বইয়ের দোকানে গিয়েছি। পেন কিনব। এমন সময় ভদ্রমহিলা এলেন খাতা কিনতে। দোকানদার খাতা দিলেন। ভদ্রমহিলা বললেন, ফ্লোরাল ছাড়া নেই? অর্থাৎ খাতার কভারে ফুলের ছবি উনি চাইছেন না। দোকানি বললেন, না, নেই।
ভদ্রমহিলা বললেন, আসলে ছেলে তো, ফুলটুল দেখলে আবার পছন্দ করবে না।
আমার মনে হল বলি, ছেলের বিয়ের পর খাটটা কি ক্যাকটাস দিয়ে সাজাবেন?
পৌরুষের এই সামাজিক নির্মাণ পুরুষকেই বেঁধে রেখেছে নির্মম শিকলে।
বাঁধা ছকের চেয়ে একটু সরে গেলেই ধসে পড়বে পৌরুষ। ছেলে চাইছে না। নাকি মা তটস্থ ছেলের পৌরুষ রক্ষা করার জন্য?
ছেলেরা ফুল পছন্দ করবে না, বন্দুক পছন্দ করবে।
ছেলেরা শান্তির পক্ষে থাকবে না, যুদ্ধের পক্ষে থাকবে।
ছেলেরা ফল খাবে না, মদ খাবে।
ছেলেরা কাঁদবে না, তারা রক্ত ঝরিয়ে হাসবে।
ছেলেরা শিল্প চর্চা করবে না, তারা ভাঙবে।
ছেলেরা দাবা খেলবে না, ক্যারাটে শিখবে।
ছেলেরা লাল, গোলাপী পোষাক পরবে না, নীল, কালো, সাদা, ধুসর, পোষাক পরবে।
ছেলেরা গয়না পরবে না, রাবারের ব্যান্ড পরবে।
ছেলেরা বউ অসুস্থ হলে সেবা করবে না, মদ খেয়ে বউকে পেটাবে।
আর আর আর.....
ছেলেরা ধর্ষণ করবে।
আমার এক বন্ধুর মা, তাঁর ছেলে সমকামী, এটা জানার পর বলেছিলেন, “এর চেয়ে তুই একটা মেয়েকে রেপ করতি’।”