এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  বিবিধ

  •  সুকিয়ানা – ১৪শ পর্ব (ভ্রমণে শিষ্টাচার – কতটা জরুরী?)      

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | বিবিধ | ৩১ অক্টোবর ২০২০ | ৩৭৪৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)


  • আজকের লেখায় প্রথমেই ডিসক্লেমার - এই লেখাটা বিশেষ কোন জ্ঞান বিতরণের জন্য লিখছি না। এমন কোন দাবিই নেই যে আজকে যা লিখব তা আপনারা জানেন না – বা এই অ্যাঙ্গেল থেকে কোনদিন ভেবে দেখেন নি। এমন দাবীও নেই যে আর কেউ এই নিয়ে লেখেন নি – অনেকের কাছে এই সব হয়ত মায়ের কাছে মাসির গল্পের মত লাগবে – তাঁরা স্বচ্ছন্দে এই লেখা এড়িয়ে যেতে পারেন।

    কারণ যা লিখব দেখবেন বেশীর ভাগই কমন সেন্স। তবে কিনা এই বিখ্যাত ব্যক্তি বলে গেছেন “কমন সেন্স ইজ নট সো কমন”। আমি লিখছি নিজের অভিজ্ঞতা কিছুটা ভাগ করে নেবার জন্য।

    জানি না এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আপনারা হয়েছেন কিনা – কিন্তু মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় যেখানে আপনি বেড়াতে গিয়ে হোটেলে, রেষ্টুরান্টে বা অন্য কোন ঘোরার জায়গায় ‘বৈষম্যের’ শিকার হয়ে যান আপনি কোন ‘বিশেষ’ দেশের লোক বলে! আপনার কোন দোষই ছিল না হয়ত সেক্ষেত্রে – স্রেফ প্রোফাইলিং-এর জন্য সেই অস্বস্তিকর এবং কোন কোন সময় লজ্জা জনক পরিস্থিতিতে জড়িয়ে যাবেন। কারণটা আর কিছুই নয়, আপনি যেই দেশের লোক, সেই দেশের আগের কোন টুরিষ্ট হয়ত এমন কাজ করেছে যা স্বাভাবিক ভ্রমণের শিষ্টাচারের বাইরে। এক বা দুইজন টুরিষ্ট যদি শিষ্টাচার বর্হিভূত কাজ করে তাহলে হয়ত তার ব্যবহারের সাথে সে কোন দেশের লোক তার সম্পর্ক স্থাপনে কেউ উৎসাহী হবে না – কিন্তু কোন এক বিশেষ দেশের লোক বারে বারে একই ধরণের কাজ করলে স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ ‘দেশের’ সাথে ‘ব্যবহারের’ সম্পর্ক স্থাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। আর এই ভাবেই আপনি সাথে পাঁচে না থাকা শান্ত টুরিষ্ট হলেও জড়িয়ে যাবেন ‘প্রোফাইলিং’ এর শিকার হয়ে।

    এমনটা নয় যে শুধু ভারতীয় টুরিষ্টদেরই আলাদা চোখে দেখা হয় – নানা দেশের টুরিষ্টদের নানা ধরণের বদনাম আছে। বেশ কিছু দিন আগে একজন চীনা বংশদ্ভূত মেয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত হওয়া একটা ভ্রমণের বইয়ে নিজের দেশের, মানে চীন দেশের টুরিষ্টদের সবচেয়ে শিষ্টচারহীন টুরিষ্ট বলে উল্লেখ করেছিলেন। তার পরে স্বাভাবিক ভাবেই সেই দেশের কিছু পাবলিক বিশাল রেগে যায় – চীনের মেয়ে হয়ে নিজের দেশের বদনাম ইত্যাদি। একটু তলিয়ে দেখলে বোঝা যাবে সেই মেয়েটি অবাস্তব কিছু বলে নি – সে কিছু সমীক্ষা চালিয়ে, নানা তথ্যাদি বিচার করে সেই সিদ্ধান্তে এসেছিল। আর শুধুই বা সেই মেয়েটি কেন, বাইরে চাইনীজ টুরিষ্টদের বেশ দূর্নাম আছে ভ্রমণে শিষ্টাচার বিহীন বলে।

    আমি খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছিলাম পৃথিবীর কোন দেশের টুরিষ্টদের সবচেয়ে বদনাম – কিন্তু সমস্যা হল এই র‍্যাঙ্কিং এর তো কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই, আর তা ছাড়া নিজের দেশকে কে আর খারাপ বলতে চায়! তবুও দেখেছিলাম যে শিষ্টাচার বিহীন টুরিষ্ট কিছু কিছু দেশের নামের পুনরাবৃত্তি হয়েছে – যেমন ইংল্যান্ডের ছেলে ছোকরাদের। যারা ফুটবল নিয়ে মাথা ঘামান তাঁরা জানেন যে সেই ফুটবল ফলো করতে গিয়ে নানা দেশে ঘুরে এই ভাবে এরা হুজ্জুত বাধিয়ে বেড়ায়! এদের তো ‘ফুটবল হুলিগান’ ও বলা হয়। এছাড়া আছে রাশিয়ান টুরুষ্ট – এদের ব্যবহার নাকি খুব খারাপ – জার্মান টুরিষ্টদের নাম আছে, অষ্ট্রেলিয়ানদের নাম আছে তালিকায় – চাইনীজ টুরিষ্টরা তো আছেই - এবং বেশ কিছু তালিকায় ভারতীয় টুরিষ্টদের নামও আছে শিষ্টাচার মেনে চলে না বলে। শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি।

    বেশ কিছু বছর আগের কথা – মালয়েশিয়ার একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়ে ছিলাম একটা নামকরা হোটেল চেন-এর রিসর্টে। চেক আউটের দিন কাউন্টারে এসে বলেছি চেক আউটের কথা – বিশাল কিছু ভীড় ছিল না তখন। কাউন্টারের মেয়েটি আমার কাছ থেকে রুম নাম্বার জেনে নিয়ে ফোনটি তুলে কাকে একটা যেন সেই রুম নাম্বারটি বলল। আমি অত খেয়াল করলাম না – দাঁড়িয়ে আছি বেশ কিছুক্ষণ – বেশ খানিক পরে মেয়েটি ফিরে এসে বিল রেডি করতে লাগলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম মেম্বারশিপে পয়েন্টস গুলো যোগ হচ্ছে কিনা – তারপর আমার মেম্বার প্রিভিলেজ কার্ড দেখে মেয়েটি বলল, ‘স্যার, এটা আগে জানাবেন তো! তাহলে আপনাকে ওয়েট করতে হত না’। ব্যাপারটা কি জানতে চাইলে সেই মেয়েটি জানালো তখন সে ফোন করেছিল হাউসকিপিং-কে আমার রুমে গিয়ে সব কিছু ঠিক ঠাক আছে কিনা সেটা দেখতে। হাউসকিপিং ক্লীয়ারেন্স দিলে তবেই বিল রেডি করল। বলল এমনটাই নাকি নিয়ম! আমি যখন বললাম পাশের বিদেশীটা কি করে চট করে চেক আউট করে গেল – তখন আর কিছু বলে না! এটা পরিষ্কার বৈষম্য – আমি সেটা জানালে অনেক বার সরি বলল। রিপোর্ট না করতে বলল – মাথা গরম হয়ে থাকলেও ভেবে দেখলাম যে মেয়েটি তার উপর দেওয়া নির্দেশ মত কাজ করছে মাত্র! হয়ত আগে কোনদিন এক ভারতীয় চেক আউটের সময় রুমের তোয়ালে এবং বাথরোব ব্যাগে ভরে নিয়ে চলে গিয়েছিল! চুরি করল কে আর ফল ভোগ করছে কে! আজকাল তাই অনেক হোটেলে দেখবেন লেখা থাকে বাথরোব আপনি নিয়ে চলে যেতেই পারেন – তবে সেই ক্ষেত্রে আপনার কার্ডে ‘এত টাকা’ চার্জ করে দেওয়া হবে!

    তো উপরের উদাহরণটি হল পাতি চুরির এবং জেনে শুনে বদমাইশির। এই লেখায় চুরি বা বদমাইশির দিকটা নিয়ে আলোচনা করব না – কারণ সেটা আমাদের হাতে নেই। আমি উল্লেখ করতে চাইব সেই সব দিকগুলি যেটা অনেক সময় আমাদের অজানা থাকে, অর্থাৎ না জেনে শিষ্টাচার ভঙ্গের দিকটা। সেই ক্ষেত্রে যদি আমরা ভ্রমণের শিষ্টাচার গুলি সম্মান করার দিকে জোর দিই তাহলে একটা সুস্থ এবং আনন্দদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করতে পারব যেখানে কোন তিক্ততা নিয়ে ফিরতে হবে না হয়ত!

    সে অনেক দিন আগের কথা – আমেরিকাতে হোয়াইট মাউন্টেনে গেছি ট্রেকিং-এ কিছু বন্ধু মিলে। তখন বয়েস অনেক কম। আমাদের হিমালয়ের কাছে হোয়াইট মাউন্টেন কিছুই নয়। আর এখানে যারা ট্রেক করেন তাঁরা সবাই জানেন যে ট্রেকিং এর সময় “লিভ নাথিং বিহাইন্ড”, অর্থাৎ ‘কিছু ফেলে আসবেন না” কিভাবে মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়। তো সেই ট্রেকিং এর সময় একদিন আগুপিছু করে সবাই হাঁটছি – আমি একটা আপেল খাচ্ছিলাম। খাওয়া শেষ হয়ে গেলে, আমি ভাবলাম এই আপেলের অবশিষ্ট অংশটি তো জৈব, এটা তো আর প্লাষ্টিক নয়! তাই খাওয়া আপেলটা পাশে ছুঁড়ে দিলাম – আমার পিছনে হাঁটছিল আমেরিকান এক বন্ধু – সে আমাকে কিছু বলল না – দেখলাম পাশে নেমে আমার ফেলে দেওয়া আপেলের টুকরোটা কুড়িয়ে সাথের পলিথিনে ঢুকিয়ে নিল। সেই দৃশ্য দেখে আমার এত লজ্জা লেগেছিল যে তার পর থেকে আর কোনদিন এই ভুল আর করি নি।

    আর একবার ফ্রান্সের ডিজন শহরে একটা কনফারেন্সে গিয়েছিলাম – কনফারেন্স শেষ হলে ডিজন শহরের মিউজিয়াম দেখছি আমরা কয়েকজন ছাত্র এবং আমাদের সুপার ভাইজার অ্যালিশন। মিউজিয়ামের একটা ঘরের মাঝে একটা পাথরের স্থাপত্য মূর্তি রাখা ছিল – চারিদিকে কোন বেড়া জাতীয় কিছু দেওয়া নেই। আমার কি মনে হল – মূর্তিটার গায়ে হাত দিলাম। অ্যালিশন সেটা দেখতে পেয়ে আমাকে একটু বকাবকি করল – বলল তুমি একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে চারশো বছরের একটা পুরানো প্রিজার্ভ করা মূর্তির গায়ে হাত দিচ্ছ! যে হাতে ঘাম আছে, সল্ট আছে ইত্যাদি! সেই দিনও খুব লজ্জা লেগেছিল। বলাই বাহুল্য এর পর থেকে সেই ভুল আর কোনদিন করি নি। এই ভারতে আমাদের কত মন্দির, মূর্তি যেগুলি হাজার বছরেরও বেশী পুরানো। সেগুলো ঘেরা থাকলে ঠিক আছে, কিন্তু তা না থাকলে আমি অনেককে দেখেছি তাদের ছুঁয়ে দেখতে এমনকি সেগুলোর উপর চেপে বসতেও। দেখে খুব কষ্ট হয়।

    আজকাল ইন্টারনেটে খুঁজলেই অনেক তথ্য পাওয়া যায় – তাছাড়া দেশ ভিত্তিতে অনেক সময় শিষ্টাচার আলাদা হয় – কিন্তু তবুও কিছু বেসিক অলিখিত নিয়ম তো থেকেই যায় যেগুলি প্রায় সব জায়গায় প্রযোজ্য। সেদিন একটা বই পড়ছিলাম “ট্রাভেল নাও” বলে – সেখানে দেখলাম একটা সুন্দর আর্টিকেল রয়েছে ভ্রমণের সময় কিভাবে শিষ্টাচারকে সম্মানের সাথে আমরা মেনে চলতে পারি তা জানিয়ে কিছু টিপস্‌ - খুব ভালো লাগলো – তাই ভাবলাম তার সারাংশ শেয়ার করি এখানে –

    পাহাড়ে বেড়াতে গেলে

    ১) সব সময় ‘কিছু ফেলে আসবেন না’ (লিভ নো ট্রেস) নীতি মেনে চলুনঃ সেই ভাবে দেখতে গেলে এই নীতি সব জায়গাতেই প্রযোজ্য, কিন্তু পাহাড়ে বেড়াতে গেলে এটা বিশেষ করে মনে রাখা দরকার। যদি স্থানীয় কেউ পরিষ্কার করতে চায় তাহলে ভাবুন কত কষ্ট হবে তার আপনার ছুঁড়ে ফেলা জিনিস খুঁজতে। আর পরিষ্কারের ব্যবস্থা না থাকলে তো কথাই নেই – আপনার ফেলা প্লাষ্টিক ইত্যাদি পরিবেশকে দুষিত করবে দিনের পর দিন। তাই নিজের সাথে একটা ময়লা ফেলার ব্যাগ নিয়ে চলা অভ্যাস করুন – এবং সেখানে সংগ্রহ করুণ আপনার ত্যাজ্য প্রত্যেকটা জিনিস – তা সে কলার খোসা, আপেলের ডাঁটি, পাতে পড়ে থাকা খাবার বা প্লাষ্টিকের জিনিস পত্র যাই হোক না কেন। যদি কুকুর বা অন্য কোন পোষ্য নিয়ে যান তাহলে সেই পোষ্যের পায়খানা পরিষ্কারের ব্যবস্থা রাখবেন সাথে। আর এই কিছু ফেলে না আসা নীতি মেনে চলা অনেক সহজ হয় যদি আপনি কেবল নির্দিষ্ট বা চিহ্নিত পথেই চলেন এবং আগে থেকে ঠিক করা ক্যাম্পের জায়গাতেই নিয়ম মেনে ক্যাম্প করেন। যদি নিজেই নিজের পথ তৈরী করে এগুতে থাকেন তাহলে আপনি সেখানকার সাম্যের তারতম্য ঘটাবেন – কোন গাছ-ফুলের ক্ষতি হবে, পাথর আলগা হতে থাকবে – মাটির ক্ষয় বেশী হবে যা পরে অন্য ট্রেকারদের বিপদে ফেলবে। আর নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া নিজের ইচ্ছে মত জায়গায় ক্যাম্প করলে সেই জায়গাটারও তো ক্ষতি করবেন। তাই অনুরোধ অ্যাডভেঞ্চেরাস হোন, কিন্তু একই সাথে পাহাড়কে সম্মান করতে শিখুন।

    ২) ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে সতর্ক হোনঃ আজকাল তো মোবাইল, গান শোনার আনুসঙ্গিক, ক্যামেরা আরো নানা আমোদের জিনিস নিয়ে অনেকে যান ট্রেকিং-এর সময়টা আনন্দে কাটাবার জন্য। এই সব যখন ব্যবহার করবেন তখন আশেপাশের অন্য অভিযাত্রীদের কথাও একটু ভাবুন। খুব সাধারণ জিনিস – যেমন সুন্দর দৃশ্যের ছবি সবাই তুলতে চায় – আপনিও তুলবেন, কিন্তু অন্যদেরও ছবি নেবার সুযোগ করে দিন! ভালো জায়গাটা ব্লক করে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন না প্লিজ। যদি মিউজিক শুনতে চান তাহলে ভ্যলুউমের দিকে নজর রাখুন যেন অন্য কারো অসুবিধা না হয়। আপনি গান শুনতে শুনতে চলতে ভালোবাসেন বলে বাকি অন্যরা সেটা ভালোবাসতে নাও পারেন।

    ৩) স্থানীয় লোকেদের পর্বত সংক্রান্ত বিশ্বাসের মর্যাদা রাখুনঃ পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের পাহাড়ের সাথে কিছু কিছু না লোককথা বা উপকথা জুড়ে নেই এটা হতে পারে না। যখন সেখানে বেড়াতে যাবেন স্থানীয় লোকেদের পাহাড়ের উপরে সেই বিশ্বাসের মর্যাদা দিন। যদি তারা বলে ‘এটা এখানে করা অশুভ’, ‘ওদিকে গেলে অকল্যাণ হতে পারে’ – সেগুলো তর্ক না করে মেনে চলুন। মনে রাখুন যে সেখানে আপনি কেবল মাত্র দুদিনের পর্যটক মাত্র – আর এটা ওদের বসবাসস্থল এবং সংস্কৃতি। যদি পাহাড়ী গ্রামের কারো সাথে দেখা হয়ে যায় এবং তা যদি অথিতিয়তা দেখায়, আপনিও ভালো ব্যবহার সহ অনুরূপ ব্যবহার করুন।

    ৪) অন্য ট্রেকার/হাইকারদের সম্ভাষণ করুনঃ অনেক সময় একটু হাসি, ‘গুড মর্নিং/আফটারনুন/ইভিনিং’ এই শব্দ গুলো অনেকের কাছে টনিকের কাজ করে। তাই অন্য হাইকার বা ট্রেকারদের সাথে দেখা হয়ে গেলে বিনা সম্ভাষণে চলে না এসে একটু ‘হাই’ ‘হ্যালো’ বলুন।

    ৫) রাইট অফ ওয়ে, অর্থাৎ আগে যাওয়ার অধিকারঃ এই জিনিসটা বেশ গোলমেলে ভারতে। নিয়ম মেনে রাস্তা চলাচলে আমাদের ঐতিহ্য খুব একটা ভালো নয়। তবুও পাহাড়ে মোটামুটি স্বীকৃত নিয়মগুলো একটু মনে রেখে দিন – রাস্তার অধিকার ক্রমহ্রাসমান গুরুত্ব অনুসারে এই রূপঃ

    বিশালাকায় জন্তু জানোয়ার > মালপত্র নিয়ে চলাচল করা স্থানীয় লোক > উপরে উঠতে থাকা ট্রেকার > নীচে নামতে থাকা ট্রেকার।

    অনেক পাহাড়ের গায়ে ঘোড়া বা গরু এই সব চড়তে দেখা যায়, এরা পাবে প্রথম প্রায়োরিটি। এর পরে প্রায়োরিটি পাবে মালপত্র (কাঠের বোঝা, লাগেজ, খাদ্যের বস্তা ইত্যাদি) নিয়ে আসা স্থানীয় লোকেরা। এর পরে আসবে ট্রেকাররা – উপরে যারা উঠছে তারা যাবে আগে, এবং নীচে নামতে থাকা ট্রেকাররা সব শেষে।

    ৬) পশু-পাখিদের খাবার দেবেন নাঃ ট্রেকিং এর সময় আমরা অনেক সময় পশু-পাখিদের দেখতে পাই এবং দয়া বশতঃ তাদের খেতে দিই অনেকে। কিন্তু প্লীজ এদের খাবার দেবেন না – কারণ আপনার দেওয়া খাবার ওদের রেগুলার ডায়াট নাও হতে পারে। তাই সেই খাবার ওদের সহ্য কিনা কে জানে! আর তাছাড়া এই ভাবে ক্রমাগত খাবার পেয়ে গেলে ওরা কুঁড়ে হবে যাবে এবং নিজেরা শিকার করা ভুলে যাবে। আর শিকার করা ভুলে যাওয়া যে কতটা ক্ষতিকারক সেটা আর আলাদা করে কি লিখব!

    তো এই গেল পাহাড়ে ভ্রমণের সময় আমাদের একজন দায়িত্বশীল পর্যটক হিসাবে কি কি নিয়ম মেনে চলা উচিত সেটার কেস। অনুরূপ ভাবে লিখে ফেলা যায় সমুদ্র বা মিউজিয়াম বা অন্য স্থাপত্য ভ্রমণ নিয়েও। তবে আজকের লেখা শেষ করি ভাবলাম হোটেল-এ থাকা কালীন কি প্রত্যাশা আমাদের উপরে থাকতে পারে সেই নিয়ে।

    বেড়াতে গিয়ে হোটেলে থাকার একটা খুব বেসিক নিয়ম হচ্ছে যে ‘খোলা’ মনে সেই হোটেলে থাকা। এখানে ধরে নিচ্ছি যে হোটেল কর্তৃপক্ষ আপনাকে আগে থেকেই চিটিং করে নি। তো দেখা গেছে যে আপনি যত খোলা মনে থাকতে পারবেন, হোটেলের কর্মচারী থেকে শুরু করে বাকি সার্ভিসও আপনি তত ভালো ভাবে এনজয় করছেন।

    ১) প্রত্যাশার মাপকাঠিঃ আগে থেকে নিজের মতন করে একটা প্রত্যাশা সেট করে নিন হোটেল বুক করার সময়। অর্থাৎ আপনি যে অনুপাতে খরচ করতে রাজী আছেন সেই অনুপাতে রিটার্ণ পেতে পারেন কিনা। এই খরচ এবং সার্ভিসের একটা সঠিক ব্যালেন্সড ধারণা থাকলে আপনাকে হোটেলে চেক ইন করে হতাশ হতে হবে না। ধরুণ আমি দিতে রাজী আছি একটা টু-স্টার হোটেলের রুম রেন্ট, কিন্তু তখন ফাইভ-স্টার সার্ভিস আশা করলে হবে না! মনে রাখবেন এই হোটেল ইন্ডাষ্ট্রিতে আপনি যত গুড় দেবেন তত মিষ্টী হবে – আমি কর্মচারীদের বযবহারের কথা বলছি না। বলছি হোটেলের ফেসিলিটির কথা। আগে থেকে ওয়েবসাইটে দেখে নিতে পারেন কি কি ওদের ফেসিলিটি আছে এবং হোটেলের থেকে ভিউ কেমন হতে পারে। আগে থেকে যত বেশী জেনে যাবেন, তত কম হতাশ হবার সম্ভাবনা।

    ২) হোটেলের রুম থেকে কি কি জিনিস আপনি নিতে পারেন – এই প্রশ্নটা খুব বেশী জটিল না, যদি না আমরা নিজেরা জটিল করে ফেলি। আমি শুধু থাকতে গেছি রুমে – তাই আমার কিছুই সেই রুম থেকে নিয়ে আসা উচিত নয়। কিন্তু হোটেলওলারা কিছু মনে করে না বা চার্জ করে না আপনি যদি শ্যাম্পু বা লোশনের ছোট বটল গুলো বা সাবান – বা পেন এবং মাথার গোড়ায় থাকা ছোট নোটপ্যাড এগুলো নেন। লক্ষ্য করে দেখবেন যে যখন রুম সার্ভিস করতে আসে তখন এরা পেন, প্যাড এসব এক্সর্টা সাথে করে নিয়ে কারণ এরা ধরেই নেয় যে এগুলো অনেকেই নিয়ে যায়। কিন্তু আর একটু বড় আইটেম যেমন – লন্ড্রি ব্যাগ, জুতো পালিশ করে রাখার ব্যাগ এগুলো ওরা এক্সপেক্ট করে না যে আপনি সাথে করে নিয়ে যাবেন – যদিও আপনি নিয়ে গেলে হোটেল চার্জ করে না কিছু। হোটেলে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে যে অনেকে আবার টিভির রিমোট থেকে ব্যাটারী পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়! কিন্তু আপনি যদি বালিশ, কভার, তোয়ালে বা বাথরোব এই সব কিছু নিয়ে আসেন তাহলে খুব সম্ভবত হোটেল আপনাকে চার্জ করবে।

    ৩) হোটেলে ঘোরাঘুরির সময় একটু ভদ্র-সভ্য ব্যবহারঃ হোটেলে অনেক ধরণের অতিথি আসে – পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে। তাই যখন হোটেলের অন্য কোন রুমের পাশ দিয়ে যাবেন তখন একটু আসতে কথা বলা ভালো, কারণ হয়ত সেই ঘরের লোকটা এই মাত্র সারা রাতের জার্নি করে এল! সঙ্গে বাচ্ছা থাকলে একটু বেশী সতর্ক থাকা উচিত। কারণ বাচ্ছারা বোঝে না – এবং ওই বয়সে ওরা ছোটাছুটি করবেই। তাই হোটেলের মধ্যে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা বাবা-মা বা অভিভাবকদেরই কাজ। খুব ছোট্ট ছোট্ট জিনিস যেমন ‘প্লীজ’ এবং ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ এর অচেনা পরিবেশে অনেক সময় ম্যাজিকের মতন কাজ করে।

    ৪) হোটেলের মধ্যে যেই জায়গায় থাকবেন সেখানকার মতন আচরণ করুনঃ ধরুণ আপনি হোটেলের মধ্যে বাচ্ছাদের খেলার জায়গায় গেছেন, সেখানে দল বেঁধে বড়রা গিয়ে গল্প না জুড়লেই ভালো। বা ধরুন ম্যাসাজ বা স্পা নিতে গেছেন – সেখানে একটু শান্ত পরিবেশ এক্সপেক্ট করে সবাই, তাই সেটা নজরে রেখে আস্তে কথা বার্তা পালন করুন। যদি রেষ্টুরান্ট থাকেন যেখানে নিয়ম মেনে খাবার চেষ্টা করুন। যেমন সকালের ব্রেকফাষ্ট – অনেক জায়গায় ব্যুফে থাকে, ব্যুফে মানে সেখানে বসে খেয়ে আসা – ব্যাগে ভরে দুপুরের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া নয়! দুঃখের বিষয় এটা খুব খুব কমন ব্যাপার একটা। অনেকে আশেপাশে একটু দেখে নিয়ে ভাবেন কেউ দেখছে না – তাঁরা ভুলে যান যে বেশীর ভাগ জায়গায় সি সি টি ভি ক্যামেরা লাগানো থাকে। ভাবুন একবার – আমি দিনে ৫-১০-১৫-২০ হাজার টাকা রুম ভাড়া দিয়ে হোটেলে থাকছি, কিন্তু ব্যাগে ২০ টাকা দামের আপেল, লেবু ভরছি! হ্যাঁ, খাবার শেষে আপনি হাতে একটা কলা, বা আপেল বা লেবু নিয়ে উঠে গেলেন সেটা খুব কমন। কিন্তু এর বেশী নয়। যদি হোটেলের লাউঞ্জে বসে থাকেন তাহলে সেখান থেকে জোরে জোরে মোবাইল ফোনে কথা না বলাই ভালো। বেশীক্ষণ কথা বলতে গেলে একটু উঠে পাশে যাওয়াই বেটার। অনেক সময় বাচ্চাদের মুড খারাপ থাকে, জোরে কান্না কাটি করে – অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। শাসন করতে হলে রুমে বা খালি জায়গায় গিয়ে করুন।

    ৫) অন্য সহভ্রমনকারীদের সম্মান করুণঃ মনে রাখবেন যে হোটেলের দেওয়াল সাধারনত খুব পাতলা হয়। ভাবুন একবার যে আপনি অনেক রাতে ক্লান্ত হয়ে এসে ঘুমাবার চেষ্টা করছে আর পাশের ঘরে থেকে খুব চিৎকার এবং টিভি বা খুব জোরে মিউজিক ভেসে আসছে। কেমন মনে হবে আপনার? সেই মত ভেবে আচরণ করুন। হ্যাঁ, আমরা সবাই আনন্দ করার জন্যই বেড়াতে গেছি, কিন্তু তা যেন অন্যের অসুবিধা সৃষ্টি না করে হয়। সেই খানেই আমাদের মনুষ্যত্বের পরিচয় থাকবে।

    ৬) হোটেল কর্মচারীদের সাথে ব্যবহারঃ যতটা পারবেন কর্মচারীদের সাথে ভালো ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। বেশীর ভাগ সময়েই ভালো ব্যবহার বেশী কার্যকারী হয় চিৎকার চেঁচামাচীর থেকে। মনে রাখবেন এরা অনেকেরই বেতন খুব কম আর বেশীর ভাগ দেশে এদের জব-গ্যারান্টি বলে কিছু নেই। ওরা জানে যে আপনি নালিশ করলে ওর চাকুরী পর্যন্ত চলে যেতে পারে। তাই সাধারণত এরা ইচ্ছে করে আপনার অসুবিধার সৃষ্টি করবে না। যদি দেখেন আপনার যা সার্ভিস পাওয়া উচিত তা পাচ্ছেন না, তাহলে সেই স্টাফকে একটা সুযোগ দিন তার ব্যবহার ঠিক করার। তার পরে নালিশ করা তো পরে রইলই!

    ৭) সুইমিং পুলের ব্যবহারঃ সুইমিং পুল ব্যবহার করার সময় সঠিক পোষাক ব্যবহার করুন। এই ড্রেস কোড কোন আঁতলামর জন্য বানানো হয় নি – বরং জলের পিওরিটি বজায় রাখতে এটা খুব জরুরী। না হলে নানা লোকের ব্যবহার করা জল থেকে চর্মরোগ এবং ইনফেকশন হতে বেশী সময় লাগবে না। আর সুইমিং পুলে নামার আগে পাশের শাওয়ার থেকে গায়ে জল ঢেলে নিন – কারণ একই, জলকে সুস্থ রাখার চেষ্টা। বাচ্ছাদের জলে নামাবার আগে জলের গভীরতা দেখে নেবেন। যদি সাঁতার না জানেন তাহলে জলে নামার আগে দেখে নেবেন যে পুল-গার্ড হাজির আছে কিনা।

    ৮) ফিটনেস সেন্টারের ব্যবহারঃ হোটেলের জিম ব্যবহার করলে খেয়াল রাখুন যে কোন একটা মেশিন যেন ব্যালেন্সেড ভাবে ব্যবহৃত হয়। মানে ধরুণ একটাই মাত্র ট্রেডমিল আছে – সেক্ষেত্রে অনেকে হয়ত আপনার পর সেটা ব্যবহার করবে বলে অপেক্ষা করছে। এটা একটু খেয়াল রাখবেন। আর মেশিন পত্র ব্যবহারের শেষে নিজের ঘাম ইত্যাদি ট্যিসু দিয়ে মুছে দেবেন, পাশেই দেখবেন টিস্যু রাখা থাকে। অপরের ঘাম লেগে থাকা জিনিস কে আর ব্যবহার করতে চায়!

    ৯) বখশিসঃ এটা সম্পূর্ণ নিজের ব্যাপার, তবে অনেক দেশে এটা কিন্তু একটা প্রায় নিয়মের মত। যেমন আমেরিকায় ১০-১৫% বখশিস (টোটাল বিলের) খুব কম যদি রেষ্টুরান্টে খেতে যান। হোটেলের পোর্টার বা রুম সার্ভিস বা ক্লিনিং লেডিকে বখশিস দেওয়াটাও রেওয়াজ। কিন্তু ইউরোপের বেশির ভাগ জায়গায় টিপ্সের তেমন চল নেই। আপনি না দিলেও কেউ ভ্রু কুঁচকে তাকাবে না। আজকাল ভারতে এই ১৮% জি এস টি এসে বখশিসের ব্যাপারটা অনেকটা উঠে গেছে।

    ১০) হোটেল রুমের ব্যবহারঃ পারলে রুমটা একটু গোছানো ভাবে ব্যবহার করুণ। জিনিস পত্র নানা দিকে ছড়িয়ে থাকলে রুম পরিষ্কারের বিশাল অসুবিধা। এটা একটু ভেবে দেখবেন। দরজায় ঠিক মতন সাইন-এর ব্যবহার করুন – ডোন্ট ডিস্টার্ব বা মেক মাই রুম যেমনটা প্রোজয্য। নিজের দামী জিনিসগুলো বাইরে বেরুবার সময় রুমের লকারে রেখে দিন। আর সেই লকাদের যা পাসওয়ার্ড সেট করবেন সেটা আপনি ছাড়াও আপনার সাথীকে বলে রাখুন – ইনকেস যদি ভুলে যান। পাসপোর্ট হাতছাড়া করবেন না। আমি তো বলব পাসপোর্ট লকারে রেখে যাবেন না। বাইরে গেলে সাথে নিয়ে ঘুরুন।

    এই মোটামুটি দাঁড়ালো – আবারো বলছি এই সব বেশীর ভাগটাই কমন সেন্স। একটা ভালো ইম্প্রেশন রেখে আসার কথা ভাবুন, দেখবেন নিজেরই ভালো লাগছে আর সেই স্মৃতি বহুবছর পরেও আপনার সাথে থেকে যাবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ৩১ অক্টোবর ২০২০ | ৩৭৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 103.195.***.*** | ৩১ অক্টোবর ২০২০ ২১:৫৬99468
  • অসাধারন লেখা, সুকান্ত বাবুর অন্য অনেক লেখার মতোই এটাও পড়তে দারুন লাগলো। ঘুরতে গিয়ে নানারকম ইন্টারেস্টিং অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে। এর মধ্যে সবচে মজার দুটো মনে পড়ছে। ফ্যামিলি নিয়ে একটা ডে ট্রিপে গিয়েছি, আমাদের গাইড ছিলেন একটি ছেলে আর একটি মেয়ে। এই দুজনের সাথে আমার খুব আলাপ হয়ে গেছিল, আমার মেয়ের সাথেও ওদের ভালো জমেছিল। বেশ খানিকক্ষন পরে মেয়েটি জিগ্যেস করেছিল, তোমরা কোন দেশের? আমি যেই বলেছি ইন্ডিয়ান, মেয়েটি বলে উঠেছে, ইন্ডিয়ান? কিন্তু ইন্ডিয়ানরা তো!...এই অবধি বলে মেয়েটি ঢোক গিলে বলে, মানে তোমরা তো খুব ভদ্র আর ভালো, তাই ভাবছিলাম....


    আমি পরিষ্কার বুঝলাম কি বলতে গেছিল, তো বললাম, সব ইন্ডিয়ান কি আর এক রকম? আর আমরা আসছি ইন্ডিয়ার সাদার্ন পার্ট থেকে, সেখানের লোকজন খুব ভালো হয়। 


    আরেকবার অনেক বছর আগে, স্কিপোল এয়ারপোর্টে লে-ওভারে বসে বসে এক ইজরায়েলির সাথে আলাপ হয়েছে। সেও আমাকে জিগ্যেস করেছে, তুমি কোন দেশের? আমি যেই বলেছি ইন্ডিয়ান, বলে ও, তুমি আইটি গাই? ইন্ডিয়ান মানেই আমি জানি আইটি। তাতে আমি বল্লাম, তাহলে কি তুমি মোসাদ, কারন আমি জানি ইসরায়েলি মানেই মোসাদ আর অপারেশান থান্ডারবোল্ট। তখন দুজনেই  খুব হাসলাম।  আর হোটেলে দোকানে কফি শপে কতোরকম বিচিত্র অভিজ্ঞতা যে হয়েছে সে আর বলার নয়। একবার এক হোটেলে লাইভ ব্যান্ড শেকিন স্টিভেন্স এর গান গেয়ে শুনিয়েছিল, পরে গিয়ে লিড সিঙ্গার এর সাথে আলাপ করেছিলাম, বলেছিলাম এটা আমার খুব প্রিয় গান, ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়লো। তারপর অনেকক্ষন আড্ডা মেরেছিলাম। 


    সুকান্তবাবুকে ধন্যবাদ :-) 

  • Ranjan Roy | ০১ নভেম্বর ২০২০ ০০:০২99471
  • গ্রেট সুকি!


        ভারতের হোটেলেও তোয়ালে ইত্যাদি মেরে দেওয়া, স্টাফদের ধমকানো দুর্ব্যবহার অনেকবার চোখে পড়ে। লাইনে এগিয়ে যাওয়া, বুফেতে হাভাতেপনা, লাউড ব্যবহার বাঙালি পর্যটকদের মধ্যে বেশি দেখেছি। অবশ্য আমার  স্যাম্পলই যে রিপ্রেজেন্টেটিভ এমন দাবি করছিনা। কিন্তু করণীয় এবং অ-করণীয় কাজের লিস্টটি মূল্যবান।

  • অরিন | 161.65.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৪০99477
  • অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যাণ্ডে কেউ টিপস দেয় না, বেয়ারারা টিপস পাবে এমন আশাও করে না। তবে কাফেতে খেতে গেলে খাওয়া শেষ হলে কাপ প্লেট কাউন্টারে রেখে আসাটাই রীতি। তা একবার কলকাতায় একটি কাফেতে খাওয়া শেষ করে আমি কাপ প্লেট কাউন্টারে নামিয়ে রাখতে গেছি অভ্যাস বশত। কাউন্টারের ছেলেটি অবাক । পরে দু একবার যাবার পর খুব ভাল ব্যবহার করতেন ।


    আসলে দেখবেন যা লিখেছেন সবটাই বেসিক কার্টসির ব্যাপার । অনেকে মানে না, অনেকে জানে না। 

  • a | 110.174.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০২০ ০৭:২৩99484
  • এ বিষয়ে পুরু শেষ কথা বলে গেছেন--্যেমন ব্যবহার আপনি আশা করেন সেরকমটাই অন্যের সাথে করবেন। 


    এয়ার বি এন্স বির ক্ষেত্রে আরেকটু যত্নবান হবেন বিশেষত কারুর বাড়ি 

  • dc | 103.195.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০২০ ০৯:১৮99488
  • a একেবারে খাঁটি কথাটা বলে দিয়েছেন :-) আর এটা শুধু বেড়ানোর সময়ে না, যেকোন জায়গাতেই সত্যি। যেমন ব্যবহার আমি নিজে আশা করি, সেরকমই ব্যবহার আমি অন্যদের সাথে করি। অনেকবার দেখেছি, অন্যদের সাথে ভালো ব্যবহার করলেই তারা খুব খুশী হয়ে ভালো ব্যবহার ফেরত দেয়।  

  • সম্বিৎ | ০১ নভেম্বর ২০২০ ০৯:৪২99490
  • সুকির লেখা যেরকম হয়, মোস্টলি খুব ভাল আর দুর্দান্তর মাঝামাঝি। আর টপিকগুলোও বাছে খাসা।


    আমার এই কার্টসি, আদব-কায়দা এসব নিয়ে একটা থিওরি আছে। দেখেছি খেটে যায়। যে যত হাই-পপুলেশন ঘিঞ্জি জায়গায় বড় হয়েছে, তার কার্টসি-সেন্স তত অ্যাগ্রেসিভ। এ ব্যাপারে ভারতীয়দের খুব কাছে থাকবে চীনেরা।


    পপুলেশন দাদা, পপুলেশন। লড়াই না করলে যেখানে রেশনের চাল অব্দি মেলে না, সেখানে ভদ্রতা চুলোয় যাক। রক্তে মিশুক 'লড়কে লেঙ্গে বুফেকা আইটেম'।

  • শিবাংশু | ০১ নভেম্বর ২০২০ ১০:০৫99491
  • খুব প্রাসঙ্গিক লেখা। এখানে বিদেশী অনুষঙ্গগুলি বেশি এসেছে। দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তের পর্যটকদেরও মধ্যেও অনেক ধরনের ব্যবহারবিধি দেখা যায়। কিছু মজার, কিছু দুঃখজনক। আমাদের রক্তে আছে বর্ণাশ্রম আর অনুশাসনহীনতা।  

  • সুকি | 165.225.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০২০ ১২:০১99504
  • ডিসি, রঞ্জনদা, অরিন-দা, ন্যাড়াদা, এ, শিবাংশুদা এবং আরো যারা পড়লেন তাঁদের ধন্যবাদ


    ডিসি, আপনার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবার জন্য ধন্যবাদ। অনুরূপ অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার নিজেরও। তেমন কিছু করার নেই বলে প্রবোধ দিয়েছি নিজেকে।


    অরিন-দা - একমত। বেশীর ভাগটাই বেসিক কার্টসি এবং কমন সেন্সের ব্যাপার। তাই সেটার উল্লেখ করে দিয়েছি আলাদা করে লেখায়।


    রঞ্জন-দা,  আপনার পর্যবেক্ষণ সত্যি বলে আমিও শুনেছি। বাঙালি টুরিষ্টের তেমন ভালো নাম নেই। তবে এই ব্যাপারে আমার নিজের অভিজ্ঞতা কম। খুব বেশী কাছ থেকে দেখা হ্য় নি ।


    ন্যাড়াদা - আমার নিজেরও অন্যালেসিস একই সিদ্ধান্তে পৌঁছাছে যে কম্পিটিশন থাকলে অনেক সময় অনেক কিছু এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং সেটা প্রায় 'স্বাভাবিক' ইনস্টিঙ্কট হয়ে ওঠে একসময়। সিম্পল একজাম্পেল, বিদেশে অনেক জায়গায় ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখেছি যে একটা স্বাভাবিক সরল কাজ করতে এত সময় নেয় যে এদের দিয়ে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক একবেলা চালানো দুষ্কর হয়ে উঠবে! বা এরা নিজেরাই রিজাইন করে দেবে! তবে কম্পিটিশনের ব্যাপারে আউটলেয়ার তো আছেই - এই এশিয়াতেও। যেমন সিঙ্গাপুর বা জাপান। এত বেশী কম্পিটিটিভ, কিন্তু বেসিক কার্টসী মেনেই চলে সবাই মোটামুটি।


    শিবাংশু-দা, আসলে ভারতের ভিতর আমার বেড়াবার অভিজ্ঞতা খুব বেশী নয় - আপনার তুলনায় তো কিছুই নয়। তাই লেখায় নিজের দেখাটা বলতে গিয়ে বিদেশের গল্প চলে এসেছে। 

  • Amit | 121.2.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৪২99549
  • ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে সুকি। খুব দরকারি পয়েন্ট সবকটাই। বিশেষ করে ইন্ডিয়ানদের পাবলিক প্লেস বা ইভেন অফিস বিহেভিয়ার এটিকেটস  এতো বাজে যে বলার নয়। মাল্টিন্যাশনাল বা মাল্টিকালচারাল জায়গা বা অফিসে কয়েকটা ইন্ডিয়ান এক হলেই জোরে জোরে হিন্দিতে বা নিজের মাতৃভাষায় কথা বলা যে বাকিদের কাছে কতোটা ইরিটেটিং - সেটা বোঝার কমন সেন্সই নেই বেশির ভাগের। 

  • একলহমা | ০২ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৪২99551
  • খুব ভালো লাগল সুকি। সেটাই অবশ্য স্বাভাবিক। :) 


    তিনটি দশক ধরে বাইরে থেকে পরবাসকেই স্বদেশ করে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় এই কমনসেন্সের চর্চাটা বড় প্রাপ্তি।


    ন‍্যাড়াদার পয়েন্টের সাথেও নিজেকে মেলাতে পারি।

  • kaktarua | 208.66.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০২০ ২৩:২২99574
  • ভারতীয়দের এই কমন সেন্সগুলো না থাকার আরেকটা কারণ কোথাও এগুলো শেখানো হয় না বা বলা হয় না। স্কুলেও  বা এই সহজ সরল কথা গুলো কোথায় সেখান হয়? কানাডায় দেখি স্কুল এর প্রাইমারি ক্লাস গুলো তে পড়াশোনা তো কিছুই হয় না বরং শিষ্টাচার, স্বাস্থ্য ,জীবনবোধ, ইমোশন ম্যানেজমেন্ট, কালচারাল ডাইভারসিটি এইসব শিক্ষাতেই বেশ কয়েক বছর লেগে থাকে। এই ধরণের লেখা বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ হওয়া খুব জরুরি। 

  • r2h | 73.106.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০২০ ২৩:৫৪99576
  • আমেরিকায় গিয়ে লোকেদের সুভদ্র ব্যবহারে ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে যেতে যেতে একবার গ্রেহাউন্ড চেপে পেন স্টেশনে নেমে এক্কেবারে অ্যাট হোম ফিল করেছিলাম, ন্যাড়াদার তত্ত্বটা রিয়েলাইজ করেছিলাম।

    তবে সবাই ভারতীয়দের এত গাল দিচ্ছেন, খবিশ সাহেব কী আর নেই? বিলিতি জোকবুকগুলোতে তো তোয়ালে নিয়ে যাওয়া টাওয়া হামেশাই থাকতো।

    জাতিগত বৈষম্য, প্রোফাইলিং - যত তিক্ত পূর্ব অভিজ্ঞতাই থাকুক, কোন কিছু দিয়েই জাস্টিফাই করার আমি ঘোরতর বিপক্ষে। আন্তর্জাতিক খদ্দের নিয়ে ব্যবসা করতে হলে কালচারাল কন্ডিশনিং, ডেমোগ্রাফিক মাথায় রেখেই করতে হবে।

    আরেকটা আমার বিরক্তি লাগে আমেরিকায় টিপের দাবি। আমি এমনিতে ঘোরতর সাধ্যবিত্ত এবং, ফলতঃ কিপ্টে হলেও হাত খুলে টিপ দিতে ভালোবাসি, ছোটবেলায় একটা গল্প পড়েছিলাম, একটা বাচ্চা ছেলে আইস্ক্রিমের দোকানে গিয়ে দোকানীকে দাম জিজ্ঞেস করে করে ব্যতিব্যস্ত করে দিয়েছে, তারপর সব্চে সস্তা আইস্ক্রিমটা কিনেছে, কিন্তু তারপরও তার কাছে পয়সা আছে দেখে দোকানী অবাক হওয়াতে সে বললো, তোমাকে টিপ দিতে হবে যে! - তো ঐটা মাথায় থাকে। কিন্তু আমেরিকায় টিপের দাবীর পক্ষে যুক্তি দেয় ওয়েটারদের মাইনে কম। তো মালিকদের বলনা বাপু মাইনে বাড়াতে! বড় বড় কর্পো চেনে তো ছেয়ে আছে, ওরা এত কম মাইনে দেয় কেন?

    সর্ষের তেল মেখে সুইমিং পুলে নামা বা বেয়ারাকে ধমকানো খুবই খারাপ, তবে প্রথম বিশ্বের সাহেবসুবোরাও আমাদের পাড়ায় গিয়ে কম বেয়াদপি করে না। তাই এটিকেট শেখা ভালো এবং জরুরী তবে ভারতীয়দের গাল দেওয়ার মানে নেই।

    এই প্রসঙ্গে মনে পড়লো, একটা উচ্চ্মার্গের মিটিংএ ক্রেতাপক্ষ সব (দক্ষিণ) ভারতীয় আর বিক্রেতাপক্ষ আমেরিকান। আমেরিকানরা বারবার দক্ষিনী উচ্চারন বুঝতে পারছে না, মাপ করুন মাপ করুন বলছে। বিক্রেতাপক্ষের দলপতি বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন, দেখো বাপু, আইটি মার্কেটে টিকে থাকতে চাইলে ভারতীয় উচ্চারনে একটু অভ্যস্ত হয়ে এসো।

  • অরিন | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০০:৪৬99579
  • দক্ষিণীদের মাথা নাড়ানো সায়েবদের বেজায় ঘেঁটে দেয়। 

  • Amit | 121.2.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৫২99582
  • কিন্তু সুকি তো বলেনি বাকিরা সবাই ভালো। জাস্ট এটা যেহেতু মেনলি বাঙালি আকা ভারতীয়দের ফোরাম, তাই আমাদের জেনারেল ড্র-ব্যাক গুলোই  জাস্ট পয়েন্ট আউট করছে মনে হলো। ঠিকই লাগলো ।  

  • সুকি | 165.225.***.*** | ০৪ নভেম্বর ২০২০ ১৮:১০99623
  • একলহমাদা, কাকতাড়ুয়া, হুতো - ধন্যবাদ।


    অরিনদা, এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন - আমি নিজে এটা অনেকদিন খেয়াল করি নি। একবার আমার বন্ধু শন্‌ বলছিল যে ওকে এক ইন্সপেকশন ম্যানেজার রিপোর্ট করে, সে সাউথ ইন্ডিয়ান। শন বলে সে মাথা নাড়ালেই আমি বলি - উহঁ, ওই ফাঁদে আমি আর পা দিচ্ছি না - মাথা নাড়াবে নাড়াও, কিন্তু মুখে বল কাজটা হবে কি হবে না :)


    হুতো, আমি ভারতীয়দের গাল দিচ্ছি না। অমিতাভদা যে বলল, এটা বাঙালি-ভারতীয় ফোরাম বলে এবং আমি নিজে ভারতীয় হিসাবে প্রোফাইলিং এর শিকার হই বলে এই প্রসঙ্গ এসেছে। এমন কোনই দাবী নেই যে বাকি দেশের টুরিষ্ট সবাই ভদ্র - এবং সেটা লিখেওছি। ভালো-মন্দ সব মিলে মিশেই আছে সব দেশে - অনুপাতের তফাত আর কম্পিটিশনের (ন্যাড়াদা উল্লিখিত) এই যা। 

  • :D | 109.7.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০২০ ০৭:২৭99645
  • অনেকে ব্রেকফাস্টে সবার আগে ডেসার্ট সেকশনে দুহাতে দুই প্ল্যাটার নিয়ে সব ডিলেকটেবল জিনিস বোঝাই করে টেবিলে নিয়ে এসে অন্যান্য খাবার আনে!

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন