এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলতান ও ইলিনা - ১ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩০ বার পঠিত
  • ( ১ )

    পৌনে দশটা নাগাদ ফোনটা এল। অজানা নম্বর।
    আজকাল অজানা নম্বরের ফোন ধরাটা খুব ঝুঁকির ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, যদিও সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে কোন তথ্য না দিলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করা যায় না। কলতানেরও সেটাই যুক্তিযুক্ত মনে হয়। কিছু ইনপুট না পেলে জালিয়াতরা ঢোকার রাস্তা পাবে কি করে।
    তবে এসব ভাবলে তো কলতানের চলবে না। অজানা নম্বর থেকে তো তার কাছে ফোন আসবেই। সেগুলো এড়িয়ে গেলে তো তার কাজকর্মই বন্ধ।

    কলতান ফোন তুলে যথারীতি বলল, ' হ্যাঁ বলুন ... '
    ওদিক থেকে পরিশীলিত নারীকন্ঠের আওয়াজ এল, ' অ্যাম আই স্পিকিং টু মিস্টার কলতান গুপ্তা ? '
    --- ' ইয়েস স্পিকিং '
    --- ' আমি নিউটাউনে থাকি। টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের কাছাকাছি। আপনার নম্বরটা পেয়েছি
    শুদ্ধসত্ত্ব হালদারের কাছ থেকে। লালবাজারের হোমিসাইড স্কোয়াডে ছিলেন। এখন অবশ্য রিটায়ার্ড। উনি বললেন আপনার সঙ্গে কথা বলতে। আমার নাম ইলিনা সেন। দরকার হলে ওনার সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন ... '
    --- না না তার দরকার নেই। তবে আপনি নিশ্চয়ই কোন সমস্যার মধ্যে আছেন ... না হলে আমাকে ফোন করবেন কেন ? '
    --- ' হ্যাঁ সেটাই, খুব ট্রমার মধ্যে আছি ... কি করা উচিত ডিসাইড করতে পারছি না ... মানে ... '
    --- ' হ্যাঁ ... সে কারণেই বলছি এসব ডিসকাসন ফোনে না হওয়াই ভাল ... ভেরি রিস্কি ... '
    --- ' ও আচ্ছা, দেন হাউ ... '
    --- ' প্লিজ মেক আ টাইম টু কাম টু মাই প্লেস। আপনি কলেজ স্ট্রিট এম জি রোড ক্রসিং-এ এসে আমাকে একটা কল দিন। কবে কখন আসবেন একদিন আগে জানিয়ে দেবেন ... '
    --- ' ধরুন যদি কাল যাই। কাল বেলা বারোটা নাগাদ ... '
    --- ' ঠিক আছে চলে আসুন ... ওখানে এসে কল দেবেন, আমি বলে দেব ... '
    --- ' ঠিক আছে, থ্যাঙ্ক ইউ ... '

    কলতানের ঠিকানা খুঁজে বার করতে কোন অসুবিধা হয়নি ইলিনা সেনের।
    ইলিনাকে দেখে মনে হল ছাব্বিশ সাতাশ বছর বয়স। প্রথম দর্শনে বিদেশিনী বলে মনে হয়। গায়ের রঙ লালচে ধরণের ফর্সা। উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুট হবে। ছিপছিপে চেহারা। সামান্য লম্বাটে ধরনের মুখ। চোখ কালো, তবে পিঙ্গল আভা আছে। চুল লম্বা, কালো তবে বাদামী আভা আছে। ব্লু জিন্স আর লাল কালো চেক কাটা একটা ফুল শার্ট পরে আছে। হাতে মোবাইল ফোন।
    --- ' আমি ইলিনা ... ফোন করেছিলাম ... '
    --- ' হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি। আসুন আসুন ... '
    ইলিনা বসার পর কলতান বলল, ' একটা কথা প্রথমে জিজ্ঞাসা করে নিই। আর ইউ অরিজিনালি এ বেঙ্গলি ? '
    ইলিনা সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দিল, ' নো স্যার, আয়্যাম নট অরিজিনালি এ বেঙ্গলি স্যার, নর অ্যান ইন্ডিয়ান টু বি ফ্র্যাঙ্ক, জেনেটিক্যালি '

    --- ' দেন হোয়াট রিয়েলি আর ইউ ? ইউ সিম টু বি সো কমফর্টেবল উইথ বেঙ্গলি '
    --- ' আয়্যাম এ জার্মান ইন ফ্যাক্ট, হেলিং ফ্রম ফ্রাঙ্কফার্ট, অরিজিনালি ইলিনা স্নাইডার। আই গট ম্যারেড টু এ বেঙ্গলি পারসন হোয়েন হি ওয়াজ ইন আওয়ার কান্ট্রি ... '
    --- ' ওয়েল, দেন গো অ্যাহেড উইথ ইয়োর হাজব্যান্ডস ল্যাঙ্গুয়েজ ... ইট উইল ওয়ার্ক ফাইন ফর আওয়ার জব ম্যাম... '
    --- ' টিক আচে ... টিক আচে ... নো প্রবলেম টু স্পিক ইন বেঙ্গলি ... '
    --- ' চা না কফি খাবেন ? '
    --- ' না না ... কিছু খাব না। প্লিজ ডোন্ট বি বদারড ... '
    --- ' ঠিক আছে, বলুন এবার ... '
    ভদ্রমহিলা একটু সময় নিলেন। বোধহয় বক্তব্যটা মনে মনে গুছিয়ে নিলেন।
    --- ' অমৃতাংশু সেনের সঙ্গে আমার বিবাহ হয় দু বছর আগে। ও একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট ছিল ... '
    --- ' ছিল কেন বলছেন ? উনি কি কি এখন নেই?'
    --- ' না। লাস্ট ইয়ারের এপ্রিল মাসে উনি মারা গেছেন ? '
    --- ' এখানে না জার্মানিতে ? '
    --- ' এখানে এখানে,ইন ক্যালকাটা ... সরি কলকাটা... '
    --- ' ন্যাচারাল ডেথ ? '
    --- ' তাই তো মনে হয় ... '
    --- ' মনে হয়, মানে ? '
    --- ' আমরা দু জন একটা পার্টিতে গিয়েছিলাম সল্ট লেকে। ওর এক ফ্রেন্ডের ম্যারেজ অ্যানিভার্সারির পার্টি। ছোট পার্টি। ভেরি স্মল গ্যাদারিং। ওখানে খাওয়া দাওয়ার পর হি লুকড টু বি ফিলিং এ বিট আনইজি। আমরা ইন নিয়ারলি হাফ অ্যান আওয়ার গট ব্যাক টু আওয়ার প্লেস ... '
    --- ' তারপর ? '
    --- ' তারপর ইন মিডনাইট, অ্যারাউন্ড হাফ পাস্ট টু হি স্টার্টেড গ্রোনিং। আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আই গট রিয়েলি ইন আ টিজি অ্যান্ড কুডনট্ আন্ডারস্ট্যান্ড হোয়াট টু ডু। মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে হি স্টপড ব্রিদিং অ্যান্ড সার্ডেনলি এন্ডেড আপ টু বি কোল্যাপসড ... ওহ মাই লর্ড ...'
    বলে দুহাতে মুখ ঢেকে মাথা নীচু করে ইলিনা চুপ করে রইল। কলতান অপেক্ষা করতে লাগল ইলিনাকে ধাতস্থ হবার সময় দিয়ে।
    একটু পরে ইলিনা আবার বলতে শুরু করল,
    ' নেবারহুডে আমাদের তেমন মেলামেশা ছিল না। তাই হয়ত এক্সপেক্টেড সিমপ্যাথি অ্যান্ড কোঅপারেশান পেলাম না। ডক্টরও আমাদের অচেনা। সে ডেথ সার্টিফিকেট দিল না। পুলিশে রিপোর্ট করার জন্য সাজেস্ট করল ফর পোস্ট মর্টেম অ্যান্ড অল দোজ ... অ্যান্ড আই কুডনট্ স্টপ দ্যাট বিয়িং ডান। আমার কোন প্লি কেউ শুনল না। পোস্ট মর্টেম হল এবং অমৃতাংশুর স্টম্যাকে পয়জন পাওয়া গেল ... '
    --- ' কিরকম পয়জন ? '
    --- ' সেটা আমার ঠিক মনে পড়ছে না। পরে আপনাকে জানাব ... '
    --- ' ঠিক আছে, তাই জানাবেন। ওটা জানাটা কিন্তু ভাইটাল ... '
    --- ' ওকে স্যার, আন্ডারস্টুড ... '
    --- ' স্টম্যাকে পয়জন পাওয়া গেছে এটা আপনাকে কে বলল? ডিড দে শো এনি ডকিউমেন্ট টু ইউ ? '
    --- ' নো স্যার, ভার্বালি কনভে করেছে ... '
    --- ' যে কনভে করেছে সে কে ... মানে কোথা থেকে এসেছিল ? '
    --- ' কোথাও থেকে আসেনি। আমার লইয়ার আমাকে জানিয়েছে ... '
    --- ' লইয়ার! কেন, লইয়ার দরকার হল কেন ? '
    --- ' পুলিশের হোমিসাইড স্কোয়াড আমার এগেনস্টে একটা সুয়ো মোটো কেস ফাইল করেছে ... '
    --- ' আচ্ছা ! '
    --- ' আমাকে একদিন পুলিশ কাস্টডিতে থাকতে হয়েছিল। কোর্টে অ্যাপিয়ার হওয়ার পর আমার লইয়ার কন্ডিশানাল বেল বার করে আনে ... তাই আমি এখানে কথা বলতে পারছি ... '
    --- ' আচ্ছা আচ্ছা ... '
    --- ' এভরি নাও অ্যান্ড দেন দে আর কলিং মি টু দি পুলিশ স্টেশন অ্যান্ড কুইজিং মি ইন সাচ আ ওয়ে অ্যাজ আই অ্যাম সাপোজড টু বি দা কালপ্রিট... '
    --- ' ও মাই গুডনেস ... সো এমব্যারাসিং ... '
    --- ' নট অনলি এমব্যারাসিং স্যার, আয়্যাম বিয়িং ট্রিটেড দেয়ার উইথ সাচ আ ডিমিনিং ওয়ে ... রিয়েলি স্কেয়ারিং ... '
    --- ' হমম্ ... আই ক্যান আন্ডারস্ট্যান্ড, রিয়েলি আই ক্যান ... '
    বলে কলতান আবার চুপ করে রইল কিছুক্ষণ।
    --- ' আপনি কি উইদাউট এনি কগনিজেবল এভিডেন্স কলকাতা পুলিশের এই হ্যারাসমেন্টের কথা জার্মান এমব্যাসিতে ফরওয়ার্ড করেছেন ? '
    --- ' হ্যাঁ মেল করেছিলাম। তারা বলছে কোন কনক্রিট অ্যালিবাই ন্যারেটিভ প্রেজেন্ট করতে। অনলি দেন দে ক্যান সুয়িং ইন্টু অ্যাকশান লফুলি। আদারওয়াইজ দে হ্যাপেন টু বি স্টাক টু সাম লিগ্যাল এমবারগো অন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল প্রোটোকল ... '
    --- ' হমম্ ... আই সি ... '
    --- ' এই জন্যই আপনার কাছে এসেছি ... টু রিড মি অফ দিস ট্রম্যাটিক জিঙ্কস ... '
    --- ' বুঝেছি ... '
    --- ' বুঝেছেন ? '
    --- ' হ্যাঁ, বুঝেছি। কমপ্লিটলি আন্ডারস্টুড, মানে আপনি কি জন্য আমার কাছে এসেছেন। এখন আমি আপনাকে কয়েকটা প্রশ্ন করি। আপনি উত্তর দিন। এগুলো না জানলেই নয় ... '
    --- ' অফ কোর্স। ফিল ফ্রি উইথ দিস স্যার ... '
    --- ' আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড একটু বলুন। মানে আপনার মা বাবা,ফ্যামিলি ... '
    --- ' আমার মা জার্মান আর বাবা একজন সুইস ... মাইগ্রেটেড টু জার্মানি ইন হিস ভেরি ইয়াং এজ। আমি অল থ্রু আমার মায়ের সারনেম স্নাইডার ব্যবহার করেছি। আমার যখন পাঁচ বছর বয়স তখন তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান ... '
    --- ' মানে সেপারেশান হয়ে যায় ? '
    --- ' হ্যাঁ, আলটিমেট সেপারেশান। হি লেফট দিস ওয়ার্ল্ড অল ফর এভার। '
    --- ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... ভেরি স্যাড ... '
    --- ' ইউ নিড'নট বি স্যার। ইটস ন্যাচারাল ... '
    --- ' ওকে, তারপর ... আপনার মা-ই আপনাকে মানুষ করেন ? '
    --- ' বলতে পারেন। আই ওয়াজ সেন্ট টু আ হোস্টেল হোয়েন আই ওয়াজ থার্টিন অ্যান্ড আই স্পেন্ট দা রেস্ট অফ মাই স্কুল লাইফ দেয়ার।
    --- ' তারপর? আপনি মায়ের কাছে ফিরে এলেন ?'
    --- ' ইয়েস স্যার। কিন্তু বাড়ি এসে দেখলাম আমার মা আবার বিবাহ করেছে ... '
    --- ' ও আচ্ছা। তার সঙ্গে আপনার রিলেশান কেমন ছিল ? '
    --- ' হি ওয়াজ এ ভেরি জেন্টল পার্সন বাট হাইলি ইনডিফারেন্ট টুয়ার্ডস টেকিং কেয়ার অফ মি। আমার কোন খবরই তিনি রাখতেন না। নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন ... '
    --- ' আপনাদের বিয়ের ব্যাপারে আপনার পেরেন্টসদের কনসেন্ট ছিল ? '
    --- ' বাবা এসব নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। আর আমার মা জুডিথ স্নাইডার এসব নিয়ে ইয়েস অর নো কিছুই বলেননি। আমাদের দেশের কাস্টম একদম অন্যরকম ... '
    --- ' এনিওয়ে ... আপনি অমৃতাংশুকে বিবাহ করার পরেই এদেশে চলে এলেন ? '
    --- ' সঙ্গে সঙ্গে আসিনি। উই শিফটেড টু ক্যালকাটা আফটার থ্রি মানথস অর সো। এখানে দিল্লীতে একটা লুক্রেটিভ জব পেয়ে গেল অমৃতাংশু। পরে ওদের কোন কোম্পানি ক্যালকাটায় ব্র্যাঞ্চ খোলার পর ও এখানে পোস্টিং পায় ... '
    --- ' এখানে কি আপনারা অমৃতাংশুর ফ্যামিলিতেই থাকতেন ? '
    --- ' না আমরা প্রথম থেকেই সেপারেটলি থেকেছি। ওসব বাবা মা আমাদের বিয়েটা মেনে নিতে পারেনি। ওখানে অ্যাডজাস্ট করে থাকাটা সিমড টু বি এ টল আস্ক ... '
    --- ' ওনারা কেমন লোক বলে মনে হয় আপনার ?'
    --- ' দে আর নাইস পিপল অ্যাজ সাচ ... আই ডোন্ট থিংক দে হ্যাভ এনিথিং টু ডু উইথ মাই হ্যাসল ... '
    কলতান জিজ্ঞাসা করল, ' আপনি কি এখন নিউটাউনের ফ্ল্যাটে একাই আছেন ? '
    --- ' হ্যাঁ স্যার ... '
    --- ' ঠিক আছে, আমি কাল বা পরশু আপনার ফ্ল্যাটে যাব দুপুরবেলায়। ওখান থেকে লোক্যাল পুলিশ স্টেশনে যেতে পারি। এনিওয়ে, প্লিজ গিভ মি দ্য নেম অ্যান্ড অ্যাড্রেস ... '
    --- ' হুইচ ওয়ান ? '
    --- ' যে বন্ধুর ফ্ল্যাটে আপনারা ম্যারেজ অ্যানিভার্সারি পার্টি অ্যাটেন্ড করতে গিয়েছিলেন ... '
    --- ' ও আচ্ছা। টিক আচে, আমি আপনাকে ওই অ্যাড্রেসটা হোয়াটসঅ্যাপ-এ পাঠিয়ে দিব ... '
    --- ' ওকে, তাই দেবেন। এটা একটা ডাবল এজেড প্রবলেম। একটা হল আপনার ওপর চার্জটা নালিফাই করা, আর একটা হল, এটা যদি হোমিসাইড কেস হয়ে থাকে, আসল অফেন্ডারকে নেইল করা ... '
    ইলিনা মাথা নীচু করে নিজের করতলের দিকে তাকিয়ে বলল, ' ইয়েস ... '

    ইলিনা বিদায় নিল দেড়টা নাগাদ। কলতান মোবাইল তুলে ডায়াল করল শুদ্ধসত্ত্ব হালদারের নম্বর।

    ( ক্রমশ )

    ************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:২৪734264
  • অনেক দিন পর,  কলতান গুপ্তের কন্ঠস্বরl
     
    চালিয়ে যান অঞ্জন, আমরা সঙ্গে আছি l শুরুটা ভালো লাগলো l
  • Anjan Banerjee | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:২৬734271
  • ধন্যবাদ  ধন্যবাদ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন