এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলতান ও ইলিনা  - ৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৯১ বার পঠিত
  • | | |
    ( ৩ )

    সল্টলেকের দেবপ্রভ রাহা। কলতানের ফোন ধরে বললেন, ' হ্যালো ... প্লিজ হোল্ড অন ... '
    বলে কার সঙ্গে যেন কথা বলতে লাগল। বেলা সাড়ে বারোটা বাজে। নিশ্চয়ই দেবপ্রভ এখন অফিসে আছে। যেটুকু আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, মনে হচ্ছে কাউকে কোন কাজের ব্যাপারে কিছু নির্দেশ দিচ্ছে। যাকে বলছে তারও গলার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। সে মনে হচ্ছে, দেবপ্রভর সঙ্গে কোন একটা ব্যাপার নিয়ে তর্কাতর্কি করছে।
    কলতান ফোন ছাড়ল না। ফোন ধরে রইল।
    প্রায় চার মিনিট পরে ওদিক থেকে আওয়াজ এল, ' হ্যাঁ ... বলুন ... এভাবে আমাকে ফোন করে কোন লাভ হবে না ... টেন্ডার কল করা হলেই নোটিস ইস্যু করা হবে। তার আগে এসব কেন যে আপনারা করেন মিছিমিছি ... '
    কলতান বলল, ' না মিস্টার রাহা সে সব না ... '
    --- ' তবে কি ? সুধীরবাবু বলছেন তো ? '
    --- ' না না আপনার ভুল হচ্ছে দাদা। আমার কথাটা একটু শুনুন ... '
    --- ' হ্যাঁ কি ... বলুন ... '
    --- ' আমি অমৃতাংশু এবং ইলিনার কমন ফ্রেন্ড বলতে পারেন ... '
    ওদিক থেকে অস্ফূটে আওয়াজ এল, ' অ আচ্ছা ... নমস্কার... বলুন ... '
    --- ' অমৃতাংশুর স্যাড ইনসিডেন্টটা তো আপনি জানেন ... ইন ফ্যাক্ট আপনিই সবচেয়ে ভাল জানেন ... '
    --- ' তার মানে ? '
    --- ' মানে বলছি যে,আপনি ওর খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড। কলকাতায় বলতে গেলে অমৃতাংশু ইলিনার একমাত্র কানেকশন। মৃত্যুর আগেও লাস্ট কানেকশন আপনার সঙ্গেই হয়েছিল, আপনাদের বিবাহবার্ষিকী পার্টিতে .... '
    --- ' তা ... ঠিক। ওরা তো বিদেশে ছিল। এখানে তেমন অ্যাসোসিয়েশন কিছু ছিল না। তাই ... '
    --- ' নানা ব্যাপারে আপনার হেল্প নিত। সেটা শুনেছি। আপনি নিশ্চয়ই জানেন এই ডেথ কেসটার ব্যাপারে পুলিশ নানা ভাবে জল ঘোলা করছে এবং অমৃতাংশুর স্ত্রীকে হ্যারাস করছে। সেটা তো ঠিক না। পি এম রিপোর্ট বলছে তার স্টম্যাকে নাকি পয়জন পাওয়া গেছে। কিন্তু ও তো লাস্ট টাইম ফুড কনজিউম করেছে আপনার পার্টিতে .... '
    কথাটা শুনে দেবপ্রভর স্বরে উত্তেজনার আঁচ লাগল, ' আরে মশাই, এত জানেন আর এটা বুঝতে পারছেন না ... ওই একই ফুড তো অন্য গেস্টরাও কনজিউম করেছে ... '
    কলতান নরম গলায় বলল, ' অ্যাবসোলিউটলি কারেক্ট মিস্টার রাহা ... সে ব্যাপারে আমার কোন বক্তব্য নেই। ওটা পুলিশ ডিপার্টমেন্টের দেখার কথা। আমি শুধু আপনার সঙ্গে একটু কথা বলতে চাই কেসটা সলভ করার ব্যাপারে অন্য কোন রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায় কিনা সেই পারপাজে ... '
    --- ' আপনাকে কেস সলভ করার ভার কে দিল ? ইলিনার তো একজন লইয়ার আছে ... সে যথেষ্ট কম্পিটেন্ট বলে জানি ... '
    --- ' হ্যাঁ, তা হবে হয়ত। তার সঙ্গেও অবশ্যই যোগাযোগ করব। তবে লইয়ার তো ল - এর বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারবেন না। আমার কিন্তু আউট অফ দা বক্স খেলার অভ্যেস আছে। তার আগে কয়েকটা ব্যাপারে আপনার সঙ্গে কথা একটু কথা বলতে চাই। সেটা কালকের মধ্যে হলেই ভাল হয় ... '
    এখানে দেবপ্রভ কিছুটা অসহিষ্ণু গলায় বলে উঠল, ' আপনার পরিচয়টা ঠিক বুঝতে পারলাম না। আপনি কি অ্যাকচুয়ালি পুলিশ লাইনের লোক ? '
    --- ' না না ... আমি কোন লাইনের নই। বরং কিছুটা বেলাইনের বলতে পারেন। ওই যে বললাম না আউট অফ দা বক্স ... মানে, নিজের মতো করে একটু আধটু চেষ্টা করি ... '
    দেবপ্রভ কিছুক্ষণ নিস্তব্ধ হয়ে গেল। বোধহয় পরিস্থিতি বুঝে নেবার চেষ্টা করছে।
    কলতান দুবার ' হ্যালো হ্যালো ' বলল।
    দেবপ্রভ বলল, ' হুঁ ... আপনার নামটা জানা হল না ... '
    --- ' নাম শুনলে আপনি কি আমাকে চিনবেন ? আমি কোন ফেমাস লোক না। কেউ বিপদে পড়ে আমার সাহায্য চাইলে আমি আমার সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি .... '
    --- ' হুঁ ... তবু পরিচয় যখন হল, আপনার নামটা ... '
    --- ' আমার নাম কলতান গুপ্ত ... '
    --- ' কল...তা...ন গুপ্ত ... ও আচ্ছা। বুঝতে পেরেছি ... ইলিনার সঙ্গে আপনার যোগাযোগ হল কি করে ? ' দেবপ্রভ বলল।
    --- ' ওই যে বললাম না... পারিবারিক বন্ধু ... '
    --- ' আচ্ছা ওসব কথা বাদ দিন। আমি আপনার নামের সঙ্গে যথেষ্ট পরিচিত। বউবাজারে দত্ত জুয়েলার্স বলে একটা জুয়েলারির দোকানের বেশ কমপ্লিকেটেড একটা কেস আপনি সলভ করেছিলেন। খুব ভালভাবে জানি। ওরা আমাদের ফার্মের ক্লায়েন্ট ছিল ... ', দেবপ্রভ বলল।
    --- ' তা'লে তো আর কোন অসুবিধে রইল না। আমরা তা'লে কবে মিট করছি ? '
    --- ' কাল সানডে। সকালের দিকেই আসুন। এখানে ব্রেকফাস্ট করবেন ... '
    --- ' এক্সকিউজ মি ... ওসব করতে যাবেন না। একসেপ্ট করতে পারব না। ওসব এখন পেনডিং থাক। আগে ভাল করে আলাপ হোক আপনাদের সঙ্গে। তারপর দেখা যাবে। আপনার মিসেসকেও থাকতে বলবেন। দরকার হতে পারে ... '
    --- ' হুঁ ... আসুন ... '
    --- ' থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ ... '
    কলতান লাইন কেটে দিল।

    এরপর ইলিনার আইনজীবি বিক্রমজিৎ নিয়োগীকে ফোনে ধরল।
    বারো চোদ্দবার রিং হবার পর ফোন তোলা হল।
    ওদিক থেকে আলতোস্বরে গম্ভীর আওয়াজ এল, 'হ্যালো'।
    কলতান সরাসরি বলল, ' মিস্টার বিক্রমজিৎ নিয়োগী বলছেন ? '
    --- ' বলছি '
    কলতান কোন ভূমিকা না করে সরাসরি বলল,
    ' আমি কলতান গুপ্ত বলছি। নাম শুনলেও শুনে থাকতে পারেন। প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর। আমি মিসেস ইলিনা স্নাইডার সেনের হাসব্যান্ড অমৃতাংশু সেনের কেসটা টেক আপ করেছি। যেহেতু আপনি মিসেস ইলিনার কেসটা দেখছেন, আপনার সঙ্গে কিছু কথা ডিসকাস করার দরকার অ্যাজ সুন অ্যাজ পসিবল। সেটা কোথায় হতে পারে ? '
    --- ' ও আচ্ছা ... আমি আপনাকে চিনি। ইন ফ্যাক্ট আমাদের বার কাউন্সিলে প্রায় সকলেই চেনে। আই অ্যাম হ্যাপি টু নো যে আপনি কেসটা পার্সুয়েন্সে নিয়েছেন। ভালই হল ... আপনাকে কে অ্যাপ্রোচ করেছিল, ম্যাডাম নিজে ? '
    বিক্রমজিতের গলা বেশ অমায়িক শোনাচ্ছে।
    কলতান বলল, ' ধরে নিন তাই ... আপনার সঙ্গে দেখা তো হচ্ছেই তখন বলব ... আপনি ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন। যাই হোক, আমরা তা'লে কোথায় মিট করতে পারি ? '
    --- ' ওক্কে, আপনি একদিন সন্ধেবেলায় কাঁকুড়গাছিতে আমার চেম্বারে চলে আসুন না সাতটা থেকে দশটার মধ্যে ... '
    --- ' রাত্রে ? '
    --- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... '
    --- ' আচ্ছা ঠিক আছে কাল যাব তালে। অ্যাড্রেসটা পাঠান ... '
    --- ' পাঠাচ্ছি। কিন্তু কাল রবিবার। কাল হবে না। আমি থাকব না। পরশু সোমবার আসুন।
    --- ' ঠিক আছে, তাই যাব ... '

    দেবপ্রভ এবং তার বউ খুবই ঝকঝকে এবং স্মার্ট। স্বাচ্ছল্যের প্রলেপ লেগে আছে চেহারায় এবং গার্হস্থ্য পরিবেশে।
    দেবপ্রভ রাহা কলতানকে আন্তরিকভাবে আপ্যায়ন করল।
    --- ' আসুন মিস্টার গুপ্ত। ফ্ল্যাট চিনতে অসুবিধে হয়নি তো ? '
    --- ' না না ... চিনে বার করাই তো আমার কাজ ... তাই না ? '
    --- ' এটা ভাল বলেছেন কিন্তু কলতানবাবু ... এই চিনতে পারাটাই কঠিন ... ' দেবপ্রভর স্ত্রী ঋতাভরী বলল।
    একটা মেরুন রঙের হাউসকোটে তাকে বেশ আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে। সপ্রতিভ হাবভাব। কলতানের উল্টোদিকে বসে আছে।
    কলতান হাসিমুখে বলল, ' এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ম্যাডাম। চিনতে পারা যায় না বলেই দুনিয়াটা এত জটিল ... '
    তারপর দেবপ্রভর দিকে তাকিয়ে বলল, ' যাক, এখন দু একটা কথা সেরে নেওয়া যাক। অমৃতাংশুবাবু কি আপনার অনেকদিনের বন্ধু ? '
    --- ' তা বলতে পারেন। ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজ লাইফের বন্ধু। ও অবশ্য কেমিক্যাল আর আমি সিভিল। ক্যান্টিনে আলাপ হয়েছিল ... '
    --- ' উনি বিদেশ চলে যাবার পরও আপনার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ? '
    --- ' হ্যাঁ, বাড়ির লোক ছাড়া একমাত্র আমার সঙ্গেই ওর যোগাযোগ ছিল এদেশে .... '
    --- ' নিউটাউনে ফ্ল্যাটটা কেনার ব্যাপারে আপনিই মধ্যস্থতা করেছিলেন ? '
    --- ' হ্যাঁ ... এ ব্যাপারে দেবপ্রভ আমার হেল্প চেয়েছিল। আমাকে খুব রিলাই করত ... '
    --- ' আচ্ছা আচ্ছা ... '
    --- ' ইলিনাকে আপনার কেমন মানুষ মনে হয় ? '
    --- ' দেখুন, সত্যি কথা বলতে কি আমি ওকে ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। এক এক সময়ে মনে হয় খুব সরল প্রকৃতির, আবার এক এক সময়ে বেশ ডজি টাইপের মনে হয়। আমি অবশ্য অতটা ক্লোজলি মিশিনি, কিন্তু আমার বেশ এনিগম্যাটিক ক্যারেক্টার মনে হয় ইলিনাকে ... '
    এই সব কথাবার্তার মধ্যে ঋতাভরী ওখানে গ্যাঁট হয়ে বসে থাকল।
    সে হঠাৎ বলে উঠল, ' আমার ধারণা ... এটা অন্যভাবে নেবেন না ... ইলিনাকে দেখে যতটা সাদাসিধে মনে হয়, ও ততটা নয়। আমিও অবশ্য তেমনভাবে মিশিনি। এক্সটারনালি দেখে যেরকম ইমপ্রেশান হয়েছে সেটা বললাম ... '
    --- ' মানে ? ঠিক বুঝলাম না মিসেস রাহা। ক্লোজলি অনেক বছর ধরে দেখে একজন মানুষকে ঠিকমতো চেনা যায় না, আর আপনি ওই সামান্য স্পেলের অবজার্ভেশানে এতটা বুঝে ফেললেন ? '
    --- ' না না ... আমার কথাটা অত সিরিয়াসলি নেবেন না মিস্টার গুপ্ত। আমি অত ভেবে কথাটা বলিনি ... প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড ... ' ঋতাভরী কথাটা ঘুরিয়ে নেয়।
    কলতান আবার দেবপ্রভর দিকে মুখ ঘোরায়।
    --- ' এটা আপনি রিজনেবল কথা বলেছেন, আপনার বাড়িতে সেদিনের পার্টিতে আরও অনেক গেস্ট তো ফুড কনজিউম করেছে, তাহলে শুধু দেবপ্রভরই ওই মিসহ্যাপটা হল কেন ? পি এম রিপোর্ট অনুযায়ী তার স্টম্যাকে তো পয়জন পাওয়া গেছে ... আমি অবশ্য এখনও রিপোর্টটা দেখার সুযোগ পাইনি ... '
    --- ' সেটাই তো ... সেটাই তো ... '
    --- ' তাহলে আপনার পার্সোনালি কি মনে হয়, এর কারণটা কি হতে পারে ? ' কলতান দেবপ্রভর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল চোখের সার্চলাইটের আলো ফেলে।
    --- ' আমার সাধারণ বুদ্ধি অনুযায়ী এটাই মনে হয় যে এখান থেকে বেরিয়ে কোথাও, সে বাইরেই হোক, বাড়িতেই হোক কোন ড্রিংকস নিশ্চয়ই নিয়েছিল, হার্ড বা সফট ... '
    --- ' ঠিক ঠিক ... সে সম্ভাবনা রুল আউট করা যায় না। কিন্তু সেখানেও তো ... বাড়িতেই হোক, বাইরেই হোক, তার ওয়াইফ তার সঙ্গে ছিলেন ... তা হলে কি করে ... '
    ঋতাভরী মুচকি হেসে বলল, ' সেটাই তো আসল রহস্য ... পুলিশ তো আর অকারণে প্রোব করছে না ইলিনা স্নাইডারকে ... দেখুন কতদূর কি করতে পারেন ... '
    কলতান হাসতে হাসতে বলল, ' এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন ... অপরাধী ফাঁদে পড়বেই। এটা আপনাকে কথা দিয়ে গেলাম ... দেয়ার উইল বি নো লেট আপ এনিওয়ে ... '
    ঋতাভরী আবার বলল, ' এই রাগ করলেন নাকি ? আপনার পর আমার প্রচন্ড বিশ্বাস আছে কিন্তু ... আমি জানি যে ... '
    কলতান ঋতাভরীর কথাটা মাঝপথে থামিয়ে দিল।
    বলল, ' মিস্টার রাহা অমৃতাংশু সেনের ফ্ল্যাটের দলিলটা একটু দেখাবেন আমাকে। দরকার আছে ... '
    --- ' অমৃতাংশুর ফ্ল্যাটের দলিল আমার কাছে !
    এ খবরটা কে দিল আপনাকে ? ইলিনা ম্যাডামের কাছে নাকি ? '
    --- ' না না, একেবারেই তা নয়। আমার মনে হল আপনার কাছে পাওয়া যেতে পারে। অরিজিনাল না হোক, ডুপ্লিকেট কপি হলেও চলবে ... '
    --- আরে না না ... ওসব আমি আমার কাছে রাখতে যাব কেন ? মাথা খারাপ নাকি ? কেন, অমৃতাংশুর ওয়াইফ কি বলছে ? ওর কাছে নেই ? মহা ধুরন্ধর তো ... '
    --- ' না না তেমন কোন ব্যাপার না। ওনাকে জিজ্ঞাসা করে দেখব। আমার মনে হল আপনার কাছে থাকতে পারে তাই বললাম .... '
    --- ' ও মাই গড ... তাই বলুন ... '
    ঋতাভরী বলল, ' ইলিনাকে প্রেসার দিন, সব জানতে পারবেন। ও কোন ফরেন স্পাই কিনা কে জানে ... '
    কলতান বলল, ' অসম্ভব কিছু না, সবই সম্ভব। শুধু একটা কথা মনে রাখতে অনুরোধ করি, গোয়েন্দা তদন্তে ক্লোজ অ্যাসোসিয়েটসরা কেউই কিন্তু সন্দেহ তালিকার বাইরে নয় .... '
    ঋতাভরী এর উত্তরে কি একটা বলতে যাচ্ছিল। কলতান তাকে সে সুযোগ দিল না।
    বলল, ' এখন উঠি তা'লে। আপনাদের সঙ্গে পরিচয় হয়ে খুব ভাল লাগল। অনেক উপকারও হল। আশা করি ভবিষ্যতে আপনাদের থেকে আরও উপকার পাব ... '
    --- ' নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই... প্লীজ গো অ্যাহেড। অমৃতাংশু আমার বুজম ফ্রেন্ড ছিল। অ্যাট এনি কস্ট ইউ ট্রাই টু আনআর্থ দা ট্রুথ ... অ্যাট এনি কস্ট ... মিস্টার গুপ্ত ... '
    --- ' অবশ্যই অবশ্যই ... চেষ্টায় কি না হয় ? আপনি একটু কষ্ট করে সেদিন যারা পার্টিতে প্রেজেন্ট ছিলেন তাদের নাম, অ্যাড্রেস এবং ফোন নাম্বারগুলো দেবেন আমাকে। এক্ষুণি না দিতে পারেন কালকের মধ্যে মোবাইলে পাঠালেও হবে ... '
    --- ' আচ্ছা দেখি .... আশা করি কালকের মধ্যেই ... '
    --- ' অনেক ধন্যবাদ ... আসি এখন ... '

    ( ক্রমশ )
    **********
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • উজ্জ্বল | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৪৪734333
  • ল ইয়ারের নাম বিক্রমজিৎ নিয়োগী না সঞ্জীব ঘোষ ?
  • Anjan Banerjee | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৪০734347
  • বিক্রমজিৎ নিয়োগী।  'সঞ্জীব ঘোষ ' correction করে দিচ্ছি।  
  • শ্রীমল্লার বলছি | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৪৫734348
  • @উজ্জ্বল ভালো হল, আপনি এই প্রশ্নটা করলেন বোলে। আমিও করতামই। 
    যাইহোক, @Anjan আপনার লেখা বেশ লাগছে। শুভেচ্ছা রইল! 
  • Anjan Banerjee | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৪৯734349
  • অনেক ধন্যবাদ  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন