এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • নিউনর্মাল কলোনাকালীন সতেরো

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২৪ মে ২০২৩ | ৪৭৪ বার পঠিত
  • অনলাইন পড়ানো। এটা একটা জেনেরাল অ্যায়েরনেস কোর্স। যে কোনো গ্র্যাজুয়েট করতে পারে। মেহতাহাউসে থেকেই পড়ানো যায়। দেবরূপের ঘরটি এতটাই একটেরে যে কোনো শব্দ কানে আসে না। এমনকী সুনন্দিতার ও ছাত্রছাত্রীদের ঘুঙুরের আওয়াজও আসে না। করিডোরের একেবারে শেষ প্রান্তে ঘর। মাতৃগর্ভের মত নির্জন। নিরাপদ যেন। ওর এটা ভালো লেগেছে। করিডোর পার হয়ে এলে ঘুঙুরের শব্দ, টেলিভিশনের আওয়াজ বা ময়ুরের ডাক কানে চলে আসে। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হয় একটা করে ফুটস্টেপের সঙ্গে সঙ্গে। ভালো লাগে।
    তবু ও ডির্পাটমেন্টেই ক্লাস নেয়। অনেকটা সময় কাটায় ল্যাবে। তারপর অনলাইন টিজিং গুগলমিটে ইনস্ট্যান্ট মিটিং শেয়ার হয় হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে। একজন করে অ্যালাউড হতে থাকে। টুং টুং শব্দ। ভিডিও অফফ। মাইক্রোফোন অফফ। ছাত্রছাত্রী ঢুকছে ভার্চুয়াল ক্লাসে। কে কোথায় আছে জানা নেই। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত যুক্ত হচ্ছে গুগল মিটে।
    সায়েন্টিস্টস হ্যাভ ইনঅ্যাক্টিভেটেড এস এ আর এস কোভ টু বাই ট্রিকিং ইট উইদ পেপটাইডস।
    আজকে এটাই ওর আলোচনার বিষয়। ওহিও ইউনিভার্সিটি থেকে এসেছে পেপার।
    ওদের কিছু বেসিক প্রশ্ন ছিল। দেবরূপ সেগুলো সামলাচ্ছিল আগে।
    কীভাবে ইনফেকশন হয় সেটা আগে জানা দরকার তো। এস এ আর এস কোভ টু ইনফেকশন ঘটায় ওর স্পাইক প্রোটিনগুলো দিয়ে। ও ছবি দেখিয়ে বোঝাচ্ছিল। স্পাইক প্রোটিনগুলো  কোষের ওপরে এসিই টু' রিসেপটরের সঙ্গে জুড়ে যায়। ওরা জুড়ে যেতে ভালোবাসে।যত আপদ অভ্যাসের মত। ইজ ইট ক্লিয়ার?
    অনেক দূর থেকে একটা ফিনফিনে গলা ভেসে এল।
    - মেক ইট মোর ক্লিয়ার স্যর। আই অ্যাম স্টিল কনফিউজড। এর প্রোফাইলে একটা খরগোশের ছবি দেওয়া আছে।
    সায়েন্টিস্টস হ্যাভ ডিসাইন্ড পেপটাইডস দ্যাট রিসেম্বল এসিঈটু রিসেপটরস।
    ও স্লাইড শো দেখাচ্ছে। গতকাল রাত জেগে স্লাইড গুলো বানিয়েছে।
    পেপটাইডগুলো ভাইরাসকে ট্রিক করে। মানে বোকা বানায়।কোষের সঙ্গে জুড়ে যাবার বদলে ওরা জুড়ে যাবে পেপটাইডসের সঙ্গে। আর পেপটাইডস ওদের পোটেনশিয়ালি ইনঅ্যাক্টিভেট করে দেবে। বিফোর দ্য ভাইরাস ক্যান ট্রিগার ইনফেকশন। আন্ডারস্ট্যান্ড নাউ?
    ফিনফিনে গলাটা আবার ভেসে এলো।
    - ইয়েস স্যর। বাট দ্য ভাইরাস হ্যাজ টু এন্টার দ্য বডি। ইজন্ট ইট?
    হঠাৎই ওর চোখের সামনে কোকিলাবেনের গেস্টহাউস।  সেই পাম গাছ। দোতলার ব্যালকনিতে একটা সিল করা ঘর। ছবিটাকে ও মুছতে চাইছে প্রানপণে। হচ্ছে না।
    চোখ ঝাপসা। ও চশমা পরিস্কার করে নিল। গলাও।
    - ইয়েস। দ্যাট ভাইরাস হ্যাজ টু এন্টার দ্য বডি। তাহলেই সে বডিসেলের এসিইটু রিসেপটরের কাছে পৌঁছাতে পারবে।
    এই রিসেপটরগুলো সারা শরীরে থাকে। স্লাইডে হিউম্যান বডি আসছে। ভ্যাসকুলার সিস্টেম। নাক। থ্রোট। অ্যাবান্ডান্ট এক্সপোজার ইন দ্য লাংগস অ্যান্ড স্মল ইনটেসটাইনস।
    প্রবলেম হচ্ছে এস এ আর এস কোভ টু যখন নাক বা মুখের মধ্যে দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে।
    ইনসাইড দ্য বডি, দ্য ভাইরাস ইউজেস ইটস স্পাইক প্রোটিন টু অ্যাটাচ ইটসেল্ফ টু এসিইটু রিসেপটরস।
    তারপর ওরা সেলের সঙ্গেই মিশে যায়। জেনেটিক মেটিরিয়াল রিলিজ করে। হোস্ট সেলকে শেখায় কী করে নতুন ভাইরাস তৈরি করতে হবে।
    এই ভাইরাস ভীষণ প্রফিশিয়েন্ট। টু বন্ড টাইটলি অ্যান্ড কুইকলি টু এসিইটু।
    যদি ইমিউন সিস্টেম ক্যাচ করে নিতে পারে ইটস ওয়েল অ্যান্ড গুড। নাহলে কোষ নষ্ট হতে শুরু করবে। এটাই কোয়ারেনটাইন পিরিয়ড। দ্য ভাইরাস ক্যান রেপ্লিকেট অ্যান্ড ডেস্ট্রয় দ্য সেলস।
    একটানা বলে জল খেল দেবরূপ। এটা একটা প্রিলিমিনারি ক্লাস। রুবিনাজি অসুস্থ। হাঁপানি বেড়েছে। ওঁর চেম্বার ফাঁকা। নাহলে ঠিক কফি এসে যেত।
    প্যাথোজেন ইজ কম্বিনেশন অব সেল ডেস্ট্রাকশন অ্যান্ড ড্যামেজ ইনিশিয়েটেড বাই দ্য ভাইরাস।  ইমিউন সিস্টেম কীভাবে রিঅ্যাক্ট করবে তার ওপর সিম্পটম ডিপেন্ড করে।
    প্রিভেন্টিং ইজ মোর অ্যাডভানটেজিয়াস দ্যান কিওর।
    - সো পেপটাইডস আর ইম্পরট্যান্ট? আরেকজন প্রশ্ন করলো। এর প্রোফাইলে ক্যাটরিনা কাইফ। নাম ফ্লোরাল বিউটি ।
    ইয়েস। উই হ্যাভ টু গেট দ্য ভাইরাস হোয়াইল ইট ইজ স্টিল আউট অব দ্য সেল। কোষের মধ্যে ঢুকে পড়ার আগেই অ্যারেস্ট করতে হবে।
    ওর গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। অদিতির শরীরে ঠিক কোন সময়ে ঢুকেছিল ভাইরাসটা? চুপচাপ। নিঃশব্দে। 
    - যাস্ট লাইক ফলিং ইন লাভ। প্রেমে পড়ার মত। তাই না স্যর? মনের মধ্যে ঢুকে পড়ার আগেই অ্যারেস্ট করতে হয়। আদারওয়াইজ ইউ আর ডান।
    ফিনফিনে গলা বলে উঠল আবার।
    - হোয়াট ডু ইউ মিন?
    - আই মিন দি এনটায়ার প্রসেস।হাউ দ্য ভাইরাস ওয়ার্কস। নাক, মুখ দিয়ে ঢুকে পড়ে। শরীর কিছু বোঝে না। সেল গুলোকে জড়িয়ে ধরে।তারপর সেগুলো ডেস্ট্রয় হতে থাকে। লাইক লাভ। সো ডেসট্রাকটিভ। অ্যান্ড স্টিল ইউ ক্যাননট গেট আউট অব ইট। অ্যান্ড ইউ ডোন্নো হাউ ইট এন্টারস ইউ। প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে। টেগোর সেইড। দ্য ট্র্যাপ অব লাভ।তাই না স্যর?
    সব মাইক্রোফোন বন্ধ। নাহলে খুকখুক হাসি শোনা যেত ঠিক।
    দেবরূপ কী বলবে ঠিক বুঝে পাচ্ছে না। কে ত্যাঁদরামো করছে?
    ফিনফিনে গলার নাম সিন্ডেরেলা।
    ছবিতে দুটো গ্লাস স্লিপার।
    উই আর ইউজিং নিউ টেকনোলজি ইন ক্রিস্ট্যালাইজিং প্রোটিনস অ্যান্ড মাইক্রোস্কপি। ওরা এস এ আর এস কোভ টু আর এসিই টুর ছবি তুলে রাখছে। সায়েন্টিস্টরা পয়েন্ট অব অ্যাটাচমেন্ট খুঁজে পেয়েছেন। এসিঈটু রিসেপটরের একটা স্পাইরাল টেইল আছে। সেইখানে গিয়ে জুড়ে যায় ভাইরাস। সেলের ইকিলিস পয়েন্ট ঠিক খুঁজে নেয়।
    - ইক্জ্যাক্টলি স্যর। প্রেম তো তাই। ইকিলিস হিল খুঁজে নেয়। তারপর মারে।
    - আয়াম টকিং অ্যাবাউট শর্টেস্ট পসিবল পেপটাইডস। বি অ্যাটেনটিভ। পেপটাইডগুলো ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন খুঁজে নেয়। কনট্যাক্ট পয়েন্ট গুলো নষ্ট করে। যাতে রোগ স্প্রেড না করে।
    - লাইক আওয়ার ক্রেজি পেরেন্টস। ভেবে দেখুন স্যর। সিন্ডেরেলা সরব হয়েছে।
    লাভ ইজ এন্টারিং। ইন ইওর বডি। অ্যান্ড মাইন্ড। ইট ফাইন্ডস আউট ইওর ইকিলিস হিল। তারপর জড়িয়ে ধরবে। ডেস্ট্রয় করবে। ফাইনালি লাভ ইজ ডিস্ট্রাকটিভ। লাইক এস আর এস কোভ টু। তাই না স্যর?
    সিন্ডেরেলা লিভ করেছে।
    ক্রুতিকা কুপ্পালী কফি রেখে গেল।
    ইউ আর টেকিং আ লং ক্লাস দেভরূপ। টেক আ ব্রেক। টেক আ ব্রেক।
    একটা অদ্ভুত সোনালী রঙ বিকেলটার। সোনালীর সঙ্গে আপেলের লালচে রঙ মিলেমিশে মুচমুচে হতে পারতো। কিন্ত শীতের দাপট তাকে অনেকটা স্তিমিত করে দিয়েছে। দিস কাইন্ড অব কালার উড স্যুট অদিতিস কমপ্লেক্শন। ভেরি মাচ।
    কোথ্থেকে একটা পাখির ডাক ভেসে আসছে। বেশ তীব্র। কিন্তু মিষ্টি।
    দেবরূপ কিছুতেই রিল্যাক্সড থাকতে পারছে না। ভারি অদ্ভুৎ একটা ছটফটানি চলছে ভেতরে। কবে এর থেকে মুক্তি পাবে সে? আদৌ কি পাবে?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৪ মে ২০২৩ | ৪৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন