এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • নিউনর্মাল করোনাকালীন পর্ব পন্চাশ

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২০ জুলাই ২০২৩ | ৭১৭ বার পঠিত
  • দোলমা রান্নাটা আর্মেনিয়ানদের ট্র্যাডিশনাল, আমেলিয়ার ভীষণ পছন্দের রান্না। ক্যাটভিনে অসাধারণ সুস্বাদু দোলমা বানায়। সে রেস্তঁরা বন্ধ। তাই সুনন্দিতার রান্নাঘরে বহুদিন পরে আজ দোলমার প্রস্ততি চলছে। তার অনেকগুলো কারণ। প্রথমত আমেলিয়ার দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিনের পরে কিছু শারীরিক অসুবিধে হয়েছিল। সেগুলো সেরে গেছে।এখন তিনি বেশ ভালো আছেন। ত্রিদিবের সুস্থতার খবর এসেছে। সুনন্দিতার এটা প্যাশন।কারু সুস্থতার বার্তা পেলে তিনি কিছু স্পেশ্যাল খাবার বানান। নিকি লকডাউনে জাপানি ভাষার একটা সার্টিফিকেট করে ফেলেছে এবং কৃষকরা তাঁদের দাবী এখনো অব্যাহত রেখেছেন। বাবু হয়তো শিগগিরি ফিরবে ত্রিদিবকে বাড়িতে সেট করে। যদিও  দিল্লিতে সেকেন্ড ওয়েভ ভীষণ দাপটে, পরমপ্রতাপকে একদম বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, তিনি ওয়র্ক ফ্রম হোম করছেন এবং দোলমার সুবাদে বিচলিত হয়ে উঠছেন, সুনন্দিতা এই সময়গুলো একটু আনন্দময় করে রাখতে চাইছেন। এই  দোলমা বস্তুটা ফ্যামিলি ফেভারিট। বিয়ের পরে শিখেছেন অনেক পরিশ্রম করে । সুনন্দিতা ভাবছেন, বাবু এলে আরেকবার বানাবেন।এখন এতকিছুর উপলক্ষ্যে  একটা সেলিব্রেশন তো হোক! ফুড ইজ আ ফাইন সেলিব্রেশন। সবচেয়ে বড় কথা মানি ফিরে এসেছে।সে সঙ্গে না থাকলে এইসব ঝক্কি  খাবার করা মুশকিল।
    কিচেনের লম্বা টানা জানালাতে কিছু গাছ রেখেছেন সুনন্দিতা । চোখের আরাম।মনের আরাম।মানির দেখে দেখে ইচ্ছে ছিল অমন গাছ লাগাতে তার নিজের এক চিলতে রান্নাঘরে। যদি কখনো হয়।টিনের কৌটেতেই লাগাবে। বা প্লাস্টিকের কৌটোতে।
    এখন আর ভাবে না নিজের রান্নাঘরের কথা। কোমরে বিশুর মারের দাগ ও ব্যথা দুইই আছে। মানি বিশুর কথা না ভাবার চেষ্টা করে।কী হবে ভেবে? ঐ লোক শুধরাবে না জীবনে।মাঝখান থেকে তার নিজের টাকাগুলো যাবে। না হবে মনের সুখ।না হবে শরীরের সুখ। পরমপ্রতাপের গ্যারাজের ওপর  মেজেনাইন ফ্লোরে পনেরোদিন আটক ছিল মানি  মালদা থেকে এসে।কোয়ারানটাইন। তখন খুব ব্যথা শরীরে। ছ্যাঁকাপোড়া সহ্য করে একা ঘরে বন্দি থাকা বড় জ্বালা। ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ঢুকে মানি হাঁপ ছেড়েছে।এই সারিবদ্ধ রান্নাঘর বাগানে টানা শার্সির পাশে সুদৃশ্য মানিপ্ল্যান্ট যা কীনা জানালা বেয়ে উঠে গিয়ে বিস্তার লাভ করেছে, কিছু স্যাকুল্যান্টস, ধনেপাতা, লঙ্কা, বিশাল রেফ্রিজারেটর, হাল্কা শব্দে চলতে থাকা মাইক্রোয়েভ, চার বার্ণারের গ্যাসআভেন, চিমনিপ্রসূত নরম আলো মানিকে অর্থজনিত নিরাপত্তা দেয়।তার একটা নিছক শারীরিক আরাম আছে। মন শান্ত করে মানি পেঁয়াজ কুচি করতে থাকে আরো।
    আমেলিয়া বায়না ধরেছিলেন চার্চে যাবেন। কে বোঝাবে তাঁকে যে এখন বাইরে যাওয়া যাবে না। দিল্লির  কিষেনগন্জের একটু বাইরে প্রাচীন আর্মেনিয়ান চার্চ আমেলিয়ার পছন্দের জায়গা।সতেরোশো উনচল্লিশে নাদির শাহর ভারত আক্রমণের পরে এই চার্চটি কোনোমতে অক্ষত ছিল।সতেরোশো তেরোতে ফাদার স্টিফানাস তৈরি করেছিলেন।  কবরখানাও আছে। সতেরোশো আশির একটি ফলকনামা আছে তাতে।প্রাচীনতম কবর।  ভারত সরকারের আর্কিওলজি বিভাগ দেখভাল করে । আমেলিয়ার জেদ হয়েছিল বাবুকে নিয়ে যাবেন। কোথায় বাবু আর কোথায় বাইরে যাওয়া !
    তাঁর মন ভোলাতে আজ আর্মেনিয়ান  মহার্ঘ্য খাদ্য আর গয়না।
    আমেলিয়া আজ গয়না পরেছেন।কোভিড সুনন্দিতাকে শিখিয়েছে, কোনোকিছু ফেলে রাখার দরকার নেই। যা আছে, ব্যবহার করে ফেলো।শুকদেব দহলজির দেওয়া শাল, টি সেট দেখলে চোখে জল আসে তাঁর।
    কিচ্ছু জমিয়ে রাখবেন না আর।
    আমেলিয়াকে সাদা লেস বসানো একটি গাউন পরানো হয়েছে।সাধারণত আর্মেনিয়ানদের গয়না বেশ ভারি।কিন্ত সুনন্দিতা পছন্দ করে গুয়োগোকো কোম্পানির হাতিকি কালেকশনের কিছু রূপোর গয়না কিনেছিলেন নিজের জন্য।  আমেলিয়ার জন্যেও।এই গয়নার তেমন ইলাবোরেট ডিসপ্লে নেই।তাই আমেলিয়া ভ্রূ কুঁচকেছিলেন। সুনন্দিতা অনেক কষ্টে তাঁকে বুঝিয়েছেন গয়নার জগতেও রেনেসঁ হয়।গয়নাগুলো এখন অনেক হাল্কা।পরিচ্ছন্ন। আমেলিয়ার পরতে কষ্ট হবে না।

    হোয়াই শুড আই ওয়ের দিস? আর্মেনিয়ান জুয়েলরি ইজ ইসথেটিক্স অব দ্য আর্মেনিয়ান নেশন!  তিনি তো ট্যাটেওসিয়ান লন্ডন ব্র্যান্ড পছন্দ কর্নাটকের! তাঁকে এমারেল্ড ও টারকয়েজ খচিত গহনাটি দেখানো হলে অবশ্য তিনি প্রীত হন ! নতুন গয়না পরে খুব খুশি মুখে খাটে একটি পিংক কুশনে হেলান দিয়ে বসে আছেন।নেকলেসটা রূপোর।মাঝখানে আর্মেনিয়ানদের প্রতীক।ডালিম।কার্পেটের ডিজাইন আর নিচে প্রাচীন ক্যালিগ্রাফি। আর্মেনিয়ানদের গয়না ভারতীয় গয়নার থেকে একদম আলাদা।
    নিকি আমেলিয়ার গয়নাকে পছন্দচিহ্ন দেখিয়ে গেছে। সে গয়না পরে না তবে পছন্দ করে।
    খোদ আর্মেনিয়ানদের দুটি নারী দিবস।আটই মার্চ থেকে শুরু করে সাতই এপ্রিল তাদের নারী মাস।সাতই এপ্রিল আরেকটি নারী দিবস যেখানে আর্মেনিয়ানরা মেয়েদের সৌন্দর্য আর নারীত্বকে সেলিব্রেট করে। পুরুষেরা প্রিয় নারীকে ফুল, নানাকিসিমের উপহার দেয়। সে মা, বোন, প্রেমিকা, যে কেউ হতে পারে।সাতই এপ্রিল দিনটা মা মেরির।বাইবেলে বলে মেরি যখন ইসায়াহ র বই পড়ছিলেন।পয়গম্বর এসে তাঁকে খৃষ্টজন্মের পূর্বাভাস দিয়ে যান। সোভিয়েত আমলে এসব দিন পালন করার রেওয়াজ উঠে গেছিল।হালে আবার চালু হলেও যুদ্ধ আর করোনা সব তুলে দিয়েছে। তবু আমেলিয়ার এইসব মনে থাকে।যদিও এপ্রিল শেষ হতে চললো এবং সাত তারিখের দিকে তাঁর শরীর তেমন ভালো ছিল না, কিছুই পালন করা হয়নি।বেটার লেট দ্যান নেভার বলে তিনি সাজগোজ করেছেন।বিউটি হ্যাজ টু বি সেলিব্রেটেড।

    মানি দ্রুত হাতে চিকেন কিমার সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, লবঙ্গ, রসুনকুচি, ধনেপাতা আর পার্সলে পাতা মেশাচ্ছে।সুনন্দিতা পাশ থেকে টোম্যাটো সস আর নুন, গোলমরিচ দিয়ে দিলেন আন্দাজমত। বাসমতী চাল ভেজানো আছে।সাধারণত  এটা বিফ দিয়ে হয়।কিন্ত আমেলিয়ার এখন আর বিফ সহ্য হয়না । এই জিনিস রেডি করা পর্যন্ত মানি করে।তারপরের কারিকুরিটা সুনন্দিতার। হাত দিয়ে গোটাটা মেখে নেওয়া চালসহ। চাল ছাড়াও করেন সুনন্দিতা কিন্ত আজ দোলমা ডিনার।ইট হ্যাজ টু বি হেভি।এরপর আসল কাজ। টিনড গ্রেপ লিভস।  কৌটো খুললেন সুনন্দিতা।সুবাস ছড়াচ্ছে আঙুরপাতার। একটা টকটক গন্ধ ! মস্ত একটা পাত্র চেপেছে গ্যাসে।তার নিচে সুনিপুণ ভাবে বিছিয়ে দিচ্ছেন আঙুরপাতা। মানি জানে এরপর আলাদা করে ট্রেতে একেকটা পাতা নেবেন সুনন্দিতা। তাতে ঐ মশলামাখানো মাংস আর চাল পুর দেবেন। দীঘল আঙুল তাঁর।রোল বানাবেন ছোটছোট।
    ছেলে দুটো মাংস খেতে বড় ভালোবাসে।
    থাক। ওদের বাপ খাওয়াক। মানি ভাববে না।চোখ তাও কড়কড় করে।
    মানি শ্বাস চেপে একটা একটা করে রোল চাপায় পাত্রে।  ধীরে ধীরে আঙুরপাতা মোড়া চাল মাংস রোলে পাত্র পূর্ণ হয়ে যায়।ভীষণ মূদু সুস্বাদু গন্ধের মধ্যেও মানি একফাঁকে চোখ মুছে নেয়।
    সুনন্দিতার মানির দিকে আজ খেয়াল করেননি। এই রান্না খুব মন দিয়ে করেন তিনি ।একটু এদিক ওদিক হলে আমেলিয়া বলবেন, ইটস নট লাইক ক্যাটভিন।
    এনিওয়ে হোয়েন উইল বাবু কাম? নিকি, এনি নিউজ অব দ্য ওয়ার? কল বাবু প্লিজ!
    আনন্দ হলে, উদ্বেগ হলেই বাবুর খোঁজ পড়ে।
    যুদ্ধের খবর জানতেই হবে।নিকি বা বাবু ছাড়া তাঁর চলবে না।
    পারভেজ আছে যে আর্মেনিয়াতে!  পঞ্জাবের লোধি গ্রামে মেহতাদের ঘনিষ্ঠ পারভেজ আলি খান।চারবছর আগে সে বউ আর দুটি মেয়ে নিয়ে  আর্মেনিয়ান রাজধানী ইয়েভরেনে চলে গেছে। রেস্তঁরা খুলেছে সেখানে। ইন্ডিয়ান মেহেক রেস্তঁরা।
    নাগরনো কারাজাখের যুদ্ধে যে আর্মেনিয়ানরা  পালিয়ে এসে শরণার্থী হয়ে  রাজধানীতে  ঘুরে বেড়াচ্ছে, বারো ঘন্টা শিফ্টে কাজ করে তাদের ভারতীয় রান্না করা খাবার, পিওর ইন্ডিয়ান ফুড সরবরাহ করছে পারভেজ আর তার পরিবার। আমেলিয়ার ভীষণ কৌতুহল। অসম্ভব টান। কী করছে তারা।কেমন আছে? আর্মেনিয়ান প্রায় একশো ভারতীয় পরিবার।চার হাজার ভারতীয় ডাক্তারির ছাত্র।যারা পেরেছে বন্দে ভারত ফ্লাইটে চলে এসেছে।
    সাতাশে সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে যুদ্ধ।সঙ্গে করোনা ভাইরাস । তিরিশ হাজারের ওপর শরণার্থী রয়েছেন ইয়েভরেনে। পারভেজ প্রথমে ভেবেছিলেন ড্রাই ফুড দেবেন।কিন্ত দিনের পর দিন ড্রাই ফুড খেয়ে লোকে থাকবে কী করে! কন্যাদুটি, আক্সা ও আল্সা অতি উদ্যোগী।কর্মচারীদের নিয়ে তারা রান্না শুরু করেছে।
    পারভেজ ভেবেছিলেন প্রাগে একটা রেস্তঁরা খুলবেন। করোনার জন্য সে আর হয়ে উঠল না।
    অর্থটা পারভেজ যুদ্ধ বিতাড়িত, করোনা আক্রান্ত মানুষদের খাওয়ার কাজে লাগাচ্ছেন।
    তাঁর কথা উঠলেই আমেলিয়ার মুখ উজ্জ্বল। উদ্ভাসিত।  পরমপ্রতাপ এবং তাঁর সহযোগী বিল্ডাররাও পারভেজকে অর্থ পাঠাচ্ছেন।প্রকৃতপক্ষে ভারত  আর্মেনিয়ানদের এই দুঃসময়ে সাহায্যই করে চলেছে।
    ইন্ডিয়ান রেস্তঁরা হেল্পিং ডিসপ্লেসড আর্মেনিয়ানস। নিকি খবরটা শোনালেই আমেলিয়া উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন।উজ্জ্বলতার কোনো বয়স হয় না।

    কলকাতায় বাবু স্কাইপেতে আমেলিয়ার মুখের দিকে চেয়ে এটাই বুঝলো।
    ভাইরাস, অসুখ, নার্সিংহোম, টেনশন সামলে সে বিধ্বস্ত। আজ আর্মেনিয়ান চার্চে গেছিল ।তাদের লাইব্রেরি দেখে এসেছে।ফাদার খুব খুশি। আমেলিয়ার কথা বলেছে বাবু তাঁকে।
    বাবু মনকে ডাইভার্ট করতে চাইছে।
    টেল মি সামথিং অ্যাবাউট ইওর পিপল ফাদার।
    ভাইরাস বিধ্বস্ত শরীর ।মন। বাবু অন্য কিছু ভাবতে চাইছে। প্লিজ।
    সামথিং এলস। 

    চার্চের মিউজিক টিচারের সঙ্গে পরিচয় করাচ্ছেন ফাদার।মাস্কে ঢাকা মুখ পরস্পরকে হেলো বলে।করমর্দন হয় না।সামান্য ঝুঁকে পড়া মাত্র। চশমার আড়ালে চোখ।
    এখন কোভিডকাল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২০ জুলাই ২০২৩ | ৭১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ১২:২৯521488
  • বাঃ-  ডিটেইলিং মন ভরাল। 
  • Anuradha Kunda | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০৮:৫৬521705
  • অনেক ধন্যবাদ স্বাতী।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন