এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলতান ও ইলিনা - ১১

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৩ অক্টোবর ২০২৫ | ৫২ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১
    (১১)

    কলতান দ্রুত সামলে নিল। সরাসরি বলল, ' স্পটটা বলুন... '
    --- ' নীলাদ্রি কমপ্লেক্স... ওদের ফ্ল্যাটে... ' বিক্রমবাবু বললেন।
    --- ' আপনি কোথায় ? '
    --- ' বাড়িতে... '
    --- ' খবরটা কে দিল আপনাকে ? '
    --- 'ওসব কথা পরে হবে। আপনি এখন কোথায় ? '
    কলতান নির্জলা মিথ্যে কথা বলল --- ' বাড়িতে। ঠিক আছে, পরে কথা হবে... '
    কলতান লাইন কেটে দিল।

    ইলিনার বডি চিৎ হয়ে পড়ে আছে ড্রয়িং রুমের ফ্লোরে। এই ফ্লোরটা প্রায় ফাঁকা। মাত্র তিনটে ফ্ল্যাট বিক্রী হয়েছে এখন পর্যন্ত। তার মধ্যে একজনের ফ্ল্যাটে তালা মারা। শোনা গেল আন্দামান না কোথায় বেড়াতে গেছে। ইলিনার ঠিক পাশের ফ্ল্যাটে একটা ছোট পরিবার থাকে। স্বামী স্ত্রী এবং তাদের এক সতের আঠারো বছরের মেয়ে। ভদ্রলোকের নাম শ্যামলকান্তি চৌধুরী। সেন্ট্রাল এক্সাইজের অফিসার। ভালোমানুষ গোছের হাবভাব। লাগোয়া ফ্ল্যাটে এরকম একটা অদ্ভুত মৃত্যু ঘটে যাওয়ায় পরিবারটিকে বেশ বিব্রত এবং বিড়ম্বিত দেখাচ্ছে।
    নিউটাউন থানার ওসি মনোজ সাহা এবং নিলাদ্রি আবাসনের বাসিন্দা শুভজিত বাগচীর সঙ্গে ওখানে দেখা হয়ে গেল কলতানের। ওরা ফ্ল্যাটের বাইরের করিডরে দাঁড়িয়ে ছিল আরও তিন চারজনের সঙ্গে।
    কলতানকে দেখে মনোজ সাহা এগিয়ে এল।
    --- ' কার থেকে খবর পেলেন ? '
    কলতান প্রশ্নটা এড়িয়ে গেল। বলল, ' ভেতরে কারা আছে ? '
    --- ' ডাক্তার এসেছে। আমাদের দুজন অফিসারও আছে ... লালবাজারের হোমিসাইড স্কোয়াডের... ভিকটিম ফরেনার বলে... '
    --- ' ডাক্তার কিসের জন্য ? ডেথ সার্টিফিকেটের ব্যাপারে ? '
    --- ' হ্যাঁ, তাছাড়া আর কি হবে ? ' শুভজিত বাগচী বলল।
    --- ' না সেটা বলা যায় না... কাজ বিভিন্ন প্রকারের থাকতে পারে। ইনি কি তিনিই ? ' কলতান শুভজিতের দিকে তাকিয়ে রইল।
    শুভজিত বাগচী একটু হকচকিয়ে গিয়ে বলল, ' মানে ? '
    --- ' অমৃতাংশুবাবুর সময়ে কি ইনিই এসেছিলেন... সেটাই জিজ্ঞাসা করছি... '
    --- ' হ্যাঁ... ওই আর কি... '
    --- ' ওই আর কি... মানে ? '
    --- ' হ্যাঁ হ্যাঁ উনিই .... তাতে হলটা কি ? এই হাউজিং- এর যে কোন বিপদে আপদে উনি ডাকলেই আসেন। উনি না এলে কি ভাল হত? যে কোন মানুষকে সন্দেহ করাটা মোটেই ভাল ব্যাপার না বুঝলেন তো ? '
    --- ' আহা, আপনি উত্তেজিত হচ্ছেন কেন ? আমি শুধু জানতে চাইছিলাম ওই একই ডাক্তার কিনা... আর কিছু না। নেভার মাইন্ড ব্রাদার... সামান্য ব্যাপার ... '
    কলতান ওসি মনোজ সাহার দিকে ফিরল।
    --- ' আপনাকে কে খবর দিল ? '
    মনোজবাবু মুখটা ওপর নীচ করে, ভ্রু নাচিয়ে শুভজিতের দিকে দেখিয়ে বললেন, ' উনি... '
    --- ' ও আচ্ছা। ক'টা নাগাদ ?
    --- ' সকাল আটটা নাগাদ... '
    --- ' শুভজিতবাবু আপনি কার কাছে খবর পেলেন ? '
    শুভজিত বাগচী পাশের ঘরের দিকে দেখিয়ে বলল, ' শ্যামলবাবু.... ভীষণ নার্ভাস ধরণের লোক। দেখছেন তো, ধারে কাছে কোথাও নেই। দরজা বন্ধ করে বসে আছে... '
    --- ' ও আচ্ছা ... ঠিক আছে। ওনাকে সাহস দিতে হবে। ভদ্রলোক কেন মিছিমিছি ভয় পাবেন। ওনার সঙ্গে অবশ্যই কথা বলব পরে .. '
    মনোজবাবুকে জিজ্ঞাসা করল, ' ভেতরে যেতে পারি স্যার ? দেখতে হবে তো... '
    মনোজবাবু একটুখানি ভেবে নিয়ে বললেন, ' দাঁড়ান জিজ্ঞেস করছি ... আপনাকে মনে হয়, না বলবে না... দেখি... '
    মনোজবাবু ভিতরে ঢুকে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পরে বেরিয়ে এসে বললেন, ' যান... আপনার হাত যে খুব লম্বা তা জানতাম... '
    কলতান ভিতরে গিয়ে দেখল ঘরের মেঝেতে ইলিনার বডি পড়ে আছে। পরনে একটা ঢোলা ফুলহাতা সূতির শার্ট এবং একটা গোলাপী রঙের পাজামা। ডাক্তারবাবু একটা চেয়ারে বসে আছেন। মনে হচ্ছে কি করবেন বুঝতে পারছেন না। কলতানকে ঘরে ঢুকতে দেখে বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রইলেন।
    কলতান ঘরের সবার দিকে তাকিয়ে বলল, ' নমস্কার... '
    ডাক্তার অভিজিত দত্ত হাতজোড় করে বললেন,
    ' নমস্কার ... স্যার... '
    লালবাজারের অফিসারদের মধ্যে একজন বললেন, ' আসুন মিস্টার গুপ্ত। শুদ্ধসত্ত্ববাবু ফোন করেছিলেন একটু আগে। উনি অবশ্য জানতেন না আমি এখানে আছি। আসলে কোন ফরেনারস ক্যাজুয়ালটি হলে আমরা আসি। আমার নাম কুশল চ্যাটার্জি আর ইনি হলেন অরবিন্দ সেনগুপ্ত। জেনারেলি আমরা দুজনই এই নেচারের কেসগুলো কভার করি ... '
    অরবিন্দ সেনগুপ্ত সপ্রতিভতার সঙ্গে হেসে ডান হাত বাড়িয়ে দিলেন। কলতান ওর হাতে হাত মেলাল।
    কলতান দুজনকেই জিজ্ঞাসা করল, ' আপনারা যখন পার্মিশান গ্র্যান্ট করেই দিয়েছেন, তখন জিজ্ঞেস করা যেতে পারে ... '
    অরবিন্দবাবু বললেন, ' বলুন না বলুন না ... ফুল কোঅপারেশন পাবেন। আমরা কুইক রেজাল্ট চাই কাম হোয়াট মে... অ্যান্ড উই নো ইয়োর মেটল ভেরি ওয়েল ... '
    --- ' থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ স্যার। লেটস বি ব্যাক টু আওয়ার বিজনেস। প্রাইমা ফেসি কি মনে হচ্ছে, ডেথটা কি নেচারের ? ' কলতান ডাক্তারবাবুর দিকেও তাকাল।
    কলতানের উপস্থিতিতে ডাক্তারবাবু বোধহয় একটু স্বস্তি বোধ করতে আরম্ভ করেছেন।
    তিনি দাঁড়িয়ে উঠে কলতানের দিকে এগিয়ে এলেন। বিনীত ভঙ্গীতে বললেন, ' কি বলব বলুন তো ... যা হোক একটা লিখলেই হল... আমি সহজে অ্যাভেলেবল বলে যা খুশি তাই ... ভেরি ব্যাড ভেরি ব্যাড... '
    --- ' কেন, কি হয়েছে ' ?
    ডাক্তারবাবুর মনে হয় তেমন পসার নেই। তাই নিয়মিতভাবে মৃত্যুর শংসা পত্র প্রদান করেন কিছু অর্থের বিনিময়ে।
    তিনি বললেন, ' না... কি আর হবে... সবই আমার কপাল... '
    ডাক্তারবাবু মোটেই পুরোপুরি কিছু ভাঙলেন না। বরং ব্যাপারটা নিজের কপালে নিয়ে গিয়ে ফেললেন।
    কলতান ওনার চোখমুখে চোখ বুলিয়ে জরিপ করা জারি রাখল।
    --- ' আপনি কি কাছাকাছি থাকেন ? '
    --- ' আমি তো এই নীলাদ্রিতেই থাকি। সেটাই তো হয়ে গেছে প্রবলেম... '
    --- ' প্রবলেম কেন ? '
    --- ' ওই... নানারকম প্রেসার, অবলিগেশান... '
    --- ' কারা প্রেসার দেয়... অবলিগেশানই বা কিসের ? '
    --- ' ও আছে... বুঝতেই তো পারছেন,... '
    --- ' কি আশ্চর্য! আমি কি করে বুঝব ? '
    --- ' খুঁজে দেখুন না.... ঠিক বার করতে পারবেন। আপনারা পারেন না হেন কাজ নেই ... '
    --- ' আমি কিন্তু পুলিশের লোক না... '
    --- ' সে জানি না... হয়ত তার ওপরে কেউ হবেন।
    নইলে এনারা এত খাতির করতেন না আপনাকে।
    কিছু এলেম তো নিশ্চই আছে... নইলে কি আর... '
    কলতানের মনে হল , ডাক্তার বোধহয় তাকে প্রচ্ছন্ন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে। পার তো ধর না দেখি ধরনে।
    এ ভদ্রলোক হয় সব কিছু গুলিয়ে দেবার কাজে লেগেছে অথবা আন্তরিকভাবে ব্যাপারটার ন্যায্য মীমাংসা চাইছে কিন্তু সরাসরি কিছু বলতে পারছে না।
    --- ' আচ্ছা ঠিক আছে, আপনি আমার মোবাইলে একটা মিসকল দিন। নাম্বারটা বলছি...'
    --- ' কেন ? '
    --- ' কখন কি দরকার হয় কেউ বলতে পারে? '
    --- ' হুঁ, সেটা অবশ্য ঠিক ... '
    বলে, ডাক্তারবাবু তার মোবাইল থেকে একটা মিসকল দিলেন।
    --- ' থ্যাঙ্ক ইউ। আপনার নামটা জানা হল না... '
    --- ' ডক্টর সত্যজিত মৈত্র ... '
    --- ' ঠিক আছে ডক্টর মৈত্র ... থ্যাঙ্ক ইউ এগেন। আচ্ছা এবার বলুন তো ডক্টর মৈত্র , মৃত্যুর কারণ কি হতে পারে বলে আপনার ধারণা ? এটা কি ন্যাচারাল ডেথ অর আনন্যাচারাল ডেথ ? '
    --- ' সেটা আপনারা ক্লোজলি অবজার্ভ করলেই বুঝতে পারবেন... '
    --- ' তা করব... তবু একটা টেকনিক্যাল ওপিনিয়নের দরকার আছে। আপনি ডেথ সার্টিফিকেট লিখেছেন ? '
    --- ' না লিখিনি। খুব ডাইলেমার মধ্যে আছি... '
    --- ' কেন ? '
    --- ' কারণ... কি বলব... '
    --- ' বলুন না... কোন অসুবিধা হবে না কথা দিচ্ছি। এই তো... সাহেবরা আছেন, এনাদের সামনেই বলুন না... ডোন্ট স্কেয়ার্ড ... '
    --- ' আমার মনে হয় এটা আনন্যাচারাল ডেথ। ডেথ অ্যাজ এ রেজাল্ট অফ অ্যাসফিক্সিয়েশান... '
    --- ' আচ্ছা ! মানে, সোজা কথা... গলা টিপে মারা হয়েছে? '
    --- ' হুঁ... দেখুন আপনারা। ফরেন্সিকের লোক তো আসবে। বডি নিয়ে যাবে। দেখে নিন তার আগে... '
    কুশলবাবুরা বোধহয় কিছুটা বিরক্ত বোধ করছিলেন। একটু অধৈর্য স্বরে অরবিন্দ সেনগুপ্ত বললেন, ' ওনাকে ছেড়ে দিন মিস্টার গুপ্ত, আসুন... আপনি যা দেখবার দেখে নিন। ওরা এসে পড়লে আবার... লোকাল ওসিকে দিয়ে চালান রেডি করাতে হবে। ওটা তো একটা উজবুক মনে হচ্ছে। হেডকোয়ার্টার কিছু জানে না, নাকি ? কলতানবাবু, দেখবেন বডি টাচ করবেন না যেন... '
    কলতান মুচকি হেসে বলল, ' টেনশান নেবেন না স্যার... আই নো মাই জব কোয়াইট ওয়েল... '
    মনে মনে বলল, ' তুমিও কিছু কম উজবুক নও... কলতান গুপ্তকে প্রোটোকল শেখাচ্ছে ... '

    কলতান ইলিনার শায়িত মৃতদেহ থেকে হাত দেড়েক দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটু গেড়ে বসল। একটা ম্যাগনিফায়িং গ্লাস বার করে মুখ, গলা এবং পায়ের পাতায় নজর বোলাতে লাগল। গলায় ব্রুইজ মার্ক স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। মাথার চুল লেগে আছে মুখ গলা এবং তার আশেপাশে।
    কলতান তার মোবাইলে নানাভাবে সাত আটটা ছবি নিল গলার এবং ঘাড়ের অংশের। পায়ের পাতার চার পাঁচটা ছবি নিল। বডির চার পাশে ঘুরে ঘুরে আঁতিপাতি করে খুঁজতে লাগল যদি কিছু চোখে পড়ে। তেমন কিছু চোখে পড়ল না। ধস্তাধস্তির চিহ্নও কিছু পাওয়া গেল না।
    কলতান মোবাইল পকেটে রেখে হেডকোয়ার্টারের অফিসার দুজনের কাছ গেল।
    অরবিন্দবাবু বললেন, ' ডান ? '
    --- ' না না... নাথিং সাবস্ট্যানশিয়াল অ্যাজ ইয়েট। লং অ্যান্ড টরচুয়াস পাথ টু ট্র্যাভার্স। সবচেয়ে নোটিসেবল ব্যাপার হল কাউকে গলা টিপে মারলে তার তো জিভ বেরিয়ে থাকার কথা।
    সেটা কিন্তু দেখা যাচ্ছে না এখানে... '
    কুশলবাবু গম্ভীরমুখে বললেন, ' রাইট, এটা আমরাও নোট করেছি। দেখা যাক পি এম রিপোর্ট কি আসে, তারপর পারসু করা যাবে... '
    --- ' এনার হাজব্যান্ডের পি এম রিপোর্টটা আমি অনেক চেষ্টা করেও এখনও দেখতে পেলাম না। ওটা স্টাডি করার দরকার ছিল। ওটাও যদি একটু পারসু করেন... ' কলতান বলল।
    --- ' সে কি, ওটার কপি এখনও পাননি... কাকে বলেছেন ? '
    কলতান কারও নাম নিতে চাইল না। বলল,
    ' বলেছি অনেককে... যাকগে, ওসব বাদ দিন।
    ফ্ল্যাটের ভিতরটা একটু দেখতে চাই... অল অ্যালোন... ডোন্ট মাইন্ড স্যার... '
    --- ' আরে... কি যে বলেন, যান যান... ইফ ইউ ফিল ইট কনভিনিয়েন্ট ... উই আর অন দা সেম বোট স্যার ... গো অ্যাহেড... '
    কলতান ফ্ল্যাটের ভিতরের ঘরে গেল। যেতে যেতে ভাবল, পোস্ট মর্টেম টিম চলে গেলে লাগোয়া ফ্ল্যাটের লোকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। যা পাওয়া যায় তাই লাভ। মামলাটা ঘোরাল হয়ে উঠছে। তার অনুমান ক্ষমতা কি কমে গেল...

    ( ক্রমশ)

    ********************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন