এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলতান ও ইলিনা - ৩৬

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৫৩ বার পঠিত
  • ( ৩৬ )

    শফিউদ্দিন ফাইল থেকে মুখ তুলে বললেন, ' কে... অনিন্দ্য কর ? সাত সকালে এখানে কী ? '
    কনস্টেবল বললেন, ' কী জানি স্যার... আসামী ছাড়াতে নিশ্চয়ই... '
    --- ' অ্যাঁ কী ... আসামী ? তা হতে পারে। আসতে দাও। পারে তো ছাড়াক... '
    অনিন্দ্যবাবু এ থানায় আগেও দুবার এসেছেন। গাড়ি থেকে নেমে সোজা থানায় ঢুকে এলেন। ডাঁয়ে বাঁয়ে কোনদিকে তাকাবার প্রয়োজন বোধ করলেন না। পেছনে ওসির ঘরের দিকে যেতে লাগলেন। যাওয়ার রাস্তায় বাঁদিকে ওই ঘরটা পড়ল যে ঘরে বিল্বদলবাবু, কলতানরা রয়েছে।
    আশ্চর্যের ব্যাপার অনিন্দ্য কর ঘরটার খোলা দরজা পেরোবার সময় ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেনও না। বিল্ব ঘটকের ঠিক চোখে পড়ল। তিনি ঝট করে চেয়ারে খাড়া হয়ে বসে বলে উঠলেন, ' আরে... ওই এসেছে ... এবারে বুঝবে ঠেলা... '
    কলতানকেই প্রধান মুরুব্বি ভেবে বলল, ' দেখুন স্যার এবার সামলাতে পারেন কিনা... '
    কলতান মুচকি হেসে কথাটা পাঠিয়ে দিল গৌতম রায়ের দিকে, ' দেখুন স্যার... এবার সামলাতে পারেন কিনা... '
    --- ' ইয়েস ডান... নো প্রবলেম... ' গৌতমবাবু গম্ভীরমুখে চ্যালেঞ্জ নিলেন।
    ঘরের সকলেরই চোখে পড়েছে অনিন্দ্য করের পাশাপাশি আর একজনও হেঁটে গেল শফিউদ্দিনের ঘরের দিকে। তার মাথায় একটা খয়েরি রঙের টুপি পরা, টুপিটা এমন যে কান দুটোও ঢাকা পড়েছে। ফুলহাতা সাদা জামা এবং কালো প্যান্ট পরেছে। তাকে এক ঝলক দেখে কলতানের কেমন যেন চেনা চেনা মনে হল। মনে হল, কোথায় যেন আগে দেখেছে।
    শফিউদ্দিন প্রথাগতভাবে দাঁড়িয়ে উঠলেন সঙ্গীসহ অনিন্দ্য করকে তার ঘরে ঢুকতে দেখে।
    বলল, ' আসুন স্যার। এত সকালে হঠাৎ ? '
    অনিন্দ্যবাবু প্রসন্নমুখে উল্টোদিকের চেয়ারে বসলেন। তার সঙ্গীও বসলেন।
    --- ' হ্যাঁ সকাল সকালই আসলাম। দুপুরের দিকে মিটিং আছে। সময় পাব না... ', অনিন্দ্যবাবু চোখ থেকে চশমাটা খুলে রুমাল দিয়ে কাঁচ মুছতে মুছতে বললেন।
    --- ' খুব আর্জেন্ট কিছু কি ? '
    ওসি সাহেব একেবারেই নিশ্চিত যে মন্ত্রীমশাই বিল্বদলের মামলায় ঢোকার জন্য এসেছেন। জাল কাটতে কোন অজানা ধারাল কাঁচি নিয়ে এসেছেন। এ সব দেখতে দেখতে এ লাইনে এতগুলো বছর কেটে গেল। ওস্তাদ খেলোয়াড় এরা। পাকা ঘুঁটি কাঁচিয়ে দিয়ে চলে যায়। মুখ বুজে শুধু চুপচাপ দেখা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। সেগুলো কোনটা অবশ্য কলতান গুপ্তর কেস ছিল না। কিন্তু কলতান গুপ্তরই বা ক্ষমতা কতটুকু। সে শুধু সত্যটা খুঁজে বার করতে পারে। কিন্তু সত্যকে মিথ্যা বানানো এদের কাছে জলভাত। শফিউদ্দিন অপেক্ষা করতে লাগল অনিন্দ্য করের প্রথম চালের জন্য।
    অনিন্দ্য কর তার পাশে বসা টুপি পরা ভদ্রলোককে দেখিয়ে বললেন, ' একে চেনেন কি? '
    --- ' না... মানে ঠিক... '
    --- ' ডিটেকটিভ সেলের একজন অফিসার। সরকারি অফিসার হলেও কলতান গুপ্তের একজন অ্যাডমায়ারার... '
    শফিউদ্দিন ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে হাতজোড় করে বললেন, ' নমস্কার স্যার ... '
    তবে অপ্রাসঙ্গিকভাবে হঠাৎ কলতানের নাম নেওয়াটা বিভ্রান্তিকর ঠেকল। কোন কথার আড়ালে এনাদের কী উদ্দেশ্য যে থাকে ধরা মুশ্কিল।
    ওই ভদ্রলোকও ভদ্রতাসূচকভাবে হেসে প্রতি নমস্কার করলেন।
    শফিউদ্দিন কিন্তু বেশ ধন্দে রইলেন। ঠিক ধরতে পারছিলেন না এদের আবির্ভূত হবার মূল কারনটা কী। ভাবলেন, কতক্ষণে ঝেড়ে কাশবে কে জানে। সাত সকালে পুলিশের গোয়েন্দা নিয়ে মিনিস্টার দাদা থানায় হাজির। নির্ঘাত কোন প্যাঁচালো মতলব আছে। শফিউদ্দিন অপেক্ষা করতে লাগলেন কোন বাড়তি কথা না বলে। একবার শুধু বললেন, ' চা বলি স্যার... '
    ওরা দুজনই হাত নেড়ে না বললেন।
    --- ' দরকার নেই। খেয়ে এসেছি... ', অনিন্দ্যবাবু বললেন।
    এরপর একটু চুপ করে রইলেন। কোন তাড়াহুড়ো নেই। বোধহয় মনে মনে কথা গুছিয়ে নিচ্ছেন।
    ধীরে সুস্থে বললেন, ' দেখুন, আমি আপনাদের ফ্রি হ্যান্ড দিতে চাই। আমার এলাকায় কোনরকম ম্যালপ্র্যাকটিস বরদাস্ত করব না। অন্য এরিয়ায় যাই হোক... আমার কিছু করার নেই ... '
    শফিউদ্দিন ভাবলেন, কর্তা কী বলতে চাইছে কে জানে। মুখে সংক্ষেপে বললেন, ' থ্যাঙ্ক ইউ স্যার... '
    --- ' আপনারা নিউটাউন আর সল্টলেক থানার সঙ্গেও ভালোরকম যোগাযোগ রাখবেন। আমার কাছে খবর আছে.... '
    শফিউদ্দিন এবার সতর্ক হল।
    --- ' কী বলুন তো... '
    অনিন্দ্যবাবু বললেন, ' খবর পাচ্ছি অনেক ইল্লিগ্যাল কারবার চলছে। এন্তার চলছে। কী হচ্ছে কী এসব... কী করছেন আপনারা... আমি একদম টলারেট করব না... '
    এতক্ষণে মন্ত্রীসুলভ ধমকের সুর ফুটল অনিন্দ্যবাবুর কথায়। শফিউদ্দিন ভাবলেন, সামনে তো কোন ইলেকশান নেই। হঠাৎ এনার মাথায় এসব চাগাড় দিল কেন। নাকি অন্য কোন কার্যক্রম আছে।
    তিনি বললেন, ' মোটামুটি বুঝতে পেরেছি। তবু যদি একটু খুলে বলেন... '
    অনিন্দ্য কর ঝাঁঝিয়ে উঠে বললেন, ' আর কী খুলব ? নারকোটিকস মশাই, নারকোটিকস... ব্রাউন সুগার... কিসুই জানেন না.... কী করেন এখানে বসে বসে ? '
    শফিউদ্দিন থানার ওসি। নেতাদের এ ধরনের কথাবার্তার সঙ্গে রীতিমতো পরিচিত। তবে এদের কথার সারবস্তু আক্ষরিক অর্থে নিলে বোকামি হবে এও জানেন। এদের একই কথার রকমারি মানে হয়।
    তিনি আলতোভাবে বললেন, ' হ্যাঁ, আমাদের নলেজে আছে। একটা কেস এখানে আছে... ইনসিডেন্টালি আপনাদেরই লোক...
    সে যেই হোক... কোন ছাড় নেই ... এটাই বলতে এসেছি, বুঝলেন... অন্য এরিয়ায় কী হচ্ছে আমার দেখার দরকার নেই... '
    শফিউদ্দিন বুঝতে পারলেন এটাই হল, যাকে বলে 'পয়েন্ট টু বি নোটেড '।
    তিনি সরল ভঙ্গীতে বললেন, ' ও আচ্ছা... আপনি জানেন ? হ্যাঁ, আপনি তো জানবেনই... '
    বলে অনিন্দ্যবাবুর পরের কথাটার প্রতীক্ষায় রইলেন। নিশ্চয়ই কিছু ফরমান আসবে এরপর। সেটা কিভাবে আসে সেটাই দেখার। হয়ত বিল্বদলদের সঙ্গে দেখা করতে চাইবেন। কিংবা অন্য কোন অবাঞ্ছিত ঝঞ্ঝাটও চাপাতে পারেন।
    অনিন্দ্য কর চেয়ারে হেলান দিয়ে তার পাশে বসা সঙ্গীর দিকে মুখ ঘুরিয়ে বললেন, ' তুমি তা'লে ব্যাপারটা দেখে নাও... আমি উঠি। আশা করি ওসি সাহেবের কোঅপারেশান পাব। কলতান গুপ্তও তো এখানে আছে শুনছি। সব বন্দোবস্তো কমপ্লিট করে যেও। আসলাম... '
    টুপি পরা ভদ্রলোক বললেন, ' হুঁ হুঁ ... দেখে নিচ্ছি... '
    অনিন্দ্য কর ঝট করে দাঁড়িয়ে উঠলেন এবং বেরোবার দরজার দিকে হাঁটা দিলেন। বেরোবার রাস্তায় ওই ঘরটা পড়ল এবং অনিন্দ্যবাবু এবারও
    ডানদিকে ঘাড় ঘোরালেন না। নীচের দিকে তাকিয়ে কী চিন্তা করতে করতে সোজা বেরিয়ে গেলেন।
    বিল্বদলবাবুর চোখ এড়ায়নি। তিনি বলে উঠলেন, ' আরে, কী হল ! চলে গেল যে... বলে কয়ে দিয়ে গেছে নিশ্চই ... '
    কলতান বলল, ' নিশ্চই নিশ্চই... কিছু বলে কয়ে তো গেলেন তো নিশ্চই। এখন কী বলে গেলেন সেটাই হল কথা... '
    গৌতমবাবু বললেন, ' আচ্ছা সে হবে'খন... এখন সার্চিং অপারেশানটা সেরে ফেলা যাক... '
    ঘটকবাবু বললেন, ' ওটা তো হল তখন। আবার কী ? দফায় দফায় তল্লাশি চালাবেন নাকি ? বাড়াবাড়ি করে ফেলছেন কিন্তু... '
    গৌতমবাবু বিল্বদলের কথায় কান দিলেন না। বললেন, ' হারি আপ... হারি আপ। অনেক সময়
    নষ্ট হয়েছে। এখানে আর টাইম ওয়েস্ট করা যাবে না... '
    কলতান বলল, ' মিস্টার রায়, আমার মনে হয় জুতোর তলা থেকে পাওয়া ডাস্টগুলো ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো দরকার। বডির অন্য পার্টে ফ্রিস্কিং করে কিছু পাওয়া যাবে না। যা আছে ওতেই ... '
    এইসময়ে কে যেন বলল, ' এক্জ্যাক্টলি। আমারও একই ওপিনিয়ন.... '
    সকলে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলেন অনিন্দ্য করের সঙ্গী টুপিতে মাথা কান ঢাকা ওই ভদ্রলোক ঘরে এসে দাঁড়িয়েছেন।
    কলতানের দিকে তাকিয়ে বললেন, ' আয়্যাম সরি কলতানদা, আমি ইলিনা স্নাইডার সেনকে হাতেনাতে ধরতে পারিনি, এমনকি বাঁচাতেও পারিনি। ওকে রাখতে পারলে কেসটা আরও পোক্ত হত। আপনাকে আমি শুধু মোবাইলে তুলে রাখা ছবিগুলো দিয়েছিলাম। জানতাম এদের জালে তোলার জন্য এটুকু ক্লুই আপনার পক্ষে যথেষ্ট। আপনি সেটা করে দেখিয়েও দিলেন... '

    কলতান স্থির দৃষ্টিতে ভদ্রলোকের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। একেবারেই চেনা চেনা মুখ, চেনা চেনা কন্ঠ।
    কলতানের চোখকে আর কতক্ষণ ধোঁকা দেওয়া যায়...
    সে বলে উঠল, ' আরে গোপেশ্বর ! টুপিটা তো খোল... তুমি কলতান গুপ্তকেও বোকা বানালে! নিলাদ্রি আবাসনের সিকিউরিটি গার্ডের ভূমিকায় এত ভাল অভিনয়। কিছু ধরতেই পারলাম না... '
    --- ' আমাকে লজ্জা দেবেন না। আসলে গোয়েন্দা দপ্তরের চাকরি তো... অভিনয় একটু আধটু জানতেই হয়... '
    --- ' তা তোমার, সরি... আপনার আসল নামটা কী ? '
    --- ' আপনি আমাকে তুমিই বলবেন কলতানদা। আমি আপনার একজন ফ্যান।
    কলতান বলল, ' বেশ তাই হোক। তোমার নামটা জানা হল না... '
    গৌতম রায় হাসি হাসি মুখে বললেন, ' ওর নাম শতদ্রু ব্যানার্জী। আমারই অ্যালায়েড ডিপার্টমেন্টের কলিগ। ওক্কে... নাও লেটস সেট আউট ফর নিউ টাউন অ্যান্ড হেডকোয়ার্টার দেয়ারআফটার... '
    শতদ্রু ব্যানার্জী বললেন, ' অনিন্দ্য কর স্যার ফুল কোঅপারেশনের অ্যাসিরেন্স দিয়েছেন। মোটিভটা কী ঠিক বলতে পারব না... '
    --- ' না আঁচালে বিশ্বাস নেই। লেটস বি অপটিমিস্টিক স্টিল... ' নীচু স্বরে বললেন গৌতম রায়।
    কলতান বলল, ' আমার তাহলে এবার ছুটি। এবার শুরু হল আপনাদের কার্যক্রম... '
    --- ' আপনিও এ কার্যক্রমের বাইরে নয় মশাই। আপনাকে ছাড়া মামলা এগোবে ? এ তো আর গল্পের বইয়ের ডিটেকটিভ নয়... আসামী ধরে দিয়েই খালাস ... '
    বিল্বদল ঘটক হঠাৎ তড়াং করে দাঁড়িয়ে উঠে বললেন, ' দূর শালা ... বেইমান সব... কেউ যেন কিছু জানে না ! ঠিক আছে আমিও দেখব শালা... সব ক'টাকে ফাঁসাব... '
    বিল্বদলবাবু কী দেখবেন, কাকে দেখবেন, কাকে ফাঁসাবেন তা তিনিই জানেন। সে সব জানতে গেলে আমাদের বহুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এ দেশে কোন মামলার ফয়সালা কি আর দু চার দিনে হয় ? সত্যানুসন্ধানীদের চতুর ধুরন্ধর কাঁটা বিছানো রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয় অনন্তকাল ধরে।
    আমরা আর মামলা মোকদ্দমায় ঢুকব না আপাতত। পাথর গড়াতে শুরু করুক। দেখা যাক কোথায় গিয়ে তা থিতু হয়।
    তবে হ্যাঁ, কলতানের অকাট্য প্রমাণাদির ভিত্তিতে ঋতাভরী আর দেবপ্রভকে পুলিশ শেষ পর্যন্ত হেফাজতে নিতে পেরেছে।

    ( সমাপ্ত )

    *****★********★********
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 2607:fb90:bd32:6554:85bc:4da1:8189:***:*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:২৪736720
  • এখানেও শতদ্রু! :)
    শেষটা বাস্তবসম্মত। অভিনন্দন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন