এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলতান ও ইলিনা - ৩০ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ নভেম্বর ২০২৫ | ১৪ বার পঠিত
  •                            ( ৩০) 

    ' চার্জটা কী স্ল্যাপ করা হবে ?  আমি  তো শুধু  হোমিসাইডাল  কেস ডিল করছি...  ' কুশলবাবু ফোন ছাড়ার আগে জিজ্ঞাসা করলেন।  
    ---- ' একটাই ।  নারকোটিক ট্রেডিং অ্যান্ড ট্র্যাফিকিং।  মার্ডারটা আলাদা ইসু বলে আমার ধারণা।  তবে এসব নিয়ে আমার ডিডাকশান আপনাদের ওপর আরবিট্রেট করাটা আমার পক্ষে  ধৃষ্টতা হয়ে যাবে।  সেটা করার এক্তিয়ার আমার নেই ।  আমি শুধু একটা ক্লু দিলাম...   বলতে পারেন টিপ দিলাম।  নাও ইটস ইয়োর প্রিরোগেটিভ টু অ্যাক্ট আপন।  কিন্তু  ডিসিশানটা তাড়াতাড়ি নিতে হবে ।  আদারওয়াইজ দা মিশন উইল ফিজল আউট।  
    ---- ' হ্যাঁ...  বুঝেছি...  '
    ----- ' তাহলে... আর নো পয়েন্ট অফ ওয়েস্টিং টাইম মিস্টার চ্যাটার্জী...  ' 
    ----- ' ওহ্,  ইয়েস...  সার্টেনলি।  পুলিশ ডিপার্টমেন্টে ট্র্যান্সপ্যারেন্ট লোক কিন্তু অনেক আছে মিস্টার গুপ্ত ...  ' 
    ----- ' সে ব্যাপারে আমার অন্তত কোন সন্দেহ  নেই। সেই  ভরসাতেই তো কাজ চালিয়ে যাচ্ছি...  ' 
    ----- ' ঠিক আছে,  জানাব আপনাকে কলতানবাবু...  ছাড়লাম...  ' 
     

       ম্যাগনোলিয়া রেসিডেন্সি।  এল ব্লক, টেনথ ফ্লোর।  ফ্ল্যাট নম্বর এল টেন বাই  ফোর। 
    রাত সাড়ে দশটা বাজে।  
    আবাসনের অফিসঘরে এখনও আলো জ্বলছে।  
    মধ্যবয়স্ক এক ভদ্রলোক বসে বসে মাঝে মাঝে হাই 
    তুলছেন । তার মোবাইল বেজে উঠল।  তিনি ফোন তুললেন।  গেটের সিকিউরিটি গার্ডের কিয়স্ক থেকে বাদল পাল ফোন করেছে। 
    ----- ' হাঁ...  ' 
    ---- ' বিমলবাবু, বাদল বলছি ...   পুলিশের লোক এসেছে ।  ভিতরে অফিসে গেছে।  আমার কিছু  করার ছিল না । রঘুনাথদা আছে আমার সঙ্গে।    একটু দেখে নেবেন...  ' 
    ------ ' অ্যাঁ,  সেকি!  পুলিশ...  কেন ? '
    ---- ' তা কী করে জানব ? চারজন ঢুকেছে সিভিল ড্রেসে।   আমাদের সঙ্গে কথাই বলেনি কিছু । একজন শুধু বলল, পুলিশ থেকে আসছি।  অফিসটা কোনদিকে ? বাইরে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে ।  গেছে...  একটু দেখে নেবেন...  '
    বাদল পাল লাইন কেটে দিল।  
    তার পরক্ষণেই চারজন লম্বা চওড়া মানুষ অফিসঘরে এসে ঢুকল।  বিমলানন্দবাবু চক্রবর্তী দাঁড়িয়ে উঠলেন এবং তাদের দিকে তাকিয়ে রইলেন ফ্যালফ্যাল করে ।   
    'এল ব্লকের টেনথ ফ্লোরে যাব ।  ফ্ল্যাট নাম্বার এল টেন বাই  ফোর...  ' একজন বলল চাঁচাছোলা মার্কামারা পুলিশি ভঙ্গীতে ।  
    ----- ' অ...  আচ্ছা আচ্ছা...  দেখছি...  ' 
    বলে দাঁড়িয়ে  দাঁড়িয়েই মাউস ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ডেস্কটপের মনিটরে খোঁজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।  
    ----- ' টেন বাই ফোর...  হ্যাঁ,  এই যে...  আছে...  ওনারের নাম...  '
    পুলিশ অফিসার নীরসভাবে সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলেন, ' দরকার নেই ... ওপরে যাচ্ছি ...  ' 
    বিমলবাবু মরীয়া হয়ে কোনরকমে বলে ফেললেন, ' কেন দাদা ?  ' 
    আবার নীরস কেঠো মার্কামারা পুলিশি জবাব এল, ' সার্চিং অর্ডার আছে ...  '  
    ---- ' অ...  ইয়ে মানে, কিসের সার্চিং ?  ' 
    ---- ' ন্যাকা সাজবেন না একদম ।  নারকোটিকস...  সবকটা ফাঁসবেন...  '
    আর একজন কড়া গলায় বলল, ' চলুন চলুন...  এখানে দাঁড়িয়ে ফালতু কথা বলে লাভ নেই ...  '  
    চারজন ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।  

       ডোরবেল বাজিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল পুলিশ অফিসারেরা ।  ভিতর থেকে কোন সাড়া শব্দ নেই ।  আবার কলিং বেলে চাপ দেওয়া হল।  এবারেও কোন সাড়া পাওয়া গেল।  স্কোয়াড লিডার গৌতম রায় বললেন, ' আঙুল বেঁকাতে হবে মনে হচ্ছে...  '
    দরজার বাইরে  একটা কলাপসিবল গেট রয়েছে।  
    বাইরে থেকে তালা মারা ।  তার ফাঁক দিয়ে রুল ঢুকিয়ে ধাক্কা মারতে লাগলেন দরজায়।   কোলাপসিবল গেটেও লাঠির বাড়ি মারতে লাগলেন গৌতমবাবু ।  এত রাতে এরকম বিকট আওয়াজ শুনে আশপাশের কয়েকটা ফ্ল্যাটের দরজা খুলে কিছু কৌতূহলী ও শঙ্কিত মুখ উঁকি ঝুঁকি মারতে লাগল।  দরজায় দাঁড়িয়ে  থাকা এক ভদ্রলোককে গৌতমবাবুর এক সহকর্মী  জিজ্ঞেস  করলেন,  ' ফ্ল্যাটে কেউ আছে কিনা জানেন কিছু? '
    ভদ্রলোক থতমত খেয়ে ঘাবড়ানো গলায় বললেন, ' না মানে...  আমি তো সারাদিন বাড়ি থাকি না...  ঠিক বলতে পারব না...  সরি...  ' 
    বলে ভিতরে সরে পড়লেন এবং দরজা বন্ধ হয়ে গেল।   ভয় সংক্রামক অনুভূতি।  তার দেখাদেখি 
    অন্য দরজায় দাঁড়ান মুখগুলোও অদৃশ্য হয়ে যেতে লাগল ।  কেউ জেনে এবং কেউ না জেনে ব্যাপারটার মধ্যে একটা সন্দেহজনক ছায়া দেখতে পেল।  ঘোলাটে ছায়ার তলায় কেউ যেতে চায় না।  

     ইন্সপেক্টর কৃষ্ণেন্দু পাত্র বললেন,  ' দরজা ভাঙতে হবে মনে হচ্ছে। নীচে সুধীরকে ফোন করব নাকি?  '
    গৌতম রায় বললেন,  ' একটু ওয়েট করুন। সুধীর কী করবে...  নয়নকে লাগবে।   আগে  সিচুয়েশানটা বোঝার দরকার।  ভিতরে আদৌ কেউ আছে তো ?   '
    ----- ' থাকার তো কথা।  কলাপসিবলে তালা তো ভিতর থেকে দেওয়া।  বাইরের দরজা নয় বুঝলাম 
    মাস্টার কি দিয়ে বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া যায়...  ',  কৃষ্ণেন্দুবাবু বললেন ।  
    ----- ' তা না।  কোলাপসিবলের বাইরে থেকে হাত 
    ঢুকিয়েও ওইভাবে তালা দেওয়া যায়...  ' 
    ---- ' তা ঠিক...  '
    ---- ' আচ্ছা দাঁড়ান...  দেখছি...  ' 
    গৌতমবাবু ডোরবেল বাজাতে লাগলেন একনাগাড়ে।  কোন সাড়া শব্দ নেই।  
    লম্বা করিডর নিস্তব্ধ । ঘাড় ঘুরিয়ে নীচের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে আলো ধোয়া রাস্তায়, হেডলাইটের জোনাকি জ্বলা গাড়ির চলাচল ।   

      আশপাশের বাসিন্দাদের ঘরের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে।  নিস্তব্ধ করিডরে এদের চারজনের কথোপকথন প্রতিধ্বনির গুঞ্জন ভাসিয়ে রেখেছে।  
    স্বরূপ ঘোষ মোবাইল বার করে সময় দেখলেন,  এগারোটা দশ ।  
    বললেন, ' এবার কাজে নাবা যাগ নাকি ?  '
    গৌতম রায় বললেন, ' হুঁ,  তা তো বটেই ... কিন্তু... প্রবলেম একটাই...  '
    ---- ' কী ?  '
    গৌতমবাবু নীচু গলায় বললেন,  ' সোর্স তো প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর কলতান গুপ্ত...  নিজেদের মধ্যে কথা হচ্ছে বলেই বলছি...  রিস্ক আছে ...  '
    ----- ' সোর্স রিলায়েবল নয় বলছেন ?  আমার কিন্তু তা মনে হয় না...  কলতান গুপ্তের যথেষ্ট দম আছে...  ভুল খুব কম করে বলেই শুনেছি ।  দুটো 
    কেস আমি পার্সোনালি জানি....  ',  স্বরূপবাবু বললেন ।  
    কৃষ্ণেন্দুবাবু কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।  তিনি বললেন, ' ও সব ছেড়ে দিন না ।  আমরা তো প্রোটোকল মেনে ডিপার্টমেন্টের অর্ডারে এসেছি। 
    আপনি কি বিল্বদল ঘটকের কথা ভাবছেন ?  ' 
    ----- ' হমম্...  অনেকটা...  বড় মাছ।   জানেন নিশ্চয়ই ...  ' 
    ----- ' ছাড়ুন তো... ডিপার্টমেন্টে কি ঘোড়ার ঘাস কাটতে আছি নাকি ?  সবাইকে কি শিরদাঁড়া জমা রাখতে হবে নাকি ? ' 
    গৌতমবাবু হাসতে হাসতে বললেন, ' হাঃ হাঃ হাঃ...  শিরদাঁড়া কথাটা খুব চালু হয়েছে ।  ওসব কি আর আমাদের আছে ? ' 
    অজিতাভ বসু এদের মধ্যে কনিষ্ঠতম ।  মাত্র দু বছর চাকরিতে ঢুকেছে।  এতক্ষণ চুপচাপ ছিল।  
    সে বলল, ' অছে কি না আছে,  চলুন না প্রমাণ করি...  কিছু নন এনটিটিকে ভয় করে আমরা নিজেরা নিজেদের ছোট করে চলেছি। চলুন না লেটস হ্যাভ আ গো অ্যান্ড প্রুভ আওয়ার পোটেন্সি...  '
    কিছুটা ফিল্মের হিরোর ডায়লগের মতো  শোনালেও অজিতাভর কথাগুলো শুনে  গৌতম রায়ের মধ্যে একটা বীররসের আবেগ সঞ্চারিত হল।  দোলাচলের ভাবটা কেটে গেল।  
    বললেন, '  ইয়েস রাইট রাইট...  চল দেখি...  বড্ড ভোগাচ্ছে তো...  '
    ঠিক সেই  সময়ে টেন বাই ফোর নম্বর ফ্ল্যাটের দরজা খোলার শব্দ হতে লাগল ভিতর থেকে । 
    স্বরূপবাবু বললেন,  ' ধমকি কেটেছে মনে হচ্ছে। মক্কেল বোতল খুলে বসে ছিল  নিশ্চয়ই...  '   
    ----- ' কে জানে শালা...  ' 
    বলতে বলতেই  দরজা খুলে গেল।  তালা মারা কলাপসিবল গেটের ওদিকে দেখা দিল মেরুন রঙের জামা আর ঘি রঙের প্যান্ট পরা খুব ফর্সা রুখু সুখু দাড়িওয়ালা 'রকি ডিউড ' গোত্রের একজন লোক।  
    নির্বিকারভাবে বলল ' কি ব্যাপার ?  ' 
    ওর রকম সকম দেখে গৌতম রায়  চিড়বিড় করে জ্বলে উঠলেন।  
    ----- ' কানে কি তুলো গুঁজে বসে ছিলেন ?  কিসের কারবার চালাচ্ছিলেন  ভিতরে ?  ' 
     ভিতরে দাঁড়ানো অশ্বিনী তেওয়ারির কোন ভাবান্তর হল না।  সে শীতল ভঙ্গীতে জিজ্ঞাসা করল, ' আপনারা কে ?  ' 
    কৃষ্ণেন্দু পাত্র মোটেই ঠান্ডা মাথার মানুষ নন । বেশিক্ষণ মেজাজ ধরে রাখতে পারেন না। তার পুলিশি মেজাজ সপ্তমে উঠল ।  
    তিনি আগুনে গলায় বললেন, ' কলকাতা পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে।  অনেকক্ষণ ধৈর্য ধরেছি।  ফালতু বাওয়াল না করে গেট খুলুন...  '
    অশ্বিনী আবার ভাবলেশহীন গলায় বলল, ' কেন?  '
    এবার গৌতম রায় বললেন, ' সার্চ ওয়ারেন্ট আছে ...  খুলুন খুলুন...  '
    ----- ' সেটা কি ?  ' 
    অশ্বিনী হাড় জ্বালানো ভঙ্গীতে নির্বিকার ভঙ্গীতে চেয়ে রইল ।  
    গৌতমবাবুর প্রায় তিরিশ বছর ধরে ক্রিমিনাল ঘাঁটছেন।  তার বুঝে নিতে অসুবিধা হল না যে এ ব্যাটা 'হার্ডকোর' শ্রেণীর।  
    এবার জড়ানো গলায় ভিতর থেকে কে বলল, ' আই জটা...  কে রে ?  '
    জটা মানে অশ্বিনী একই রকম উদাসীন ভঙ্গীতে 
    জানাল, ' লালবাজার থেকে ঘাপ্পা মারতে এসেছে...  '
    ভিতর থেকে আওয়াজ এল,  ' এত রাতে কি ?   দুটো বোতল দিয়ে দে...  খাক।  কাল সকালে  এখানে ব্রেকফাস্ট করতে আসতে বল...  '
    দরজায়  দাঁড়ানো লোকটা বলল, ' শুনলেন তো...  বাসস্...  '
    বলে জটা ওরফে অশ্বিনী তেওয়ারি গৌতমবাবুদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিল ।  
    স্কোয়াডের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য অজিতাভ বলল,  
    ' নয়নকে ডাকছি স্যার।  দরজা ভেঙ্গেই ঢুকতে হবে...  লিথাল স্টাফ মনে হচ্ছে ...  '   
    কাঁচা বয়সের কারনেই তাকে বেশ উত্তেজিত  দেখাচ্ছে।    
    গৌতমবাবু বললেন,  ' আমি করছি...  ' 
     তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকে আন্দাজ করে নিলেন কোন স্তরের তালেবরদের সঙ্গে এদের যোগাযোগ থাকতে পারে ।  সে যাই হোক, তিনি ফোন লাগালেন নীচে দাঁড়িয়ে  থাকা নয়ন পালকে ।  এ অপমান তো হজম করে নেওয়া যায় না।   

        স্কোয়াড মেম্বার নয়ন পাল বলল, ' জিনিসপত্র গাড়িতে আছে। এক্ষুণি যাচ্ছি ...  আর একজন যাচ্ছে আমার সঙ্গে...  ' 
    ----- ' কে ?  ' 
    ---- ' আপনাদেরই লোক...  '
    ---- ' কে শুনি না ...  '
    ---- ' গেলে দেখবেন স্যার...  ' 
    নয়নের ফোন কেটে গেল। গৌতম রায় লিফটের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন।  কৃষ্ণেন্দু পাত্র কি সব চিন্তা করতে করতে একই জায়গায় ঘুরপাক খেতে লাগলেন।  স্বরূপ ঘোষ নীচের আলো ধোয়া রাস্তা দেখতে লাগলেন একদৃষ্টে।  অজিতাভ বসু কোমরের পিছনে দুহাত রেখে একরোখা ভঙ্গীতে দাঁড়িয়ে আছে ।    

     মিনিট পাঁচ ছয়ের মধ্যে লিফটের গেট খুলে কি সব জিনিসপত্র নিয়ে নয়ন পাল বেরিয়ে এল । ওরা চারজন দেখল নয়নের পিছন পিছন আর একজন মানুষ লিফট থেকে বেরল।  
    নয়নের সঙ্গে সেও গৌতম রায়ের সামনে গিয়ে দাঁড়াল।  
    নয়ন বলল, ' এনাকে চেনেন তো স্যার ? '
    গৌতমবাবু ভ্রু কুঁচকে মনে করার চেষ্টা করতে লাগলেন।  
    স্বরূপবাবু দ্রুত এগিয়ে এসে বললেন,  ' আমি খুব ভালভাবে চিনি...  '
    ----- ' কে বলুন তো ?  '
    ----- ' মিস্টার কলতান গুপ্ত ।  আই হোল্ড হিম ইন হাই রিগার্ড...  ' 
    স্বরূপবাবু জবাব দিলেন।  

     ( ক্রমশ )  

    *******************★★★★★★*************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন