স্যান হুয়ানে দ্বিতীয় দিন কাটলো একটু শুয়ে বসে। বৃষ্টির হচ্ছে মাঝে মাঝেই, তবে খুব জোরে নয়। মেঘলা বা বৃষ্টির দিনে পুরনো স্যান হুয়ানে যদি থাকেন, তাহলে বাড়ি থেকে বেরোনোর দরকার খুব একটা নেই। জানলার ধারে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যাবে রাস্তা দেখে। মার্কিন মুলুকের বেশির ভাগ জায়গার মত নয় এ শহর। এখানে রাস্তায় পথচারী, সরু গলি, নানা রঙের গায়ে গায়ে ওঠা বাড়ি রয়েছে। হঠাৎ করে মনে হয় দেশের কোন শহরে চলে এসেছি।
দুপুরে খেতে গিয়ে দেখলাম গভর্নরের বাড়ির (প্রাসাদ বলাই ভালো) সামনে ছোটমত একটা জমায়েত হয়েছে, প্ল্যাকার্ড নিয়ে কিছু মানুষ, বেশিরভাগই যুব সম্প্রদায়, আন্দোলনরত। খুব কিছু ভালো বুঝলাম না, একটা দেওয়ালে দেখলাম গভর্নরের বিরুদ্ধে কিছু লেখা হয়েছে স্প্রে পেইন্ট দিয়ে। মোড়ের ল্যাম্পপোস্টের গায়ে হ্যান্ডবিল লটকানো, সেখানে বেশ কয়েকজন অল্পবয়সী মেয়েদের ফোটোগ্রাফ। কেমন মনে হলো এরা নিরুদ্দেশ।
বিকেলে কয়েকটা চেনা জায়গা দিয়েই ফের হেঁটে এসে দেখি তখনকার ছোট জমায়েত এখন বেশ জনবহুল। মাইক্রোফোন এসে গেছে। একজন র্যাপার ফুটপাথে পারফর্ম করছেন, বেগতিক দেখে গভর্নরের বাড়ির সিকিউরিটি ফোর্স আর পুলিশ এসে ঐ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ততক্ষণে আমরাও নেট ঘেঁটে দেখে নিয়েছি আন্দোলনের একটা ওপর ওপর ছবি।
২০২১ সালের গ্রীষ্মে স্যান হুয়ানের গভর্নর রিকার্ডো রোসেলোর কিছু চ্যাট মেসেজ কেন্দ্র করে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ফাঁস হওয়া ঐ মেসেজগুলি রোসেলো এবং তাঁর ঘনিষ্ট বৃত্তের মধ্যে বিনিময় হয়েছিলো। সেগুলো থেকে জানা যাচ্ছে হারিকেন মারিয়ায় যাঁদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাঁদের প্রতি রোসেলো অ্যান্ড কোম্পানি খুবই উদাসীন মনোভাব পোষণ করে। এছাড়াও ঐ মেসেজগুলিতে নানা আপত্তিকর মন্তব্য এবং দূর্নীতির স্বীকারোক্তি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি নিয়ে অসন্তুষ্ট মানুষ এর পরেই রাস্তায় নেমে আসে। জালিয়াতির অভিযোগে রোসেলোর দুজন শীর্ষ আমলা গ্রেপ্তার হওয়ার পর, জুন মাস নাগাদ, ব্যাপার খুবই ঘোরালো হয়ে ওঠে। পুলিশ প্রতিবাদকারীদের হঠাতে গিয়ে বলপ্রয়োগ করে, ফলে আরো বেশি প্রতিবাদ, পুরো দ্বীপ জুড়ে অন্দোলন ইত্যাদি হয়। বিদেশ থেকে নামকরা কয়েকজন শিল্পী আসেন প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে (তাঁদের একজন রিকি মার্টিন )। আমরা স্যান হুয়ানের যে প্রতিবাদ জমায়েত দেখছি সেটা শান্তিপূর্ণ। আন্দোলনকারীদের দাবি, রোসেলোকে পদত্যাগ করতে হবে। ভুল হয়েছে স্বীকার করে নিয়েও রোসেলো পদত্যাগ করতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন যে বিশাল ভুল তিনি করে ফেলেছেন, তার জন্য তিনি দুঃখিত। কিন্তু শুধু দুঃখ প্রকাশ করলেই কাজ শেষ হবে না, মানুষকে তাদের প্রাপ্য সুশাসন দিতে হবে। এইসব ভাট রোসেলোর একনিষ্ঠ ভক্ত ছাড়া কেই বা বিশ্বাস করবে? কাজেই আন্দোলন চলছে।
পুয়ের্তো রিকোয় ২০১৭ সালের হারিকেন মারিয়া জনিত ক্ষয়ক্ষতি একটা আলাদা প্রবন্ধ হতে পারে, তাই বিশদে যাচ্ছিনা। শুধু এটুকু বলা থাক যে মারিয়া পুয়ের্তো রিকোর পাওয়ার গ্রিড সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। জুন জুলাইয়ের প্রতিবাদ সমানে চলছে নভেম্বরেও, কারণ ৩৪ লক্ষ মানুষের বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রবলভাবে ব্যহত হয়েছে সেই ২০১৭ সাল থেকেই। আরো নানা জিনিসের সাথে পুয়ের্তো রিকোর বিখ্যাত বায়োলুমিনেসেন্ট বে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেই হারিকেনে, যা এখনও সামলানো যায়নি। আমাদের পরিকল্পনা ছিলো অন্ধকার সমুদ্রে সেই আলো দেখতে যাব কোন একদিন। কিন্তু একটু পড়ে দেখলাম যে মারিয়ার পর থেকে বয়োলুমিনেসেন্ট বে ঘোলাটে হয়ে গেছে, পরিবেশবিদরা কাজ করছেন যাতে তাকে আগের চেহারায় কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনা যায়।
কথায় কথায় প্রসঙ্গ থেকে অনেক সরে এসেছি। পরের দিনের কথায় ফিরি।
স্যান হুয়ান পর্ব সেরে আমরা চললাম এল জুঙ্কে অভিযানে। আগের পর্বেই বলেছি এল জুঙ্কে ট্রপিকাল রেইনফরেস্ট। জায়গাটা স্যান হুয়ানের পূর্বদিকে। আমাদের তৃতীয় দিন সকালে আমরা এয়ারপোর্ট গিয়ে গাড়ি নিয়ে রওনা দিলাম। উদ্দেশ্য, দ্বীপটা বেড় দিয়ে ঘুরে এসে স্যান হুয়ান ফেরা। পরের দুদিন আমাদের এতেই কেটে যাবে। তারপর এক রাত আবার স্যান হুয়ানের কাছে কাটিয়ে ফেরার প্লেন ধরা।
এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি নিয়ে একটা অসুবিধা হলো। জিপিএসে দেখি ইংরেজিতে লিখলে জায়গাগুলো বুঝতে পারছেনা। কিছুটা কাঠখড় পুড়িয়ে সেও একসময় হলো।
এল জুঙ্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের তদারকিতে পড়ে। এক কথায়, ইহা একটি মার্কিন ন্যাশনাল ফরেস্ট। এখন, এই জঙ্গল দেখার একটাই উপায় আছে। তাহলো পুবমুখো হাইওয়ে থেকে দক্ষিণমুখী একটি রাস্তা ধরে নামতে থাকা। কিছুদুর গেলেই পার্কের হেড কোয়ার্টার এবং গেট। সেখানে পাস দেখিয়ে ঢুকে পড়ে গাড়ি নিয়ে বাকিটা দেখে নিয়ে আবার ঐ পথেই ফিরতে হয়। সোজা কথায়, একটা বিশাল দক্ষিণ মুখী ব্লাইন্ড লেন। রাস্তাটির নাম ১৯১, পার্কের মধ্যে দক্ষিণমুখী চলতে চলতে একসময় শেষ হয়েছে। ১৯১'র একটি কানাগলিতে পরিণত হওয়া নাকি একটি ধ্বসের জন্য। মুশকিল হলো, রাস্তাটি কানাগলি হওয়ায় তার আর জনপরিবহণের দায় নেই। সরকার সেটিকে এখন পুরোই রিক্রিয়েশনের কাজে লাগিয়ে ফেলেছেন।
এখন সেখান দিয়ে যেতে গেলে পাস লাগে। সেই পাস দু সপ্তাহ আগে থেকে নেটে লগিন করে নিতে হয়। নইলে বেড়াতে যাওয়ার দিন ভোর ছটার সময় ঘুম থেকে উঠে একটা লটারিতে অংশ নিতে হয়। বলা বাহুল্য, দু সপ্তাহ আগে আমরা জানতামই না পুয়ের্তো রিকো আসছি। আর ভোর ছটার সময় উঠে লটারির প্রশ্নই ওঠেনা। কাজেই আমাদের অন্য ব্যবস্থা দেখতে হলো। পুয়ের্তো রিকোর ম্যাপ খুঁটিয়ে দেখে বুঝলাম এল জুঙ্কের মধ্যে দিয়ে আরো একটা হাইওয়ে গেছে -- হাইওয়ে ১৮৬, যদিও ম্যাপে সেই রাস্তা জায়গায় জায়গায় বেশ সরু বলে মনে হলো। ভবিষ্যতের যাত্রীদের জন্য বলে রাখি, এই ১৮৬ পাওয়া ১৯১ এর মত সহজ না। গেছোদাদার মত আপনাকে ম্যাপ ধরে ধরে আগে দেখতে হবে দক্ষিণমুখো কোন রাস্তা ১৮৬'র কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। তারপর আপনাকে দেখতে হবে সেই রাস্তা আদপেই আছে, না ঝড় ঝঞ্ঝা ধ্বসে উবে গেছে। শেষ পর্যন্ত যদি কোনক্রমে ১৮৬ নম্বর হাইওয়েতে পৌঁছন, তাহলে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যথেষ্ট সময় নিয়ে আপনি ঐ রাস্তায় ঢুকছেন কিনা --- অন্ধকার হয়ে এলে ঐ হাইওয়ে খুব একটা সুবিধের নয়।
এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি নেওয়ার সময় জিগ্যেস করে জানতে পারলাম এল জুঙ্কের যে দিকটা আমরা যেতে চাইছি সেই হাইওয়ে ১৮৬ রাস্তা হিসেবে খুব খারাপ, এখানে সেখানে খানাখন্দ আছে। যেহেতু অন্য উপায় নেই, তাই ঐদিকেই চলা শুরু হলো। অচিরেই বোঝা গেল খারাপ রাস্তা বলতে কী বোঝায়। বার কয়েক এর বাড়ির উঠোন ওর বাড়ির কুয়োতলা কলাবাগান এর ফাঁক ফোকর দিয়ে প্রায় অদৃশ্য সুতোর মত রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলছে শম্বুক গতিতে। ঢেউখেলানো পথ, চারিদিকে সবুজের সমুদ্র সফেন। তিতুম ক্ষণে ক্ষণে উত্তেজিত হয়ে দেশের ফল ও ফুলের গাছ দেখতে লাগলো। শেষে এক জায়গায় অপূর্ব ফলবান আমগাছ দেখে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ছবি তুলতে নামতেই এক প্রকান্ড কুকুর এসে প্রচন্ড তম্বি করতে লাগল। আরেকটু এগিয়ে দেখি হঠাৎ আর রাস্তা নেই। নেই মানে ঠিক সম্পূর্ণ নেই না, কয়েক গজ নেই, আবার অন্যদিক থেকে আছে। বড়ো বড়ো করে লেখা আছে "সাবধান!" সেখানে রাস্তা সারানোর জন্য সবে ঠিকাদার এসেছেন। তিনি বললেন দু ঘন্টা আগের ধ্বসে এই অবস্থা, এদিক দিয়ে আর যাওয়া যাবেনা। তবে অন্যদিক দিয়ে একটা কী যেন জটিল বর্ণনা দিলেন, আমি শুধু গ্যাস স্টেশন কথাটা বুঝলাম।
বিফল মনোরথ হয়ে ফিরছি, দেখি একটা গ্যাস স্টেশন, আর তার পাশেই আরেকটা রাস্তার মুখে স্প্যানিশে "ডিটুর" লেখা আছে। যা থাকে কপালে বলে সেটা দিয়ে এগোনো হলো। এরকম আরো কয়েকবার এখানে সেখানে ধাক্কা খেতে খেতে অবশেষে একসময় ১৮৬ হাইওয়ে পাওয়া গেল। এই এতক্ষণ ধরে যা হচ্ছিলো তার চেয়েও এই হাইওয়ে সরেস। স্থানীয় মানুষ কালেভদ্রে যাতায়াত করেন, তাই সারানো হয়না এই হাইওয়ে, যতদুর মনে হলো।
একটা কম্প্যাক্ট সেডান কোনক্রমে ফিট করে এমন রাস্তা। দুপাশে ঠাসা জঙ্গল, আম জাম নারকেল কাঁঠাল আরো নাম জানিনা এরকম অসংখ্য গাছ। বাঁশবন এক্দিক থেকে শুরু হয়ে ধনুকের মত বেঁকে রাস্তা প্রায় বন্ধ করে ফেলেছে। গাছের ডাল পাতায় ঠোক্কর খেতে খেতে চলা। এক এক জায়গায় বেশ অন্ধকার, ঐ দুপুরেই। রাস্তায় সোজা গাড়ি চালানো যাবেনা, এত গর্ত। আর গর্ত মানে ছোটখাট না, চাকা ঢুকে গাড়ি ফেঁসে যাবে এমন বড় বড় গর্ত -- বুঝলাম একেই ওরা রাস্তা খারাপ বলেছিলো। ঐ রাস্তায় কোনাকুনি ঘন্টায় পাঁচ থেকে দশ কিমি বেগে গাড়ি চলতে লাগলো, গর্ত এড়িয়ে এড়িয়ে, জায়গা পেলে রাস্তা থেকে বেরিয়ে গিয়ে। এইরকম মাইল পঁচিশ যেতে যেতে আমরা এল জুঙ্কের যে রূপ দেখলাম, তা বহুদিন মনে থাকবে। প্রথমত, গোটা রাস্তায় আর একটাও গাড়ি নেই, মানুষ নেই। ঐ সরু রাস্তা, এঁকেবেঁকে উঠে নেমে চলেছে। মাথার ওপর আকাশ বেশির ভাগ সময়ই নেই, বিশাল বিশাল পাতার চাঁদোয়ায় ঢাকা। কত যে অপূর্ব ফুল, লতা, মনোমুগ্ধকর ঝরনা আছে বলে শেষ করা যাবেনা। একটাও পাখি দেখলাম না, কিন্তু অবিরল শিস শুনতে পেলাম তাদের। এর মধ্যে মাঝে মাঝে বৃষ্টিও হলো। রেইন ফরেস্টে বৃষ্টি হবে, এতে অভিযোগের কিছু নেই। আর এতরকম সবুজের ওপর জল পড়লে কী হয় সে আমাদের দেশের লোককে বলে দিতে হবেনা। চারিদিক আরো সেজে উঠে ঝলমল করতে লাগলো। মন্দার বোস এইরকম জঙ্গলকেই "ট্যাঙ্গানিকা - দূর্ভেদ্য জঙ্গল, আর আমি একা" বলেছিলেন। তফাৎ এই যে আমি একা নই।
হাইওয়ে ১৮৬'র সঙ্গে ১৯১ এর কোন মিলই নেই। পরের দিন আমরা কিছুটা সময় থাকায় ১৯১ বরাবর পার্কের গেট পর্যন্ত যাই। সেই রাস্তা মাখনের মত নাহলেও বেশ সারাই টারাই করা ভালো রাস্তা। বেশ চওড়া, সেখানে দোকানপাট আছে, গাড়িও প্রচুর। এল জুঙ্কে খুবই জনপ্রিয় তার জলপ্রপাতগুলোর জন্য, সেখানে ট্যুরিস্টরা জলে ঝাঁপাঝাঁপি করতে পছন্দ করেন। ১৯১ বরাবর পার্কের "আসল" গেটের কাছে পৌঁছে আরেকটা মজার জিনিস দেখা গেল। সাধারণত মার্কিন মুলুকের ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের তত্ত্বাবধানে থাকা কোন পার্কে গেলে দেখা যায় ফরেস্ট রেঞ্জাররা সমস্ত দায়িত্বে আছেন। এখানে দেখলাম কেস অন্য। নিয়ম মত একজন রেঞ্জার আছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি একটা ছায়া সুনিবিড় তাঁবুর মধ্যে বসে ফলের রস খাচ্ছেন। আর কয়েকটি অল্পবয়সী ছেলেমেয়ে হাতেপায়ে কাজ করে সব সামলাচ্ছে।
এইরকম করে আমাদের পুয়ের্তো রিকো প্রদক্ষিণের প্রথম দিন কাটলো।
দ্বিতীয় দিন আমরা পূবদিকে আরো খানিকটা এগিয়ে দ্বীপের উত্তর পূর্ব কোণ হয়ে দক্ষিণের দিকে নামবো। হিসেব খুবই সোজা। একটা আয়তক্ষেত্রের বাহু বরাবর ঘড়ির কাঁটার দিকে চলে পুরোটা ঘুরে আসতে হবে। এই পুরো রাস্তাটাই সমুদ্রের ধার দিয়ে চলা যায়, যাবতীয় সমুদ্রসৈকত এভাবেই আমাদের ছুঁয়ে যাওয়া হবে। ব্যাপারটা বোঝানোর জন্য আমাদের ম্যাপের একটা ছবি সেঁটে দিলাম।
স্নরকেলিং আর আফ্রিকাসম দূর্ভেদ্য জঙ্গলের ফাঁড়া কেটে যাওয়ায় খুবই আশ্বস্ত লাগছিলো। অনেকটা জটায়ুর "উট তো আর নেই" বলার মত মনের অবস্থা।