এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • স্কুল জীবনের সম্ভ্রম এক কাল

    Nisha Mondal লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ৩২০ বার পঠিত
  • দশম শ্রেণিতে পড়তাম। বয়স সতেরো হবে। আমাদের স্কুলের পেছনে এক বিশাল খেলার মাঠ ছিল। সেদিন শরীর শিক্ষার ক্লাস ছিল। সকলেই সালোয়ার কামিজ পড়ে গিয়েছিল, আমিই একমাত্র শাড়ি পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমার মনেই ছিল না যে শরীর শিক্ষার ক্লাস সেদিন ছিল। যাই হোক, শরীর শিক্ষার দিদিমণি সেদিন আসেনি। তাই ক্লাস হল না। কিন্তু সমস্ত মেয়েরা ঠিক করল ঐ সময়টা অন্য একধরনের খেলা খেলে কাটাবে। খেলাটা হল একজন হাঁটুর কাছে মাথা রেখে গম্বুজের মত দাঁড়াবে বাকিরা তাকে একলাফে ক্রস করবে শুধুমাত্র তার পিঠে দুইহাত ভর করে। আমি রাজি হলাম না। কারণ আমি শাড়ি পড়ে ঐ খেলা খেলতে পারবো না। বাকিদের সালোয়ার কামিজ পড়া ছিল, সহজেই খেলতে পারবে। আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু তারা কিছুতেই ছাড়লো না। আমি বললাম ঠিক আছে তবে আমি গম্বুজের মত দাঁড়াবো তোরা লাফাবি। সকলেই বলল ঠিক আছে। খেলা শুরু হলো। একজন লাফাতে গিয়ে আটকে গেল। এবার সে ঐরকম ভাবে দাঁড়ালা। সবাই তাকে জাম্প করছে। আমি একপাশে দাঁড়িয়ে আছি। সবাই চেঁচাচ্ছে নিশা এবার তুই। আমি ভাবলাম শাড়ি পড়ে জাম্প করলেই ছিটকে পড়ে দাঁত মুখ ক্ষত হবে। অগত্যা আর কি করবো, শাড়িটা তুলে দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে নিয়ে পেছন কোমরে টাইট করে গুঁজে মালকোঁচা মেরে এক জাম্পে পার হলাম। বাকিরা আমার দিকে তাকিয়ে থ, আমি বললাম আর উপায় কি ছিল। তবে শাড়িতে মালকোঁচা মেরে নিলে অনেক আরামদায়ক যে কোনও কাজ করার জন্য। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Moumita Roy | ১০ এপ্রিল ২০২৫ ০২:২৬542236
  • sad
  • স্বাতী রায় | ১০ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৩৪542237
  • আমাদের ইস্কুলে শারীর শিক্ষার আলাদা পোশাক ছিল না আমাদের ব্যাচে। আমরা কয়েকজন এই ভাবে শাড়ির কুঁচি পিছনে মালকোঁচা মেরে গুঁজে নিয়ে জিমন্যাস্টিক করতাম। আর শাড়ির পায়ের গোছের কাছটা চুলের ফিতে দিয়ে বেঁধে যোগব্যায়াম। সমস্যা সলভড। 
  • Nisha Mondal | ১০ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৫৪542238
  • স্বাতী রায়: একই গোত্রের বুঝলাম। তবে কিরকম পদ্ধতিতে মালকোঁচা মেরে নিতে শাড়িটাকে, প্রথম থেকে গুছিয়ে বলো। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:১৬542239
  • মহারাষ্ট্রের মেয়েরা নাকি প্রাচীনকাল থেকেই কাঁচাকোছা দিয়ে শাড়ি পরতেন। দক্ষিণী নাচের সময়ে যেভাবে কাপড় পরেন নর্তকীরা, সেটাও অনেকটা ওরকমই।
    আমাদের বাংলায় শাড়ি পরা আগে ছিল একফেরতা দিয়ে কুঁচিহীন করে বাংলামতে পরা। পরে সম্ভবতঃ জ্ঞানদানন্দিনীরা ব্রাহ্মিকা করে পরতেন, সামনে কুঁচি দিয়ে। সেটাই প্রচলিত হয়ে গেল।
    পরে স্কুলে পড়াকালীন সবুজ বা নীল বা খয়েরী বা কমলা পাড়ওয়ালা সাদা শাড়ি যখন ইউনিফর্ম হয়ে গেল মেয়েদের, তখন ব্রাহ্মিকা করে পরা সামনে কুঁচি দিয়ে, সেটাই চলল। আঁচল কাঁধের কাছে ব্রোচ বা সেফটিপিন দিয়ে আঁটকে দেবার প্রথাও যোগ হল।
    কিন্তু যাই বলুন, সাইকেল চালাতে অসুবিধে হত পায়ের দিকটায় ছড়ানো কাপড়ের জন্যই। যদি মারাঠী কায়্দায় পরা হত, তাহলে অসুবিধে হত না। অনায়াসে সাইকেল চালানো যেত, লেডিজ জেন্টস সব রকম সাইকেল সমান তালে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:২৫542240
  • আমাদের শারীর শিক্ষার দিনের জন্য সালোয়ার-কামিজ আর অন্য দিনের জন্য সবুজ পাড় সাদা শাড়ি, এই ছিল স্কুল ইউনিফর্ম। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে সাদা দোপাট্টা মাস্ট ছিল, পিটি করার সময় ওই দোপাট্টা অর্ধেকটা সামনে দিয়ে ঝুলিয়ে বাকীটা কাঁধের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে কোমরে বেঁধে নিতে হত যাতে ব্যায়াম করার সময় স্থানচ্যুত না হয়।
  • মিতালী ভৌমিক | 2409:4060:382:eac3::1693:***:*** | ১০ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:১০542241
  • আমার স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। আমাদের শারীর শিক্ষার ইউনিফর্ম ছিল সাদা সালোয়ার কামিজ আর সাদা দোপাট্টা। আর অন্য সময় নীল পাড় শাড়ি। একবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় নীল পাড় শাড়ি পড়েছিলাম, এক পাগলা কুকুর তাড়া করেছিল। আমি পালিয়ে ধান ক্ষেতের দিকে যাচ্ছিলাম আমার সামনে দুটো লুঙ্গি পড়া ছেলে ছিল, তারাও পালাতে ব্যস্ত, তাদের দেখলাম লুঙ্গি মালকোঁচা মেরে দৌড়, আমিও ওদের দেখাদেখি জুতো ব্যাগ ফেলে কুকুরের ভয়ে শাড়ি ঊরু পর্যন্ত তুলে কষে মালকোঁচা মেরে দৌড়ালাম। অনেকটা গিয়ে এক কাদার স্তূপের মধ্যে হাত পড়ল। কুকুর অন্য দিকে চলে গেল। তারপর ছেলে দুটোকে দেখলাম মালকোঁচা খুলে আমার দিকে এগিয়ে আসলো। আমি মালকোঁচা খুলে ফেলতে পারলাম না শাড়িতে কাদা লাগবে বলে। হাত ধোঁয়ার জলও পেলাম না। ছেলে দুটো আমার জুতো ব্যাগ নিয়ে আমার বাড়ীর দিকে আমার পেছনে আর আমি শাড়িতেই মালকোঁচা মারা অবস্থায় বাড়ী পৌঁছালাম। 
  • দীপালি সাহা | 2401:4900:314c:dc46:9bf:c8e4:9e57:***:*** | ১০ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫৪542243
  • খুব ইন্টারেস্টিং বিষয়। আমি মাঝেমধ্যেই বরের সঙ্গে কুস্তি করার সময় শাড়ীটা মালকোঁচা মেরে নিই। আমি শাড়ী মালকোঁচা মেরে নিতেই বর শুধু আমার পেছনে কাছাটা গুঁজে নেওয়ার জায়গাতেই তাকিয়ে থাকে।
  • স্বাতী রায় | ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৪৩542248
  • @নিশা, বেশি কিছু না। সাধারণত শরীর শিক্ষার ক্লাস থাকত টিফিনের পর, তার আগে পরে সব অন্য অন্য ক্লাস। অন্য সব ক্লাসে গুড গার্ল হয়ে ঠিকমত পোশাক না থাকলেই চিত্তির। এদিকে ফিজিক্যাল এডুকেশনে আমি এমনিতে অশ্বডিম্ব হলেও লাফালাফি করতে উৎসাহ ছিল প্রচুর। ওটাই একমাত্র রিক্রিয়েশন। আর আমাদের স্কুল ছিল প্রায় দুর্গের মতন। সেখানে কোন পুরুষ প্রবেশ নিষেধ। গোটা স্কুল বাড়িতে পুরুষ ছিল আড়াই জন, তাদের একজন বাদে বাকিরা কেউ স্কুলের সময় ভিতরে ঢুকত না। যে একজন ঢুকত সেও কদাচিৎ। ফলে অনেকটা বেগম রোকেয়ার কল্পনার নিরঙ্কুশ মহিলামহল। ফলে আমরা জাস্ট সামনের কুচি তুলে কুচির ঝুলন্ত অংশ টাকে পিছনে গুঁজে দিতাম। ব্যাপারটা একটা হাঁটুর উপর তোলা খেটো ধুতির মতন।  এদিকে উপরে পরিপাটি প্লিট দেওয়া, অঞ্চলটি কোমরে গুঁজে পরা, বাহারি শাড়ি। এখন অবশ্য মনে পড়ে হাসি পাচ্ছে যে পুরো ব্যাপারটায়  দেখতে কেমন লাগত তখন! তবে তখন এসব ভাবিনি। আমাদের কাজ চলে যেত। ক্লাস হয়ে গেলেই আবার কুচির গোঁজ পিছন থেকে এক টানে খুলে সুবোধ বালিকা হয়ে পরের ক্লাসে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন