন্নত চাষ বাস,  ব্যবসা বাণিজ্য শেখাতে।  এবার জার্মানরা আমন্ত্রণের অপেক্ষা রাখেন নি। পুবের পানে ধাও এই মহামন্ত্র শুনে নিজেরাই হাজির হয়েছেন রাশিয়ায়। আবারো মনে রাখি  পুবের পানে ধাও (দ্রাং নাখ অসটেন) বা জীবনধারণের ঠাই (লেবেনসরাউম)  কোন নাৎসি চিন্তন শিবির বা এক অস্ট্রিয়ান কর্পোরালের মস্তিষ্ক থেকে প্রসূত হয় নি। বহু জার্মান দার্শনিক, অধ্যাপক এই মন্ত্র আউড়েছেন কাইজারের আমলে।  আমার সংগ্রাম গ্রন্থে হিটলার এই দাবির সমর্থনে লিখলেন ইংরেজ ফরাসির মতন আমাদের কোন কলোনি নেই  তাই প্রয়োজন বসবাসের ভূমি – পশ্চিম ইউরোপ লোকে লোকারণ্য।  আমাদের মাথা গোঁজার জমির খোঁজে আমরা পূবে যেতে চাই, সেখানে বাসা বাঁধতে চাই।  সেখানে যারা বিগত হাজার বছর সুখে ঘর কন্না করছিলেন তাঁরা যাবেন কোথা? এর উত্তর সে গ্রন্থে নেই। ইসরায়েলে তো সেই একই  নাট্যের পুনরাভিনয় চলছে।  

    একটুকু বাসা বাঁধবার মহান  সদিচ্ছা নিয়ে  উত্তর পশ্চিম ইউক্রেনের ঝতোমির জেলায়   সাতাশটি গ্রাম জুড়ে গড়ে ওঠে প্রথম জার্মান পুনর্বাসন প্রকল্প   –হেগেভালড কলোনি । জার্মান সরকারের কর্মচারী গ্যারহারড ও তাঁর সঙ্গীরা এখানে শিবিরে কাজ করেছেন। দূরাগত জার্মানদের ঘর জোগানো, বাড়ি বানানো চাষ বাসের কাজে সাহায্য  ছাড়াও এই কলোনির কাজ ছিল মস্কো পানে সতত অগ্রসরমান জার্মান সৈন্য বাহিনির জন্য তৈল তণ্ডুল লবণ মতান্তরে রুটি মাখন সসেজ বিয়ার সরবরাহ করা। আজকের ভাষায় সাপ্লাই লাইনটি চালু রাখা।  সৈন্যরা কি খালি পেটে লড়াই করবে?

    কত  ইউক্রেনিয়ানকে উৎখাত করে তাদের ধন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে  জার্মানরা ঘর বসিয়েছিলেন  সেদিকে এঁরা গেলেন না।  বললেন হেগেভালড কলোনিতে  প্রত্যেক ইউক্রেনিয়ান গ্রামের ইচ্ছে মতন  জার্মান নাম দেওয়া হয়েছিল। স্মৃতি থেকে বললেন,  কি সব নাম, যেমন হাইমকের (ঘরওয়াপসি), নয়হাইমাত (নতুন মাতৃভূমি)! জানেন,  ইউক্রেনের  জমি খুব ভালো, উর্বর, প্রচুর জল।  কিন্তু  লোকগুলো একটু কুঁড়ে আর চাষের নতুন তরিকা শিখতে নারাজ।  

    কাঁটা কলের অর্থনীতি বিভাগে রাশিয়ান অর্থনীতির ইতিহাসে যৌথ খামার গড়ার কাহিনি জানা আছে। তবে  ফ্রাঙ্কফুর্টের এই ফ্রেসগাসে  সেই জ্ঞান জাহির করার উপযুক্ত স্থান নয়!
     
    সবশেষে বললেন, “তিন বছরেই আমরা চাষের উৎপাদন দ্বিগুণ করে দিয়েছিলাম, আরও সময় পেলে …”।

    ঠিক বিশ বছর বাদে সেই দিনটির কথা মনে পড়েছিল। সাল ১৯৯৮।  আমি তখন লন্ডনে।  সিটি ব্যাঙ্কের শততম শাখা খোলা হবে ইউক্রেনের কিইভ শহরে।  নিউ ইয়র্ক নগরীতে  না হোক  ৩৯৯ পার্ক অ্যাভিনিউ এবং লন্ডনের ৩৩৬ স্ট্রানডের বাড়িতে খুব উত্তেজনা।  কথাটা বড় গলা করে বলার মতন : বিশ্ব ব্যাঙ্কিঙ্গের দীর্ঘ ইতিহাসে কোনো  ব্যাঙ্ক একশ দেশে দোকান খোলে নি। প্রাথমিক হই হট্টগোল কাটলে পরে  রোজগারের ধান্দা ধরতে হয় – আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমাদের সামনে চোখে পড়ল যব গমের মতন গদ্যময় বস্তু!  বাবার কাছে ছোটবেলায় শুনেছিলাম ইউক্রেন ইউরোপের ব্রেড বাস্কেট। এবার জানলাম  এই ঝাঁপি থেকে রুটি সরবরাহ হয় আফ্রিকার বহু দেশে, এমনকি ইন্দোনেশিয়া সহ  এশিয়াতেও।  মিশর লেবাননের প্রয়োজনের অর্ধেক গম আসে ইউক্রেন থেকে। বেওসা চালু – শিগগির পোল্যান্ডের ঝাকশেভোতে পরিচিত ভিতেক জেলিন্সকি সিটি ব্যাঙ্ক কিইভের দায় সামলানোর কাজে লেগে গেল।  আমাদের দখিন  দুয়ার খোলা! ওডেসা বন্দর থেকে জাহাজ ছাড়ে, কৃষ্ণ সাগর বেয়ে নিয়ে আসে শস্যের সম্ভার। ইস্তানবুলের বেসিকতাসে সুইস হোটেলের বারান্দায় বসে রোদিকার সঙ্গে বসে সেই জলধারা দেখছিলাম। বললাম এই  শীর্ণ জল পথ যদি কোনদিন বন্ধ হয়, কেবল তোমার বাপের বাড়ি নয়, কৃষ্ণসাগরের কূলবর্তী সব দেশেই কঠিন দুর্দিন দেখা দেবে।

    চব্বিশ বছর বাদে আজ ওডেসা বন্দর অবরুদ্ধ – তার  গুদামে, কনটেনারে  স্তূপীকৃত শস্য। কোন জাহাজ বাঁশি বাজিয়ে আসে না, যায় না কোথাও। আজ দুর্দিন দেখা  দিয়েছে ইউরোপে।  অন্যান্য বছরের তুলনায় মাত্র বিশ শতাংশ গম এসেছে ইউক্রেন থেকে, রেল যোগে। রুটির দাম  তিরিশ শতাংশ বাড়তে দেখলাম দু মাসে।  তার চেয়েও বড়ো সঙ্কট দেখা দেবে মিশরে,  আফ্রিকার অনেক দেশে।

    উনিশ তিরিশ সালে ইউক্রেন দেখেছে মন্বন্তর – হলদমোর।  বিচ্ছিন্নতাবাদী ও যৌথ খামার প্রকল্পের বিরোধী ইউক্রেনের মানুষকে  শায়েস্তা করার জন্য মহামতি স্টালিন এই দুর্ভিক্ষের আয়োজন করেছিলেন। অন্তত পঞ্চাশ লক্ষ, মতান্তরে  এক কোটি  মানুষ মারা গেছেন তিন বছরে। আজকে মহামতি পুতিন আয়োজন করেছেন আরেক হলদমোর – এবার বন্দরে পচে যাবে ইউক্রেনের গম, আফ্রিকায় এশিয়ায় মানুষ রইবে অভুক্ত।

    আমাদের কথা ভেবে দু হাজার বছর আগে একদিন সী অফ গালিলির উত্তর তটের  কফর নাহুম  গ্রামের সন্নিকটে একটি পাহাড়ের ওপরে দাঁড়িয়ে নাজারেথের এক যুবক ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন -

    আমাদের আজকের রুটি দাও


    দূরে সেই পাহাড় - প্রভুর প্রার্থনা


    সি অফ গালিলি - জলের ওপর হঁটার চেষ্টা করছে মায়া

    বুচার তিন নাগরিক

    রাশিয়ান বিদেশ মন্ত্রী শ্রী লাভরভ বলেছেন বুচায় কোন নরহত্যা ঘটে নি।  পশ্চিমি দুনিয়ার কাছে আমাদের বদনাম করার  জন্য ইউক্রেনিয়ানরা কিছু লোককে মাটিতে শুইয়ে রেখে ছবি তুলেছে।  তারপরে সেই সব মানুষ উঠে পড়ে আবার তাদের দিনের কাজ কর্মে লেগে যায়। জীবনানন্দ দাসকে মনে করিয়ে দিয়েছেন শ্রী লাভরভ –

    মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব
    থেকে যায় ; অতীতের থেকে উঠে আজকের মানুষের কাছে
    প্রথমত চেতনার পরিমাপ নিতে আসে

    বুচার নরসংহার লীলা থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে পালানো তিন নাগরিক, মাতা ভিক্তরিয়া, ছ বছরের ব্রানিস্লাভ ও চার বছরের আনাস্তাসিয়াকে  আশ্রয় দিয়েছেন চবহ্যাম গ্রামের রেচেল ও জন। তাঁরা এসেছিলেন জামা কাপড় জুতো জ্যাকেট ইত্যাদির খোঁজে।  গুগল অনুবাদের কল্যাণে রোদিকার ইংরেজি ইউক্রেনিয়ান শোনায়। তাই সংলাপ বিলম্বিত হলেও দু পক্ষের বোধগম্য হয়। বুচার  বাড়ির জানলা দরোজা উড়ে গেছে বোমায়।  ভিক্তরিয়ার স্বামী স্টানিস্লাভ গেছেন যুদ্ধে – সম্প্রতি একটি মিসাইল তাঁদের জিপের কান ঘেঁষে চলে যায়। প্রাণে বেঁচেছেন আপাতত।  মোবাইল টেলিফোনি কাজ করে, খবর পান। যদিও যে হারে  টাওয়ার ভেঙ্গে পড়ছে সে  যোগাযোগ কতদিন টিকবে কে জানে। তাঁদের ভাঙ্গা জানলা থেকে মৃত দেহের সারি দেখেছেন বুচার পথে। সারের ছায়াঘেরা গ্রামে  আজ শেলের, বোমার শব্দ নেই। অনেকদিন বাদে ব্রানিস্লাভ ও আনাস্তাসিয়া আতঙ্কে রাতে ঘুম জেগে ওঠে না .আনাস্তাসিয়া একটি পুতুলকে অনেকক্ষণ ধরে বসে সাজালো।




    আনাস্তাসিয়ার পুতুল

    মে ২১, ২০২২
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২১ মে ২০২২ | ২১৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 157.4.***.*** | ২১ মে ২০২২ ১৫:০৯507924
  • হীরেনবাবু অসম্ভব ভালো লেখেন।
  • guru | 103.135.***.*** | ২১ মে ২০২২ ২০:১৭507946
  • বরানগরের সঙ্গে আপনার পূর্ব সম্পর্ক আছে জেনে খুবই ভালো লাগলো | আমি নিজেও বরানগরের সঙ্গে সম্পর্কিত | আপনি কি এর মধ্যে কখনো বরানগরে এসেছেন ?
     
    আপনার গল্প বলার ক্ষমতা অতুলনীয় | সাধারণ একটা রুটিকে নিয়ে ইতিহাসের একটি অধ্যায়কে তুলে আনা একটি মানুষের জীবনের একটি ঘটনার মাধ্যমে এককথায় অসাধারণ | 
     
    তবে বিশ্ব খাদ্য সংকট নিয়ে আপনার চিন্তা ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক | আচ্ছা চীন ও রাশিয়া নিজেও তো অনেক গম উৎপাদন করে তাহলে তারা কি বিশ্বকে আরো দুটি বছর খাওয়াতে পারবেনা ?
     
    ইউক্রেইন্ এর যে গম ওডেসা বন্দরে পরে আছে তাকেও পৃথিবীর আর্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার উপায় আছে বলেই মনে করি | রাষ্ট্রসঙ্ঘ পুতিন সাহেবের কাছ থেকে রুবল এর বিনিময়ে উক্রাইনের গম কিনবে এবং এই রুবলের সমপরিমাণ ডলার দিয়েই এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলি  রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে সেই গম কিনবে |
     
    আপনার কি মনে হয় এর ফলে উক্রাইনের যুদ্ধ নিয়ে তৈরী হয়ে যাওয়া গ্লোবাল খাদ্য সংকট কমবে ?
  • Kishore Ghosal | ২১ মে ২০২২ ২৩:৫০507957
  • অসাধারণ সহজ ও সাবলীল অথচ গভীর অর্থবহ লেখা,স্যার।   
  • হীরেন সিংহরায় | ২২ মে ২০২২ ১০:৩৪507965
  • শ্রী গুরু
     
    বরানগরে ছ বছর স্কুলে পডেছি । সিঁথির কাঁটাকলে অর্থনীতি তিন বছর। যোগাযোগ অবিচ্ছিন্ন । সেটা কুঠিঘাট থেকে সৎচাষি পাড়া , জয় শ্রী নিউতরুন সব মিলিয়ে । বইমেলার সময় গেলাম। 
  • হীরেন সিংহরায় | ২২ মে ২০২২ ১০:৩৭507966
  • শ্রী অভ্যু 
    কিশোর 
     
    অনেক ধন্যবাদ। আপনারা আমার পাথেয় যুগিয়ে চলেছেন ।
  • guru | 103.135.***.*** | ২৩ মে ২০২২ ১৩:৪৩507999
  • হিরেনবাবু আপনি তাহলে কি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতির গ্রাজুয়েট ছিলেন ? কোন বছরের ?
     
    আপনি বরানগরে এই বছরে আবার এলে আপনার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে রইলো | কবে আসেন আপনি ? কোলকাতা বইমেলার সময়ে ? এখন বরানগরেও প্রতি বছর বইমেলা হচ্ছে | আপনি বরানগর বইমেলাতে এসেছেন কখনো ?
  • শান্তা সান‍্যাল (ভাদুড়ী) | 2409:4060:2e07:dfa4::7d4b:***:*** | ২৩ মে ২০২২ ১৫:৪৪508008
  • বেশ কিছুদিন পর আবার আপনার লেখা পড়ার সুযোগ হল। এবারে ভালোলাগার সঙ্গে মিশে গেল একরাশ বিষাদ, আর গভীর উদ্বেগ! ছবিগুলো ও খুব সুন্দর। আনান্তাসিয়ারা সারে র মত 'ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়' নিজ ভূমে ফিরে যাক, স্থায়ী ভাবে, কায়মনোবাক্যে এই প্রার্থনা করা ছাড়া আমরা বড়ই অসহায়! 
  • হীরেন সিংহরায় | ২৪ মে ২০২২ ০২:০০508023
  • শ্রী গুরু 
     
    কাঁটা কল ১৯৭১ । বছরে দু তিন বার দেশে যাই , বরানগরে অবশ্যই ।  আমার স্কুলের ছেলেরা এবং বন্ধুরা বরানগর বই মেলা সম্বন্ধে নিয়মিত অবহিত করে যদিও যাই নি এ অবধি ।  আমার পরবর্তী প্রকাশনের ব্যাপারে জুলাই এর শেষে কলকাতায় আসবো । আপনার ঠিকানা দূরভাষ জানলে যোগাযোগ করব নিশ্চয়। 
  • যোষিতা | ২৪ মে ২০২২ ১৩:০১508030
  • হীরেনবাবু
     
    কাঁটাকল মানে যে ইন্ডিয়ান ইন্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট সেটা কিন্তু অনেকেই এখানে জানে না :-)
  • যোষিতা | ২৪ মে ২০২২ ১৩:০১508031
  • ইন্টিটিউট  ইন্সটিটিউট
  • হীরেন সিংহরায় | ২৪ মে ২০২২ ১৩:১৬508032
  • আমাদের কাছে কাঁটাকল মানে  বিশ্ব বিদযালয়ের অর্থ নীতি বিভাগ।কোনকালে ওজনের কল ছিল।  আই আই এম ছিলো সেখানে- মরকত কুনজ (Emerald Bowers ) তবে তারা অনেকদিন হল জোকায় চলে গেছে। স্মৃতি ভারে আমাদের অর্থ নীতি বিভাগ রয়ে গেছে ৫৬ বি টি রোড। সুযোগ পেলেই প্রনাম করে আসি 
  • যোষিতা | ২৪ মে ২০২২ ১৩:৫৯508033
  • ঠিক, ঠিক। মরকত কুঞ্জ। গুলিয়ে  গেছল। 
    এক অর্থে বরানগর আমারও খুব চেনা পাড়া বিশেষ করে মিউনিসিপাল হাসপাতালটি যেখানে তৈরি হয়েছে পরে।
  • guru | 115.187.***.*** | ২৪ মে ২০২২ ১৪:২৩508034
  • হীরেনবাবু আমি খুব খুশি যে আপনার সঙ্গে জুলাই মাসে দেখা হবার সম্ভাবনা আছে | আপনার সেলফোন নম্বর দিন আমি যোগাযোগ করে নেবো | অনেক ধন্যবাদ |
  • r2h | 134.238.***.*** | ২৪ মে ২০২২ ১৫:০০508036
  • গুরুবাবুর এই ব্যাপারটা মজার। নিজে মেঘের আড়লে ইন্দ্রজিত হয়ে থাকবেন কিন্তু অন্য লোক জীবিত কি মৃত, কান কটকট করে কিনা, ক্লাস ফোরে অংকে কত পেয়েছিলেন, আগামী পাঁচ বছরের ট্যুর প্ল্যান - সব খবর চাইঃ)

    তাতে আমার কোন অসুবিধে নেই, এমনি একটু নাক গলালাম।
  • হীরেন সিংহরায় | ২৪ মে ২০২২ ১৭:১১508040
  • শ্রী গুরু
     
    ৬২৯১৩ ৭০৫৪৮ 
    এটির হোয়াটসএ্যাপ অবতার আছে। ২৫ শে জুলাই থেকে চালু হবে। ইমেল hsingharay@aol.com
  • guru | 146.196.***.*** | ২৪ মে ২০২২ ২২:৫২508049
  • অনেক অনেক ধন্যবাদ হীরেনবাবু |
  • Asish kumar Sinharay | ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১৭:০২513591
  • জার্মানি কেন কলোনি তৈরি করে নি তার চার পাশের দেশ গুলোর মত? 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৪৬513597
  • আফ্রিকাতে জার্মান কলোনি ছিল আজকের রুয়ান্ডা বুরুন্দি তাঞ্জানিয়া নামিবিয়া ক্যামেরুন গ্যাবন ছাদ টোগো ঘানায় । এই বিশাল রাজত্ব থেকে তাদের বিদায় নিতে হয় প্রথম মহাযুদ্ধে পরাজয়ের ফলে। এশিয়াতে আজকের পাপুয়া নিউ গিনির অংশ বিশেষ নাউরু সহ বহু মাইক্রনেসিয়ান দ্বীপ এবং বর্তমান চিনের সিংতাও জার্মান পতাকার তলায় আসে এবং ১৯১৮/২০ র মধ্যে সেখানে পতাকা নেমে যায়।  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন