এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • নিউনর্মাল করোনাকালীন পর্ব সাতাশ

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৯ জুন ২০২৩ | ৫০০ বার পঠিত
  • সিন্দুকটা ব্রিটিশ আমলের। মস্ত বড়। তামার পরত বসানো ওপরে। মিনে করা কাজ। দুষ্প্রাপ্য সব পাথর। ময়লা বসেছে কিছুটা। তাও ঝিলিক দেয়। ডালাটা প্রচন্ড ভারি। সাধারণত সুনন্দিতা খুলে দেন। বা গভীর রাতে মানি খুলে দিত, যদি আমেলিয়ার মর্জি হত। সেইসব রাতে আমেলিয়ার ঘুম আসে না। হাল্কা হলুদ, বা গোলাপি, বেশির ভাগ সময়ই সাদা লেস বসানো নাইট গাউন গলার কাছে ফিতে দিয়ে বাঁধা। নিজেকে কেমন ছোট্ট মেয়ের মত মনে করতে থাকেন। কালচে নীল আকাশ থেকে তারাগুলো এক এক করে জানালা ভেদ করে নেমে আসে আমেলিয়ার ঘরে। কাঁচের জানালা বন্ধ থাকে। তবু তারা ঢোকে আর জোনাকির মত মিটমিট করে ঘুরে বেড়াতে থাকে আমেলিয়ার ঘরে। মাথার মধ্যে ঢুকে যায়। এই প্রবল শীতে বা গরমেও এসি চলে বলে আমেলিয়ার মাথায় পরম সুতির ক্যাপ পরানো থাকে, যাতে ঠান্ডা না লাগে। তিনি ফিসফিস করে ডাকেন, মানি। মানি! গেট আপ! ওপেন দ্য চেস্ট! জোনাকিরা নরম আলোতে আমেলিয়ার মুখের দিকে তাকায়।
    মানি! হোয়ের আর ইউ?
    মানি থাকলে এক ডাকেই উঠে পড়তো। এখন যে আয়াটি নাইট ডিউটি করেন তিনি ঘুমাচ্ছেন। ওষুধ খাওয়ানো আর ডায়াপার পাল্টে দিয়ে তাঁর কাজ শেষ। অ্যালার্ম দিয়ে রেখেছেন। ভোর চারটেতে উঠে আবার ডায়াপার চেঞ্জ করবেন।
    আমেলিয়া হাতড়ে হাতড়ে বালিশের তলা থেকে চাবি বার করেছেন। চাবির রিংটিও পাথর খচিত। ফরাসীদেশের স্মারক। আমেলিয়ার পছন্দের। মানি উঠছে না কেন? জোনাকিগুলো যে মাথার মধ্যে ঢুকে পড়ছে! উফফ! আমেলিয়ার মাথাটা সুড়সুড় করছে। ক্যাপটা খোলার চেষ্টা করতে করতে জোরে ডাকলেন, মানিইইই!
    আয়া শীতঘুমে আচ্ছন্ন। উঠলেন না। রেগে গেলে আমেলিয়ার ডায়াপার ভিজে যায়। নার্ভ সকল শিথিল। বিপন্ন। কত অসহায় লাগে। আমেলিয়া কাঁদতে পারেন না। তাঁর গলার কাছে ব্যথা করে।

    ঘুমের মধ্যেই সিন্ডরেলার ডাক আসছিল নাকী? ভাইরাস লাভ। লাভ ডাইরাস। আনসিন। আনপ্রেডিক্টেবল। বাট ভেরি ইনটেন্স। শার্প। উইদ স্পাইকস।
    উঠে পড়েছিল দেবরূপ। মেলজ্যাপ খেয়ে ঘুম। শিথিলতা অনিবার্য। গলা শুকিয়ে কাঠ। জল ঠান্ডা। ডাইনিং হলে গরম জলের ফ্লাস্ক রাখা থাকে। ঠান্ডা জল খাবে না গরম এটাই অনেকক্ষণ ভাবলো শুয়ে শুয়ে। এই শীত সুখযাপন হতেই পারত, দ্বৈতসুখ বা আত্মরতির অলস উজ্জ্বল উদযাপন হতে পারত, হতে পারত এবং এখন কিছুই নেই, সহনীয় শূন্যতা এক বিবমিষা তৈরি করে যখন সে কিছুতেই হারানো শক্তি ফিরে পায় না অথচ উল্লাসের ছিঁটেফোটা পাবার জন্য কোষগুলি ছটফট করে, রাতবাতির নম্র আলোক অশালীন লাগে, বিরক্তিকর। তার চেয়ে উঠে পড়া ভালো। রুম হিটার বন্ধ করে ডাইনিং এ আসতে সময় লাগে দীর্ঘ করিডোর বেয়ে। নিজেকে জুরাসিক পার্কের সেই বিলুপ্ত প্রাণীদের মত মনে হয় যারা প্রকৃত মানবের কাছে পরাজিত। মস্ত ফ্লাস্কে ইনকা সভ্যতার ছবি। জল ঢালতে ঢালতে ইনকা সিভিলাইজেশনের মায়াবী মুকুট পরা মুখটি ডেকে ওঠে, মানি, মানিইই।
    ও ঘোরের মধ্যে তাকায়। আমেলিয়ার ঘরের দরজা একটু খোলা। আলো জ্বলছে। এটা টেবল ল্যাম্পের আলো। স্পষ্ট বোঝা যায়।
    আবার সরু গলাতে ডাক। এবার, সানিইইই।
    ও দরজা খুলে দেখল, হার হাইনেস বিছানায় কুশনে হেলান দিয়ে বসে আছেন। নাইট ক্যাপটা হাতে। আর সিন্দুকের চাবি।
    - উইল ইউ ওপেন দ্য ম্যাজিক কেসমেন্ট ফর মি?

    জাদু বাক্স নিজের থাকলেও অনেকসময় তার চাবি নিজের হাতে থাকে না। নিজের কাছেও থাকে না। জোনাকিরা সারা শরীরে ঢুকে পড়ে আলো হয়ে জ্বলছে। ও আমেলিয়ার হাত থেকে চাবি নিয়ে সিন্দুক খুললো। আমেলিয়া সহজে এই অধিকার কাউকে দেন না। সিন্দুক খুলতেই রাশি রাশি জোনাকি উড়ে এল। সুগন্ধ। কেমন মশলার গন্ধ। দারুচিনি। অয়দ্যকোলন। পুতুলের দীঘল চোখ। টানা নাক। মাথায় বাঁধনি পাগড়ি। গায়ে শেরওয়ানি।

    এই পুতুল আর্মেনিয়ানদের তৈরি। কিন্ত এ এক দীর্ঘদেহী, সুঠাম, বলিষ্ঠ পাঞ্জাব তনয়। সন অব পাঞ্জাব।
    লুক অ্যাট হিম বাবু। হি ইজ দুল্লা। আবদুল্লাহ ভাট্টি। ইতিহাস তাকে মনে রাখেনি। দুল্লা বেঁচে আছে পাঞ্জাবী লোকগানে। উপকথাতে। টোট্যালি ভার্বাল। ইজ হিস্ট্রি বায়াসড? সে ভাবে। আমেলিয়া তৈরি করিয়াছিলেন অর্ডার দিয়ে। বিখ্যাত আর্মানি ডল মেকার ক্যারলিন স্যু। আমেলিয়ার মনের মত দুল্লা। পুতুলের পাশে নিজেকে কেমন ক্ষুদ্র, অসহায় বোধ হচ্ছে দেবরূপের।

    উনিশো আশি। পাঞ্জাবের এক কৃষকরমণী দুটি পুত্রের জন্ম দিয়েছেন। বড় শখ করে, আদর করে রূপকথার রাজপুত্তুরের নামে তাদের নাম। দুল্লা সিং। ভাট্টি সিং। নাম জব্বর। দুল্লা ভাট্টি মানে ভালবাসা। ক্রোধ। অহংকার। বিস্ময়। সবমিলিয়ে একটা মিথ তৈরি হয়।
    নাম জব্বর। কাম কুছ নহি। মাথার ওপর বাপের রেখে যাওয়া ঋণের বোঝা। দুল্লা সিং কীটনাশক খেয়ে মরেছিল। খবরের কাগজে রিপোর্ট বেরিয়েছিল। ফার্মার কমিটস সুইসাইড। সাত বছর বাদে ভাট্টি সিং কীটনাশক খেল। মরেও গেল।
    জমিতে জল নেই। টিউবওয়েল নেই। ক্যানালের জল নেই। লোন নাও। লোন। ব্যাঙ্ক খাতা খুলে বসে আছে। হো!
    জমি খুঁড়ে চলেছে দুল্লা সিং। আরো গভীর খননকার্য। পর্যাপ্ত ধান আর গম ফলাতে গেলে জল লাগে। জল। ওয়াটার সাবসিডি শুড রিমেইন আনচেন্জড। হরিয়ানাতে জল কম লাগে এমন শস্যের জন্য সরকারি ইনসেন্টিভ আছে। দাও। পাঞ্জাবে দাও। নষ্ট হচ্ছে জমি দ্রুত। জল চাই। জল। পাম্প করলে তার একটা খরচ আছে। ইলেকট্রিসিটি বিল দিতে হয়। শুধুমাত্র বিদ্যুতে সাবসিডি দিলে কৃষকের চলে না। হো! ঋণের পর ঋণের বোঝা। পাঞ্জাব কৃষির ঐতিহ্য।
    ব্রিটিশ আমলে হয়েছিল বটে ল্যান্ড রিফর্মিং অ্যাক্ট। সে উনিশশো সালের কথা। হো !
    ব্রিটিশ বাঁচিয়েছিল কৃষকদের। নাহলে যেসব রিফর্ম আইন ছিল তাতে বাড়িঘর, জমি সব যেত ভাগচাষীদের।
    স্যর ছোটুরাম। হো!
    রেভনিউ মিনিস্টার। মিনিস্টার বটে বাবা! উনিশশো তিরিশের কলোনিয়াল পাঞ্জাবের পি এম সিকান্দর হায়াতের ক্যাবিনেটের মন্ত্রী। নাইটহুড পেয়েছিলেন ছোটুরাম। হো! জাঠের রক্ত! ছোটুরামের জমিন্দার লিগে হিন্দু, মুসলমান, খেরেস্তান সব ছিল। ফাজিল হোসেনের সঙ্গে যোগ ছিল। হো!
    কৃষক ঋণে সুদের ওপর সুদ চাপানো বন্ধ করেছিলেন ছোটুরাম। পাঞ্জাব ডেবটরস প্রোটেকশন অ্যাক্ট। আর পাঞ্জাব রিলিফ ইনভেবটেডনেস অ্যাক্ট। সুদখোরদের হাত থেকে বাঁচল কৃষক। আর বাঁচল জমির দখল পেয়ে। কিন্ত জল? পানি? হো!

    নিকি! কখন এসেছে কেউ টের পায়নি। আজ নয়না ঘুমাচ্ছে তার ঘরে। হুইলচেয়ার নিয়ে ঠিক দেবরূপের পেছনে।
    - রাইজ অব আরবান সেন্টারজ অ্যাট দ্য কস্ট অব ফার্মার্স। বুঝতে পারছ? কোনো জব অল্টারনেটিভ নেই। বিকল্প ফসল নেই। কৃষির ট্রেনিং নেই। দ্য ওয়র্লড গোজ কর্পোরেট।
    নিকি অনেক রাত জাগে। পড়ে। ছবি দ্যাখে। ওকে কখনো ক্লান্ত লাগে না। এখনো লাগছে না। তবে চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে। হয়তো একটু ঘুমাবার চেষ্টা করেছিল। পারেনি।
    - কফি খাবে?
    আমেলিয়া বললেন, আমি খাবো।
    - তুমি এত রাতে কফি খাবে না গ্র্যানি।
    - খাবো। দেন আই উইল টেল ইউ দ্য স্টোরি অব রিয়েল দুল্লা সিং। দ্য ম্যান হু ডেয়ারড টু ফাইট অ্যাগাইন্স্ট আকবর।
    আগামীকাল লোহরি। সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে। কাঠের স্তুপ ভিতর উঠোনে। এবার লোহরির গানের থাকবে দুহাজার একুশের কৃষক আন্দোলনের সুর। পাঞ্জাব মানেই কোটিপতি অক্সফোর্ড ফেরত কৃষক নয়। দুল্লা সিং ভি হ্যায়।
    - গল্প বলো গ্র্যানি।
    ও নিজেই আশ্চর্য হয়ে গেল। এখনো সুনন্দিতাকে আন্টি ডেকে উঠতে পারেনি। আজ আমেলিয়াকে গ্র্যানি ডেকে ফেলল কী করে?
    নিকি হুইলচেয়ার ঠেলে চলে গেছে কফি বানাতে। আমেলিয়া তাঁর পুতুলের সম্ভার বের করে আনছেন সিন্দুক ছেনে। একের পর এক গল্প। জোনাকির মত আলো দেয়।
    ইয়ে হ্যায় কিসসা অব দুল্লা সিং।
    কেমন একটা আলো আলো রাত। বহুদিন বাদে।

    (চলছে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৯ জুন ২০২৩ | ৫০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন