এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • নিউনর্মাল করোনাকালীন পর্ব বাইশ

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০২ জুন ২০২৩ | ৬৫০ বার পঠিত
  • বাড়ি ফিরে ছাতে গিয়ে অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে থাকলেন ত্রিদিব। রীণার সঙ্গেই পুরো সন্ধে রাত কাটিয়ে আসবেন, এইরকম প্ল্যান ছিল। রীণা যে পুরো ছকটা উল্টে দেবে ভাবেন নি। মেয়েটা এই লকডাউনের চক্করে এতটা পাল্টে যাবে ভাবেননি ত্রিদিব। একটা সাময়িক অভিমান, মন কষাকষি, শেষমেষ মিটমাট, আবার পুরোনো নেশা, এইরকম ভেবেছিলেন। তত কিছু বাড়াবাড়ি তো করেননি ত্রিদিব। যাস্ট এনটারটেইনমেন্ট। মালবিকাও ব্যাপারটা এত সিরিয়াসলি নিয়ে নিল, এত গভীর অভিমান, ত্রিদিব বেকুব হয়ে গেছেন। চুপচাপ একটা হুইস্কি নিয়ে বসেছেন। খাননি তেমন। মালবিকা ফোন তোলেননি। পরে হয়তো রিং ব্যাক করে নিরুত্তাপ স্বরে বলবেন, কিছু দরকার ছিল? ফোন করেছিলে?
    ঐ নিরুত্তাপ স্বর শুনলেই ত্রিদিবের সুগার যেন ফল করে। হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে। মাথাটা টিপটিপ করছে। রীণার সঙ্গে একটি অব্যর্থ সঙ্গম এর সমাধান করতে পারতো বলে তাঁর আরো বেশি কষ্ট হচ্ছে। অথচ কাউকেই কোনো দোষ দিতে পারছেন না ত্রিদিব। মিনি কী খুব ব্যস্ত? না ইচ্ছে করে ফোন ধরলেন না? ত্রিদিবের কানে অস্পষ্ট কলিং বেলের শব্দ এল। কিন্ত তিনি উঠতে পারছেন না।কেউ উঠিয়ে দিলে ভালো হয়। না। সেরকম কেউ নেই। মালবিকা কী তবে সত্যিই সরে গেল? ত্রিদিবের বুকের মধ্যে আবার সেই চিনচিনে ভাব। কলিং বেলটি বেশ জোরে বেজে উঠল। ত্রিদিব হাতের গ্লাস নামিয়ে ছাতের আলসেতে এসে দাঁড়িয়েছেন।  নিচে তাকালেন। বেশ লম্বা মতো একটা ছেলে। জিন্সের ওপরে চাদর গায়ে। মুখটা ঠিক দেখা যাচ্ছে না।
    ত্রিদিব ওপর থেকেই জিজ্ঞেস করলেন, কে ভাই?
    যদিও ছেলেটি তাঁর ছেলের বয়সী। অন্তত ওপর থেকে তাই মনে হচ্ছে।
    জাহির অনেকক্ষণ বেল দিচ্ছিল। টুপুর বলেছিল আজ বাড়ি থাকবে। ওর সঙ্গে জরুরি কিছু কাজ আছে। ভূতের বাড়ি যেন। কেউ দরজা খোলে না। অথচ ভেতরে লোক আছে। ঘুমাচ্ছে নাকী টুপুর? নেশাটেশা করে ঘুমাচ্ছে না তো? জাহিরের নিজের বাড়িতেও তিনটি মাত্র প্রাণী। ইলিনা, জাহির আর এক দশাসই অ্যালসেশিয়ান। কিন্ত বাড়ি গমগম করে। ছোটুর ঘাউঘাউ, ইলিনার রান্নার সুগন্ধ এবং তিনি একটু বেশিই হাঁকডাক করেন, সব মিলিয়ে বাড়ির আবহাওয়া সরগরম থাকে। তারপর জাহিরের বন্ধুদের যাতায়াত লেগেই আছে। এই বাড়িটা কেমন ম্যাদামারা হয়ে আছে। ঠিক ত্রিদিবের মতো।
    যেমন এসে দরজা খুললেন। ঘড়ি ধরে সাতমিনিট বাদে।
    ত্রিদিব দেখলেন সামনে যে ছেলেটা দাঁড়িয়ে, সে বাবুর চেয়ে বয়সে একটু ছোটই হবে। একমুখ দাড়িগোঁফ। তবে ট্রিম করা।এ কে? কখনো দেখেছেন বলে মনে পড়ছে না ত্রিদিবের।
    - টুপুর আছে আঙ্কল?
    তাহলে এ ছেলেটা টুপুরের বন্ধু। টুপুর বলে ডাকল যখন তখন বেশ ক্লোজ বন্ধুই হবে। কত যে ছেলেবন্ধু আছে মেয়েটার কে জানে?
    - টুপুর তো নেই ভাই।
    বলেই ত্রিদিব ভাবলেন, ভাই বলাটা ঠিক হল না। এইসব তো পাড়ার চাঁদা চাইতে আসেনি। তারপর মেয়ের বন্ধু।
    কিন্ত মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে। ছেলেটা অবশ্য কিছু মনে করেনি মনে হচ্ছে।
    - ও বলেছিল আসতে। বলেছিল বাড়িতে থাকবে। কতগুলো জরুরি কাজ আছে।
    - ফোন করো। ফোন করে জেনে নাও।
    - আসলে আমার ফোনে চার্জ নেই আঙ্কল। বন্ধ হয়ে গেছে। আপনার ফোন থেকে একটু কল করবেন?
    ত্রিদিবের ছেলেমেয়েদের ফোন করার অভ্যেস নেই তেমন। বললেন, ভেতরে এসো। এসো।

    লম্বা হলঘরটা অন্ধকার। সেই যে গ্লাস পেইন্টিং করা বিশাল দরজাটা ছিল, সেটা নেই। এমনি। প্লেইন গ্লাসডোর। ফলে জায়গাটা খুব মানডেন লাগছে। ডাইনিং টেবলে একগাদা জলের বোতল। গ্লাস। সোফাতে খবরের কাগজ গড়াগড়ি খাচ্ছে। জাহির কাগজ সরিয়ে একপাশে বসল।
    ত্রিদিব মেয়েকে ফোন করলেন। ভেবেছিলেন হয়তো ফোন ধরবেই না। টুপুর ফোন ধরেছে। সে আটকে পড়েছে কাছে। জাহির যেন একটু বসে। ঈশান তাকে ছেড়ে দিয়ে যাবে।
    - তুই কী ঈশানের বাড়িতে আছিস টুপুর?
    টুপুর খানিকক্ষণ চুপ করে থাকল। এত ইন্টারফিয়ারিং লোকজন সহ্য হয় না তার। ফালতু বাবাগিরি ফলানোর কী আছে?
    - না। ঈশান যাস্ট ড্রপ করে দেবে।

    - তুমি বোসো ভাই। কিছু খাবে?
    প্রতিবার ভাই বলে হোঁচট খাচ্ছেন ত্রিদিব।  ছেলেটা টুপুরের বয়সী তো। অথচ মুখ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।
    জাহির মুখ তুলে তাকালো।
    ত্রিদিব মদ্যপান করছিলেন। বোঝাই যাচ্ছে।
    - আপনি ব্যস্ত হবেন না। আমি এখন কিছু খাবো না।
    - হুইস্কি চলবে?
    জাহির হাসল। ভদ্রলোক খুব বিপন্ন। নাহলে তাকে হুইস্কি সেবন করতে ডাকতেন না। কিন্তু সে ড্রিংক করে না।
    - আমি তো খাই না। তবে আপনি খেতে পারেন। আমার গন্ধে অসুবিধে নেই।
    - খাও না? টুপুর তো খায়।
    সাধারণীকরণ বড় বিশ্রী ব্যাপার। একটা প্রজন্ম এটাকে অভ্যেস করে ফেলেছে।
    - টুপুর খায়। আমি খাই না।
    জাহির খুব ভদ্র হাসল।
    - ছাতে এসে বসবে? টুপুর না ফেরা পর্যন্ত?

    ছাতে গাছ আছে এখন বেশ। মাধবীলতার ঝাড় আবার পুরুষ্টু হয়েছে। যদিও শীতে ফুল তেমন নেই আর কলকাতার শীতকে শীত বলা মুশকিল। জাহির দেখল একটা দোলনার সামনে পুরোনো সেন্টার টেবলে হুইস্কির গ্লাস। বোতল। ত্রিদিব দোলনাতে আলগা দোল খাচ্ছেন।
    - বড়দিনে পার্টি করো না?
    - না তো। আমাদের কেউই পার্টি অ্যানিম্যাল না ।
    - কী করো তবে? হাউ ডু ইউ স্পেন্ড ইওর টাইম?
    - টাইম স্পেন্ড করাটা আমার অভিধানে নেই আঙ্কল। আসলে আমরা সময় কাটাই না। সময় আমাদের ব্যবহার করে। আমরা উল্টোটা ভাবি।
    ত্রিদিব চমকে গেছেন। এই ছেলেটা কী বলছে?
    - সময় কাটানো একটা যাচ্ছেতাই ব্যাপার। সময় আমাদের ব্যবহার করে। আমরা সময়কে ব্যবহার করতে চেষ্টা করি। এই দুটোর মধ্যে একটা কনফ্লিক্ট চলে। সেটা বেঁচে থাকার স্ট্রাগল।
    এই মুহূর্তে আমি দিল্লি যাবার জন্য রেডি হচ্ছি। টু জয়েন কিষাণ মুভমেন্ট। ফর আ ফিউ ডেজ। তাই আমাদের সুন্দরবনের প্রোজেক্ট পুরোটাই টুপুর দেখবে। মানে ও তো এমনিতেই হ্যান্ডল করে। এখন পুরোটাই করবে। এই আর কী।
    - টুপুর কী করে সুন্দরবনে?
    আশ্চর্য। ত্রিদিব কিছুই জানেন না মেয়ের গতিবিধি।
    - অনেক কিছু। আম্ফানের পর ওখানকার মেয়েদের নিয়ে অনেকগুলো প্রজেক্ট শুরু করেছি আমরা। স্বনির্ভর গোষ্ঠী। টু গিভ দেম ফিনানশিয়াল সাপোর্ট। আপনাকে কখনো কিছু বলেনি?
    ঠান্ডা লাগছে ত্রিদিবের। বুকের ব্যাথাটা নেই। ছেলেটাকে কিছু খেতে দিতে পারলে ভালো লাগত। নেশাটা হচ্ছে ধীরে ধীরে।
    - তুমি কী করো? সোশ্যাল ওয়র্ক? কী নাম বললে যেন?
    ছেলেটা মিষ্টি হাসল।
    - নাম তো বলিনি। আপনি জিজ্ঞেসও করেননি।
    আমি জাহির। টুপুরের ক্লাসমেট।ছোটবেলার। এখন একটা কলেজে আছি।স্যাক্ট। পার্লামেন্ট না। তবে হাতখরচ উঠে যায়। ছবি আঁকি।
    - তুমি দিল্লি যাবে? করোনার সেকেন্ড ওয়েভ চলছে না?

    - নিউ স্ট্রেইন। মহারাষ্ট্রে নাইট কার্ফ্যু তো। কর্ণাটক। গুজরাত। হরিয়ানা। পাঞ্জাব। রাজস্থান। 
    - তাও যাবে? রিস্ক হবে না?
    - করোনা তো এখানে থাকলেও হতেই পারে।
    - আমার মাথাটা ব্যথা করছে জাহির।
    ঠান্ডা বাড়ছে এখন। কুয়াশা।
    - আর মদ খাবেন না। নিচে চলুন। একটা অ্যাসপিরিন খেয়ে নিন।
    - অ্যাসপিরিন খাব? ব্যাড ফর হার্ট।
    - গুড ফর রিমুভিং ব্লাড ক্লটিং। জানেন, একটা পাইলট স্টাডি হয়েছে। যেসব করোনা রোগীকে হসপিটালাইজড করা হয়েছে, তাদের লো ডোজে অ্যান্টিকোয়াগুলান্ট অ্যাসপিরিন দিয়ে দেখা গেছে যে তাদের মেকানিক্যাল ভেনটিলেশনে আর পাঠাতে হচ্ছে না। ইভন ইনটেন্সিভ কেয়ারেও পাঠাতে হচ্ছে না।
    - তুমি এইসব চর্চা করো বুঝি?
    - না না। টুকটাক ইনফরমেশন। আসুন। হাত ধরুন।

    ছেলেটা ত্রিদিবকে নিচে নিয়ে গিয়ে বসালো। খুব সাবলীল ছেলে। চটপটে। দিব্যি রান্নাঘরে গিয়ে জল গরম করল।
    - ওষুধের বাক্ম কোথায়?
    - দেখো, মালবিকার বেডরুমে হবে।
    অ্যাজ ইফ ও সব চেনে। কিন্ত ছেলে স্মার্ট। খুঁজেপেতে ওষুধপত্র নিয়ে এল।মালবিকা বাক্যটা মোটামুটি আপডেট রাখেন। তাঁর ড্রেসিং টেবলের ওপরেই থাকে ।
    - আপনি কিছু খেয়েছে?
    ত্রিদিবের মাথা নাড়া দেখে বুঝে গেল।
    - আমি কিছু বানাই?
    বাবু বুঝি ঘোরাফেরা করছে ঘরের মধ্যে? রান্নাঘরে খুটখুট করে কী করছে ছেলেটা? কী করে বুঝল ত্রিদিবের পেট খালি? খাওয়া দরকার? হাইপোগ্লাইসেমিয়ার পেশেন্টকে পেট খালি রাখতে নেই। বাবুর কী ওরকম দাড়ি আছে? বাবু কবে থেকে দাড়ি রাখছে?
    ত্রিদিব মাথা ঝাঁকালেন। অ্যাসপিরিন খুব দ্রুত কাজ দেয়।
    - এই ছেলে। শোনো। আমি তোমার সঙ্গে দিল্লি যেতে চাই। আই ওয়ান্ট টু গো আউট।
    - আপনি দিল্লি গিয়ে কী করবেন?
    জাহির চাও সেদ্ধ বসিয়েছে। ক্যাপসিকাম, গাজর কাটছে। ইলিনা এটা তাড়াতাড়িতে খুব ভালো বানান। অলমোস্ট সেদ্ধ। সামান্য মশলা। স্যুপি। ফ্রিজ খুলে ডিম নিয়ে নিল।
    - দিল্লিতে আমার ছেলে আছে। আই ওয়ান্ট টু সি হিম। তোমার সঙ্গে যেতে পারি? আমার হাইপোগ্লাইসেমিয়ার অ্যাটাক হয়। একা যাওয়া রিস্কি।
    জাহির খুব পাত্তা দিল না। নেশা কাটলে লোকটা অন্য কথা বলবে হয়তো।
    - আমি কিন্ত যাবো। আই নিড টু সি হিম। আর ঐ যে মুভমেন্ট বলছো? আরো বলো। আই নিড টু ফরগেট মেনি থিংগস।
    টুপুরের বাবার একটা অ্যাফেয়ার আছে। জাহির শুনেছে। লোকটা কী দাগা খেয়ে এরকম করছে নাকী?
    - আপনি বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলে নিন। আমি তো ক্যাম্পে থাকব বর্ডারে।
    - নো ওয়ান। কেউ নেই কথা বলার। এই নাও ক্রেডিট কার্ড। গেট মাই টিকেট ডান। আচ্ছা এই কৃষি আন্দোলন তুমি সাপোর্ট কর?
    - কৃষি কর্পোরেট হয়ে যাওয়া কি সাপোর্ট করা যায়? এরমধ্যেই পাঁচ লাখ মেট্রিক টন শস্য ভর্তি গুদাম আদানির খপ্পরে চলে গেছে, জানেন?
    তিনলাখ মেট্রিক টন ফুড কর্পোরেশনে।
    এরপরে কী হবে বুঝতে পারছেন?
    ত্রিদিবের মাথায় কিছুই ঢুকছে না। কে এই ছেলেটা? টুপুরের বন্ধু? না বাবু? তাঁর বাবুকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে।
    ত্রিদিব সোফায় প্রায় শোয়া।
    বাবু কী বাটিতে করে স্যুপ ন্যুডলস নিয়ে আসছে?
    কী আরাম! ত্রিদিব চোখ বুঁজলেন।
    গেটে শব্দ। টুপুর ঢুকল।
    - হু হ্যাজ কুকড? ফাইন গন্ধ তো!
    সোয়েটার পরাতে ট্যাটু ঢাকা পড়ে আছে। চোখে কাজল পরেছে টুপুর।
    অন্যরকম লাগছে ওকে। সাজেনি। কিন্ত কোনো অপার্থিব লাবণ্য যেন ঘিরে আছে। আগে ওকে এরকম দেখেনি জাহির।
    টুপুর থমকে গেল। মালবিকার রান্নাঘরে জাহির ! ভাগ্যিস মালবিকা বাড়িতে নেই। এইপ্রথম মা বাড়িতে না থাকার জন্য শান্তি বোধ করল টুপুর।
    জাহির ওকে দেখে বাওল হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
    কী হল ছেলেটার? মশগুল হয়ে গেল নাকি?

    (চলছে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০২ জুন ২০২৩ | ৬৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন