এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলতান ও ইলিনা - ২৫

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৩ নভেম্বর ২০২৫ | ৩৭ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫
    (২৫)

    দেবপ্রভর ফোন এল রাত এগারোটা নাগাদ।
    --- ' ভেরি সরি মিস্টার গুপ্ত। আমার ফিরতে অনেক লেট হয়ে গেছে। একটু আগে বাড়ি ফিরেছি। বলুন বলুন স্যার... কোন আর্জেন্ট দরকার ছিল ? '
    --- ' আর্জেন্ট কিনা বলতে পারব না, তবে দরকার একটু ছিল... ফোনে তো সব কথা বলা যায় না... '
    --- ' হ্যাঁ সে তো নিশ্চয়ই। কিভাবে তাহলে... '
    --- ' কাল সকাল দশটার মধ্যে আপনার বাড়ি যাব। অবশ্যই বাড়ি থাকবেন... '
    কলতানের বলার ভঙ্গী দেখে দেবপ্রভ বেশ থতমত খেয়ে গেল।
    সে বলল, ' আচ্ছা ঠিক আছে। বলছেন যখন.... '
    তারপর একটু থেমে বললেন, ' অমৃতাংশুর বাড়ির দলিলটা পাওয়া গেল ? '
    --- ' হ্যাঁ, সেটাও একটু দেখে নেব। ওটা একটা ভাইটাল মেটিটিয়াল। বার করে রাখবেন, তা'লে সময় নষ্ট হবে না। আর ওই হার্ড ড্রিংকস পারচেজের বিলটা কি আছে, না ফেলে দিয়েছেন ? '
    --- ' এসব কী বলছেন কলতানবাবু ? মাথার ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে ... '
    --- ' বেরোবে না... আমি তো আছি, চিন্তা কী ? '
    --- ' ও। ঠিক বুঝলাম না। যাই হোক, আপনি কখন আসছেন ? '
    --- ' আপনার কখন সুবিধা হবে বলুন... '
    --- ' কাল সন্ধে সাতটা নাগাদ আসুন না... '
    --- ' ঠিক আছে। ম্যাডামকেও থাকতে বলবেন। দরকার হতে পারে.... '
    --- ' আ... চ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না... হঠাৎ আমরা এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলাম! '
    --- ' হঠাৎ কেন গুরুত্বপূর্ণ হবেন মিস্টার রাহা, আপনারা কোনদিনই গুরুত্বহীন ছিলেন না। আপনারা সত্যিই মহান.... '
    দেবপ্রভ এই সময়ে হঠাৎ হো হো করে হেসে উঠলেন।
    বললেন, ' ওঃ... আপনিও বটে মজা করতে পারেন মিস্টার গুপ্ত... দারুন দারুন ... '
    --- ' কেন এতে মজার কী পেলেন ? '
    --- ' এই যে বললেন, আমরা নাকি খুব গুরুত্বপূর্ণ ফিগার। আমরা হলাম কোথাকার চুনোপুঁটি... আমাদের বলছেন কিনা... '
    --- ' জানি না ঠিক... রাঘব বোয়াল বা তিমিঙ্গিল যে কে সেটাই তো এখনও ঠিক জানি না। ওটা জানতে পারলে কে তিমি, কে রুই কাতলা আর কেই বা নিছক চুনোপুঁটি জানতে অসুবিধা হবে না। আপনি সাহায্য করলে কেসটা ইজি হয়ে যায়... '
    --- ' সে আবার কী ? আপনি দেখছি আজ রিডল প্লেস করার মুডে আছেন ? ব্যাপারটা কী বলুন তো ? '
    --- ' ধাঁধা বলছেন ? তা হবে হয়ত। তবে ধাঁধার উত্তর তো আপনার কাছে আছে। আপনি ইচ্ছে করলেই দিতে পারেন। ইচ্ছে না করলে অবশ্য আলাদা কথা। যাকগে বাদ দিন... ইভনিং-এ দেখা হচ্ছে তা'লে। হ্যাঁ একটা কথা... কোন মামলার রাজসাক্ষী হওয়ার কিন্তু অনেক সুবিধা আছে... সাতটায় দেখা হবে যদি আপনি ইচ্ছুক হন। আর একটা পরামর্শ আছে, পালাবার চেষ্টা না করাই ভাল... '
    --- ' এসব কী বলছেন ! মানে আমি কী ক্রিমিনাল নাকি? আপনি কি... '
    দেবপ্রভর কথা শেষ হবার আগেই কলতান লাইন কেটে দিল।
    কলতান আপনমনে মুচকি হেসে বলল, আবার সেই স্ট্রাইক এ পয়েন্ট অ্যান্ড কিপ ওয়েটিং। লাগলে ভাল, না লাগলেও প্রতিক্রিয়া আসবে। প্রতিক্রিয়ার ধরনটাই হল আসল ব্যাপার।

    সে মনোজ সাহাকে একটা ফোন লাগাল।

    পৌনে সাতটার সময়ে কলতানের বাইক গিয়ে পৌঁছল দেবপ্রভর ফ্ল্যাটের সামনে। এখান থেকে দেবপ্রভদের ফ্ল্যাটের ব্যালকনি দেখা যায়। ওখানে টানানো তারে দু একটা জামাকাপড় মেলা রয়েছে। এখনও তোলা হয়নি। ঘরের দুটো জানলা খোলা রয়েছে। ঘরে কেউ আছে কি নেই এখান থেকে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। কলতানের বাইক থেকে পঞ্চাশ ষাট ফুট দূরে আরও দুটো বাইক দাঁড়িয়ে আছে। তার সওয়ারি দুজন বাইকের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলছে। লম্বা স্বাস্থ্যবান দুজন মধ্যবয়স্ক মানুষ। একজনের মাথায় একটা কালো রঙের সানহ্যাট। কলতান ওদের দিকে তাকিয়ে রইল নিজের বাইকে বসে। একটা হাত তুলল ওদের উদ্দেশ্যে। ওদের মধ্যে টুপি মাথায় লোকটি টুপিটা খুলে হাতে নিয়ে ওপরে তুলে এ দিক ওদিক নাড়াল।
    কলতান আবার ডান হাত ওপরে তুলে নীরব সাড়া দিল, যা তর্জমা করলে হয় --- ' আচ্ছা, ঠিক আছে... '
    সল্ট লেকের শুনশান, নির্জন পাড়া। ঝিম ধরা সন্ধে নেমে এসেছে প্রায় জনহীন অভিজাত রাস্তায়। দু একটা চারচাকা এবং দুচাকা গাড়ি চলে যাচ্ছে নির্লিপ্তভাবে মসৃন গতিতে।

    কলতান ওপরে উঠে দেবপ্রভদের ফ্ল্যাটের দরজায় গিয়ে দাঁড়াল ঠিক সাতটার সময়। দরজা খুললেন শ্রীমতি রাহা মানে ঋতাভরী।
    --- ' আসুন আসুন... আপনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম আমরা... '
    --- ' কী সৌভাগ্য ! মিস্টার রাহা আছেন তো... '
    --- ' হ্যাঁ হ্যাঁ.... কথা আছে যখন... '
    বলতে বলতেই দেবপ্রভবাবু আবির্ভূত হলেন ভিতর থেকে।
    এসে বসলেন কলতানের মুখোমুখি।
    --- ' গুড ইভনিং মিস্টার গুপ্ত। ইউ আর ইমপেকেবলি পাংচুয়াল ... '
    --- ' সেটাই তো উচিত। তাই না ? '
    --- ' অফ কোর্স। কাল কিন্তু আপনার হেঁয়ালিগুলো আমি একদম ধরতে পারলাম না। কাইন্ডলি যদি ক্লিয়ার করেন... '
    --- ' আপনি শুধু বলুন আপনার ম্যারেজ অ্যানিভার্সারিতে কোন ব্র্যান্ডের ড্রিংকস সার্ভ করা হয়েছিল ? ' কোন ভূমিকা না করেই কলতান আচমকা জিজ্ঞাসা করল।
    --- ' অ্যাঁ... কী বললেন... ড্রিংকস ? '
    দেবপ্রভবাবু ধাতস্থ হতে একটু সময় নিলেন।
    তারপর বললেন, ' না... মানে, আমার ইচ্ছে ছিল না। হার্ড ড্রিংকস আমার একদম পছন্দ নয়। ওরা... মানে বন্ধুরা কয়েকজন বারবার ইনসিস্ট করছিল তাই, মানে.... রয়্যাল স্ট্যাগ আর ব্যাগপাইপার ছিল... কেন কী হয়েছে ? '
    --- ' না... কিছু হয়নি। এটা কোন গর্হিত কাজ নয়, আপনি এমব্যারাসড ফিল করছেন কেন ? '
    --- ' না... তা না... আমি আগে বলেছিলাম কোন হার্ড ড্রিংকস ছিল না.... তাই... '
    --- ' আচ্ছা সে ঠিক আছে। ওটা ভুলে যান, কোন ব্যাপার না... '
    --- ' থ্যাঙ্ক ইউ স্যার... '
    --- ' কোন জার্মান ব্র্যান্ড ছিল কি ?
    --- ' জার্মান ব্র্যান্ডের লিকার বলছেন ? '
    --- ' হ্যাঁ তাই '
    --- ' না না... সেটা কী করে হবে ? '
    --- ' কেন মিসেস ইলিনা স্নাইডার সেন তো আপনাকে গিফট করে থাকতে পারেন... '
    --- ' দূর.... ও কি ওসব গিফট করবে নাকি! '
    --- ' কেন, ওদের দেশে তো এসব স্বাভাবিক ব্যাপার ... '
    --- ' তা না... আমাদের দেশেও এখন এসব স্বাভাবিক ব্যাপার, মিডল ক্লাস সোসাইটিতেও... '
    ঋতাভরী বলে উঠল বোধহয় অসাবধানতাবশতঃ।
    কলতান কথাটা ধরে নিল।
    বলল, ' আমি তো সেটাই বলতে চাইছি। ওসব বাদ দিন। কথায় কথা বাড়ে... বলতে পারেন বাজে কথা বাড়ে। সময় নষ্ট না করে কাজের কথায় আসা যাক... '
    --- ' কী বলুন ? '
    --- ' ইলিনার সঙ্গে আপনার পরিচয় কতদিনের ?
    --- ' ভার্চুয়াল পরিচয় বলতে গেলে অমৃতাংশু যখন বিদেশে ছিল তখন থেকেই। ফোনে কথা হত মাঝে মাঝে। অমৃতাংশুই ধরিয়ে দিত। ওইভাবেই ইন্ট্রোডাকশান হয়েছিল। তারপর তো ওরা এদেশে চলে এল। আসার পর এরকম স্যাড ইনসিডেন্ট হল। কী আর বলব... ওঃ... '
    --- হ্যাঁ যে কথাটা বলছিলাম... একটা জার্মান লিকারের বটল... কী ব্র্যান্ড বলতে পারব না... ইলিনা আপনাকে দিয়েছিল। আপনাদের পার্টিতে সেটা থেকে ড্রিংক সার্ভ করা হয়, যাতে পয়জন ছিল। বোতলের সিল খোলা ছিল। হয়ত ইলিনাই সেটা আপনাকে বলে দিয়েছিল। আপনি ইলিনার কথামতো কাজ করেন। না করে কোন উপায় ছিল না। প্রথম এবং দ্বিতীয় রিপুর চেয়ে তৃতীয় রিপু কম শক্তিশালী এবং সাঙ্ঘাতিক নয়। আপনি অপ্রতিরোধ্য লোভের বশবর্তী হয়ে মাদক পাচার চক্রে জড়িয়ে পড়েছিলেন। নিজের স্ত্রীকেও জড়িয়ে নিলেন। ঋতাভরী দেবীরও খুব সম্ভবত অর্থামৃতে অরুচি নেই। এখানে একবার জড়িয়ে পড়লে লোক্যাল মেন্টর মানে সর্দারের কথা অমান্য করা চলে না। এখানকার সর্দারের নামটা আমি পরে বলছি। আর বলারই বা কী আছে। আপনি তো সবই জানেন। আপনার ইমিডিয়েট বস নিশ্চয়ই আছে একজন। তার কথা এখন থাক। পরে আসব ওনার কথায়। দুঃখের ব্যাপার হল অমৃতাংশুবাবু কোন দিনই তার বিদেশি স্ত্রীর স্বরূপ বুঝতে পারেননি। ইলিনা ছিল ইন্ডিয়ায় ব্রাউন সুগার পাচার কারবারের একজন হ্যান্ডলার। সে অমৃতাংশুকে বিয়ে করেছিল কলকাতা অঞ্চলের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ রাখার উদ্দেশ্যে। আর কোন উদ্দেশ্য ছিল কিনা আমি এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি। আপনি জানলেও জানতে পারেন... '
    দেবপ্রভ কলতানের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল সম্মোহিত হয়ে।
    কলতান ঋতাভরীর দিকে তাকিয়ে বলল, ' রয়্যাল স্ট্যাগ, ব্যাগপাইপারের ব্যাপারে কিছু জানতে চাই না। শুধু বলুন ম্যাডাম, জার্মান ওয়াইনের বোতল কি আপনি খুলেছিলেন.... শুধু অমৃতাংশুর জন্য, না অন্য কেউ ? পুলিশ কিন্তু এত নরমভাবে কুইজ করবে না। আমার উইটনেস রেডি আছে... '
    ঋতাভরী স্থির অবিচল দৃষ্টিতে কলতানের চোখে চোখ রেখে বসে রইল।
    আর ইলিনাদের ফ্ল্যাটের ডিডটাও আমাকে বার করে দেখান। আবারও বলছি, পুলিশ ডিপার্টমেন্ট কিন্তু এরকমভাবে রিকোয়েস্ট করবে না। আমার ডিউটি এটা আপনাদের বলা, তাই বললাম ... '
    দেবপ্রভ একটা সিগারেট ধরিয়ে ধোঁয়া ছাড়ল। কিন্তু নির্বাক রইল। ঋতাভরী এতক্ষণ পরে কথা বলল।
    --- ' মিস্টার গুপ্ত আমি স্টানড হয়ে যাচ্ছি আপনার অডাসিটি দেখে... ইয়েস, সিম্পলি অডাসিটি। এর জন্য ডিফেমেশানের স্যুট হতে পারে জানেন ? '
    --- ' ভেরি গুড ম্যাডাম... করুন না। উকিল কে ? মিস্টার বিক্রমজিৎ নিয়োগী নিশ্চয়ই... '
    ঋতাভরী প্রশ্নটার কোন উত্তর দিল না।
    বলল, ' হাতে প্রমাণ আছে কিছু, নাকি শুধু ফাঁকা আওয়াজ ? '
    কলতান মনে মনে বলল, ' লেডি ম্যাকবেথ ঘরানা। বেচারা দেবপ্রভ... '
    বলল, ' হ্যাঁ ঠিক ঠিক... ফাঁকা জায়গা কিছুটা আছে, সেটা ভরাট করবে ইলিনা ম্যাডামের মৃত্যুরহস্যের পর্দাফাঁস। সেটা দ্বিতীয় পর্ব। তৈরি থাকুন... '
    এই সময়ে কলতানের মোবাইলে একটা ফোন এল। মোটরবাইক নিয়ে রাস্তায় অপেক্ষা করা কালো টুপি পরা ভদ্রলোক বললেন, ' ঠিক আছে তো স্যার ? '
    কলতান বলল, ' হ্যাঁ, এখন পর্যন্ত... ওখানেই থাকুন... '
    দেবপ্রভ চুপচাপ। আবার অনেকটা সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ল উদাস ভঙ্গীতে।

    (ক্রমশ)

    *******
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2607:fb91:4c21:664d:1103:87f9:3744:***:*** | ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:৪৭735464
  • কলতান দেবপ্রভকে প্রথমে বললো পরের দিন সকাল দশটার মধ্যে তাঁদের বাড়ি যাবে, উনি যেন অবশ্যই বাড়ি থাকেন। তারপরে আবার দেবপ্রভ জিজ্ঞেস করেন কখন আসবেন আর কলতান বলে কখন গেলে সুবিধা হয়। নিয়ে ঠিক হলো সন্ধ্যে সাতটা। এই ব্যাপারটায় একটু ধন্ধ লাগলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন