এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • নিউনর্মাল করোনাকালীন পর্ব আটাশ

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৩ জুন ২০২৩ | ৬৫৮ বার পঠিত
  • পুতুলের গায়ে কী পরম যত্নে হাত বোলাচ্ছেন আমেলিয়া। যেন কাঁথায় মোড়া শিশু সন্তান। বা সদ্যোজাত ফুটফুটে বেড়ালছানাটি। নিকি কফি করে এনেছে। ইনস্ট্যান্ট কফি এবং ফিল্টার কফি মিশিয়ে একটা দারুণ স্বাদের কফি। আলস্য ভাঙছে আড়মোড়া ভেঙে। শিথিলতা কাটছে। আমেলিয়া কফি নেবার জন্য হাত বাড়ালেন কিন্ত তাঁকে কফি নয়, বোর্নভিটার কাপ এগিয়ে দিল নিকি। হাত কাঁপে। দুর্বল। তবু নিজেই খাবেন। বায়না। তাছাড়া আয়া ঘুমাচ্ছে। 
    - ডল উইদ আ ডাওরি। টানা টানা চোখ, কালো। দাড়ি ও গোঁফ পুতুলটি ওঁর কোলে।
    পুতুলদের ডাওরি? তাও আবার ছেলে পুতুলদের? তাই হয় নাকি!
    নিকি খিলখিল করে হাসছে।
    এই ডাওরি সেই ডাওরি নয়। এ ডাওরি হল পুতুলের আনুষাঙ্গিক।
    -  দ্য নাইন্টিজ ওয়ের লাইক দ্যাট। এভরিওয়ান ডিড হোয়াট দে কুড। যে যার চাইত , তাই করতো। শিরাখ জেলার আখুরিক গ্রামের মেয়ে। গণিতবিদ। অ্যাপ্লায়েড গণিতে পড়াশোনা করে ডিপার্টমেন্ট অব অটোমেশন সিস্টেমস অব ম্যানেজমেন্টে কাজ করছিলেন। কী মনে হল, কাজ ছেড়ে শুরু করলেন পুতুল বানানো। আর্মেনিয়ানরা অমন হয়। নাইন্টিজ সোনার সময়। তখন তারা যা খুশি মনের মত কাজ করতে পারতো। বুঝলে?
    শীত এইঘরে প্রচন্ড নয়। কারণ রুম হিটার জ্বলছে। আমেলিয়ার বিছানা ঘিরে একটি উষ্ন বলয় তৈরি হয়েছে। তিনটি মানুষ। একজন বিছানার বালিশে হেলান দিয়ে। একজন হুইলচেয়ারে।একজন চেয়ারে। খুব নিচু গলায় হলেও কথা হচ্ছে। কথার একরকম আলাদা উষ্ণতা থাকে। গল্পের আরো বেশি। গল্পের ফায়ারপ্লেস জ্বলছে।ভিড় নেই। মাত্র তিনজন। তিন রকমের মানুষ। তিন ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ। আগুনের ফুলকি উড়ে বেড়ায় এদিক ওদিক। মনে হয় জোনাকি।
    - ডল উইদ ডাওরি মিনস পুতুল যদি বানাও, তবে তার মানে পুতুলের জন্ম হল। সদ্য জন্মানো পুতুলের তোয়ালে। তার জামা, টুপি। গয়না। আর তাকে নিয়ে আস্ত একটা গ, ল আর প। এই হল পুতুল এবং ডাওরি। বুঝলে ছেলে?
    আমেলিয়ার চোখ হাসে।
    পাঞ্জাবী পুরুষ পুতুলটি কী ভানুপ্রতাপের আদলে গড়া? না, না! এ হল আবদুল্লাহ ভাট্টি। এই দ্যাখো। ডাওরিতে দিয়েছে এর পাগড়ি। আর গল্প। পাঞ্জাব প্রদেশের পিন্ডি ভাট্টিয়ানে জন্ম দুল্লার। এখন সে মুলুক পাকিস্তানে। ঈশ্বর দয়াল গৌড় লিখেছেন ভাট্টির কাহিনী।
    পুতুলের চোখ নড়ে। রাত আর জমাট বেঁধে গভীর হয়। দুল্লার বাপ ছিলেন ফরিদ ভাট্টি। আর ঠাকুরদার নাম বিজলী ভাট্টি। এঁরা দুজনেই মধ্যযুগীয় পাঞ্জাবের কৃষি অভ্যুত্থানের দলনেতা।  এই দ্যাখো। এই সবুজ পাগড়ি, ফুশিয়া কুর্তা পুতুল হল বিজলী। আর হলুদ লুঙ্গি, সাদা কুর্তা পুতুল হল ফরিদ। বাট আই থিংক দুল্লা ইজ দ্য মোস্ট হ্যান্ডসাম ওয়ান!
    ঘরে একটা মৃদু ল্যাভেন্ডারের সুগন্ধ। সুনন্দিতা নিজেই আমেলিয়ার বালিশে ল্যাভেন্ডারের এসেনশিয়াল ওয়েল ঢেলে দেন। ঘুম ভালো হবে নাকী! তবু আমেলিয়ার চোখে ঘুম নেই। রাশি রাশি গল্প ভিড় করে আসে।
    - আই হ্যাভ টোল্ড ইউ! শেইখু অ্যান্ড আকবর ওয়ের বর্ণ অন দ্য সেম ডে!
    - দ্যাটজ দ্য রিয়েলপলিটিক অব দ্য স্টোরি। আকবর বাদশার রিয়েল পলিটিক। ফরিদকে মেরেছেন কৃষকদের তাতিয়ে তোলার জন্য। দুল্লা, তখন ফরিদের বউ লাধির পেটে। লাধির কী মনে মনে প্রচন্ড রাগ নেই মুঘল সম্রাট আকবরের ওপর? সেই রাগকে বশ্যতাতে পরিণত করার রাজনীতি আকবর ছাড়া কে জানে?
    লাধি। ইয়ে দেখো। ইয়ে হ্যায় লাধি। লম্বা বেণী ঝুলছে পিঠে। লাল দুপাট্টা। রেশমের। পায়ে নাগ্রাই। পুতুল উঁকি মারে সিন্দুক থেকে। একের পর এক অর্ডার করে গেছেন আমেলিয়া। আর পুতুল তৈরি হয়েছে।
    লাধিকে বশ মানাতে হবে। তাছাড়া জ্যোতিষী বলেছেন শেইখুকে শের বানাতে গেলে রাজপুত দাইমা চাই। লাধির গায়ে রাজপুত মুসলমানের খুন। লাধিকে অন্দরমহলে নিয়ে এলেন সম্রাট। শেইখুর দাইমা। শেইখু আর দুল্লা একসঙ্গে বড় হয়। দুল্লা লেখাপড়া শিখবে। বাদশার কৃপা পাবে। লাধিকে বাগ মানানোর এই তো সহজ উপায়।
    নিকি চশমার মধ্যে দিয়ে চোখ কুঁচকায়। নাক কুঁচকায়।
    - ডোন্ট ইউ থিংক ইট ইজ সেডিস্টিক? পুওর লাধি। দ্য কিলার অব হার হ্যাজব্যান্ড হ্যাড হায়ারড হার টু ব্রিংগ আপ হিজ ওন চাইল্ড! টু টেম হার অ্যান্ড পস্টারিটি! হাইলি সেডিস্টিক! রয়াল ফেভার। অ্যান্ড ভাট্টি অ্যাটেন্ডেড স্কুল। সে বেচারা কিছুই জানতো না কী হয়েছে তার বাপ দাদার সঙ্গে।
    আয়া পাশ ফিরল। কিন্ত অ্যালার্ম বেজে ওঠার আগে তার ঘুম ভাঙবে না।
    শেইখু বড় হচ্ছে।দুল্লা বড় হচ্ছে। দুল্লার রক্তে তার বাপ, পরদাদার গরমি। বাগাওত। সে তখনো জানে না যে কী হয়েছিল তার পূর্বপুরুষের সঙ্গে। কিন্ত ঐ যে খুন খুনের গরমি। সে ধরা বাঁধা বাদশাহি নিয়ম মানে না। প্রতিষ্ঠানের অংশ হওয়া তার ধাতে নেই।
    - হোয়াট আই মিন ইজ দ্যাট দুল্লা রিফিউজড টু প্রেইজ দ্য ক্লাস দ্যাট প্রডিউসড এলিটস অ্যান্ড জয়েন্ড দ্য পেজান্টস। হি স্টার্টেড পেজান্ট ক্লাস ওয়ার।
    নিকি কফিতে চুমুক দিল। চমৎকার স্বাদ। দেবরূপ চোখ দিয়ে অ্যাপ্রিশিয়েট করলো। হুইলচেয়ারে বসে বসে কী করে এত প্রাণবন্ত থাকে এই মেয়ে! আরো রোগা লাগছে এই মধ্যরাতের আলো আঁধারিতে।
    - দাজ দুল্লা বিকেইম দ্য রবিন হুড অব পাঞ্জাব। জানতে পেরেছিল তার বাবার সঙ্গে কী ঘটেছে। আকবরের দয়ার দান যে তাঁর রিয়েল পলিটিক সেটাও জানতে পারল ঐ ছেলে। চলে গেল প্রাসাদের অলিন্দ ছেড়ে ক্ষেতে খামারে। মাটির গন্ধ। দেখো। শুঁকে দেখো। মিট্টিকা খুশবু।
    সত্যি দুল্লাহ্ পুতুলের গায়ে একটা মাটির গন্ধ। জানালার বাইরে একটা বড় মেহগনি গাছ। তারপাশে দেবদারু। অন্ধকারেও মেহগনি পাতা চকচক করে। পর্দা সরানো আছে, তাই দেখা যায় শার্সি দিয়ে।
    - হিস্ট্রি ইজ দ্য হ্যান্ডমেইডেন অব দোজ হু রুল। অ্যান্ড দ্য রুলারস ট্রাই টু র্যাশনালাইজ দ্য ইর্যাশনাল।
    নিকির গলায় অদ্ভুত আত্মপ্রত্যয়। ও যে হাঁটতে পারে না, তাই নিয়ে কোনো সেল্ফ পিটি নেই। শি ইজ কনফিডেন্ট ইন হার ওন ওয়ে। ফ্যামিলি ম্যাটারজ। অ্যান্ড মানি।
    কৃষকদের পিঠে শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়া করের বোঝা তখন। দুল্লা বিদ্রোহ করলেন আকবরের বিরুদ্ধেই। আকবর রাজধানী নিয়ে এসেছিলেন লাহোরে। কৃষক বিদ্রোহ দমন করা ছিল একটা প্রধান উদ্দেশ্য। দুল্লা তখন রীতিমত ডাকাত। ধনীর ভান্ডার লুঠ করে গরীবের ঘরে বিলিয়ে দেয়।
    রাজা তোডরমল। আকবরের অর্থ মন্ত্রী। জাবতি প্রথা এনেছিলেন অর্থনীতিতে। বা দহ্শালা। খৃষ্টপরবর্তী পনেরোশ আশি সাল। লাহোর থেকে ইলাহাবাদ। মালওয়া। গুজরাত। জমির মাপ নেওয়ার প্রথা পাল্টে গেল সম্রাট আকবরের আমলে। ফসলের জমির সার্ভে শুরু হল। দশ বছরের সময়সীমা। আগে নারকেলের রশি দিয়ে জমি মাপা হত। সে নাকী ঠিকঠাক মাপ হত না।এবার বাঁশের টুকরো। ছোট ছোট বাঁশ কেটে লোহার আংটা দিয়ে জোড়া।
    তোডরমল জমির ভাগ করলেন চারভাগে। পোলাজ জমি। যা নিয়মিত চাষ আবাদ হয়। নিয়মিত ফসল হয় যাতে।
    পরান্তি। যতক্ষণ না জমি ফের আবাদযোগ্য হয়, ততদিন সে জমি পড়ে থাকে। চাচর। তিন চারবছর পড়ে থাকত যে জমি। বান্জর। চার বছরের বেশি যে জমি পড়ে থাকে। জমি অনুযায়ী কর বসবে। এক তৃতীয়াংশ যাবে সরকারের ঘরে। টাকা বা শস্য। রেভেনিউ নির্ধারিত। ঋণ দেওয়ার সেই শুরু। বার্ষিক ইনস্টলমেন্টে কৃষক টাকা শোধ দেবে। খুব খারাপ শস্য হলে খাজনা মকুব।
    - হত তাই?
    আমেলিয়ার মুখে কী ফ্যাকাশে হাসি? শরীর ঠিক আছে তো? বোর্নভিটা চলকে পড়ে গেছে গাউনে। দেবরূপ উঠে মুছিয়ে দিল। অতি যত্নে।
    - ছিল। রক্ষক ছিল। কাশ্মীরের জন্য গাল্লা বাক্শী আইন। বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার জন্য নাসাক। রেভনিউ কালেকশন করার জন্য ফৌজদার। খাজানদার। লোকাল রেভনিউ অফিসিয়াল কানুনগো। চৌধুরিরা রেকর্ড করতেন কমার্শিয়াল ট্রানস্যাকশন। জমি ও ফসল কেনা বেচার হিসেব ।
    - বাট ইউ নো! অ্যাবাভ এভরিথিং, করাপশন ওয়জ দেয়ার। পিপল ওয়ের ট্যাক্সড।কৃষক গরীব ছিল। গরীব থাকল। ওয়জ দুল্লাহ্ রং ?

    লোহরির দিন খুব বেশি লোকজন ডাকেননি সুনন্দিতার।ভিতরের উঠোনে বিশাল মেহগনি গাছের নিচে জ্বালানো হয়েছিল বনফায়ার। খুব কাছের কিছু বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনদের সমাবেশ। এত বড় বাড়িতে সেটা ভিড় মনে হয় না। নয়না এসেছিল একটা সাধারণ জিনসের ওপর কালো পুলোভার পরে। খুব নেচে গেছে মেয়েটা।
    বসুন্ধরা একটা কাঁচ বসানো গুজরাতি কাজ করা পোশাক পরে এসেছিলেন। ঝলমল করছিলেন যেন। সুনন্দিতা বরং অনেক স্তিমিত। সব কাজ করছেন হাসিমুখে। কোথাও যেন শুকদেবের চলে যাওয়ার শূন্যতা হাহাকার করে। এইসব দিনে তিনি এই বাড়ির নিয়মিত অতিথি ছিলেন। সুমন আছে। তার বান্ধবী। কী সহজ ভাবে হেল্প করছে সুনন্দিতাকে। গান গাইছেন তিন চারজন নারী পুরুষ। পেশাদার বোঝা যায়। লোহরি গানে এবার কৃষক আন্দোলনের কথা যোগ হয়েছে।
    হঠা লো তিনো কানুন হো! কয়েকদিন আগেই এই ভিতর উঠোনে আর্মেনিয়ান খৃষ্টমাস পালিত হয়েছে। টুনিবাল্ব দিয়ে এখনো সাজানো আছে। চাঁদোয়া যেন। টেবিলে মুড়মুড়া লাড্ডু, ভুগ্গা, ড্রাই ফ্রুট চিক্কি, পিন্ডি চানে, গুড় কি রোটি, কর্ন পালক কী টিক্কি।
    সুহাসিণী এসেছে ওর পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে। ও কিছুটা সার্ভ করছে। বাকীরা উঠে নিয়ে আসছেন। রাতের খাওয়া দেরি হবে।
    ত্রিদিব বসেছিলেন একটা রকিং চেয়ারে। দেবরূপ দেখল বাবার চুল অনেকটা পেকেছে। কালার করেননি বোধহয় অনেকদিন। মুখটা কৃশ। ভীষণ একলা যেন মানুষটা। মনে মনে। পরম বারবার কাছে গিয়ে বসছেন। হাতে গ্লাস। সামনে সুস্বাদু খাদ্যসম্ভার। একটা ম্লান বিষন্নতা তবু ঘিরে আছে তাঁকে।
    বাবার জন্য কষ্ট হল বাবুর।
    এইসব কষ্টের কোনো কারন নেই।
    কোনো সমাধান নেই। কাউকে বলাও যায় না।
    ও কী বাবার কাছে উঠে যাবে? বলবে কিছু? কিন্ত ও কথা খুঁজে পাচ্ছে না। ঠিক কী বলা যায়।
    ফোনে মেসেজ এল।
    - কাম টু দ্য ডিপার্টমেন্ট আর্লি ইন দ্য মর্ণিং।
    রুবিনা ত্রিপাঠী।
    সেকেন্ড ওয়েভ অব কোভিড হ্যাজ অ্যারাইভড ইন ইন্ডিয়া।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৩ জুন ২০২৩ | ৬৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৩ জুলাই ২০২৩ ১৯:৫৮521204
  • লোহরির গল্পটা এত বিস্তৃতভাবে জানতাম না। ভাসা ভাসা শুনেছিলাম। দুল্লার কথা তো আদৌ জানতাম না। ত্রিদিবের দুদিক থেকে লাথ খাওয়াটা ভাল্লেগেছে। 
    একসাথে অনেকগুলো করে পড়ছি ভাল্লাগছে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন