এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • নিউনর্মাল করোনাকালীন পর্ব একান্ন

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২৫ জুলাই ২০২৩ | ৬৪৭ বার পঠিত
  • ফরেভার ফ্রিডম। অ্যান্ড ব্রাদারহুড ফরেভার।
    ভাচাগাম ওআদেভোসিয়ামের চোখদুটি সর্বদা হাসে। সংগীত সাধক যাঁরা তাঁদের কারু কারু চোখে ঐ দীপ্তি থাকে। আ রেয়ার কাইন্ড অব পিউরিটি। শুধু সাধকের চোখেই যা দেখা যায়।
    মির্জা গালিব স্ট্রিটের বাসিন্দা ভাচাগাম দেবরূপের সঙ্গে করমর্দন করতে পারেননি। মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের মাঝখানে দাঁড়িয়ে কোভিড নাইন্টিন। কিন্ত ভাচাগাম একজন উষ্ন মানুষ। তাঁর চোখ কথা বলে। প্রসন্নতা  দিয়ে তিনি দেবরূপকে স্বাগত জানালেন।
    বাবু ভালো লাগছিল। অনেকদিন বাদে টেনশন মুক্তির স্বাদ।
    - সো ইউ আর আ ভাইরোলোজিস্ট?
    - প্লিজ নো মোর টক অ্যাবাউট ভাইরাস। আই যাস্ট নিড সাম রিলিফ। আই টক অ্যাবাউট ভাইরাস ইন দ্য ক্লাস অ্যান্ড আই হ্যান্ডল আ কোভিড পেশেন্ট আউট অব দ্য ক্লাস। লেট মি গেট আউট অব ইট।
    পিয়ানো শিটগুলো সামনে রাখা।
    ভাচাগানের আঙুল খেলছে পিয়ানোতে। ঈষৎ দুলছে মাথা।
    দ্য মাদার অব অল, গ্লোরি টু হার।
    দ্য ক্রস ইজ দ্য সাইন অব খ্রাইস্ট।
    সাইন আর খ্রাইস্ট বলার সময় ভাচাগান দুলে উঠছেন, কন্ঠ এবং শরীর সমেত। দেবরূপের অনিল থমাস ও পলির কথা মনে পড়ল।
    ভাচাগানের সহাস্য চোখ বুঁজে এসেছে। আ স্মাইল অন হিজ ফেস। বিশ্বাসী মানুষদের মুখেই এমন হাসি দেখা যায়। একেই দেবদুর্লভ হাসি বলে।
    দ্য ক্রস ইজ দ্য স্পিরিচুয়াল ওয়েপন।ডোন্ট ওয়রশিপ দ্য মেটিরিয়াল। রাদার ওয়রশিপ দ্য পাওয়ার অব গড।

    দেবরূপের একটু বিপন্নবোধ হচ্ছে। সে নরেন্দ্রপুরের ছাত্র। একবার তাকে বিবেকানন্দ সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছিল ঘন্টা তিনেক। ক্লাস সিক্সে। ব্যাপারটা তার বিশেষ ভালো লাগেনি। খৃষ্ট বা রামকৃষ্ণ, কাউকে নিয়েই তার মাথাব্যথা নেই তেমন। কিন্ত এখন সে একটা আশ্রয় খুঁজছে। নিজের কাজের জন্য তাকে একটা নির্দিষ্ট পড়াশোনা করতেই হয়। তার বাইরে সে কিচ্ছু পাচ্ছে না। নেটফ্লিক্স বা আমাজনে কনসেনট্রেট করার মত ক্ষমতাও নেই এখন। সামথিং এলস।
    কিন্ত ভাচাগান যে এই গভীর বিশ্বাসে গেয়ে যাচ্ছেন, এতে কী কিছু পাওয়া যাবে? সে বুঝে উঠতে পারছে না।
    ভাচাগান হিন্দি আর বাংলা মিশিয়ে কথা বলেন।
    টুডে আর্মেনিয়া ইজ ইন ট্রাবল। নোবডি ওয়ান্টস ওয়ার। বন্ধুদের ডেকেছেন ভাচাগান।অর্থ ডোনেট করার জন্য। নাগারকো যুদ্ধে একটা বড় পপুলার ইন্ডিয়ান সাপোর্ট কাজ করছে। দেবরূপের জানা ছিল না।
    ভাচাগানের আঙুল খেলে যাচ্ছে পিয়ানোর ওপর। সরু, লম্বা আঙুল।
    সুশীল চৌধুরি একটি কিতাব লিখেছিলেন আর্মেনিয়ানদের ওপর। আর্মেনিয়ানস ইন ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ইন্টারকন্টিনেন্টাল ওয়র্ল্ড অব ট্রেড।
    ষোলোশো নিরানব্বই সাল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কোর্ট অব ডিরেক্টরসরা আর্মেনিয়ানদের কম্যুনিটির ওপর রিপোর্ট লিখলেন। মোস্ট এনশিয়েন্ট মার্চেন্টস অব দ্য ওয়ার্ল্ড। পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যবসায়ীরা। পরিশ্রমী। চুপচাপ। প্রুডেন্ট। সারা ভারতবর্ষের আনাচে কানাচে এরা ঘুরে বেড়ায়। মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম এদের নখদর্পণে। ব্রিটিশদের কাছে সার্টিফিকেট পাওয়া কঠিন। কিন্ত আংরেজের সন্তানরা জানতো এবং মানতে, ইফ ইউ ক্যাননট বিট দেম, জয়েন দেম।
    ষোলোশো অষ্টাশিতে চুক্তি হল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং খাজা ফানাওস কালান্টারের মধ্যে। ইয়েস। খাজা। বহু আর্মেনিয়ানদের ইসলাম কবুল করতে হয়েছিল বিভিন্ন পর্যায়ে। ই আই সি র সঙ্গে চুক্তি ছিল নিজেদের মূলধন এবং ঝুঁকি নিয়ে, বাংলায় ব্যবসা চালাবে আর্মেনিয়ানরা।তিরিশ শতাংশ লাভ। খাজা ওয়াজিদ তখন নামকরা ব্যবসায়ী। মিড এইটিন্থ সেঞ্চুরি। ডাচ, ফরাসী এবং ইংরেজদের সাপ্লায়াল ছিল আর্মাণীরা।
    বুঝেছো তো?
    বার্ডস অব প্যাসেজ।
    তারা এসেছিল বাইবেল খ্যাত আরাহাট থেকে, কিনতে এসেছিল সুগন্ধি মশলা আর সূক্ষ্ম ভারতীয় মসলিন। তারপর তারা থেকে গেল এই দেশেই।
    খোজা পিটার অ্যারাথুন। খোজা গ্রেগরির ভাই। মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী। রবার্ট ক্লাইভ তাঁকে কনফিডেনশিয়াল এজেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করলেন মিরজাফরের সঙ্গে ফন্দি এঁটে নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাকে উৎখাত করার জন্য। ব্ল্যাকহোল  ট্র্যাজেডি। অলস, কুচক্রি মিরজাফরকে ছেড়ে পিটার অ্যারাথুন যোগ দিলেন মির কাশেমের সঙ্গে। বক্সারের যুদ্ধে। সতেরোশো ষাঠে বেঙ্গল আর্মিতে রীতিমত আর্মেনিয়ান কন্টিজেন্ট ছিল।
    মেসরভ জেকব শেঠ। আর্মেনিয়ানস ইন ইন্ডিয়া ফ্রম দি আর্লিয়েস্ট টাইমস টু দ্য প্রেজেন্ট ডে।
    বাবু উপুর হয়ে পড়ছে। ফাদার দুটি বই দিয়েছেন তাকে লাইব্রেরি থেকে। নিজের বিছানাতে।কতদিন বাদে নিজস্ব বিছানা। ঘরবন্দি। নাহলে সে কস্মিনকালেও এই বই ছুঁয়ে দেখতো না। দিল্লিতে সুনন্দিতার বাড়িতে না থাকলে ও আমেলিয়াকে দেখতো না ! আর অদিতি বেঁচে থাকলে পুণে ছেড়ে দিল্লিতে যাবার কোনো কথাও ছিল না।
    সবকিছু ঘুরেফিরে যে কেন একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতেই ফিরে আসে! কোভিড হানা দেবার আগে কে কবে এসব ভেবেছিল!
    সে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে। ত্রিদিবের বাড়ি আসার কথা দুদিন পরে।কী অগাধ আরামের মেজাজ সারাবাড়ি জুড়ে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্বাভাবিক হয়েছে ত্রিদিবের। তবে সিডেটিভ চলছে।ঘুমোচ্ছেন।
    বাবু এবার দিল্লি ফেরার কথা ভাববে। বাবা মা নিজেদের জায়গা বুঝে নিক। আমেলিয়ার কাছে বলতে হবে অদিতির কথা। আমেলিয়া তার কাছে এক বিস্ময়।
    তাঁর চোখ মুখে, কুন্চিত অথচ উজ্জ্বল ত্বকে, পোশাকে, আঙুলে  এক বিপুল সাংস্কৃতিক ইতিহাস খুঁজে পায় বাবু। কিছুমাত্র জানা যাবে না শুধু বই পড়ে। সংস্কৃতির একটি নিজস্ব ঘ্রাণ আছে। যাস্ট টু গেট ডাইভার্টেড।টু টেল হার, আমি আপনাকে জানার চেষ্টা করেছি আমেলিয়া। আপনি আমাকে একটু জানবেন?

    ক্রুতিকা লিখেছে, মিসিং ইউ। গতকাল  প্রোফাইল পিকচার পাল্টেছে বাবু। দীর্ঘদিন বাদে। সাদাশার্ট। চুল কাটা হয়নি এখনো। স্যাঁলোতে যত কম যাওয়া যায়। ক্রুতিকা কমেন্ট করেছে, সেক্সি অ্যান্ড হ্যান্ডসাম।
    শুড আই গিভ ইট আ লাইক অর নট! ও ভাবছে। ভাবনার কত নতুন দিক খুলে গেছে এখন!! হাসছে ও। নিজের প্রোফাইলে ক্রুতিকা একটা হল্টারনেক ব্লাউজ ও ঘননীল শাড়িতে। স্মোকি আইজ। পুরোনোদিনের মডেলদের মতো সাজ। শোভা দে টাইপ। ল্যাবে ও শুধু চোখের মেকাপটা করে।
    না। বাবু কোনো উত্তেজনা বোধ করছে না। করেনি কখনো। পাশাপাশি কাজ করেছে। অথচ ক্রুতিকা যথেষ্ট অ্যাট্রাকটিভ। সো হোয়াই নট? আজকাল উদ্বিগ্ন বোধহয় তার।
    হ্যাজ অদিতি টেকন অ্যাওয়ে অল হিজ প্যাশন? সেও কী সম্ভব!
    ক্রুতিকার চোখদুটো আবেদনপূর্ণ। মোহময়ী হয়ে ওঠার সমস্ত তরিকা সে জানে। ল্যাবে সাধাসিধে পোশাকে থাকার নিয়ম চুটিয়ে ভাঙে সোশ্যাল মিডিয়াতে।

    একটা মেসেজ এলো। মেসেন্জার।
    বিদ্যুত তরঙ্গ খেলে গেল শরীরে। এমনও হয় !
    সিন্ডরেলা।
    - হাউ আর ইউ?
    - ফাইন! অ্যান্ড ইউ?
    সিন্ডরেলা পাশ কাটালো।
    - হোয়েন ইজ নেক্সট ক্লাস?
    জেনারেল অ্যায়েরনেস ক্লাসগুলো হচ্ছে না এখন ।
    - ডোন্নো। ফ্যাকাল্টি উইল ফিক্স সুন।
    - ডু ইউ ব্রুড ইভন নাউ?
    ফোন বন্ধ করে রেখে দিল ও।উত্তর দিল না।
    ব্রুডিং। এই শব্দটা ওর কাছে কিছুই অর্থ বহন করে না। তুমি কী জানো সিন্ডরেলা! ব্রুডিং মানে কী ! আমার রক্তে বহমান বিষন্নতাবোধ। টুকরো টুকরো পুণে। ফ্লোরাল স্কার্ট। শরীর শুধু একা একা শরীর হয় না। শরীরের মন থাকে। তার নিজস্ব ওঠা নামা থাকে। অদিতি হ্যাড কাম টু আন্ডারস্ট্যান্ড দ্যাট।
    ও আর অদিতি ছবি দেখতো। বুদ্ধদেব  দাশগুপ্ত।  উত্তরা দেখছিলো সেদিন। শীতকাল ছিল। ওয়ানপট ডিনার বসানো ছিল আভেনে। শিৎকার শেষে সিল্যুয়েটে গৃহ। ল্যান্ডস্কেপ। উত্তরা ঘাড় ফেরায়। দুটা ডানা না থাকলে উড়বা কী করা? শরীর তো একটা ডানা। আরেকটা ডানা মন।
    ওরা তর্ক করেছিল। একটা গ্রাম্য অশিক্ষিত মেয়ে পারে এভাবে কথা বলতে? দেবরূপ বলেছিল। অদিতি ফিল্মের কাজ করা মেয়ে। ল্যাংগোয়েজ অব ফিল্মের কথা বলেছিল। বলেছিল শরীরের ভাষার কথা। আর ওদের মন মিশে যাচ্ছিল এক আদিম রসায়নে। তার একটা গভীর বিষন্নতা আছে। তাকে তুমি নিছক ব্রুডিং বলতে পারো না সিন্ডরেলা। কোর্স শেষ হলে কোন নামে সার্টিফিকেট নেবে তুমি? কাঁচের জুতো খসে পড়বে! ঘোড়ার গাড়ি কুমড়োর খোলা হয়ে যাবে ! তখন তুমি কোথায় যাবে সিন্ডরেলা? জাগিয়ে দিলে আচমকা, আর ফিরে আসতে আসতে দেখলাম  দীর্ঘ জলপ্রপাত। বহুদিন বাদে স্নান তৃষ্ণা।  সিন্ডরেলা, তুমি কে? তুমি কী করে জানলে এই অন্তর্লীন বিনাদময়তার কথা? যাকে তুমি ব্রুডিং বলো? তোমার কী পোষা পরি আছে? হু আর ইউ?

    দরজা নক করে মালবিকা ঢুকলেন।
    - বাবাকে পরশু আনবি বাবু। তোর চুলটা কেটে দিই? কী কাকতাড়ুয়ার মতো হয়ে আছে?
    মালবিকা ছেলেকে স্যাঁলোতে যেতে দেবেন না।বাড়িতে কাঁচি আছে।বাবুর মা আছে।
    ভাচাগানের পিয়ানো বাজছে শরীরময়। ও খুঁজছে শরীরের গভীরে মন কোথায় থাকে?  তুর্কি সেনা ধেয়ে আসছে আরহাটে।
    আর্মেনিয়নদের খৃষ্টধর্মের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে ইসলাম। আরব হানা।তুর্কি হানা।সাফাবিদ আক্রমণ। ধেয়ে আসছে পঙ্গপালের মতো।
    খাজা।সম্মানীয় ব্যক্তি। খাজা উপাধিপ্রাপ্ত আর্মানি মুসলিম। ইফ ইউ ক্যাননট বিট দেম, জয়েন দেম।
    ইলেকশনের আগে ঘনঘন দল ছাড়ছেন টপ গ্রেডেড নেতারা।
    কী ভাবছেন? বিট করতে পারবেন না, তাই জয়েন করছেন? ইতিহাস পুনরাবৃত্ত হয়, এক মিথ। সময় পুনরাবৃত্ত হয়না।
    অদিতির সঙ্গে অতিবাহিত সময় চক্রাকারে ফিরে আসবে না। তবু দেবরূপ আজ বিদ্যুতস্পৃষ্ট হল। একজোড়া সোনালি গ্লাস স্লিপার।

    কে?

    - থাক মা। এখন চুল কাটবো না।
    - দাড়ি রেখেছিল মুখে একগাদা।
    কে যেন বলেছিল তাকে দাড়ি রাখলে খৃষ্টের মতো দেখায়।
    মালবিকা  স্থিরচিত্রের মতো দাঁড়িয়ে আছেন।

    কে?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৫ জুলাই ২০২৩ | ৬৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন